#কাজের_মেয়ে
#Jannat_Mim
#পর্বঃ২১
নিজের বাড়ি থাকলেও কথা ছিল।কিন্তু এই অচেনা অজানা মানুষদের মাঝে কি করে কি করবে ভেবে পাচ্ছে না সে।
সবাই খেতে বসেছে সকালের নাস্তা।মীম ছাদকে খাইয়ে দিচ্ছে।সেদিন এ-র পর থেকে তাদের ভাব হয়ে গেছে।নাদিম, নাদিয়া, আকরাম সাহেব, রুবিনা বেগম ওরা টেবিল এ খাচ্ছে।ছাদকে খাওয়াতে গিয়ে মীম এখনো খেতে পারেনি।অনেক সময় লাগায় ছেলেটা।
দেখতে দেখতে ১২ টা বেজে গেছে। কাজের চাপে মীম এখন খেতে পারেনি।ছুটোছুটি করে এটা ওটা করেই যাচ্ছে।এর মধ্যে নাদিম এ-র গলা,,
এতো ছুটোছুটি করছো কেন?দেখে মনে হচ্ছে তুমি ছাড়া কাজের আর কেও নাই।
আছে নাকি? আপনি তো সেই কখন খেয়ে টেয়ে নাকে তেল দিয়ে গুমাচ্ছেন।
তোমার মুখে মুখে তর্ক না করলে হয় না না?? নিজেকে কি ভাব তুমি হে?এতো কথা বলার সাহস পাও কিভাবে আমি তো তাই বুঝি না।
হে খালি আমার সাহসই দেখেন।নিজেদের কিছু দেইখেন না।আমি কাজ কম করলেও দোষ আবার বেশি করলেও দোষ।(অনুরাগ করে)
খেয়েছো কিছু(নরম হয়ে)
সময় পেলে তো।
আরোতো লোক আছে তোমাকে একাই সব করতে হবে নাকি?আগে খেয়ে নাও যাও।
পরে খায়ে নিবনি।
হে এই করে করে সবাইকে দেখাও যে আমারা আমাদের বাড়ির কাজের মেয়েকে খেতে না দিয়ে শুধু কাজ করাই।(রেগে)
আজব তো।
চুপ,,যাও বলছি (ধমক দিয়ে)
এগুলো কে করবে তাহলে? অন্য সবাই এখন যার যার কাজে বেস্ত।
আমি করে দিচ্ছি।
এ্যায়ায়া
মাথা কিন্তু গরম কইরো না। (চোখে রাগ নিয়ে)
আচ্ছা আচ্ছা এখুনি যাচ্ছি।আপনার গরম মাথা আর গরম করতে হবে না।
বলেই মীম খাবারের দিকে গেল।নাদিম মীম এ-র রেখে যাওয়া কাজ গুলো করতে লাগলো।দুপুরের পর থেকে বাড়িটা আরও ভরে গেছে।অনেকে এসে গেছে।নাদিম এ-র বন্ধুরাও সবাই আসছে।আসার কিছুখন পর সাজিদ মীমকে দেখতে পেয়ে,,
হেই মীম কেমন আছো??
আরে সাজিদ ভাইয়া!আমি ভাল আপনি??(মিষ্টি হেসে)
আমিও ভাল।কি করছো??
তেমন কিছু না। একটু দেখছিল সব কেমন হলো।আপনারা কখন আসছেন?
কিছুখন আগে।এসে থেকে দেখছি তুমি বেস্ত।তাই এখন কথা বলতে আসলাম।(মুখে হাসি টেনে)
আচ্ছা।(লম্বা হাশি দিয়ে)
কি হচ্ছে এখানে?? (নাদিম)
কিছু না একটু কথা চলছে আরকি।(সাজিদ)
মীম তোমার আর কাজ নাই??
আপাতত তো আর নাই
আমার চা খেতে মন চাচ্ছে
কিছুখন আগে না খেলেন
আবার খাবো তোমার কোন সমস্যা??
সারাখন মেয়েটাকে দিয়ে এত কাজ না করালে কি হয় না?(সাজিদ আস্তে আস্তে)
খুব বেশিই মায়া লাগছে তোর তাই না।
আরে,,তোকে কিছু বলাই বেকার
চলবে,