#অপরাজিতা
#২১তম_পর্ব
#স্নিগ্ধতা_প্রিয়তা
রাজিতা চলে যেতেই আনান রেস্টুরেন্টের বিল মিটিয়েই বাইরে চলে গেলো। আশেপাশে কোথাও রাজিতাকে না দেখতে পেয়ে ও ভালো করে খুঁজতে লাগলো।
রাজিতা রেস্টুরেন্ট থেকে বের হয়ে ভাবতে লাগলো যে, এখন ও কি করবে! কোথায় যাবে! চারপাশে যে ছলনাময়ী মানুষ দিয়ে ভর্তি! প্রথমে রিমি, নিয়ন আর শেষ পর্যন্ত আনান নিজেও! যাকে ও নিজের শেষ সম্বল ভেবে বাঁচতে চেয়েছিলো! আনান এতবড় সত্যটা ওর থেকে কি করে লুকাতে পারলো!
রাজিতা হঠাৎ খেয়াল করে যে, আনান দৌঁড়াতে-দৌঁড়াতে ওর দিকেই আসছে। রাজিতা ওর এই অবস্থা দেখে আবার থেমে যায়।
আনান রাজিতার সামনে এসে হাঁপাতে-হাঁপাতে বলতে থাকে,
–“এভাবে কেউ হুট করে চলে আসে। আমি কতবার ডাকছি শুনতে পাচ্ছো না? ”
–“তা কি সিদ্ধান্ত নিলেন?”
–“আমি একটা কথা বুঝতে পারছি না যে, যারা তোমার ক্ষতি করার জন্য উঠে-পড়ে লেগেছে তাদের কাছে তুমি কেন আমায় মাফ চাইতে বলছো? মাফ যদি কারো কাছে চাইতেই হয় সেটা হচ্ছো তুমি! আমি শুধু চাই যে, তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও।”
রাজিতার চুপ থাকতে দেখে আনান আবার বললো,
–“দেখো রাজিতা তুমি আমাকে যা শাস্তি দেবে আমি তা মাথা পেতে নেবো। আর তোমার পরিবারের কারো কাছে যদি আমার মাফ চাইতেই হয় তাহলে সেটা হচ্ছে তোমার চাচ্চু! একমাত্র উনিই তোমাকে প্রকৃত ভালবাসে। কিন্তু আমার মনে হয় এসব বলার জন্য এটা সঠিক সময় নয়। তোমার মতো উনিও আমাকে ভুল বুঝবেন। আমি একসময় ঠান্ডা মাথায় তোমার চাচাকে সব বলে মাফ চেয়ে নিবো। উনি আমাকে ফোনে বারবার করে বলেছিলেন যে, আমি যেন উনার মেয়েকে আগে দেখে নিই। উনাকে তোমার কথা বললে উনি হয়ত কোনো একটা ব্যবস্থা করতেন। কিন্তু আমি শুরু থেকেই একটা মিথ্যাকে ঢাকার জন্য মিথ্যার পর মিথ্যা বলেই যাচ্ছি!”
দুজনে হাটতে-হাটতে কথাগুলো বলতে থাকে আনান। আনানের এতবড় লেকচারটা মনোযোগ দিয়ে শোনার পর রাজিতা বললো,
–“একটা মিথ্যা? একে তুমি একটা মিথ্যা বলছো? প্রথম যেদিন সুবহার নাম শুনলাম অন্তত সেদিন তোমার সত্যটা বলে দেওয়া উচিৎ ছিলো। তা না করে তুমি কি বললে! তুমি বললে যে, ওইটা নিশাদের এক্স৷ তারপর নিশাদ ভাইয়া যেদিন জানালো যে, উনার কোনো এক্স ছিলো না, সেদিনও তোমার আরেকটা সুযোগ ছিলো, কিন্তু সেদিনও বললে যে, নিশাদ নিলার ভয়ে অস্বীকার করেছে! অথচ সেই কাজটা তুমি নিজে করেছো আমার ভয়ে! ”
–“আমিতো আমার ভুলগুলো স্বীকার করছি।প্লিজ তুমি আমাকে মাফ করো!”
–“মাফ! তুমি নিয়ন ভাইয়ার সাথে আমার সামান্য কয়েকটা ছবি দেখেই জাজ করা শুরু করে দিয়েছিলে যে, আমি কেন তোমাকে জানাইনি যে, আমার আগে বয়ফ্রেন্ড ছিলো! যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ছিলো, তারপরেও তোমার ভাব দেখে মনে হচ্ছিলো যে, বিয়ের আগে রিলেশন থাকা মানে সে জগতের সবচেয়ে খারাপ মানুষ! শুধু তাই নয়, তা বিয়ের পর স্বামীকে না জানানো আরো মারাত্মক অপরাধ! আর তুমি কি করলে? নিজের মৃত গার্লফ্রেন্ড যাকে তুমি অনেক ভালবাসতে তাকেই অস্বীকার করলে! শুধু তাই নয়, তাকে নিজের বন্ধুর এক্স বানিয়ে দিলে। কেন আনান? কেন ছেলেদের আর মেয়েদের জন্য সবকিছু আলাদা? এর উত্তর তোমার জানা আছে? বলতে পারবে?”
আনান কি বলবে কিছুই বুঝতে পারে না। আনান ওখানে দাঁড়িয়ে পড়ে। আর রাজিতা আবার ওকে ফেলে রেখে চলে যায়।
রাজিতা ওর চাচার বাসায় পৌঁছেই অবাক হয়ে যায়। কারণ সেখানে সবাই নিয়নকে ঘিরে বসে আছে। তারমানে নিয়ন দেশে ফিরেছে! অথচ রাজিতা এর কিছুই জানেনা। ওর অবশ্য জানার কথাও না। কারণ রিমির মুখে নিয়নের ওইসব কথা শোনার পর রাজিতা আর নিয়নের কল রিসিভ করেনি, তাই কথাও হয়নি। আর রিমির সাথেও আর কথা হয়নি। যে আনানের জন্য ওর পরিবারের মানুষগুলোর আসল রূপ জানতে পারলো সেই আনানও যে ওদের দলেই পড়বে! কে জানতো।
নিয়নকে দেখার সাথে-সাথেই রাজিতার ওখান থেকে ছুটে পালাতে ইচ্ছে করছে, কিন্তু বাসার মধ্যে ঢুকেতো আর বের হওয়া যাবেনা এখন। আগে থেকে জানলে হয়তো আসতই না। রাজিতা নিজের ঠিকানাগুলো যেন আস্তে-আস্তে হারিয়ে ফেলছে। যেখানেই যাচ্ছে সেখানেই ধোঁকাবাজ দিয়ে ভর্তি! ও এখন কোথায় যাবে আর কিই বা করবে!
–“কিরে রাজিতা! বিয়ের পর চেঞ্জ হয়ে গেছিস? নাকি অনেকদিন পর দেখছি জন্য অন্যরকম লাগছে? ওখানে ওভাবে দাঁড়িয়ে পড়লি কেন? এখানে আয়। বোস।”
নিয়নের কথায় রাজিতার ধ্যান ফিরলো। ও কিছু বলার আগেই রাজিতার চাচি বলে উঠল,
–“বেহায়া মেয়ের কাজ দেখো! আমার ছেলেটা এসেছে না এসেছে শুনতেই ঢ্যাং-ঢ্যাং করে চলে এসেছে ওর মাথা খেতে! ”
রাজিতা ওর চাচির কথাটা শুনে যেন আকাশ থেকে পড়লো। এসব কি বলছে ওর চাচি! আনান ঠিক-ই বলেছিলো, ওর মাথা সত্যিই তখন খারাপ হয়ে গিয়েছিলো, তা না হলে এইরকম জঘন্য মানুষের কাছে আনানকে কখনো ক্ষমা চাইতে বলতো না।
এইবার রাজিতা নিজেই চুপ হয়ে গেলো। ওখান থেকে এক পাও নড়তে পারছিলো না। ও সবার কাছে গিয়ে বসবে, কথা বলবে! নাকি দরজা দিয়ে বের হয়ে আসবে বুঝতে পারছিলো না।
নিয়ন ওর মায়ের কথা শুনে আরো চমকে গেলো। নিয়নের ভালো মুড মূহুর্তের মধ্যেই বদলে গেলো। ওর মাকে ধমকের সুরে বলল,
–“মা, তুমি এসব কি আবোলতাবোল বলছো? আমি মাত্র আসলাম, রাজিতাকে ফোন করতে চাচ্ছিলাম আসার জন্য, সেখানে ও নিজে এসেছে এতে তোমার খুশি হওয়ার কথা! তা নয় তুমি এসব কি মাথা খাওয়ার কথা বলছো! আমিতো কিছুই বুঝছি না!”
নিয়নের মা কিছু বলার আগেই রিমি বলে উঠলো,
–“মা! ভাইয়া! এসব রাখোতো। রাজিতাকে ভেতরেতো আসতে দেবে নাকি! আর মা তুমি কি পাগল নাকি! ভাইয়া মাত্র আসলো বাইরে থেকে, কোথায় দুটো ভালো কথা বলবে তা নয়!”
–“আপনি ভুল বুঝছেন৷ আমরা জানতাম না যে, আজ নিয়ন ভাইয়া এসেছে। আমি আর রাজিতাতো আপনাদের সাথে একটু দেখা করতে এসেছিলাম। দেখা করা হয়ে গেছে, আমরা বরং আরেকদিন আসব!”
আনানের কথায় সবাই রাজিতার পেছনে তাকালো। আনান যে রাজিতার পেছনে এসেছে এটা এতক্ষণ কেউ খেয়াল-ই করেনি। রাজিতা নিজেও খেয়াল করেনি।
আনান যেন ঠিক সময় এসে রাজিতাকে উদ্ধার করলো। নিয়নকে দেখে এ বাসায় থাকার ইচ্ছেটা রাজিতার মরে গেছে। ও তাই আনানের কথায় সায় দিয়ে বলল,
–“হ্যাঁ ছোট আম্মু, আমরাতো আপনাদের সাথে দেখা করতে এসেছিলাম। আমি জানতাম না যে, আজ নিয়ন ভাইয়া আসবে। ”
আনানকে দেখে ওর চাচি চুপ হয়ে গেছে। রাজিতার চাচা আনানকে উদ্দেশ্য করে বলল,
–“বাবা তুমি তোমার চাচির কথায় কিছু মনে করো না। ও আসলে ওভাবে….”
আনান উনাকে থামিয়ে দিয়ে বলল,
–“আরে না! কিছুই মনে করিনি। আসলে মা আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে। আজকের মতো আসি। আরেকদিন আসবো।ভাইয়া কেবল আসলো, আপনারা কথা বলুন।”
নিয়ন আনানের ছবি দেখেছিলো। কিন্ত কথা হয়নি কখনো। রাজিতা ওর সাথে কথা বলায়নি, আর ও নিজেও আর কল করেনি কখনো।
আনান আর রাজিতা চলে যাচ্ছিল, কিন্তু কেউ ওদের আটকাচ্ছে না দেখে নিয়ন বলল,
–“মা,বাবা! তোমরা বাসার নতুন জামাইকে এভাবে আপ্যায়ন করাও? এসেই চলে যাচ্ছে আর তোমরা কিছুই বলছো না?”
তারপর সবাইকে চুপ থাকতে দেখে নিয়ন নিজেই বলে উঠলো,
–“আনান! দাঁড়াও, এভাবে এসেই তুমি চলে যেতে পারোনা৷ মার হয়ে আমি তোমার কাছে ক্ষমা চাইছি৷ আমি জানিনা যে, মা কেন এমন কথা বলল। তবে অন্তত একটু বসে নাস্তা করে যাও! ”
আনান মনে-মনে ভাবলো যে, নিজে যে জঘন্য কাজ করে রেখেছে আবার এখন ঢং করছে! ভাবতেই ওর নিজের করা ভুলগুলোও চোখের সামনে ভেসে উঠলো। ও নিজেওতো রাজিতাকে কম ঠকায়নি!
এসব ভেবে আনান একটু হেসে নিয়নের কথার উত্তর দিল,
–“আমি কিছু মনে করিনি। আশাকরি রাজিতাও কিছু মনে করেনি। তবে আপনার অনুরোধটা আমরা রাখতে পারলাম না। সরি। আরেকদিন আসবো।”
এরপর নিয়নও আর ওদের আটকালো না। রাজিতাকে ওর মা যে কথা বলেছে, ওর নিজেরই লজ্জা লাগছে!
রাজিতা চুপচাপ আনানের সাথে এসে গাড়িতে উঠলো। এখন না চাইলেও আনানের সাথেই ওকে যেতে হবে৷ বিকেল হয়ে গেছে। দুজনেই চুপচাপ গাড়িতে বসে আছে। গাড়ি তার আপন-গতিতে ছুটে চলেছে।
হঠাৎ আনানের ফোনটা বেজে উঠলো। আনানের মা কল করেছে ওদের ফিরতে দেরি দেখে। আনান জানালো যে, ওদের আজ ফিরতে দেরি হবে।
রাজিতা বুঝতে পারলো না যে, গাড়িতো রওয়ানা দিয়ে দিয়েছে, তাহলে ফিরতে দেরি কেন হবে!
একটু পরেই ওদের গাড়িটা থেমে গেলো। আনান রাজিতাকে উদ্দেশ্য করে বলল,
–“গাড়ি থেকে নামো। দেখো কোথায় এসেছি!”
রাজিতা গাড়ি থেকে না নেমেই বাইরে ভালো করে তাকিয়ে দেখলো যে ওরা তুলি আন্টির বাসার সামনে।তারমানে আনান ওকে মানানোর জন্য এখানে নিয়ে এসেছে!
রাজিতা গাড়ি থেকে নামতেই আনান বলল,
–“তুমি যাও ওদের সাথে দেখা করো। আমি একটু আসছি।”
রাজিতা কোনোকিছু না বলে সোজা ভেতরে চলে গেলো। বাচ্চাগুলো অনেকে খেলা করছিল, অনেকে ঘুমিয়েছে। রাজিতাকে দেখে ওরা ছুটে এলো। কিন্তু রাজিতাতো আজ ওদের জন্য কিছুই আনেনি! ওরা হয়ত কিছুটা আশাহত হলো৷ কারণ রাজিতা আসার সময় অন্তত ছোট ক্যান্ডি হলেও ওদের জন্য নিয়ে আসে৷ আর আজ ও খালি হাতে এসেছে!
রাজিতার নিজের কাছেও একটু খারাপ লাগলো।
এমন সময় বাচ্চাগুলো রাজিতার সামনে থেকে খুশিমনে দৌড়ে গেইটের দিকে গেলো। রাজিতা পিছন ফিরে দেখতে পেলো যে, আনান আর মিজানের হাতে অনেকগুলো আইসক্রিম, চকোলেট আর চিপসের প্যাকেট।
আনানের হাত থেকে বাচ্চাগুলো খাবারগুলো নিয়ে নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নিতে লাগলো। অনেকে খুশি হয়ে আনানকে জড়িয়ে ধরতে গেলো। আনানও ওদের জন্য নিজে হাটু মুড়ে বসার চেষ্টা করলো, কিন্তু প্যান্ট পড়ে থাকার কারণে তেমন একটা নিচু হতে পারলো না। তাই মাথাটা নিচু করল।
বাচ্চাগুলোর মুখে হাসি দেখে রাজিতার নিজের মুখেও হাসি ফুটে উঠলো।
বাচ্চাগুলোর সাথে অনেকক্ষণ কাটানোর পর রাজিতা আর আনান গাড়িতে গিয়ে বসলো। গাড়িতে উঠার সাথে-সাথেই রাজিতার হাসিগুলো আবার মেঘের আড়ালে ঢাকা পড়ে গেলো।
কিছুক্ষণ চুপ থাকার পর আনান বলল,
–“খুবতো বলছিলে যে, তোমার চাচি আর নিলার কাছে মাফ চাইতে হবে! দেখলে উনাদের আসল রূপ?”
আনানের কথাটা শোনার সাথে-সাথেই রাজিতার এতক্ষণ জমে থাকা মেঘগুলো বর্ষণ হয়ে ঝড়তে শুরু করলো। রাজিতা কান্না বিজড়িত কণ্ঠে বলতে লাগলো,
–“হ্যাঁ, তোমারতো খুশি লাগছে তাইনা? আমার আপনজন বলতে কেউ নেই, তাই আবার তোমার সাথে যেতেই বাধ্য হয়েছি বলে, তোমারতো আনন্দ লাগছে তাইনা? যত-খুশি আনন্দ করো। তোমার কি! তুমিতো ছোট থেকেই যা চেয়েছো সব পেয়েছো। এমনকি ভালবাসার মানুষটিকে হারিয়েও তার মতো দেখতে আরেকটা পুতুল পেয়ে গেছো। আর আমি! আমি ছোট-বেলা থেকেই নিজের অধিকারের জন্য লড়াই করে আসছি। এখনো টিকে থাকার লড়াই করে যাচ্ছি! যে দুয়েকজনকে আপন ভেবেছিলাম তারাও আপন নয়! আর তোমার কাছেতো আমি একটা ডুপ্লিকেট মাত্র!”
আনান বুঝতে পারলো যে এতগুলো শক পেয়ে রাজিতা পাগলের মতো হয়ে গেছে। ওর এখন কাউকে পাশে দরকার! অথচ ওকেতো রাজিতা এখন সহ্যই করতে পারছে না! তবুও আনান রাজিতার কাঁধে হাত দিয়ে ওর মাথাটা নিজের কাঁধের উপর রাখলো৷ রাজিতা প্রথমে সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলেও পরে চুপটি করে আনানের কাঁধে মাথা রেখে কান্না করতে লাগলো৷ ওর সমস্ত শক্তি যেন শেষ হয়ে গেছে। আস্তে-আস্তে ও যেন নিজের কাছেই হেরে যাচ্ছে৷ নিজের জীবনকে টিকিয়ে রাখতে পারছে না৷ বারবার সবার আঘাতে পরাজয় বরণ করে নিতে হচ্ছে!
ছোটবেলায় ওর চাচা ওকে ওর নামের অর্থ বুঝাতো যে, ওর নাম শুধু রাজিতা নয়! ওর নাম অপরাজিতা! ওর মা নাকি কখনো ওকে শুধু রাজিতা বলতো না, সবসময় অপরাজিতা বলে ডাকতো।কারণ ও যখন হয় তখন না বাঁচা অবস্থা ছিলো৷ ডাক্তারেরাতো ওর বাঁচার আশা ছেড়েই দিয়েছিলো! কিন্তু সব বাধা-বিপত্তির অবসান ঘটিয়ে ও কয়েকদিনেই সুস্থ হয়ে উঠে৷ আর অপরাজিতা মানে হচ্ছে, যে কখনো পরাজিত হয়না! কিন্তু ওতো প্রতি পদে-পদে পরাজিত হয়ে আসছে! ওর নিজের মানুষগুলোর কাছেই ও পরাজিত হচ্ছে! তাহলে কি ওর নামের অর্থ ভুল! নাকি ওর জীবনের জন্য এই নামটা ভুল!
–“চলো। আমরা বাসায় পৌঁছে গেছি।”
আনানের কথাটা