তুমি হাতটা শুধু ধরো – পর্ব ১৯

0
740

#তুমি_হাতটা_শুধু_ধরো
#পর্বঃ১৯
#Jhorna_Islam

সোহার কথাগুলো দায়ানের শান্ত মন অশান্ত করার জন্য যথেষ্ট ছিলো।দায়ান সোহার কথা গুলো শুনে একমনে সোহার দিকে তাকিয়ে ছিলো কতোক্ষন।

সব সময় একরূপে দেখে, হঠাৎ করে যদি তাকে অন্যরূপে দেখা হয়।তাহলে সত্যি অবাক লাগে।সোহা সব সময় দুষ্টুুমি করে।তাই দায়ান ভেবেছিলো সোহা তেমনই।কিন্তু এই মেয়ে যে এতো কঠিন কঠিন ইমোশনাল কথা বলতে পারে,দায়ানের ভাবনাতেও আসেনি।

দায়ান গাড়ি থামিয়ে একমনে সোহার৷ দিকে তাকিয়ে থাকতে দেখে সোহার একটু অস্বস্থি হতে লাগলো।তাই প্রসঙ্গ বদলানোর জন্য বলল,,,

গাড়ি চালাতে কি আপনার খুব কষ্ট হচ্ছে? আস্তে আস্তে করে একটু গাড়িটা চালাতে চেষ্টা করুন না।এখানে আর ভালো লাগতেছেনা।

সোহার কথায় দায়ান নিজেকে স্বাভাবিক করার জন্য গাড়ির কাচ নামিয়ে বাইরের দিকে তাকায়। দিন বাড়ার সাথে সাথে বাইরে লোকসমাগম এর ভী’ড় ও বেড়ে চলছে। ব্যস্ত নগরীতে শত শত গাড়ি তাদের নির্ধারিত গন্তব্যের উদ্দেশ্য ছুটে চলেছে।

দায়ান আস্তে করে গাড়ি চালাতে শুরু করে। গাড়িতে পুরাই নীরবতা ছেয়ে আছে।কেউ কারো সাথে কথা বলছেনা।

দায়ানের পাশের গাড়ির কাচটা নামানো ছিলো।যার দরুন গাড়ির ভিতর বাতাস ঢুকতেছে শো শো করে।দায়ানের মাথার চুল গুলো বাতাসের তালে তালে উড়ছে।পার্ফিউমের মিষ্টি ঘ্রাণ এসে সোহার নাকে এসে বারি খাচ্ছে। দায়ানের দিকে একবার তাকায় সোহা। দায়ান আপন মনে গাড়ি চালাতে ব্যস্ত।তার যেনো আর কিছু কাজ নেই।গাড়ি চালাতে চালাতে মাঝে মাঝে বিরক্ত হয়ে কপাল কুঁচকে ফেলছেে।

সোহা ঠিক হয়ে সোজা হয়ে বসে নিজের সিটে।আস্তে করে চোখ বন্ধ করে পিছনে মাথা হেলিয়ে রাখে।আর নাক দিয়ে টেনে নেয় দায়ানের গরীর থেকে আসা পার্ফিউমের সেই মিষ্টি ঘ্রাণ।

————————————–

নোহা ঘর ঝা’ড়ু দিতেছিলো,,,এমন সময় কলিং বেল বেজে উঠে।

এই সময় আবার কে আসলো? ভাবতে ভাবতেই দরজার কাছে এগিয়ে এসে দরজা খুলে দেয়।সামনে পাশের বাসার এক কুচুটে বুড়ি দাঁড়িয়ে আছে।

নোহা যদি পারতো তাহলে এই মহিলার মুখের উপর দরজাটা ঠাস করে লাগিয়ে দিতো।

এক নাম্বারের ব/দ এই রিফাতের মা।নোহার শাশুড়ীর ফটোকপি। শয়/তান মহিলা গুলো নিজেরা পায়ের উপর পা তুলে বসে থাকে।আর ছেলের বউ গুলোকে দা/সীদের মতো খাটায়। এদের আর কোনো কাজ নেই খেয়ে দেয়ে।

নিশ্চই চো/গল খুরি করতে আসছে।

বিরবিরিয়ে নোহা বলল,,” পুরান পা/গলের ভাত নাই। নতুন পাগলের আমদানী। ”

কি হলো ওমির বউ দরজায় দাঁড়ায় রইছো কেন? সরো দেখি সামনে থেকে ভিতরে ঢুকতে দেও।এটাও শিখো নাই বাড়িতে কেউ আসলে যে দরজা খুলে ভিতরে আসতে বলতে হয়।বিয়ারতো কতো বছর হয়ে গেলো।এখনও এসব শিখলানা দেখছি।

না মানে কাকি ভুল হয়ে গেছে। আসুন না ভিতরে আসুন।এসে বসেন। বলেই দরজার সামনে থেকে সরে দাঁড়ায়।

রিফাতের মা মুখ ভেংচি দিয়ে ভিতরে ঢুকে।আশে পাশে না তাকিয়ে সোফায় গিয়ে বসে জোরে চিৎকার করে ওমির মাকে ডাকতে থাকে।ওমির মা ডাক শুনে দৌড়ে আসে।

এসেই শুুরু করে দিয়েছে কথার হাঁড়ি। কোন কথা থেকে যে কোন কথায় যাবে এরা নিজেও বুঝতে পারবেনা।

অবশ্য এদের কথা বলার মূল বিষয়বস্তু হচ্ছে,, কার ছেলের বউ কি করলো।কিভাবে এদের হাতের মুঠোয় রাখতে হয়।

কথা বলতে বলতে নোহার শাশুড়ীর নোহার দিকে চোখ যায়। নোহাকে এভাবে দাড়িয়ে থাকতে দেখে খুবই বিরক্ত হন উনি।কিছুটা চিল্লিয়েই বলে,,,, কি ব্যাপার এমন খাম্বার মতো এখানে দাঁড়িয়ে আছো কেনো? আমাদের কথা গিলছো নাকি? বাড়িতে কেউ আসলে যে চা নাস্তা দিতে হয় জানোনা।দিনে দিনে কি অবুঝ হয়ে যাচ্ছো? যাও এখান থেকে গিয়ে চা মিষ্টি নিয়ে এসো।

কি আর বলবো ভাবি।আজকাল কার মেয়ে গুলো ও না হয়েছে।একটা কাজ ও নিজ থেকে করবে না। সব বলে বলে করাতে হয়।
আরো কি কি যেনো বলতেছে নোহা শুনেনি চুপচাপ রান্না ঘরের দিকে চলেগেছে চা নাস্তা বানানোর জন্য।

এই রিফাতের মা নোহার শাশুড়ীর মতোই মহিলা।দুই ছেলের মা। বড় ছেলের নাম রিফাত। ছোটো ছেলেকে এখনো বিয়ে করায় নি।রিফাতের বউ কে এই মহিলা নোহার মতো একদিন ও শান্তি দেয়নি।এদের প্রধান কাজই হচ্ছে ছেলেকে আঁচলের নিচে রেখে ছেলের বউদের উপর নিজেদের হুকুম জারি করা।আর অত্যাচার করা।

এই রিফাতের মা রিফাতের বউকে নোহার মতো শান্তিতে সংসার করতে দেয়নি।সারাদিন ই বেচারি কে অত্যা’চার করতো।কথা শুনাতো।প্রথম প্রথম রিফাতের বউ সব সহ্য করলেও পরে সহ্য করে নি।প্রতিবাদ করেছে।রিফাত ওমির মতো কা/পুরুষ ছিলো না।রিফাত তার বউকে সাপোর্ট করছে।কারণ তার মায়ের করা অন্যায় গুলো তার চোখেও পরেছে।মাকে অনেকবার বলেছে নিজেকে ব’দলে নিতে।কিন্তু কিছু মানুষ চাইলেও অভ্যাস বদলাতে পারে না।রিফাতের মা ও পারেনি।ওনি ওনার কাজ করেই যেতেন।এক সময় রিফাত তার মায়ের এসব অন্যায় গুলো সহ্য করতে পারেনি।বুঝে গিয়েছিলো তার মা বদলাতে পারবে না।তাই তার বউকে নিয়ে আলাদা হয়ে যায়।।

ইসসস ওমিটাও যদি রিফাতের মতো একটু হতো।কতোই না ভালো হতো।বাড়ি ছেড়ে যাওয়া লাগতো না।দিন শেষে ভালোবেসে একটু কাছে টেনে নিলেই হতো।তাহলে নোহা এসব সহ্য করে নিতো।কোনো কষ্ট থাকতো না।একটাতো শান্তনা থাকতো যে নিজের আসল মানুষ টা তার পাশে আছে।কিন্তু সবার ভাগ্য তো আর এক থাকেনা।নোহার ও নেই।স্বামী শশুড় বাড়ির আদর ভালোবাসা মনে হয় নোহার কপালে নেই।চা বানাতে বানাতে এসব ভেবেই একটা দীর্ঘ’শ্বা’স ছাড়ে নোহা।কাপে চা ঢেলে রান্না ঘর থেকে বেড়িয়ে আসে।

চা নিয়ে দিতে গেলে নোহার শাশুড়ী ও রিফাতের মায়ের কথা শুনে পা থেমে যায়।

— বুঝলেন ভাবি।ছেলের বউদের এতো উড়তে দিতে নেই।ডানা কেটে রেখে দিতে হয় এদের।

— হুম।অতি আদর দিলে এরা মাথায় উঠে যায়।

— এরা কিভাবে সংসার আলাদা করবে সেই ভাবনায় থাকে।

— এজন্যই শক্ত হাতে লাগাম ধরতে হয় ভাবি।আপনার ছেলেকে আরো আগে নিজের ছেলেকে নিজের হাতের মুঠোয় রাখা উচিৎ ছিলো। তাহলে এই দিন দেখতে হতো না ভাবি।
— হ্যা ভাবি কি করবো বলেন।কে জানতো নিজের পেটের ছেলে এমন করবে।

— আমার ওমি কে দেখেন।আমার হাতের মুঠোয়। আমি যা বলবো তাই।সোনার টুকরো ছেলে আমার।

— তাও ভাবি আপনার ছেলের বউকেও চোখে চোখে রাইখেন।বেশি উড়তে দিয়েন না।নয়তো ছেলে হাত ছাড়া হয়ে যাবে।মেয়ে মানুষের বিশ্বাস নাই।এরা ছেলেদের ব/শ করতে ওস্তাদ।

নোহা এদের কথোপকথন শুনে আর চুপ করে থাকতে পারলো না।এগিয়ে আসতে আসতে বলল,,,,তাই নাকি কাকি? তার মানে তুমিও কাকাকে ব/শ করেছো। তোমাদের মতো কিছু নোংরা মানসিকতার মানুষগুলো আর কিইবা পারে বলতো কাকি?
নিজের ছেলের বউ গুলোকে যদি মেয়ের মতো দেখতে তাহলে,,এসব নোংরা চিন্তা ভাবনা মাথায়ই আসতো না তোমাদের।

তোমাদের মেয়েদের সাথে যদি তাদের শাশুড়ীরা এমন করতো।তাহলে কেমন লাগতো কাকি?

অবশ্য আমি কাদের বোঝাতে আসছি।তোমরা বোঝবানা। যদি মেয়ে থাকতো দুই জনের তাহলে বুঝতা।একটা মেয়ে কতোটা আশা নিয়ে নিজের শশুর বাড়িতে পা রাখে।নিজের আপনজনদের ছেড়ে পর মানুষদের আপন করে নেয়।আর তোমরা কি করো? সেই তাদের উপরই অ’ত্যা’চার করো।

তোমরা এটা কেনো ভুলে যাও কাকি? যে তোমরাও এক সময় বাড়ির বউ হিসাবেই এসেছো।তোমাদের তো বোঝার কথা।একটা মেয়ের মন মানসিকতা। কেমন লাগে যেই বাড়িটা কে তারা আপন করতে চায়।তাদের বার বার তোমরা মনে করিয়ে দেও,,তারা বাড়ির কেউ না।

–চুপ করো মেয়ে।তোমার লেকচার শুনতে চাইনা।(রিফাতের মা)

নোহা মুচকি হাসে।চায়ের কাপটা বারিয়ে দিতে দিতে বলে,,শুনলে আপনার ই উপকার হতো কাকি।এসব কুটিল বুদ্ধির জন্য তো এক ছেলে বাড়ি ছারা হলো। শুনেছি আরেক ছেলেকেও বিয়ে করাবেন।মেয়ে দেখতেছেন।এবার নিজের স্বভাব টা একটু বদলান।নয়তো পরেতো এই ছেলেও যদি আলাদা হয়ে যায়।পরেতো আফসোস আর কান্না ছাড়া কিছুই করার থাকবে না।সো সাবধান।বলেই নোহা রুমের দিকে হাটা দেয়।

— ওমির মা এই মেয়ে কি বলে গেলো এসব? দেখলেন কতো গুলো কথা শুনালো আমায়?

— চিন্তা করবেন না ভাবি।এই মেয়ের সাহ’স আজকাল দেখছি বড্ড বেড়েছে। ওমিরে দিয়ে দু-চার ঘা দেওয়াতে হবে।

আচ্ছা ভাবি আমি এখন উঠি কাজ আছে।

আচ্ছা ঠিক আছে।

————————————————

হাসপাতাল থেকে এসে দায়ান ও সোহা যে যার রুমে চলে গেছে।

সোহা ফ্রেশ হয়ে বেরিয়ে এসেছে। রান্না ঘরের দিকে এগিয়ে যায় কফি বানানোর উদ্দেশ্যে।

দায়ান রুমে এসে বেডে এখনো চুপচাপ বসে আছে। এই হাত নিয়ে অফিসে যাবেনা বলে ঠিক করছে কয়দিন।রুশকে ফোন করে বলে দিয়েছে সবটা সামলে নেওয়ার জন্য। দায়ান এখনো পর্যন্ত কাপড় ও বদলায়নি ফ্রেশ ও হয়নি।অনেক চেষ্টা করেছিলো বাম হাত দিয়ে শার্টের বোতাম খুলার পারেনি।

এখন নিজের উপর নিজের আরো রা’গ হচ্ছে দায়ানের।তখন রা’গের মাথায় এমনটা করা একদম উচিৎ হয়নি।এখন নিজের কাজ নিজেই করতে পারতেছেনা।

সোহা কফি বানিয়ে দায়ানের জন্য নিয়ে আসে।দরজার পাশে এসেই দরজায় নক করে।

দায়ান গম্ভীর কণ্ঠে আসতে বলে।

সোহা কফির মগটা হাত থেকে টেবিলে রেখে দায়ানের দিকে তাকায়। দায়ান চুপচাপ বসে আছে। ফ্রেশ ও হয়নি কাপড় ও বদলায়নি।

— একি আপনি এখনো এখানে বসে আছেন কেন? ফ্রেশ হবেন না? যান গিয়ে ফ্রেশ হয়ে আসেন।

— দায়ান চুপচাপ বসে থাকে।কোনো কথা বলে না।

সোহার এবার কপাল কোচকে ভালো করে দায়ানের দিকে তাকায়। শার্টের বোতাম নিচের একটা জাস্ট খোলা।পর মুহূর্তে মনে পরে দায়ানের হাত কেটে গেছে।সে কিভাবে বোতাম খুলবে একহাতে? অনেক কষ্টে মনে হয় একটা খুলতে পেরেছে।

সোহা দায়ানের দিকে এগিয়ে গিয়ে শার্টের বোতামে হাত দেয় খোলে দেওয়ার জন্য।

দায়ান এতে কিছুটা ইতোস্ততো বোধ করে। সোহা এতো কাছে এসে শার্টের বোতাম খুলে দেবে ভেবে।
দায়ান কিছু বলবে,,তার আগেই,,,,

সোহা দায়ানের দিকে তাকিয়ে দায়ানের ঠোঁটে নিজের আঙুল রেখে বলে উঠে,,,, হুসসস একদম একটা কথাও না।চুপ থাকেন।

দায়ান নিজের ঠোঁটে সোহার আঙুলের স্পর্শ পেয়ে কিছুটা কেঁপে ওঠে। নিজের জ’বা’ন যেমন বন্ধ হয়ে গেছে।

দায়ান বেডে বসায় সোহা দায়ানের পাশে এসে দাঁড়িয়ে ঝুকে শার্টের বোতাম খুলতে থাকে খুব মনোযোগ দিয়ে। অন্যদিকে তার কোনো খেয়াল নেই।

দায়ান এক মনে সোহার পানে তাকিয়ে আছে।ফ্রেশ হয়ে আসায় চোখের পাপড়ি গুলো কিছুটা এখনো ভিজা।সামনে ছোটো ছোটো চুল গুলো কপালে এসে উড়ছে।দায়ানের ইচ্ছে করতেছে কপালের এই অবাধ্য চুল গুলো সরিয়ে দিতে।

সোহা দায়ানের দিকে ঝুঁকে থাকায়,,গলা থেকে ওড়না টা সরে গিয়ে উন্মুক্ত হয়ে গেছে। এই জামার গলাটা বোধ হয় এমনিতেই একটু বড়। ফর্সা গলার নিচের কালো তিলটার দিকে দায়ানের চোখ যায়। তিলটা যেনো দায়ানকে কাছে ডাকছে।একটু দায়ানের ছোয়া পাওয়ার জন্য।

দায়ানের নিজেকে স্বাভাবিক রাখতে পারছেনা।হাত দিয়ে বিছানার চাদর খামচে ধরে।গলা শুকিয়ে গেছে। নিজেকে স্বাভাবিক করার জন্য চোখ বন্ধ করে নেয়।

অথচ সোহার কোনো হুশ নেই। সোহা এক মনে নিজের কাজে ব্যস্ত।অন্য দিকে তার খেয়াল কই? সে যদি বুঝতো তার এই বেখেয়ালির জন্য আরেকজনের মনে যে কালবৈশাখীর তা’ন্ড’ব চলছে।

সোহা বোতাম খুলে উঠে দাড়িয়ে বলে,,,নিন হয়ে গেছে এবার ফ্রেশ হয়ে আসুন।আমি দুপুরের খাবারের ব্যবস্থা করছি।

সোহা বলতে দেড়ি দায়ান এক ঝটকায় উঠে ওয়াসরুমে যেতে দেরি না।ওয়াসরুমে ঢুকে ঠাস করে দরজাটা লাগিয়ে দেয় দায়ান।দেয়ালে হাত ঠেকিয়ে জোরে জোরে শ্বাস নিয়ে নিজের চুল খামচে ধরে। মেয়েটা দায়ানকে চুম্বকের মতো কাছে টানছে।

————————————————

দুপুরের অনেক সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরও যখন দায়ান খেতে এলোনা।তখন সোহা বুঝে গেলো এই লোক না খাওয়ার ধান্ধা করছে।কিন্তু সোহাতো এতো সহজে এটা হতে দিবে না।এমনিতেই হাত কেটে বসে আছে।আবার যদি না খায় তাহলে গ্যাসটিকের সমস্যা দেখা দিবে।ঔষধ ও তো খেতে হবে নাকি।তাই কিছু না ভেবে প্লেটে খাবার বেড়ে নিয়ে দায়ানের রুমে যায়।

এবার পার্মিশন ছাড়াই ঢুকে পরে।দায়ান কপালে হাত দিয়ে আধো শুয়া হয়ে বসে আছে।

সোহা দায়ানের পাশে গিয়ে বসে পরে। হাত দিয়ে ভাত মাখতে মাখতে বলে,,,শুনছেন খেয়ে নিন।

দায়ান চোখ মেলে সোহাকে এতো কাছে দেখে ভড়কে যায়। নিজেকে স্বাভাবিক করে বলে উঠে,,, আমি খাবো না।যাও এখান থেকে।

আর কিছু বলার জন্য মুখটা খুলতেই সোহা তড়িঘড়ি করে দায়ানের মুখে ভাতের লোকমা ঢুকিয়ে দেয়।

দায়ান মুখের ভিতর ভাত থাকায় কিছু বলতে পারে না।
রাগী লুক নিয়ে সোহার দিকে তাকিয়ে আছে। যার অর্থ,,,”তোমার খবর আছে মেয়ে।দিনদিন তোমার সাহস বেড়ে চলেছে। ”

#চলবে,,,,

বিঃদ্রঃ সবাই খালি বলে দায়ানরে রো’মান্টিক বানিয়ে দিতে। এই লও বানায় দিলাম। বেড়াতে আসছি,, বাড়িতে গিয়ে বোনাস পার্ট দিয়ে আপনাদের মন ভালো করে দিবো।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here