অদ্ভুত বর – পর্ব 15

0
301

#অদ্ভুদ_বর
#দিয়া_মনি [ DîYã MôÑî ]
#পর্ব_১৫
ওদিকে দিয়ার তাবুর বাইরে কান ধরে এক পায়ে দাড়িয়ে আছে রওশন। আর দিয়া হাতে একটা কুঞ্চীর মতো লাঠি নিয়ে মাটিতে বারি দিচ্ছে। ব্যাপারটা সবাই খুব এন্জয় করছে। বিশেষ করে রশনি। রশনি দিয়ার কানে কানে কিছু বলে সবাইকে নিয়ে ব্যাগপ্যাক করতে চলে গেলো। দিয়া রওশনকে থামিয়ে ওর হাত ধরে বাংলোর ভেতর টানতে লাগে।
— উফ দিয়াপাখি আস্তে চলো পা ব্যাথা হয়ে গেছে। দৌড়াতে পারছি না।
— তাহলে লাফিয়ে লাফিয়ে আসুন।
দিয়া রোশানের রুমের সামনে গিয়ে দাড়ালো। তারপর নিজের ওরনায় বাঁধা একটা তাবিজ বের করে দরজার সামনে ছোট্ট গর্ত করে পুঁতে দিলো।
— রশনির তাবিজে কাজ হবে না দিয়াপাখি। দাড়াও আমি আসছি।
কিছুক্ষন পর রওশন ফিরে আসলো হাতে একটা পানির বোতল। রওশন এসে রুমের চারপাশে পানি দিয়ে একটা রেখা টেনে দিলো।
— এখন কি হবে.?
— আগামী পূর্নিমার আগে রোশান এই রুম থেকে বের হতে পারবে না। এবার চলো রশনিকে ঠিক করতে হবে।
— কেন? রশনি আপুর কি হয়েছে ?
— তোমাকে বাঁচানোর জন্য রশনি নিজেকে জ্বীনদের দান করছে। আজ রাতে জ্বীনরা এসে ওকে নিয়ে যাবে। সেজন্যই আজ বিকালে বাড়ি ফিরতে চাচ্ছি আমি।
— কিহ? এটা আগে বলেননি কেন? এখন কি হবে?
— জানি না। তবে একটা উপায় আছে, রশনিকে বাঁচাতে গেলে আরেকটা মেয়ের প্রয়োজন। তাকে রশনি সাজিয়ে জ্বীনের সামনে নিয়ে যেতে হবে। এতে মেয়েটারও ওপর জ্বীনের নজর পড়বে। আর রশনির ওপর থেকে জ্বীনের ছাঁয়া সরে যাবে।
— মেয়ে কোথায় পাবেন.?
— সেটাও জানি না। কেউ তো ইচ্ছা করে এসবে ঢুকতে চাইবে না। উফফ।কিচ্ছু বুঝতে পারছি না আমি। কেন আমার ভাই এমন হলো.? কেন আমি এমন হলাম.? আর কেনইবা রশনির জীবনটা এমন পরিস্থিতির স্বীকার হলো.?
— যদি আমি রশনি আপু সাজি?
— নাহ। ( আৎকে উঠলো রওশন )
— কি না? আমার জন্য রশনি আপুর আজ এ সমস্যা। আমাকে যেতেই হবে।
— তুমি না। আমি অন্যব্যবস্থা করবো।
— পূর্নিমা হতে এখনো ১৪দিন বাকি। আর আপনি তো আছেন। আমার কোনো সমস্যা হবে না। বিশ্বাস রাখতে পারেন আমার ওপর।
রওশন আর কোনো কথা বললো না। সবাইকে নিয়ে বাড়ি চলে আসলো। দিয়া নিজের রুমে বসে আপেল কাটছে এমন সময় নিঝুম আসলো,,
— ভাবি আসবো?
— আরে ভাইয়া আপনি? ভেতরে আসুন। আপেল খাবেন?
— নাহ ভাবি। আসলে রশনিকে খুজছিলাম। ও কোথায় জানেন ?
— আপু নিজের রুমে নেই.?
— রশনি তো বাড়িতেই নেই। এই সন্ধ্যায় কোথায় গেলো বুঝতে পারছি না। কিছু তো বলেও যায়নি।
— টেনশন করবেন না আপনি রুমে যান আমি আপুকে নিয়ে আসছি। ( বলেই রুম থেকে বেরিয়ে গেলো দিয়া )
ফুল স্পীডে ড্রাইভ করছে দিয়া। রাত ৮টা বাজে তখন,, যখন দিয়া বাংলোর কাছে এসেছে। দিয়ার চোখ বাংলোর ছাদে যেতেই দিয়া দেখতে পেলো রওশন রশনি দাড়িয়ে আছে। আর ওদের সামনে ২৫-৩০ ফুটের মতো লম্বা একটা কালো অবয়ব পেছন ঘুরে দাড়িয়ে আছে। রওশনের চোখ একদম বাদামী হয়ে গেছে আর রশনি প্রচুর ঘামছে। দিয়া সাথে করে রশনির জামা এনেছিলো তাই ও চট করে নিচ থেকে জামা পাল্টে নেয়। তারপর ছাদের উদ্দেশ্যে পা বাড়ায়।
— আপনি আমার সাথে যেতে তৈরি তো রশনি? কোনো পিছুটান নেই তো ? ( কালো অবয়বটা কর্কশকন্ঠে জিজ্ঞাসা করলো রশনিকে। )
— জি। ( শীতল কন্ঠে বলে উঠলো রশনি )
— অপেক্ষা করুন কিছুক্ষন, সময় আসলেই আমরা গন্তব্যে পৌছে যাবো। আর রওশন আপনি রোশানকে ছেড়ে দিন।
— রোশানকে ছেড়ে দিলে আপনি কি আমার বোনকে ছেড়ে দিবেন? যদি দিতে পারেন তাহলে রোশানকে ছেড়ে দিবো আমি।
— অসম্ভব। রশনিকে কিছুতেই ছাড়বো না আমরা। প্রতিশোধ নেওয়ার একটা সুযোগ পেয়েছি, সুযোগটা অবশ্যই কাজে লাগাবো। ( বিদ্ঘুটে আর বিশ্রি আওয়াজ করে হাসতে লাগলো অবয়বটি। )
রওশন রশনির দিকে তাকাতে পারছে না। কিভাবে তাকাবে সে? নিজেকে যে বড্ড অপরাধি মনে হচ্ছে রশনির সামনে। অবয়বটি পেছনে ঘুরতে শুরু করে। যখন পূর্ণরূপে অবয়বটি পেছন ঘুরে রশনির দিকে তাকাবে ঠিক তখন সামনে এসে যায় দিয়া। অবয়বটি দিয়ার দিকে তাকাতেই চিল্লিয়ে উঠলো। দিয়ার শরীর থেকে সাদা স্বচ্ছ আলোকরশ্মি নির্গত হচ্ছে আর আলোর যতটুকু অংশ অবয়বটার ওপর পড়ছে ততটুকু আগুনে ঝলসে যাচ্ছে। ব্যাপারটা অদ্ভুদ তাইনা? আগুনের তৈরি জ্বীনকে আগুনই পোড়াচ্ছে। দিয়া অবয়বটার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। কেন যাচ্ছে সেটা দিয়া নিজেও জানে না। অবয়বটি দিয়ার ভয়ে পেছাতে লাগলো। একসময় বিলিন হয়ে গেলো রাতের কালো আঁধারে। দিয়া তখনো এগোচ্ছে। ছাদের একদম কর্নারে এসে পা বাড়াতেই রওশন একটানে ওকে নিজের বুকের সাথে মিশিয়ে নিলো। দিয়া সেন্সলেস হয়ে রওশনের বুকেই ঢুলে পড়লো।



বাড়িতে,, দিয়ার হাত ধরে বিছানার সাইডে বসে আছে রওশন। ওর পাশে রশনি, নিঝুম আর রিমিকা। রওশন রিমিকার দিকে চিন্তিত দৃষ্টিতে তাকাতেই রিমিকা বলে উঠলো,,
— দিয়াকে সব জানিয়ে দেওয়া উচিত। তাছাড়া দিয়ার ওপর এখন ওর নিজের জোর নেই, আর আমাদেরও নেই। দিয়াকে এখন ওরা দুজন কন্ট্রোল করবে।
— তাহলে তো ৩৫বছর আগের ঘটনা টেনে আনতে হবে। কিন্তু আমরা তো সবটা জানি না। দাদাজান আর চাচাজান জানেন। ( রওশন।)
— তোর দাদাজানের রুমটা ভালো করে খুজতে হবে। তিনি সবকিছুর উপায় আর নিয়মাবলি লিখে রাখতেন আমাদের উপকারের জন্য। যদি তেমন কিছু পেয়ে যাই? ( রিমিকা )
— কিন্তু দাদাজানের রুমে তো আমাদের ঢোকার পার্মিশন নেই। তুমিই তো বলেছিলে দাদাজান আগে থেকেই তার ঘর বন্দক করে রেখেছেন। (রশনি)
— তাহলে উপায় কি? আমি আমার দিয়াপাখিকে এভাবে থাকতে দেখতে পারবো না। প্রতিনিয়ত কষ্ট পেতে দেখতে পারবো না। ওরা অনেক শক্তিশালী আমার দিয়াপাখি কিভাবে ওদের সহ্য করবে?
— কিছু কষ্ট সহ্য করলে অনেক বড় কিছু প্রাপ্ত করবে দিয়া এটাই বা কম কিসে.? তাছাড়া ওকেও বুঝতে হবে যে ও আর আগের মতো নেই। ( রিমিকা )
— আম্মু আমার শক্তি কি কোনো কাজে আসবে না?( রওশন।)
— তোর বাবারও শক্তি ছিলো। কোনো কাজে কি এসেছে ? ভবিষ্যৎ এ কি হবে সেটা একমাত্র আল্লাহ জানেন। ( রিমিকা )
— আব্বু কি কিছু জানে? ( রশনি )
— হয়তো জানে। আচ্ছা সবাই চলো ওদের একা থাকতে দাও। দিয়া উঠলে ওকে খাইয়ে দিস্। সারাটাদিন দৌড়ঝাঁপের মধ্যে দিয়ে গেছে মেয়েটা।
রিমিকা সবাইকে নিয়ে নিচে চলে গেলো। রাত দুইটা হঠাৎ দিয়ার পেটে মোচর দিয়ে ওঠে। হুড়মুড় করে উঠে বসে দিয়া। পাশের টেবিল হাতরে পানির গ্লাস নিতে গেলেই হাত লেগে গ্লাসটা নিচে পড়ে যায়। গ্লাস ভাঙার শব্দে জেগে যায় রওশন। খানিকটা ভয় পেয়ে রুমের লাইট জ্বালায়। খাটের মাঝখানে ছোট বাচ্চাদের মতো হাতপা এক করে হাটুর ওপর মুখ গুজে বসে আছে দিয়া। কিছুক্ষন পরপর রওশনের দিকে তাকাচ্ছে আর মেঝের দিকে তাকাচ্ছে।
— দিয়াপাখি? কি হয়েছে ?
রওশনের শীতল কন্ঠ শুনে দিয়ার কান্না চলে আসে। পেটসহ সারা শরীরে অসহ্য ব্যাথা শুরু হয়ে গেছে। নড়তেও কষ্ট হচ্ছে তাই নিজেকে একজায়গায় গুটিয়ে রেখেছে। রওশন বিছানায় এসে বসে দিয়ার মাথায় হাত বুলিয়ে বললো,,
—দিয়াপাখি কথা বলো। কোনো সমস্যা হচ্ছে?
দিয়ার চোখ দিয়ে পানি পড়তে শুরু করলো। রওশন দিয়ার কান্না দেখে বেশ ঘাবড়ে যায়। কারন দিয়া হুটহাট করে কাঁদে না। রওশন এবার দিয়াকে শান্ত করার জন্য ওকে আলতো করে জরিয়ে ধরলো,, ব্যাথায় কুকড়ে উঠলো দিয়া।
— প্লিজজ ছাড়ুন। ব্যাথা করছে আমার।
দিয়ার কান্নামিশ্রিত কন্ঠে এমন কিছু শুনে হতবাক রওশন। সেই সাথে বেশ চিন্তিত।
— কোথায় ব্যাথা করছে দিয়াপাখি।
— সারা শরীরে। অসহ্য যন্ত্রনা।
দিয়া ফুলহাতা জামা সহ ওরনা পেচিয়ে রেখেছে গায়ে তাই রওশন বুঝতে পারছে না ব্যাথার কারন কি।
— দিয়াপাখি পেছনে ঘুরতে পারবে.?
দিয়া অসহায় চোখে তাকালো তাই রওশন নিজেই দিয়ার পেছনে ঘুরে বসে। ওরনাটা খুলে পাশে রেখে,, দিয়ার জামার চেইনটা খুলে ফেললো,, পুরো পিঠটায় অজস্র আঁচড়ের দাগ, খুবই তীক্ষ্ণ ধারালো নখের আঁচড়,, পশুদের যেমন হয় ঠিক তেমন,,, লাল হয়ে আছে সারাপিঠ। রওশনের কপাল থেকে ঘাম ঝড়তে লাগলো রওশন দিয়াকে সাবধানে শুইয়ে দিয়ে দিয়ার পেটের অংশের কাপড়টা তুললো নাভির নিচটা নীল হয়ে আছে। ডান সাইডে রক্ত জমে আছে।
— খুব কষ্ট হচ্ছে তাইনা?
— হুম।
— আমি আম্মুকে ডেকে আনছি আম্মু এসে তোমার জামা আর পায় না মানে তোমার শরীরে কোথায় কোথায় কি হয়েছে সেগুলো দেখে বলবে।
— আমার কি হয়েছে? আমি কি মরে যাবো.?
চোখ মোটা করে তাকালো রওশন। দিয়াও চোখ নামিয়ে চোখ বুজে ফেললো। কিছুক্ষন পর রিমিকাকে ডেকে দিয়ার কাছে রেখে রওশন রায়হানের কাছে চলে যায়।
— আব্বু দিয়া কষ্ট পাচ্ছে অনেক। তোমরা প্লিজ কিছু করো।
— কিছু করার নেই আমাদের। ওরা দুজন যতদিন দিয়ার সাথে থাকবে ততদিন এমন হবেই। সবটা সহ্য করতে হবে দিয়াকে।
— ওর শরীরের প্রতিটা জায়গায় ক্ষত।ওতোটুকু মেয়ে কিভাবে সহ্য করবে সবটা.?
— এসবের জন্য তো তুমি দায়ি। তুমি যদি সেদিন রোশানকে না বাঁচাতে তাহলে সবটাই ঠিক থাকতো।
— কিভাবে নিজের ভাইকে মারবো আব্বু.? একই গর্ভে থেকেছি আমরা, ছোটবেলায় এক বিছানায় ঘুমিয়েছি, এক প্লেটে খেয়েছি। ও সবকিছু ভুললেও আমি ভুলতে পারিনা।
— রাতটা কাটতে দাও,, সকাল হলেই রহস্যভেদের চেষ্টায় নেমে পড়বো। তোমার দাদাজানের ঘরের দরজা এবার খুলবে ।
— কিভাবে.? এতোবছরে যেটা হয়নি সেটা কাল হবে কিভাবে.?
— তুমি তো মেজর রিজনটাই ভুলে যাচ্ছো রওশন। কাল তুমি আর দিয়া একসাথে দরজা খুললে তবেই ভেতরে ঢুকতে পারবে। মনে নেই তোমার মায়ের কথা.?
— এবার জ্বীনদের হাত থেকে মুক্তি পাবো আমরা।কিন্তু দাদাজান? দাদাজান কি সত্যিই সবটা আগলে রাখতে পেরেছেন.?
— সেটা তো কালই জানবে। এখন রুমে যাও। তোমাকে দিয়ার প্রয়োজন।
রওশন রুমে চলে আসে। রওশনকে দেখে রিমিকা এসির পাওয়ার বারিয়ে দিয়ে বাইরে চলে যায়।রওশন এসে দিয়ার পাশে বসে।দিয়া ব্লাংকেট হাত দিয়ে চেপে ধরে শুয়ে আছে। রওশন ব্লাংকেটের নিচে যেতে গেলে দিয়া ইশারায় মানা করে।
— শীত করছে যখন তখন ব্লাংকেট মুরি দিচ্ছো কেন.? এসি অফ করলেই হতো। আমারও তো শীত করছে আমাকেও দাও।
— না।
— কেন.?
— আমাকে সেলাইছাড়া জামা আর পায়জামা পড়িয়ে দিয়েছে আম্মু। বারবার উপরে উঠে যাচ্ছে সব। আপনি আরেকটা ব্লাংকেট এনে ঘুমান।
— ফার্স্ট নাইটে গাইয়্যা বলছিলাম মনে আছে.? তোমার এতো বোকা বোকা চিন্তা মাথায় আসে কেন.? বাসরের পরে জামা উপরে উঠে যাওয়ার চিন্তা করছো.?
— দেখুন এখন ঝগড়া করতে ইচ্ছা করছে না তাই ফাউল কথা বাদ দেন।
— ব্লাংকেট দিলেই তো চুপ হয়ে যাই। দিচ্ছো না তো।
— আপনি কি ফকির.? আপনাদের বাড়ি আর ব্লাংকেট নাই..?
— আছে তবে এটায় আমার বউ এর শরীরের মাদকমিশ্রিত সুভাস লেগে আছে। তাই এটাই আমার চাই।
— উফফ। আচ্ছা নিন এটা তবে আমার দিকে আসবেন না।
— কেন.? বউকে জরিয়ে না ধরলে কোনো পুরুষের ঘুম ঠিকঠাক হয়না।
— এই প্রথম শুনলাম এমন বাণি।
— আমার সাথে থাকো অনেককিছু প্রথম প্রথম শুনবা, দেখবা, ফিল করবা। তোমার তো আমাকে ধন্যবাদ দেওয়া উচিত। কারন এর আগে অনেককিছুই তোমাকে উপহার দিয়েছি।
— কি দিসেন.?
— মনে করো।
— কিছু দিসেন বলে তো মনে পড়ছে না। আর আমি বিয়ের পর থেকে এমন কিছুই নেইনি যা আমার লাইফে প্রথম
— তার মানে? তুমি কি বলতে চাও? আমি তোমার লাইফে সেকেন্ড পার্সন যে তোমাকে কিস করেছে তোমাকে ছুঁয়েছে, তোমার সাথে বাসর করেছে। তোমাকে আদর করেছে..
— মোটেই না আমার ফার্স্ট কিসটাও আপনার সাথে হয়েছে। কারন আমি কাউকে নিজের কাছে আসতেই দেইনি। আপনি আমাকে লুচি বলার ট্রাই করে থাকলে এখুনি ক্ষমা চান। নাহলে কিন্তু
— আরে আরে রাগ করছো কেন.?আমি তো যাস্ট মনে করাচ্ছিলাম কিস বাসর সবকিছুর ফার্স্ট ফিলিং আমার কাছ থেকেই পেয়েছো। তুমি তো স্বীকারই করতে চাওনা। আসো এবার একটু ঠোট কিভাবে খায় সেটা শিখাই।
— নাহহ। দরকার নাই। আমি মানছি আমি আপনার কাছ থেকে অনেককিছু পেয়েছি। এবার গুড নাইট।
রওশন দিয়ার পেট আলতো করে জরিয়ে দিয়ার চুলে মুখ গুজে শুয়ে পড়লো। কিন্তু দিয়ার ঘুম আসছে না।
— শুনছেন,,, শুনছেন…
— হুম দিয়াপাখি। ঘুমুতে দাও
— আমার ঘুম আসছে না। কিছু করুন।
— কি করবো..?
— গান শোনান।
— গান শোনালে কি দিবা তুমি..? হ্যা পেয়েছি আমাকে নিজ থেকে কিস করবে তুমি।
— ডান ( আগে তো ঘুমাই তারপর নাহয় দেখা যাবে এই ব্যাটাকে কি করা যায়। )
রওশন দিয়াকে বুকে টেনে নিলো,, দিয়া গুটিসুটি মেরে রওশনের বুকে মুখ গুজে দেয়। রওশন দিয়ার চুলে হাত বুলিয়ে গান গাইতে আরম্ভ করলো
~ তুমি মোর জীবনের ভাবনা, হৃদয়ে সুখের দোলা(২)
~ নিজেকে আমি ভুলতে পারি তোমাকে যাবেনা ভোলা।
~ হাজার তারে বীণা তুমি, তুমি সুরের ঝঙ্কার। তুমি আমার আষাঢ় শ্রাবণ, তুমি বসন্ত বাহার।
~রাগরাগিনির ফুলকলি তে কন্ঠে পড়াবো মালা।
তুমি মোর জীবনের ভাবনা হৃদয়ে সুখের দোলা
~তোমায় নিয়ে লেখা যেন সারা পৃথিবীর গান, প্রথম প্রেমের ছোঁয়া তুমি তুমি যে মান অভিমান।
~ সব কবিতার ছন্দ তুমি, দুঃখ সুখেরই ভেলা
তুমি মোর জীবনের ভাবনা হৃদয়ে সুখের দোলা।
চলবে,,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here