#আমার_ফুলবাবু❀
#পর্ব_০৩ & ০৪
#ফিহা_আহমেদ(লেখনীতে)
(❌কপি করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ❌)
#৩.
শপিংমলে বিরক্তি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে ধ্রুব। আর জুঁই ধ্রুবর বিরক্তিমাখা মুখের দিকে তাকিয়ে আছে।
(কলেজের প্রিন্সিপালের কাছ থেকে ছুটি নিয়ে আসতে ধ্রুবর অনেক হিমশিম খেতে হয়েছে। প্রিন্সিপাল কিছুতেই ছুটি দিবে না।অনেক বুঝিয়ে ছুটি নিয়ে এসেছে ধ্রুব)
জুঁই চোখ বড় বড় করে শপিংমল দেখছে। এত বড় শপিংমল দেখে জুঁইয়ের মুখ হা হয়ে গেছে।
— ধ্রুব তুই জুঁই মাকে নিয়ে একটু দাঁড়া আমি আসছি। (তাহিরা)
ধ্রুব তাহিরার কথায় কোনো জবাব দিল না। শপিংমলে থাকা বেঞ্চে বসে পড়লো।জুঁই ও ধ্রুবর পাশে বসলো।
জুঁইকে বসতে দেখে ধ্রুব ধমক দিয়ে বললো ,,,,,
— এই মেয়ে দূরে গিয়ে বসো।আমার সাথে ঘেঁসে একদম বসবে না।না হয় ওপরে তুলে আছাড় মারব।
ধ্রুবর কথা শুনে জুঁই মুখ ফুলিয়ে দূরে সরে বসলো।
জুঁইকে মুখ ফুলিয়ে সরে যেতে দেখে ধ্রুব হেসে দিলো। ধ্রুবকে হাসতে দেখে জুঁই বসা থেকে ওঠে ধ্রুবর সামনে এসে দাঁড়ালো। জুঁইকে নিজের সামনে দাঁড়াতে দেখে ধ্রুব ব্রু কুঁচকে জুঁইয়ের দিকে তাকালো।
জুঁই কোমরে হাত দিয়ে বলে ,,,,,,
— আন্নে হাসলেন কেন ফুলবাবু?
ধ্রুব কিছু না বলে মুখ অন্য দিকে ফিরিয়ে সশব্দে হেসে উঠলো।ধ্রুবকে আরো জোরে হাসতে দেখে জুঁই মুখ ফুলিয়ে আবার বেঞ্চে এসে বসলো।ধ্রুবর থেকে তিন হাত দূরে এসে বসলো।
জুঁই শপিংমলে বাহিরের দিকে তাকিয়ে আছে। তখন একটা মেয়ে এসে ধ্রুবর সামনে দাঁড়ালো।
— হ্যালো মিস্টার ধ্রুব দেওয়ান কেমন আছেন?
ধ্রুব হেসে বললো ,,,,,,
— আলহামদুলিল্লাহ ভালো আয়রা। তুমি কেমন আছো?
— আমি ও ভালো আছি মিস্টার ধ্রুব দেওয়ান। (আয়রা)
জুঁই চোখ ছোট ছোট করে মেয়েটির দিকে তাকিয়ে আছে। জুঁই বসা থেকে ওঠে মেয়েটির কাছে এসে দাঁড়ালো।
— আল্লাহ গো আন্নের কি টাকার অভাব? (জুঁই মেয়েটির দিকে তাকিয়ে বললো)
— এই মেয়ে কি আবোলতাবোল বকছো। (আয়রা চমকে বললো)
ধ্রুব ধমক দিয়ে বললো ,,,,,
— চুপচাপ বেঞ্চে গিয়ে বসো।
— চুপ থাহেন তো ফুলবাবু। আন্নে চোখ বন্ধ কইরা থাহেন।অন্য মাইয়া মাইনষের শরীর দেখলে আন্নের পাপ অইবো। (জুঁই)
বলে জুঁই নিজের কাপড়ের আঁচলের কিছু অংশ জোর করে টেনেটুনে ছিঁড়ে এসে ধ্রুবর চোখে বাঁধা শুরু করলো।
— এই মেয়ে কি করছো তুমি। আমার চোখে কাপড় বাঁধছো কেন? (ধ্রুব আশ্চর্য হয়ে বললো)
— চুপ থাহেন তো ফুলবাবু। এই মাইয়া কুট্টি কুট্টি গেঞ্জি আর প্যান্ট পইরা আইছে। আমরা ছোডকালে এমন কুট্টি গেঞ্জি প্যান্ট পইরা থাকতাম। (জুঁই ধ্রুবর চোখে কাপড় বাঁধতে বাঁধতে এই কথা বললো)
জুঁইয়ের কথা শুনে ধ্রুবর ভীষণ হাসি পাচ্ছে। অনেক কষ্টে হাসি আঁটকে রাখছে ধ্রুব। আয়রা মেয়েটি ধ্রুবর বাবার বন্ধুর মেয়ে।
জুঁই এবার আয়রার সামনে এসে নিজের কাপড়ের আঁচল দিয়ে আয়রার পেটের অংশ আর হাঁটুর নিচ ডাকতে চেষ্টা করছে। আয়রা এবার রেগে গেল।
— এই অসভ্য গাইয়া মেয়ে। কি করছো এইসব।আর ধ্রুব আপনি কিছু বলছেন না কেন মেয়েটাকে? (আয়রা)
জুঁই ও রেগে বললো ,,,,,,
— লজ্জা নাই আন্নের আপা।অন্যের সোয়ামীর সামনে কুট্টি কুট্টি জামা পইরা আইছেন।চইলা যান আন্নে আমার সোয়ামী আন্নের দিকে চাইলে গুনাহ অইব।
আয়রা ধ্রুবকে কিছু বলতে না দেখে রেগে এখান থেকে চলে গেল।যাওয়ার আগে জুঁইকে বলে গেল ,,,,,,
— গাইয়া মেয়ে তোকে আমি পরে দেখে নিব।
— যান তো আপা। পরে আন্নে পুরা জামাকাপড় পইরা আমারে দেখতে আইবেন।আন্নেরে কুট্টি জামাকাপড়ে দেখলে আমার গুনাহ অইবো। (জুঁই দাঁত কেলিয়ে বললো)
আয়রা যেতেই ধ্রুব চোখ থেকে কাপড়ের টুকরো খুলে ফেললো। আড়াল থেকে তাহিরা সব দেখেছে।তাহিরা ইচ্ছে করেই তাদের দু’জনের থেকে আলাদা হয়েছে। দু’জনকে একা ছেড়ে দিল তাহিরা।
— কতদিন পর আমার বাবাটাকে হাসতে দেখলাম। প্রানটা জুড়িয়ে গেল আমার।জুঁই মা ই পারবে আমার বাবাটাকে আগের মতো করতে।
ধ্রুব জুঁইকে কিছু ই বললো না।কেন জানি ধ্রুবর ভালো লাগলো জুঁইয়ের কান্ড গুলো।তাহিরা তাদের কাছে আসলো।
— চল বাবা জুঁই মায়ের জন্য কিছু কেনাকাটা করতে হবে। (তাহিরা)
জুঁই তাহিরাকে দেখে ওঠে জড়িয়ে ধরে বললো ,,,,,,,
— আম্মা কই আছিলা?
— জুঁই মা আমার। মা একটু কাজে গিয়েছিলাম। (তাহিরা জুঁইয়ের মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বললো)
ধ্রুব আর তাহিরা মিলে জুঁই এর জন্য জামাকাপড় কিনছে আর জুঁই তাদের কেনাকাটা দেখছে।এক ঘন্টা শপিং করার পর তিনজন শপিংমল থেকে বের হয়ে গাড়ির জন্য দাঁড়িয়ে আছে।হঠাৎ জুঁই এর চোখ পড়লো বাদাম ওয়ালার দিকে।জুঁই সেদিকে তাকিয়ে আছে।বাদাম জুঁই এর প্রিয় খাবার।জুঁই লজ্জায় তাদের কাছে বাদাম খাওয়ার কথা বলতে পারছে না।
অটোতে তিনজন উঠে বসলো।তখন ধ্রুব বলে উঠলো ,,,,,,
— মা আমি একটু আসছি। মামা একটু বসো এই যাব আর আসবো।
— ঠিক আছে সাহেব। (অটোওয়ালা)
কিছুক্ষণ পর ধ্রুব আসলো।
— বাবা কোথায় গেলি? (তাহিরা)
— একটু কাজ ছিল। (ধ্রুব)
অটোওয়ালা অটো চালানো শুরু করলো।
_____
— খায়ের আর মাইডারে চাইড়া দে। আর মাইডারে নিয়া যাইছ না। (লতা বানু কান্না করতে করতে বললো)
— তোর বড় মাইরারে বিয়া কইত্তে হারি ন তো কি অইছে তোর ছোড মাইয়ারে বিয়া করুম। (খায়ের বাঁকা হেসে বললো)
(লতা বানুর দুই মেয়ে বড় মেয়ে জুঁই বয়স পনেরো বছর আর ছোট মেয়ে ঝুমা বয়স চৌদ্দ বছর। লতা বানুর স্বামী আলম মিয়া নৌকা চালিয়ে সংসার চালাতো।একদিন নৌকায় করে যাএী নেওয়ার সময় মাঝ নদীতে ঝড় ওঠলো।ঝড়ে আলম মিয়া সহ নৌকায় থাকা যাএীরা নৌকা থেকে পড়ে যায়।বড় বড় ঢেউয়ের কারনে সাঁতার জানা সত্বেও আলমা মিয়া বাঁচতে পারেননি৷ নদীর পানিতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।লাশটা ও খুঁজে পাওয়া যায়নি আলম মিয়ার।)
(অনেকের মনে এই প্রশ্ন জাগতে পারে তাহলে লতা বানুর সংসার চলে কিভাবে? সেটা পরবর্তী পর্বগুলোতে জানিয়ে দেওয়া হবে।)
খায়ের দলবল নিয়ে এসে লতা বানুকে গাছের সাথে বেঁধেছে।
— এইরে পল্টু কাজি ব্যাটারে ধইরা আনছত? (খায়ের)
— এই যে লইয়া আনছি আক্কাস মিয়ারে। (পল্টু)
— এই কাজি বিয়া পড়া শুরু কর। (খায়ের)
ঝুমা কান্না করে যাচ্ছে। লতা বানু কান্না করতে করতে বাঁধা অবস্থায় জ্ঞান হারিয়ে ফেললো।
®ফিহা আহমেদ
_____
#৪.
খায়ের নাকের রক্ত হাত দিয়ে মুছে রাগী দৃষ্টিতে তাকালো সামনে থাকা ছেলেটির দিকে।
— ইভাইন্না তুই আরে মারলি কা? তোর এত বড় কইলজা। (খায়ের রেগে বললো)
— তুই ঝুমারে জোর কইরা বিয়া করবি কেন? (ইভান)
— আর ইচ্ছা অইছে। (খায়ের)
— তুই মেম্বারের পোলা দেইখা যা ইচ্ছা করবি নাকি। (ইভান)
বলে ইভান খায়েরকে মারতে শুরু করলো। লতা বানু আর ঝুমা হা করে ইভানের দিকে তাকিয়ে আছে।
(ইভান ফুলকড়ি গ্রামের চেয়ারম্যানের ছেলে। শহরে পড়াশোনা করে।অনার্স চতুর্থ বর্ষের ছাএ ইভান। কয়েকদিনের জন্য গ্রামে এসেছে। লতা বানুর বাড়ির ওপর দিয়ে দোকানে যাচ্ছিল। তার চোখে এসব ঘটনা দেখতে পায়।)
রশীদ মেম্বার দৌঁড়ে ঢুকে তার দলবল সহ।
— ইভান তোর সাহস তো কম না তুই আর পোলারে মারছ।(রশীদ)
ইভান কিছু না বলে মারতেই থাকে খায়েরকে।রশীদের চেলাপুলা ইভানকে টেনেটুনে সরালো খায়েরের কাছ থেকে। রশীদ মেম্বার খায়েররে নিয়ে গেল।ইভান লতা বানুর বাঁধন খুলে দিল। লতা বানু কৃতজ্ঞতার দৃষ্টিতে তাকালো ইভানের দিকে।
— বাপ তুই তো দেহি অনেক বড় অইছচ। (লতা)
ইভান হাসলো লতার কথায়।
— আন্নে ভালা আছেন কাকি আম্মা?(ইভান)
— হ বাপ ভালা ই আছি।(লতা কান্নারত কন্ঠে বললো)
ঝুমা হা করে ইভানের দিকে তাকিয়ে আছে। ইভানের চোখ ঝুমার দিকে পড়তেই ইভান মুচকি হাসলো। লতা বানু ঝুমার কাছে এসে ঝুমাকে জড়িয়ে ধরে।
— ঝুমা মা ডরাইছ না। মা আছি না। (লতা)
— মা কাইন্দো না আই ঠিক আছি। (ঝুমা)
— কাকি আম্মা আন্নেরা দু’জন আমার সাথে আহেন। (ইভান)
— কই যামু বাপ। (লতা)
— এহন থাইকা আমার বাড়িতে থাকবেন আন্নেরা। (ইভান)
— চেয়ারম্যান সাব মাইনা নিতো না।(লতা)
— আব্বা মানবো আই আছি না।চলেন কাকি আম্মা।(ইভান)
— পোলাডা কি সুন্দর কইরা আম্মা ডাহে।আর জুঁই ও এমনে আম্মা ডাকে।পোলাডার মুখ থাইকা আম্মা ডাকখান শুইনা আর জুৃঁই আম্মার কথা মনে হইলো।(লতা ইভানের দিকে তাকিয়ে মনে মনে বললো)
_____
— আব্বা ও আব্বা।
রফিক নড়েচড়ে ওঠে ছেলের কথায়।শোয়া থেকে ওঠে বসে।
— কিতা আব্বাজান? (রফিক)
— আব্বা আমাগো তো একটা ঘর খালি আছে না। (ইভান)
— কিয়ের লাইগা আব্বাজান?(রফিক)
— কাকি আম্মা আর ঝুমা আজ থাইকা খালি ঘরটায় থাকব।তাগো অনেক বিপদ।খায়ের অনেক জ্বালায় তাগোরে।আজ তো ঝুমারে বিয়া করবার চাইছিলো।তাই আমার লগে নিয়া আইছি বাড়ি। আজ থাইকা আমাগো বাড়িতে থাকব তারা। (ইভান)
— কি কছ আব্বাজান।খায়ের তাগোরে জ্বালায়। খায়েররে ব্যাটারে পিটামু আমি চিন্তা কইরো না আব্বাজান। আর তাগোরে ঘরে নিয়া যা। তারা এখন থাইকা এইহানেই থাকব।যা যা লাগব তাগো বলিছ বলতে। লজ্জা পাইবার দরকার নাই আব্বাজান।(রফিক)
— ঠিক আছে আব্বা।(ইভান)
ইভান খুশি হয়ে চলে গেল।
_____
— কাকি আম্মা আহেন ঘরে আব্বা কইছে এহন থাইকা আন্নেরা এহানে থাকবেন। (ইভান)
লতা বানু টলমল দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে ইভানের দিকে।
— কাকি আম্মা কান্দো কেন? (ইভান)
— তুই বাপ যা করলি আমাগো লাই কোনোদিন ভুলতে হারতাম না। অনেক উপকার করলি বাপ।(লতা বানু কান্না করে বললো)
ইভান তাদের দু’জনরে ঘরে দিয়ে চলে গেল বাবার কাছে।
_____
কিনে আনা জামাকাপড়গুলোর দিকে তাকিয়ে আছে জুঁই। কোনটা রেখে কোনটা পড়ব সে বুঝতেই পারছে না।ধ্রুব রুমের সোফায় বসে ফোন স্ক্রোল করছে আর আড় চোখে জুঁইয়ের কান্ড দেখছে।
— অদ্ভুত। মেয়েটাকে যত দেখি আরো দেখতে ইচ্ছা করে।এইসব কি হচ্ছে আমার সাথে।কিসব উল্টাপাল্টা ভাবছি আমি। (ধ্রুব মনে মনে বললো)
— ফুলবাবু। (জুঁই)
জুঁইয়ের ডাকে ধ্রুব সামনে তাকালো।
— ফুলবাবু! খারাপ লাগছে না নামটা। ভালোই লাগছে।(মনে মনে ধ্রুব কথাটি বলে হাসলো)
— বাদামগুলো কি আমার জন্য নিয়া আইলেন?(জুঁই)
— জানিনা। (ধ্রুব)
বলে ধ্রুব বসা থেকে উঠে বেলকনিতে এসে দাঁড়ালো।
ধ্রুবকে চলে যেতে দেখে জুঁই মুচকি হাসল।
— আমি তো জানি আমার ফুলবাবু আমার লাইগা নিয়া আইছে বাদাম।(জুঁই হেসে বিরবির করে বললো)
জুঁই কিছুক্ষণ বিরবির করে গোলাপি রঙের একটি কাপড় নিয়ে ওয়াশরুমে চলে গেল।
পাঁচ মিনিট পর ,,,,
— ফুলবাবু ও ফুলবাবু। (জুঁই)
ধ্রুব হালকা চিৎকার দিয়ে বললো ,,,,,
— সমস্যা কি?
— ভিতরে আহেন ফুলবাবু। (জুঁই অসহায় ভাবে বললো)
— কেন? (ধ্রুব আশ্চর্য হয়ে বললো)
ধ্রুবকে না আসতে জুঁই ওয়াশরুমের দরজা খুলে বেরিয়ে আসলো।জুঁইকে দেখে ধ্রুবের চোখ বড় বড় হয়ে গেল। ধ্রুব কয়েক সেকেন্ড জুঁইয়ের দিকে তাকিয়ে থেকে রুম কাঁপিয়ে হাসা শুরু করলো। তাহিরা হাসির শব্দ শুনে কিচেন রুম থেকে দৌঁড়ে ধ্রুবর রুমের দরজার সামনে এসে দাঁড়ায়।ধ্রুবকে এভাবে হাসতে দেখে তাহিরার মুখ হা হয়ে গেল। কতদিন পর তাহিরা ধ্রুবকে এভাবে হাসতে দেখছে।সামনে তাকাতেই তাহিরার চোখ ছোট ছোট হয়ে গেল।
জুঁই ব্লাউজ – পেটিকোটের ওপরে কাপড়টা কোনোরকমে পেঁচিয়ে ওয়াশরুম থেকে বের হলো।এখন তাহিরা ধ্রুবর হাসির কারনটা বুঝলো।তাহিরা হেসে বুকভরা শান্তি নিয়ে সেখান থেকে চলে গেল।
জুঁই মুখ ফুলিয়ে কোমরে দু’হাত দিয়ে বলে ,,,,,
— আন্নের হাসি আইতাছে। আর আমার কাপড়খানা পেঁচাইতে গিয়া দম বন্ধ হইয়া য়াওয়ার মতো অবস্তা।
জুঁইকে মুখ ফুলিয়ে কথা বলতে দেখে ধ্রুব আবার হেসে দিলো। জুঁই ধ্রুবর হাসিমুখের দিকে তাকিয়ে আছে।
— আন্নের হাসি এততততো সুন্দর কেন ফুলবাবু। আমি তো মইরা যামু আন্নের হাসি দেইখা।আর হাসিয়েন না তো আমার সামনে। (জুঁই লজ্জা লজ্জা ভাব নিয়ে বললো)
— তো আমায় কেন ডাকলেন জুঁইফুল? (ধ্রুব)
— জুঁইফুল। (জুঁই)
ধ্রুব নিজে ও অবাক হলো নিজের কথায়।
— জুঁইফুল। ভালোই তো। (মনে মনে বললো ধ্রুব)
— আন্নে আমায় জুঁইফুল কইলেন ফুলবাবু।এহন ই আমি আম্মার কাছে গিয়া কমু। (জুঁই)
জুঁইয়ের কথায় ধ্রুব থতমত খেয়ে গেল।ধ্রুব কিছু বলার আগেই জুঁই দৌঁড়ে তাহিরা কাছে ছুটলো।
— নে সব শেষ। এই মেয়ে আমার মান-সম্মান ট্রাকে উঠাবে। ধ্রুব তুই তো এবার গেলি।(ধ্রুব অসহায় ভাবে বললো)
#চলবে…..
#ফিহা_আহমেদ(লেখনীতে)
(বানানে ভুল-ভ্রান্তি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।)
[❌কপি করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ❌]/[গল্পের কোনো অংশ ই কপি করা যাবে না]