কহিনুর_দ্বিতীয়_খণ্ড,বোনাস পর্ব

0
677

#কহিনুর_দ্বিতীয়_খণ্ড,বোনাস পর্ব
কলমে: লাবণ্য ইয়াসমিন

আলো ঝলমলে সোনালী সকাল। গাছের পাতায় সূর্যের রশ্মি পড়ে ঝিলমিল করছে। রাতের শিশির মাটিতে মিলেমিশে একাকার। কহিনুর বাবা মা আর চাচা চাচির সামনে মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছে। ওকে সাপোর্ট দিচ্ছে সাঈদ। জুবায়ের কি বলবে বুঝতে পারছে না। কিন্তু অধরার মেজাজ চরম খারাপ। পৃথিবীর কোন মেয়ে আছে যে নিজেই নিজের বৈধব্য এর কারণ হয়? মেয়েকে আজ পযর্ন্ত কিছু না বললেও এই মূহুর্তে ও আর চুপচাপ থাকতে পারলো না। মেয়েটার ফর্সা গালে টেনে একটা থা/প্পড় লাগিয়ে দিলো। কহিনুর তাল সামলাতে না পেরে পড়ে যেতে নিলে সাঈদ ধরে ফেলল। গতকাল রাতে সাঈদ ওকে অচেতন অবস্থায় বাড়িতে নিয়ে এসেছে। আর সব ঘটনা সবাইকে বলে দিয়েছে। অধরা দাঁতে দাঁত চেপে বলল,
> কোন সাহসে তুমি পাথরকে খু/ন করেছো? এতদিন তোমাকে নিয়ে আমি গর্ব করতাম ভাবতাম আমার মেয়ে শুভ শক্তি হয়ে জন্ম নিয়েছে। খারাপ শক্তিকে ধ্বং/স করে পৃথিবীটাকে নির্মল করবে কিন্তু না তুমি হয়েছো তোমার পূর্বপুরুষদের মতো নি/ষ্ঠুর আর নি/র্দয়। কিভাবে পারলে নিজের স্বামীকে মা/রতে? হাত কাঁপেনি? উত্তর দাও।

অধরা হাপাচ্ছে।জামসেদ দ্রুত গিয়ে কহিনুরকে নিজের সঙ্গে জড়িয়ে নিয়ে বলল,
> ওকে বকছো কেনো? ওর যেটা ভালো মনে হয়েছে ও সেটাই করেছে। ওকে কেউ বকবে না। আমি ওকে সাপোর্ট করছি কারণ আমি জানি কহিনুর কোনো ভুল করতেই পারেনা। ও শুভ বুঝলে? আর হোক অশুভ তাতে আমার কোনো যায় আসে না।

অধরা কটমট দৃষ্টিতে জামসেদকে দেখলো। এই লোকটা এসেছে মেয়েটাকে উস্কানি দিয়ে শয়/তান বানাতে। পাথরের কথা ভেবে প্রচণ্ড খারাপ লাগছে। নিরপরাধ ছেলটার প্রাণঘাতীর কারণ নিজের মেয়ে ভাবতেই ওর গা গুলিয়ে উঠছে। মেজাজ খারাপ হচ্ছে। জুবায়ের এসে অধরাকে সোফায় বসিয়ে দিয়ে পানির গ্লাস সামনে ধরে বলল,
> খেয়ে মাথা ঠান্ডা করো। কহিনুর যেটা করেছে সেটা অন্যায় কিন্তু বুঝতে চেষ্টা করো ও কিন্তু কারণ ছাড়া কিছু করেনা। এর পেছনে সত্যি কিছু আছে। কি আছে সেটা শুনতে হবে। আগে শুনি?

অধরা চোখ বন্ধ করলো। নিশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে। এই মেয়েটাকে দেখলেই শরীর জ্বলছে। নিজের ভালো পাগলেও বুঝে। কিভাবে পারলো নিজের স্বামীকে মারতে। এটা মানুষ নাকি জড় পদার্থ? নির্জনতা কাটিয়ে কহিনুরকে উদ্দেশ্য করে জুবায়ের বলে উঠলো,

> ম্মামা বলো, কেনো এমন করলে? কথা বলতে পারো এটা আমরা জানি। যাইহোক লুকোচুরি লুকোচুরি খেলা এবার বন্ধ করে আসল কারণ বলো? এভাবে আমাদের টেনশনে রেখো না।

কহিনুর নড়েচড়ে উঠলো। চোখের পলক পড়ছে না। খুব স্বাভাবিক আছে। মনে হচ্ছে কিছুই করেনি। বাবার প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। তাই এবার সত্যিই মুখ খুলল। রিনরিনে সুরেলা কণ্ঠে উত্তর দিলো,

> আমি কিছু ভুল করিনি। ওকে বাঁচাতে হলে এইটুকু করতেই হতো। তাছাড়া যার হৃদয় সামান্য আমার নামটা ধারণ করতে পারেনা সে আর যাইহোক কিছুতেই আমার সঙ্গী হতে পারেনা ।দেখা জরুরী ছিল সত্যি উনি আমার উপযুক্ত কিনা। তাছাড়া আরও একটা সত্যি আছে যেটা আমি বলতে চাইছি না।

কহিনুর একদমে কথাগুলো বলে থামলো। ও অনুতপ্ত না দেখে অধরা মুখ ফিরিয়ে নিলো। কিন্তু জামসেদ ওর মাথায় হাত রেখে বলল,

> কিচ্ছু বলতে হবে না। শুধুমাত্র নিজের খেয়াল রেখো। কথা বলেছো বুঝতে পারছো সামনে কি কি অপেক্ষা করছে? এতিমধ্যে দাদু ফোন করেছিল তোমার ফুপিরা কথা বলছে। সুলতান পরিবারের হাজার বছরের অভিশাপের সমাপ্তি ঘটলো। আমি মুক্তি পেলাম। নিজের মতো চলতে পারবো।তবে দাদু কিন্তু বসে থাকবে না। উনি পরিকল্পনা চালিয়ে যাবেন। উনার পরিচয় সঠিকভাবে জানা জরুরি। তাছাড়া তোমাকে হ/ত্যার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এতো ঝামেলা কিভাবে কি হবে। ঘরের শ/ত্রু সঙ্গে বাইরের।

জামসেদের গলা কাপছে। এই মেয়েটাকে হারালে চলবে না। ওর কিছু হলে আবারও সুলতান পরিবারের উপরে অভিশাপ নেমে আসবে। অর্ধমানবেরা ওদের উনরে জুলুম করবে। না না এমন হতে দেওয়া চলবে না। জামসেদের ধ্যান ভাঙলো কহিনুরের কথা শুনে। কহিনুর তাচ্ছিল্যপূর্ণ হেসে বলল,
> যে যা করতে চাইছে করতে দাও। পিপিলীকার পাখা গজাই মরিবার তরে কথাটা জানো তো? চাচ্চু আমি সবটা সামলে নিব। চিন্তা করো না। আমি বিশ্রাম নিতে চাই। আর তোমরা দ্রুত আমাকে একা ছাড়ার ব্যবস্থা করো। এখানে থাকা আমার পক্ষে অসম্ভব।

কহিনুর সগর্বে জামসেদের পাশ থেকে উঠে গিয়ে দরজা বন্ধ করলো। সাঈদ গেলো ওর পিছুপিছু। অধরার চোখেমুখে বিস্ময় খেলা করছে। নিজের হাতের পুতুল যাকে কিনা ও নিজে ছোট থেকে বড় করেছে তাঁর ব্যবহারে দেখে ও হতবাক কষ্ট হচ্ছে। বাচ্চা মেয়েটার এহেন পরিবর্তন ওকে ভীষণ পিড়া দিচ্ছে দিচ্ছে।অধরা জুবায়েরের বুকে মাথা রেখে ফুপিয়ে ফুপিয়ে কাঁদছে। মীরা সান্ত্বনা দিচ্ছে। জামসেদ বলল,
> কান্নাকাটি করো না। এবার থেকে বারবার মেয়েটার উপরে হাম/লা হবে। ও চাইছে আমাদের থেকে দূরে থাকতে যাতে ওর জন্য আমাদের ক্ষতি না হয়। ওর গলাতে যেই লকেট ছিল ওটা আজ থেকে কাজ করবে না। মেয়েটাকে বাঁচাতে হবে।
জুবায়ের চোখ বন্ধ করে বলল,
> ভাই ও আমাদের কাছেই থাকবে। শেষ নিশ্বাস পযর্ন্ত আমার মেয়ে আমার কাছে থাকছে। যা হয় হবে তবুও মেয়েকে ছেড়ে থাকা অসম্ভব।
জামসেদ সোফায় হেলান দিয়ে বলল,
> কিছু ভাবতে হচ্ছে ততক্ষন সময় লাগবে। ড্যাড বাংলাদেশ থেকে ফিরেছে। ফোন দিচ্ছে। আমাকে যেতে হবে। মীরাকে এখানে রেখে যেতে এসেছিলাম কিন্তু এখন কি করবো ভাবছি। কারো নজরে পড়লে সমস্যা হবে।
জামসেদের কথা শুনে অধরা চোখের পানি মুছে বলল,
> ওকে রেখে কহিনুর কে নিয়ে জান। এই মূহুর্তে কহিনুরের আপনার সঙ্গে থাকা নিরাপদ। লুকিয়ে রাখবেন নিজের মেয়ের মতো। পারবেন না?

জামসেদ হতবাক হলো অধরার কথা শুনে। ওকে বিশ্বাস করছে এর চাইতে সুখের কিবা আছে? কারো বিশ্বাস অর্জন করা সহজ না। জামসেদ জুবায়েরের দিকে তাঁকিয়ে আছে। ভাইয়ের উত্তর শুনতে মন চাইছে। ওকে অবাক করে দিয়ে জুবায়ের বলল,
> অধরা যদি ঠিক করে কহিনুর তোমার সঙ্গে যাবে তবে নিয়ে যাও। তথ্য প্রযুক্তির যুগ খোঁজখবর রাখতে অসুবিধা হবে না। তাছাড়া দেখাও যাবে।

মীরাও রাজি হলো এমন প্রস্তাবে। একা থাকতে ওর বিরক্তি লাগে তাই সুযোগ পেয়ে হাতছাড়া করলো না। জামসেদ চোখ বন্ধ করে সোফায় হেলান দিয়ে দীর্ঘ নিশ্বাস ফেলল। কহিনুরের ঋণ যেনো বাড়তেই চলেছে। জামসেদ প্রথম দেখাতে মেয়েটাকে ভীষণ ভালোবেসে ফেলেছিল। ভাইয়ের মেয়েকে নিজের মেয়ে ভাবতে দুবার ভাবেনি। তখন কেউ ওকে বিশ্বাস করেনি তবে এখন করছে। মেয়েটাকে পেয়েই ভেবেছিল সব ঠিকঠাক করে ফেলবে। তাছাড়া নিজের বোনদের দেখে কষ্ট হতো। মুক্তির পথ ছিল কহিনুর। কথাগুলো ভেবে জামসেদ দাঁতে দাঁদ চেপে ভাবলো খেলা জমবে এবার। দাদুর পেছনে কে কলকাঠি নাড়ছে আর ড্যাডের পেছনে কে আছে সব রহস্য সামনে আসবে। ডাইরীর শেষ পাতা উদ্ধার করতে হবে। সেখানে আছে চন্দ্রের আরও কিছু ভূলের সাক্ষ্য।
**********
জানালাই চোখ রেখে বসে আছে কহিনুর। হৃদয়ের কোণে উৎপন্ন সুক্ষ যন্ত্রণাটা আরও তীব্র হচ্ছে কেনো হচ্ছে জানা নেই। নিজের বৈধব্যের জন্য মা ওকে দোষী বলেছে কিন্তু কেউ তো জানে না এর পেছনে থাকা আসল কাহিনী। যখন জানবে তখন কেউ ওকে আর অপরাধী ভাববে না তবুও কেনো জানি নিজের হাতদুটোকে ভীষণ অপছন্দ হচ্ছে। ভাবতে ভাবতে ও কাঠের দেয়ালে হাতটা আছড়ে ফেলল। পাশ থেকে সাঈদ ভীরু ভীরু দৃষ্টিতে বলল,
> নিজেকে আঘাত করোনা। আমি তোমাকে ভূল বুঝিনি নূর। তুমি উচিৎ কাজটাই করেছো। পরের কাজ আগে করেছো ভুল নেই কিছু।
কহিনুরের চোখে আগুন জ্বলে উঠলো। চাপা কণ্ঠে বলল,
> সাঈদ, ফুলের ঘায়ে মূর্ছা যায় এমন পুরুষ কি আমার উপযুক্ত তুমিই বলো? কহিনুরের সঙ্গী হবে কহিনুরের থেকেও কঠোর হৃদয়ের।। কিন্তু সেতো দুর্বল। এতো দুর্বল হলে কিভাবে আমাকে বাঁচাবে আর নিজে বাঁচবে?

সাঈদ ওর পাশে বসতে বসতে বলল,
> ছাড়ো সেসব তোমাকে ভাবতে হবে না। সব ঠিক হয়ে যাবে। উনি কিন্তু তোমাকে সত্যি ভালোবাসতেন। ওর চোখে দেখেছিলে?কি দৃষ্টি ছিল।
কহিনুর হেসে চোখ বন্ধ করে সেই মূহুর্তটাকে মনে করার চেষ্টা করলো। হৃদয়ের ধুকপুক শব্দটা এখনো ওর হাতে অনুভব হচ্ছে। শরীরে ছড়িয়ে পড়ছে শিহরন। কহিনুর দ্রুত চোখ খুঁলে তাড়া দিয়ে বলল,
> শুনো ওসব কথাবার্তা বলবে না আমার সামনে। মা/রতে চাইছো আমাকে তাইনা? আমার হৃদয় নিষ্ঠুর। নরম হলে শত্রুরা আচড় কাঁটতে চাইবে। আমার তো বেশ লাগে নিজের নামটা মানুষের হৃদয়ে লিখতে।
সাঈদ ঢোক গিলল। এই মেয়ে নিজের স্বামীকে পযর্ন্ত ছাড় দেয়নি আর ওতো কোন ছাড়। গলা টি/পে দিতে দুবার ভাববে না। নীরবতা কাটিয়ে কহিনুর বলে উঠলো,
> সাঈদ তোমার আম্মিকে খুঁজতে হবে। উনি রহস্য রেখে এভাবে হারিয়ে গেলেন কেনো?
সাঈদ অবাক হয়ে বলল,
> রহস্য রেখে মানে?
কহিনুর পা দুলিয়ে বলল,
> কহিনুরের সঙ্গে তুমি তোমার পূর্বপুরুষ এমনকি তোমার বাবা মা পযর্ন্ত জড়িত। তোমার মা ভবিষ্যৎ বলতে জানতেন। উনি জেনে বুঝে এখানে তোমাকে রেখে গিয়েছিলেন। উনি জানতেন আমি এখানে আসবো। উনি বিপদে আছেন। উদ্ধার করা জরুরী।
সাঈদের বারবার কথাটা মনে হয়েছিল কিন্তু এতটা জানতো না। আম্মির বিপদ শুনে ওর চোখে পানি চলে আসলো। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলো।
******************
নির্জন কক্ষ, পালঙ্কে অচেতন হয়ে পড়ে আছে এক যুবক। আশেপাশে কয়েকজন দাঁড়িয়ে আছে। হাকিম সাহেব রোগীর চিকিৎসা করতে ব্যস্ত।বর্তমানে এই কক্ষে কথা বলা নিষিদ্ধ। পাশ থেকে ওয়াশিম খান রোগীর অবস্থা জানতে হাকিমের দিকে ইশারা করলেন। হামিক সাহেব বিনিময়ে হাসলেন। অভয় দিলেন কিছু হয়নি সব ঠিকঠাক। খান সাহেবের মুখে তৃপ্তির হাসি ফুঁটে উঠলো। গতকাল রাত থেকে উনি বেশ চিন্তিত ছিলেন। মাথার মধ্যে নানারকম টেনশন ঘুরছে। কালা যাদুর শক্তি ক্রমাগত কমে আসছে যেটা উনি একদম চাননি। বহুকাল আগে উনার পূর্বপুরুষ নিজের সৎ বোনকে উৎসর্গ করে তবেই এই কঠিন শক্তি হাছিল করতে পেয়েছিলেন।সেই মৃ/ত্যু ছিল কঠিন আর নির্মম।।কিন্তু মেয়েটা মৃ/ত্যুর আগে অভি/শাপ দিয়েছিল এই বংশ ধ্বং/স হবে কোনো নারীর কারণে। এই বংশের পুরুষেরা হবে অধিক যৌবনা। সব সময় নারীদের সঙ্গে পেতে ছটফট করবে। কিন্তু কোনো সাধারণ নারীর স্পর্শে এলে তৎক্ষণাত সেই নারীর মৃত্যু হবে। নতুন সঙ্গী খুঁজতে খুঁজছে একসময় ক্লান্ত হয়ে নিজেই নিজের মৃ/ত্যুর কারণ হবে । যদিও কালো শক্তি ওদের পাশে ছিল। অভি/শপ্ত কোনো নারীদের গ্রহণ করলে এই অভিশাপ কোনো কাজে আসবে না। তাইতো সুলতান পরিবারের সঙ্গে এই চুক্তি। মূলত খানদের জন্যই সুলতান পরিবারের উপরে এমন শর্ত রেখেছিল কালো শক্তির কাল পুরুষ। চন্দ্রকে দিয়ে জাল বিছিয়ে দিয়েছিল সেই জালে সুলতান পরিবার আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে গেছে । কথাগুলো ভেবে ওয়াশিম খান কক্ষের বাইরে বেরিয়ে আসলেন। বাইরে কয়েকজনকে পাহারা দিতে বললেন। ওদিকে আধার সুস্থ হতেই ছুটে চলেছে কোনো নাইট ক্লাবের সন্ধানে। প্রেম বিরহের আগুন জ্বলছে । ছেলেটাকে দমিয়ে রাখা খুব কঠিন। কি করবেন বুঝতে পারছেন না। কহিনুরকে ওর জন্য উপযুক্ত ভেবেছিলেন কিন্তু না এই মূহুর্তে মেয়েটার মৃ/ত্যুটা বেশি প্রয়োজনীয়। খুব দ্রুত খেলা ঘুরে যাবে। অসুস্থ যুবককের কক্ষের দিকে তাঁকিয়ে উনি বিড়বিড় করে বললেন
> আমার হাতিয়ার।

(চলবে)
ভুলত্রুটি মার্জনা করবেন। এক রহস্যের সমাধান করি তো আরেক রহস্য এসে হানা দিচ্ছে। আমার কিছু কারার নেই। ক্রমাগত রহস্য সামনে আসবে। সামনে আরও চমক আসছে। এখুনি বলে দিলে মজা শেষ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here