আবার_প্রেম_হোক #নুসরাত_জাহান_মিম ৪৮.(বর্ধিতাংশ)

0
996

#আবার_প্রেম_হোক
#নুসরাত_জাহান_মিম

৪৮.(বর্ধিতাংশ)
স্টেজের মাঝ বরাবর মাইকসহ গিটার হাতে বসে আছে ফায়ান।দৃষ্টি তার দূর মাঠে চেয়ারে বসে থাকা চাঁদেতে নিবদ্ধ।চাঁদের দৃষ্টিও ফায়ানের পানেই।দুজনের দৃষ্টি মিলতেই চাঁদ ফায়ানকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দ্বারা শুভকামনা জানায়।ফলস্বরূপ ফায়ানের ঠোটজোড়া হয় প্রসারিত।লম্বা এক শ্বাস টেনে গিটারে চোখ রেখে তাতে আঙুল চালিয়ে সে শুরু করে,

♪♪♪….অবাক চাঁদের আলোয় দেখো,
ভেসে যায় আমাদের পৃথিবী।
আড়াল হতে দেখেছি তোমার,
নিষ্পাপ মুখখানি….♪♪♪

অতঃপর চাঁদের পানে দৃষ্টি রেখে শুধায়,

♪♪♪….ডুবেছি আমি তোমার চোখের অনন্ত মায়ায়,
বুঝিনি কভু সেই মায়াতো আমার তরে নয়….♪♪♪

চাঁদের পাশে বসে থেকেও প্রণয়ের চোখজোড়া ফায়ানের দৃষ্টিকে এড়ায়নি।পুরোটা সময় যে ফায়ান চাঁদের পানেই চেয়েছিলো সুক্ষ্মভাবে তা পর্যবেক্ষণ করে প্রণয়।অতঃপর ছোট্ট স্বল্প শব্দের দীর্ঘশ্বাস ফেলে আকাশপানে চেয়ে মনে মনে শুধায়,

“দুনিয়াটা এমন কেনো?আমরা যাকে ভালোবাসি অন্যের ভালোবাসায় সে মত্ত হয় কেনো?”

অতঃপর ধ্যান ভাঙে তার রিহার ডাকে,

“দোস্ত তোর নাম এনাউন্সড হয়েছে।গো,হারি আপ”

প্রণয়ের যাওয়ার আগে চাঁদ তার কানে কানে ফিসফিসায়,

“বেস্ট অফ লাক বিড়াল মহাশয়”

প্রণয়ও তাকে জবাবে ফিসফিসিয়েই বলে,

“থ্যাংক ইউ বিড়ালিনী মহাশয়া”

যার ফলস্বরূপ লজ্জায় দৃষ্টি নত হয় চাঁদের।অতঃপর প্রণয়ের কিছু বলার পূর্বেই প্রণয়কে আটকে দিয়ে চাঁদ আস্তেসুরে বলে,

“আমায় নিয়ে মতবাদ পরেও দেয়া যাবে।আপাতত সকলে আপনাকে শুনতে অধীর আগ্রহী,মঞ্চ হয়ে আছে আপনার অপেক্ষায় মত্ত।যান”

“তার আগে কিছুনা।তার পরেও কোনোকিছুনা,কেউনা”

বলে চলে যেতে গিয়েও আবার ফিরে আসার ভঙ্গিমায় চাঁদের কান বরাবর মুখ রেখে বলে,

“লজ্জাময়ী আপনি হৃদয় পু!ড়িয়ে কয়লা করায় অতি পারদর্শী এক নারী”
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
মঞ্চে উঠে মাঝ বরাবর রাখা চেয়ারে বসে লম্বা শ্বাস নিয়ে মাইকে হাত রেখে প্রণয় শুধায়,

“আ ডেডিকেটেড সং ফর আ ডেডিকেটেড পার্সন”

প্রণয়ের কথা শুনে আগ্রহ অতিরিক্তই বাড়ে সকলের।বাড়ে চাঁদেরও।লম্বা করে শ্বাস নিয়ে অপেক্ষা করতে থাকে তার শুদ্ধ পুরুষ,স্নিগ্ধ মানবের মনকাড়া কন্ঠের।অতঃপর অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে প্রণয় শুরু করে,

♪♪♪….চোরাবালি মন তোমার,
কেনো শুধু লুকিয়ে থাকো?
একটু আড়াল হয়ে,
আমায় দেখো….♪♪♪

আরও একবার একই পঙক্তিসমূহ উচ্চারিত করে চাঁদপানে পলকহীন দৃষ্টি মেলে প্রণয় শুধায়,

♪♪♪….যদি কোনো চিত্র আঁকি,
পৃথিবীর সবচেয়ে দামি,
সেই চিত্রতে তুমি পার্ফেক্টলি বসো….♪♪♪

অতঃপর চাঁদপানে প্রশ্নসূচক দৃষ্টি দিয়ে বলে,

♪♪♪…..কেনো লাগে শূন্য শূন্য বলো,
তোমায় ছাড়া এতো!
তুমি কি তা বলতে পারো?….♪♪♪

বিকাল পাঁচটা,
সর্বশেষ পার্ফম্যান্সের মাধ্যমে শেষ হবে বিদায়ানুষ্ঠান।এবং শেষ পার্ফম্যান্সটি কলেজের সবচাইতে পরিচিত এক দলের।যাদের নাম সবার মুখে মুখে মুখরিত।যাদের বন্ধুত্বের প্রশংসায় সকলে হয়ে থাকে পঞ্চমুখ।প্রণয়ের বন্ধুমহলের সকলেই স্টেজে বিদ্যমান।সকলের মধ্যমনি প্রণয়।তার ডান পাশে অরণ বাম পাশে মিরা।অরণের পাশে রিহা,মিরার পাশে রবিন।রবিনের পাশে পূর্ণতা আর সর্বডায়ে রিহার পাশে মির।প্রণয়ের সামনে স্ট্যান্ডে মাইক লাগানো আর তার গলায় গিটার ঝুলানো।মিরা,অরণ আর পূর্ণতার হাতে মাইক।রিহা আর রবিনের হাতে গিটার এবং কেবল মিরের হাতে একটা ফ্রেঞ্চ হর্ণ বিদ্যমান।প্রণয় গিটারে সুর তোলে এবং প্রণয়ের পরপরই তিনজন একসঙ্গেই গিটারে সুর তোলে।অতঃপর গিটারে আঙুল চালাতে চালাতেই প্রণয় শুরু করে,

♪♪♪….ইয়ে দোস্তি হাম নেহি,
তোরেঙ্গে,
তোরেঙ্গে দাম মাগার,
তেরা সাথ না ছোড়েঙ্গে….♪♪♪

প্রণয়ের পর পরই মিরা শুরু করে,

♪♪♪….ইয়ে দোস্তি হাম নেহি,
তোরেঙ্গে,
তোরেঙ্গে দাম মাগার,
তেরা সাথ না ছোড়েঙ্গে….♪♪♪

আবারও গিটারে আঙুল চালায় রিহা।তাল মেলায় রবিন আর প্রণয়ও।মির ঠোট রাখে হর্ণে।খানিক বাদে অরণ প্রণয়পানে চেয়ে সুর তোলে,

♪♪♪….আরে মেরি জিত তেরি জিত,
তেরি হার মেরি হার,
সুন অ্যা মেরে এয়ার….♪♪♪

অরণের পরপরই অরণের পানে চেয়ে ঠোটজোড়া প্রসারিত করে আবারও প্রণয় বলে,

♪♪♪….তেরা গাম মেরা গাম,
তেরি জান মেরি জান,
অ্যায়সা আপনা পেয়ার….♪♪♪

অরণের পানে চেয়ে মিরা শুরু করে,

♪♪♪….জান পে ভি খেলেঙ্গে।
তেরে লিয়ে লেলেঙ্গে….♪♪♪

মিরার পরপরই প্রণয় পানে চেয়ে পূর্ণতা শুধায়,

♪♪♪….জান পে ভি খেলেঙ্গে,
তেরে লিয়ে লেলেঙ্গে,
সাবসে দুশমানি….♪♪♪

অতঃপর চারজন একসঙ্গেই সুর তোলে,

♪♪♪….ইয়ে দোস্তি হাম নেহি,
তোরেঙ্গে,
তোরেঙ্গে দাম মাগার,
তেরা সাথ না ছোড়েঙ্গে….♪♪♪

আরও একবার মির ফ্রেঞ্চ হর্ণে সুর তোলে।রবিন গিটারে হাত রাখতেই পূর্ণতা রিহার পানে চেয়ে আবারও শুধায়,

♪♪♪….লোগো কো আতে হ্যা,
দো নাজার হাম আগার,
দেখো তো নেহি….♪♪♪

পূর্ণতার পরপর রবিনের পানে চেয়ে মিরা সুর তোলে,

♪♪♪….আরেএ হো জুদা ইয়া খাফা,
অ্যা খুদা হ্যা দুআ,
অ্যায়সা হো নেহি….♪♪♪

মিরের পানে চেয়ে অরণ গেয়ে উঠে,

♪♪♪….খানা পিনা সাথ হ্যা,
মারনা জিনা সাথ হ্যা….♪♪♪

অরণের পরপর গিটারে আঙুল বুলিয়ে অরণের পানে দৃষ্টি নিবদ্ধ করে প্রণয় শুধায়,

♪♪♪….খানা পিনা সাথ হ্যা,
মারনা জিনা সাথ হ্যা,
সারি জিন্দেগি….♪♪♪

অতঃপর হাতের সবকিছু স্টেজে রেখে দিয়ে একে অপরের হাত ধরে নিজেদের দিকে দিকে হাসিমুখ করে চাওয়াচাওয়ি করতে করতে সাতজনের সকলেই সমসুরে খালি গলায় চোখ বন্ধ করে গাওয়া ধরে,

♪♪♪….ইয়ে দোস্তি হাম নেহি,
তোরেঙ্গে,
তোরেঙ্গে দাম মাগার,
তেরা সাথ না ছোড়েঙ্গে….♪♪♪

To be continued….

[বিঃদ্রঃ শুরুতেইতো দেখতে পারছেন বর্ধিতাংশ।তাই বলবেন না আমি বাড়তি কিছু লিখছি বা লিখেছি।এটা আটচল্লিশতম পর্বের অংশ মাত্র।যেটা আমি সেদিন লিখতে পারিনি।নাহয় এই অংশটুকু ঐ পর্বেই শেষ হতো।যাইহোক কে যেনো বলেছেন অতীত বা বর্তমান বুঝতে পারছেন না।তাই বলছি অতীত এখনও চলমান।অতীতপাতা শেষ হলে আমিই বলে দেবো।এবং খুব শীঘ্রই অতীতের সমাপ্তি ঘটবে।আর কয়েকটা পর্বই আছে।যাদের অতীত ভালো লাগছেনা ইগনোর করবেন।আর পরবর্তী পর্ব কাল লিখতে পারলে রাতে দেবো নাহয় পরশু সকাল দিকেই দিয়ে দেবো।আর হ্যা গল্পটা সম্পূর্ণ কাল্পনিক]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here