#আবার_প্রেম_হোক
#নুসরাত_জাহান_মিম
৩৬.
গাছতলার নিচে কয়েকজন ছেলেপেলে দেখা যাচ্ছে।তাদের ঠিক মধ্যখানে পাশাপাশি বসে আছে আরও দু’জন ছেলে-মেয়ে।মেয়েটার হাতে গিটার।তার পাশে বসা ছেলেটাই তাকে গিটারের তার ধরা,কোথায় আঙুল রেখে চাপ দিতে হবে,কোন তারে আ!ঘা!ত করলে কেমন সুর বের হবে আরও নানান ধরণের বিষয়াদি শেখাচ্ছে।মেয়েটাও মাথা ঝাকিয়ে ঝাকিয়ে বিজ্ঞদের ন্যায় সবটা বোঝার চেষ্টা করছে।খানিক বাদে বাদে দু’জনই একসাথে হেসে উঠছে।দূর থেকে একজোড়া ধা!রালো দৃষ্টি তীক্ষ্ণভাবে তা পর্যবেক্ষণ করছে।সেইসাথে পর্যবেক্ষণ করছে নিজ বন্ধুমহলের কাণ্ডকীর্তিও।সকলের মধ্যমনি হয়ে বসে থাকা ছেলেমেয়েগুলো আর কেউ নয়,বরং চাঁদ এবং ফায়ান।আর তাদেরকে ঘিরে বসে আছে চাঁদের এবং প্রণয়ের বন্ধুমহল।খানিকটা কেশে চাঁদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে মির বলে,
“মিস ঘসেটি বেগম!”
চাঁদ ঠোট চেপে হেসে বলে,
“বিবাহিতা মহিলারা বুঝি মিস হয় মিরজাফর ভাইয়া?আমি যতদূর জানি ঘসেটি বেগম একজন বিধবা নারী ছিলেন।সেই হিসেবে কখনো না কখনো অবশ্যই বিয়েও করেছিলেন?”
মির বেশ ভাব নিয়ে বলে,
“আজকালকার ছেলেপেলে ইন্টারের কিসব সহপাঠের নাটক ফাটক পড়ে নিজেদেরকে খুব বিজ্ঞ মনে করে।তোমার কি মনে হয় ইন্টারের সিরাজদ্দৌলা নাটকে সবটা নিখুতভাবে বিশ্লেষিত?”
মিরা কপাল কুচকে মিরের বাহুতে কি!ল বসিয়ে বলে,
“কিসের সাথে কী,পান্তা ভাতে ঘি!”
মির চোটপাট দেখিয়ে বলে,
“তুই চুপ থাক”
রিহা বুঝতে না পেরে মিরকে জিজ্ঞেস করে,
“কিন্তু এই বিষয়ের সাথে ঘসেটি বেগমের কী সম্পর্ক বুঝলাম না মামা?”
ইপ্সিও জিজ্ঞেস করলো,
“সেম কুয়েশ্চন ভাইয়া”
মিরা সবাইকে উদ্দেশ্য করে বলে,
“ওর কথায় কান দিও নাতো তোমরা!ওর কাজই এমন অদ্ভুত আর উদ্ভট কথাবার্তা বলা”
মির মেজাজ খারাপ করে বলে,
“এই মাইয়া তোরে চুপ থাকতে বলছি না?”
মিরা কপাল চা!পড়ানোর অভিনয় করে বলে,
“দেখেছো?দেখেছো তোমরা?যেই ছেলে নিজের বড় বোনকেই সম্মান দেয়না তোমাদের সাথে কীই বা ভালো ব্যবহার করবে?”
“দু’মিনিটের বড় হয়ে দুই যুগের বড় হওয়ার এক্টিং কেবল তোকে দিয়েই মানায় মিরা দি ডা!কিনী”
“খবরদার ও নামে ডাকবিনা!”
মির ভ্রু নাচিয়ে নাচিয়ে বলে,
“ক্যান ক্যান?”
তখনই শোনা যায় অরণের প্রাণোচ্ছল কন্ঠস্বর,
“কারণ ও নামে শুধু আমি ডাকবো।কারণ ও হলো আমার ডাকিনী।এ নামে ওকে ডাকার আর কারো অধিকার নেই বুঝেছিস?”
তখনই অবনী আর ইফাদ কোনোকিছু না বুঝেই একসাথে সুর তুলে তুলে বলে,
“ওহোও!সামথিং সামথিং”
মিরা আর অরণ তৎক্ষনাৎ ভ!ড়কে যায়।মিরা লজ্জামিশ্রিত কন্ঠে বলে,
“তো…তোমরা যা ভাবছো মোটেও তা নয় অবু”
ইপ্সি হুটহাট হেসে দিয়ে বলে,
“আমরা কিন্তু কিছুই ভাবিনি আপু।ওরাতো জাস্ট তুক্কা লাগালো।তুক্কাটা বুঝি লেগেই গেলো তাইনা রে অবু,ইফাদ?”
ইফাদ ঠোট চেপে হেসে বলে,
“মনে তো তাই হচ্ছে”
অরণ বেশ অস্বস্তি নিয়ে বলে,
“দেখো ভাই,তোমরা যা ভাবছো তা কস্মিনকালেও সম্ভব না।আমি এ জীবনে বই ব্যতীত আর কিছুর প্রেমে পড়িনি।যেমন তোমাদের বান্ধবী চাঁদের দ্বারা এসব প্রেম-ভালোবাসা সম্ভব না ঠিক তেমনি”
অরণের কথার জবাবে রবিন বলে,
“কিন্তু চাঁদকে দেখে কিন্তু লাগেনা যে ও কখনো প্রেম করেনি”
চাঁদ কপাল কুচকে বলে,
“তো তুমি কি বুঝাতে চাচ্ছো ভাইয়া?আমি বেশ কয়েকটা প্রেম করে বেরিয়েছি?”
রবিন ঠাট্টা করে বলে,
“প্রেম করেছো কিনা সেতো তুমিই জানো।তবে তোমাকে দেখলে কোনো প্লেগার্ল থেকে কম কিছু মনে হয়না”
চাঁদ আকাশ থেকে পড়ার ভঙ্গিতে বলে,
“কী!কী বললে!কিন্তু কেনো?এমন টা মনে হলো কেনো?”
“আরে আমি বুঝালাম তুমিতো দেখতে শুনতে বেশ সুন্দরই।নিশ্চয়ই অনেক ছেলে ঘুরিয়েছো।তো তোমার পক্ষ থেকে ধরে ছেড়ে দেওয়া,বহু প্রেম করা কি খুব কঠিন কিছু?”
চাঁদের বদলে মিরই খানিকটা উচ্চস্বরে জবাব দেয়,
“বাজে বকিস না।নিজেতো এক বেডির পিছে পইড়া আছিস সেটার কোনো খবর নাই আসছে আরেকজনের খবর নিতে।বলি সবাই কি মিরের মতো এক্সপার্ট নাকি?যে একটা ধরবে আর দুইটা ছাড়বে?”
চাঁদ নাকমুখ কুচকে বলে,
“ছি ভাইয়া!সেসব তুমি আবার বুক ফুলিয়ে গর্ব করে বলছোও?”
মির ভাবলেশহীনভাবে বলে,
“হ্যা বলছি তো?কিন্তু তোমার মতো তো চাপাজুড়ি করিনি ঘসেটি।”
চাঁদ অবাক হয়ে বলে,
“আমি কী চাপাজুড়ি করলাম ভাইয়া?”
মির এদিক ওদিক তাকিয়ে দৃষ্টি ঘুরিয়ে টুরিয়ে বুঝালো,
“এই যে ফায়ান আর তুমি…”
চাঁদ তখনই মিরকে মাঝ পথে আটকে দিয়ে বলে,
“খবরদার ভাইয়া!উলটা পালটা ভাববেও না বলবেও না।আমি আর ফায়ান খুব ভালো বন্ধু।বলতে পারো আমরা বেশ ক্লোজ”
মির বিরক্তি নিয়ে বলে,
“মেয়ে মানুষদের এই এক সমস্যা।পুরো কথা না শুনেই মনগড়া কাহিনী বানিয়ে দেয়”
তেতে উঠে রিহা বলে,
“এই কী বললি তুই?”
মিরা রিহাকে বলে,
“তুই জানিস না ও কাদেরকে ইঙ্গিত করে কথাগুলো বললো?”
মির নিজ বান্ধবীদের দিকে তাকিয়ে বলে,
“এই ঝ!গড়ালু মহিলারা চুপ থাক!আর আপনি,ঝ!গড়ালু নাম্বার ওয়ান।দি ঘসেটি বেগম!আমিও সেটাই বলেছি যে তোমরা বেশ ক্লোজ।যে কেউ তোমাদের পর্যবেক্ষণ করলে কাপল বলবে বা ভাববে।তোমাদের বিহেভিয়ারও কাপলদের মতোই।তার উপর আবার দু’জনেই তুমি তুমি করে কথা বলো”
“হ্যা সেটা কারণ..”
চাঁদকে আঁটকে দিয়ে ফায়ান বলে,
“কারণটা আমি বলি চাঁদ?”
চাঁদ ইশারায় সম্মতি জানায়।চাঁদের সম্মতি পেয়ে ফায়ান বলে,
“কারণ হলো ভাইয়া আমরা দু’জনই অপরিচিত ছিলাম।তাছাড়া দু’জনের পড়াশুনার ক্যাটাগরিও প্রায় সেমই।বলা যায় পড়া ব্যতীত মগজে কিছুই ঢুকেনা।তো সম্মানের খাতিরেই হোক বা সংকোচবোধে,আমাদের মুখ দিয়ে একে অপরকে তুই জিনিস টা আসেনা।এই আরকি!”
মির পকেট থেকে মোবাইল হাতে নিয়ে বলে,
“বুঝলাম বুঝলাম।আচ্ছা তোমরা আড্ডা দাও আমার এক্স আমায় কল দিচ্ছে।দেখি,আবার কী আলাপের জন্য আমায় মনে করলো!”
মিরের কথা শুনে সেখানে উপস্থিত সকলেই হেসে দেয়।খানিক বাদে মিরা চাঁদকে উদ্দেশ্য করে বলে,
“আচ্ছা চাঁদ তুমিতো বেশ ভালো গাইতে পারো।কোথাও শিখেছো?”
“না আপু।এমনিতে মাঝেমাঝেই গুনগুনাই।আর প্রফেশনালি বাথরুম সিংগার বলতে পারো”
বলেই একদফা হাসে চাঁদ।চাঁদের সাথে হাসে সেখানে উপস্থিত অনেকেই।রবিনও হাসতে হাসতে বলে,
“সেটা এখানে উপস্থিত কম বেশি সবাই ই চাঁদ”
“তুমি কিন্তু বেশ ভালোই গান করো চাঁদ।সেদিন তুমি আর ফায়ান যা গাইলে না!আর তোমাদের এক্টিং স্কিল।ইশারায় ইশারায় একে অপরকে লাইনগুলো ছুড়ে দেয়া।জাস্ট অসাধারণ ছিলো!তোমার কন্ঠস্বর এত্ত মিষ্টি!আমি ছেলে হলে কবেই তোমার প্রেমে পড়ে যেতাম”
রিহার কথা শুনে অবনী বলে,
“সেটাইতো আপু!কেন যে আমরা মেয়ে হলাম!মেয়ে না হলে অবশ্যই চাঁদকে নিয়ে আমি পালিয়ে যেতাম!”
বলেই হেসে দেয় অবনী।সেইসাথে হাসে সেখানে উপস্থিত সকলেই।ইফাদ অবনীর কথা শুনে বলে,
“এজন্যই তুই ছেলে হসনি।মেয়ে হয়েছিস”
ইফাদকে খোচা মেরে অবনী বলে,
“তুই আর কথাই বলিস না!কলেজে ঢুকে চাঁদকে প্রথম প্রোপোজালটা তুই ই কিন্তু দিয়েছিস লুই!চ্চা জানি কোথাকার”
ইফাদও অবনীকে ভেংচে বলে,
“হইছে আর খোচা দেওয়া লাগবেনা।চাঁদ তো অহরহই প্রোপোজাল পাচ্ছে।কেউ কেউ ওর উপর ক্রাশ খেয়ে করছে,তো কেউ আবার টপার বলে ওর সান্নিধ্য পেতে।এতে নতুন কী?”
হঠাৎ মিরা ফায়ানকে জিজ্ঞেস করে,
“তুমি চাঁদের উপর ক্রাশ খাওনি ফায়ান?”
মিরার আকস্মিক করা প্রশ্নে খানিকটা ভ!ড়কায় ফায়ান।অতঃপর নিজেকে সামলে বেশ শান্তস্বরেই জবাব দেয়,
“চাঁদ অবশ্যই অপূর্ব মুখশ্রীর অধিকারিনী তবে আমি তার ব্যক্তিত্ব পছন্দ করি”
ফায়ানের বেশ সাবলীল জবাবে ফায়ানের পানে আড়চোখে তাকায় চাঁদ।অতঃপর ছোট্ট শ্বাস ফেলে লজ্জা পেয়ে খানিকটা ঠোট বাকিয়ে হাসে সে।তখনই মিরার প্রস্তাব শুনে ভ্রু কুচকে তাকায় তার পানে,
“তোমাদের জুটিটা কিন্তু বেশ!আই মিন গান করার ক্ষেত্রে।আজ আরেকবার হয়ে যাক?চাঁদের মিষ্টি কন্ঠস্বর শোনার সৌভাগ্যও হয়ে গেলো?”
“তোরা গানের কলি খেলছিস?বেশ!অনেকদিনই হলো গলা পরিষ্কার করিনা।আজ নাহয় করেই ফেলি কী বলিস?”
হঠাৎ কোনো পুরুষালি গম্ভীর কন্ঠস্বর শুনে পেছন ঘুরে তাকায় চাঁদ।ঠিক দু’মাস!দু’মাস পর সামনাসামনি হলো লোকটার।কিন্তু দৃষ্টি তাদের আজও মিললো না।প্রণয়ের দৃষ্টি মিরার পানে।চাঁদ প্রণয়ের পানে কিছুক্ষণ নির্নিমেষ তাকিয়ে থাকলো।অতঃপর মিরার আওয়াজে দৃষ্টি সরালো সে,
“কিন্তু আমরাতো গানের কলি খেলছিলাম না।চাঁদ আর ফায়ানকে গান গেতে বলছিলাম”
“শুধু তাদের গান কেনো শুনবি?গান মোটামুটি এখানে উপস্থিত আমরা সকলেই টুকটাক পারি।এক্সসেপ্ট মির,রবিন আর রিহা”
রিহা ভ!ড়কে বলে,
“তুই রীতিমতো আমাদের অপ!মান করছিস প্রণয়?”
তখনই পূর্ণতার হাত টেনে তাকে সাথে করে আনতে আনতে মির বলে,
“কে কার অ!পমান করছে রিহু?”
“এই যে এই প্রণয়।ও বললো এখানে সবাই গানে খুব পটু।কেবল তুই,আমি আর রবিন বাদে।মানে ও বুঝালো আমরা বেসুরা”
পূর্ণতা হেসে বললো,
“হ্যা তো ভুল কোথায় বলেছে?”
মির তখনই পূর্ণতার হাত ছেড়ে চোখ ছোট ছোট করে তার পানে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি দিয়ে বলে,
“ওরে শেয়ানা খালা রে আমার!”
তখনই শোনা যায় অবনীর ঠাট্টামূলক বাক্য,
“আমাদের গ্রুপেও কিন্তু এমন বেসুরা দু’জন আছে”
রবিন উৎসুক হয়ে বলে,
“তাই নাকি?যাক বেসুরা গ্যাং-এর মেম্বার তাহলে বাড়লো বলে।কারা তারা?”
অবনী হাসতে হাসতে বললো,
“এই লুই!চ্চাটা আর ইপ্সু”
ইপ্সি বেশ অ!পমানিতবোধ করে বললো,
“দেখলি!দেখলি ইফাদ।তোর জন্য আমায়ও অ!পমান করতে বাদ রাখলোনা এই বাচাল মহিলাটা”
মির ইপ্সিকে সাপোর্ট দিয়ে বললো,
“আরে ছোট বোন এতো প্যারা নিওনা।তুমি একা নও আমরাও এই দলে আছি।সো প্যারা বাদ দিয়ে প্রণয়ের কন্ঠ শোনো দেখবে তুমি হাওয়ায় ভাসছো”
ইপ্সি কপাল কুচকে বলে,
“মানে?”
পূর্ণতা ইপ্সির পাশে বসতে বসতে বলে,
“যখন প্রণয় গান করবে তখনই মানে বুঝতে পারবে পিচ্চি”
প্রণয় গিয়ে ফায়ানের সামনে দাঁড়িয়ে মুখভঙ্গি গম্ভীর রেখে থমথমে কন্ঠে বললো,
“দেখি সাইড দাও”
প্রণয়ের কন্ঠ পেয়ে একটুখানি পেছনের দিকে চেপে বসলো ফায়ান।তবুও প্রণয় দাঁড়িয়ে আছে বলে ফায়ান জিজ্ঞেস করলো,
“কী হলো ভাইয়া?সমস্যা হচ্ছে?”
ফায়ানের দিকে হাত বাড়িয়ে দিয়ে প্রণয় বললো,
“তুমি একটু এ সাইডটায় এসে বসোতো”
ফায়ান হালকা হেসে সৌজন্যতার খাতিরে প্রণয়ের হাত ধরে উঠে আসলো।এসে চাঁদের অপর পাশে বেশ অনেকখানি জায়গা রেখে ইফাদের পাশ ঘেষে বসলো।আর ফায়ানের জায়গায় অল্প একটু জায়গা রেখে চাঁদের এবং অরণের মাঝখানে বসলো প্রণয়।বসে দু’হাত ঝেড়ে চুল ঝাকিয়ে হাত দিয়ে ঠিক করতে করতে অরণের দিকে তাকালো।সেই মনকাড়া দৃশ্যটি হাটুতে কনুই চেপে গালে হাত রেখে কানের পাশের দিকের হিজাবের উপর দিয়েই তর্জনী বুলাতে বুলাতে উপরের দিকে বাকাচোখে চেয়ে নজরাবন্দী করলো চাঁদ।এতো সুন্দরও বুঝি কোনো ছেলের চুল হতে পারে?কোনো ছেলের গম্ভীর,রাশভারি কন্ঠস্বরও বুঝি এতো শ্রুতিমধুর লাগতে পারে?যেই বর্ণেই নিজেকে আবৃত করুক না কেনো এতো চমৎকার,দৃষ্টিনন্দনও বুঝি কোনো ছেলেকে লাগতে পারে?আর এভাবে হৃদয়ে আকস্মিক হা!মলা করে হৃদস্পন্দন তীব্র করার জন্য বুঝি অনাকাঙ্ক্ষিত ব্যক্তির পাশ ঘেষে বসাটাই যথেষ্ট?দু’হাত দিয়ে চুলের মাঝে হাত চালাতে চালাতে আড়চোখে চাঁদের পানে তাকায় প্রণয়।চাঁদের দৃষ্টি তখনও প্রণয়ের পানেই ছিলো।হঠাৎ করেই দুজনের দৃষ্টি মিললো।দৃষ্টি সরিয়ে নিতে মন সায় দিলোনা কারোরই।সেভাবেই ডুব দিলো একে অপরের চোখের গভীর সমুদ্রে।উপলব্ধি করতে লাগলো সেই সমুদ্রের গভীরতাটুকু কতখানি!কী অপূর্ব সেই দৃশ্য!কী মনোমুগ্ধকর সেই চাহনী!পাশাপাশি বসা দু মানব-মানবীর লুকিয়ে চুরিয়ে একে অপরকে দেখতে চাওয়ার প্রয়াশ!একজনের চুলে,অপরজনের গালে হাত রাখার বাহানায় আড়চোখে একে অপরের দিকে মন্ত্রোমুগ্ধের ন্যায় তাকিয়ে থাকা!কী অসাধারণ,কী অপূর্ব সেই মূহুর্তটা!খানিকটা প্রেমময়ও বুঝি?এই শুভক্ষণের,শুভ দৃষ্টিমিলন দ্বারাই বুঝি ধ্বংসাত্মক প্রেমের সূচনা ঘটলো?দৃষ্টি এখনও তাদের সরেনি।সেই দৃষ্টি কত সেকেন্ড,কতক্ষণ একে অপরকে আ!হত করলো তারা কেউই জানলোনা,জানার চেষ্টাটুকুও করলোনা।কেবলই তাকিয়ে থেকে দৃষ্টি দ্বারা দৃষ্টি মেলালো,কথোপকথন করলো মনের অন্তরালে।প্রেমের সূচনা ঘটানোর সুতো বুনলো মনের গহীনে।ভাবনাগুলো কি কেবল চাঁদেরই?নাকি তার পাশে বসে তার দিকে আড়চোখে তাকিয়ে থাকা সেই বিড়ালাক্ষী মানবেরও?
To be continued….
[বিঃদ্রঃআজকের পর্বটা বোধহয় বেশ অগোছালো হয়েছে!মাত্রই লিখে শেষ করেছি।রিচেক দেওয়ার তেমন একটা সময় পাইনি।আজ দেওয়ার কথা ছিলো বলে দিয়ে দিলাম।কেনোনা আপনাদের সবার অভিযোগ আমি নাকি দেরি করে গল্প দেই।যদিও আমার আসলেই দেরিই হয়।কিন্তু আমিতো বলে নিয়েছিলাম একদিন পর পর দেবো তবুও আপনাদের অভিযোগে মন ক্ষু!ন্ন হলো।ভুলত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।আর যাদের ভালো লাগবেনা,বা বিরক্ত হচ্ছেন।আমি বারবার করে বলেছি ইগনোর করতে।তবুও নিজেরাই পড়ছেন আবার নিজেরাই এসব বলছেন।পড়লে স্বেচ্ছায় পড়বেন।পড়ে ভালো না লাগলে অদ্ভুত মন্তব্য করা থেকে নিজেকে বিরক্ত রাখবেন।অ্যান্ড ইটস আ হাম্বাল রিকুয়েস্ট।শেষ পর্যন্ত পড়ুন।আশা রাখছি আপনাদের কাছে গল্পটা খারাপ লাগবেনা,ভালোই লাগবে।আর সকলকিছুই আমি প্রয়োজনের তাগিদে আনি,এনেছি।প্রত্যেকটা ক্যারেক্টারই উপন্যাসের জন্য জরুরি সেজন্যই আনা।প্রত্যেকেরই একটা গুরুত্ব আছে।শুধু মেইন ক্যারেক্টার নিয়েই পুরো উপন্যাস লিখে ফেললেতো সেটা কোনো ধাচের উপন্যাসই হলোনা।তাই অযথা মন্তব্য করে মনে আঘাত না দেওয়ার অনুরোধ রইলো।আর উপন্যাসটা সম্পূর্ণ কাল্পনিক!]