প্রেমের_রঙ #পর্ব_০৪

0
430

#প্রেমের_রঙ
#পর্ব_০৪
#মোহনা_হক

‘পদ্ম কাচুমাচু হয়ে বসে আছে। তার ভালো লাগছে না ইজহানের স্পর্শ। পদ্ম ইজহানের হাত সরিয়ে দিলো। ইজহান অবাক হয়ে গিয়েছে। সে পদ্মকে মেনে নিতে চাচ্ছে আর পদ্ম এসব আচরণ করছে। নিজের কাছে নিজেই ছোট হয়ে গেলো ইজহান।’

“দুঃখিত আমি এসবে অভ্যস্থ নই”

‘ইজহান বুঝলো পদ্মকে। বাচ্চা মেয়ে তাড়াতাড়ি বিয়ে দিয়ে দিয়েছে, তাই হয়তো খারাপ লাগছে ইজহানকে। ইজহান দূরে সরে আসলো পদ্মের কাছ থেকে।’

“সেটা নাহয় বুঝলাম তবে তোমাকে আমার সাথে মিশতে হবে, কথা বলতে হবে।”

‘পদ্ম চুপ করে আছে। এখন সে কি বলবে সেটাই ভাবছে। মাথায় কিছু আসছেনা।

“কি বলবে খুঁজে পাচ্ছোনা তাইনা!”

‘পদ্ম তাকালো ইজহানের দিকে। সে আশ্চর্য হয়ে গিয়েছে ইজহান কিভাবে তার মনের কথাটা বলে দিলো।’

“আচ্ছা সেগুলো নাহয় বাদ দিলাম। তুমি পড়াশোনা করেছো কতদূর?”

“আমি নবম শ্রেণি পর্যন্ত পড়েছি। বিয়ে হওয়ার পর আমি তো এখানেই চলে এসেছি তাই আর”
‘এটুকু বলেই পদ্ম থেকে গেলো। ইজহান বুঝেছে মেয়েটা পড়াশোনা করতো।’

“এখন আর করবে না পড়াশোনা? মানে করতে মন চায়না?”

” আপনারা যদি অনুমতি দিন তাহলে করবো। কিন্তু এখান থেকে আমাদের গ্রাম অনেক দূর কিভাবে যে আসবো আবার যাবো।”

“বউকে অশিক্ষিত রাখবো নাকি। এতোটাও অমানুষ না আমি। আমি তোমার মা আমার মা-বাবা সবার সাথেই কথা বলবো। তোমার ওই স্কুলে পড়তে হবেনা ঢাকার একটা ভালো স্কুল দেখে ভর্তি করিয়ে দিবো।”

‘পদ্ম একপ্রকার লাফিয়ে উঠে বললো’-

” না না আমি ওখানেই পড়তে চাই। ঢাকা শহরের কোনো কিছুর সাথেই আমি পরিচিত নই। আমার ভয় লাগে।”

“হ্যাঁ ম্যাডাম আপনার তো সব কিছুতেই ভয় লাগে,একটু মেঘের আওয়াজ হলে,আমাকে দেখলে,আমি একটু পাশে বসলেও আপনি ভয় পান। এরকম লিখা ছিলো আমার কপালে হায় আল্লাহ।”

‘পদ্ম একেবারে মনমরা হয়ে গেলো। ঠিকই তো একটু বেশিই ভয় পায় পদ্ম।’

“আচ্ছা পদ্ম বিয়ের আগে কখনো প্রেম করেছো?না মানে করতেই পারো। নিজের বউয়ের প্রথম ভালোবাসার কথাটা একটু শুনি।”

‘পদ্ম থতমত খেয়ে গেল।কিসব বলছে এই লোক’
“না এসব বিষয়ে কোনো ধারণা ছিলো না আমার। আমি কখনো এসব করিনি।”

‘ইজহান হেসেই দিলো পদ্মের কথা শুনে’
“যাক তাহলে আমিই হবো তোমার প্রথম প্রেম, তোমার প্রথম ভালোবাসা কি বলো?”

‘পদ্ম হালকা লজ্জা পেলো। ভালোবাসা,প্রেম এসব নিয়ে সে অবগত নয়।’

“আচ্ছা তুমি এখন ঘুমাও আমি তো ঘুমিয়েছি। আমি এখন একটু বাহিরে যাবো।”

‘পদ্ম ইজহানের দিকে তাকিয়ে বললো’
“কোথায় যাবেন?”

‘ইজহান হাসলো। আস্তে আস্তে পদ্মের ভিতরে তার বিষয়ে একটা অধিকার জন্ম নিতে শুধু করেছে। কিছুদিন পর হয়তো সবকিছু স্বাভাবিক ভাবেই মেনে নিবে দু’জনেই।’

“এইতো একটু বাহিরে যাচ্ছি। তুমি যাবা?”

‘পদ্ম মাথা নাড়িয়ে জানালো সে যাবে না। পদ্ম শুয়ে পড়লো। ইজহান যাওয়ার সময় পদ্মকে আবারও বলে গেলো। আর বলে দিয়েছে তার মা কিছু জিগ্যেস করলে বলতে ‘সে বাহিরে গিয়েছে একটু’।

(*)

‘আজ হসপিটালের সব সিনিয়র ডক্টররা সবাই দেখা করতে এসেছে এক রেস্টুরেন্টে। মুলত শুক্রবারই সবাই এমন একটা প্ল্যান করে রাখেন। সবার একসাথে আড্ডা দেওয়া খাওয়া-দাওয়া করা এটা সবাই উপভোগ করে। বিশেষ করে শানায়া কারণ সেই দীর্ঘ সময়টায় সে ইজহানের পাশে পাশে থাকতে পারে। আজ শানায়া রেডি হয়ে ইজহানকে কল দিয়েছিলো তাকে যেনো এসে নিয়ে যায় ইজহানও তাই করলো। কারো কথা ফেলতে পারেনা। শানায়া মাঝে মাঝে এই আবদারটা করে আর ইজহানও শানায়ার কথা রাখে। ইজহানের গাড়িতে উঠে শানায়া বলছিল।’

“সাদা শার্ট পড়ার কি দরকার। এমনিও সুন্দর আরও সুন্দর লাগে। কোনো মেয়ে মুখ লাগিয়ে দিতে পারে তো।”

‘ইজহান ড্রাইভ করতে করতে বললো’
“তাই নাকি? এতো সুন্দর হয়ে যাচ্ছি কিভাবে বলুন তো!”

“সে আপনার রুপের রহস্য আপনি জানেন। এসব সিক্রেট কথা কি আর আমাদের বলেন নাকি?”
‘বেশ একটা ভাব নিয়ে কথাটি বললো শানায়া’

“সেটাও কথা আপনি জানবেন কিভাবে?আপনার সাথে তো আর এসব নিয়ে আলোচনা করিনা।”

“আপনার সাথে আজ ম্যাচিং করে পড়লে ভালো লাগতো।”

” ম্যাচিং পড়ার কি দরকার?”

“এটা আলাদা ব্যাপার আপনার জানতে হবেনা। কিন্তু সত্যি কথা খুবই সুন্দর লাগছে আপনাকে। কি
আর বলবো এতো বেশি ভালো লাগছে।”

“মাশাআল্লাহ বলুন নাহলে আমার আবার বিয়ে হবেনা।”

“সে আপনার এই সুন্দর চেহেরা থাকলেও হবে না থাকলেও হবে। আপনার জন্য এক সুন্দরী মেয়ে অপেক্ষা করে আছে।”

‘ইজহান শুধু হেসেছে শানায়ার কথায়। তার মনে হয়েছে এসব কোনো গুরুত্বপূর্ণ কথা না উত্তর না দিলেও চলবে। রেস্টুরেন্টে ইজহান শানায়া এক সাথেই ঢুকলো। কিছু কিছু মানুষ ওদের দু’জনকে দেখলে মনে করবে গা’র্ল’ফ্রেন্ড ব’য়’ফ্রেন্ড। হসপিটালের বেশ কয়েকজন ডক্টর ধরে নিয়েছে ইজহান শানায়াকেই বিয়ে করবে। খাওয়ার সময় কেউ কেউ তো বলে উঠে ‘ইজহান আর শানায়া বিয়ে করবে কবে’ এই কথাটা ইজহানের থেকে শানায়ার বেশি উপভোগ করেছে। ইজহান চুপ ছিলো সে বেশি কথা বলেনি। আর বিয়ের ব্যাপারটা একেবারে সবাই যখন গেট টুগেদারে যাবে তখন বলবে। এখন বলার সময়টাকে ইজহানের পারফেক্ট মনে হয়নি।’ ডক্টর আসিফ আহমেদ বললেন’-

“ইজহান সাহেব আপনি কি আসলেই শানায়াকে বিয়ে করবেন।”

‘ইজহান হেসে হেসে উত্তর দিলো’
“আমার পছন্দের একটা সুন্দর মেয়ে আছে দেখি ম্যাডাম রাজি হয় নাকি নাহলে তাকেই বিয়ে করবো।”

‘ইজহানের পছন্দ করা মেয়ে আছে শুনে সবাই বেশ চমকে উঠলো৷ চমকে উঠার কথা কারণ ইজহানের স্বভাব চরিত্রে কখনো এমনটা বোঝা যায়নি যে সে আবার একটা মেয়েকে পছন্দও করতে পারে। ইজহানের কথা শুনে শানায়া বেশি চমকে উঠেছিলো। শানায়ার ভিষণ কষ্ট হচ্ছে। ঠিক এই কারনেই কি ইজহান তাকে পা’ত্তা দিত না। ইজহান আর এই টপিক নিয়ে কথা বলছেনা। এবার সবাই অন্য কথা বলছে। ইজহান কিছুক্ষণ পর পর আড়চোখে শানায়ার দিকে তাকাচ্ছে। শানায়া একেবারে চুপ করে আছে। বুঝাই যাচ্ছে খুব বড় ছ্যা’কা খেয়েছে সে। শানায়া কিন্তু ইজহানের পাশেই বসেছে। প্রতিবারই সে এমন করে। সবাই যে যার মতো খাওয়া-দাওয়া করছে। শানায়া শুধু চামচ নাড়ছে খাচ্ছেও না ঠিকমতো। অনেক রাত পর্যন্ত তারা আড্ডা দিবে বলে ঠিক করেছে। কিন্তু শানায়া চলে গেলো। সবাই ওকে থাকতে বললো তাদের সাথে কিন্তু সে চলে গেলো। এ বিষয়ে ইজহান কোনো রকম ভ্রুক্ষেপ করেনি। সে নিজের মতো ফোন চাপছিলো।

(*)

‘পদ্ম একেবারে সন্ধ্যায় উঠলো। ঘুম থেকে উঠে চোখে মুখে পানি দিয়ে মুনিরা শেখের কাছে গেলে। তিনি সোফায় বসে বসে টিভি দেখছেন। পদ্ম গিয়ে বসলো তার পাশে। পদ্মকে দেখে মুনিরা শেখ বললেন।’

“ইজহান কোথায় গিয়েছে জানো?”

“না তবে বলে গিয়েছে উনি বাহিয়ে যাবেন। আর বলেছেন আপনি জিগ্যেস করলে যেনো এটাই বলি।’

” আমি ওর কথা জানার জন্য তোমার রুমে গিয়ে দেখি তুমি ঘুমাচ্ছো।”

“আমাকে ডাকেননি কেনো?”

“এখন তো জেনেছি। আচ্ছা চা খাবে তুমি?”

” হ্যাঁ আমি বানিয়ে আনছি। আপনি বসুন।”

‘সারা সন্ধ্যায় মুনিরা শেখ আর পদ্ম চা খেতে খেতে কাটিয়ে দিলো। পদ্ম তার গ্রামে কি কি করতো সেসব কথা বলছে মুনিরা শেখ পদ্মের কথা শুনে হাসছে। কি সহজ সরল কথাবার্তা পদ্মের। মেয়েটা আসলেই খুব সুন্দর মনের। কথা শুনলেই বুঝা যায়।তারা দু’জন মিলে নাটক দেখছে টিভিতে। মুলত পদ্মের এসব নাটক ভালোই লাগে তাদের গ্রামের পাশের বাড়ির চাচির ঘরে দেখতো। পদ্মের মা টিভি আনার কথা বললেও পদ্মের বাবা অনুমতি দেননি। রাত প্রায় ১০টা হয়ে যায়। ইজহান মুনিরা শেখকে কল করে বললেন তার আসতে দেরি হবে তিনি আর পদ্ম যেনো রাতের খাবার খেয়ে নেন।’
‘পদ্ম মুনিরা শেখের রুমে গিয়ে বসলো ওর কাছে একা থাকতে ভালো লাগছেনা। পদ্মকে দেখে মুনিরা শেখ বললেন’-

“তুমি ঘুমাবে না?”

“না মা আসলে ভালো লাগছেনা এখন আর ঘুমও আসছেনা বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ঘুমিয়েছি তো।”

“আচ্ছা পদ্ম তোমাকে কিছু কথা বলি শুনো।”

“জ্বী বলুন।”

“ইজহানের সাথে তুমি কেমন আচরণ করো? মানে তোমরা যে স্বামী স্ত্রী তোমাদের সম্পর্কটা আসলে কেমন?”

‘পদ্ম ঘাবড়ে গেলো কারণ আজ বিকেলেই তো ইজহানের সাথে একটা বাজে আচরণ করে ফেলেছে কিভাবে এখন সেটা তার শ্বাশুড়িকে বলবে। তাও সে আমতা আমতা করে বললো-‘

“জ্বী সব ঠিক আছে।”

‘মুনিরা শেখ বিশ্বাস করলেন না কারণ তাকে ইজহান সকালে বলেছে সে মেনে নিতে চেষ্টা করবে।এর মানে এই না যে আজকেই একেবারে তাদের মধ্যে সুন্দর সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। আর পদ্ম যে ইজহানের আশেপাশে থাকতে চায়না এটা বেশ খেয়াল করেন মুনিরা শেখ। মুনিরা শেখ জানেন কিন্তু পদ্মকে বুঝতে দিলো না সেটা।’

“তাহলে তো ভালোই।”

‘মুনিরা শেখ কিছু বললেন না। পদ্ম তার শ্বাশুড়ির রুম থেকে চলে এসেছে। আজ সে একজন গুরুজনের কাছে মিথ্যে বলেছে সেটা নিয়েই খুব খারাপ লাগছে। মিথ্যা কথা না বললেও পারতো কিন্তু সত্যিটা শোনার পর যদি তার শ্বাশুড়ি তাকে খারাপ ভাবে বা বকা দেয়। যদি তার সাথে আগের মতো ভালো ব্যবহার না করে। ওনি যদি জানেন ওনার ছেলেকে পদ্ম মেনে নিতে পারছে না। তাহলে তো তিনি পদ্মকে অনেক কথা শুনাবে। সে কথা মনে করে পদ্ম বলেনি কিছু।’

‘বারান্দায় একা একা দাঁড়িয়ে আছে পদ্ম। কেনো জানি তার অনেক কষ্ট হচ্ছে কোনো কারণ ছাড়াই। এখন কান্না করতে ইচ্ছে করছে পদ্মের। বিশেষ করে তার বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে এই সমস্যাটা বেশি হচ্ছে। কিছুক্ষণ পর ক্রলিং বেল বেজে উঠলো। পদ্ম গিয়ে দরজা খুললো। ইজহান পদ্মকে দেখে একেবারে দাঁত দেখিয়ে হাসি দিলো। হাসিটা পদ্মের খুব পছন্দ কিন্তু মন খারাপের জন্য সে রুমে এসে পড়লো কোনো রকম প্রতিক্রিয়া না করে। ইজহান ভাবলো মনেহয় তখনকার কথা ভাবছে তাই হয়তো মুখটা অনেক শুকনো শুকনো লাগছে।ইজহান ওয়াশরুম থেকে ফ্রেশ হয়ে দেখলো পদ্ম বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছে। ইজহান ওখানেই গেলো। একেবারে পদ্মের পিছনে এসে দাঁড়ালো।”

“কি হয়েছে ম্যাডাম? এখনো যে ঘুমাননি?”

‘ইজহানের কথা শুনে পদ্ম ইজহানের দিকে ফিরে তাকালো। ইজহানে দিকে তাকিয়ে সে একটু পিছিয়ে গেলো তৎক্ষনাত গ্রিলের সাথে মাথায় ব্যাথা পেলো। সাথে সাথে পদ্ম ‘উফ’ অস্পষ্ট একটা আওয়াজ করলো। ইজহান দ্রুত পায়ে পদ্মের সামনে গেলো। ধমক দিয়ে বললো-‘

“আশ্চর্য তোমাকে কি খেয়ে ফেলবো আমি? এতো ভয় পাওয়ার কি আছে। ব্যাথা পেয়েছো বেশি?”

‘পদ্ম কিছু না ভেবে ইজহানকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে দিলো। মুলত সে কষ্ট কমানোর জন্য কাজটা করেছে। এদিকে ইজহান চমকে উঠেছে। যেই মেয়ে কে বিকেলে জড়িয়ে ধরাতে তার খারাপ লেগেছে আর সেই এখন জড়িয়ে ধরেছে। আর কাঁদছেই বা কেনো। সে তো কিছু বলেনি। বোধহয় ব্যাথা পেয়েছে তাই কাঁদছে। ইজহান তার এক হাত পদ্মের মাথায় রাখলো। নরম কন্ঠে পদ্মকে বললো-‘

” বেশি ব্যাথা পেয়েছো কি?”

‘পদ্ম ইজহানকে জড়িয়ে ধরা অবস্থায় বললো-‘

“আমি মাকে মিথ্যে বলেছি ওনি জিগ্যেস করেছিলো আমাদের মধ্যে সব ঠিক আছে কিনা আমি বলেছি হ্যাঁ। আমি কখনো গুরুজনদের সাথে মিথ্যে বলেনি। আমার খুব খারাপ লাগছে। আমি আপনাকে মেনে নিবো। আপনার সব কথা শুনবো আমি। আপনি দয়া করে মাকে কিছু বলবেন না। ওনি আমাকে খারাপ ভাববেন।”

‘ইজহান হেসে দিলো। কাঁদলে মেয়েটার কন্ঠ কি সুন্দর লাগে।’

” আচ্ছা বলবো না তাহলে দু’হাত দিয়ে জড়িয়ে ধরি হ্যাঁ?”

‘পদ্ম মাথা নেড়ে সায় দিলো’

#চলবে…

[আসসালামু আলাইকুম। সবাই কেমন আছেন?
আগেই বলে রাখছি আজ গল্প লিখতে প্রচুর বিরক্ত হয়েছি,কোনোমতেই কিছু মিলাতে পারছিলাম না অগোছালো দেখলে ক্ষমা করে দিবেন সবাই। আচ্ছা পদ্ম তো ইজহানকে মেনে নেওয়া শুরু করেছে।আর ইজহান তো মেনে নেওয়া অলরেডি শুরু করেই দিয়েছে। এই অবস্থায় যদি তাদের মাঝে শানায়ার আগমন ঘটে তাহলে আপনাদের প্রতিক্রিয়া কেমন হবে? কমেন্টে জানাবেন। আচ্ছা আরেকটা কথা এখানে পদ্ম ১৫ বছরে ক্লাস নাইনে পড়ছে, আমি আমারটা হিসেব করেই এটা দিয়েছে যখন আমার বয়স ১৫ ছিলো তখন কিন্তু আমি ক্লাস নাইনে ছিলাম।আর দয়া করে সবাই সালামের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করবেন। আপনারা যখন সালামের উত্তর দেন আমি ভিষণ খুশি হই🥰।আমার ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
শব্দসংখ্যা ১৫২৯]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here