_#মেঘবতী_কন্যা পর্ব ৩৭
#সুমাইয়া আক্তার মিম
থমথমে পরিবেশে ছায়ান সিত্তিস এর কুৎসিত হাসির ঝংকার খুব বিদঘুটে লাগছে।রূপ বারিশের হাত আঁকড়ে ধরে জিম মেরে দাঁড়িয়ে আছে।বারিশের কথা না বললে চলে।রাগের কারনে বেসামাল লাগছে তাকে।মোবাইলে হাসির আওয়াজ থামিয়ে বিশ্রী ভাবে ছায়ান সিত্তিস বলতে শুরু করল,
‘কী দ্যা বারিশ খান?মোস্ট পাওয়ারফুল হ্যান্ডসাম আইডল।অন্যায়ের জম আর কী হেনতেন? তোর কড়া নজরদারি আমার একচুল বাঁকা করতে পারেনি।না কখনো পাড়বে।আমি ছায়ান সিত্তিস….দ্যা মাফিয়া কিং ছায়ান সিত্তিস। আমাকে খতম করা তো খুব তুচ্ছ মনোভাব আমার সামান্য আঘাত করতেও তুই পারবি না।কী ভেবেছিস তুই আর তোর চেলারা আমাকে আটকাতে পারবি?উহুম বেবস্।এটা একদম অসম্ভব।(ব্যঙ্গ করে)। আমার সাথে লাগতে এসে খুব ভুল হয়ে গিয়েছে তোর দ্বারা এখন একটু একটু করে এর মাসুল দিতে হবে। আমার মৃত্যু কখনো সম্ভব না কিন্তু তোর মৃত্যু আমার হতে হবে। প্রথমে তোকে শেষ করবো তাঁর পর তোর বউ…ওপস!আমার বেবিডল আমার হয়ে যাবে। তোর সামনে থেকে নিয়ে যাবো তোর মনে,তোর সম্পূর্ণ জুরে রাজ করা তোর সুন্দরী বউকে।’
উচ্চস্বরে কুৎসিত ভাবে হাসতে লাগলো। ঘৃণায়,লজ্জায়,রাগে রূপের চোখ থেকে টপ করে একফোঁটা জল খসিয়ে পরলো। লেখিকা সুমাইয়া আক্তার মীম।রাগে থরথর করে কাঁপছে বারিশ।রক্তিম কৃষ্ণচূড়া ন্যায় মুখখানি খুব বেশিই ভয়ংকর লাগছে।রাগে শরীর কাঁপছে তাঁর সাথে প্রতিযোগিতা লেগে হাতের ফোন।ছায়ান হাঁসি থামিয়ে রিরি করে বলে উঠলো,
‘তোর প্রাণ ভোমরা কেড়ে নিয়ে তোকে নিঃশ্ব করে দিবো।তোর জানে আঘাত করে তোকে ক্ষতবিক্ষত করবো।খুব ভালোবাসি তোর বিবিকে তাই না!যখন তাঁর কষ্ট হবে,ছটফট করতে দেখবি তখন নিশ্চয়ই তিলতিল করে মরবি।হাহাহা…তাহলে এমনটাই হবে।(বিশ্রী হেসে)। আমার পিঠ পিছে আঘাত করার শাস্তি তোর জানের অশ্রু বিসর্জন দিয়ে চুকাতে হবে।ইয়েস তাই হবে। কিছুক্ষণ এর মাঝে শোকের ছায়া ছড়িয়ে পরবে চারিদিকে।টিকটক টিকটক।’
থেমে গেলো আওয়াজ।আর কোনো রেকর্ডিং শুনা গেলো না।বারিশ রেগে হাতের মোবাইলটি মুষ্টিবদ্ধ করে নিলো। রাগের ফলে চোখের সাদা অংশ সম্পুর্ন লাল হয়ে গিয়েছে।রূপ ভয়ে শুকনো ঢোক গিললো।কী করতে চাইছে ছায়ান?ভয়ে রূপ ভীত হয়ে বারিশের বুকে ঝাঁপিয়ে পরলো।বারিশ আদুরে ভাবে নিজের বাহুডোরে আবদ্ধ করে নিলো তাঁর প্রেয়সীকে।বুকের তীব্র হাহাকার এবার কিছুটা লাঘব হলো।চোখ বুজে নিজের রাগ দমিয়ে নিলো। রূপের মাথায় শীতল স্পর্শ দিয়ে শুষে নিতে লাগলো রূপের সকল ভয়,কষ্ট। কিছুটা শান্ত হলো রূপ। কাঁপা কাঁপা গলায় বারিশের উদ্দেশ্য করে বললো,
‘ঐ লোকটা খুব ভয়ংকর কিছু করতে চলছে কী?খুব ভয় হচ্ছে।মনে হচ্ছে খুব খারাপ কিছু হতে চলছে।’
বারিশ রূপের মাথায় চুম্বন করে শান্ত গলায় আশ্বাস দিয়ে বললো,
‘কিছু হবে না রূপজান।আমি থাকতে কিছু হতে দিবো না তোমার।জানো তো পিপীলিকার পাখা গজায় মরিবার তরে।’
কিছু বললো না রূপ।ভয়তো হচ্ছে আবার বারিশের কথা শুনে কিছুটা আশ্বস্ত হলো।বারিশ কিছু একটা প্ল্যান করেছে যা হবে সমাপ্তি ভালোই হবে।বারিশ রূপের কপালে চুমু খেয়ে মৃদু হেসে বলল,
‘আমার রাজ্যে এসে তোমাকে ছুঁয়ে দেওয়ার ক্ষমতা ছায়ান সিত্তিস কেনো এই পৃথিবীতে কারোর নেই।এইবার ভালোবাসার ভবিষ্যতের জন্য ভালোবাসার পরিপূর্ণতা ছায়ান সিত্তিস এর ধ্বংসের পরই উদযাপিত হোক।’
রূপ লজ্জা পেলো।লজ্জায় বারিশের বুকে মিশে যায়।হাসলো বারিশ। লেখিকা সুমাইয়া আক্তার মীম। নিজের বুকের সাথে মিশে নিলো তাঁর রূপজানকে। কিছুক্ষণ এর মাঝে একজন গার্ড ছুটে এসে মাথা নিচু করে নিলো।ভ্রু কুঁচকে এলো বারিশের।রূপেরো একই অবস্থা।বারিশ রূপকে এক হাতের মাঝে বন্দী করে সোজা হয়ে দাঁড়ালো।গার্ড মাথা নত করে কাঁপতে কাঁপতে বললো,
‘স্যার একটি খারাপ সংবাদ রয়েছে।না মানে…!’
‘হোয়াট রাবিশ।ভনিতা ওফ করে পয়েন্টে আসো। ফাস্ট।ইডিয়েট।’
বারিশ বিরক্তি হয়ে রাগে ধমকিয়ে বললো।গার্ড ভয়ে মাথা নিচু করে স্ট্রেট হয়ে বলে উঠলো,
‘স্যার স্মাইলি ডেইথ।ছায়ান সিত্তিস খুব নিষ্ঠুর ভাবে মেরে ফেলেছে তাকে।’
গার্ডের কথা শুনে বারিশের শান্ত মস্তিষ্ক আবার রাগে তীব্র হয়ে উঠলো।রূপ আতংকে উঠে।দুর্লভ শরীর নেতিয়ে পড়তে নিলে বারিশ রূপকে শক্ত করে নিজের সাথে চেপে ধরলো। রূপের দিকে তাকিয়ে বারিশের বুক ধক করে উঠলো।
#চলবে,,,❣️
[লেখিকা-সুমাইয়া আক্তার মীম]
❌কার্টেসী ছাড়া গল্প কপি করা সম্পূর্ণ নিষেধ ❌
গল্প লিখার সময় হয়ে উঠেনি তাই গল্প ছোট হয়েছে। আগামী পর্ব গুলো খুব ইন্টারেস্টিং হতে চলছে।দুই লাইন গঠন মূলক মন্তব্য করার জন্য অনুরোধ রইল।