#বৃষ্টিময়_প্রেম
#পর্বঃ৬০
#লেখনীতে- তাসফিয়া হাসান তুরফা
গেটধরা শেষ হলো তুমুল ঝগড়ার মধ্য দিয়ে। ছেলেপক্ষ-মেয়েপক্ষের কথা কাটাকাটিতে গুঞ্জিত হলো চারপাশ। কিন্তু এসবে ঠিকমতো মনোযোগ দিতে পাচ্ছিলাম না তখনকার সেই ছেলেটার জন্য! একটু পরপরই তাকাচ্ছে৷ ওর চাহনিতে বিরক্ত লাগায় টাকা আদান-প্রদান শেষে একটু ফাকা জায়গায় এসে দাড়ালাম। পূর্ণর কাছে যাবো ভেবে পা বাড়াতেই আবারো সামনে এলো ছেলেটি। ত্যক্তবিরক্ত কণ্ঠে বলেই ফেললাম,
—আহহা আপনি আবার এসেছেন যে?
—ডিস্টার্ব করার জন্য সরি। তবে আপনাকে কিছু বলতে চাচ্ছিলাম, মিস তুরফা।
—দেখুন আমি মিস নই, মিসেস। তাই অন্যকিছু বলার আগে এটা জেনে রাখুন।
—যা দুষ্টু মেয়ে, একটু বিরক্ত করছি বলে মজা করছো তাই না? আমি কিন্তু সিরিয়াসলি কথাটা বলতে চাইছি।
—আশ্চর্য! আমি আপনার সাথে মজা করবো কেন বলেন তো? আমিও সিরিয়াসলিই বলছি!
—তোমরা এখানে কি করছো? এই ফারদিন, তুই তুরফাকে চিনিস?
দুজন সেদিক তাকাতেই চোখ পড়লো সামা আপু ও তার গ্যাং এর উপর। সবাই এদিকেই আসছে। সামা আপুর কথা শুনে বুঝলাম ছেলেটার নাম ফারদিন, আর ছেলেটা রায়হান ভাইয়ার পাশাপাশি সামা আপুরও বন্ধু হবে হয়তো, অন্তত কথা শুনে তো তাই মনে হচ্ছে! যা ভেবেছিলাম তাই হলো। ফারদিন হেসে বললো,
—আরে নাহ। চিনিনা দেখেই তো পরিচিত হতে চাচ্ছি। ইউ নো?
চোখ টিপে বললো ছেলেটা। সেদিক হেসে সামা আপুও তাল মিলিয়ে বললো,
—আইডিয়া খারাপ নাহ, পরিচিত হতে পারিস। মেয়ে কিন্তু ভালো আছে। রাইসার বান্ধবী এবং চাচাতো ননদ হয়।
—তাই নাকি? এজন্যই বোধহয় দুই পক্ষ বলছিলে তখন তাইনা? বাই দ্যা ওয়ে, তোমাকে খুব সুন্দর লাগছে কিন্তু৷
এদের কথায় বেশ বিরক্তবোধ করলাম। আমার সম্পর্কে পুরোপুরি না জেনে একজন ইচ্ছেমতো বলছে আরেকজন মনের সুখে ফ্লার্ট করছে! কখন যে পূর্ণ এদিকে চলে আসেন কে জানে!
—খুব সুন্দর লাগছে। আচ্ছা, তারপর?
হঠাৎ করেই পূর্ণর প্রগাঢ় আওয়াজে থেমে গেলো ফারদিন। ভয়ে-বিস্ময়ে জমে গেলাম আমি! যেখানে বাঘের ভয় সেখানেই সন্ধ্যা হয়, প্রবাদটির সারমর্ম হারে হারে উপলব্ধি করলাম যেন! অপরদিকে, ফারদিন আমার থেকে দৃষ্টি সরিয়ে ড্যাবড্যাব করে চেয়ে রইলো শক্ত চোয়ালে মুষ্টিবদ্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা পূর্ণর দিকে। খানিকক্ষণ ভ্রু কুচকে উনার দিক তাকিয়ে জিজ্ঞেস করলো,
—আপনি কে? আর আমাদের দুজনের মাঝখানে কথা বলছেন কেন?
—এটা পূর্ণ ভাই, রাইসার ভাসুর। তুরফার কাজিন। চাচাতো ভাই, ইউ নো?
পাশ থেকে পূর্ণর দিকে একদৃষ্টিতে চেয়ে থেকে বললেন সামা আপু, তার চোখেমুখে এখনো পূর্ণর প্রতি মুগ্ধতার ছাপ স্পষ্ট! কিন্তু পূর্ণর সেদিকে ধ্যান নেই, উনি বেশ রাগী চোখে তাকিয়ে আছেন আমার দিকে। তার মধ্যে উনাকে আমার ভাই বলায় যেন এতক্ষণের রাগের অগ্নিতে ঘি ঢাললেন সামা আপু। পূর্ণ কিছু বলার আগেই সবকিছু শুনে ফারদিন ছেলেটা পুনরায় আমার দিকে ফিরে বললো,
—তুরফার বড় ভাই? হ্যান্ডসাম ম্যান আই সি। তো হ্যাঁ, যা বলছিলাম। ইউ আর ভেরি প্রিটি, মিস তুরফা। আমি জানি তুমি নিশ্চয়ই আমাকে হ্যাংলা ছেলে ভেবে ম্যারিড হওয়ার কথা মিথ্যা বলছো, তাই তো? ডোন্ট ওয়ারি। আমি সেরকম ছেলে নই, প্রথম দেখাতেই তোমাকে খুব ভালো লেগে গেছে তাই পরিচিত হতে চাচ্ছিলাম আগে। তবে তুমি চাইলে আমি তোমার পরিবারকে সরাসরি বিয়ের প্রস্তাবও দিতে পারি। মিস্টার পূর্ণ, আপনি যদি চান তবে আপনার বোনকে আমি…
ব্যস! সব শেষ! ফারদিনের কথা শুনে আতঙ্কে আঁতকে উঠলাম! যেটার ভয় ছিলো সেটাই হলো। পূর্ণর ধৈর্যের সমস্ত বাধ ভেঙে গেলো যেন। সবার সামনেই কলার চেপে ধরলেন ফারদিনের। শক্তপোক্ত আওয়াজে শীতল চাহনিতে বিকটভাবে ধমকিয়ে বললেন,
—হাউ ডেয়ার ইউ? তুমি কি জানো তুরফা আমার কে? ফার্স্ট অফ অল, একটা কথা ভালোভাবে মাথায় সেট করে নেও যে, ওর বিয়ে হয়ে গেছে। এন্ড শি ইজ নট মাই সিস্টার এনিমোর। বিকজ নাউ শি ইজ মাই ওয়াইফ। আর তোমার ভাগ্য ভালো যে তুমি অচেনা মানুষ, আমাদেরই অনুষ্ঠানের আমন্ত্রিত এক মেহমান দেখেই এতক্ষণ চুপচাপ কন্ট্রোল করছিলাম নিজেকে ও নিজের রাগকে! কিন্তু তোমার শেষের কথাগুলো শুনে আর থামতে পারিনি। আমার সামনে, আমার কাছেই, তুমি আমারই বউকে বিয়ে করার জন্য প্রস্তাব দিচ্ছো? হাও ফানি!
উনার চাপা গলার গর্জনে চমকে উঠলো সবাই। আমাদের বৈবাহিক সম্পর্কের কথা শুনে চোয়াল ঝুলে পড়লো সামা আপুর, রাইসার বাকি কাজিনরাও বড়বড় চোখে পূর্ণর দিক তাকিয়ে আছে। সবশেষে আহত গলায় ফারদিনের আওয়াজ,
—হোয়াট? আর ইউ সিরিয়াস? আপনারা দুজন সত্যিই স্বামী-স্ত্রী?
ছেলেটার চোখেমুখে বিস্ময়, দেখে বুঝা যাচ্ছে এমনটা আশা করেনি সে! এদিকে তার প্রশ্নে পূর্ণর গম্ভীর মুখ আরেকটু থমথমে হয়ে গেলো। চোখমুখ শক্ত করে তীক্ষ্ম কণ্ঠে পাল্টা প্রশ্ন ছুড়লেন,
—আমাকে দেখে মনে হচ্ছে আমি মজা করছি?
ফারদিন কিছু না বলে মনোযোগ দিয়ে উনাকে পর্যবেক্ষণ করলো। খানিকক্ষণ বাদে দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললো,
—আসলে ওকে দেখে তো মনেই হয়না ও বিবাহিত। তাই ভাবছিলাম মজা করছে।
ফারদিনের কথায় যেন বেজায় বিরক্ত হলেন উনি। ভ্রু কুচকে আমার দিক চেয়ে বললেন,
—দুজনকে আলাদাভাবে দেখলে কিভাবে মনে হবে? একসাথে দেখলে তবেই না বুঝবে৷ এই তুরফা, ওখানে কি করছো? এদিকে আসো৷
কথাটি বলতে বলতে নিজেই আমার হাত ধরে নিজের পাশে দাড় করালেন। ইষৎ লজ্জায় রক্তিম আমি শুধু এদিক-ওদিক তাকালাম বারকয়েক! পূর্ণ আর কিছু বলবে তার আগেই উনাকে বড়াব্বু ডাকলেন, হয়তো কোনো কথা আছে। তাই আমায় ছেড়ে আবার সেখানে চলে গেলেন তিনি। পূর্ণ চলে যেতেই ফিসফিস শুরু হলো রাইসার কাজিনদের মধ্যে। ফারদিন ছেলেটাও এক পলক আমার দিক তাকালো। এগিয়ে এসে নিচু স্বরে বললো,
—এভাবে মনটা ভেঙে না দিলেও পারতে! তোমার হাজবেন্ডের উপর হিংসা হচ্ছে কিন্তু! হি ইজ আ লাকি ম্যান টু হ্যাভ ইউ!
কথাটি বলে সে উদাস হেসে অন্যদিকে চলে গেলো। এদিকে ফারদিনের কথায় অন্যমনস্ক হয়ে গেলাম। কি বলে গেলো সে? উনি আমাকে পেয়ে লাকি? যদি সে পূর্ণকে পুরোপুরি চিনতো তবে হয়তো এর উল্টোটা বলতো! কেননা আমি পূর্ণর চেয়ে শতগুণ বেশি ভাগ্যবান তার মতো একজন জীবনসঙ্গী পেয়ে! আমার প্রতি উনার নিখাদ ভালোবাসার সামনে আমার ভালোবাসা যে কিছুই নাহ!
এসব ভাবনার মধ্যে সামা আপু সরু চোখে এগিয়ে এসে বলে উঠলেন,
—ব্যাপার কি, তুরফা? পূর্ণ তোমার জামাই হয় কখনো বললে না যে!
—বলার সুযোগটাই পেলাম কখন, আপু? তুমি তো আমাকে বলার সুযোগ না দিয়েই তাকে আমার ভাই বানিয়ে দিলে!
—সে যাই হোক, তোমার জন্য খারাপই লাগছে।
—কেন খারাপ লাগবে?
ভ্রু কুচকে জিজ্ঞেস করতেই তাচ্ছিল্যভরে হেসে সামা আপু বললেন,
—পূর্ণ দেখতে যতই সুন্দর হোক না কেন, ও যে কঠোর বাপরে। যেভাবে ধমক দিলো ফারদিনকে তাতেই বুঝা গেলো সব! আমিও কথা বলতে গিয়েছিলাম ইগ্নোর করলো কিভাবে! এমন চুপচাপ, গম্ভীর মানুষের সাথে সংসার করা কি চাট্টিখানি কথা নাকি? তুমি যে কিভাবে ওকে ম্যানেজ করো আমি ভাবতেও পাচ্ছিনা!
তার কথায় মেজাজ খারাপ হয়ে গেলো। দাতে দাত চেপে কিছু একটা বলতে যাবো এমন সময় প্রিয়া এগিয়ে এলো। হয়তো সামা আপুর শেষের কথাটুকু শুনতে পেরেছে তাই আমার কিছু বলার আগেই ও বললো,
—আমার বড় ভাইয়া বাহিরে থেকে যতটাই গম্ভীর হোক না কেন, ও ভেতর থেকে কত নরম সেটা শুধু ওর কাছের মানুষরাই জানে। বাহিরের লোকরা তার এ রুপের দেখা পায়না৷ সো ডোন্ট জাজ এ বুক বাই ইটস কভার! আমার ভাই সেরা।
প্রিয়ার কথায় মুখ বেকিয়ে সামা আপু চলে গেলো। আমি ওর দিক ঘুরে বললাম,
—তুমি কই থেকে এলে? খুজছিলাম যে এতক্ষণ!
—আর বলোনা। লম্বা কাহিনি। পরে শুনাবো তোমায়। এখন চলো বাবা ডাকছে। এক আত্মীয়ের সাথে পুরো পরিবারকে পরিচয় করাবে। ভাইয়াও সেখানে আছে, তোমায় ডেকে আনতে বললো!
একটু থেমে প্রিয়া আবারো বললো,
—ওই মেয়েটার কথায় মন খারাপ করোনা আপু। ভাইয়াকে পটাতে ব্যর্থ হয়েছে তো তাই এখন সে তার কাছে খারাপ! আঙুর ফল টক, জানোই তো?
প্রিয়ার কথায় হেসে মাথা নাড়িয়ে দুজন এগিয়ে চললাম বাকি সবার কাছে।
__________________
অনুষ্ঠানের শেষের দিকে ছবি তোলা, খাওয়াদাওয়া শেষে মেহমান চলে যাওয়া শুরু করেছে একএক করে। এতক্ষণের ভরপুর বিয়েবাড়িটা যেন মুহুর্তেই অনেকটা ফাঁকা হয়ে এসেছে। পরিবারের কাছের মানুষরা সবাই গল্পগুজবে ব্যস্ত। আমি অনেকক্ষণ থেকে পূর্ণকে খুজছি, তাকে পাওয়া যাচ্ছেনা। কোথায় উধাও হয়ে গেলেন ভাবতে ভাবতেই একদম কোণার দিকে চোখ পড়লো, চুপচাপ দাঁড়িয়ে এক নির্জন কোণে জানালা দিয়ে বাহিরের চাঁদ দেখছেন! মুচকি হেসে সেদিকে এগিয়ে গেলাম। আশেপাশে তাকিয়ে দেখি কারও এদিকে মনোযোগ নেই, তাই আলতো করে পেছন থেকে উনাকে জড়িয়ে ধরতেই কিছুটা চমকে গেলেন তিনি। পরমুহুর্তেই তার বুকে রাখা আমার হাতের উপর স্পর্শ করে পুনরায় স্বাভাবিক হয়ে গেলেন! উনি পেছন ফিরতেই তাকে ছেড়ে দিলাম। উনি তীক্ষ্ণ চাহনিতে আমার দিক চেয়ে বললেন,
—এখন আসছো কেন আমার কাছে? তুমি তো সিংগেল, একা একাই ঘুরে বেড়াও। আমার কাছে তোমার কি কাজ?
তার গলায় সূক্ষ্ম রাগ, অভিমান স্পষ্ট। এক কদম এগিয়ে উনার হাত ধরে আড়চোখে তাকিয়ে বললাম,
—ওহ তাই? আমি তো আমার জামাইকেই খুজছিলাম। আপনি কি তাকে দেখেছেন?
পূর্ণ ভ্রু কুচকে আমার দিক চেয়ে থাকলেন এক মুহুর্ত। কিছু বোধগম্য না হওয়ায় বলে উঠলেন,
—মানে? তোমার জামাইকে খুজে পাওনি এখনো?
—নাহ তো। সে বেচারা মনের দুঃখে জানালার কোণে দাঁড়িয়ে চাঁদ দেখছিলো তাই তো তাকে সঙ্গ দিতে এলাম। কিন্তু উনি যদি আমাকে না চায় তার কাছে, তবে আমি চলে গেলাম। যেয়ে দেখি তো ফারদিন ছেলেটা কি করছে!
কথাটি বলেই হাসি চেপে উনার হাত ছেড়ে চলে যেতে নিলে তড়িৎ গতিতে এগিয়ে এসে আমার হাত ধরলেন পূর্ণ। আচমকাই টেনে নিয়ে গেলেন কমিউনিটি সেন্টারের বাহিরে এক কোণে। এতক্ষণ হাসলেও হঠাৎ করে লজ্জা ও ভয় লাগা শুরু হলো! এখানে কেন আনলেন আবার? মাথা উচু করে তার দিক তাকাতেই কোমড় জড়িয়ে ধরে শক্তহাতে টেনে নিলেন নিজের দিকে। একহাতে শক্ত করে গাল চেপে ধরে বললেন,
—খুব সাহস হয়েছে না? আমাকে জেলাস ফিল করানোর চেস্টা করছো?
জায়গাটা নির্জন হলেও যে কেউ এসে পড়তে পারে। আর দুজনকে এমন অবস্থায় দেখলে নির্ঘাত ভীষণ লজ্জায় পড়তে হবে। তাই অসস্তিতে অন্যদিক তাকিয়ে চুপ মেরে রইলাম কোনোরকম! আমায় চুপ থাকতে দেখে পূর্ণ কিছুক্ষণ খোলা চুলে মুখ গুজে শ্বাস নিয়ে ছেড়ে দিলেন ঝটপট। উনার থেকে ছাড়া পেয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতেই হঠাৎ করে গভীরভাবে চুমু খেলেন ডান গালে। বিস্ফোরিত নয়নে উনার দিক তাকাতেই দেখি বাকা হেসে নিজের চুলে হাত চালাচ্ছেন জনাব।
—কিছু বলছিনা বলে খুব দূরে দূরে থাকা হচ্ছে আমার থেকে, তাই না? বাসায় চলো শুধু একবার।
উনার ফালতু কথা ও কান্ডে থতমত খেয়ে লজ্জা বহুগুণ বেড়ে গেলো! একিসাথে মনে হানা গেলো আশংকা- কেউ যদি দেখে ফেলে? প্রচন্ড অস্বস্তিতে চোরাচোখে আশেপাশে তাকাতেই হুট করে দৃষ্টি পড়লো সামা আপুর দিকে। এক কানে ফোন চেপে কিছুটা হা করে চেয়ে আছেন আমাদের দিকে, হয়তো ফোনে কথা বলার জন্য এমন নির্জন জায়গায় এসেছিলেন আর তখনি এ কান্ড ঘটতে দেখেছেন! কি লজ্জাজনক ব্যাপার! ছিঃ!
আমাকে তাকাতে দেখেই জোর কদমে অন্যদিক চলে গেলেন সামা আপু, এদিকে আমার লজ্জায় বিষম খাওয়ার জোগাড়। অথচ পূর্ণ নির্বিকার দাঁড়িয়ে আছেন যেন কিছুই করেন নি উনি! রেগে কিছু বলতে যাবো এমন সময় তিনি বললেন,
—কি? তাকিয়ে আছো কেন? এভাবে সেজেগুজে আমাকে ঘায়েল করার কোনো দরকার ছিল, বলো? তুমি ছেলেপেলে পিছনে ঘুরাও তাতে কিছু নাহ আর আমি কিছু করলেই দোষ? সব দোষ তোমার, বুঝেছো? এভাবে ভরা বিয়েবাড়িতে আমাকে পাগল না করলেও পারতে, তুর পাখি!
অতিষ্ঠ চাহনিতে উনার দিক তাকিয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেললাম। আজকাল উনার সাথে তর্ক করতেও মন চায়না! হতাশাগ্রস্ত মনে মেনেই নিলাম- হ্যাঁ, এখন সব দোষ আমার!
#চলবে