স্যার I Love You – Part 19

0
415

#স্যার_I_Love_You
#শারমিন_আক্তার_বর্ষা
#পর্ব_১৯
_____________
দীর্ঘ তিন ঘন্টা জার্নির পর চলে আসলাম গুলশান ফুপির বাড়ি।
তিনদিনে মাথা পুরা হ্যাং হয়ে যাবে এসে যা বুঝতে পারছি। আসতে না আসতেই সবাই বলছে উনাদের সাথে শপিংয়ে যেতে কি কি নাকি কেনা বাকি রয়ে গেছে। উফফ! ইচ্ছে না থাকা সত্ত্বেও যেতে হবে।
এত্তগুলা মানুষ নাকি এক গাড়ি দিয়ে যাবে উফফ 100% লাভ মুভির মতো হয়ে গেছে। যাক বাবা তাতে আমার কি আমি এদের সাথে ঠেলাঠেলি করে যেতে পারবো না। আমি তো ডাইরেক্ট বলে দিয়েছি আমি তো আমার গাড়ি দিয়েই যাবো বাবারে জীবন তেজপাতা হয়ে যাবে ওই ঠেলাঠেলি করে গেলে।
শপিংমলে এসে আরও বিরক্তিকর লাগছে।
এ বলছে এটা ভালো না এটার কালার সুন্দর না এই বেনারসি মানাচ্ছে না। না না এটা চলবে না মায়াকে মানাবে না এই সেই হেনতেন হুনতে হুনতে মোর কান জ্বালাপালা হইয়া গেতাছে।
শপিং করতে এত মানুষ কি আসে নাকি একেক মানুষের পছন্দ একেক রকমের হয় আমার এখন প্রচুর মেজাজ হচ্ছে। আপনারাই বলেন এইরকম কি সহ্য হয়।
আমি- আপনারা সবাই চুপ করেন আর ফুপি তুমিও চুপ করো আর চুপ করো বসো মায়া আপুর জন্য আমি Wedding Dress কিনবো। ছোটো বোনের তরফ থেকে ছোট্টো গিফট!
মায়া চলো আমার সাথে আর ফুপি তুমি সহ সবাই এখানেই বসে থাকবে আমরা না আসা পর্যন্ত.!
কথা শেষ করে আপুর হাত ধরে টেনে নিয়ে আসলাম।
অনেক দেখে অনেক বেছে একটা গরজিয়াস লেহেঙ্গা চয়েস করলাম লাল কালার।
মায়া আপু- শুধু কি আমার জন্য নিবি তোর জন্য ও নে।
আমি- আমি নিয়ে আসছি।
মায়া আপু- নিচ্ছি আমার জন্য ও একটা নিলাম।
তারপর উনাদের কাছে যাি আর উনারা উনাদের টুকিটাকি জিনিস কিনেন। তারপর সবাই বাড়ি ফিরে এলাম। রাত গেয়ি বাত গেয়ি এমন টাইপ।
পরেরদিন সকালে সকাল ৭টা~
মায়া আপু সবাইকে ঘুম থেকে ডেকে উঠায় আর আমিও তো এমনিতেই সকালেই উঠি।
আপু বিয়ের আগে লাস্ট বার সবাইকে নিয়ে এনজয় করতে চায় বাড়িতে কাউকে কিছুনা বলে।
সবাইকে ঘুম থেকে উঠে রেডিও হতে দেয়নি যে যা পরে রাতে ঘুমিয়ে ছিলাম সেগুলো পরেই বেরোতে হলো।
দীর্ঘ দুই ঘন্টা সবাই বাইরে ঘুরাঘুরি করলাম বাহিরে এটা ওটা অনেই কিছুই খেলাম। এই ছয় বছরে আজ প্রথম মন খুলো হাসলাম আর এত এনজয় করলাম। আপুকে জরিয়ে দরে গালে চুমু দেই আর থ্যাংকস জানাই।
২দিন পর ~
আপুর বিয়ে অন্য বিয়ের মতোই হয়। খুব সুন্দর ভাবে আপুর বিদায় ও হয়ে যায়।
আমি আজ রাতেই চলে যেতে চেয়েছিলাম কিন্তু ফুপি এখন বেরোলে যেতে অনেক রাত হবে সাথে রাস্তায় বিপদ আপদের কথা ভেবে যেতে দিলো না কাল সকালে যেতে হবে।
কি আর করার রাতে খেয়ে শুয়ে পরলাম।
সকাল ছয়টা বাজে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে রেডি হই আর নিচে চলে আসি এখনও ফুপি যেতে দিচ্ছে না। বিকেলে যেতে বলছে খুব রাগ হচ্ছে এখন। তারপর রুমে চলে এলাম ফুপিও পেছন পেছন এলো আমার পাশে বসে মাথায় হাত বুলিয়ে বলে।
ফুপি- ইতি মা তুই তো আমার একমাত্র ভাতিজি তোর যা অবস্থা তুই তো অনেক বড় ডাক্তার সহজে তো কোথাও যাস না আর সময়ও পাসনা আর ছোটো থেকে তো তোকে আদরও করতে পারিনি তাই তোকে নিজের কাছে একটু রাখতে চাচ্ছি।
আমি- ফুপি আমি কিন্তু সিউর বিকালে চলে যাবো।
ফুপি- ঠিক আছে।
দুপুরে লাঞ্চ শেষ করে সবাই বসে কিছুক্ষণ গল্প করি। এখন সময় হয়েগেছে আমার চলে যাওয়ার সবাইকে বিদায় জানিয়ে বেরিয়ে পরলাম আবার সেই আগের জীবনে ফিরে যেতে হবে।
২ঘন্টা পর~
রাস্তায় জেম ছিলো না তাই তারাতাড়ি চলে আসতে পারছি। আর কিছুদূর গেলেই আমার বাড়ি চলে আসবে। ভাবতে ভাবতে গাড়ির জানালা দিয়ে বাহিরে তাকাতেই দেখলাম একটা পরীর মতো দেখতে কিউট একটা বাচ্চা মেয়ে দাঁড়িয়ে কাঁদছে মেয়েটার আশে পাশে কেউ নেই।
সাথে স্কুল ড্রেস পরে আছে কিন্তু এদিকে কাছাকাছি কোনো স্কুল নেই। হয়তো বাচ্চা টা হারিয়ে গেছে ভেবে গাড়ি থেকে নেমে বাচ্চার কাছে আসলাম আর নাম কি জিজ্ঞেস করলাম।
মেয়েটা কাঁদছে ঠিকই কিন্তু আমার প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছে না।
মেয়েটাকে কয়েকবার জিজ্ঞেস করার পর ওর নাম বললো আমি কিছুটা অবাক হই শুনে তবে আশ্চর্যের তো কিছু নেই হতেই পারে।
মেয়েটা বললো ওর- আমার নাম ইতি।
আমি- আচ্ছা আমার নামও ইতি!
মেয়েটা- আচ্ছা?
আমি- হুম তো আমরা কি হলাম মিতা।
মেয়েটাকে কোলে তুলে নিলাম।
মেয়েটা- মিতা কি আন্টি?
আমি- উঁহু আন্টি না বললাম তো মিতা। আর মিতা হচ্ছে কারো নাম যদি অন্য কারো নামের সাথে মিলে তাহলে তাদের কে মিতা বলে আর মিতা অর্থ বন্ধু।
মেয়েটা- কিন্তু আপনি তো আমার থেকে অনেক তাহলে আপনি আমার বন্ধু কিভাবে হবেন।
আমি- উমম বন্ধুত্ব বয়স দেখে হয় না। আর আমরা আজ থেকে বন্ধু ঠিক আছে তুমি ছোট ইতি আর আমি বড় ইতি তুমি আমাকে বড় ইতি বললে আর আমি তোমাকে ছোট ইতি ওকে।
ছোট- আমি আপনাকে মিতাই বলবো। হিহিহি
মেয়েটার কথা শুনে অটোমেটিক হাসি চলে আসলো।
মেয়েটাকে জরিয়ে ধরে চুমু দিলাম গালে।
আমাদের কিছুক্ষণের মধ্যেই বন্ধুত্ব হয়ে যায়।
আমি- তোমার বাড়ি কোথায় আর হারিয়ে গেছো কিভাবে?
ছোট ইতি- আমি আব্বু দিদা নতুন আসছি এই শহরে।
আমি- আর আম্মু?
ছোট ইতি- আমার আম্মু আমায় জন্ম দিতে গিয়ে মারূ গেছে। আব্বু বলেছে। বলেই ও কেঁদে দিলো। আমি ওর চোখের পানি মুছে দিলাম আবারও জরিয়ে ধরলাম।
আমি- তোমার বাড়ির এড্রেস জানো? এমনিতেও সন্ধ্যা হয়ে গেছে তোমার এভাবে রাস্তায় রাস্তায় ঘোরাঘুরি করা বিপদজনক। এড্রেস জানলে বলো আমি তোমাকে বাড়িতে পৌঁছে দিচ্ছি। তোমার আব্বু আর দিদা তোমাকে খুঁজছে হয়তো।
ছোট ইতি- হুম জানি। এড্রেস হলো-
ও এড্রেস বলতেই ওকে গাড়িতে উঠিয়ে বসালাম আর নিজেও বসলাম। ড্রাইবার আঙ্কেলকে এড্রেস বললাম উনিও গাড়ি ঘোড়ালেন আর চলতে লাগলাম।
মেয়েটার মুখের দিকে তাকিয়ে আছি।
খুবই মিষ্টি মেয়ে।
গাড়ির জানালা দিয়ে ছোট ইতি ওর স্কুল দেখালো আমাকে।
ছোট ইতি- মিতা ওই স্কুলে টাতে পড়ি আমি।
আমি- আচ্ছা তাহলে আমি প্রতিদিন তোমার সাথে এখানেই দেখা করতে আসবো।
ছোট ইতি- সত্যি?
আমি- হুম।
ছোট ইতি- প্রমিজ।
আমি- ওকে প্রমিজ। হেসে দিয়ে ওকে জরিয়ে ধরলাম আর কপালে গালে চুমু দিলাম। একটু সময়ে আমাকে ওর অনেকটা মায়ায় জরিয়ে ফেলেছে।
দেখতে দেখতে চলে এলাম ওর বাড়ি,, কলিংবেল বাজাতেই একটা মহিলা কাঁদতে কাঁদতে দরজা খুললো।
আর আমার সাথে ছোট ইতিকে দাড়িয়ে থাকতে দেখে ওকে জরিয়ে ধরলো আর উড়াধুড়া কিস করছে।
নিশ্চয়ই ওর দিদাই হবে।
পাঁচ মিনিট পর নাতনীকে ছেড়ে আমার দিকে তাকালেন আমি উনার দিকে হাসি দিয়ে তাকিয়ে আছি।
উনি দাঁড়িয়ে আমার দিকে জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছেন।
নিরবতা ভেঙে আমিই বললাম।
আমি- আসসালামু আলাইকুম আন্টি আপনি নিশ্চয়ই ইতির দিদা?
আন্টি- হ্যাঁ মা কিন্তু তুমি কে তোমাকে তো চিনলাম না।
আমি কিছু বলতে যাবো তার আগেই পিচ্চি ইতি।
ছোট ইতি- দিদা ও হচ্ছে আমার মিতা.! আমার নতুন বন্ধু।
ওর কথা শুনে হেসে দিলাম আর বসে ওকে জরিয়ে ধরলাম।
আমাদের কে দেখে আন্টি ভ্রু কুঁচকে তাকালেন।
আমি- কি হয়েছে আন্টি এভাবে কেনো তাকিয়ে আছেন?
ছোট ইতি- মিতা ভেতরে চলো না।
আন্টি- ভেতরে এসো মা।
আমিও ভেতরে গেলাম সোফায় বসলাম আমার পাশেই ইতি বসছে।।
আন্টি আবার ও আগের মতো তাকিয়ে আছে।আমি আবার ও জিজ্ঞেস করলাম।
আন্টি বললেন- ইতি কারো সাথেই কথা বলে না, খুব কম কথা বলে। আর তোমার সাথে এত কথা বলছে হাসছে মনে হচ্ছে তুমি ওর অনেক দিনের চেনা।
আমি- আন্টি আমরা বন্ধু আর বন্ধুত্বে সব চলে।
আন্টি- তুমি ওকে কোথায় পেলে আমরা ও অনেক ভয় পেয়ে গেছিলাম ও হারিয়ে গেছে তাই।
তারপর আমি সব বললাম কিভাবে আর কোথায় পেলাম।
আন্টি সব শুনে আমার হাতে ধরে আমাকে অনেকবার ধন্যবাদ জানালেন। আর বললেন এই যুগে আমার তো মানুষের নাকি খুব অভাব।
আন্টি আমার সাথে কথা বলার ফাঁকে ছোট ইতির আব্বুকে কল দেয়। আর সে বাড়ি আসছে বলে কল কেটে দেয় আর আমাকেও থাকতে বলে।
আমার সম্পর্কে তেমন কোনো কিছুই বলি নাই।
আন্টি- সারাদিন ধরে খুঁজছে আমার ছেলে ওকে। তুমি আর একটু অপেক্ষা করো ও এখন চলেই আসবে।
কিন্তু আমার এদিকে অনেক লেইট হয়ে যাচ্ছে বাড়ি যেতে হবে। আব্বু আম্মু ও অনেকবার কল দিয়েছে।
আমি- অনেক তো হলো আন্টি এবার আমাকে যেতে হবে আবার অন্য দিন আসবো। আর আমি যদি ইতির সাথে ওর স্কুলে দেখা করতে যাই তাহলে কি আপনাদের কোনো সমস্যা হবে?
আন্টি- না না আমার কোনো সমস্যা নেই মাঝে মাঝে বাড়িতেও এসো।
আমি- আচ্ছা আন্টি এখন আমি আসি।
উঠে দাঁড়ালাম ছোট ইতিকে জরিয়ে ধরে ওর গালে কপালে চুমু একে দিলাম আর ওর সাথে একটা সেলফি তুললাম। তারপর বাড়ি থেকে বেরিয়ে পরলাম।
আমাদের গাড়ি গেইট দিয়ে বেরোতেই অন্য একটা গাড়ি ঢুকলো হয়তো ছোট ইতির আব্বু।
বাড়িতে এসে আম্মু আব্বু জিজ্ঞেস করলেন আমি দেরি কেনো করছি।
আমিও সব খুলে বলি। তারপর রুমে চলে আসি ফ্রেশ হয়ে নিচে আসি।
ডিনারের সময় হয়ে গেছে তাই ডিনার করে রুমে চলে আসি। ফোনের গ্যালারিতে গিয়ে ছোট্ট ইতির ছবিটা দেখি তারপর ফোন সাইডে রেখে ঘুমিয়ে পরি।
সকালে নাস্তা করে হাসপাতাল চলে আসি।
তিনদিন পর আসছি তাই একটু ব্যস্ত হয়ে পরেছি।
এদিকে ভুলেই গেছি ছোট্ট ইতির কথা।
ফোনের এলার্ম বাজতেই মনে হলো স্কুলের কথা।
সব কাজ ফেলে চলে এলাম স্কুলের সামনে আসতেই কিছুক্ষণের মধ্যে স্কুল ছুটি হয় আর ছোট্ট ইতি দৌঁড়ে আসছে আমার দিকে।
ছোট ইতি- মিতততততা।
এসেই আমাকে জরিয়ে ধরে আমিও ধরি সাথে ইতি আমাকে অনেকগুলা চুমু দেয়।
সামনেই দাঁড়িয়ে আছে ইতির দিদা।
আমাদের বন্ধুত্ব এভাবেই চলছে। আমিও প্রতিদিন স্কুলে যাই ইতির সাথে দেখা করতে আজব মিল আমাদের আমার যা যা পছন্দ ঠিক সেগুলো ওরও পছন্দ।
আজ মুন্নী কল দিয়েছিলো আর সবাই এক সাথে দেখা করার কথা বললো।
এই ছয় বছরে মুন্নী, রুবেল। আব্রু, শ্রাবন। মিম আর নাঈমের বিয়ে হয়েগেছে।
তিনজনেরই বাচ্চা আছে।
মুন্নীর ছেলে চার বছরের।
মিমের মেয়ে দুই বছর হয় নাই।
আব্রুর ও ছেলে বয়স তিন বছর।
আর আমি সিঙ্গেল একেই বলে সৌভাগ্য।
বিকালে~
সবাই মিলে চলে আসলাম একটি পার্কে ওদের তিনজনের বাচ্চারা খুব দুষ্ট।
আমাকে আন্টি আন্টি বলছে শুনতে খুব কিউট লাগছে। ওদেরকে আমি ছোট্ট ইতির কথা বলি।
মুন্নী- ওও তাই ডাক্তার ইতি ম্যামের মুখে হাসি ফুটেছে।
আব্রু- তাই তুই আমাদের ভুলে গেছিস?
মিম- মেয়েটা কেমন?
ওদেরকে ছোট ইতির ছবি দেখালাম।
আমি- জানিস ওর নাম তো সেমই আবার আমাদের পছন্দ ও এক।
তারপরও অনেকক্ষণ আড্ডা দিলাম আমার সব কথা শুধু ছোট ইতিকে নিয়েই ছিলো।
এভাবেই চলছে আমার দিন। ছোট ইতি জেনো আমার জীবনের একটা অংশ হয়ে গেছে ওর সাথে দেখা না করলে আমার ভালোই লাগে না। ওর মিষ্টি চেহারাটা না দেখলে জেনো ঘুমই আসে না। স্যারের পর স্যারের মতো করে আজ আমি ছোট্ট ইতিকে ভালোবাসি।
আজও যাচ্ছি ওর সাথে দেখা করতে।
স্কুল এর সামনে আগে থেকেই দাঁড়িয়ে আছে ইতি আর ওর দিদা।
গাড়ি থেকে নেমে ওদের কাছে যেতেই ইতি আমাকে জরিয়ে ধরলো।
আন্টি- মা আমার নাতনি বাড়িতে গিয়ে সারাদিন শুধু তোমার কথাই বলে। আর ওর কালকে জন্মদিন এই নাও কার্ড তোমাকে কিন্তু আসতেই হবে। ও তোমার কথা এত বলে যে আমার ছেলেও রিকুয়েষ্ট করেছে তোমাকে যেতেই হবে।
আমি- আচ্ছা আন্টি যাবো।
তারপর দু’জনেই একটা দোকান থেকে আইসক্রিম কিনলাম আর হাত ধরে রাস্তার পাশে হাটছি আর খাচ্ছি সাথে ছোট ইতি খিলখিল করে হাসছে সাথে আমিও হাসছি ওর হাসি দেখে। আর আমাদেরকে মুগ্ধ নয়নে দেখছে আন্টি। না জানি কি ভাবছে মনে মনে।
তারপর চলে আসি।
পরেরদিন হাসপাতাল থেকে বাড়ি তাড়াতাড়ি চলে আসি।
তেমন সাজগুজ করিনি শুধু চুল বেঁধেছি আর শাড়ি পরেছি আজ ছয় বছর পর আবারও শাড়ি পরতে ইচ্ছে হলো তাই পরলাম।
বাড়ি থেকে বেরিয়ে মার্কেটে চলে আসি আর ওর জন্য খুব সুন্দর দেখে একটা গিফট কিনি।
গিফট নিয়ে আবারও গাড়িতে উঠি আর চলে আসে ওর বাড়িতে।
ভালোই বড় করে অনুষ্ঠান করেছে বাড়ি সাজানোও খুব সুন্দর হয়েছে।
ভেতরে ঢুকতেই ইতি না জানি কিভাবে আমাকে দেখে ফেলছে আমাকে দৌড়ে এসে জরিয়ে ধরে।
সামনে আন্টি দাঁড়িয়ে আছেন।
আমি ইতির সামনে হাঁটু গেঁড়ে বসে আছি আর ওর গাল চেপে ধরছি।
পেছন থেকে~
– ইতির মুখে আপনার কথা অনেক শুনেছি কিন্তু আপনার সাথে কখনো কথা-ই হয় নি।
ছোট ইতির আব্বুর ভয়েস শুনে থমকে গেলাম।
আমি- স্যা.র স্যার.?
কোনো ভাবে উঠে দাঁড়িয়ে দাঁড়ালাম।
সাহস হচ্ছে না পেছনে তাকাতে তবুও তাকালাম।
পেছনে তাকাতেই ৪২০ বোল্টের শকট খেলাম।
দুই চোখ বেয়ে অঝড়ে পানি পরছে।
আমি- স্যার. আপনি।
পাশ থেকে ছোট ইতি।
– আব্বু। বলেই আমার হাত ছেড়ে দিয়ে স্যারকে গিয়ে জরিয়ে ধরে।
আমি- আব্বু?
ছোট ইতি- মিতা তুমি কাঁদছো কেনো?
স্যার নিশ্চুপ হয়ে তাকিয়ে আছেন আমার দিকে।
আর আমার চোখ বেয়ে পানি পরছে।
আন্টি- কি বললে তুমি স্যার?
আন্টির দিকে ঘুরে তাকালাম।
আন্টি- মা তুমি কাঁদছো কেনো?
আন্টির থেকে মুখ সরিয়ে দৌড়ে বেরিয়ে আসলাম।
বাহিরে এসে।
আমি- ড্রাইবার আঙ্কেল গাড়ি স্টার্ট দাও! বলেই দুই হাত মুখ চেপে কেঁদে দিলাম।
ড্রাইবার আঙ্কেল- মামনি কি হয়েছে তোমার মা কাঁদছো কেনো?
আমি- আঙ্কেল গাড়ি চালাও প্লিজ।
বাড়িতে এসেই দৌড়ে উপরে চলে আসলাম।
রুমে ঢুকে দরজা আটকে দিলাম।
চিৎকার করে কাঁদছি।
আব্বু আম্মু আমাকে পেছন থেকে অনেক ডেকে ছিলো সারা না পেয়ে পেছন পেছন উপরে।
To Be Continued?

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here