❝মোহ মেঘের আলাপন ❞ লেখিকা: “নূরজাহান আক্তার আলো” [২৫]

0
358

❝মোহ মেঘের আলাপন ❞
লেখিকা: “নূরজাহান আক্তার আলো”
[২৫]

এক সপ্তাহ পরের ঘটনা,

দিনটি শনিবার। ঘড়িতে সময় আটটা বিশ। মেঘাচ্ছন্ন অম্বর।
বইছে ঝড়ো বাতাস।মাঝে মাঝে শোনা যাচ্ছে মেঘের গর্জন।
মেঘের রুপ দেখে মনে হচ্ছে মুষলধারে বৃষ্টি নামবে। ভাসিয়ে দিবে পুরো শহর। ভোর থেকেই বাইরের আবহাওয়া খারাপ। তবুও আদিত্য সকালের নাস্তা সেরে রেডি হচ্ছে। তাকে বের হতে হবে। জরুরি মিটিং আছে উপস্থিত থাকাটা আবশ্যিক।
কিন্তু মেধা তাকে যেতে দিতে নারাজ। বার বার বলেও কাজ হলো না দেখে মুখ গোমড়া করে বেলকণিতে দাঁড়িয়ে আছে।
বাতাসের সঙ্গে উড়ছে রাস্তার ধুলোবালি।নড়ছে গাছপালাও।
সেই সঙ্গে উড়ছে পাশের ছাদে ঝুলতে থাকা কারো বিছানার চাদর। হয়তো গতদিনে কেউ চাদরখানা তুলতে ভুলে গেছে।
মেধা সেদিক থেকে দৃষ্টি সরিয়ে ঘাড় ঘুরিয়ে আদিত্যকে এক
নজর দেখে নিলো। আদিত্য শার্ট খুঁজছে। একের পর ড্রেস সরিয়ে শার্ট খুঁজে পাচ্ছে না সে। মেধা দেখেও না দেখার ভাণ করে দাঁড়িয়ে রইল। খুঁজছে খুঁজুক তাতে তার কী? খুঁজেও দিবে না, যা ইচ্ছে করুক। এদিকে একটা টি-শার্ট অথবা শার্ট কিচ্ছুই খুঁজে পাচ্ছে না আদিত্য। গতদিনে কতগুলো টি-শার্ট
, শার্ট, প্যান্ট কিনেছে সে, সঙ্গে মেধার কয়েকটা ড্রেস।মেধার ড্রেসগুলো সুন্দরভাবে ভাঁজ ভাঁজ করে তুলে রাখা। তাহলে ওর গুলো কোথায়? আসল কাহিনি বুঝতে পেরে অহেতুক আর না খুঁজে সে মেধাকে ডাকল। মেধা শুনেও নিশ্চুপ হয়ে দাঁড়িয়ে আকাশ দেখছে। দু’এক ফোঁটা করে বৃষ্টি পড়ছে মাটির বুকে। শুকনো মাটি বৃষ্টির ফোঁটাগুলোকে সাদরে ঠাঁই দিচ্ছে বুকের মাঝে। তখন পুনরায় আদিত্যের বিরক্তমিশ্রিত ডাক শোনা গেল। সে কথা বলছে না, কিছু বললে জবাবও দিচ্ছে না, এড়িয়ে যাচ্ছে। তার মুখে জড়ো হয়েছে একরাশ চাপা অভিমান।ওর কান্ড দেখে আদিত্য মুচকি হাসল। ঘাড়
ঘাড় ঘুরিয়ে দেখে নিলো অভিমানিনীকে। মেধার মুখজুড়ে অভিমানে ছড়াছড়ি। আদিত্যের ডাক উপেক্ষা করতে মেধা
কানে ইয়ারফোন গুঁজে দিয়েছে। গান বাজছে। অথচ তার মনে পড়ে আছে রুমে থাকা নিষ্ঠুর মানবের কাছে। যাকে সে কিছুক্ষণ আগে কত্ত সুন্দর করে জড়িয়ে ধরে বলেছে,

-”না গেলে হয় না? একা একা ভালো লাগবে না আমার।”

-”যেতেই হবে কাজ আছে।”

একথা বলে সে শার্ট খুঁজতে শুরু করেছে। কিন্তু মেধা নাস্তার টেবিলে যখনই শুনেছে আদিত্য বাইরে যাবে। তখনই সে চট করে তার সব জামা কাপড় ওয়াশরুমের বাথটাবে চুবিয়ে এসেছে। নে এবার যা! বেশি করে যা! কী সুন্দর করে বললো দামই দিলো না। এবার দেখ কেমন লাগে। বউ হয়েছে,এমনি এমনি ছেড়ে দিবে? তাছাড়া শাশুড়ী বলে দিয়েছে সব সময় অধিকার খাটাতে, তাকে বুঝিয়ে দিতে, সে এখন বিবাহিত।
একথা ভেবে অভিনয় ছেড়ে সে রুমে চলে গেল। আদিত্য শার্টের কথা জিজ্ঞাসা করতেই সে ওয়াশরুম দেখিয়ে দিলো।
তারপর বিছানায় টান টান হয়ে শুয়ে পাশ বালিশ বুকে জড়িয়ে বললো,

-”দারুণ ওয়েদার, একটু ঘুমায়।”

তার এই কান্ডে আদিত্য দীর্ঘশ্বাস ছাড়লো। কাকে কী বলবে তার বোধগম্য হলো না। তাই অফিসে জানিয়ে দিলো মিটিং ক্যান্সেল। তারপর এগিয়ে গিয়ে মেধার শরীর ওর সমস্ত ভর ছেড়ে চোখজোড়া বন্ধ করে বললো,

-”দারুণ ওয়েদার, একটু ঘুমায়।”

-”আরে আরে এভাবে কেন? সুন্দরভাবে ঘুমাও।”

-”উহুম, আমাকে যেতে না দেওয়ার শাস্তি। ”

-”উফ, সরো আদিত্য, লাগছে আমার। আর এত ওজন কেন তোমার?”

-”আমার ওজন ঠিকঠাকই আছে, ঘুমাও।”

-”এভাবে..! ”

মেধা তার কথা সম্পূর্ণ করার আগেই তার ঠোঁট আদিত্যের দখলে। কিল, খামচি, দিয়েও তার থেকে কোনোভাবে নিস্তার মেলে না। একটা সময় নিজে থেকেই শান্ত হয়ে যায়। অনুভব করতে থাকে প্রিয় মানুষটার স্পর্শগুলো। সেদিন সারাদিনই বৃষ্টি নামলো। সঙ্গে মেঘের গর্জন। রাস্তাঘাটেরও স্যাঁতস্যাতো অবস্থা। তাই আদিত্যও আর বের হলো না। এ সুযোগ তাকে
নাস্তাবুদ করে ছাড়ল মেধা। বিকেলের দিকে বৃষ্টিও কমলো, আকাশও পরিষ্কার হলো। মেধা এবার জেদ ধরলো মামনির সঙ্গে দেখা করতে যাবে। আদিত্য অন্য কোথায় যাওয়ার কথা বললেও শুনলো না। একটা সময় জেদ করলো, কান্না করে চোখের পানি, নাকের পানি এক করলো। তখন আমান কল করলো মেধাকে। মেধা কাঁদতে কাঁদতে কলটা রিসিভ করে স্পিকার অন করে টিস্যু দিয়ে নাক মুছছে। সেই টিস্যু ছুঁড়ে মারছে আদিত্যের দিকে। আমানের কল দেখে আদিত্য লেপটপ নিয়ে সোফায় বসেছে। তখন আমান মেধার কান্না করার কারণ জেনে বললো,

-”তোর হিরোর উপর চাপ সৃষ্টি করে বাসায় ফিরে আয়। যদি আসিস তবে তোকে স্বর্ণের রিং গিফ্ট করবো। আমাদের প্ল্যান ভাইয়া ধরে ফেলে নি তো? আমি ভাইয়াকে খুব ভালোবাসি। ছোটবেলার মতো কথা না বলে শান্তি পাচ্ছি না। প্লিজ বোন, তোরা ফিরে আয়। তোদের ছাড়া বাসায় থাকতে পারছি না আমি। আমার দমবন্ধ হয়ে আসছে। ভাইয়াকে বোঝা আমি আর এমন ভুল করবো না। আমি রিহ্যাবে চলে যাবো। যত দিন নেশা পুরোপুরি কাটছে তোদের সামনে দাঁড়াবো না।”

আদিত্য একথা শুনে দৃষ্টি তুলে তাকালো মেধার দিকে। মেধা জোরপূর্বক দাঁত কপাটি বের করে হাসলো। ওর হাসি দেখে
আদিত্যের আর কিছু বুঝতে বাকি নেই। সে উঠে রুম থেকে বেরিয়ে গেল। সেটা দেখে মেধা করুন দৃষ্টিতে তাকালো। এই আমানও না একটা গাধা। কখন কী বলতে হয় তাও জানে না। ধরা খেয়েও আমানকে জানালো না বরং স্বাভাবিকভাবে
জিজ্ঞাসা করলো,

-“ভাইয়া মামনি কেমন আছে?”

-”ভালোই আছে। তবে মনমরা হয়ে থাকে কিছু জিজ্ঞাসা বলে নয়তো চুপ থাকে।”

-”ভাইয়া কি এখনো রেগে আছে আমার উপর?”

-”হুম, এভাবে হবে না। তুমি সরাসরি আদিত্যের মুখোমুখি হও। কথা বলো, হয়তো মুখ ফিরিয়ে দিবে, মারতেও পারে, তবুও মুখোমুখি হও। এভাবে সমাধান হবে না। ভুল যখন করেছো সমাধান তোমাকেই খুঁজতে হবে। জীবন সুন্দর। এই সুন্দর জীবনকে এভাবে নষ্ট কোরো না ভাইয়া। বুঝে না বুঝে দোষ করে ফেলেছো এখন স্বীকার হলে ছোট হয়ে যাবে না তুমি। আদিত্য কেমন তুমি তো জানো?তোমাকে ঠিক কতটা
ভালোবাসে তাও জানো। আমি আর কিছু বলবো না এবার যা করার তুমিই করো।”

আমান পুরো কথা মন দিয়ে শুনে কল কাটলো। মেধা নীরবে দীর্ঘশ্বাস ফেলে উঠে আদিত্যের কাছে গেল। আদিত্য বাইরে যাচ্ছে তৈরি হচ্ছে। পরনে ব্ল্যাক টি-শার্ট ও জিন্স। পরিপাটি
বেশভূষা। তাকে দেখে মেধাও ঝটপট তৈরি হয়ে আদিত্যের পিছু বেরিয়ে গাড়িতে উঠে বসলো। আদিত্য কিছু বললো না বরং নিজেই সিটবেল্ট বেঁধে দিলো। আদিত্য মেধাকে নিয়ে একটা কফিশপে বসলো। কিছুক্ষণ পরেই আদিত্যের বন্ধুরা আসলে জমপেশ আড্ডার সঙ্গে খাওয়া দাওয়াও হলো। এর
পর শপিংমলে গিয়ে আরো কয়েকটা শার্ট কিনে অফিসের দিকে গেল। অফিস বন্ধ হয়ে গেছে স্টার্ফরাও চলে গেছে। শুধু ম্যানেজার আছে। তাদের দেখে ম্যানেজার ছুটে এলেন।
আদিত্য নিজের কেবিনে ঢুকে জরুরি ফাইল দেখতে থাকল।
আর মেধা তার কেবিনের নজর বুলাতে লাগল। তবে তার খু্ব পছন্দ হলো আদিত্যের একটা ফটোফ্রেম। ড্যাসিং লুকে
আদিত্য দাঁড়িয়ে আছে। বেশ লাগছে দেখতে। যাকে বলে প্রথম দেখাতে যে কারো নজর কাড়বে। তা দেখে ভ্রু কুঁচকে ফেললো মেধা। এই ছবি এখানে রাখবে না সে। হিংসা হচ্ছে ওর। আদিত্য কীসব আলোচনা করছে ম্যানেজারের সঙ্গে। সে সবে কান না দিয়ে পুরো অফিস ঘুরে দেখলো। তারপর কাজ সেরে ওরা বেরিয়ে গেল বাসার উদ্দেশ্যে। কিন্তু জ্যামে পড়ে গাড়ি আঁটকে গেল ঘন্টার পর ঘন্টা। সামনে এগোতেই হঠাৎ আদিত্যের বাবার সঙ্গে দেখা হয়ে গেল। দুটো গাড়িই পাশাপাশি। উনি ছেলের মুখের দিকেই তাকিয়ে ছিলেন। খুব কষ্টে অশ্রু লুকিয়ে মুখ ফিরিয়ে নিলেন। ছেলে যদি পর করে দিতে পারে উনি কেন পারবে না? মেধা উনাকে দেখে কথা বলে যেতে চাইলে আদিত্য তার মুখপানে তাকিয়ে রইল। না বারণ করলো আর না যেতে বললো। আদিত্য বাবাই তখন বললেন উনার ফিরতে আরো লেট হবে। উনি অন্য কোথাও যাচ্ছেন। একথা শুনে মেধা মলিন হাসল। যা বোঝার বুঝতে পেরেছে। হয়তো সে আর পারবে না সবাইকে এক করতে।
সম্পর্কের তার গুলো ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে, দূরত্ব বাজছে। এভাবে
চলতে থাকলে কেউ ভালো থাকবে না, কেউ না। এসব ভেবে সে কিছু বলতে গেলে আদিত্য বললো,

-”আগামী পরশুদিন দেশ ছাড়ছি আমি। এখনই তুমি তোমার মামনির কাছে চলে যাও। এত প্ল্যান, এত অভিনয়, করতে হবে না তোমাদের। সত্যি বলতে কী জানো? আমার সঙ্গের চেয়ে বাকিদের সঙ্গই তোমার বেশি প্রয়োজন।তুমি আগেও বুঝতে না আমায় আর এখনো বুঝো না। থাক সেসব কথা যেখানেই থাকো খুব ভালো থেকো। আর মাস শেষে তোমার একাউন্টে নিদির্ষ্ট একটা এমাউন্ট পৌঁছে যাবে।”

-”এবার কিন্তু বেশি বেশি হয়ে যাচ্ছে।”

-”হওয়াটা কি স্বাভাবিক নয়?”

-”তখন আমান ভাই….!”

-”উহুম আর একথা কথাও শুনতে চাচ্ছি না আমি। আমার আপনজন আমাকে যেসব আঘাত দিয়েছে। আমরণ ভুলতে পারব না আমি। প্রতিটা মানুষের ধৈর্য্য বলে কিছু আছে। এই
যেমন ধরো, তোমার কথায় বলি। তোমাকে ভালোবাসি বলে তুমিও কম ফায়দা উঠাও নি। তোমার জন্য আমানের গায়ে হাত তুলেছি, বাসা থেকে বেরিয়ে এসেছি। যাতে তাকে একটু হলেও কিছু অনুভব করাতে পারি। সে ভুল করেছে। কখনো কখনো ভুলের মাসুল ভয়ংকর হতে পারে৷ অথচ তুমি ওর সঙ্গে এক হয়ে আমাকেই বোকা বানাতে চেয়েছো। বুদ্ধি কী একা তোমার আছে, আমার নেই? ‘তুমি ছোট, বয়সও কম’
ঠিক এই একটা কথায় প্রেক্ষিতে আর কতবার ছাড় দিবো বলো তো আমায়? আমাদের সম্পর্কের শুরু থেকে আমার সঙ্গে কী করেছো একটা ভাবো তো। তুমি আমার, তাই এই আমিটার তোমার জন্য পাগল। একথা কিন্তু তুমিও জানো।
বাবা -মাকে ছাড়া থাকছি, আমার মা আমাকে ছাড়া মুখে ভাত তুলে না। সেই মায়ের সঙ্গে এক সপ্তাহ হলো কথা বলি নি। কেন জানো? এমন না আমানের জন্য। এর বিশেষ এক কারণও আছে। উনাদের জন্য আমান আজকে ভুল পথে।
আমি জানতাম, আমান আর মিষ্টির কথা। তাদের বিয়ের কথাও আমার অজানা ছিলো না। কিন্তু আমার মামা মিষ্টির পরিবারকে পছন্দ করে নি। এজন্য খুব চাপ দিচ্ছিলো বিয়ে দিয়ে দেওয়ার জন্য। মিষ্টির পরিবার ঠিক তাইও করেছিলো। কিন্ত মানতে পারে নি সে সু’ ই’ সা’ ই’ ড করেছে। মিষ্টি মারা যাওয়া পর আমান নেশার জগৎ ডুববে থাকে। আমার বাবা তখনো লাগাম টেনে ধরলে আর আমান এমন টা হতো না।
তোমার মামনি ভালোবাসার টানে ছেলেকে রিহ্যাবে রাখতে পারেন না। এত করে বুঝিয়েও কাজ হয় না। যার জন্য দিনে দিনের আমানের এত অধঃপতন। সকালে বললো না? সে অনুতপ্ত এমন ভুল কখনো করবে না? সামনে তাকিয়ে দেখো তোমার আমান ভাই নেশায় বুদ হয়ে পড়ে আছে।”

মেধা তড়িৎ গতিতে ঘাড় ঘুরিয়ে দেখে অদূরে থাকা বাগানে বেশ কয়েকজন ছেলে দুই পা মেলে শুয়ে আছে। তাদের মধ্য আমানও আছে। ছোট ভাইয়ের অবস্থা দেখে আদিত্য মলিন হাসলো। কিছু বলার নেই তার। তারপর আদিত্য গাড়ির স্পিড বাড়িয়ে চলে এলো সেখান থেকে। মেধা নীরবে অশ্রু ঝরাচ্ছে। তখন আদিত্যই বললো,

-”বাসা ছেড়েছি কারণ আমার বাবা মায়ের ভাষ্যমতে, আমি আমানকে হিংসা করি। উনারা আমানের নামে অফিসসহ, আরো দু’টো ফ্ল্যাট লিখে দিয়েছে। আমাকেও দিয়েছে আর আমি নিজেও কিছু করেছি। একদিন আমান নেশা করে খুব অশান্তি করছিলো বাসায়। বাবাকে রেগে ধাক্কা দিয়েছিলো। সেদিনও আমানকে খুব মেরেছিলাম আমি। তখন মা বলে ‘আমি আমানকে হিংসা করি। সুযোগ পেয়ে নাকি এভাবে মেরেছ।” যেদিন বাসা ছাড়লাম সেদিন আমার ভাগের সব কিছু তাকে দিয়ে এসেছি আমি। শুধু এটা বোঝাতে আমার ভাইকে আমি হিংসা করি না। আমিও তার ভালো চাই।কিন্তু কথা হচ্ছে তোমরা কেউ আমাকে বুঝো না, কেউ না।”

এসব কথা শুনে মেধা কোনো কথায় বলতে পারলো না। তার শব্দভান্ডার যেনো শূন্য। বেশ কিছুক্ষণ একদৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো আদিত্যের মুখপানে। আদিত্যের মুখভঙ্গি স্বাভাবিক। যেনো খুব সাধারণ কথা বলে চলেছে সে। মেধা আর নিশ্চুপ থাকতে পারলো না। ঢোক গিলে প্রশ্ন ছুঁড়বার আগে আদিত্য বললো,

-“আমার মনে হচ্ছে আমার একা থাকা প্রয়োজন। সম্পর্কের
বন্ধনগুলো আমাকে বড্ড পীড়া দিচ্ছে।”

-“তুমি চলে গেলে আমি বেঁচে থাকবো কি করে?”

-“পৃথিবীর বুকে অন্যান্য বিধবা’রা যেভাবে বাঁচে।”

To be continue…………!!

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here