#আকাশেও_অল্প_নীল
#পর্বঃ২১
#আর্শিয়া_ইসলাম_উর্মি
৬৩,
বাসার গেইটে একপ্রকার বিতর্ক প্রতিযোগিতার পরিবেশ তৈরি হয়ে গিয়েছে। পাত্রপক্ষকে গেইটে আটকে দাড়িয়ে আছে কনেপক্ষ। মাহাদের পাশে দাড়িয়েছে রাইমা, অপরপাশে শার্লিন। আর বাকি রা ওদের পিছনেই আছে। এপাশে দিগন্ত, ইশা, ঐশী দাড়িয়ে। পিছনে আরও বাকি মানুষজন। ঐশী মাহাদকে মিষ্টি শরবত খাইয়ে দিয়ে টাকার দাবী জানিয়ে দাড়িয়ে আছে। তাদের দাবী পূরণ না হলে গেইট ছাড়া হবে না। মাহাদ প্রথমে সব টাকা না দিলেও অর্ধেক দিয়ে দেয়। দিগন্ত তা দেখে বললো,
“আমার দুলাভাই আদৌও এতো কিপ্টে? নাকি বিয়ের গেইটে ঠকবে না বলে কিপ্টামি শুরু করেছে?
রাইমা উত্তরে মাহাদের আগেই বললো,
” শুনেছি আপনি পুরো একটা স্কুল দেখেশুনে চালান। তা স্কুল সামলানো বাদ দিয়ে গেইটে দারোয়ানের চাকরি শুরু করেছেন?”
রাইমার কথায় সবাই হো হো করে হাসা শুরু করে। দিগন্ত রাইমার কথার জবাবে মৃদু হাসলো। এরপর বললো,
“কি করবো বলুন! গেইটে যদি থাকে আপনার মতো মায়াবতী! তাহলে গেইটের দারোয়ান কেন? আপনার চলাচলের রাস্তা পরিস্কার কারীও হতে পারি।”
রাইমা সবার মাঝে দিগন্তের এরকম নির্লজ্জ কথা শুনে আড়ালে মুচকি হাসে। ঠোট টিপে হেঁসে বললো,
“বাহ বেয়াই সাহেব! তাহলে আমাদের গেইট ছেড়ে এবার পরিস্কার করে দিন!”
দিগন্ত উত্তরে বললো,
“সবারই সব কাজের একটা বেতন থাকে বেয়াইন সাহেবা। দিয়ে দেন, গেইট ছেড়ে দিই!”
“আমরা তো নিজ থেকে এসে আপনাকে চাকরির অফার করিনি, তাহলে বেতন কেনো দিবো?”
বললো শার্লিন। দিগন্ত তার দিকে তাকিয়ে বললো,
“শালিকা হও আমার। সাপোর্ট নাও ওদের৷ নট ফেয়ার শার্লিন!”
“গেইটের ফিতার ঐপাশে থাকলে অবশ্যই আপনার সাপোর্ট নিতাম দুলাভাই।”
উত্তর দিলো শার্লিন। মাহাদ এবার ঝেড়ে কাশলো। ভরাট কণ্ঠে বললো,
“এতো তর্কাতর্কির আর প্রয়োজন নেই। আমি আমার মন খুশি করে যতোটুকু টাকা দিচ্ছি! নিয়ে খুশিমনে গেইট ছাড়ো।”
“মাহাদ ভাই! আপনার কি বিয়ে করার ধৈর্য সইছে না? কনেপক্ষের কাছে হারার জন্য একদম উদগ্রীব হয়ে আছেন দেখছি?”
রাইমা মাহাদের কথা শুনে বললো কথাটা। ফের একদফা হাসির দমক। হাসি কিছু টা কমে আসলে মাহাদ নিজের কথামতো টাকা দিয়ে দেয়। টাকার এমাউন্টে সবাই মোটামুটি খুশি হয়ে গেইট ছাড়লো। দিগন্তের চাচা আর ফুফা মিলে মাহাদকে স্টেজে বসালো। বাগানের এমাথা-ওমাথা দুই স্টেজ সাজানো। একটায় স্নেহাকে বসানো হয়েছে, অপর টায় মাহাদকে বসানো হলো। মাহাদের পাশে ইফরাদ আর মেসবাহ বসলো। ওরা বাইকে আসার দরুণ আগেই এসে পরেছিলো। এসে বাড়ির ভেতরেই দুজনে আড্ডা দিচ্ছিলো কিছুক্ষণ। মাহাদ আসায় তার কাছে এসে বসলো। স্নেহার পাশে ঐশী আর ইশা বসেছে। মাহাদ একপলক স্নেহার দিকে তাকালো। তাকানোর পর চোখ ফেরানো দায় হয়ে পরলো তার জন্য। প্রতিটা মানুষের কাছে তার ভালোবাসার মানুষটি সবার থেকে বেশি সুন্দর। মাহাদের কাছেও তাই। কিছু টক্সিক মানুষের কাছে স্নেহার বয়সটা হয়তো বেশি বলে কথাও শোনানো হয়েছে! কিন্তু এই যে এক জোড়া ভালোবাসার পূর্ণতা! এটার মতো শান্তিই বা কোথায়? স্নেহা যে তার জন্য যত্ন করে, ভালোবেসে বউ সেজেছে! তার হচ্ছে নিজের অস্তিত্বের সাথে নতুন একটা সত্বা যোগ করছে! এর থেকে আনন্দের আর কি আছে? সেখানে কিছু টক্সিক মানুষের কথায় কিছু যায় আসেনা মাহাদের। তার ভালোবাসার পূর্ণতা এটাই শান্তি তার কাছে। মাহাদকে নিষ্পলক তাকিয়ে থাকতে দেখে ইফরাদ বললো,
“ভাই, বাসর ঘরেও দেখা যাবে। আপাতত এতো মানুষের মাঝে চোখ টা একটু সরায় রাখেন!”
মাহাদ সম্বিত ফিরে পায়। স্নেহার দিক থেকে চোখ সরিয়ে ইফরাদের কথায় হাসার চেষ্টা করে।
৬৪,
রাইমা আর শার্লিন স্নেহার সাথে দেখা করতে ওর পাশে এসে বসেছে একটু। ইশা, ঐশী একপাশে সরে গিয়ে ওদের বসার জায়গা করে দিয়েছে। রাইমা এতোক্ষণ মাহাদ যে স্নেহাকে নিষ্পলক দেখছিলো! তা খেয়াল করেছে। মাহাদ চোখ সরিয়ে নেওয়ার পর সে স্নেহার কানে ফিসফিস করে বললো,
“মাহাদ ভাইয়ের নজর সরছিলো না ভাবী। তুমি তো একটি পলক আমার ভাইকে দেখলে না। এটা অন্যা”য় হলো ভাবী।”
স্নেহা লজ্জা পায়। আজ একটু বেশিই লজ্জা পাচ্ছে সে। কেনো এমন হচ্ছে ধরতেও পারছেনা। বিয়ে বলে কি এতো লজ্জা এসে বাসা বাধলো তার মাঝে! ভেবে পেলোনা স্নেহা। সে সলজ্জ ভঙ্গিতে উত্তর দেয়,
“তোমার ভাইয়ের মতো নির্লজ্জ হতে পারলে ভালো হতো।”
“সেইম টু ইউ ভাবী। আমারও তোমার ভাইয়ের মতে নির্লজ্জ হতে হবে। নয়তো তোমার ভাইকে সোজা করা যাবে না।”
স্নেহা হতবাক হয় রাইমার কথায়। তার ভাই আবার কি করলো! সে রাইমার দিকে চোখ তুলে তাকিয়ে বললো,
“কি করেছে আমার ভাই!”
রাইমা গেইট ধরার সময়ে দিগন্তের কর্মকান্ড সব বলে দেয়। সব শুনে স্নেহা নিজের হাসি সংবরণ করার চেষ্টা করে। স্নেহার হাসি আটকানোর প্রয়াস দেখে রাইমা বলে,
“তোমার হাসি পাচ্ছে? আমি কিন্তু লজ্জা পেয়েছিলাম তখন।”
“আমার ভাই টা একটু ওরকমই রাই। কথা বলে কম, কিন্তু যা নলে মাটিতেও ফেলা যায় না। সহ্যও করা যায় না।”
“আর তার ঘাড়েই আমায় বেঁধে দিচ্ছো!”
“এই তোমরা ননদ ভাবী কি এতে গুজুরগুজুর ফুসুরফুসুর করছো বলো তো?”
শার্লিন রাইমা এবং স্নেহার উদ্দেশ্যে কথাটা বলে। রাইমা ভ্রুকুটি করে রাইমার দিকে তাকিয়ে বলে,
“কানে কি কম শুনোস? পাশেই তো বসে আছিস! শুনতে পাস না।”
“আমরা নারী জাতীরা বইন, একজনকে বলা কথা অপর জন যেনো শুনতে না পায়! এই ভেবে সেরকম করে কথা বললে, যাকে বলা হয় সপ ব্যতিত সবাইই শুনতে পায়।”
“থাম তুই৷ এখন আর মুখ খুলিস না।”
“কিছু বলাও যায় না। যা কথাই বলবোনা।”
“হয়েছে, হয়েছে তোমরা থামো, ঝগড়া লাগিও না।”
স্নেহা দুজনকে থামাতে কথাটা বলে। তখনই রাইমা থেমে স্নেহার দিকে ফিরে বলে,
“এই ভাবী! একটা কথা বলতেই ভুলে গিয়েছি। তোমার মা বোধ হয় আমার কাছে ফোন দিয়েছিলো তাইনা? আমার নাম্বার তোমার কাছ থেকে পেয়েছে বললেন উনি! আমার সাথে কথাও বলতে চেয়েছেন, তখন ফোনে বলেছেন উনি। উনাকে তো কোথাও দেখছিনা!”
স্নেহা দীর্ঘশ্বাস ফেলে। হতাশ কণ্ঠে বলে,
“মা আমার রুমে বসে আছেন। বাইরে আসলেই দিগন্ত রাগ করে না বাড়ি ছেড়ে অন্য জায়গায় গিয়ে বসে থাকে! তাই মা’কে রুমেই থাকতে বলেছি। জানোই তো সব। নতুন করে কি আর বলবো!”
রাইমা সেই কথার জবাবে আর কিছু বলে না। ভেবে নেয়, দিগন্তকে না জানিয়ে আমিরা শেখের সাথে কথাই বলবে না সে। না জানিয়ে কথা বলার পর দিগন্ত জানলে তার উপর রাগারাগি করলে! সম্পর্ক শুরুর আগেই কোনো প্রকার তিক্ততা চায় না রাইমা। তখনই হইচই উঠে বিয়ে পড়ানো হবে। কাজী এসে গেছেন। রাইমা আর শার্লিন স্টেজ ছেড়ে নেমে আসে।
৬৫,
কাজী সাহেব বিয়ে পড়ানোর জন্য মাহাদের কাছে আগে বসে। সব নিয়ম শেষ করে যখন কবুল বলতে বলা হলো, তখন তার গলার স্বর একটু কাপছিলো। দীর্ঘ বট বছরের অপেক্ষা শেষে অবশেষে পূর্ণতার ধাপটা তার দিক থেকে পূর্ণই হলো। স্নেহার দিকে তাকিয়ে একটা সস্তির হাসি দিলো মাহাদ। কাজী সাহেব মাহাদের কাছে বিয়ের সব কার্যক্রম শেষে স্নেহার কাছে যায়। স্নেহাকেও সব বলা শেষে কবুল বলতে বলা হলে মাহাদের দিকে তাকায় সে। লম্বা একটা নিঃশ্বাস নিয়ে কবুল বলে দিলো স্নেহা। এরপর চোখ বন্ধ করে নেয় সে। কয়েক ফোঁটা অশ্রু গড়িয়ে পরে। দীর্ঘ প্রতিক্ষার অবসান এটা। মাহাদ খুশিতে কেদে ফেলেছে। পাশে বসা ইফরাদকে জড়িয়ে আনন্দে চোখের জল ফেলে মাহাদ। ছেলেরা সহজে তো কান্না করে না। অধিক শোক আর আনন্দেই হঠাৎ তাদের চোখে জল আসে। উপস্থিত সকলে মাহাদের পাগলামি দেখে সস্তির হাসি হাসে। সবাই-ই তো আগে থেকে মোটামুটি জানতো স্নেহা আর মাহাদের ভালোবাসার কথা। রাইমা অদূরে দাড়িয়েই বিয়ের কাজ দেখছিলো। শার্লিন পাশে নেই। সে বাকিদের সাথে মজা করছে চেয়ারে বসে বসে। দুজনেরই কবুল বলা শেষ হলে রাইমা আস্তে করে আলহামদুলিল্লাহ বলে নেয়। তখনই কানের কাছে ফিসফিসিয়ে কেউ একজন বলে,
“একদিন আপনাকে আমার করে পবিত্র বিয়ের বন্ধনে বেধে নিয়ে এভাবেই আলহামদুলিল্লাহ বলবো। বিষয় টা সুন্দর তাই না?”
রাইমা চকিতে ঘাড় ঘুরায় কথাটুকু শুনে। দিগন্তকে দেখতে পায়। দিগন্ত বুকে হাত বেধে স্নেহার দিকে তাকিয়ে আছে। ঠোটের কোণে মৃদু হাসি৷ পরণে আকাশী রঙা পাঞ্জাবি আর সাদা পাঞ্জাবির সাথে পড়ার টাউজার। মাথায় চুলগুলো এলেমেলো। ছোটো ছোটো চুলগুলো কপালে এসে পরে আছে। হাতে সাধারণ একটা ঘড়ি। একদম সাধারণ বেশভূষায় সজ্জিত এই পুরুষকে একসময় বিরক্ত লাগলেও এখন ভালোই লাগে রাইমার। যখন বিরক্ত লাগতো, তখন তো আর নিজের জীবন সঙ্গী হিসেবে পাবে এমন নজরে বা চিন্তায় তাকায়ইনি সে। সেজন্য বিরক্তির মাত্রা আসতো দিগন্তকে দেখলেই। অথচ এখন! কি মুগ্ধতা নিয়ে তাকায় সে। ভাবতেই হালকা হাসে রাইমা। দিগন্ত সামনের দিকে তাকিয়ে থেকেই বলে,
“আমার মাঝে এতো কি দেখছেন মিস রাইমা খন্দকার? প্রেমে পরে গেলেন?”
“পরতেও পারি। আফটার অল মানুষ টা আমারই হবে তো তাইনা?”
“ঠোঁটকাটা জানতাম আমি, আপনিও যে ঠোঁটকাটা মানুষ। বুঝত পারিনি।”
“হলেও হতে পারি। আপনার থেকেই শেখা।”
দিগন্তের হাসির পরিমাণ তীর্যক বাড়লো। সে ঠোঁটের কোণে হাসি প্রশস্ত করে বললো,
“আপনার প্রেমে পরার চেষ্টা করতে করতে আমিও বোধ হয় প্রেমে করেই গেলাম রাইমা খন্দকার। মিষ্টি রঙের এই মিষ্টি লেহেঙ্গায় আপনাকে মিষ্টির মতোই লাগছে জানেন তো! ইচ্ছে করছে একটু জড়িয়ে ধরি। ইচ্ছে গুলো তোলা থাকলো রাইমা খন্দকার। বিয়ের পর দীর্ঘ সময় জড়িয়ে বসে থাকবো।”
৬৬
রাইমা সলজ্জ হাসলো দিগন্তের কথা শুনে। মাথা নিচু করে বললো,
“তবে যে আপনার কাজ! যাই হোক পরিচয় হওয়ার পর থেকে তো একদিনও দেখলাম না আপনি কাজের কাজ কিছু করছপন! সবসময় তো দেখলাম ঝগড়াই করতেন! তাহলে আপনি কাজ টা করেন কখন?”
“বিয়ের পর সাথে থাকলেই টের পাবেন। আপনাকে সময় দেওয়ার মতো সময় টা বের হবে কি না সন্দেহ! আপাতত এতোদিন ফ্রিই ছিলাম, এতিমখানার কাজ শেষ হওয়া, আপার বিয়ে। মোটামুটি কাজ থেকে নিজেকে সরিয়ে রেখেছিলাম। তখন তো আর সম্ভব হবে না তাই না?”
“যতোই কাজ থাকুক, আমায় সময় না দিলে মে”রে তক্তা বানিয়ে ফেলে রেখে দেবো।”
“ভয় পেয়ে গেলাম।”
কথার এ পর্যায়ে দুজনই হাসলো এবার। সবার ডাক পরলো খাওয়া দাওয়া করার। দিগন্ত আর রাইমা দুজনই সেদিকে পা বাড়ায়। সেই পাট চুকিয়ে খানিক সময় পাত্র আর কনেকে একসাথে বসিয়ে হাতে তুলে দেওয়া, আয়নায় মুখ দেখার নানান নিয়ম শেষ করা হলো। পর্ব আসলো বিদায় দেওয়ার৷ স্নেহাকে বিদায় দেওয়ার সময় টায় দিগন্ত নিজেকে যতোই চাইলো শক্ত রাখার! পারলো না। বোনকে গাড়িতে তুলে দেওয়ার সময় বোনকে জড়িয়ে প্রবল কান্নায় ভেঙে পরলো সে। তার কান্নার দমকে বাতাসও ভারি ভারি লাগছে রাইমার কাছে। আচ্ছা মেয়েদের বিদায় বেলায় এতোটা কষ্ট কেনো? রাইমা দীর্ঘশ্বাস ফেললো। ভাইবোনের কান্না দেখে উপস্থিত প্রতিটা মানুষের চোখের কোণে জল জমেছে। স্নেহার চাচা আর ফুফু তো স্নেহাকে নিজের মেয়ের মতো ভালোবেসে দেখাশোনা করেছে। উনারাও নিজেদের সামলাতে পারলেন না। কান্নারত সব মানুষ থেকে বাসায় ঢোকার মূল দরজায় দাড়িয়ে একজন মহিলা কাঁদছেন। রাইমার দৃষ্টি সেদিকে পরতেই সে সন্দেহ করলো, হয়তো ঐটাই আমিরা শেখ। উনি নাকি কথা বলবেন! কই তার কাছে তো আসলো না! তবে না এসে ভালোই হয়েছে। দিগন্তের সাথে কঘা বলাও হয়নি। আগে কথাটা হোক। কান্নাকাটির দমক একটু কমে আসলে মাহাদের বাবার কথায় পাত্রপক্ষ সব গাড়িতে উঠলো। স্নেহা নিজেকে সামলে ভাইকে একটু শক্ত হতে বলে গাড়িতে উঠে বসে। সবাই গাড়িতে উঠার পর গাড়ি চলতে শুরু করে। রাইমা গাড়ির জানালা দিয়ে একবার মাথা বের করে দিগন্তের দিকে তাকালো। ছেলেটা ছলছল চাহনীতে তাকিয়ে আছে গাড়ির দিকে। রাইমারও চোখেও জল জমে। মানুষ থাকায় ইশারায় কিছু বলতেও পারলো না। মাথা ঢুকিয়ে পাশে বসা শার্লিনের কাঁধে মাথা এলিয়ে দিলো। দুয়া করতে থাকলো, দিগন্ত যেনো নিজেকে সামলে নিতে পারে।
চলবে?
ভুলত্রুটি মার্জনীয়, রিচেইক করা হয়নি।নিজের বিয়ে হয়নি, তাই বিয়ে নিয়ে আইডিয়া নেই। 🥴 ভুল চুক হলে ক্ষমা করবেন নিজ দায়িত্বে। আসসালামু আলাইকুম।