#দাম্পত্য_জীবন
#মেহু_আপু
#পর্ব_১৮
বেশ্যা মেয়েটি বলে ওনাকে দিয়ে এরকম কাজ করবো কোথায় ?
সেইটা নিয়ে তোমাকে ভাবতে হবেনা ঠিক সময়ে ঠিক কাজ ঘটে যাবে। কথা দিন আগামীকাল আসবেন।
কথা রইলো সম্পূর্ণ কাজ করার পর পেইড নিবো।
এরপরে হামজা ওইখান থেকে চলে আসলো। মনে মনে হাসলো, আর বলতে থাকলো আমি তোমাকে আমার করতে পারি নাই নীলা। আমি তোমার সুখ সহ্য করতে পারছিনা নীলা। তোমাকে এইটাই শাস্তি দিবো। দেখবো কাল আকাশ অন্য মেয়েকে নিয়ে ফস্টি নস্টি করলে তুমি ওর সাথে সংসার করো কিভাবে?
বাড়িতে সবাই আসলো এসেই তিন বউ তাদের শশুড় শাশুড়িদের সালাম দিলো। এরপরে জিজ্ঞেস করলো তারা কেমন আছে? অনেকক্ষণ ভালো মন্দ কথা হলো। এরপরে আজগর চৌধুরী বললো, বউমা তোমরা জার্নি করে এসেছো! অনেক টায়ার্ড রুমে যেয়ে রেস্ট নাও।
এরপরে তিন কাপল তাদের ল্যাগেজ নিয়ে নিজ নিজ রুমে চলে আসলো।
আজগর চৌধুরী শুকরকে বললো যাক ভালোই হয়েছে ওদের একটা ট্যুরের ব্যবস্থা করে সবার মাইন্ড ক্লিন দেখলাম।
হুম ভাইয়া এখন কালকের পার্টির দিন টা ভালো ভাবেই গেলো হলো। তুমি হামজাকে এসব দায়িত্ব দিলা ও আবার ঠিকঠাক মতো করবে তো।
শায়লা বললো আপনারা দুইভাই যেয়ে দেখে আসলে তো হয়। ছেলে তিনটা অনেকা জার্নি করেছে এখন ওদের এসব কানে দিয়েন না।
আজগর বললো শায়লা তুমি ঠিক বলেছো। শুকর চল গিয়ে দেখি ডেকোরেশন ঠিকঠাক আছে কিনা।
শুকর আর আজগর গাড়ি নিয়ে তাদের অফিসে গেলো।
যেয়ে দেখলো ডেকোরেশন সবকিছু সুন্দর করে গোছানো। হামজাকে দেখতে না পেয়ে ফোন দিলো। হামজা ফোন ধরে বললো, বাবা আমি সবকিছু সুন্দর করে গুছিয়ে দিয়ে বাড়িতে চলে এসেছি। আপনারা নিশ্চিতে থাকেন। আজগর চৌধুরী বললো ঠিক আছে। এরপরে শুকর আর আজগর চৌধুরী ম্যানশনে রওনা দিলো।
আকাশ বললো সময়টা যদি আরেকদিন স্তব্ধ হয়ে যেতো কতই না ভালো হতো নীলা।
কি ভালো হতো শুনি?
তোমার আর আমার ভালোবাসার মূহুর্ত গুলো ক্ষণে ক্ষণে বাড়তো 🤭
তোমার সবসময় ওইগুলো চাওয়া। ওইগুলো করার জন্য বাড়িতেও কে তোমায় ব্যাগরা দেয়।
তবুও আছেনা দুইদিন ছিলো না কোনো কাজ শুধু তুমি আর আমি সুন্দর মূহুর্তে কিছু ভালোবাসা। 🫦
আকাশ অনেক হয়েছে এইবার লুচ্চামি বন্ধ করো। এসব আমার ভালো লাগছে না সবসময় খালি অনার এসব চাওয়া!
আকাশ তখন নীলার মন ভালো করার জন্য নিজের প্যান্টের পকেট থেকে একটা সুন্দর সোনার রিং বের করে নীলার হাতে পড়িয়ে দিলো।
নীলা অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলো এসব রিং মানুষ ফুলশয্যার দিন দেয়। তোমার এতদিন লেগে গেলো 😟
আকাশ বললো দেখো তোমার আর আমার সম্পর্ক শুরুর দিন থেকে স্বাভাবিক ছিলো না। তাই তখন দেওয়া হয়ে উঠে নাই আজকে দিয়ে দিলাম। এখন আমার পাওনা টা দাও।
তোমার কিসের পাওনা?
আকাশ ঠোঁট দেখিয়ে দিয়ে বললো চুমু দাও।
যা অসভ্য সবসময় এসব করার মূহুর্তে থাকো।
আকাশ তখন জোড় করে নীলার ঠোঁটে কিস ঘাড়ে কিস কপালে কিস দিতে থাকলো।
নীলা বলে অনেক হয়েছে এখন ছাড়ো রাতে বাকিটা করিয়ো।
আকাশ চুমু দিতে দিতে বলতে থাকলো আমার এক্ষুনি সব চাই।
তুমি এতো লুইচ্ছা কেনো?
কার সাথে লুচ্চামি করছি। আমার বউতো আমার সম্পদ।তার সাথে যা ইচ্ছে তাই করতে পারি।
নীলা বললো হানিমুনেও তোমার অত্যাচার বাড়িতেও তোমার অত্যাচার নিতে পারছিনা আকাশ।
তোমার কষ্ট হয় আমার আদর।আগেতো বলো নাই। আকাশ নিজেকে সংযত করে বললো।
নীলা বললো এটা না বললে তুমি ছাড়তা সবকিছু এখুনি করে ফেলতা।
আকাশ বলে তুমি এতো দুষ্ট হয়ে গেছে। স্বামী কে অভুক্ত রাখা ঠিক না কখন কি হয়ে যাবে তার জন্য পরে আফসোস করতে হবে দেখিয়ো।
নীলা বললো সংযত যখন হয়েছো এখন বসে থাকো। এই বলে নীলা রুম থেকে নিচে চলে গেলো।
রিয়া নীলাকে দেখে জিজ্ঞেস করলো বড় বাবা তোকে ফোন দিয়েছে।
নারে! আম্মুর সাথে দুবার কথা হয়েছিলো। বাবাকে ফোন দিয়েছি ধরে নাই।
রিয়া বললো সব আমার জন্য নীলাপু। বড়বাবা আমাকে ক্ষমা কইরা দিবে না দুদিন থেকে ফোন দেই শুধু চাচিমা ধরে ফোনটা 😟
আরে এসব নিয়ে ভাবিস না বাবা আমাদের তিনবোনকে খুব ভালোবাসে। তোর এই অঘটন সহ্য করে নিতে পারেনি। তার জন্য এরকম করছে।
আমার সাথে যে এরকম করছে আমি তাকে ক্ষমা করবো না নীলাপু। যদি একবার জানতে পারি ব্যাক্তিটি কে তাহলে তাকে জেলের ভাত খাইয়েই ছাড়বো।
নীলা মনে মনে বললো তুই জানলেও কিছু করতে পারবি না রিয়া।
এই আপু তুই চুপ কেনো? তুই এই বিষয়ে আমাকে হেল্প করবি না?
নীলা বললো এসব ভাবা বন্ধ কর! কালকে ওদের পার্টি টা ঠিকঠাক মতো শেষ হতে দে তখন তুই আর আমি ওই বাড়ি যেয়ে ঘুরে আসবো!! বাবা আমাদের দেখলে সব কিছু ভূলে যাবে দেখিস।
রিয়া বললো হুম আপু। কেয়াটার আমার জন্য অনেক হেনস্তা হতে হয়েছে ও আমার ফোন ধরেনা খুব খারাপ লাগে আপু। ক্যান যে কাউকে ভালোবাসতে গেলাম।
এসব ভাবিস নাতো ও আমাদের ছোট বোন অভিমান করে আছে তোর উপর। বাড়িতে তোদের জামাইবাবু মানে তোর আকাশ ভাইয়া সহ গেলে সব রাগ ভেঙ্গে যাবে দেখে নিস।
তাই যেনো হয়।
উষশী বললো আমাকে ছাড়া তোমরা দুই বোন কি বিষয়ে কথা বলছো।
নীলা বললো কিছুনা ভাবি? এখানে বসেন। আমাদের বাড়ির বিষয়ে কথা হচ্ছিলো একটু।
উষশী বললো কালকে পার্টিতে তিন জা এক কালারের শাড়ি পড়ে যাবো ঠিক আছে।
নীলা, রিয়া বললো কিন্তু আমাদের তো এক কালারের শাড়ি নাই কিভাবে পড়বো?
উষশী বললো ঈশানকে শপিং করতে পাটাইছি বিয়ের পর তোমাদের উপহার দেওয়া হয় নাই শাড়িগুলো আমার পক্ষ থেকে তোমাদের উপহার।
নীলা বললো ভাবি ধন্যবাদ তোমাকে। তাহলে আমরা সবাই ম্যাচিন করবো ওদের তিন ভাইকে এক কালারের পাঞ্জাবি, পায়জামা, কোর্ট পড়লে কেমন হবে।
উষশী বললো সব কিছু ঈশান করবে তোমরা ভাবিয়ো না। ঈশানের প্লান ছিলো এটা। কিন্তু নীলা আকাশ একটু খুতখুতে দেখিয়ো ও পড়ে কিনা।
ও পড়বে না ওর বাপ পড়বে 😝
উষশী আর রিয়া হাসতে হাসতে শেষ নীলার মুখের কথা শুনে 😂
নীলা বললো এই তোমরা হাসিয়ো না কেউ শুনে নিলে আমাদের মান সম্মান শেষ 😓
উষশী বললো ঠিক আছে এই কথাই রইলো। তোমরা যেয়ে তোমাদের বরকে ম্যানেজ দাও। অবশ্য ইমরান না করবে না আমার বিশ্বাস।
নীলা বললো ও যদি ম্যাচিন না করে আমি পার্টতেই যাবো না মিলিয়ে নিয়ো।
রিয়া রুমে যেয়ে ইমরানকে ম্যাচিনের কথা বললে ইমরান খুব খুশি হয় 😌
ইমরান বললো রিয়া খুব জমে যাবে তাহলে সবাই আমাদের দিকে হা করে দেখবে।আচ্ছা আগামীকাল কি গানে ড্যান্স করবা।
রিয়া বললো ওইখানে বাবা মা থাকবে?
ইমরান বললো বেশিক্ষণ না ওরা বক্তব্য সভা শেষ করেই চলে আসবে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে আমরা তিন ভাই ও বউ, সকল স্টাফ, আর ইমপোলায় থাকবে।
রিয়া বললো তাহলে আমরা ভিকি আর সারা আলী খানের ভাইরাল গান ইসকে বাদ ভি মে আগার তুজে চ্যাননামেলে
ওই চাদ তারা গান টা
হুম ওইটা আচ্ছা রিহার্সাল করি চলো। এরপরে ইমরান আর রিয়া গানটার জন্য তৈরি হওয়ার প্রাকটিস করতে লাগলো।
নীলা যেয়ে আকাশকে ম্যাচিন করার কথা বললে আকাশ রাগ হয়ে যায়। তখন নীলা রাগ করে বলে তুমি যদি ম্যাচিন না করো তাহলে আমি পার্টিতে যাবো না। তোমরা তিন ভাই এক কালার আমরা তিন জা এক কালার।
ম্যাচিন করতে পারি এক সত্বে কালকে পার্টিতে তোমাকে আমার সঙ্গে ড্যান্স করতে হবে রাজি তুমি। 😌
নীলা বললো রাজি।
সকাল হলো তিন ভাই তিন জা এক কালারের পাঞ্জাবি শাড়ি পড়লো, সুন্দর ভাবে সেজে রওনা হলো পার্টিতে।
তিন জা আর তাদের শাশুড়ী সামনের স্টেজে বসে পড়লো।
আকাশ,ইমরান সকল ইমপোলায়দের রিসিভ করে সিটে বসালো।
হামজা শুধু চারদিকে দেখতে থাকলো বেশ্যা মহিলাটা আসছে কিনা?
সব ইমপোলায়দের এবং স্টাফদের শুভেচ্ছা বার্তা বিনিময় করলো আজগর চৌধুরী। তোমাদের অক্লান্ত পরিশ্রম সময়ের আগে আমরা বজোহরি রায়ের কাজ কমপ্লিট করতে পেরেছি। আমাদের ডিজাইনারের নকশা এতটাই নিখুঁত হয়েছিলো যে বায়ার কোনো খাত পাই নাই আমাদের কাপড়ে। আশা করি সামনের দিকেও তোমরা আমাদের প্রতিষ্ঠানকে এইভাবে সামনের দিকে নিয়ে যাবে। তোমাদের সফলতার জন্য আজকের এই পার্টি তোমরা সকলে উপভোগ করো যার যার মতো। তোমাদের তিন স্যার ও তাদের বউ তোমাদের সাথে থাকবে তোমরা মনোরঞ্জন করো পার্টিটি। এক সপ্তাহ পর নতুন অর্ডার আসবে সবাই নিজেকে নতুন ভাবে তৈরি করো। সবাইকে সালাম দিয়ে আজগর চৌধুরী শুকর, শায়লা,আর্জিনা বাসায় চলে গেলো।
আকাশ স্টেজে যেয়ে বললো এখন বক্সে গান বাজবে। ড্রিংকের ব্যবস্থা করা হয়েছে সাথে কোমল পানীয় রয়েছে যার যার মতো উপভোগ করো আর ড্যান্স করো। তার আগে তোমাদের ছোট স্যার ইমরান তার স্ত্রী রিয়া একটা গানের ড্যান্স করবে সবাই দেখে নাও।
বক্সে গান বাজতে শুরু করে রিয়া আর ইমরান নাচতে শুরু করলো। সকল ইমপোলায় বাহবা দেওয়া শুরু করলো। হামজা শুধু বেশ্যাকে খুজতে লাগলো।
বেশ্যা এসে বললো আমিতো এসেছি হামজা কিন্তু ওনিতো ওনার বউয়ের সাথে ব্যস্ত কিভাবে ওনাকে নেশায় আসক্ত করবেন।
হামজা বললো আমার উপর ছেড়ে দাও। এইদিকে আসো বেশ্যাকে রুম দেখিয়ে দিলো এই রুমে আকাশকে নিয়ে আসবেন। বেশ্যা বললো ঠিক আছে 😌
চলবে,,,,,
আসসালামু আলাইকুম কেমন লাগলো আজকের পর্ব জানাবেন 😇