আমি_মায়াবতী #পর্ব_৫ #লেখনীতে_তাহমিনা_মিনা

0
688

#আমি_মায়াবতী
#পর্ব_৫
#লেখনীতে_তাহমিনা_মিনা

মায়ের গোপন কথাগুলো কিভাবে জানবো? কিভাবেই বা সাবিহার মাকে জানাবো? আমার মাথা কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছে। কি করবো আমি এখন? একমাত্র ঐ ডায়েরিটাই ছিল সবকিছু জানার উপায়। কিন্তু, ঐটা কে নিবে? এই ঘরে কে এসেছে আমি তো কিছুই জানি না। কাউকে জিজ্ঞেস করার অধিকারও আমার নেই। কোনো উপায় না পেয়ে আমি ফ্লোর এ বসে কাঁদতে লাগলাম।
” এই, তুমি কাঁদছো কেন? কি হয়েছে তোমার আবার? তুমি কি শুধু কান্নাই করো? মায়ের কথা মনে পড়ছে? নাকি ক্ষুধা লেগেছে?”
সামনে তাকিয়ে দেখলাম সাব্বির দাঁড়িয়ে আছে। আমি হতাশ গলায় বললাম,” আমার খুব দামী একটা জিনিস হারিয়ে গিয়েছে। তাই আমি কাঁদছি।”
” কি হারিয়েছে তোমার? একটা ডায়েরি নাকি?”
আমি অবাক হয়ে ওকে জিজ্ঞেস করলাম,” তুমি কি করে জানলে?”
” আরেহ, ওটা তো হারায়নি। আমি নিয়েছি। উপরে প্রজাপতির স্টিকার লাগানো ছিল তো। আমার অনেক ভালো লেগেছে। আমি একটা প্রজাপতি উঠিয়েছি। তুমি রাগ করবে না তো? আচ্ছা, দাঁড়াও।আর কেঁদো না। আমি এক্ষুনি এনে দিচ্ছি তোমাকে।”
আমি এতোক্ষণে যেন হাঁফ ছেড়ে বাচলাম। যাক, হারায়নি তাহলে। কিছুক্ষন পরেই সাব্বির ছুটে এসে আমাকে ডায়েরিটা ফেরত দিল। আমি দুহাতে আগলে নিলাম সেটাকে। আমি মুচকি হেসে ওকে বললাম,” তোমাকে অনেক ধন্যবাদ। ”
” তুমি রাগ করোনি তো? শোনো, আমি না ডায়েরির একটা…. ”
“সাব্বির, মা ডাকছে। দুপুরে খেয়ে ঘুমুবে। চলো।” সাবিহার কথায় আমরা দুজনেই দরজার দিকে তাকালাম৷ সাব্বির কি বলছিল তা আর শোনা হলো না। সাব্বির বাধ্য ছেলের মতো বোনের হাত ধরে চলে গেল। সাবিহা আমাকে এখনো মেনে নিতে পারেনি। না পারাটাই স্বাভাবিক। আমাকে বলেছে আমি যেন স্কুলে বেশি ঘুরাঘুরি না করি। আমাদের চেহারা যেহেতু প্রায় একই রকম, তাই সবাই হয়তো ওকে প্রশ্ন করবে আমার ব্যাপার এ। আমি ব্যাপারটা বুঝেছি। ওর জায়গায় যে কেউ এইসবই বলবে। এমনকি আমিও হয়তো এইটাই করতাম। কেউ উড়ে এসে জুড়ে বসতে চাইলেই তাকে সেই সুযোগ দিব কেন?

***
সাগরিকার মেজাজ খুব খারাপ। একে তো মন টা খারাপ। তার উপর তার মায়ের কথাগুলো। এখন আবার সাব্বিরও ঘুমুতে চাইছে না। সবকিছু মিলিয়ে নিজেকে পাগল পাগল লাগছে তার৷ সহ্য করতে না পেরে সাব্বির এর গালে একটা থাপ্পড় লাগিয়েছে। কাঁদতে কাঁদতে সাব্বির ঘুমিয়ে পড়লেও, সাগরিকার ভীষণ খারাপ লাগছে। নিজের রাগ টা বাচ্চা ছেলেটার উপর দেখালো। নাহ, এমন করা উচিত হয়নি তার৷ নিজের বলতে এখন আর আছে কি তার? দুই সন্তান ছাড়া? সাব্বির এর কপালে চুমু খেয়ে ওর ঘর থেকে বের হওয়ার সময় লক্ষ্য করলো, সাব্বির এর পড়ার টেবিল এর উপর একটা বাটি। বাটি ভর্তি পানি। তার উপর একটা কাগজের নৌকা ভাসছে। সাগরিকার ভালো লাগলো ব্যাপার টা৷ সাব্বির অনেক ক্রিয়েটিভ একটা ছেলে৷ কাগজ দিয়ে হাবিজাবি অনেক কিছুই বানিয়ে ফেলতে পারে সে। সাগরিকা পানি ভর্তি বাটি আর নৌকা নিয়ে কিচেনের দিকে গেল। পানি বেসিনে ফেলে দিয়ে নৌকাটাও ময়লার ঝুড়িতে ফেলে দিতে গেলে লক্ষ্য করলো, ভিতরে কিছু লেখা আছে। বেশ সুন্দর হাতের লেখা। সাগরিকা ভাবলো হয়তো সাবিহার। তাই নৌকার ভাজ খুলতে খুলতে সাবিহার রুমের দিকে যেতে লাগলো৷ কিন্তু একি! এটাতো একটা চিঠি৷ সাবিহার লেখা নয়। অন্য কারো। কাগজটা প্রায় ভিজেই গেছিলো। সাগরিকা হন্তদন্ত হয়ে রুমে এসে ফ্যান ছাড়লে কিছুক্ষণের মধ্যেই কাগজ টা শুকিয়ে যায়। সাগরিকা চিঠি টি পড়তে শুরু করে….

প্রিয় সতীন আমার,
আশা করি ভালো আছেন। যদিও জানি যে ভালো নেই আপনি৷ ভালো থাকার কথাও না। মায়া গিয়ে হয়তোবার আপনার সাজানো সংসারটা এলোমেলো করে দিয়েছে। আপনি অনেক ভাগ্যবতী জানেন তো? খুব ভাগ্যবতী। এই চিঠিটা যখন আপনি পড়ছেন, তখন আমি এই পৃথিবীতে নেই। মায়া হয়তো আপনাকে ডায়েরিটা দিয়েছে। মায়া তো আর জানতো না যে আমি সবার জন্য আলাদা চিঠি রেখেছি। মায়া আর আমাদের স্বামীর জন্য…নাহ ভুল বললাম। আপনার স্বামীর জন্যও আলাদা চিঠি আছে। দয়া করে আপনি তাদের কে তাদের চিঠিগুলো দিয়ে দিবেন।

আপনার হয়তো শুনতে খারাপ লাগবে। কিন্তু আমি আপনার স্বামীকে ভালোবাসি। আমার জীবনের প্রথম ভালোবাসা সে। যখন তাকে ভালোবাসলাম, তখন জানতাম না যে সে বিবাহিত। যখন জানতে পেরেছি, ততোদিনে অনেক দেরি হয়ে গেছে। আমি পুরোপুরি তাকে ভালোবেসে ফেলেছিলাম। কিন্তু সে ভালোবেসেছে আপনাকে। আপনার জন্য নিজের পরিবারকে ছেড়ে এসেছে৷ এইটাই প্রথমে শুনেছিলাম। কিন্তু, পরে শুনেছি ব্যাপারটা আলাদা।
মায়ার জন্মটা কিভাবে সেটা আমি চিঠিতে বলতে পারবো না। দয়া করে আপনি ডায়েরিটা পরে নিবেন। আপনার স্বামীর কোনো দোষ নেই। সব দোষ আমার। আমার সামান্য একটা ভুলে আমাদের সবার জীবন নষ্ট হয়ে গেছে। তবে, যেহেতু আমার ভুলেই আমার জীবন নষ্ট হয়েছে, তাই আমি আমার মেয়েকে নিয়েই সুখি ছিলাম। আপনার স্বামী আমাদের টাকা পয়সা দিয়ে সাহায্য করেছে এই অনেক। বেচারা অনেক ভয়ে ভয়ে থাকতো। আপনাকে হারানোর ভয়।
আপনি তো একজন মা। আপনিও প্রেগন্যান্সির জার্নিটা করেছেন। জানেন তো মেয়েদের কত কষ্ট হয় এই সময়টাতে। আমারও হয়েছে। আমার কাছে এমন কেউ ছিল না যে আমাকে একটু ভরসা দিত। আমি আমার মায়ের কাছেই ছিলাম। কিন্তু সে শুধু আমার দায়িত্বই পালন করেছিল। আমাকে ভালোবাসেনি। কারণ, আমার ভুলের কারণে আমি তখন নিজের জন্মদাত্রী মায়ের কাছেও ঘৃণার পাত্র ছিলাম। রাতের আঁধারে মায়াকে জন্ম দিয়েছিলাম হাসপাতালে যাওয়ার ও উপায় ছিল না। আপনার স্বামী তখনও আসেনি। সে এসেছিল টানা ১৪ দিন পরে। আমি তখন মোটামুটি সুস্থ। মেয়েকে নিয়ে তার কোনো আহ্লাদ ছিল না। সে এমন কোনো সন্তানের বাবা হতে চায়নি যার মা আপনি নন। কত কষ্ট করে মায়াকে এতো বড় করেছি আমি নিজেই জানি।
আপনি যখন প্রথমবার প্রেগন্যান্ট হলেন, আমি দূর থেকে দেখেছিলাম তার ব্যস্ততা। প্রায় প্রতি মাসেই আপনাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে দেখেছি। আপনার মেয়ে সাবিহার জন্মের সময় হাসপাতালের করিডোরে তাকে পাগলের মতো ছুটাছুটি করতে দেখেছি। আপনার অবস্থা কিছুটা খারাপ ছিল। সে আপনাকে চেয়েছিল। বলেছিল আমার সাগরিকার যেন কিছু না হয়। তারপর যখন আল্লাহর দয়ায় দুজনই সুস্থ ছিলেন, তখন মেয়েকে নিয়ে তার আবেগ আর ভালোবাসা ছিল দেখার মতো। জানেন, আমার নিজের জন্য একটুও খারাপ লাগেনি। খারাপ লেগেছে নিজের মেয়ের কথা ভেবে৷ আমি না হয় ভুল করেছিলাম৷ কিন্তু, যেভাবেই হোক, মেয়েটা তো উনারই ছিল। কিন্তু পরক্ষণেই ভেবেছিলাম, আমাকে উনি ধর্মীয়ভাবে সম্মান দিয়েছেন, তাই তো অনেক। না হলে তো আমার মেয়ে সমাজের কাছে জারজ হিসেবে গন্য হতো।
আপনি কিন্তু আমাকে চিনেন। এর আগেও কয়েকবার দেখা হয়েছিল। আমাকে আপনার না চেনারই কথা। একদিন আপনার ভার্সিটিতে গিয়ে আপনার ক্যান্টিনের বিল মিটিয়েছিলাম৷ আপনি আমাকে অনেক ধন্যবাদ দিয়েছিলেন। বলেছিলেন আমি নাকি মহান। আমার মতো মানুষ হয় না। আমি আসলে আপনাকেই দেখতে গিয়েছিলাম। আপনি আমার চাইতে আহামরি কিছু ছিলেন না। মানতে পারছিলাম না যে আমি যাকে ভালোবাসি, তার সাথে আপনি ততোদিনে বিবাহ বন্ধনে জড়িয়ে গেছেন। আমার বারবার মনে হয়েছে, আপনি উনার যোগ্য না। উনার পাশে আমার কাছে আপনাকে বেমানান মনে হয়েছে।
আরও একবার দেখা হয়েছিল। তখন মায়ার ৬ বছর। মাথা ফেটে গিয়েছিল ওর। আপনি সাবিহাকে নিয়ে হাসপাতালে এসেছিলেন। মায়ার অনেক ব্লিডিং হচ্ছিল। ব্লাড এর প্র‍য়োজন ছিল৷মনে আছে কি, আপনিই সেদিন আমার মেয়েকে রক্ত দিয়েছিলেন? আমাকে চিনতে পারেননি। কারণ, ততোদিনে স্মার্ট আমি এক পরহেজগার মানুষে পরিণত হয়েছি। পরণে ছিল আমার বোরকা-নিকাব। সেদিন আমি আপনার দুহাত জড়িয়ে বলেছিলাম আপনি মহান। আপনার মতো মানুষ হয় না। কি আজব দুনিয়া তাইনা? আমি আপনাকে সবার সামনে ছোট করতে আপনার বিল দিয়েছিলাম। যদিও ক্যান্টিনের মালিককে আমিই টাকা খাইয়ে আপনাকে অপমান করতে উস্কেছিলাম। আবার আমিই আপনাকে টাকা দিয়ে সাহায্য করেছিলাম। আর আপনি নিঃস্বার্থভাবে আমার মেয়েকে রক্ত দিয়েছিলেন।
আমি চেয়েছিলাম আপনার স্বামীর সাথে সংসার করতে। আপনাকে সরিয়ে দিতে। কিন্তু আল্লাহর ইচ্ছে হয়তো আলাদা ছিল। তাই আমাকেই তার থেকে আলাদা আলাদা করে দিয়েছে। আমি একা থাকলে হয়তো সবকিছু আলাদা হতো।কিন্তু আমার মাঝে মায়া ছিল। ওকে আমি ফেলতে পারিনি। ওর তো কোনো দোষ ছিল না। আমার ভুলের জন্য আমি একটা নিষ্পাপ প্রান কে তো হত্যা করতে পারিনা। সেই অধিকার তো নেই আমার। আমি আপনার স্বামীকে নিজের করতে পারিনি। তবে, তার অংশ তো আমার সাথে ছিল।
আমার খুব কঠিন একটা অসুখ হয়েছিল। আমি জানতাম আমি বাঁচবো না। আমার মা চেয়েছিল মায়াকে তাদের কাছে নিয়ে যেতে। কিন্তু মায়ার ইচ্ছে ছিল একটা পরিবার। মা,বাবা, ভাই-বোন নিয়ে থাকবে সে। আমার কাছে ভাই-বোনের আবদার করতো। কিন্তু এইটা তো অসম্ভব ছিল। আমাদের মাঝে তো কোনো সম্পর্কই ছিল না।আপনাদের তো দুটো বাচ্চা আছে। ওর ভাই-বোনের আশা পূরণ হবে। আমি জানি, মায়াকে মেনে নিতে আপনার সময় লাগবে। তবুও আমি অনুরোধ করছি আপনাকে। ওকে ভালো না বাসলেও ওকে একটু ভালো রাখবেন। আমি মা হিসেবে আপনার কাছে অনুরোধ করছি। আমার মেয়ে ২২ বছর বয়সে পা দিলে তাকে ডায়েরিটা পড়তে দিয়েন। তার আগে না। আমি চাই না আমার মেয়ে আমার কারণে লজ্জিত হোক এতো অল্প বয়সেই। ওর খুব শখ ও ডাক্তার হবে। আপনি দয়া করে ওকে সেই সুযোগটাও ওকে দিয়েন। আমি জানি, আপনার কাছে থাকলে ও অনেক ভালো কিছু জানবে, শিখবে। কারণ, আপনি অনেক ভালো একজন মানুষ। আমার চাইতেও ভালো। আপনি ওর মা হবেন? কথায় বলে না, মা ভালো তো মেয়ে ভালো। আমি চাই না আমার মেয়ে আমার মতো খারাপ মায়ের পরিচয়ে বেড়ে উঠুক।
আপনার স্বামী সারাটা জীবন আমার জন্য ভয়ে থেকেছে। কবে আপনি জেনে যাবেন এই ভয়ে। এখন আর ভয় পেতে হবে না। তাকে বলবেন আমাকে ক্ষমা করতে। আপনিও আমাকে ক্ষমা করবেন যদিও আমি ক্ষমার অযোগ্য। মায়াকে দেখে রাখবেন। আর মায়ার বাবাকেও৷ তাকে বলবেন আমি সত্যিই তাকে ভালোবেসেছিলাম। সে আমাকে শেষ সময়ে এসে ডিভোর্স দিয়েছেন। আমি ভেবেছিলাম এই জীবনে না হোক, পরকালে আমি হয়তো তাকে পাবো। কিন্তু উনি সেই পথও খোলা রাখেনি। তবুও তাকে বলবেন, এই অভাগী তাকে সত্যিই ভালোবেসেছিল।

ইতি
মায়ার মা
চিঠিটি পড়ে স্তব্ধ হয়ে গেল সাগরিকা। তার মানে আসলেই রিজভীর কোনো দোষ নেই? নাহ! তাকে সবটা জানতে হবে। মায়ার কাছে যে ডায়েরিটা আছে, সেটা নিতে হবে।

***
আমি ডায়েরিটা হাতে পাওয়ার পর নিশ্চিন্ত মনে গোসলে ঢুকেছিলাম। তবে যাওয়ার আগে ডায়েরিটা ব্যাগের ভিতরে রেখেছিলাম। যাতে আবার কেউ নিয়ে না যায়। গোসল থেকে বের হয়েও আমার চক্ষু ছানাবড়া। সাবিহার মা এসেছেন আমার রুম এ। বাবা এখন বাসায় নেই। এখন কি উনি আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করবেন? আমার ভীষণ ক্ষুধাও পেয়েছে। এখন খেতে দিবে কে আমাকে?আমি উনাকে দেখে আমতা আমতা করে বললাম,” আপনি? এখানে?”
” তোমার মায়ের ডায়েরিটা নিতে এসেছি। ওটা তো তোমার মা আমার জন্যই পাঠিয়েছেন। তাইনা?”
আমি অবাক হয়ে গেলাম। মায়ের ডায়েরির কথা উনি কিভাবে জানলেন? তবে আমি আর কথা না বাড়িয়ে উনার হাতে ডায়েরিটা দিয়ে দিলাম।
উনি চলে যাওয়ার সময় আমার দিকে তাকিয়ে বললেন,” টেবিলে তোমার খাবার দেওয়া আছে। চাইলে এখানে এনেও খেতে পারো। আবার টেবিলে বসেও খেতে পারো মায়া।”
উনি মুচকি হেসে আমার রুম থেকে চলে গেলো। আমার খুব ভালো লাগলো। এই প্রথম উনি আমার দিকে তাকিয়ে হেসে কথাগুলো বললো। অল্পতেই বেশ ভালো লাগলো আমার। আমি খুশি মনেই টেবিলে খেতে গেলাম। কিন্তু আমি যদি জানতাম, টেবিলে বসে খাবার অপরাধে আমাকে এতো অপমান সহ্য করতে হবে, তবে সেখানে খাওয়া তো দূর। আমি সেখানে যেতাম ও না।

চলবে?

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here