#বুকে_যে_শ্রাবণ_তার
#পর্ব____৩৩
#নিশাত_জাহান_নিশি
“বড়ো ভাই বেকার এই নিয়ে যেহেতু আপনার এতোই সমস্যা তাহলে আপনি নিজে থেকে কিছু ইনভেস্ট করুন না আমার জন্য! মাসে মাসে তো আপনি কম টাকা হাতাননি আমার থেকে! সেই টাকাগুলো বের করুন। না-কি সব টাকাই নিজের ছেলের ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয় করে রেখেছেন? তার কাছে টাকা চালছেন? একদিনের জন্যও কী আপনি আমাকে নিজের ছেলে ভেবেছেন?”
মিশালের প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর ও হাঁটে হাড়ি ভাঙার মতো কিছু অনির্বায সত্যি শুনে মুহূর্তেই বিচলিত হয়ে ওঠলেন শাহনাজ বেগম। থতমত খেয়ে তিনি জেদী ও প্রশ্নবিদ্ধ মিশালের দিকে শঙ্কিত দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলেন। মনে হচ্ছেনা মিশালকে আজ ছলেবলে কৌশলে ভোলানো যাবে বলে! নিশ্চিত না হওয়া অবধি তো মিশাল অনুমানের ভিত্তিতে কোনো কথা বলেনা। তার মানে কী মিশাল তাঁর সব গোপন তথ্য জানতে পেরে গেছে? খুব বুঝে শুনে উত্তর দিতে হবে তাঁর। নমনীয়তা বজায় রাখতে হবে। কঠোরতা ভুলতে হবে। প্রয়োজনে অল্প স্বল্প অভিনয়ও করতে হবে। মুখশ্রীতে কোমল ভাব ফুটিয়ে তিনি এগিয়ে গেলেন মিশালের দিকে। মিশালের বিদ্বেষী দৃষ্টিতে তিনি শান্ত দৃষ্টি নিক্ষেপ করলেন। নরম গলায় পাল্টা প্রশ্ন ছুড়লেন,
“এসব তুই কী বলছিস মিশাল? আমি তোকে নিজের ছেলে ভাবিনা? যদি এমনই হতো তবে নিশ্চয়ই তোর বাবা মারা যাওয়ার পরেও আমি তোর কাছে থেকে যেতামনা? তোর সেবা-যত্ন করতাম না, সংসারটাকে দু-হাতে আগলে রাখতাম না। তোর ভালোর জন্য চাকরী সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে তোর সাথে সারাক্ষণ ঘ্যানঘ্যান করতামনা। আমার নিজের ছেলের কাছেই ফিরে যেতাম! হ্যাঁ, হয়তো পরিস্থিতির চাপে পরে আমি মাঝে মাঝে তোর সাথে বিরূপ আচরণ করে ফেলি তার মানে এই নয় যে, আমি তোকে আপন ভাবিনা।”
হেয়ো হাসল মিশাল! কিছু মুহূর্তের জন্য মৌন রইল। শাহনাজ বেগম যে পাক্কা অভিনেত্রী দুই বছরে কী কম বুঝা হয়েছে তার? হয়তো সম্মান, ভালোবাসা ও ভক্তি থেকে চুপ থাকত। দীর্ঘশ্বাস ফেলল মিশাল। ভাবহীন গলায় বলল,
“আপনি আমাকে আপন ভাবলেও আমার কিছু যায় আসেনা মা। এমনকি আপনি আমাকে পর ভাবলেও আমার কিছু যায় আসেনা! কেন বলুন তো? কারণ, আপনার আসল রূপ খুব পরীক্ষিত ভাবেই আমার জানা হয়ে গেছে। এই যে বললেন না? বাবা মারা যাওয়ার পরেও আপনি আমাকে ছেড়ে যাননি, বুঝাতে চাইলেন যে আমার যত্নের জন্য আপনি থেকে গেছেন, আমার ভালোর কথা ভেবে চাকরীর জন্য ঘ্যান ঘ্যান করছেন এসবেও কিন্তু আপনার স্বার্থ জড়িত রয়েছে! কারণ আপনি তো জানেন আমি আপনার নিজের ছেলে না হয়েও আপনাকে যতোটা গুরুত্ব দিই, যতোটা আপন ভাবি, আপনার নিজের ছেলেও আপনার জন্য এতোটা ভাবেনা, এতোটা গুরুত্ব দেয়না! বুঝেশুনেই আপনি আমার কাছে থেকে গেছেন। যাই হোক, এসব এখন আমার জানার বিষয় নয়। এ-ই দুইবছর ধরে তো আমি কম করিনি আপনার জন্য। নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে, শরীরের রক্ত ঝরিয়ে মাসে মাসে সংসারের টাকা ঠিক রেখেছি প্রয়োজনের বেশি টাকাও আপনার কাছে জমা রেখেছি সেই টাকাগুলো এখন আমাকে ফেরত দিন! আমি হয় ব্যবসা করব নয় সরকারি কোনো চাকরীর জন্য অ্যাপ্লাই করব। সেখানেও হয়তো ঘুষের প্রয়োজন হতে পারে। টাকাটা আপনি আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ম্যানেজ করে রাখবেন মা! আমি হয়তো আপনাকে একটু বেশীই ছাড় দিয়ে ফেলেছি। ছাড় দেওয়া মানেই যে ছেড়ে দেওয়া নয় তা আপনার বুঝতে হবে!”
হনহনিয়ে রুম থেকে প্রস্থান নিলো মিশাল। বুকে ব্যথা শুরু হয়ে গেল শাহনাজ বেগমের! চোখেমুখে তিনি অন্ধকার দেখতে লাগলেন। কোনোরকমে হাতড়িয়ে বিছানার ওপর বসলেন। সেই সাথে প্রেশারও বেড়ে যেতে লাগল তাঁর। বড়ো বড়ো শ্বাস ফেলে তিনি চিন্তিত গলায় বললেন,
“কী হবে এখন আমার? এই দুই বছরে আমি যতো টাকা হাতিয়েছি সেই সব টাকা তো আমি রাফিনের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করেছি! রাফিন কী এখন আমাকে টাকাগুলো ফেরত দিবে? কী করব এখন আমি?”
অস্থির হয়ে শাহনাজ বেগম বালিশের তলা থেকে তাঁর মোবাইল ফোনটি বের করলেন। রাফিনের নাম্বারে একের পর এক কল করতে লাগলেন। কিন্তু প্রতিবারই ফোনটি সুইচ অফ আসতে লাগল! তিনি বুঝতে পারলেন রাফিন হয়তো কোথাও নেশা ভান করে পরে আছে! এখন কী হবে? আল্লাহ্ তাঁকে এই কোন পরীক্ষার মধ্যে ফেলে দিলো?
মিশাল বাদে বাড়ির সবাই রাতের খাবার খেয়ে নিয়েছিল। তাই মিশাল একাই তার রাতের খাবার খেয়ে তার রুমে ফিরল। রুমের দরোজা আটকে আলো নিভিয়ে বিছানায় উবুড় হয়ে শুয়ে পরল। ইতোমধ্যেই মনে হলো পাশে তার সেলফোনটি বেজে ওঠল। আগ্রহী কলটি তুলল মিশাল। গম্ভীর গলায় ‘হ্যালো’ বলল। অপর পাশ থেকে সামান্তা শান্ত গলায় শুধালো,
“কী হলো? মন খারাপ তোমার?”
“উঁহু।”
“উঁহু বললেই হলো? কী হয়েছে বলো?”
“কিছু হয়নি। রাতে খেয়েছিস তুই?”
“হুম। তুমি?”
“হুম।”
“কণ্ঠ গম্ভীর শোনাচ্ছে তো। কী হয়েছে বলো?”
“মায়ের সাথে একটু কথা কাটাকাটি হয়েছে।”
“কী নিয়ে?”
“ঐ টাকা পয়সা নিয়ে।”
“একটা কথা বলব?”
“বল?”
“এইবার তোমার একটু কঠোর হওয়া উচিৎ। তুমি হয়তো বুঝতেও পারছনা তুমি যাদের আপন ভাবছ তারাই তোমার পেছনে গাছ কাটছে। এবার একটু সতর্ক হও ইট’স মাই হাম্বল রিকুয়েষ্ট। তুমি সবার ভালো চাও বলে যে পৃথিবীর সবাই তোমার ভালো চাইবে বিষয়টা কিন্তু এমন নয়। আই হোপ তুমি বুঝতে পেরেছ। বুদ্ধিমানের জন্য ইশারাই যথেষ্ট।”
“হুম।”
“শুধু হুম বললেই কী চলবে? তুমি আমার কথার মানে বুঝতে পেরেছ তো?”
“হুম পেররছি। এক সপ্তাহের সময় দিয়েছি মা-কে দেখি কী হয়।”
“টাকাপয়সার ব্যাপারে?”
“হুম।”
“ওকে এসব তোমাদের ব্যাপার।”
“আচ্ছা এখন রাখ। আমি ঘুমোবো।”
“বাজে তো মাত্র রাত বারোটা। এতো আর্লি ঘুমাবা?”
“হুম। কাল একটু আর্লি ঘুম থেকে ওঠতে হবে তাই।”
“কেন? কী কাজ আছে কাল?”
“রুমকির কলেজে যেতে হবে একটু।”
“আচ্ছা রাখো ঘুমাও।”
“তুইও ঘুমিয়ে পড়।”
“ওকে।”
কলটি কেটে সামান্তা ঘুমানোর চেষ্টা করল। পাশ থেকে সাইফা ফোনে স্ক্রলিং করে সামান্তার দিকে আড়চোখে তাকালো। প্রশ্ন ছুড়ল,
“তুমি কী এখনও অস্বীকার করবে যে মিশাল ভাইকে তুমি ভালোবাসো না?”
অবাক হলো সামান্তা। তৎক্ষণাৎ চোখ মেলে তাকালো সাইফার দিকে। ভ্রু যুগল খরতরভাবে কুঁচকালো। রূঢ় গলায় প্রশ্ন ছুড়ল,
“তুই এখনও জেগে আছিস?”
“ঘুমালাম কখন আমি?”
“ঘুমোসনি কেন?”
“কতো রাত ধরে আমার ঘুম হয়না তুমি জানো?”
“কেন? কী হয়েছে তোর? শরীর টরীর খারাপ করল নাকি?”
“তুমি তো জানোই আপু লাবিবের সাথে এখন আমার যোগাযোগ বন্ধ! তার কথা ভেবে রাতে আমার ঘুম হয়না। ছটফট লাগে।”
সাইফার মাথায় গাড্ডা মারল সামান্তা। রাগী স্বরে বলল,
“এই বয়সে তো ভালোই প্রেম ভালোবাসা শিখে গেছিস দেখছি। প্রেম ভালোবাসাকে এতোটাও প্রশ্রয় দিতে নেই যতোটা প্রশ্রয় দিলে তোর ভালো থাকা নষ্ট হবে।”
“তুমি পেরেছ আপু প্রেম ভালোবাসাকে প্রশ্রয় না দিয়ে থাকতে? তুমি স্বীকার করো বা না করো অন্তত আমি তো বুঝি তুমি মিশাল ভাইয়াকে ভালোবেসে কতোটা মরছ! গত চারদিনে তোমার হাল অবস্থা দেখে আমি তা বেশ ভালোভাবেই বুঝতে পেরেছি। যতো যাই হয়ে যাক আপু তুমি মিশাল ভাইয়ার হাতটা ছেড়োনা। স্বার্থ ছাড়া যদি কেউ মিশাল ভাইয়াকে ভালোবেসে থাকে তা একমাত্র তুমি! মিশাল ভাইয়ার কষ্টে ভরা জীবন আমার দেখতে আর ভালো লাগেনা। তাকে সুখ দিতে না পারো অন্তত তাকে দুঃখ দিওনা!”
পাশ ফিরে শুয়ে পরল সাইফা। লাবিবের কথা ভেবে সে চোখের জল ফেলতে লাগল। সামান্তা নিশ্চুপ হয়ে রইল। আনমনে সাইফার কথাগুলো ভাবতে লাগল। উপলব্ধি করল তার ভালোবাসা কতোটা গভীর! যতোটা গভীর হলে আশেপাশের লোকজনও বুঝতে পারে মিশালকে ভালোবেসে সে মরছে! শুধু মিশালই তার অনুভূতি বুঝলনা। হয়ত বুঝেও না বুঝার ভান ধরে থাকে। এসব ভান ধরা মানুষ খুব মারাত্মক ধরনের হয়। মিশাল যে মারাত্মক ধরণের মানুষ তা জেনেও তো সামান্তা তাঁর প্রেমে পরেছে। মেয়েরা বেছে বেছে এসব মারাত্নক মানুষদের প্রেমেই পরে! শেষে ভালোবাসা পাক বা না পাক এই মারাত্মক মানুষটিকেই তাদের লাগবে।
______________________________
সকাল দশটা বেজে যাওয়ার পরেও আজ শাহনাজ বেগম ঘুম থেকে ওঠলেন না! রুমকি একবার গিয়ে তাঁর রুম থেকে ঘুরে এলো। শরীর খারাপ বলে তিনি রুমকিকে পাঠিয়ে দিলেন। বললেন তাকে নাশতা বানিয়ে খেয়ে নিতে। সবার জন্য পরোটা ও চা করে রুমকি নিজের ব্রেকফাস্ট টুকু করে বেশ সেজেগুজে কলেজের উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে গেল! জেনিয়ার সদ্য পরীক্ষা শেষ হয়েছে বলে সে এখনও নাক টেনে ঘুমুচ্ছে। এলার্ম বন্ধ করে মিশাল এই নিয়ে তিনবার ঘুমিয়েছে! তবে এবার সামান্তার কল পেয়ে মিশালের ঘুম ভাঙল। কলটি না তুলেই সে প্রথমে ঘুম জড়ানো চোখে ফোনের স্ক্রীণে তাকালো কয়টা বাজছে এখন তা দেখার জন্য। ইতোমধ্যেই চোখ থেকে মিশালের ঘুম উবে গেল! সাতটা বাজে ওঠবে ওঠবে বলে দশটা বাজিয়ে দিলো।
তাড়াহুড়ো করে মিশাল বিছানা ছেড়ে ওঠল। ফ্রেশ হয়ে সে কিছুক্ষণের মধ্যেই বাড়ি থেকে বের হয়ে গেল। রিকশা নিয়ে রুমকির কলেজের উদ্দেশ্যে রওনা হলো। রিকশায় ওঠে সে একটি সিগারেট ধরালো। অন্যহাতে সামান্তার নাম্বারে কল করল। কলটি তুলল সামান্তা। ক্ষীণ গলায় বলল,
“এতক্ষণ লাগল কল ব্যাক করতে?”
“থ্যাংকস দেওয়ার জন্য কল ব্যাক করলাম।”
“সকাল সকাল কী এমন উপকার করলাম?”
“আমার সর্বনাশা ঘুমটা এতো ইজিলি ভাঙালি।”
“কোথায় আছো এখন?”
“এইতো রিকশায়। রুমকির কলেজের দিকে যাচ্ছি।”
“নাশতা করেছ?”
“সময় পাইনি।”
“তো খালি পেটে সিগারেট গিলছ?”
“বউ নাই। তাই খালি পেটে সিগারেট গিলতে হচ্ছে!”
“এখানে বউ থাকা বা না থাকার সম্পর্ক কী?”
“বউ থাকলে তো জোর করে হলেও নাশতা করাত। খালি পেটে সিগারেট খেতে হতোনা!”
“তো একটা ভালো দেখে বউ বিয়ে করলেই তো হয়।”
“ভালো বউয়ের খুব অভাব বুঝলি? বিয়ে মানেই তো ভেজাল! সারাক্ষণ শুধু অকারণে সরি বলে বলে মুখে ফেনা তুলতে হবে। কালই তো তার প্রমাণ পেলাম তাইনা? দোষ না করেও দোষী।”
“ওয়েট ওয়েট ওয়েট। তুমি কী আমাকে মিন করলে?”
“তার মানে আমার বউ হওয়ার খুব শখ তোর?”
“না নেই! তোমাকে বিয়ে করার কোনো শখ নেই আমার! বিয়ের আগেই যে আমাকে ঝামেলা বলে চালিয়ে দেয় তাকে বিয়ে করতে আমি বসে নেই! খবরদার দ্বিতীয়বার তুমি আমাকে কল করেছ তো।”
রাগে গজগজ করে কলটি কেটে দিলো সামান্তা। ফিক করে হেসে দিলো মিশাল। সিগারেটে লম্বা একটি টান দিলো। রিকশাওয়ালা চাচাকে বলল,
“বুঝলেন চাচা? মেয়েদেরকে সত্যি কথা বললে তারা রেগে মেগে লুচির মতো ফুলে ওঠে। আজকাল সত্যি কথার ভাত নেই। আচ্ছা চাচা? চাচীও কী আপনার সাথে এমন হুটহাট রেগে যায়? সত্যি কথা মানতে পারেনা?”
দীর্ঘশ্বাস ফেলে রিকশাওয়ালা মনের দুঃখ থেকে বললেন,
“হ চাচা। বেডিরা এমনই। তাঁরা সইত্ত কথা সইয্য করত ফারেনা। আগুনের ঠোসা ফরে গাঁয়ে। এই বুইড়া বয়সে আইস্সাও তাঁরে কতো নমঃ নমঃ কইরা আমার রাগ ভাঙ্গান লাগে! বুইড়া বয়সেও ভীমরতি এই আর কী।’
কিছুদূর যেতেই রুমকিদের কলেজ চোখে পরল মিশালের। কলেজ গেইটের সামনে রিকশা থামল। ভাড়া মিটিয়ে মিশাল দ্রুত গতিতে রুমকিদের কলেজে প্রবেশ করল। ক্লাস অলরেডি শুরু হয়ে গেছে তখন। রুমকির ক্লাসও বসে গেছে প্রায়। ক্লাসের মাঝখানেই মিশাল ক্লাস টিচার থেকে পারমিশন নিয়ে ক্লাসের ভেতর প্রবেশ করল। কিন্তু ক্লাসরুমে রুমকিকে কোথাও দেখতে পেলোনা! রুমকির বেস্টফ্রেন্ড থেকে মিশাল জানতে পারল রুমকি এখন ইদানিংই ক্লাস বাঙ্ক করে! তার ভাই ” রাফিন” এসে তাকে কলেজ থেকে নিয়ে যায়। শুধু তাই নয় রাফিনের সাথে একটি ছেলেও থাকে! ছেলেটি সম্পর্কে কেউ কিছু জানতে চাইলে রুমকি বিষয়টি বেশ সূক্ষ্মভাবে এড়িয়ে যায়! তবে তাদের তিনজনকে বেশিরভাগ কলেজের পাশের পার্কটিতে দেখা যায়। রুমকির বেস্টফ্রেন্ড থেকে মিশাল এতোটুকুই জানতে পারল।
চাঞ্চল্যকর সব তথ্য শোনার পর মিশাল অস্থির হয়ে ওঠল! পাগলের ন্যায় ছুটে কলেজ থেকে বের হয়ে গেলো। রিকশা করে পার্কের উদ্দেশ্যে রওনা হলো।
#চলবে______?