#আবার_প্রেম_হোক
#নুসরাত_জাহান_মিম
২৭.(বর্ধিতাংশ)
ছাদের রেলিং ঘেষে দাঁড়িয়ে আছে চাঁদ।হাতে তার দু’টো ডায়েরী।একটাকে পায়ের কাছে রেখে অপরটা রেলিং এর উপর রেখে কলম হাতে তার অর্ধেকাংশের বেশি পূর্ণ পাতাগুলো উল্টিয়ে খালি পাতায় বিচরণ চালায় দু’আঙুলের।সেথায় এক এক শব্দ তুলে লিখছে,
“আপনিময়ী আমি আপনার থেকেই পালিয়ে বেড়াই,ইহাই কি জীবন ত…”
হঠাৎ উশ্মি আর রুবার আওয়াজ পেয়ে ভড়কে গিয়ে হাত থেকে ছিটকে রাস্তার দিকে ডায়েরীটি পড়ে যায় চাঁদের,
“ভাবি!”
চাঁদ পিছু ঘুরেই বিস্ফোরিত নয়নে তাকায় উশ্মি আর রুবার পানে,যেনো এ দৃষ্টি দিয়েই ভ!স্ম করে দেবে তাদের!রুবা ঢোক গিলে বলে,
“কাক…কী হয়েছে ভাবি?”
চাঁদ হনহনিয়ে এসে রুবার বাহু টে!নে বলে,
“সরো!”
রুবা হালকা কুকিয়ে বলে,
“ভাবি ব্যথা লাগ…”
চাঁদের উচ্চ কন্ঠস্বরে রুবার কথা সেখানেই থেমে যায়,
“জাস্ট শাট আপ রুবা!”
উশ্মিসহ রুবা নিজেও চাঁদের এরূপ ব্যবহারে বিস্মিত হয়।এ পর্যন্ত চাঁদকে নম্রভাষী ব্যতীত এতোটা হিংস্র হতে সে কখনোই দেখেনি।হঠাৎ কী হলো চাঁদের?এমন করছে কেনো সে?উশ্মি কিছু বলার পূর্বেই চাঁদ ছাদ থেকে তড়িৎ গতিতে নিচে নামতে ব্যস্ত হয়।রুবা সেখানেই পাথরের ন্যায় জমে যায়।তার মধ্যে কোনো হেলদোল নেই।উশ্মি কিছু একটা ভেবে চাঁদ যেখানে দাঁড়িয়ে ছিলো সেখানে আসে।এসে খুজতে লাগে চাঁদের এরূপ ভয়ংকর রূপের কারন।এবং সেখানে তা পেয়েও যায় সে।একটা খোলা কলম আর একটা বন্ধ করা ডায়েরী।ডায়েরীটা লক সিস্টেম।পাসওয়ার্ড দিতে হবে।নাহলে খোলা যাবেনা।উশ্মি বেশ বিব্রতবোধ করলো এতে।আর চিন্তায় মগ্নও হলো,কী এমন হতে পারে এ ডায়েরীতে যার জন্য এতে এভাবে লক দিতে হয়েছে?এতোটা কিসেরই বা পার্সোনাল?রহস্যভেদ তো তার করতেই হবে।নাহলেতো জানা যাবেনা চাঁদ কেনো প্রণয়কে ডি*ভোর্স দিতে চায়।আর কেনোই বা চাঁদ এভাবে হুড়মুড়িয়ে নিচে নামলো?রুবার সাথে এমন ব্যবহারই বা করলো কেনো?অতঃপর যেইনা সে ছাদের রেলিং এর নিচ দিয়ে তাকালো দেখতে পেলো রাস্তায় হন্তদন্ত হয়ে ছোটাছুটি করা চাঁদকে।পাগলের মতো সে কী যেনো খুজছে।কী এমন জিনিস খুজছে?কীই বা নিচে পড়ে গেছে?কলমতো খোলা ছিলো।তার মানে কী আরও একটি ডায়েরী?নাকি কোনো খাতা বা চিঠি টাইপের কিছু?মস্তিষ্কে বেশ চাপ প্রয়োগ করার পরেও মেলাতে পারছেনা উশ্মি।তার তীক্ষ্ণ মস্তিষ্কের চিন্তাধারা তাকে ভাবতে বাধ্য করছে এই চাঁদ মেয়েটার জীবনে কিছু একটাতো হয়েছে।অতীতে কোনো না কোনো কিছুতো অবশ্যই হয়েছে।নাহলে একটা মেয়ে কেনোই বা তার স্বপ্নের মেডিকেল ছেড়ে এতোদূর আসবে?কী হয়েছে এই মেয়ের জীবনে?সে কি কোনো অপরা!ধ করেছিলো?নাকি তার সাথেই কোনো অপ!রাধ হয়েছিলো?জানতে হবে উশ্মিকে।এ রহস্যের উদঘাটন সে করবেই।তার জীবনের প্রথম কেসটা নাহয় তার ভাবির রহস্য উন্মোচন দ্বারাই হোক!নজরটা চাঁদ থেকে আর সরানো যাবেনা তার।নজরে গেথে গেলো হাতে থাকা ডায়েরীটি এবং পাগলের মতো ছুটতে থাকা চাঁদও।এই ডায়েরী যেকোনো মূল্যে খুলতেই হবে।এবং তার জন্য মোক্ষম সুযোগের অপেক্ষা করতে হবে।উশ্মি আবারও ডায়েরীটি একইভাবে একই জায়গায় রেখে দিলো।রেখে রুবাকে নিয়ে নিচে নেমে এলো চুপচাপ।
ছাদ থেকে নেমেই রাস্তায় এসে পাগলের মতো এদিক থেকে ওদিক ছোটাছুটি করছে চাঁদ।ঘাম ছুটে গেছে তার।দিকবিদিকশুন্য হয়ে পড়ছে সে।চোখে ঝাপসাও দেখছে খানিকটা।নিজেকে যথেষ্ট সামলানোর চেষ্টা করছে আপাতত।ডায়েরীটা নিচে পড়ে হঠাৎ গায়েব হলো কী করে?বেশি থেকে বেশি পাঁচ মিনিট লেগেছে চাঁদের নামতে।তাহলে পাঁচ মিনিটে কে নিয়ে গেলো?লকতো দেয়া আছে।কিন্তু কোনোভাবে যদি তা কেউ খুলে ফেলে সর্বনাশ হয়ে যাবে যে!ভাবতে পারছেনা চাঁদ আর।এবার সে রাস্তার মাঝে হাটুগেরে বসে চশমাসহই মুখ দু’হাতে ঢেকে শব্দহীন কেদে দিলো।সাহসী মেয়েটা নিমিষেই গুড়িয়ে গেলো।সাহসটা আর রইলোনা।মনে অজানা আশংকা আর ভয়েরা হানা দিতে লাগলো তার।কোনোভাবে কেউ ডায়েরীটা পেয়ে গেলে জীবন তার ধ্বংস হয়ে যাবে!সেইসাথে ধ্বংস হবে আরও কয়েকটা জীবনও।অতিরিক্ত ভাবতে ভাবতে সেখানেই স্মৃতিশক্তি লোপ পেয়ে জ্ঞান হারালো চাঁদ।
.
.
.
.
.
.
.
.
বিছানা থেকে ধড়ফড়িয়ে লাফিয়ে উঠে বিচলিত হয়ে চাঁদ বললো,
“আমা…আমার ডায়েরী।আমার ডায়েরী কোথায়?কোথায় আমার ডায়েরী!উউউউউফ!”
বলেই নিজের চুল খিচে ধরলো সে।ঠোট কা!মড়ে অশ্রু বইয়ে দিলো আঁখি জোড়া দিয়ে।এরপর অশান্ত হয়ে বারবার বললো,
“ভা…ভাই..ওভাই?ভাইরে?এই ভাই কই তুই?ভাইয়ারেএএ!আমি ধ্বংস হয়ে গেলাম ভাই।আমি শেষ হয়ে গেলাম।আমার বুঝি আর বেঁচে থাকা হলোনা ভাই।ও ভাই!ভাই আমার!ভাই!”
বোনের এমন আহাজারি শুনে দৌড়ে বোনকে জাপটে ধরলো চৈত্র।মাথায় হাত বুলিয়ে বললো,
“কী হয়েছে ছোটি?এইযে ভাই এসে গেছি।বল ভাইকে কী হয়েছে?ভাই সব ঠিক করে দেবো।তুই একটু শান্ত হ।শান্ত হ প্লিজ!”
বিছানায় বসেই ভাইয়ের পেটে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে চাঁদ বলে,
“কিছু ঠিক হবেনা ভাই।ওরা জানলে…ওরা জানলে সব লণ্ডভণ্ড করে দেবে ভাই।আমার ভুল হয়ে গেছে।ভুল হয়ে গেছে ওগুলো নিয়ে ছাদে যাওয়া।ভাইরে!এই আমার আরেকটা ডায়েরী কোথায়?কোথায় গেলো সবগুলো!ও ভাইইইই!ভাইরে!আমার এতোবছরের লুকানো বিষাদতা সবখানে ছড়িয়ে যাবে ভাই!কিছু একটা কর প্লিজ!ডায়েরীগুলো খুজে দে।পুড়িয়ে দে!জ্বালিয়ে দে প্লিজ!আমার সেসব স্মৃতি এ জীবনে চাইনা।আমার জীবনটাই আমি আর…”
বলতে বলতে আবারও জ্ঞান হারালো চাঁদ।চৈত্র চাঁদের আওয়াজ না পেয়ে বোনকে ডাকলো।কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে বোনকে সরিয়ে দেখলো আবারও জ্ঞান হারিয়েছে সে।মির চৈত্রের সামনে এসে বললো,
“দেখি ভাইয়া।আমি একটু চাঁদকে দেখি।হঠাৎ কী হলো বুঝলাম না।একটু দেখতে দিন প্লিজ”
চৈত্র নিজেকে সামলে বোনকে বিছানায় শুইয়ে দিয়ে বলে,
“হা…হ্যা দেখুন”
চাঁদের রুমে সকলে জড়োসড়ো হয়ে আছে।ছুটে চলে এসেছেন চাঁদের মা আর খালামনিও।কাজ ছেড়ে তখনই ছুটি নিয়ে এসে পড়েছেন চাঁদের বাবা ইহাদুল ইসলাম।রাস্তায় আছেন চাঁদের খালুও।হঠাৎ করে মেয়েটার কী হলো কেউ বুঝতে পারলোনা।সেখানে উপস্থিত প্রত্যেকটা মানুষ শংকিত!ভয়ে তাদের আত্মা শুকিয়ে যাবার উপক্রম।কি বিশ্রী একটা পরিস্থিতি!এতোটা বিধ্বস্ত অবস্থায় চাঁদকে কখনো কেউ দেখেনি।চাঁদের ননদগুলোর চোখ ফুলে লাল হয়ে আছে।অমৃতা-নিমৃতার অবস্থাও করুন।মেয়েগুলো একটু বেশিই চাঁদকে ভালোবাসে কিনা?বাকিরাও বেশ চিন্তিত।শুধু ভাবলেশহীন সেখানে প্রণয়।চুপচাপ দাঁড়িয়ে সবটা কেবলই দেখে যাচ্ছে সে।কিছু বলছেওনা।কোনোকিছুর প্রতিক্রিয়াও দিচ্ছেনা।চাঁদের বাবা ইহাদুল ইসলামের ভাঙা কন্ঠ পেয়ে এবং তীব্র গতিতে নিজের দিকে আসতে দেখে ভড়!কাতে বাধ্য হয় প্রণয়।ইহাদুল ইসলাম প্রণয়ের দু’হাত ধরে বলেন,
“বাবা?ও বাবা?দেখোনা আমার মেয়েটাকে।তুমিতো ডাক্তার তাইনা?আমার মেয়েটাকে দেখে দাওনা বাবা।হঠাৎ হঠাৎ কী হয় তার?পাঁচ বছর আগেও বিধ্বস্ত অবস্থায় দেখে আমি ম*রতে ম!রতে বেচেছি।মেয়েটাকে ম!রে ম*রে বেঁচে থাকতে দেখেছি।আমার মেয়েটাকে ঠিক করে দাওনা বাবা!এ মেয়েটা যে আমার জান বাবা!আমার একমাত্র কলিজার টুকরা।ছোট থেকে এই মেয়েটা আমি আর তার ভাই ব্যতীত অন্য পুরুষকে এক আনাও ভরসা করেনি।আমি তোমাকে ভরসা করে তোমার হাতে তুলে দিয়েছি আমার ছোট্ট পরীটাকে।আমার মেয়েটাকে বাঁচাও প্লিজ!আমি চাইনা আমার মেয়েটা আরও একবার সেসব বিধ্বস্ত অবস্থার মাঝে হারিয়ে যাক!নিজেকে ভুলে গিয়ে ম!রে যাক।বাবাগো আমার মেয়েটাকে তুমি…”
হঠাৎ করে ইহাদুল ইসলামকে নিজের বক্ষপটে স্থান পেতে দেয় প্রণয়।তার মাথায় হাত বুলিয়ে বলে,
“শান্ত হন আব্বু শান্ত হন।চন্দ্রের কিছু হবেনা।চন্দ্রের ন্যায় সাহসী মেয়ে এ জগতে আর দু’টো নেই।সে নিজেকে ঠিক সামলে নেবে।আপনি শান্ত হন।”
“আমার সাহসী সেই মেয়েটার মৃ!ত্যু আমি সেদিনই দেখেছি প্রণয়।যেদিন চৈত্র আর চাঁদ রাতের আধারে তাদের খালামনির বাড়ির উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়লো।আমার সেই অকুতোভয় মেয়েটাকে এরপর আমি আর কখনোই দেখলাম না বাবা।এখন যেই চাঁদকে দেখছোনা? এই চাঁদটা কেবলই খোলাসায় আবৃত।কোনো সাহস তার মাঝে বিদ্যমান নেই আর।নাহলে এ অবস্থা হতো?এভাবে পাগলামো করতো সে?তুমি আমার মেয়েটাকে আগের মতো বানিয়ে দাওনা বাবা!আমার সেই চাঁদ মেয়েটাকে ফিরিয়ে আনোনা বাবা!”
“আব্বু!আব্বু আপনি শান্ত হন।আচ্ছা আমি আপনার মেয়েকে ঠিক করে দেবো।শান্ত হন আপনি”
চৈত্র নিজ জায়গায় দাঁড়িয়ে থেকেই বললো,
“আমার আগের বোনটাকে আপনি কখনোই ফিরিয়ে দিতে পারবেন না।সেটা সম্ভবই না।বোনটা আমার সেদিনই ম!রেছে।বর্তমানে যে আছে সে কেবলই বাবা-মা আর এই অভাগা ভাইটার দিকে তাকিয়ে থেকে নিজেকে সংযত রাখা এক মহীয়সী নারী।যেটা কেবল আমার বোনই পারে।”
আর কিছু বলেনা চৈত্র।প্রস্থান করে সে জায়গা।
সকলের অবস্থাই বেশ করুন।মেয়ের শোকে চাঁদের মাও একবার জ্ঞান হারিয়েছেন।বারবার উঠে-বসে কপাল চাপড়াচ্ছেন আর আহাজারি করছেন,
“আমার মেয়েটা বুঝি এবার ম!রেই গেলো চৈত্রের আব্বু!শুনছেন আপনি?হায় আল্লাহ!আমার চোখের মনি।ও আমার চাঁদ মা!”
“শুনছেন আপনি?মেয়েটার অমতে বিয়েটা দেয়া ঠিক হয়নি।ঠিক হয়নিগো চৈত্রের আব্বু!চৈত্রের কথা শোনা উচিত ছিলো।উচিত ছিলো আমাদের।ওকে না জানিয়ে কিছু করা ঠিক হয়নি।একদমই উচিত হয়নি।আমি…আমি আমার মেয়েকে আর ও শহরে যেতে দেবোনা।চৈত্র ঠিকই বলে ও শহর আমার মেয়ের জন্য অভিশপ্ত!অভিশাপই নিয়ে আসে বারবার।এবার আমার মেয়েটাকে বুঝি খে!য়েই ফেললো গো!”
To be continued….
[বিঃদ্রঃঅনেককেই বলতে দেখলাম গল্প এতো বড় করছি কেনো!অতীত নাকি ভালো লাগছেনা।রহস্য উন্মোচন করছিনা কেনো?আমি আজকে সবপ্রশ্নেরই উত্তর দেবো।প্রথমত চাইলেই গল্পের এক জায়গার কাহিনী অন্য জায়গায় বসিয়ে দেয়া যায়না।যেভাবে সবটা সাজানোর চিন্তা মাথায় থাকে সেভাবে না সাজালে পুরো গল্পই নষ্ট হয়ে যায়।যেটা আমি করতে পারিনা।করবোও না।তারপর আসি এতো বড় করছি কেনো?তাহলে শুনুন।এ গল্পটা বড় গল্প।বা বলতে পারেন এক প্রকারের উপন্যাস।তাই অবশ্যই বড় হবেই।এবং সবকিছু আস্তেধীরেই বিশ্লেষণ করা হবে।হুটহাট করে গল্পের সৌন্দর্য নষ্ট করার মানে হয়না।আর রইলো অতীতের ব্যাপার টা।তাহলে বলি।অতীতে অবশ্যই এমন কিছু হয়েছিলো যেটা সঠিকভাবে বিশ্লেষণ না করলে এ গল্পের বা উপন্যাসের কোনো মানেই হবেনা।আর গল্পের নাম দেখে অনেকেই ভাবতে পারেন এটা রোমান্টিক ক্যাটাগরীর উপন্যাস বা গল্প।হ্যা এটা রোমান্টিক।কিন্তু পুরোপুরি না।বলতে গেলে এটা সত্তর শতাংশই রহস্যে ঘেরা এবং বাকি ত্রিশ শতাংশ বলতে পারেন রোমান্টিকতা আছে।আর আপনাদের এটা বোঝা উচিত যে আমি যদি পুরো কাহিনীটাই নিখুঁতভাবে গল্পে পরিপূর্ণভাবে ফুটিয়ে তুলতে না পারি।গল্পের বা উপন্যাসের নামটার সার্থকতা কি করে সম্পূর্ণ করবো?আর কিছু বলতে পারছিনা আপাতত।স্পয়লার হয়ে যাবে।যেটা কোনোভাবেই সম্ভব না।আমি গল্পকে যেভাবে সাজিয়েছি ঠিক সেভাবেই লিখবো।কারো জন্য কোথাও একটুখানি পরিবর্তন করতে পারছিনা দুঃখিত তার জন্য!সম্ভব হলে অবশ্যই করতাম কিন্তু সৌন্দর্যই যদি নষ্ট করে দিই তাহলে গল্প লিখে লাভটাই বা কী?আশা করছি আপনারা আমার বলা এতোগুলো বাক্যের সারমর্ম বুঝবেন!যেভাবে লিখছি ওভাবেই পড়বেন।আর যদি খুব ভালোই না লাগে তাহলে ইগনোর করবেন।কাউকে দিয়ে আমি জোর করিয়ে পড়াচ্ছিনা।আমার কথাগুলো হয়তো একটু কঠিন তবে বলতে হলো।কেউ আমার কথায় আ!ঘাত পাবেন না প্লিজ।যদি অজান্তে পেয়ে যান আমি খুবই দুঃখিত]