#তুমি_শুধু_আমারই_হও
লেখনীতে- অরনিশা সাথী
|৭|
বাস চলতে শুরু করেছে। জানালার পাশের সিট ছাড়া অর্নি বসতে পারে না। কিন্তু জানালার পাশের সিটে একটা ছেলে বসে আছে। ওদের পাশাপাশি সিটেই নূর আর রুশান বসা। রুশান একবার জানালার পাশে বসেছে মানে দুনিয়া উলটে গেলেও ওই সিট রুশান ছাড়বে না। আনিতা সারা বাসে চোখ বুলালো, একটা সিটও খালি নেই। আর অর্নি এই সিটে বসে আধ ঘন্টাও যেতে পারবে না। ছেলেটার মুখ দেখা যাচ্ছে না। এমন ভাবে পেপার পড়ছে যে মুখ দেখার উপায় নেই। অর্নি বাধ্য হয়েই বললো,
–“ভাইয়া, শুনছেন?”
ছেলেটার কোনো হেলদোল হলো না। অর্নি এবার একটু জোরেই বললো,
–“এই যে শুনছেন?”
ছেলেটা পেপার সরিয়ে অর্নির দিকে তাকাতেই অর্নির চোখ দুটো বেরিয়ে আসার উপক্রম। ভয় পেয়ে সিট থেকে পড়ে যেতে নিলে উৎসব অর্নির হাত ধরে ফেলে৷ অর্নির পাশের সিটে আর কেউ না উৎসব বসা। এই মূহুর্তে উৎসবকে এখানে অর্নি একদমই আশা করেনি। অর্নি ঠিকঠাক হয়ে বসলো। অবাক কন্ঠেই বললো,
–“আপনিইইই এখানে?”
–“হ্যাঁ আমি, কেন কোনো সমস্যা?”
–“না্ মানে___”
উৎসব এবার পকেট থেকে ইয়ারফোন বের করে কানে গুজে ফোন দেখতে লাগলো। অর্নি নূরের দিকে কিছুটা ঝুঁকে বললো,
–“এই তোর ভাই এখানে কেন?”
–“ভাইয়া আর ভাইয়ার বন্ধুরা মিলে ভার্সিটি থেকে ট্যুরে যাচ্ছে৷”
–“উনারা না কয়েক বছর আগেই ভার্সিটি থেকে বেরিয়ে গেছেন?”
–“হ্যাঁ তো? প্রাক্তন ছাত্রছাত্রী না উনারা? আর তাছাড়া ভার্সিটি থেকে তো অভিভাবকদেরও নেয়।”
–“সে না হয় বুঝলাম, কিন্তু তোর ভাই যাচ্ছেন কেন?”
–“ঘুরতে।”
–“কিন্তু আমাদের সাথেই কেন? অন্যবাসে উঠতে পারেনি? তা-ও আবার আমার পাশের সিটেই উনি বসেছেন।”
–“আচ্ছা ভাইয়াকে নিয়ে তোর সমস্যা কি?”
–“কোনো সমস্যা না, শুধু ভয় লাগে উনাকে।”
–“ধুর! ডর-ভয় বাদ দে। লেটস এনজয়।”
কথাটা বলেই নূর অর্নির হাত ধরে দাঁড়িয়ে গেলো। বাসের অন্যান্য স্টুডেন্টরা আগে থেকেই গান ছেড়ে উরাধুরা নাচছে। এবার যোগ হলো অর্নি রুশান নূর৷ স্যার-ম্যাম রাও তাল মেলাচ্ছে। একজন স্যার গান বন্ধ করে সকলকে যার যার সিটে বসতে বললেন। অতঃপর এনাউন্স করলেন ‘গানের লড়াই’ খেলা হবে৷ স্যারের কথামতো সকল স্টুডেন্টস দুটো দলে ভাগ হয়ে গেলো। বাসের ডান পাশের সারির স্টুডেন্ট সব এক দলে। আর বাপাশের সারির স্টুডেন্ট এক দলে৷ স্যার ম্যামও দু দলে ভাগ হয়ে গেলেন। অর্নি একা এক দলে পড়েছে আর রুশান নূর ওরা একই দলে পড়েছে৷ গানের নিয়ম, একদল যে অক্ষর বলবেন অপর দলকে সে অক্ষর দিয়েই গান ধরতে হবে৷ শুরু হয়ে গেলো গানের লড়াই। কোন দল জিতবে কোন দল হারবে তা বলা বেশ মুশকিল। কেননা দুই দলই বেশ খেলছে৷
অর্নির ক্লান্ত হয়ে নিজের সিটে এসে বসে পড়লো। ওর গাঁ গুলিয়ে আসছে এখন। কাল বিকেল থেকে শরীরটা গরম গরম। রাতে জ্বরও এসেছিলো। অর্নব বা মিসেস অদিতি কাউকেই জ্বরের ব্যাপারে বলেনি অর্নি। জানলে কিছুতেই ট্যুরে আসতে দিতো না ওকে। এখনও শরীরটা বেশ দূর্বল লাগছে। তার উপর আবার ভিতরের দিকে বসেছে তাই আরো দম বন্ধ লাগছে৷ জানালার পাশে বসলে বাইরের হাওয়া বাতাস পাওয়া যেতো। ও এমনিতেও জানালার পাশের সিট ছাড়া জার্নি করতে পারে না। কিন্তু উৎসব থাকায় সাহস করে আর বলতে পারেনি কথাটা। কোনো এক অজানা কারনে উৎসবকে বড্ড ভয় পায় অর্নি। হঠাৎ করেই প্রচন্ড বমি পায় অর্নির উৎসবকে কিছু বলতে গিয়েও পারছে না। মুখ খুললেই যেন গড়গড় করে বমি করে দিবে ও। উৎসব সিটে হেলান দিয়ে চোখ বন্ধ করে গান শুনছিলো৷ হাতে স্পর্শ পেয়েই চোখ মেলে তাকায় ও। অর্নিকে ঠিক লাগছে না। মেয়েটা কি অসুস্থ? নিজের মনেই কথাটা আওড়ালো উৎসব। ওর হাতের উপর অর্নির হাত, দেখেই উৎসবের বুকটা কেঁপে উঠলো৷ যে মেয়েটা ওকে ভয় পায়, ওকে দেখলেই সবসময় পালিয়ে বেড়ায় সেই মেয়েটা ওর হাত খামচে ধরে রেখেছে? উৎসব অর্নিকে জিজ্ঞেস করলো,
–“ঠিক আছো তুমি? শরীর খারাপ লাগছে?”
অর্নি কথা বলতে গিয়েও বলছে না। একহাতে মুখ চেপে ধরে রেখে অন্যহাতে কিছু একটা ইশারা করছে। কিন্তু উৎসব অর্নির ইশারা বুঝতে পারছে না৷ তাই আবারো বললো,
–“আমি বুঝতে পারছি না। কি বলতে চাইছো? শরীর খারাপ লাগছে?”
অর্নি মুখ থেকে হাত সরিয়ে বললো,
–“আমাকে জানালার পাশে বসতে___”
আর কিছু বলতে পারলো না অর্নি। তার আগেই উৎসবের গায়ের উপরই বমি করে দিলো ও। অর্নির এমন কাজে উৎসব বড়বড় চোখে তাকিয়ে আছে। উৎসব অর্নির কপালে হাত দিতেই দেখলো শরীরটা ধীরে ধীরে গরম হয়ে যাচ্ছে। একটু আগে অর্নি যখন ওর হাত ধরেছিলো তখনই শরীর ঠান্ডা ছিলো। হুট করেই জ্বর এলো কি করে ভেবে পেলো না উৎসব। অর্নির মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে উৎসব। নূর অর্নিকে উৎসবের গায়ের উপর বমি করতে দেখে এগিয়ে এসে বললো,
–“অর্নি ঠিক___”
উৎসব নূরকে চোখের ইশারায় থামিয়ে দিলো৷ নূর কোনো কথা বললো না। অর্নির পিঠে হাত বোলাতে লাগলো। বেশ কিছুক্ষণ পর অর্নি ক্লান্ত শরীরটা সিটের সাথে হেলিয়ে দিয়ে চোখ বন্ধ করে পড়ে রইলো৷ পরমূহুর্তে বমির কথা মনে হতেই চট করে চোখ খুলে পাশে তাকালো। উৎসবের শার্ট পুরো নষ্ট হয়ে গেছে, সাথে প্যান্টও। অর্নি ওর নিজের কাজে বেশ লজ্জিত হলো। আমতা আমতা করে বললো,
–“স্ স্যরি, আমি ব্ বুঝ্ বুঝতে__”
–“ইট’স ওকে।”
অর্নিকে কথাটা বলেই উৎসব ড্রাইভারকে একটা হোটেলের সামনে বাস থামাতে বললো। তারপর ব্যাগ কাঁধে নিয়ে নেমে পড়লো বাস থেকে। মিনিট পনেরো বাদে চেঞ্জ করে পরণে ড্রেসটা ডাস্টবিনে ফেলে আবার বাসে এসে বসলো। সেই সুযোগে অর্নিও ফ্রেশ হয়ে নিয়েছে। উৎসবকে নীল শার্ট আর ধূসর রঙের জিন্সে দেখে অর্নির ছোটখাটো একটা হার্ট অ্যাটাক হয়ে গেলো৷ অর্নি এসে দেখলো উৎসব চেঞ্জ করে ওর নিজের জায়গায় বসে আছে। অর্নি এবার সাহস করে বলেই ফেললো,
–“আ্ আমাকে জানালার পাশে বসতে দিবেন?”
উৎসব একপলক অর্নিকে দেখলো। তারপর নিজের সিট থেকে উঠে গেলো। অর্নি গিয়ে জানালার পাশে গিয়ে বসতেই উৎসব অর্নির পাশে বসলো। উৎসব বললো,
–“এখন ঠিক আছো তুমি?”
অর্নি ছোট্ট করে ‘হুম’ বললো৷ উৎসব আবারো বললো,
–“শরীর খারাপ তোমার?”
–“না মানে একটু জ্বর___”
–“গাঁ পুড়ে যাচ্ছে, আর এটা তোমার একটু মনে হলো? মেডিসিন নিয়েছিলে?”
আনিতা না সূচক মাথা নাড়ায়৷ উৎসব ফোঁস করে একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে৷ এবং বলে,
–“অসুস্থ আগে বললেই তো পারতে__”
–“আসলে ভাইয়া আ্ আমি জানালার পাশে ছাড়া বসতে পারি না। তার উপর শরীরটা একটু খারাপ ছিলো তাই ভুল করে আপনার উপর___”
–“ফরগেট ইট৷ জানালার পাশের সিট লাগবে আগে বললেই হতো। তাহলে তো আর এভাবে অসুস্থ হয়ে পড়তে না।”
–“স্যরি ভাই___”
–“হুম।”
এইটুকু বলে উৎসব আবারো নিজের মতো ফোনে ব্যস্ত হয়ে পড়লো। অর্নি জানালা দিয়ে বাইরের পরিবেশ দেখছে৷ কিছুক্ষণ বাদেই সবাইকে একটা করে খাবারের প্যাকেট দেওয়া হলো। সাথে একটা মিনারেল ওয়াটার। আনিতা খাবারের প্যাকেটটা পাশে রেখে আবারো বাইরে মনোযোগ দিলো৷ উৎসব অর্নিকে বললো,
–“পাশে রেখে দিলে কেন? খেয়ে নাও।”
অর্নি উৎসবের দিকে তাকিয়ে বললো,
–“ইচ্ছে করছে না, পরে খেয়ে নিবো।”
উৎসব মৃদু ধমক দিয়ে বললো,
–“এমনিতেই অসুস্থ, না খেলে আরো অসুস্থ হবে। দ্রুত খাবার শেষ করো।”
উৎসবের ধমকে অর্নি ঠোঁট উলটে কেঁদে দিলো। লোকটা এমন কেন? ওকে শুধু শুধু বকে। উৎসব আবারো ধমক দিতেই অর্নি খাবারের প্যাকেট খুলে খেতে শুরু করে। উৎসব মুচকি হাসলো অর্নির আড়ালে। খাওয়া শেষ হতেই উৎসব নিজের ব্যাগ থেকে একটা প্যারাসিটামল বের করে অর্নিকে দিয়ে বললো,
–“খেয়ে নাও, ভালো লাগবে।”
অর্নিও উৎসবের ধমকের ভয়ে চুপচাপ খেয়ে নিলো ঔষধটা। ওদিকে সবাই হই হুল্লোড়ে ব্যস্ত, আর এদিকে অর্নি চোখ মুখ কুঁচকে সেসব দেখছে। ওরও ইচ্ছে করছে ওদের সাথে গিয়ে আনন্দ করতে। কিন্তু সেটাও পারছে না। শরীর খারাপ করারও আর সময় পেলো না? ভেবেই ঠোঁট উল্টালো অর্নি। চুপচাপ সিটে হেলান দিয়ে চোখ বন্ধ করে নিলো অর্নি। আনন্দ তো আর করতে পারবে না৷ তাই ভেবে নিলো ঘুমিয়েই কাটানো যাক।
–
নিজের ডেস্কে বসে একটা ফাইল চেইক করছিলো অর্নব৷ কয়েকদিন যাবত কাজের অনেক প্রেশার যাচ্ছে ওর উপর দিয়ে৷ কাজ করতে করতে কখন যে লাঞ্চের টাইম হয়ে গেছে ও বুঝতেই পারেনি। দরজায় কড়াঘাতের শব্দে ফাইলের দিকে তাকিয়েই বললো,
–“ইয়েস, কাম ইন।”
অনুমতি পেয়ে লাঞ্চ বক্স হাতে অর্নবের কেবিনে ঢুকলো টায়রা। অর্নবের দিকে অদ্ভুত দৃষ্টিতে খানিকটা সময় তাকিয়ে রইলো ও। ঘামে ভেজা ক্লান্ত অর্নব খাওয়া/দাওয়া ভুলে এক মনে কাজ করে যাচ্ছে৷ সাদা শার্ট ঘামে ভিজে শরীরের সাথে লেপটে আছে৷ আর এসময়ে অর্নবকে দেখে নেশা ধরে যাচ্ছে টায়রার। ইশ্! এত সুন্দর ছেলেটা কিনা টায়রার উডবি? এই ছেলেটা শুধুমাত্র ওর নিজের? কথাগুলো ভেবেই মুচকি হাসলো টায়রা। অর্নব ফাইলে চোখ রেখেই বললো,
–“কি বলবেন, দ্রুত বলে ফেলুন।”
টায়রা জিহবা দিয়ে ঠোঁট ভিজিয়ে বললো,
–“লাঞ্চ নিয়ে এসেছিলাম স্যার। আপনার কাজ শেষ হলে দয়া করে খাবারটা খেয়ে আমায় উদ্ধার করুন।”
পরিচিত মেয়েলি কন্ঠস্বর শুনে দ্রুত চোখ তুলে তাকায় অর্নব। সামনে টায়রাকে লাঞ্চ বক্স হাতে দেখে বললো,
–“তুমি আবার কষ্ট করে আসতে গেলে কেন? আমি তো ক্যানটিন থেকে খেয়ে নিতে পারতাম।”
টায়রা চেয়ারে বসে খাবার বাড়তে বাড়তেই বললো,
–“হ্যাঁ তা তো দেখতেই পারছি কত খেয়ে নিতে তুমি।”
টায়রা প্লেটে করে খাবার বেড়ে অর্নবের দিকে এগিয়ে দিলে অর্নব বললো,
–“হাতে একটু কাজ বাকী আছে, খাইয়ে দাও।”
টায়রাও বিনাবাক্যে নিজের একান্ত পুরুষকে পরম যত্নে খাইয়ে দিতে লাগলো। অর্নবও বেশ তৃপ্তি করেই খেলো। খাওয়ানো শেষ করে টায়রা অর্নবের কাজ শেষ হওয়ার অপেক্ষায় বসে রইলো।
মিনিট পনেরো বাদে অর্নবের কাজ শেষ হতেই উঠে টায়রার সামনে গিয়ে দাঁড়ালো। চেয়ার সহ টায়রাকে নিজের দিকে ঘুরিয়ে চেয়ারের দুপাশে হাত রেখে টায়রার দিকে কিছুটা ঝুঁকে গেলো অর্নব। টায়রা এদিক সেদিক চোখ বুলালো একবার। অর্নব আরো কিছুটা ঝুঁকে গিয়ে বললো,
–“তা ম্যাডাম আজ হঠাৎ করেই অফিসে এলেন যে?”
–“কেন আবার? দেখলেই তো লাঞ্চ নিয়ে এসেছিলাম।”
অর্নব আরো কিছুটা ঝুঁকে গিয়ে বললো,
–“খাবার নিয়ে আসা তো শুধুমাত্র বাহানা ছিলো, আসলে তো তুমি আমায় দেখতে এসেছো।”
টায়রা আমতা আমতা করে বললো,
–“দূরে সরো। এটা অফিস, যে কেউ চলে আসতে পারে।”
–“আমার কেবিনে নক ছাড়া কেউ আসবে না।”
–“সাবধানের মার নেই।”
অর্নব টায়রাকে ছেড়ে দিয়ে সোজা হয়ে দাঁড়ালো। তারপর ভাবুক হয়ে বললো,
–“আমার যতদূর মনে হচ্ছে, আমি তো এমন কিছু করছি না যাতে আমাকে অন্যকারো সামনে লজ্জায় পরতে হবে।”
টায়রা উঠে দাঁড়ালো। লাঞ্চ বক্স গোছাতে গোছাতে বললো,
–“তুমি থাকো, আমি গেলাম।”
–“আজকাল আমাকে একটু বেশিই চোখে হারাচ্ছো মনে হয়?”
টায়রা কিছু না বলে চুপ করে রইলো। অর্নব টায়রাকে নিজের দিকে ঘুরিয়ে কপালে ভালোবাসার স্পর্শ এঁকে দিলো। টায়রা লজ্জায় মাথা নিচু করে নিলো। অর্নব টায়রার গালে হাত ধরে বললো,
–“চলো, আজ আমার সারাটা বিকেল তোমার নামে লিখে দিলাম।”
টায়রার চোখ দুটো খুশিতে চিকচিক করে উঠলো৷ ঠোঁটের কোনে এক অমায়িক হাসি। কিন্তু অর্নবের অফিসের কথা মনে হতেই টায়রার হাসি মিলিয়ে গেলো। গোমড়া মুখে বললো,
–“কিন্তু তোমার অফিস?”
–“আপাতত কয়েকদিন কাজের প্রেশার খুব একটা নেই। আর আজ মোটামুটি দুদিনের কাজ শেষ করে রেখেছি, তাই বলতে গেলে ফ্রি আছি এখন।”
টায়রার মিলিয়ে যাওয়া হাসি আবারো পুনরায় দেখা গেলো। অর্নবকে জড়িয়ে ধরে বললো,
–“থ্যাংক ইউ সো মাচ ডিয়ার উডবি, আজ সারাটা বিকেল আমাকে দেওয়ার জন্য।”
অর্নব টায়রার কানের কাছে মুখ নিয়ে ফিসফিস করে বললো,
–“তুমি চাইলে আজ সারাটা রাতও তোমাকে দিতে পারি।
টায়রা লজ্জা পেয়ে গেলো অর্নবের কথায়৷ অর্নবকে ঠেলে নিজের থেকে দূরে সরিয়ে লজ্জা মিশ্রিত কন্ঠেই বললো,
–“যাহ অসভ্য!”
অর্নব হেসে ফেললো টায়রার মুখভঙ্গি দেখে৷ অর্নবের হাসিতে টায়রা চোখ কটমট করে তাকালো ওর দিকে। অর্নব হাসি থামিয়ে টায়রার হাত ধরে কেবিন থেকে বেরোতে বেরোতে বললো,
–“আচ্ছা আর হাসছি না। এবার চলো, যাওয়া যাক।”
চলবে~