#তুমি_শুধু_আমারই_হও
#দ্বিতীয়_অধ্যায়
#অরনিশা_সাথী
|৭|
–“আবার ডেকেছো কেন এখানে? তোমাকে না বলেছি যখন তখন ডেকে পাঠাবে না আমাকে?”
ব্ল্যাক হুডি পড়া লোকটা অনেকটা ধমকের স্বরেই কথাগুলো বললো ইশাকে। ইশা আমতা আমতা করে বললো,
–“জরুরী কিছু ব্ বলার ছিলো।”
–“সময় নষ্ট না করে দ্রুত বলো।”
–“আমার মনে হয় উৎসব অর্নির খোঁজ পেয়ে গেছে।”
ইশার কথায় ছেলেটা চমকে তাকালো ইশার দিকে। দাঁতে দাঁত চেপে বললো,
–“কোথায় আছে অর্নি?”
–“জ্ জানি না। তবে উৎসব চারদিন আগে কক্সবাজারের কথা বলে বাসা থেকে বেরিয়েছে কিন্তু আমার মনে হয় ও কক্সবাজার যায়নি। ওকে কাল আমি একটা শপিংমলে দেখেছি। সাথে একটা মেয়ে ছিলো। ওটা অর্নি’ই ছিলো কিনা সঠিক বলতে পারছি না।”
–“ফলো করোনি ওদের? আমার অর্নিকে চাই ইশা, অ্যাট এ্যানি কস্ট।”
–“ক্ করেছিলাম ফলো। কিন্তু হারিয়ে ফেলি। উৎসব কোনো কিছু আঁচ করতে পারেনি তো?”
–“নো নো নো, এটা হতে পারে না। উৎসব কিছু আঁচ করলে আমাদের পুরো চালটাই উলটে যাবে। উৎসবকে কিচ্ছু জানতে দেওয়া যাবে না। তুমি আমাকে আর ফোন দিবে না প্লাস দেখা করতেও বলবে না৷ সময় হলে আমি যোগাযোগ করে নিবো তোমার সাথে। আমি এখন উঠছি।”
–“আমার কথা শেষ হয়নি।”
–“তোমার কথা শোনার টাইম নেই আমার। আমি যদি খুব ভুল হয়ে না থাকি উৎসব যদি কিছু টের পায় তাহলে হান্ড্রেড পার্সেন্ট তোমার পেছনে লোক লাগিয়েছে ও। শেষ মূহুর্তে এসে আমি সবকিছু এভাবে শেষ হয়ে যেতে দিবো না। আসছি আমি।”
কথাটা বলেই ছেলেটা দ্রুত সেখান থেকে চলে গেলো। ইশা ছেলেটার যাওয়ার পানে তাকিয়ে দীর্ঘশ্বাস ছাড়লো। ভাবলো, কোন অলক্ষুণে যে এই ছেলের সাথে হাত মেলাতে গিয়েছিলো ও। নিজে নিজে সবকিছু করলে এখন এই ছেলের এমন ঝাড়ি শুনতে হতো না ওর। এইসব ভেবে ইশা’ও কফিশপ থেকে বেরিয়ে গেলো।
–
উৎসব আজও এসেছে ফুলদের বাড়ি। সাথে শান্ত’ও আছে। অর্নিকে আজ ইচ্ছে করেই সাথে আনেনি উৎসব। অর্নির এত বাইরে বের হওয়াটা ঠিক হবে না। মানিক মিয়া আর রত্না বেগম অর্থাৎ নূরকে যারা পেয়েছে তাদের সামনে বসে আছে শান্ত আর উৎসব। নূর দরজার আড়ালে দাঁড়িয়ে আছে। শান্ত এক জোড়া আলতা রাঙা পা দেখেই বুঝতে পেরেছে ওখানে নূর দাঁড়িয়ে আছে। মানিক মিয়া বললো,
–“আপনেরা আইজ আবার আমার বাড়িতে আইছেন?”
উৎসব বললো,
–“আমরা আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞ আপনারা আমার বোনকে অজ্ঞান অবস্থায় জঙ্গলে পেয়েও একা ফেলে না রেখে নিজেদের কাছে___”
–“না না ও নূর না, ও আমার মাইয়া, আমার ফুল ও।”
রত্না উক্তো কথাগুলো বলে উঠলো। মানিক মিয়া রত্নাকে হাত দিয়ে থামিয়ে বললো,
–“আহা রত্না থামো তো। সত্যি কহনো চাপা থাকে না। তেমন কইরা তুমিও এই সত্য কোনোদিন লুকাইয়া রাখা পারবা না। কেন উনার বোন রে মিথ্যা বইলা নিজের কাছে রাখতে চাইতাছো? উনারা তো সত্যিটা জাইনা ই এইহানে আইছে।”
ফুলের বাবার কথায় রত্না ডুঁকরে কেঁদে উঠলো। মানিক মিয়া রত্না বেগমের মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বললো,
–“কাইন্দো না রত্না। আল্লাহ যে আমাগো সন্তানের সুখ দেয় নাই। হের লাইগা’ই তো ফুলের পরিবার’ও চইলা আইছে। ফুল আমাগো কাছে এ কয়দিনের লাইগা ই আইছিলো রত্না। মনরে শক্ত করো। নয়তো ফুলরে উনাগো লগে ছাড়বা কেমনে?”
রত্না বেগম আঁচলে মুখ গুজে কাঁদতে কাঁদতে বললো,
–“আমি ফুলরে যাইতে দিমু না, ফুল আমাগো মাইয়া, ওরে আমি যাইতে দিমু না। আপনে বলেন না উনাদের ফুল আমার মাইয়া।”
মানিক মিয়া আর রত্নার কথায় নূর দরজার ওপাশ থেকে স্পষ্ট বুঝতে পারলো ওরা নূরের বাবা-মা না। নূর দুহাতে মুখ চেপে ধরে কাঁদতে কাঁদতে মাটিতে বসে পড়লো। উৎসব বললো,
–“আপনি কান্নাকাটি করবেন না প্লিজ। নূর আপনাদেরও মেয়ে। আপনাদের উছিলায় আল্লাহ আমার নূরকে আবার নতুন জীবন দিয়েছে। সেদিন আপনারা যদি ওকে বাসায় এনে ট্রিটমেন্ট না করাতেন তাহলে আজ আমার বোনটা হয়তো ওই জঙ্গলেই পড়ে থাকতো। আর কখনোই ওকে ফিরে পেতাম না আমরা।”
উৎসবের কথায় সহমত প্রকাশ করে শান্ত বললো,
–“আপনাদের যখন ইচ্ছে হবে নূরকে গিয়ে দেখে আসবেন। আবার নিজেদের কাছে এনেও কয়েকদিন রাখতে পারেন, আমাদের কোনো আপত্তি নাই।”
রত্না বেগম ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠলো। মানিক মিয়ার চোখের কোনেও জল। এতগুলো মাস নিজের সন্তানের মতো আদর যত্ন করে আগলে রেখেছিলেন কষ্ট তো হবেই। রত্না ঘরের ভিতর থেকে নূরকে নিয়ে বাইরে বেরিয়ে এলো। রত্না বেগম নূরকে উৎসবের হাতে তুলে দিয়ে বললো,
–“এই যে আপনাদের নূর।”
কথাটা বলেই রত্না ডুঁকরে কেঁদে উঠলো। নূর রত্না বেগমকে জড়িয়ে ধরে বললো,
–“মা? ও মা আমি যামু না উনাদের সাথে। আমাকে পাঠিয়ে দিও না। আমি তোমাদের ছাড়া কিভাবে থাকবো? আ্ আমি তো তোমাদের মেয়ে বলো?”
কথাগুলো বলেই ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠলো নূর। মানিক মিয়া নূরের মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বললো,
–“কাইন্দো না মা, ওরাই তোর আসল পরিবার। উনি তোর স্বামী আর এই যে উনি তোর ভাই, আপন বড় ভাই। তুই তোর আসল ঠিকানায় যাইতাছিস মা। আমরা তো তোর কেউ না, আমরা তোরে ওই জঙ্গলে পাইছিলাম।”
কথাটা বলে মানিক মিয়া চোখ মুছলো। নূর মানিক মিয়াকে জড়িয়ে ধরে বললো,
–“এমনে বইলো না বাবা। তোমরাই তো আমার বাপ-মা আমি উনাগোরে চিনি না।”
–“আস্তে আস্তে ঠিক চিনবি মা। নিজের বাড়ি যা দেখবি ধীরে ধীরে সব মনে পড়বো তোর।”
শান্ত নূরকে নিজের দিকে ঘুরিয়ে বললো,
–“চেনা পরিবেশে গেলেই ধীরে ধীরে তোমার সব মনে পড়ে যাবে দেইখো। সাথে ট্রিটমেন্টও চলবে তোমার।”
নূর কিছু বললো না। উৎসব শান্তকে বললো নূরকে নিয়ে গিয়ে গাড়িতে বসতে। যাওয়ার আগে নূর আবারো ওর বাবা মাকে জড়িয়ে ধরে সে কি কান্না। রুমকিকে ধরেও অনেক কান্নাকাটি করেছে৷ নূর যেতে চাইছিলো কিছুতেই। মানিক মিয়া বুঝিয়ে শুনিয়ে নূরকে পাঠায় ওদের সাথে। শান্ত আর নূর যেতেই উৎসব মানিক মিয়ার হাত দুটো ধরে বললো,
–“আপনাদের এত বড় উপকার আমি, আমার পরিবার কখনো ভুলবো না চাচা। আপনারা সবসময় আমাদের পাশে পাবেন। আর নূরকে যখনই দেখতে ইচ্ছে হবে চলে যাবেন। নূরও আসবে সমস্যা নেই। নূর আপনাদেরও মেয়ে।”
আরো কিছুক্ষণ রত্না বেগম আর মানিক মিয়ার সাথে কথা বলে উৎসব চলে এলো ওখান থেকে।
–
ফ্রীজ খুলে কোনো সবজি পেলো না অর্নি। তাই ভাবলো চট করে পাশের বাজার থেকেই কিছু সবজি কিনে নিয়ে আযা যাক। যেই ভাবা সেই কাজ। অর্নি দ্রুত জামা পাল্টে মুখ মাস্ক লাগিয়ে বেরিয়ে পড়লো বাসা থেকে। বিল্ডিং থেকে নেমেই একটা রিকশা ডেকে উঠে পড়লো। মিনিট দশেকের মাথায় বাজারের সামনে এসে রিকশা থামালে অর্নি ভাড়া মিটিয়ে বাজারের ভিতর চলে যায়।
সবকিছু কেনাকাটা শেষে প্রায় ঘন্টা খানেক বাদে বাজার থেকে বের হয় অর্নি। রাস্তায় দাঁড়িয়ে রিকশার জন্য অপেক্ষা করছে। একটা রিকশা ডেকে তাতে উঠার আগেই অর্নির কাঁধে হাত রাখে কেউ। অর্নি পেছনে ঘুরে তাকালো। দেখলো একজন লোক দাঁড়ানো। তার পিছে আরো দুজন লোক আছে। অর্নি কোনো কিছু বুঝে উঠার আগেই লোকটা অর্নির নাকে রুমাল চেপে ধরে। মূহুর্তের মাঝে অজ্ঞান হয়ে যায় অর্নি। একটা কালো গাড়ি ওদের সামনে এসে দাঁড়াতেই লোকটা অর্নিকে কোলে তুলে নিয়ে গাড়িতে বসায়৷ সবাই গাড়িতে উঠে বসতেই ড্রাইভার গাড়ি স্টার্ট দেয়। ঘটনাটা এত দ্রুত ঘটে গেলো যে আশেপাশের দু/একজন ছাড়া আর কেউ-ই তেমন ভাবে নোটিশ করেনি। ওখানেই মাটিতে অর্নির পার্স, ফোন আর বাজারের ব্যাগ পড়ে রইলো। একজন দোকানি এসে অর্নির পার্স আর ফোনটা তুলে নিজের কাছে রেখে দেয়, ভাবে কেউ ফোন করলে তাকে জানাবে সব।
–
নূর আর শান্তকে নিয়ে উৎসব নিজের বাড়িতেই ফিরে। বাড়িতে পা রাখতেই নূরের কেমন যেন একটা অস্থির লাগা শুরু করে। আশেপাশে চোখ বুলাতেই ঝাপসা অনেক কিছু ভেসে উঠছে চোখের সামনে। কিন্তু ছবি গুলো স্পষ্ট ভেসে উঠছে না। শায়লা বেগম এসে নূরকে জাপটে ধরে কান্না শুরু করে দেয়। নূর ফ্যালফ্যাল দৃষ্টিতে শায়লা বেগমের দিকে তাকিয়ে থাকে। শায়লা বেগম নূরের কপালে গালে চুমু দিয়ে নূরের মাথায় আদুরে স্পর্শ করে বললো,
–“এতদিন কোথায় ছিলি মা? জানিস আমাদের কি অবস্থা ছিলো? তোকে হারিয়ে আমরা পাগল হয়ে যাচ্ছিলাম। শান্ত, শান্ত’র দিকে দেখ একবার, তোকে হারানোর পর থেকে ছেলেটার মুখের দিকে তাকানো যায় না।”
নিলয় আবরার এসে নূরকে বুকে জড়িয়ে নিয়ে আদর করলো৷ মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বললো,
–“তুই কেমন আছিস মা?”
নূর হালকা আওয়াজে বললো,
–“ভা্ ভালো, আপনি?”
–“আমার এক মেয়ে এসে পড়েছে না? ভালো তো থাকবোই, এখন শুধু আরেক মেয়ের আসার পালা।”
কথাটা বলেই নিলয় আবরার চোখের কোনের জল মুছে নিলেন। নূর বার বার আশেপাশে চোখ বুলিয়ে দেখছে। নূরকে জীবিত দেখে ইশা চমকে উঠলো। নূর কি সেদিন কিছু দেখেছিলো? এই ভেবে ইশার ভয় হতে শুরু করলো। নূর যদি কিছু জেনে থাকে আর সেটা যদি ও উৎসবকে বলে দেয় তাহলে ইশাকে উৎসব একদম জানে মেরে ফেলবে। নূরের দৃষ্টি থেমে যায় দূরে দাঁড়িয়ে থাকা ইশার উপর। শায়লা বেগম নূরের সামনে দাঁড়িয়ে ওর গালে হাত রেখে বললো,
–“তুই কথা বলছিস না কেন মা? আমাদের নূর তো এত শান্ত ছিলো না। আমাদের নূর তো প্রাণোচ্ছল, চঞ্চল প্রকৃতির মেয়ে ছিলো।”
–“ওর কিছু মনে নেই আম্মু, একটু টাইম দাও পরিচিত জায়গায় এসেছে, আর ঠিকঠাক ভাবে ট্রিটমেন্ট চললে খুব শীঘ্রই সব কিছু মনে পড়ে যাবে ওর।”
উৎসবের কথায় আবারো শায়লা বেগমের চোখে জল জমলো। শায়লা বেগম নূরের মাথায় আদুরে স্পর্শ দিয়ে বললো,
–“আমাকে চিনতে পারছিস না নূর? আমি আম্মু নূর, তোর আম্মু।”
নূর এবারেও কিছু বললো না। ততক্ষণে শান্তদের বাসার সকলে আর রুশান তরী চলে এসেছে। রুশান এসে সরাসরি নূরকে জড়িয়ে ধরে ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠলো। কিছুক্ষণ বাদেই নূরকে ছেড়ে দিয়ে বললো,
–“তুই বেঁচে আছিস নূর? তুই চলে যাওয়ার পর আমরা কেউ ভালো ছিলাম না দোস্ত। তুই চলে যাওয়ার পর অর্নিটাও আমাদের ছেড়ে চলে গেলো। তোরা দুজন এত পাষান কি করে হলি রে? একটাবারও আমার কথা মনে পড়েনি?”
নূর শান্ত চোখে রুশানের দিকে তাকিয়ে আছে। রুশানকে দেখেও নূরের আবছা আবছা কিছু স্মৃতি ভেসে উঠছে চোখে৷ কিন্তু তা স্পষ্ট হচ্ছে না। নূরের মাথা যন্ত্রণা করছে অনেক। দুহাতে মাথা চেপে ধরে আর্তনাদ করে উঠলো নূর। শান্ত দ্রুত নূরকে আগলে নিলো। নিলয় আবরার দ্রুত ডক্টর কল করলো। শান্ত নূরকে ওর ঘরে নিয়ে যায়। নিজের পরিচিত ঘর দেখে যদি অন্তত কিছু মনে পড়ে।
–
হুট করেই উৎসবের অর্নির কথা মনে হলো। অনেকটা সময় যাবত অর্নির সাথে কথা হয় না। নূরকে বাসায় নিয়ে আসার খবরটাও অর্নিকে জানানো হয়নি। উৎসব নিজের ঘরে চলে গেলো অর্নিকে ফোন করার জন্য। ঘরের দরজা আটকে অর্নির নাম্বারে ডায়াল করলো উৎসব। রিং হতেই ওপাশ থেকে রিসিভ হলো। যেন উৎসবের ফোনের অপেক্ষাতেই ছিলো এতক্ষণ। ফোন রিসিভ হতেই উৎসব ওপাশ থেকে একজন মধ্যবয়স্ক লোকের কন্ঠস্বর পেলো। উৎসব জিজ্ঞেস করলো,
–“কে বলছেন? অর্নি’র ফোন আপনার কাছে কেন?”
–“আজ্ঞে, এই ফোনের মালিকরে আধ ঘন্টা আগে কয়েকজন লোক আইসা উঠাইয়া নিয়ে যায়।”
কথাটা উৎসবের কর্ণগোচর হতেই উৎসবের সর্বাঙ্গ কেঁপে উঠে। অজানা ভয় হতে শুরু করলো। কে নিয়ে যেতে পারে অর্নিকে? উৎসব অস্থির কন্ঠে বললো,
–“আপনি কোথায় থেকে বলছেন? ঠিকানাটা বলুন, আমি এক্ষুনি আসছি।”
লোকটা ঠিকানা জানাতেই উৎসব তড়িঘড়ি করে বেরিয়ে যায় বাসা থেকে।
চলবে~
|কালকের পর্ব পড়ার পর অনেকেই অনেক কমেন্টস করেছেন। তার মধ্যে একজন এ’ও বলেছেন “আমার কি রোমান্স সম্পর্কে ধারণা অনেক বেশি নাকি?” এই কথাটায় খুব কষ্ট পেয়েছি আমি। আপনারা বলছেন প্রতি পর্বেই নাকি আমি খোলাখুলি ভাবে উৎসব অর্নির রোমান্স এর বিষয়টি লিখছি। কিন্তু আমার যতদূর মনে পড়ে আমি প্রথম এবং ছয় পর্বেই এই বিষয়টি নিয়ে লিখেছি। যাই হোক আপনারা ভুল ধরেছেন আমি মেনেছি, নেক্সট টাইম এইসব মাথায় রেখেই গল্প দিবো। তবে এই কথাগুলো হার্ট না করেও ভালোভাবে বলা যায়। যাই হোক এটা সম্পূর্ণ আপনাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার আপনারা হার্ট করে কথা বলবেন নাকি ভালো ভাবে বলবেন। কিছু কিছু কথায় আসলেই খুব কষ্ট লাগে। ধন্যবাদ আপনাদের আমার ভুলগুলো ধরিয়ে দেওয়ার জন্য|