#প্রনয়
#নুসরাত সুলতানা সেজুতি
পর্ব–৩১
সেঁজুতি থম মেরে দাঁড়িয়ে আছে।মাত্রই কর্নকুহর হলো আবিরের সাথে বিয়েটা হচ্ছেনা।হতভম্ভ হয়ে একবার বাবাকে দেখছে তো আরেক বার হোসাইনকে। দুজনেই মাথা নিঁচু করে রেখেছেন।বিয়ের সিদ্ধান্ত টা যে তাদের যূগল পাঁকামোর ফল তাতো এড়াবার জো নেই।
“তোমরা প্লিজ আমাকে একটু ক্লিয়ার করে বলবে সবটা? কোনও সমস্যা হয়েছে কি?
জবাবে চুপ থাকলো আমির।মেয়ের রাগ কে ভীষণ ভয়।হোসাইনের ওপর দ্বায় দিয়ে চুপ থাকাই শ্রেয় এই মুহুর্তে। ওপর নিচ হালকা মাথা দোলালেন হোসাইন।
সেঁজুতি ভ্রু কুঁচকে বলল,
“কি হয়েছে?
” আবির বিয়ে করতে পারবেনা।ও বিবাহিত।
সেঁজুতি চমকে ওঠে।চোখ পিটপিট করে বলল,
“কী বলছো?
“হ্যা। এক বছর আগে সিঙ্গাপুরের এক মেয়েকে ভালোবেসে বিয়ে করেছে।আর কালই মেয়েটাকে বাড়িতে নিয়ে এসেছে।মেয়েটা প্রেগন্যান্ট।
সেঁজুতি কিছুই বুঝলোনা,
“এক বছর আগে বিয়ে করেছে? তবে ও বিয়েতে রাজী কেনো হয়েছিলো?
” সেসব বলছেনা।জিজ্ঞেস করলে বলেছে তোকেই বলবে।জানিস, মেয়েটা অন্যান্য বিদেশী মেয়েদের মতো নয়।বেশ ভদ্র,আর আবিরের জন্য মুসলিম হয়েছে।এরপরেও কি করে না মেনে নিয়ে থাকতে পারি বল??
হোসাইনের চোখেমুখে অসহায়ত্ব। সেঁজুতির রাগ হচ্ছে আবিরের ওপর।বিয়ে করবেনা আগে বলতে পারলোনা?শুধু শুধু এত কষ্ট পেলো সে।আবার খুশিও লাগছে বিয়ে হবেনা ভেবে।এটাইতো চাইছিল ও।কিন্তু ভেতরের খুশিটা ধরা দিলোনা কাউকে।মেকি দুঃখি ভাব নিয়ে বলল,
“বিয়ে যখন করেছে মেয়েটা তোমার বাড়ির বউ।মেনে না নিয়ে যাবে কোথায়?আর সব থেকে বড় কথা, ভালোবাসে ওরা দুজন দুজন কে।
“কিন্তু আমি তো চেয়েছিলাম তুই আমার পুত্র বধু হবি। হোসাইন মন খারাপ করে বললেন।
সেঁজুতি বিড়বিড় করলো ‘ খুব বাঁচা বেচেছি। মনের বিরুদ্ধে গিয়ে বিয়ে করা যে কী কঠিন! তুমি জানবেনা আঙ্কেল।মুখে বলল,
“আল্লাহ হয়তো চাননি,,ওনার মর্জিই তো সব।
আমির পাশ থেকে বললেন,
” হ্যারে মা, তোর রাগ হচ্ছেনা আমাদের ওপর?
সেঁজুতি সোজাসাপটা বলল,
— না।তোমাদের ওপর হচ্ছেনা।তবে আবিরের ওপর মারাত্মক রাগ লাগছে।এক বছর আগেই বিয়ে করে এত নাটক করলো কেন?আর আগেই বা এসব জানালো না কেনো?
হোসাইনও মেজাজ নিয়ে বললেন,
‘হতচ্ছাড়াটাকে তো মারতেও পারিনি নতুন বউয়ের সামনে।তবে আমি ওর সাথে কথা বলা একেবারেই বন্ধ করে দিয়েছি।ঠিকই তো, বিয়ে করেছিস তো বাসায় জানাবিনা?,তোর সাথে ওর বিয়ে নিয়ে আমরা আগাতাম তাহলে? সমস্ত আত্মীয় স্বজনরা জেনে গিয়েছেন।আমাদের সন্মান থাকলো কই?
“বাদ দাও।যা হবার হয়েছে।
“আচ্ছা আমাকে একটা কথা বলবি?
” বলো!
হোসাইন আশাবাদী কন্ঠে বললেন,
“তুই তো আমাকে তোর বাবার মতোই ভাবিস তাইনা?
সেঁজুতি হেসে ফেলল,
“বাবার মতো ভাবিইনা।বরং ভালো ও বাসি।
হোসাইন মুগ্ধ হাসলেন।আমিরের দিক তাকালেন।আমির ও হাসছেন খুশিতে।হোসাইন সেঁজুতির দিক ফিরলেন,ওর হাত দুটো মুঠোয় নিয়ে বললেন,
“আমার একটা অনুরোধ রাখবি?
” এভাবে বলার কী আছে আঙ্কেল?বলোনা কি বলবে!
হোসাইন খানিক সময় নিয়ে বললেন,
“ওই তারিখেই তোর বিয়েটা দিতে চাই আমরা।
সেঁজুতি চকিতে তাকালো। স্তব্ধ সে।হোসাইনের মুঠো থেকে হাত দুটো বিদ্যুৎ বেগে বার করে আনলো।অস্পষ্ট আওয়াজে বলল
“কি!
হোসাইন আশা ছাড়লেন না।জ্বিভ দিয়ে শুকনো ঠোঁট ভিজিয়ে বললেন,
“আমার কলিগ মিস্টার মেহরাব।যিনি তোর বাবার ট্রিটমেন্ট করিয়েছিলেন? ওনার ছেলে রাফসানকে আমি ছোট বেলা থেকে চিনি।প্রতিষ্ঠিত, দেখতে ভালো,ভদ্র।তোকে সব দিক থেকে সুখে রাখবে।
সেঁজুতি বাকরুদ্ধ।একবার বাবার দিক তাকালো।আমির আশা নিয়ে চেয়ে আছেন।অপেক্ষা করছেন মেয়ের উত্তরের।সেঁজুতি ক্ষীন স্বরে বলল,
” কি বলছো এসব আংকেল?চেনা নেই জানা নেই৷ কে না কে?
হোসাইন ব্যাস্ত কন্ঠে বললেন,
” চেনা নেই তো চিনে নিবি।বিশ্বাস রাখ মা,রাফসান খারাপ ছেলে নয়।ও সত্যিই ভালো।খারাপ হলে কী আমি তোর সাথে ওর বিয়ে ঠিক করতাম?
আমি নিজে কথা বলেছি ওর সাথে।
সেঁজুতি গলায় দলা পাঁকানো কান্না কোনো রকম রোধ করে বলল ‘
” এটা হয়না।
“কেনো হয়না রে মা?আমারও ইচ্ছে আর তোর বাবারও!
সেঁজুতি বাবার দিক চেয়ে বলল ‘ তুমিও তাই চাও?
আমির নরম কন্ঠে বললেন
” এছাড়া এখন আর উপায় নেই রে সেঁজুতি। তোর আঙ্কেল কার্ড বিলিয়েছেন।ওর সন্মান জড়িয়ে এখানে।তাছাড়া ওর ওপর আমার আস্থা রয়েছে।ও নিশ্চয়ই তোর যোগ্য কাউকে বেছে আনবে।
সেঁজুতির খুব বলতে মন চাইলো,’ আর আমার ইচ্ছে?তার কোনো দাম নেই?যাকে জীবনে কোন দিন দেখিনি তাকে বিয়ে করব?আর যাকে ভালোবাসি ভুলে যাব তাকে?কী করে পারব?
কিন্তু বলা হলোনা।জ্বিভ অসাড় হয়ে এলো ।রুদ্র ঠিক থাকলে হয়ত বিয়ের বিষয় এতদূর গড়াতোইনা।প্রথম দিনই বাবাকে জানাতো, সে অন্য কাউকে মন দিয়ে বসেছে।
আমির মেয়েকে নিরুত্তর দেখে দীর্ঘশ্বাস ফেললেন,
” তোকেতো আমি কতবার জিজ্ঞেস করেছি,কাউকে পছন্দ কীনা।তুই কোনো উত্তর দিলিনা।তাহলে বিয়ে তুই আমার ইচ্ছেতেই করতে চাচ্ছিস,আমি এরকমই ধরে নিয়েছি।তবে আপত্তি কোথায়?যদি তোর জীবনে অন্য কেউ থাকতো আমি কখনওই এমন সিদ্ধান্ত তোর ওপর চাপাতাম না। নেই যখন,কেন অমত করছিস মা?কত লোক জেনে গিয়েছে কাল বাদেই তোর বিয়ে।সেখানে বিয়েটা না হলে যে আমাদের দুজনার সন্মানই শেষ।
সবই এখন তোর হাতে।
সেঁজুতি পাথরের মত দাঁড়িয়ে রইলো।ফর্সা চেহারা কেমন ফ্যাকাশে দেখাচ্ছে।জ্বিভ ঠেলে বের হতে চাইছে রুদ্রর নাম।কিন্তু পারছেনা।ওই যে,ভরসার খাতা শূন্য।আবেগের বশে জীবনে এমন কাউকে জায়গা দেবেনা যার মধ্যে চরিত্রের ছিটেফোঁটাও নেই।
আমির হোসাইন একে অন্যকে দেখছেন।মেয়ে কী রাজি হবে?হোসাইন নম্র কন্ঠে শুধালেন,
” কিরে মা! কিছুতো বল।তুই কী রাজি?
সেঁজুতির উত্তর এলো সময় নিয়ে।কোনও রকম বলল,
” যা খুশি করো।
সেঁজুতি আর দাঁড়ালোনা।কাউকে কিছু বলার সূযোগ ও দিলোনা।দৌড়ে বেরিয়ে গেলো ছাদের উদ্দেশ্যে।
—
একটু পরপর পায়ের ওপরে ওঠানো পা টা নাড়াচ্ছে রুদ্র।নীঁচের ঠোঁট চেপে ধরে গভীর চিন্তায় মগ্ন সে।একীরকম চিন্তিত উপস্থিত প্রত্যেকে। আবির শুধালো,
“এই রাফসানের চ্যাপ্টার টা মাঝখানে কিভাবে এলো বলুন তো!
রুদ্র গম্ভীর কন্ঠে জবাব দেয়
” নো আইডিয়া।
“কি করবেন এখন?আপনার কথা মতো সবই তো করলাম।আর প্ল্যান অনুযায়ী সব পার্ফেক্টলি এগোচ্ছিলোও।মাঝখানে বাবা সব ঘেটে দিলো একেবারে।
কথাটা বলে একটু দম নিলো আবির।বেশ উতলা সে।রুদ্র তার এত বড় উপকার করলো আর সে কীনা কিছুই করতে পারছেনা ওর জন্যে?
“আচ্ছা মি:রুদ্র এক কাজ করলে হয়না?
রুদ্র সরু চোখে তাকালো, আবির উদ্বগ নিয়ে বলল,
আবির গমগমে কন্ঠে বলল,
” আমরা যদি রাফসান ব্যাটাকে হুমকি -ধামকি দেই?সিলেটে আমাকে যেমন মারতে লোক পাঠিয়েছেন ওরকম।লোক দিয়ে ওকেও যদি মারি?বিয়েটা না করতে বলি?ব্যাটা নিশ্চয়ই ভয় পেয়ে পালাবে?কি কেমন আইডিয়া দিলাম বলুন?
“ভেরী ব্যাড আইডিয়া মিঃআবির।
হঠাৎ পাশ থেকে বলে উঠলো অভ্র।দুহাতে দুটো কফির মগ। মাত্রই এসে দাঁড়িয়েছে।একটা মগ আবিরের দিকে বাড়িয়ে বলল,
“কফি চলবে?
“নো থ্যাংকস!
“কষ্ট করে এনেছি যখন নিয়েই নিন।
আবির রুদ্রকে দেখিয়ে বলল,
‘ ওনাকে দিন।
“ভাই এই সময় কফি খায়না।এটা আপনার জন্যেই এনেছিলাম আমি,নিন।
আবির নিলো।ছোট একটা চুমুক দিয়ে অভ্রর দিকে তাকালো।হেসে বলল,
” বাহ! ভালো বানিয়েছেন।
অভ্র পাশে বসতে বসতে জবাব দেয়,
-“থ্যাংক ইউ!তবে আমি বানাইনি,সার্ভেন্ট বানিয়েছে,,আমি নিয়ে এসেছি মাত্র।
আবির হেসে উঠলো স্বশব্দে।পরক্ষনে রুদ্রর চিন্তিত মুখ দেখে হাসি থামিয়ে ফেলল।অভ্রকে শুধালো,
“,আমার আইডিয়া টা খারাপ কেনো? বললেন না যে…
অভ্র কপালের পাশ চুলকে বলল,
” খারাপ এই জন্যে, রাফসান কে আপনি হুমকি দিয়ে বিয়ে করতে আটকাবেন।দুনিয়াতে আরো অনেক ছেলে আছে আবির,কতোজন কে আর ধরে রাখতে পারবেন আপনি?
আবির মাথা নেড়ে সহমত পোষণ করলো। ঠিক কথা।
“তাহলে আমাদের কি করা উচিত এখন?
‘ আপাতত কিছুই করবোনা।সব টাই সেঁজুতির ওপর ছেড়ে দেবো।
এ পর্যায়ে রুদ্র মুখ খুলল,ভ্রু কুঁচকে বলল,
‘পরিষ্কার করে বল।
রুদ্রর আগ্রহে অভ্র উৎসাহ পেলো।মুখে রাখা কফিটুকু গিলে বলল,
” লিসেন ভাই!তুমি হয়তো সেঁজুতির জন্যে ঠিক করা প্রত্যেক টা ছেলেকে সরিয়ে বিয়ে আটকাতে পারবে।সে ক্ষমতা তোমার রয়েছে।অথবা চাইলে সেঁজুতিকে তুলে এনে জোর করে হলেও ওকে নিজের করতে পারবে। কিন্তু এতে কি সেঁজুতির ভালোবাসা পাবে তুমি?? পাবেনা।বরং ওনার থেকে তোমার দুরুত্ব আরো বাড়বে
রুদ্রর মুখে ঘন কালো আঁধার নামলো।অভ্রর প্রত্যেকটা কথাই ঠিক।মৃদূ কন্ঠে বলল,
‘ তাহলে কি করতে বলছিস?
রুদ্রর গলাটা অভ্রর কাছে কেমন অসহায় শোনালো।ভালোবাসলে মানুষ এতটা অসহায় হয় বুঝি?অভ্র উঠে এসে রুদ্রর কাঁধে হাত রাখলো।
‘ ওনাকে সময় দাও ভাই।আবিরের ধারনা সত্যি হলে সেঁজুতি তোমাকে ভালোবাসে।আর ভালোবাসলে উনি নিশ্চয়ই সব ছেড়েছুড়ে ফিরবেন।
কি মিস্টার আবির, ঠিক বলছি তো?
আবির মাথা দোলালো,
— হ্যা। একদম,সত্যি বলছি। এ কদিনে সেঁজুতিকে দেখলে বুঝতে পারতেন।যতবার আমার সাথে বেরিয়েছে,রাস্তায় কাউকে দুর থেকে দেখলেও ভাবতো ওটা আপনি।ইনফ্যাক্ট আমাকে ডাকতে গিয়ে স্যার ডেকে ফেলতো।কতো টা কষ্টে যে
হাসি চাপিয়ে রাখতাম তখন।
রুদ্র সূক্ষ্ণ হাসলো।শান্তি পেলেও স্বস্তি মিললোনা।আবিরের ধারনা যদি ভুল হয়?সেঁজুতি যদি না ফেরে?কিন্তু শেফালি যে বলেছে সেঁজুতি কাঁদছিলো?কেন কাঁদছিলো মেয়েটা?আমার জন্যে?নাকী বাবাকে ছেড়ে যাবে সেজন্যে?রুদ্রর চিন্তার ধ্যান কাটে অভ্রর কথায়,
” ইয়েস! এই জন্যেই বলেছি সেঁজুতির ওপর ব্যাপারটা ছেড়ে দিতে।দেখা যাক না উনি কি করেন?
আবির সন্দেহী কন্ঠে বলল,
” কিন্তু দেখতে গিয়ে যদি বিয়ে টা হয়ে যায়?
‘ হবেনা।শেষ সময়েও যদি দেখি অপেক্ষার ফল শূন্য। তবে আপনার পদ্ধতিই কাজে লাগাবো না হয়।
অভ্রর কন্ঠ দৃঢ়,আবির উদ্বীগ্ন হয়ে বলল,
-” আরে এতো সময় আপনি পাচ্ছেন কই?কাল বাদে পরশুই বিয়ে।
‘ ব্যাপার না।সময় মতো সব সেট করে ফেলব।
কি ভাই ভালোবাসায় ভরসা আছে না তোমার?
রুদ্র উঠে দাঁড়ায়।চুল গুলো পেছনের দিক ঠেলে গাম্ভীর্য নিয়ে বলল,
” আমি দেখতে চাই সেঁজুতি ঠিক কি করেন?উনি চাইলে বিয়ে করে নেবেন।আমি জোড় করে ওনাকে পেতে চাইনা।ভালোবেসে পেতে চাই।অবশ্য আমার ভালোবাসার মানুষ গুলো আমার থেকে সব সময়ই দূরে চলে যায়।এটাতো নতুন নয়।অন্যান্যবারের মতোন এবারো হজম করে নেবো না হয়!বিগড়ে যাওয়া রুদ্রটাই আবার ফেরত আসবে।ক্ষতি কি?
শেষ কথাগুলোয় রুদ্রর গলা ভেঙে এলো।অভ্র আবির দুজনেই মুখ কালো করে দেখলো রুদ্রর চলে যাওয়া।দুজনেরই খারাপ লাগছে।অভ্রর কষ্ট হচ্ছে।ভাইয়ের জন্যে কী কিছুই করতে পারবেনা ও?মনে মনে দৃঢ় সংকল্প নিলো,
‘ তোমার ভালোবাসাকে ব্যার্থ হতে আমি দেবনা ভাই।একবার যে অন্ধকার,নারীসঙ্গ থেকে তুমি বেরিয়েছ কিছুতেই ও পথে ফিরতে দেবনা।সেঁজুতি তোমাকে অনেক বদলেছে।তোমার গম্ভীরতা ঠেলে ভেতর থেকে প্রানচ্ছ্বল তুমিটাকে টেনে বের করেছে।কী করে আবার আগের মতো হতে দেই তোমাকে?জীবনে প্রথম বার কাউকে ভালোবেসেছো তুমি।ব্যার্থ হবেনা।আমি যেটুকু বুঝছি তাতে সেঁজুতি তোমাকে ভুল ভাবছে।আর ওনার সেই ভুল টাই ভাঙাতে হবে আমাকে।আমার জন্যে অনেক করেছো ভাই ,,আর তোমার জন্যে যদি এইটুকু করতে না পারলাম,তবে কেমন ভাই মেনেছি তোমাকে আমি?
চলবে।