#ধূসর_প্রেমের_অনুভূতি
#ফারহানা_ছবি
#পর্ব_২০
.
.
(৩৯)
চোখ মেলে ফারহাকে দেখতে পেয়ে ঠোঁটের কোনে হাসি ফুটে উঠলো ফারিহার৷ শরীরে আর আগের মতো ব্যাথা অনুভব হচ্ছে না ফারিহার৷ ফারিহা চোখ ঘুড়িয়ে আশে পাশে তাকিয়ে জায়গাটা পরিচিত লাগলো না ফারিহার৷ ফারিহা ফারহাকে কিছু বলতে যাবে তার আগে ফারহা বলে ওঠে,
-” কেমন আছিস এখন?”
” ভালো৷” ফারিহা ভালো বলে চুপ হয়ে যায়৷ পাশ থেকে একজন লেডি ডক্টর এসে ফারিহাকে চেকয়াপ করে বলে,” ম্যাম নাও শি ইজ ফাইন৷ আর কোন বিপদ নেই৷ ”
” থ্যাঙ্ক ইউ ডক্টর৷ আপনাকে আমার লোক পৌছে দিয়ে আসবে আর হ্যাঁ আপনাকে ফোন করার সাথে আপনি এখানে এসে হাজির হবেন ওকে?”
” ই,,ইয়েস ম্যাম” ভয়ে শুকনো ঢোক গিলে ডক্টর বলল৷
“আপনি এখন আসতে পারেন৷” ডক্টর যেন ফারহার মুখে এই কথাটা শোনার অপেক্ষায় ছিলো৷ ফারহা বলা মাত্র ব্যাগ নিয়ে দ্রুত পায়ে রুম থেকে বেড়িয়ে যায়৷ ডক্টর যেতে ফারহা দরজা বন্ধ করে ফারিহার মেডেসিন গুলো চেক করতে লাগলো৷ ফারিহা তার বোনকে অবাক চোখে তাকিয়ে দেখছে৷ মানুষ কতোটা ভালো হলে সেই মানুষটাকে বাঁচাতে মৃত্যু ফাঁদে পা রাখে যে মানুষটা ছোট বেলা থেকে তার ক্ষতি করার চেষ্টা করেছে৷ তাকে খারাপ নোংরা মানুষের হাতে ছেড়ে দিতে দ্বিতীয়বার ভাবেনি৷ ভাবেনি খারাপ পথে ঠেলে দিতে৷ ভাবিনি খুনের চেষ্টার পরও সে মানুষটা তাকে আগলে নিবে এভাবে; ফারিহার বড্ড অনুশোচনা হচ্ছে৷ মায়ের পর এই একমাত্র বোন ফারহা তাকে আগলে রেখেছে৷ আর তারই ক্ষতি করার বারংবার চেষ্টা করেছে ফারিহা৷ আজ ফারিহা তার হৃদয়ে হিংসে বিদ্বেষের পরিবর্তে অনুশোচনা আর একরাশ হতাশা কাজ করছে৷ ফারহাকে ফারিহা যে কখনো বড় বোন মানেনি বরং শত্রু ভেবে এসেছে চিরকাল কিন্তু আজ তার ভাবনার পরিবর্তণ ঘটেছে৷ ফারিহা বুঝতে পারছে সে তার বোনের সাথে অপরাধ করেছে যার কোন ক্ষমা হয় না৷
ফারিহার আজ হৃদয়টা পুড়ে যাচ্ছে৷ ফারহার এমন ঠান্ডা ব্যবহার দেখে৷ ফারহা রাগ করে দুটো চর থাপ্পর অথবা খুন করতেও চায় তাহলে ফারিহা আজ আর বাধা দিবে না৷ এই শাস্তি মাথা পেতে নিবে৷
ফারহা ঔষধ গুলো গুছিয়ে রেখে ফারিহার পাশে বসে৷ ফারহা ফারিহার মাথায় হাত রাখতে ফারিহা চমকে ওঠে হু হু করে কেঁদে ওঠে৷ ফারিহার এমন আচমকা কান্না করে উঠতে দেখে ফারহা হচকচিয়ে যায়৷
” ফারিহা এভাবে কাঁদছিস কেন? ভয় পাচ্ছিস? চেয়ে দেখ তুই এখন সেইভ আছিস৷ কিং ফায়ার তোর কোন ক্ষতি করতে পারবে না৷”
ফারিহা কোন ভাবে উঠে ফারহাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে কাঁদতে বলে,” আমাকে ক্ষমা করে দে আপু৷ আমি তোর সাথে ছোট বেলা থেকে অন্যায় করে আসছি৷ আমি ভুল করেছি তোকে ভুল বুঝে৷ আমাকে ক্ষমা করে দে আপু৷ আমি জানি আমি যা তোর সাথে করেছি সেটা কোন বোন তার আপন বোনের সাথে করতে পারে না৷ আমি যে জঘন্য অন্যায় তোর সাথে করেছি তার শাস্তি আমার পাওয়া উচিত ৷ ”
” হ্যাঁ ঠিক বলেছিস৷ তুই যা করেছিস তার শাস্তি তো তোকে পেতেই হবে৷ আর আমি সে শাস্তি তোকে দিবো৷ ”
ফারিহা ফারহার কথা শুনে বলে,” তুই যদি আজ আমায় মেরেও ফেলিস তাহলেও আমি একটা শব্দ উচ্চারণ করবো না আপু৷ ”
” ঠিক আছে সময় হলে আমি তোকে তোর প্রাপ্য শাস্তি দিবো৷ এখন আপাদতো এই দুধ আর ফল গুলো খেয়ে নে৷”
ফারিহা দুধ আর ফল দেখে নাক সিটকে ফারহার দিকে তাকাতে ফারহা চোখ পাকিয়ে তাকায় ফারিহার দিকে; ফারিহা ফারহার চাহনি দেখে বলার কিছু সাহস পেল না৷ নাক সিটকে দুধটুকু খেয়ে নিলো৷
” এবার ফলটা খেয়ে নে ততোক্ষণে তোর জিজুকে ফোন করি দেখি কি করছে সে৷ না জানি ঘুম থেকে উঠে আমাকে না দেখতে পেয়ে কতোটা রেগে গেছে৷”
ফারিহা একটা আপেলের টুকরো মুখে দিতে দিতে আটকে গেল ফারহার কথা শুনে৷
” জি,, জিজু মানে! ”
“হ্যাঁ, আমার বর তোর তো জিজু হয় নাকি?”
” তুই বিয়ে করেছিস?”
” হ্যাঁ কিন্তু করতাম না কিন্তু মেঘের রাগ দেখে আমি আর না করতে পারেনি৷ গতকাল রাতে আমাদের বিয়েটা হয়ে গেছে৷”
মেঘের সাথে ফারহার বিয়ে হয়েছে কথাটা শুনে কিছু মুহূর্তের জন্য ফারিহা স্তব্ধ হয়ে গেল৷ পরক্ষণে ফারিহার মনে পরে গেল যে মেঘ তাকে নয় তার বোন ফারহাকে ভালোবাসে৷ ফারিহা চোখ জোড়া বন্ধ করে গোপনে দীর্ঘশ্বাস ফেলে ঠোঁটের কোনে হাসি ফুটিয়ে বলল,” কংগ্রাচুলেশন আপু৷ ”
” থ্যাঙ্ক ইউ৷ ফল গুলো ঝটপট খেয়ে মেডেসিন গুলো খেতে হবে তোকে৷ ”
ফারিহা মাথা নেরে সম্মতি জানিয়ে ফলের টুকরো গুলো মুখে দিতে লাগলো৷
(৪০)
” হ্যালো অর্নিল স্যার ফারিহা ম্যাম বিদেশে যায়নি৷ তিনি এই দেশে আছে৷ ”
” ওয়াট! খবর পাক্কা তো? ”
” ইয়েস স্যার৷ ফারিহা ম্যাম খান মন্জিলের আর এক অংশ যেটা খান মন্জিল থেকে কিছুটা দুরে অবস্থিত সেখানে আছে৷ ”
ফারিহা দেশে আছে জানতে পেরে অর্নিলের ঠোঁটের কোনে রহস্যময় হাসি ফুটে উঠলো৷ অর্নিল কল ডিসকানেক্ট করে বলতে লাগলো,
-” অনেক উড়েছো সুইটহার্ট৷ এবার তোমার ডানা ছাঁটার সময় হয়ে গেছে৷ আমি খুব তাড়াতাড়ি আসছি সুইটহার্ট ৷ আজ থেকে তুমি এক অন্য অর্নিলকে দেখবে৷ যাকে তুমি তোমার ভালোবাসার দহনে পুড়িয়েছো৷ ঠিক তেমনি এবার আমার ভালোবাসার দহনে তোমাকে পুড়িয়ে শুদ্ধ করে নিবো৷”
অর্নিল তার সাদা শার্টের উপর ডিপ ব্লু কালার ব্লেজারটা পড়ে নিয়ে হাত দিয়ে চুলে ব্রাস করে৷ চোখে সানগ্লাস পড়ে বেড়িয়ে পড়ে৷
এদিকে ফারহা মেঘকে কলের পর কল করে যাচ্ছে কিন্তু মেঘ কল রিসিভ করছে না৷ ফারহা বাধ্য হয়ে আদিলকে কল করে জানতে পারে মেঘ নাকি সকাল থেকে না খেয়ে রুমে বসে আছে৷ কারো সাথে কোন কথা বলছে না৷ প্রচন্ড রেগে আছে মেঘ৷
কথা গুলো শুনে ফারহা শুকনো ঢোক গিলে বলে,” আমি আসছি পিচ্চি৷ তার মধ্যে কোন এক সারভেন্টকে বল যেন খাবার গুলো গরম করে রাখে৷”
আদিল বারতি কথা না বাড়িয়ে ওকে বলে কল ডিসকানেক্ট করে দেয়৷
ফারহা ফারিহার দিকে অসহায় দৃষ্টিতে তাকিয়ে থেকে কিছু বলার আগে ফারিহা বলে,” তুই বাড়িতে চলে যা আপু৷ জিজু রেগে আছে এখন তোর প্রধান কর্তব্য হলো জিজুর রাগ ভাঙানো৷”
” কিন্তু তোকে আমি একা রেখে যেতে পারবো না ফারিহা৷ তোর লাইফ রিক্স আছে৷ ”
” আপু কিং ফায়ারের ডেরায় আমার ফোন ফেলে এসেছি ৷ আর আমার মনে হয় না কিং ফায়ার এতো দ্রুত আমার খবর পাবে৷ এই বাড়িটার খবর আমাদের খান মন্জিলের সদস্যরা ছাড়া আর কেউ জানে না৷ সেহেতু ওদের জানার চান্স তেমন নেই বললে চলে৷”
” কিন্তু তোকে একা রেখে যাওয়ার মতো রিক্স আমি নিবো না ফারিহা৷”
” আমি এখন সুস্থ আছি আপু৷ আমি নিজের খেয়াল নিজে রাখতে পারবো৷ তুই এখন বাড়িতে চলে যা আপু নয়তো মেঘ মানে জিজু তোর উপর আরো রেগে যাবে৷”
ফারহা কিছু একটা ভেবে বলে,” ওকে আমি যাচ্ছি তবে বাড়ির বাইরে থেকে তালা মেরে দিয়ে যাবো৷ আর এই নে আমার ফোন কোন কিছুর প্রয়োজন হলে সঙ্গে সঙ্গে আদিলের নম্বরে ফোন করবি না হলে রাফির ফোনে৷ আমি জেনে যাবো তাহলে৷”
” ওকে ওকে আমাকে নিয়ে এতো না ভেবে নিজের বরের কথা ভাব কি করে রাগ ভাঙাবি৷”
ফারহা ঠোঁট জোড়া উল্টে কাঁদো কাঁদো মুখ করে বলে,” সেটাই তো আমার মাথায় আসছে না ফারিহা৷”
ফারহাকে বাচ্চাদের মতো ঠোঁট উল্টে কাঁদো কাঁদো ফেস টা দেখে ফিক করে হেসে দিলো৷ ফারিহার হাসি দেখে ফারহা কপোট রাগ দেখিয়ে বললো,” আমি মরছি আমার জ্বালায় আর তুই হাসছিস মীরজাফর বউ৷”
” স্যরিরে আপু ৷ আসলে তোর এই অবস্থা দেখে ভিষণ হাসি পাচ্ছে৷ আজ পর্যন্ত কোন ডেন্জারাস অপারেশনেও তোকে এতোটা অসহায় দেখে নি৷ সব সময় তুই গ্যাং লিড করতি আর আজ ভালোবাসা বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে তোর পুরো ভোল পাল্টে গেল হি হি হি৷”
ফারহা ফারিহার মাথায় চাটি মেরে বলে,” নিজের খেয়াল রাখবি৷ আমি যাচ্ছি ৷ আসার সময় তোর জন্য দুপুরের লাঞ্চ নিয়ে আসবো৷”
” ওকে বাই৷”
” বাই”
ফারহা দরজা বাইরে থেকে তালা মেরে চাবি নিয়ে বেড়িয়ে যাওয়ার দুমিনিট পর অর্নিলের গাড়ি এসে থামে৷
অর্নিল গাড়ি থেকে নেমে বাড়িতে ঢুকতে নিলে দেখে দরজা বাইরে থেকে তালা দেওয়া৷ অর্নিল কিছু একটা ভেবে পাশ থেকে একটা ইটের বড় টুকরো নিয়ে তালার উপর কয়েকটা আঘাত দিতে তালা খুলে যায়৷ ফারিহা দরজা খোলার আওয়াজ শুনতে পেয়ে ভাবে ফারহা হয়তো আবার ফিরে এসেছে৷ ফারিহা মেডেসিন গুলো খেয়ে নিয়ে পানির গ্লাসটা রেখে না দেখে বলতে লাগলো,” কি হলো আপু আবার ফিরে আসলে কেন? ”
ফারিহা তার কথার কোন উওর না পেয়ে ঘাড় ঘুড়িয়ে তাকিয়ে অর্নিলকে দেখে ফারিহা হতবাক হতবিহ্বল হয়ে তাকিয়ে রইল অর্নিলের দিকে, অর্নিল ফারিহার দিকে তাকিয়ে ঠোঁটের কোনে বাঁকা হাসি নিয়ে বলল,” কেমন আছো ফারিহা?”
” অ,,অর্নিল তুমি এখানে?”
” কেন আমাকে বুঝি আশা করোনি? যাই হোক সুইটহার্ট তোমার একি হাল হয়েছে? কি হয়েছে তোমার?”
ফারিহা এবার রেগে বলল,” আমার যা খুশি হোক তোমার কি? তুমি এখানে কেন এসেছো?”
” তোমাকে নিতে৷ ” সংক্ষিপ্ত উওর দিলো অর্নিল৷ অর্নিলের কথা শুনে ফারিহা তার রাগটা আর কন্ট্রোল করতে না পেরে পাশে থাকা কাঁচের গ্লাস টা অর্নিলের দিকে ছুড়ে মারে সাথে সাথে অর্নিল সরে যায়৷ কাঁচের গ্লাসটা ফ্লোরে পড়ে টুকরো টুকরো হয়ে ছড়িয়ে পড়ে৷ ফারহা অর্নিলকে আঘাত করতে না পেরে রাগে হিস হিস করতে বলে,” গো টু হেল ইউ অর্নিল ৷ আর এক মুহূর্ত এখানে দাড়ালে তোমাকে আমি খুন করবো৷”
অর্নিল ফারিহার রাগ আর তার কথা গুলো শুনে মনে হলো কোন জোকস শুনলো সেভাবে হাসতে লাগলো৷ অর্নিল হাসতে হাসতে বলল,” লাইক সিরিয়াসলি ফারিহা! তুমি এই ক্ষত বিক্ষত শরীর নিয়ে আমাকে খুন করবে? যেখানে তুমি ঠিক ভাবে দাড়াতে পারছো না?”
অর্নিলের কথা শুনে ফারিহা রাগে বেড থেকে নামতে গেলে পায়ের ব্যাথায় কুকড়ে ওঠে পড়ে যেতে নিলে অর্নিল ফারিহাকে ধরে ফেলে৷
” দেখলে সুইটহার্ট এখুনি তুমি পরে যেতে যদি না আমি তোমাকে না ধরতাম৷”
ফারিহা রাগে দাঁতে দাঁত চেপে কটমট করে অর্নিলের দিকে তাকিয়ে বলে,” কি চাই তোমার? আর এখানে কেন এসেছো তুমি? ”
অর্নিল হুট করে ফারিহার ঠোঁটে চুমু দিয়ে বলে, ” প্রথমে তো বললাম সুইটহার্ট আমি তোমাকে নিতে এসেছি৷ আমার ভালোবাসার দহনে তোমাকে পুড়াতে তোমাকে নিতে এসেছি৷ ”
অর্নিলের এমন রুপ দেখে ফারিহা অবাকে কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে গেল৷ অর্নিলের এমন রুপ ফারিহার কাছে অপরিচিত৷ আর তার উপর অর্নিলের কথা গুলো সব মাথার উপর দিয়ে চলে গেছে ফারিহার৷
অর্নিল ফারিহার অবস্থা দেখে বাঁকা হেসে বলে, ” এই টুকু পরিবর্তণ দেখে তোমার এই অবস্থা তাহলে এর পর যা যা দেখবে তা দেখলে তো এভাবে বাড়ে বাড়ে হুশ উড়ে যাবে তোমার! উমম বাকি হুশ না হয় তোমার শশুড় বাড়িতে উড়িয়ে দিবো৷ কি বলো সুইটহার্ট?”
ফারিহার সব মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে৷ অর্নিল কি বলছে আর কি করতে চাইছে সব কিছুই এলোমেলো লাগছে৷ ফারিহা অর্নিলকে রেগে কিছু বলতে যাবে তখনি অর্নিল আবারও ফারিহার ঠোঁটে চুমু দিয়ে বলে ওঠে ,” এখন যদি তুমি কিছু বলতে যাও তাহলে প্রত্যেকটা কথার জন্য এভাবে চুমু দিয়ে যাবো ৷ তুমি কথা বলতেই পারো তবে আমার কোন অসুবিধা নেই এভাবে চুমু দেওয়ায়৷ ” বলে ফারিহাকে কোলে তুলে নিলো অর্নিল৷
ফারিহা এক হাত দিয়ে অর্নিলের ব্লেজার খামচে ধরে অন্য হাত দিয়ে ঠোঁট ঢেকে ফেলে৷ ফারিহাকে এভাবে জব্দ করতে পেরে অর্নিল ঠোঁট কামড়ে হেসে দিয়ে অর্নিল টেবিলে রাখা প্রেসক্রিপ্শন টা হাতে তুলে নিয়ে ফারিহাকে নিয়ে বেড়িয়ে যায় অর্নিল৷
(৪১)
ব্যালকনিতে দাড়িয়ে মেঘ ফোনে কথা বলছে সে সময় ফারহা রুমে এসে পা টিপে টিপে মেঘের পেছনে গিয়ে দাড়িয়ে পেছন থেকে মেঘকে জড়িয়ে ধরে তখনি মেঘ…
.
.
.
#চলবে………