বিষাক্তময় আসক্তি (The Villain😈)
Sumaiya Akter Mim
পর্ব ৬…………🌼
অন্ধকার রুমে শুধু হালকা আলোর একটি লাইট জ্বালানো আছে সরারুম জুরে শুধু হালকা খজখজ আওয়াজ হচ্ছে সারা রুম জুড়ে ছড়িয়ে আছে অসংখ্য পেন্টিং একজনের ভিন্ন ভিন্ন আকৃতির ছবি আটিশ করছে , ব্যাক্তিটি নিজের মনের মাধুরী মিশিয়ে মন দিয়ে আর্ট করছে যাতে করে ছবির ব্যাক্তির কোনো অংশ যেনো অন্যরকম না হয়ে যায় এক কথায় ছবির ব্যাক্তিটির প্রানবন্তর করতে চাইছে যতে করে ছুঁয়ে দিলে গভীর থেকে গভীর ভাবে অনুভব করা যাবে যাকে দেখলে দু চোখের নেশা না কাটলেও মনের তৃপ্তি পাবে এক কথায় ক্ষনিকের চোখের নেশা মেটানো বৃথা চেষ্টা করছে।। তারপর লোকটি বলে উঠে
তুমি শুধু আমার আয়ু জান শুধুমাত্র আমার তোমাকে আমার কাছ থেকে কেউ কেড়ে নিতে পারবে না তোমার এই হাসিটার কারণ ও আমি হতে চাই শুধু আমি আমার এই অন্ধকার শহরের এক ফুলকি আলো তুমি তোমাকে আমি সমর্পণ রুপে আমার করে নিব আয়ানা শুধু ইরফানের শুধু মাত্র ইরফানের বলে ছবিটির ঠোঁট দুটো বৃদ্ধা আঙ্গুল দিয়ে স্লাইট করে।। তারপর আরো একটি স্কেচ বানাতে থাকে এবার আরেকটা ভঙ্গিমায় আঁকছে। ইরফানের চোখে আয়ানা কে পাওয়ার কাতরতা একদম সমর্পণ ভাবে চায় আয়ানকে এবং তা খুব শীঘ্রই।।একটার পর একটা সিগারেটে ফু দিচ্ছে আর পেন্টিং করছে কিছুক্ষণ পর রাতের আধার কেটে গিয়ে দিনের আলো ফুটবে ইরফান এখনো আয়ানার ছবি বানাচ্ছে এই নিয়ে দশটা আয়ানার ছবি আঁকে ।অনুষ্ঠানের পোষাক চেন্জ করে আঁকতে বসেছে আর সারা রাত ধরে এঁকে গেছে সিগারেটের শেষ ফু টা দিয়ে আয়ানার ছবিটা নিয়ে বারান্দায় চলে যায় ।। ছবিটার দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে বলে আমার পরি তোমাকে আমার করতে আসছি আমাকে পাগল বানিয়েছো এই পাগলের মতলামো তোমার জন্য খুব ভারি হয়ে উঠবে আর তাকে তোমাকে সামলাতে হবে আজকের সারপ্রাইজের জন্য তৈরি হও তোমার জন্য আজকে অনেক বড় সারপ্রাইজ আছে আয়ু জান আজকের পর থেকে তুমি শুধু সারপ্রাইজ হবে তোমার জিবনের সুন্দর উরন্ত অধ্যায় শেষ এখন থেকে ইরফান খানের বিষাক্ত বন্ধি অধ্যায় শুরু ।। সুন্দর জিনিস যত্ন করে রাখতে হয় যাতে নষ্ট না হয় আর ভালোবাসার জিনিস গুলো বরাবরই উরন্ত পাখি হয় আর তা উরে যাওয়ার ভয় থাকে তাই পাখি যেন না পালাতে পারে তার একমাত্র উপায় হলো বন্ধি খাঁচা, পাখিকে খাঁচায় বন্দী করার সময় এসে গেছে বলে ছবিটির দিকে তাকিয়ে বাঁকা হাসলো।। তুমি নিজে থেকে এই বিষাক্ত জীবনে পা রেখেছো এর থেকে মুক্তি নেই তোমার আয়ু জান ।।।
🎶🎶🎶Tumhe apna banane Ka junnon
Sar pe hai , kab se hai
Mujhe aadat bana lo ik buri
Kehna ye tumse hai
Tumhe apna banane Ka junnon
Sar pe hai , kab se hai
Sar pe hai , kab se hai🎶🎶🎶
হাতের ছবিটির দিকে তাকিয়ে রুমে চলে গেল।।।তারপর সব গুলো ছবি দেয়ালে টাঙ্গিয়ে দিল তারপর মুচকি হেসে নিজের কাজে চলে গেল।
সারা বাগান জুরে সাদা গোলাপ আর কাঠ গোলাপের ছরাছরি এই সাদা গোলাপ আর কাঠ গোলাপ আয়ানার খুব প্রিয় সারা বাগান জুরে মৌ মৌ করছে গোলাপের গন্ধ হাতের আলতো স্পর্শে ছুঁয়ে দিচ্ছে সব গুলো ফুলে এই যেন এক রূপকথার রাজ্যে আর সে এই রূপকথা রাজ্যের রাজকন্যা হঠাৎ একটা সাদা ধবধবে ফর্সা খরগোশ দৌড়ে আয়ানার কাছে এলো তা দেখে খুশি মনে আলতো হাতে খরগোশ টিকে কুলে নিয়ে খেলতে লাগল হঠাৎ করে খেয়াল করলো খরগোশের গায়ে ছিটা ছিটা রক্ত কোথায় থেকে আসছে দেখার জন্য উল্টাতে দেখলো কোনো ক্ষত নেই কিন্তু রক্তের পরিমাণ আস্তে আস্তে বারছে তা দেখে আয়ানা ভয় পেয়ে যায় আস্তে আস্তে খরগোশ টার সাদা শরীরটা মিনিটে লাল হয়ে যায় খরগোশ টা ও কাতরাতে থাকতে দেখে ভয়ে ঢিল মেরে খরগোশ টা কে মাটিতে ফেলে দেয় ।আয়ানার সারা হাতে রক্ত সাদা চুরি গুলো থেকে ও চুয়ে চুয়ে রক্ত পড়ছে সারা শরীর ঘেমে একাকার চারিদিকে অন্ধকার হয়ে গেছে সাদা গোলাপ বাগানের গোলাপ গুলো সাদা থেকে কালো হয়ে নিস্তেজ হয়ে যাচ্ছে আকাশ ফেটে গগন কাঁপানো রক্তের বৃষ্টি নামছে ধরনীতে আর সেই রক্তে সারা শরীর লাল হয়ে গেছে আয়ানার অনেক রক্ত এই রক্ত তাকে ভাসিয়ে নিয়ে যাবে ।।
রক্ত অনেক রক্ত জোরে চিৎকার করে ওঠে বসলো আয়ানা তাকে চিৎকার করতে দেখে তুতুল লাফ দিয়ে সোফা থেকে উঠে বসে এতক্ষণ সে সোফার সাথে হেলান দিয়ে ঘুমাচ্ছিল আয়ানাকে চিৎকার করতে শুনে তার কাছে এগিয়ে গেল আয়ানার পাশে বসে আয়ানাকে জড়িয়ে ধরে বলতে লাগলো।।
কী হয়েছে আয়ু তুই ঠিক আছিস।(তুতুল)
দি র-রক্ত অনেক রক্ত দি আমাকে মেরে ফেলবে দি আমি আ-আর এখ-খানে থাকবো না চলে যাবো আমাকে মেরে ফেলবে দি বলে জোরে জোরে কান্না করতে লাগলো আয়ানকে এইভাবে কান্না করতে দেখে তুতুল অনেক ঘাবড়ে গেল তখনি রুমে প্রবেশ করলো শিতল জায়েদ বাড়ির সবাই।।আয়ানার অবস্থা দেখে সবাই ঘাবড়ে গেল কালকে পর্যন্ত সব ঠিক ছিল তাহলে হঠাৎ কি হলো। শিতল গিয়ে মেয়েকে জরিয়ে ধরে শান্ত করার চেষ্টা করছে শান্ত তো হচ্ছে না উল্টো আরো জোরে জোরে কান্না করছে ।।।। কালকে সাফিয়ার গায়ের হলুদের শেষে শিতল যখন আয়ানকে খেতে বলতে আসে তখন আয়ানা ঘুমিয়ে আছে মনে করে ডাকতে গেলে অনেকক্ষণ ডাকার পরও যখন আয়ানা উঠছিল না তিনি বুঝতে পারেন আয়ানা অজ্ঞান হয়ে গেছে তা দেখে অনেক ভয় পেয়ে যায় তিনি জায়েদ আহাম্মেদ মেয়ের অসুস্থতার কথা শুনে তারাতাড়ি করে মেহমানদের বিদায় যানিয়ে আসে হঠাৎ করে আয়ানার এই অবস্থা দেখে বাড়ির সবাই টেনশনে পরে যায় সারা রাত কারোর ঘুম হয়নি শেষ রাতের দিকে তুতুলকে আয়ানার কাছে রেখে শিতল রুমে চলে যায় কারন সাফিয়ার বিয়ের অনেক কাজ এখনো বাকি আছে ।তুতুল অনেকক্ষণ বসে থাকতে থাকতে কখন যে ঘুমিয়ে যায় খবর নেই আর এর মধ্যে আয়ানার চিল্লানোতে তার ঘুম ভেঙ্গে যায়।।।
আস্তে আস্তে আয়ানার কান্নার গতি কমে যায় এবং শান্ত হয়ে যায় জায়েদ আহাম্মেদ মেয়েকে শান্ত হতে দেখে ভয় কিছুটা কমে মেয়ের পাশে বসে মেয়ের মাথায় হাত বুলিয়ে দেয় আর জিগ্যেস করে কেনো কান্না করছে কিন্তু আয়ানা কিছু বলে না সবাই এক এক করে জিগ্যেস করে কিন্তু আয়ানা কালকের ঘটে যাওয়া ঘটনা কাউকে বলে না সবাই তাই ভেবে নেয় কালকের ওয়াশরুমের লাইট অফ হয়ে যাওয়া নিয়ে আয়ানা ভয় পেয়ে গেছে যার কারণে অজ্ঞান হয়ে গেছে , কিন্তু জিসানের মনে খটকা লাগছে সে ভাবছে অন্য কিছু ।
শুধুমাত্র অন্ধকারের জন্য এমন হয় নি যদি হতো তাহলে সাথে সাথে হতো তুতুলের কাছ থেকে যা শুনেছে আয়ানা অনেক টা স্বাভাবিক ছিল তাহলে কি এমন হয়েছে যে আয়ানা অজ্ঞান হয়ে গেল মনে মনে ভাবলো জিসান সবাই চলে যাওয়ার পর জিসান তুতুলকে রুম থেকে চলে যেতে বললো তুতুল রুম থেকে যেতে জিসান আয়ানার পাশে গিয়ে বসলো তারপর আয়ানার দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল কেমন এক দিনে মুখটা শুকিয়ে গেছে কান্নার ফলে নাক চোখ সম্পূর্ণ মুখ লাল হয়ে গেছে।। হঠাৎ জিসান বলে উঠে
কী হয়েছে আয়ানা তুই ভয় কেনো পেয়েছিস শুধু মাত্র কী অন্ধকারে জন্য নাকি অন্য কোনো কারণে আমাকে বল আমি আছি তো সব ঠিক করে দিবো।।( জিসান)
কিছু হয় নি ভাইয়া আমি ঠিক আছি কিছুটা হাসার চেষ্টা করে।।(আয়ানা)
আচ্ছা ঠিক আছে তুই রেস্ট কর আমি তুতুল কে পাঠিয়ে দিচ্ছি বলে চলে যেতে নিলে ফিরে আবার একবার তাকিয়ে রুম থেকে চলে যায় জিসান রুম থেকে চলে গেলে আবারো কান্না করতে থাকে আয়ানা সে কাকে বলবে যে কি হয়েছে তার সাথে। কালকের কথা ভাবতে আবারো ভয়ে চাদর টা মুঠো করে জরসরো হয়ে বসে থাকে গায়ে এখনো হলুদের লেহেঙ্গাটা আছে শুধু মাত্র শরীরের হালকা জুয়েলারি গুলো নেই কালকের কথা সে কখনো ভূলবে না কালকের ঘটনাটা তাঁর জিবনে অবিশাপ্ত রাত হয়ে থাকবে সারাজীবন । তুতুলকে রুমে আসতে দেখে তারাতাড়ি চোখের জল মুছে ফেলে আয়ানা মনে মনে ঠিক করে কাউকে এই বিষয়ে জানতে দিবে না কারন তার জন্য এইভাবে সবাই টেনশনে থাকে আবার নতুন টেনশন দিবে না বিয়ে হয়ে গেলে আব্বিকে বলে বাংলাদেশে চলে যাবে একদিনো আর এখানে থাকবে না এই শহর তার জন্য অপয়া ছোট বেলায় কোনো এক কারণে কখনো জায়েদ তাকে কাশ্মীর নিয়ে আসতো না সাফিয়ার বিয়ে উপলক্ষে এসেছে এখন এই নতুন ঝামেলা একবার বাংলাদেশে ফিরতে পারলে আর কখনো এখানে আসাবে না ভূলে ও না হঠাৎ তুতুলের ডাকে তার দিকে তাকালো।।।
কিরে এখন কেমন লাগছে শরীর কি এখনো খারাপ লাগছে ।।
না দি আমি ঠিক আছি এখন তোমাকে টেনশন করতে হবে না।।(আয়ানা)
আচ্ছা যা ওয়াশরুম থেকে ফ্রেশ হয়ে আস আম্মি নাস্তা নিয়ে আসছে।।
আচ্ছা দি বলে ওয়াশরুমে চলে গেল ফ্রেশ হয়ে আসতে কিছুক্ষণ পর শিতল এসে হালকা খাবার খাইয়ে জোর করে মেডিসিন খাইয়ে দিল।।।
এই আয়ু দর এটা তোর জন্য আজকে তুই এটা পরবি একটা শপিং ব্যাগ এগিয়ে দিয়ে বলল তুতুল।।
এটা কি দি আর এটা আমার লাগবে না আমি বিয়েতে যাবো না ইনফেক্ট আমি রুম থেকে ও বের হবো না আয়ানা বলল।।
আয়ানার কথা শুনে অনেক অবাক হলো তুতুল তারপর আয়ানকে নিজের দিকে ঘুরিয়ে আবাক হয়ে বলল তুই বিয়েতে যাবি না কেন আর এটা শুনলে সাফিয়া কত কষ্ট পাবে জানিস আজকে ওর একটা ইম্প্রটেনট দিন আজকে দিনে তুই থাকবি না।।
না দি আমার ভালো লাগছে না অসহায় মুখ করে বলল।।
কেনো তোর কি খারাপ লাগছে আমাকে বল আমি আম্মি কে ডেকে দিচ্ছি।।
না দি আমার বিয়েতে উপস্থিত হতে ইচ্ছে করছে না তোমরা যাও।।
দেখ আয়ানা তোকে সেখানে গিয়ে বেশি মানুষের ভিড়ে থাকতে হবে না অন্তত সাফিয়ার জন্য চল আমি ড্রেসটা রেখে গেলাম তৈরি হয়ে নিস বলে চলে গেল।।
এখন আমি কি করবো কি করে বুঝাবো আমি কেনো যেতে চাইছি না ভয়ে বারবার কেঁপে উঠছে বিছানার উপর থেকে শপিং ব্যাগটা হাতে নিয়ে খুলে দেখলো একটা কালো রঙের লেহেঙ্গা খুব সুন্দর দেখতে লেহেঙ্গা হাতে নিয়ে ভাবতে থাকলো কি করা যায় এমন সময় রুমে প্রবেশ করলো জায়েদ আহাম্মেদ বাবাকে দেখে সোজা হয়ে দাঁড়াল জায়েদ মেয়ের কাছে গিয়ে মাথায় হাত বুলিয়ে বলল।।
এখন কেমন লাগছে আমার আম্মিটার।
জ্বী আব্বি ভালো জায়েদ কে জরিয়ে বললো।।
নাস্তা করেছো ।।
জ্বী আব্বি নাস্তা করেছি আর মেডিসিন ও।।
জায়েদ মুচকি হেসে বলল ড্রেস পছন্দ হয়েছে আমার আম্মিটার।।
জ্বী আব্বি খুব বলে মাথা নারালো।।
আজকে তুমি এটা পরবে কেমন।।
আচ্ছা। আব্বি আমরা বাংলাদেশে কবে ব্যাক করবো হঠাৎ বলে উঠল আয়ানা।।
খুব শীঘ্রই বলে মাথায় হাত বুলালো কেনো কোনো সমস্যা আম্মি।।
না আব্বি সব ঠিক আছে বলে মুচকি হাসলো।।
আচ্ছা সময় মতো রেডি হয়ে থেকেও বলে জায়েদ আহাম্মেদ চলে যায়।।।
ঠকঠকঠক ্্্্্্
অপর পাশ থেকে গম্ভীর গলায় বলল ভিতরে আসতে।
স্যার সব জিনিস এসে পরেছে আপনি গিয়ে যদি একটু দেখে নিতেন ভিতরে ঢুকে একজন ব্যক্তি মাথা নিচু করে বললো।।
ওকে ইউ কেন গু ।।
ওকে স্যার বলে লোকটা নিচে চলে গেল।।
ইমরান খান সব জিনিস হচ্ছে কিনা দেখার জন্য নিচে এসে অবাক হয়ে একজন সার্ভেন্ট কে জিজ্ঞেস করল এসব এখানে কে আনতে বলেছে।।
আমি আনতে বলেছি আব্বি জান উপর থেকে নিজের শার্টের হাতা গুটাতে গুটাতে বললো ইরফান।।
ইমরান খান আবাক হয়ে জিজ্ঞেসা করলো তুমি কিন্তু কেনো।।
ইরফান সোফায় দুই হাত ছড়িয়ে বললো আমি বিয়ে করবো তাই শান্ত গলায়।
কী বলছো তুমি এসব বিয়ে করবে মানে কাকে বিয়ে করবে কিছুটা চমকিয়ে।।
জায়েদ আহাম্মেদ এর ছোট মেয়ে আয়রা আহাম্মেদ আয়ানকে শান্ত গলায় বলল আপনি সব ব্যবস্থা করুন বলে উপরে চলে যায় ইমরান তার যাওয়ার দিকে তাকিয়ে আছে।।।
কালো লেহেঙ্গাটা পরে উরনাটা শাড়ির মতো করে দিয়ে পিছন থেকে ছাড়িয়ে রেখেছে কোনো সাজ নেই চুল গুলো কে সুন্দর করে খোঁপা করে কাঠি দিয়ে দেয় ব্যাস আজকে তার এতো টুকু সাজ। তার অনেক সাজার ইচ্ছে ছিল আজকে কিন্তু কালকের ঘটনার পর এখন আর ইচ্ছে করছে না।।।
বাহ আয়ু তোকে তো খুব সুন্দর লাগছে রুমের ভিতর ঢুকতে ঢুকতে বলল তুতুল।।
তুতুলের কথায় আয়ানা মলিন হাসলো।।
কি হয়েছে মুখটা কে বাংলার পাঁচ বানিয়ে কেন রেখেছিস চল নিচে মেহমানরা আসতে শুরু করে দিয়েছে ।
আচ্ছা চল সাফিয়া দির কাছে যাই।।
নিচে গিয়ে যেই রুমে সাফিয়া আছে সেইখানে চলে যায় ওইখানে সবাই হাসি মজা করছে সাফিয়া আয়ানকে দেখে জরিয়ে ধরে বললো।।
কেমন আছিস আয়ু এখন ভালো লাগছে তোর, জানিস কালকে তুই সবাইকে ভয় পাইয়ে দিয়েছিস।।
হুম দি আমি ভালো আছি এখন বেটার ও ফিল করছি তোমাকে ব্রাইট সাজে দারুন লাগছে মুচকি হেসে।।
তোকে ও দারুন লাগছে বিনা সাজে লুক লাইক এনজেল বলে আয়ানাকে জরিয়ে ধরলো সাফিয়া।।
এই বরের বাড়ির লোকরা এসে পরেছে তোদের এদিকে কাজ শেষ হয়েছে।।
বরের বাড়ির লোক এসেছে শুনে আয়ানা রুম থেকে চলে যায় গিয়ে গেস্ট রুমে নিজের রুমটায় ঢুকে দরজা আটকিয়ে দেয় বিয়ে শেষ না হওয়া পর্যন্ত আজকে আর দরজা খুলবে না।।।
শিতল আহাম্মেদ রুমে ঢুকে এদিকে সেদিকে আয়ানা কে খুঁজতে লাগল না নেই কোথাও আয়ানা তারপর তুতুলের কাছে গেল।।
তুতুল আয়ানা কোথায় তোমার সাথে না ছিল (শিতল)
আম্মি আয়ানা এখানে তো ছিল কোথায় গেল কিছু কি কাজ ছিল।।(তুতুল)
হুম কাজ ছিল আচ্ছা ঠিক আছে তুমি থাকো আমি আয়ানকে খুঁজে নিচ্ছি বলে চলে যায়।।
শিতল উপরে উঠতে নিলে সামিয়া আহম্মেদ ডাকে পিছনে ফিরে তাকায়।।
কি হয়েছে ভাবি আপনাকে এতো চিন্তিত দেখাচ্ছে কেনো সব ঠিক আছে তো।।(শিতল)
তুমি আমার সাথে চলো তোমাকে বলছি আমি হাত ধরে নিয়ে যেতে যেতে বলল।।।
ক্রিং ক্রিং ক্রিং ক্রিং হঠাৎ মোবাইলের আওয়াজে আয়ানা কেঁপে উঠলো কাপা কাপা হাতে মোবাইল নিয়ে দেখলো তুতুল কল করেছে নিজেকে স্বাভাবিক করে মোবাইল কানে নিতে তুতুল বলে উঠলো।
আয়ানা কোথায় তুই কখন থেকে খুচ্ছি।(তুতুল)
আমি গেস্টরুমে দি কেনো কি হয়েছে।।(আয়ানা)
আম্মি কখন থেকে তোকে খুচ্ছে কি জেনো জরুরি কাজ আছে তুই আম্মির সাথে দেখা কর জলদি।।(তুতুল)
আচ্ছা দি বলে মোবাইল টা কেটে বাহিরে আসে কিন্তু চারিদিকে কোথাও শিতল নেই এমন সময় একজন ব্যাক্তি আয়ানা কে পিছন থেকে ডাক দিল।।
এই যে ম্যাম শুনছেন আপনার নাম কি আয়ানা।।(লোক)
আয়ানা মৃদু আওয়াজে বলল জ্বী।।
আপনার আম্মি মিসেস শীতল আহমেদ আপনাকে সেকেন্ড ফ্লোরে লাস্ট রুমে যেতে বলেছে।। (লোক)
জ্বি আচ্ছা আপনাকে ধন্যবাদ বলে আয়ানা সেকেন্ড ফ্লোরে চলে যায় গিয়ে লাস্ট রুমের দরজার কাছে গিয়ে দেখে দরজাটা খুলে আছে হালকা চাপানো।। এখানে কেন আম্মি আসতে বলছে ভাবতে ভাবতে
আয়ানা রুমে প্রবেশ করে রুমে প্রবেশ করতে দেখে রুমে শুধু হালকা হলুদ লাইট লাগানো আর বারান্দায় থেকে বাহিরে ঝিকিমিকি আলোর কিছু অংশ রুমে প্রবেশ করছে হঠাৎ নাকে খুব সুন্দর একটা গন্ধ আসলো যার গন্ধটা ক্রমে বেরে যাচ্ছে আয়ানা চারিদিকে শিতলকে খুঁজতে লাগল।।
আম্মি আম্মি তুমি কি এখানে।।
্্্্্্্্্্্্্্্্্্্
আওয়াজ না পেয়ে অনেক ঘাবড়ে গেল আয়ানা কিছুটা পিছিয়ে যেতে রুমে লাইট জ্বলে উঠলো আয়ানা চারিদিকে তাকিয়ে আরো ভয় পেয়ে যায় কারন আয়ানার চারিদিকে কাঠ গোলাপ আর সাদা গোলাপে ভরে আছে যার তিব্র গন্ধ নাকে আসছে আয়ানা এগুলো দেখে স্বপ্নের কথা মনে পড়ে যায় ভয় পেয়ে উল্টো দিকে ঘুরে দৌড় দিয়ে দরজার কাছে আসতে দেখে দরজাটা বন্ধ তা দেখে ভয়ের মাত্রা বেড়ে চার গুণ বেশি হয়ে যায় আয়ানা জুড়ে জুড়ে দরজা ধাক্কাতে থাকে কিন্তু দরজা খুলছে না।।।
পুপু পু ্্্পু পু পুপু পু ্্্পু পু ্্্্্্্্ শিষের আওয়াজে আসতে আসতে মাথাটা ঘুরিয়ে ভয়ে হাত-পা ঠাণ্ডা হয়ে যায় কারন তার সামনে স্বয়ং ইরফান দাঁড়িয়ে আছে যাকে দেখে ভয়ে থরথর করে কাঁপতে লাগলো আবারো উল্টো দিকে ফিরে দরজা ধাক্কাতে লাগল আর ইরফান দেওয়ালের সাথে হেলান দিয়ে বুকে হাত গুজে আয়ানার দিকে মুগ্ধ দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে আজকে কালো লেহেঙ্গায় আয়ানকে দারুন লাগছে একদম হুর পরীর মতো।।আজ ইরফান ও কালো পাঞ্জাবি পরেছে তাকে ও খুব সুন্দর লাগছে ইরফান আস্তে আস্তে আয়ানার খুব কাছে চলে যায় গিয়ে আয়ানার উরনার ফাঁক দিয়ে আয়ানার উন্মুক্ত পেটে হাত রেখে আয়ানকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে ঘারে মুখ গুজে এক হাত আয়ানার মাথার উপর দরজায় হাত রাখে আয়ানা থরথর করে কাঁপছে ধাক্কা দেওয়ার মতো অবস্থায় নেই আস্তে আস্তে শরীর অবশ হয়ে যাচ্ছে আয়ানার কাঁপুনিতে ইরফানের নেশা আরও বেড়ে যায় আরেকটু গভীর ভাবে আয়ানাকে জরিয়ে ধরে এরপর নেশা ভরা কন্ঠে বলে।।
আই লাভ ইউ আয়ু জান তুমি আমার নেশা আর এই নেশায় আমি সবসময় আসক্ত হতে চাই। তোমাকে আমার চাই খুব গভীরভাবে চাই তোমার প্রত্যেকটা নিঃশ্বাসে আমি থাকতে চাই বলে একটান দিয়ে সামনের দিকে ঘুরিয়ে নেয় আয়ানা চোখ বন্ধ করে কান্না করছে আর বার বার কেঁপে কেঁপে উঠছে আয়ানার এই কাঁপুনি টা তার ভিতরে কাঁপুনি দিয়ে উঠছে আস্তে করে কানের কাছে গিয়ে বলল নেশা আমার নেশা বলে গলায় মুখ গুছল আয়ানা খুব জোরে জোরে ধাক্কাছে তাকে কিন্তু ইরফান এক পা ও পিছনে না গিয়ে আরো চেপে ধরলো তারপর আবার বলতে শুরু করল তুমি যত আমাকে দূরে সরাবে ততো তোমার কাছে পাবে আয়ু জান খুব বাজে ভাবে আসক্তিতে ডুবিয়েছো আমাকে এর শাস্তি তোমাকে পেতে হবে তুমি নিজের ইচ্ছায় এসে আমার কাছে ধরা দিয়েছো এখন তোমার মুক্তি নেই আয়ু জান আজকে তোমার জন্য অনেক বড় সারপ্রাইজ আছে যেটা তোমার সম্পূর্ণ জিবন বদলে দিবে হারিয়ে ফেলবে নিজের স্বাধীনতা আর ধরা দিবে আমার খাঁচায় এই ইরফান খানের কাছে তোমাকে ধরা দিতে হবে আয়ু জান বলে বাঁকা হেসে আয়ানকে ছেড়ে দিয়ে কিছু পা পিছিয়ে যায় তারপর আয়ানার দিকে তাকিয়ে বলে গু আয়ু জান তোমার সারপ্রাইজ বাহিরে অপেক্ষা করছে ইরফানের দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে তারপর পিছন ফিরে দরজা টান দিতেই খট করে খুলে যায় আর কিছু না ভেবে দৌড়ে রুম থেকে বের হয়ে যায় তাঁর দিকে তাকিয়ে ইরফান বাঁকা হেসে বলে উঠে তোমাকে আমার কাছে ধরা দিতে হবে আয়ু পাখি বলে নিজের সানগ্লাস টা পরে শিষ বাজাতে থাকে
পুপু পু ্্্পু পু পুপু পু ্্্পু পু ্্্্্্্
To be continued………..
(কালকে বৃষ্টি থাকার কারণে সারারাত কারেন্ট ছিল না তাই গল্প দিতে পারেনি তার জন্য দুঃখিত। আজকের পার্ট রিভিশন দেওয়ার সময় পাইনি তাই ভূল হলে তা একটু ঠিক করে পরে নিবেন যাদের অনেকে অপেক্ষা করিয়েছি তার জন্য ও দুঃখিত গল্পটা ধৈর্য্য ধরে পরার অনুরোধ রইল গল্পটা কেমন হয়েছে তা জানাবেন 😊)