#দহন
#রিয়া_জান্নাত
#পর্ব_২০
রেহেনা শিকদার সদর দরজা খোলে আকাশকে বলে __
” তোরা ভিজলি কি করে? বৃষ্টির সময় কোথায় ছিলি তোরা। কিরে কথা বলছিস না কেনো আকাশ। ”
নীলা দ্রুত পায়ে নিজের রুমে চলে যায়। আকাশ রেহেনাকে বলে মা আমরা একটা গলিতে দই ফুচকা খেতে যাই। জায়গাটা খুবই চিপা গাড়ি ঢুকেনা ওই পথে। তাই আমরা ফুচকা খেতে যেয়ে হঠাৎ এভাবে ভিজে যাই। কারণ বৃষ্টি টা হুট করেই আসছে। ফুচকা ওয়ালা মামার দোকান খোলামেলা জায়গায় তো।
” ওহ আচ্ছা দ্রুত রুমে যা! চেঞ্জ কর তাড়াতাড়ি, নাহলে ঠান্ডা লেগে যাবে। ”
” ঠিক আছে মা। ”
আকাশ রুমে এসে দেখে নীলা সাওয়ার নিতে গেছে বাথরুমে। আকাশের মেজাজটা খারাপ হয়ে যায়। বাথরুমের দরজা বারবার থাক্কায় আকাশ।
” আমি একটুপর বের হচ্ছি আকাশ। ওয়েট করুন। আমার এখনো শেষ হয়নাই। ”
“শুনো নীলা তোমাকে এমনি এমনি বাড়িতে আনিনাই। দ্রুত দরজা খোলো নাহলে দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে যাবো আমি। ”
নীলার মেজাজ খারাপ হয়ে যায়। আকাশ আপনার কথাটি মোটেও শোভনীয় নয় ধৈর্য ধরুন আমার সাওয়ার নেওয়া শেষ হলে বের হচ্ছি।
” তুমি যদি ডাবল শাওয়ার নিতে পারো তাহলে নাও। কারণ আমার সাথে তোমাকে আরেকবার শাওয়ার নিতে হবে! ”
” নীলা রেগে যেয়ে দরজা খোলে। কি হয়েছে আপনার। আপনার বউ হইছি বলে আমার কোনো পার্সোনালিটি নাই। অসহ্যকর লোক একটা! ”
” আকাশ কিছু না বলে নীলাকে চুপ করে দেওয়ার জন্য বাথরুমে শিটকিনি লাগিয়ে নীলার ঠোঁট দখল করে নেয়। ”
” কি শুরু করলেন এসব। দিনদিন আপনার জ্বালাতন বেড়েই যাচ্ছে। এরকম করলে কিন্তু আমি আপনার সংসার করবো না। ”
” আকাশ সমানতালে নীলার ঠোঁট কামড়ে দেয়। এরপরে গাল গুলো শেষ করে দেয়। আস্তে আস্তে ঘাড়ের নিচে কিস করে। এরপরে পেটের কাছে এসে নাভীতে চুমু দেয়। ”
” আকাশের আদরে নীলা চুপ করে যায়। কারণ আকাশকে বাধা দিয়ে লাভ নেই। যখন ওর যা যাই তখন তা দিতেই হবে। নীলা আকাশের স্পর্শতে উত্তেজিত হয়ে যায়। ”
বেশিকিছুক্ষণ সাওয়ার নিতে গিয়ে রোমান্স শেষে বের হয় দুজন।
” তোমার চর্বিযুক্ত পেট আমাকে পাগল করে দিছিলো নীলা। নিজেক সামলাতে পারেনাই। তোমার নাভীতে তিল অংশ আমাকে সেইভাবে কাছে টানছিলো। তাই এইরকম হয়ে গেলো। রাগ করোনা বউ আমিতো তোমার জামাই। ”
” নীলা চুপ করে বেসিনের সামনে দাড়িয়ে চুল আঁচড়ায়। আকাশ শুভ্র পাঞ্জাবি পড়ে নিচে চলে আসে। ”
বেশকিছুক্ষণ বৃষ্টি, সাফা, রেহেনার সঙ্গে ড্রয়িংরুমে সময় কাটিয়ে আকাশ উপড়ে চলে আসে। এসে দেখে নীলা শুইয়ে আছে।
” কি ব্যাপার বউ তুমি এতো তাড়াতাড়ি শুয়ে আছো ক্যান? শরীর খারাপ লাগছে নাকি! নীলার হাতে হাত দিতেই আকাশ অবাক হয়ে যায়। কারণ নীলার শরীর খুব গরম। এরপরে নীলার কপালে হাত রেখে ডক্টরকে ফোন করে। ”
” হ্যালো ডক্টর অভিমুন্য তাড়াতাড়ি আমাদের বাড়িতে আসেন। আমার বউ অসুস্থ। সারা শরীর জ্বরে পুড়ে যাচ্ছে। ”
” হুম স্যার আমি আসছি। ”
” কি ব্যাপার ডক্টর আপনি আমাদের বাড়িতে এই সময়ে। আমিতো তোমায় ডাকিনি। তাহলে কে তোমাকে ডাকলো? ”
” ম্যাডাম আমাকে আকাশ স্যার ডেকেছে? নীলা ম্যাডামের নাকি শরীরে জ্বর উঠছে? ”
” কি বলছেন ডক্টর। কখন এইরকম হলো আকাশতো আমাকে কিছু জানালো না। ”
অভিমুন্য দ্রুত আকাশের রুমে যায়। যেয়ে দেখতে পায় নীলা অচৈতন্য অবস্থায় শুয়ে আছে। আকাশ নীলার চোখে পানি চিটাচ্ছে।
” কি ব্যাপার স্যার ম্যামের জ্ঞান নাই। ”
” না নেই? ”
ডক্টর অভিমুন্য নীলার জ্ঞান ফিরিয়ে নীলার প্রেসার মাপে। এরপরে জ্বর মাপে।
” স্যার ম্যামের প্রেসার লো আছে। তাই দুর্বল হয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলছিলো। জ্বর ১০২ ডিগ্রি ফারেনহাইট। আমি ম্যাডামকে ঔষধ গুলো দিচ্ছি সকালেই কমে যাবে। নিয়ম করে দুবেলা খাইয়ে দিয়েন। আর জ্বর টা কমানোর জন্য মাথায় পট্টি দিয়েন। আমি আসি স্যার সিরিয়াস কিছু নেই। সো টেনশন করিয়েন না। বেষ্ট অফ লাক। ”
” কি ব্যাপার আকাশ নীলার এই অবস্থা। একটা বারো আমাকে ডাক দিলিনা। আমি কি তোদের কেউ না। ডক্টর বাড়ি পযর্ন্ত এসে গেলো অথচো আমি কিছু জানলাম না। নাকি তোদের কাছে আমার মূল্য একদম নেই? ”
” কি বলছো মা! আমি তোমাকে বলতে যাওয়ার আগেই তো তুমি চলে আসলা তাই বলবো কি করে। তুমিতো জানো অভিমুন্য আমাদের বাড়ির ডক্টর। ওকে কিছু বলার সাথে সাথেই হাজির হয় আমাদের বাড়িতে। ”
” নীলা মা তোমার মাথায় পানি দিবো। ”
” নীলা মাথা দিয়ে বললো না মা। ”
” আকাশ নীলাকে ঔষধ খেয়ে দে। আমি আসি আর হ্যা কখনো আমাকে দরকার হলে অনায়াসে খবর পাঠাইয়ো। ”
” ঠিক আছে মা তুমি রেষ্ট নাও। ”
রেহেনা শিকদার নিজের রুমে চলে যায়।
” নীলা মাথা ব্যাথা করছে মাথা টিপে দিবো? ”
” হুম!”
আকাশ নীলার মাথা আলতো ভাবে নেড়ে নেড়ে টিপে টিপে দিচ্ছে। বেশ কয়েকদিন থেকে নীলা মাথায় তেল দেয়না। আকাশ তেলের বোতল এনে সুন্দর করে চুলগুলোতে তেল দেয়। মাথা আলতোভাবে নাড়াতে নীলার ঘুম পেয়ে যায়। নীলা ঘুমে আচ্ছন্ন হয়ে যায়। আকাশ সারারাত নীলার মাথায় জলপট্টি দেয়। ৪.০০ টার পর দেখে নীলার জ্বর নেমে গেছে। তখন আকাশ কিছুক্ষণ ঘুমিয়ে পড়ে।
সকাল হয় ভোরের পাখির কিচিরমিচির ডাক সূর্য মামার তেজ জানালা দিয়ে উঁকি মেরে নীলার চোখে মুখে পড়ে। নীলার ঘুম ভেঙ্গে যায়।বিছানা থেকে উঠে মাথায় হাত দেয়। আস্তে আস্তে জানালার কাছে যেয়ে জানালা বন্ধ করে। কারণ রোদটা ততক্ষণে আকাশের মুখপানে পড়তেছিলো। নীলা এবার কালকে রাতে কি হয়েছে মনে করার চেষ্টা করলো। এরপরে নীলা দেখলো তার টেবিলের পাশে পানি ভর্তি গামলা ও সুতি কাপড় পড়ে আছে । নীলার বুঝতে বাকি রইলো না, আকাশ সারারাত তার মাথায় জলপট্টি দিছে। নীলা আকাশের মুখপানে তাকিয়ে দেখলো। ঘুমন্ত অবস্থায় আকাশকে নিস্পাপ শিশু মনে হচ্ছিলো । কিন্তু এই মানুষ টি যখন জেগে থাকে হায়েনার মতো আমার উপর কিভাবে ঝাপিয়ে পড়ে। নীলা আকাশের কাছে যায়।আকাশের চাপদাড়ি ভর্তি গাল দুটো নরম তুলতুলে হাত দিয়ে স্পর্শ করে। এরপরে নীলা আস্তে করে আকাশের কপালে চুমু দেয়। আকাশ নীলার কোমড় জড়িয়ে ধরে।
” কি ব্যাপার আপনি জেগে আছেন। তাহলে ঘুমানোর ভান করে শুয়ে রয়েছেন কেনো? ”
” বউয়ের এরকম আদর পেলে সব স্বামীর চোখের ঘুম হারাম হয়ে যায় দুষ্ট পাখি। আমার সাথে তোমার কুচি কুচি করার ইচ্ছে জেগেছে। বলবা না আমাকে । ”
” নীলা লজ্জায় পড়ে যায় আকাশের কথা শুনে। ”
” হ্যা আমার বউ লজ্জা পাওয়ার নাটক খুব ভালোভাবেই চালায় দেখি। একটু আগে যেটা করছিলে আরেকবার করোনা আমার সাথে। আমারতো খুব ইচ্ছে প্রথমরাতের মতো বউয়ের কাছ আমিয়ো আদর নিবো। কিন্তু তুমিতো সবসময় লজ্জায় পড়ে থাকো। একা একা শুধু আমি তোমাকে আদর করি। ”
নীলা মনে মনে বলে কি করলাম আমি? এই লোকটা এখন আমাকে উঠতে বসতে খোঁটা দিবে। আমাকে দুষ্ট পাখি না জানি আরো কতকিছু বলবে।
” এই বউ আমাকে দ্রুত বাবা বানাও এই আনন্দের খবরটা কবে দিবে তুমি আমাকে। ”
” আকাশ আমার শরীর দুর্বল। আর আপনি আমার সাথে এসব কি করছেন। ”
আকাশের কালকের রাতের কথা মনে পড়ে গেলো। এরপরে নীলার কপালে হাতরেখে বললো জ্বরতো কমে গেছে। তাহলে দুর্বল লাগছে ক্যান?
” নীলা আকাশের হাত কোমড় থেকে সরিয়ে নিয়ে বলে গতকাল অফিস যান নাই। দুষ্টুমি বাদ দিয়ে তাড়াতাড়ি উঠেন। আমি কিচেন রুমে যাচ্ছি। ”
” নীলার হাত টেনে ধরে বলে বউ তুমি শুয়ে থাকো। আজকে তোমাকে কোর্টে যেতে হবেনা। আর রান্না বান্না বৃষ্টি করে নিবে। ”
নীলা চুপচাপ বিছানায় শুয়ে পড়ে। আকাশ সাওয়ার নিতে যায়। কিছুক্ষণ পর সাওয়ার শেষ করে রুমে চলে আসে। আকাশ কালো শার্ট, কালো প্যান্ট পড়ে বের হয়। নীলা চুপচাপ তার স্বামীকে দেখছে। আকাশ বেসিনে এসে বামহাতে কালো ঘড়ি, কালো জুতা পড়ে এরপরে আলমারি থেকে কালো ব্লেজার বের করে। নীলা দৌড়ে যেয়ে ব্লেজার টা হাতে নেয়। আকাশ মুচকি হাসি দেয় নীলার কাণ্ড দেখে। এরপরে নীলা আকাশকে ব্লেজার পড়িয়ে দিয়ে বলে আজকে দ্রুত বাড়িতে আসবেন আকাশ।
” কেনো নীলা আমিতো দেরী করিনা সাতটার মধ্যে বাড়িতে চলে আসি। আরো আগে আসতে হবে কি? ”
” হুম। আজকে আপনি পাঁচটার মধ্যে বাড়িতে চলে আসবেন। ”
” ওকে! বউয়ের হুকুম বলে কথা তামিল করতেই হবে। সময়মতো ঔষধ গুলো খেয়ে নিয়ো বউ। দরজাটা লাগিয়ে দাও। তোমাকে নিচে আসতে হবে না, আমি নাস্তা করে চলে যাবো। কিছুক্ষণ রেস্ট নাও, তোমার দামি ঔষধ খেলে মাথা ঘোরায়। বলাতো যায়না সিড়ি থেকে যদি কিছু হয়ে যায়।আবার প্রেসার লো। ”
” নীলা আকাশের কথা শুনে মুচকি হেঁসে দেয়। ”
” আকাশ আলতোকরে নীলার গালদুটি ধরে ঠোঁটে চুমু করে। ”
নীলা চুপ করে রয়। আকাশ এরপরে ব্যাগ নিয়ে নিচে চলে যায়।
নীলা মনে মনে বলে, আমার জামাইকে নজরে রাখতে হবে। বাইরে কত শাঁকচুন্নি ঘুরে বেড়ায়। আমার সুন্দর জামাইয়ের দিকে যদি কেউ নজর দেয়। তার চোখ আমি উপড়ে নিবো। এরপরে নীলা কিছুক্ষণ রেস্ট নিয়ে নিচে আসে। রেহেনা শিকদারের সঙ্গে কথা বলে।
” মা আজকে তোমার ছেলের বার্থডে। তোমার ছেলের কিছুই মনে নাই। আমি কেক বানাচ্ছি। তুমি একটু বাইরে থেকে ঘরটা সাজানোর জন্য জিনিসপত্র গুলো বৃষ্টির দ্বারা আনাবে। আমার বৃষ্টিকে হুকুম করতে লজ্জা লাগছে। ”
” পাগলি মেয়ে! ড্রাইভারকে বললেই সব এনে দিবে। আচ্ছা তুমি এই শরীরে কেক বানাতে পারবে? ”
” মা তুমিয়ো আকাশের মতো শুরু করলে। আমার জ্বর কমে গেছে। আর শুনো আকাশ যাতে জানতে না পারে আজকে তার বার্থডের আয়োজন করছি আমি। কাল রাতে যদি অসুস্থ না হতাম তাহলে রাত বারোটায় তাকে উইশ করতাম। সকালে উঠে ভাবলাম অসুস্থ যেহেতু ছিলাম তাহলে সন্ধ্যা টা নাহয় সারপ্রাইজ থাকুক। ”
” রেহেনা মুচকি হেসে বলে, নীলা আমিই তো ভূলে গেছি আজ আকাশের বার্থডে। তো আকাশ সন্ধ্যায় আসবে তো? ”
” হ্যা মা তাকে আমি বলে দিছি বিকাল ৫.০০ টায় যাতে বাসায় আছে। সে বলছে আসবে। ”
” তাহলে তো কেল্লাফতে। ”
বিকাল ৫.০০ টা বেজে উঠলো নীলা আকাশকে ফোন দিলো। আকাশ কিছুতেই ফোন তুলছে না। নীলা চিন্তায় পড়ে গেলো দুপুর থেকে আকাশ নীলাকে একবারো ফোন দেয় নাই। অন্যকোনো দিন হলে আকাশ নিজ থেকে মিনিমাম ৪ বার খোজ নেয় নীলার। কিন্তু আজ আকাশ একবারো ফোন দিয়ে খোঁজ নেয় নাই।
” মা ৫.০০ টা বেজে গেলো তোমার ছেলে আসছে না কেনো? আমিতো তাকে বলে দিছি ৫.০০ টায় তাকে বাড়ি আসতে হবে। ”
” হয়তো আকাশের মনে নাই নীলা। শুনলাম অফিসে আজকে বায়ার এসেছিলো। হয়তো বায়ারের সঙ্গে মিটিং এ ব্যস্ত আছে। ”
” মা আমি অফিসে যাচ্ছি। ”
” কি বলছো নীলা? এই শরীরে জার্নি ঠিক না। ”
” মা আমার তেমন কিছু হয় নাই। তাকে নিয়ে আসতে গেলাম। ”
” আচ্ছা যাও। তুমি যা ভালো মনে করো। ”
নীলা গাড়িতে বসে বসে মনেমনে ভাবে আকাশ আজ একবারো ফোন দিলো না। কি এমন ব্যস্ততা যারজন্য খোঁজ নিয়েও দেখলো না আমি ঔষধ খেলাম কি নাই। আমাকে দেখতেই হচ্ছে। নয়নার নাম একবার শুনেছিলাম মেয়েটা নাকি আকাশের পিছনে পিছনে ঘুরঘুর করে। নাকি আমার জামাইয়ের উপর নয়না নামের শাঁকচুন্নির নজর পড়লো।
” ম্যাম অফিসে চলে এসেছি। ”
” নীলা আনমনে গাড়ি থেকে অফিসে ঢুকলো। অফিসে যেয়ে দেখে আকাশ তার চেম্বারে নাই। ”
নীলা বাইরে বের হয়ে ওয়ার্কারদের জিজ্ঞেস করলো তোমরা এখনো বাড়ি যাও নাই কেনো। ওয়ার্কার গুলো বললো ম্যাম আমরা ১৪ জন অতিরিক্ত ডিউটিতে আছি বাকিদের ছুটি হয়ে গেছে। আসলে একটা প্রজেক্টের কাজ জরুরি তো। তাই স্যার আমাদের রাখছে।
” আকাশ কোথায়। ”
ম্যানেজারকে জিজ্ঞেস করুন ম্যাম। নীলা ম্যানেজারের রুমে যেয়ে জিজ্ঞেস করে আকাশ কোথায় ম্যানেজার?
” ম্যাম স্যারতো বায়ারদের বিদায় সম্ভাষণ জানাতে গেছে। ”
আসবে কখন?
এইতো ০৫ মিনিট স্যারের চেম্বারে ওয়েট করুন।
নীলা চেম্বারে যেয়ে আকাশের জন্য অপেক্ষা করতেছিলো। এমন সময় শিকদার অফিসে আগুন লেগে যায়। মূহুর্তের মধ্যে পুরো ব্লিডিং এ আগুন ধরে যায়।
চলবে,,,
আগামীকাল গল্পটি শেষ হবে।