#বুকে_যে_শ্রাবণ_তার
#পর্ব____৩৬
#নিশাত_জাহান_নিশি
“মিশাল ভাইয়ার ভালোবাসার তুলনায় কী ঐ জারিফ তোকে এই কয়েকদিনে এতো বেশীই ভালোবাসা দিয়ে ফেলেছে যে তুই মিশাল ভাইয়ার ভালোবাসাকে তুচ্ছজ্ঞান করছিস? যে ভাই কিনা তোর জন্য নিজের জীবন অবধি দিতে প্রস্তুত সেই ভাইয়ার বিরুদ্ধে চলে যাচ্ছিস? বুকটা কী একটুও কাঁপছেনা রে তোর?”
থমকালো রুমকি। অশ্রুসিক্ত নিথর দৃষ্টিতে অশান্ত সামান্তার দিকে তাকালো। সম্বতি ফিরে পেল সে। মুহূর্তেই ফুঁপিয়ে ওঠল! সামান্তাকে জাপটে ধরল। কেঁদে কেঁদে বলল,
“আমি কী করব বলো আপু? জারিফকে যে আমি সত্যিই অনেক ভালোবেসে ফেলেছি।”
“আমাকে একটু বলবি ভালোবাসার বুঝিসটা কী তুই? কয়দিন ধরে চিনিস ঐ জারিফকে? কতদিনের সম্পর্ক তোদের?”
“মাস খানিক হলো তার সাথে আমার পরিচয়। তবে ইদানিং আমি তার প্রতি একটু বেশিই দুর্বল হয়ে পরেছি আপু। আমি কী করব বলো?”
“তুই এখন আবেগের মধ্যে ডুবে আছিস রুমকি। আপন পর ভুলতে বসেছিস। কোনটা সঠিক কোনটা ভুল তার ফারাক ঠিক বুঝে ওঠতে পারছিসনা। তাই খারাপ জিনিসটাও তোর কাছে অতিরঞ্জিত মনে হচ্ছে। না পেলে মরে যাবি এমন একটা ফিলিংস হচ্ছে। তবে আমি তোকে একটা বাস্তবিক উদাহরণ দিই। আশা করি তুই ভালো মন্দের পার্থক্যটা বুঝতে পারবি। আমাদের সাইফাকে দিয়েই ধরনা। তুই তো জানিসই সাইফা লাবিবকে কতোটা ভালোবাসে।সেই পরিপ্রেক্ষিতেই কিন্তু মিশাল ভাইয়া গিয়েছিল লাবিবের সাথে দেখা করতে। লাবিবের ব্যবহার, আচরণ, ব্যক্তিত্ব সবই মুগ্ধ করেছিল মিশাল ভাইয়াকে! ছেলেটি মধ্যবিত্ত ঘরের বেকার ছেলে জেনেও কিন্তু মিশাল ভাইয়া লাবিবকে কথা দিয়ে এসেছে আজ থেকে প্রায় দুই বছর পর লাবিবের হাতে সাইফাকে তুলে দিবে। প্রথম দেখাতেই কিন্তু লাবিব মিশাল ভাইয়ার মন জয় করে নিয়েছিল। কিন্তু তোর বয়ফ্রেন্ড জারিফ সেটা পারেনি! উল্টে তার উগ্র ব্যবহার মিশাল ভাইয়াকে তার বিরুদ্ধে চটিয়ে দিয়েছে। একজন আদর্শ ভাই কখনও চাইবেনা তার বোনকে একটি বে’য়া’দ’ব ছেলের হাতে তুলে দিতে। তুই বয়সে এখনও অনেক ছোটো। বাস্তবতা এখনও কিছু বুঝিসনি, মানুষ চিনতে পারিসনি। আরও অনেক কিছু জানার বুঝার বাকী আছে তোর। তুই যখন একটু একটু করে বড়ো হতে শুরু করবি তখনই তুই মানুষ চিনতে পারবি। বাস্তবতা বুঝতে শিখবি। জারিফের চেয়েও দ্বিগুন ব্যাটার অপশন আসবে তোর জীবনে। আমি মন থেকে চাইব তুই সেই দিনটার অপেক্ষায় থাকবি। মিশাল ভাইয়ার সিদ্ধান্ত মেনে নিবি। পৃথিবী এদিক থেকে ওদিক হয়ে গেলেও মিশাল ভাইয়া কখনও তোর খারাপ চাইবেনা। অন্তত আমি কখনও চাইবনা ঐ অবাঞ্চিত তৃতীয় ব্যক্তিটির কারণে তোদের ভাই বোনের এতো সুন্দর বন্ডিংটা নষ্ট হয়ে যাক। সম্পর্ক নষ্ট করা সহজ হলেও সম্পর্ক গড়ে তোলা খুব কঠিন।”
রুমকি দোটানায় ভোগতে লাগল। সামান্তার কথাগুলো তার মনে আঁচড় কাটল। জারিফের ভালোবাসা এখন তার কাছে ফিকে মনে হতে লাগল! সামান্তাকে আরও শক্তভাবে আঁকড়ে ধরল রুমকি। নিঃশব্দে চোখের জল ছেড়ে বলল,
“আমি চেষ্টা করব আপু মিশাল ভাইয়ার মনে কখনও কষ্ট না দিতে। মিশাল ভাইয়াকে আর্দশ ভাই বলে মেনে নিতে আমার কোনো অসুবিধে নেই। মিশাল ভাইয়া পাশে আছে বলেই আমরা এখনও মুক্তভাবে শ্বাস নিতে পারছি। নয়তো বাবা মারা যাওয়ার পর আমাদের অবস্থা খুবই বেহাল হয়ে যেতো। শক্ত হাতে মিশাল ভাইয়া আমাদের হাল ধরেছিল বলেই আমরা এখনও পথে নামিনি। আমি জারিফের থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করব আপু! তবুও মিশাল ভাইয়াকে আঘাত করবনা।”
আলতো হাসল সামান্তা। রুমকিকে ছেড়ে বসলো। রুমকির গালে হাত ঠেকালো। মিহি স্বরে বলল,
“এই না হলে আমার লক্ষী বোন? আমি জানতাম তুই যথেষ্ট বুঝদার।সুন্দরভাবে বুঝালেই তুই বুঝবি। লাইফে কখনও হুটহাট করে কোনো সিদ্ধান্ত নিবি না। যেকোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে বার বার ভাববি। প্রয়োজনে হাজারবার ভাববি। আমি নিজেও কিছুদিন আগে একটি ভুল করেছি। যার প্রমাণ তোরা সবাই। আমি চাইবনা সেই ভুল তোর জীবনেও রিপিট হোক। আমি হয়তো বয়সের কারণে এই শোক সামলে নিতে পেরেছি। তবে তুই পারবিনা। কিছু কিছু ক্ষেত্রে বয়সও ম্যাটার করে।”
দম নিলো সামান্তা। দীর্ঘশ্বাস ফেলে পুনরায় বলল,
“আচ্ছা এখন চল। আমাদের বাড়িতে চল। সবার মাঝে থাকলে হয়তো তুই দুঃখগুলো একটু ভুলে থাকতে পারবি। আমি, সাইফা ও সায়মা মিলে সারাক্ষণ তোকে মাতিয়ে রাখব।”
সামান্তা একপ্রকার জোর করেই রুমকিকে নিয়ে তাদের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হলো। তারা দুজন রুম থেকে বের হতেই শাহনাজ বেগম পেছন থেকে কঠিন গলায় সামান্তা ও রুমকিকে ডাকলেন! প্রশ্ন ছুড়লেন,
“এই? কোথায় যাচ্ছিস তোরা?”
সামান্তা পিছু ঘুরল। ক্ষীণ হেসে নরম সুরে বলল,
“রুমকিকে নিয়ে আমাদের বাড়িতে যাচ্ছি চাচি। কয়েকদিন রুমকি আমাদের বাসায় থাকবে।”
“কী কারণ?”
“সবার মাঝে থাকলে রুমকি ভালো থাকবে তাই।”
“তার কোনো প্রয়োজন নেই। আমি রুমকির খেয়াল রাখতে পারব!”
“যদি সত্যিই তুমি রুমকির খেয়াল রাখতে পারতে তবে সে ভুল দিকে এতো দূর গড়িয়ে যেতো না! সরি টু সে তুমি বললে তাই আমাকেও বলতে হলো।”
শাহনাজ বেগমকে মুখের ওপর কড়া দুটো কথা শুনিয়ে দিয়ে সামান্তা হনহন করে রুমকিকে নিয়ে জায়গা থেকে প্রস্থান নিলো। তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠলেন শাহনাজ বেগম। ফোঁস করে শ্বাস ফেলে তিনি বললেন,
“আমার মেয়েকে নিয়ে আমি কী করব না করব এসবের কৈফিয়তও তাদের কাছে আমাকে দিতে হবে? আমার চেয়ে আমার মেয়ের ওপর তাদের অধিকার বেশি? কিছুতেই এই মেয়েকে মিশালের জীবনে আসতে দেওয়া যাবেনা! দুইদিনে আমার সংসার লন্ডভন্ড করে ফেলবে এই মেয়ে! ভাগ্যিস মিশাল সেদিন বিয়ে করতে রাজি হয়নি এই মেয়েকে!”
____________________________
রাফিনকে তার ফ্ল্যাটে খুঁজে পেলোনা মিশাল ও সাহিল। অনেক খোঁজাখুঁজির পরেও দুজন ব্যর্থ হলো। ক্লান্ত হয়ে তারা রাফিনদের এলাকার একটি টং দোকানে বসল সিগারেট খেতে। চিন্তিত হয়ে সিগারেট ফুকতে লাগল মিশাল। পাশ থেকে সাহিল সিগারেটে ফুক দিয়ে মিশালের দিকে প্রশ্ন ছুড়ল,
“কোথায় খুঁজবি এখন রাফিনকে?”
“জানিনা। শালা হয়তো পালিয়েছে।”
“মোবাইল নাম্বার নেই?”
“আছে। বাট বন্ধ।”
“শালা নেশাখোর। হয়তো নেশাভান করে কোথাও পরে আছে।”
“হয়তো। তবে আজকের মধ্যেই তাকে আমাদের খুঁজে বের করতে হবে। তাকে থামানো গেলেই রুমকিকে থামানো যাবে।”
আশ্চর্যিতভাবেই মিশালের সূক্ষ্ম দৃষ্টি পরল রাস্তার বিপরীত পাশে। রাফিনের ফ্ল্যাটের সামনে বাইকে দুইটি ছেলেকে দেখা যাচ্ছে। এদের মধ্যে দুজনই তার পরিচিত। একজন হলো রাফিন ও অন্যজন জারিফ! তাদের দেখামাত্রই মিশাল বসা থেকে দাড়িয়ে গেল। হাত থেকে সিগারেটটি ছুটে ফেলে দিলো। দ্রুত ও ক্ষিপ্ত স্বরে সাহিলকে বলল,
“পেয়েছি তাদের। ফলো মি সাহিল ভাই।”
মিশালের সাথে সাথে সাহিলও ছুটল। এক ছুটে দুজন রাস্তার অপর পাশে চলে গেল। দুজনই দমকা হাওয়ার বেগে সদ্য বাইক থেকে নামা রাফিন ও জারিফের মুখোমুখি দাড়িয়ে গেল। ঘটনার আকস্মিকতায় ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেল রাফিন ও জারিফ। মিশালকে হঠাৎ দেখে ঘাবড়ে গেল রাফিন! তবে জারিফ শিনা টান করে দাড়িয়ে রইল! কারণ, এলাকা তার, ক্ষমতাও তার! অন্য এলাকা থেকে মিশাল এসে তার কিচ্ছুটি করতে পারবেনা সেই বিষয়ে শতভাগ নিশ্চিত সে। ভয়ে গাঁ কাঁপতে লাগল রাফিনের। থরথরে গলায় প্রশ্ন ছুড়ল,
“তুতুতুই এখানে?”
“গলা কাঁপছে কেন তোর? ভয় পাচ্ছিস আমাকে?”
“ভভভয় পাব কেন? তুই বাঘ না ভাল্লুক?”
আক্রমনাত্নক হয়ে ওঠল মিশাল। রাগের ওপর নিয়ন্ত্রণ না রাখতে পেরে সে মুহূর্তেই রাফিনের গলার টুটি চেপে ধরল! রক্তশূল দৃষ্টিতে তাকালো শঙ্কিত রাফিনের দু’চোখে। চোয়াল উঁচিয়ে বলল,
“এবার ভয় পাচ্ছিস?”
পাশ থেকে জারিফ হুংকার দিয়ে ওঠল! মিশালের গাঁয়ের সাথে ঠেসে দাড়ালো। হিংস্র গলায় বলল,
“রাফিনকে ছেড়ে দিন বলছি। ভুলে যাবেননা এটা আমার এলাকা! মাথা গরম হয়ে গেলে কিন্তু আমি ভুলে যাবো কে আপনি! কে হোন আমার।”
ক্রোধান্বিত হয়ে মিশাল যেইনা রাফিনের গলার টুটি ছেড়ে জারিফকে আক্রমন করার উদ্দেশ্যে এগিয়ে গেল তখনই সাহিল পেছন থেকে মিশালকে টেনে ধরল! অতি সর্তকতার সাথে ফিসফিস করে বলল,
“কন্ট্রোল কর নিজেকে। ভুলে যাসনা এটা ওদের এলাকা। চারিপাশে তাকিয়ে দেখ তাদের ছেলে ফেলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে! একটু টের বেটের হলেই কিন্তু তারা আমাদের ওপর ঝাপিয়ে পরবে। আমরা একা তাদের সাথে কখনই পেরে ওঠবনা। কোনোভাবে তাদের দুজনকে আমাদের এলাকায় নিয়ে যেতে পারলেই হবে। এরপর আমাদের হিসেব নেওয়া যাবে। এখন চল এখান থেকে।”
মিশালকে জোর করে একপ্রকার টেনে হেঁছড়ে গাড়িতে ওঠিয়ে নিতে সক্ষম হলো সাহিল। মিশালকে হার মানতে দেখে রাফিন ও জারিফ বাঁকা হাসল! ব্যঙ্গ করতে লাগল তাকে। সাহিলের প্রতি রেগে গেল মিশাল। পুরো দমে গাড়ি ছেড়ে দিলো সাহিল। ইতোমধ্যেই গাড়িতে কয়েকদফা ঘুঁষি মারল মিশাল। খরখরে গলায় বলল,
“এটা তুমি কী করলে সাহিল ভাই? তাদের কাছে আমাদের দুর্বলতা বুঝিয়ে দিলে? কেন করলে এটা বলো কেন?”
স্থির রইল সাহিল। শান্ত স্বরে আক্রোশে নিমজ্জিত মিশালকে বুঝিয়ে বলল,
“দেখ মিশাল? ক্ষেত্রবিশেষে দুর্বলতা বুঝিয়ে দেওয়া মানেই হেরে যাওয়া নয়! আজ সময় ছিল তাদের আগামীকাল আমাদেরও সময় আসবে। সেদিন আমরাও বুঝিয়ে দিবো তাদের চেয়েও আমরা কতোটা শক্তিশালী।”
মিশাল তার মাথার চুল টেনে ধরল। শরীরের রক্ত তার টগবগ করতে লাগল। কর্কশ গলায় চ্যাচিয়ে বলল,
“শিট। ড্যাম ইট। আমি এই হার মেনে নিতে পারছিনা!”
ঐদিকে জারিফ ও রাফিন খোশমেজাজে সিগারেট ধরালো। দুজনই শান্তিতে সিগারেটে ফুঁক দিলো। মিশালকে হেনস্তা করতে পেরে তারা দুজনই আনন্দিত। বাইকের সাথে হেলান দিয়ে দাড়িয়ে দুজন। পাশ থেকে জারিফ বেশ জিদ্দি স্বরে বলল,
“তুই কোনো চিন্তা করিসনা রাফিন। আজ রাতেই আমি রুমকিকে তার বাড়ি থেকে তুলে আনব! দেখি ঐ মিশাল কী করতে পারে আমার। তার বোনকে কীভাবে আমার হাত থেকে বাঁচায়।”
জারিফের সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট রাফিন। ক্রুর হাসল সে। জোর করে হলেও সে জারিফের সাথে রুমকির বিয়েটা পরিয়ে দিবে! এরপর টাকার ওপর ঘুমোবে সে! ভবিষ্যৎ নিয়ে আর কোনো চিন্তাই করতে হবেনা তাকে।
_________________________
মিশালকে বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে সাহিল তার বাড়ি ফিরে এলো। ধীরস্থির হয়ে তার মা নাজিয়া চৌধুরীর কাছে বৃত্তান্ত খুলে বলল। সব শুনে চিন্তিত হয়ে ওঠলেন নাজিয়া চৌধুরী। রুমকির কথা ভেবে তিনি অঝরে কাঁদতে লাগলেন। ম’রা ভাইয়ের কথা মনে পর গেল তাঁর। এতে যেনও কান্নার মাত্রা অধিক বেড়ে গেল। রুমকি ও মিশালের অসহায়ত্ব সইতে পারলেননা তিনি। সাহিল এবার উদ্বিগ্ন হয়ে ওঠল। তার মায়ের হাতে হাত রাখল। নিবিড় স্বরে বলল,
“কেঁদো না মা। যা হবে ইনশাআল্লাহ্ ভালো হবে। রুমকিকে আমরা সঠিক পথে ফিরিয়ে আনব। তার কোনো ক্ষতি হতে দিবোনা।”
সাহিল ইদানিং বেশ ভালো ব্যবহার করছে তার মা নাজিয়া চৌধুরীর সাথে। বেশ ভালো সময় সে তার মায়ের সাথে কাটাচ্ছে। মায়ের খেয়াল রাখছে, খোঁজখবর রাখছে, যত্ন করছে। সাহিলের উগ্রতা তেমন চোখে পরছেনা এখন। ছেলের এই অবিশ্বাস্যকর পরিবর্তন দেখে তিনি মহা খুশি। সেই ভরসার জায়গা থেকে তিনি একটি আবদার করতে চাইলেন সাহিলের কাছে। বেশ ভেবেচিন্তেই তিনি আবদারটি করতে চাইলেন। তাঁর মনে হলো সাহিল তাকে ফেরাবেনা! চোখে অজস্র জল নিয়ে তিনি সাহিলের হাতে হাত রাখলেন। সাহিলের নিশ্চল চোখে চোখ রেখে বললেন,
“একটা আবদার করব তোর কাছে?”
“কী আবদার মা?”
“আগে রাখবিতো বল?”
“রাখার মতো হলে অবশ্যই রাখব মা। হান্ড্রেড পার্সেন্ট ট্রাই করব।”
“রুমকিকে বিয়ে করবি তুই?”
#চলবে….?