#কাজের_মেয়ে
#Jannat_Mim
#পর্বঃ১৯
আপনি তো কথাই বইলেন না।কিছু করতে না পেরে পালাইছেন।এটা কোনো কথা??(মীম)
কই পালাইছি? আমি বললাম না আসতেছি। এই দেখ খেলনা নিয়ে আসছি নিচ থেকে।যেন এগুলা পেয়ে চুপ হয়ে যায়।তাতো দেখি তুমি এখানে ভুমিকম্প শুরু করে দিছো। আমি তো ভয়ই পেয়ে গেছিলাম যে বারিটা না আবার ভেঙে পরে যায়।(নাদিম)
তো আমি কি কোরতাম?আপনি আসতে ছিলেন না দিয়াও চুপ হচ্ছিল না।আর আপনি এসেই যখন ছিলেন ভেতরে না এসে চোরের মতো দারিয়ে ছিলেন কেন??
তোমার কান্ড দেখছিলাম যে একটা মেয়ে কতোটা পাগল হতে পারে।
আপনি,,,
আর কিছু বলার আগেই ছাদ আর দিয়া মীম এ-র হাত ঝাকিয়ে বলা শুরু করলো আবারও করো আবারও করো। মীম তো পড়ছে আচ্ছা ঝামেলায়। নাদিম সামনে বসে আছে সে কিভাবে পাগলা নাচ দিবে।এমনিতেই লজ্জায় পরে আছে আগের বারের টা দেখে ফেলায় আবার নাকি আবার ও করতে হবে।
কি হলো শুরু করো। শুনতে পাচ্ছো না ওরা কি বলছে।তারাতাড়ি শুরু করো নাও।
আপনি এখানে বসে কি করছেন? না আমার কোন কাজে লাগছেন শুধু শুধু বসে থেকে লাভ আছে? আপনি বরং চো আপনার ঘরে যান। ওদের আমি সামলে নিব।
তূমি কি আমাকে দেখে লজ্জা পাচ্চো(দুষ্টু হাসি দিয়ে)
আ, আপনাকে দেখে লজ্জা পাওয়ার কি আছে।
তাহলে শুধু করো।(ভাল হয়ে বসতে বসতে)
না।
না কেন??
দেখুন এতো কথা জানি না হয় আপনি ওদের সামলান নাহয় আমাকে করতে দিন।
আমি কি তোমাকে না করছি?
কিন্তু বিরক্ত তো করছেন।আপনি না গেলে আমি এভাবেই দারিয়ে থাকবো ওরা যত খুশি কাদুক বেছ এটাই আমার শেষ কথা।
আহা বললেই তো পারো যে লজ্জা পাচ্ছো। এতো নাটক করার কি আছে?আচ্ছা যাচ্ছি নাও তুমি তোমার পাগলা ড্যান্স শুরু কিরে দাও। হা হা হা
[আকাইম্মা বাদর একটা হুহহ]
কিছু খন পরে নাদিয়া আর রুবিনা বেগম ফিরে এলো। অনেক শপিং করে এনেছে।অনেক গুলো ব্যাগ হাতে।তারপর সব গুলো মেলে আবার দেখা শুরু করলো।রুবিনা বেগম মীমকে একটা ব্যাগ দিয়ে বললো,,
এইনে এটা তোর জন্য।
আমার জন্য??কিন্তু আমার জন্য আনার কি দরকার ছিল।
দিয়ার জন্মদিন এ-র অনুষ্ঠান হবে বারিতে।তখন লাগবে অনেক মানুষ আসবে। নে ধর।
মীম নিয়ে নিল।[দিয়ার জন্মদিন এ-র অনুষ্ঠান? অনেক মানুষ আসবে।মানে আবার ঝামেলা অনেক কাজ। ওরে বাবা আয়া]ব্যাগ হাতে নিয়ে ভাবছে মীম।নাদিয়া একটা ব্যাগ নিয়ে গেল নাদিম এ-র ঘরে।
কিরে আসবো?
আপু তুমি আবার পারমিশন নিচ্ছো?
এই নে দেখতো পছন্দ হয় কিনা।
ওয়াও অনেক সুন্দর হইছে তো শার্টটা।
আসলে,,
চলবে,,