#মনের_অরণ্যে_এলে_তুমি
#দ্বিতীয়_পরিচ্ছেদ
#তাহিরাহ্_ইরাজ
#পর্ব_৭
নিকষকৃষ্ণ রজনী। ঘরের বাহিরে অবিরাম পায়চারি করে চলেছে ছেলেটা। একবার ডানে যাচ্ছে তো একবার বামে। কখনো আবার থমকে দাঁড়িয়ে তাকাচ্ছে ঘরের দরজায়। ভেতরে যাবে কি যাবে না! আশ্চর্য! আজ হঠাৎ এমন অদ্ভুত লাগছে কেন? এমনটা নয় যে এই ঘরে সে ইতঃপূর্বে আসেনি। এসেছে। অল্প কয়েকবার হলেও এসেছে। তবে সে আসা আর আজকের আসার মধ্যে রয়েছে বিস্তর ফারাক। তখন তো আসতো মামাতো ভাইয়ের পরিচয়ে। আর আজ? মামাতো বর হিসেবে। উফ্! আবার কিসব উদ্ভট ভাবনা উদয় হচ্ছে। বিরক্ত হয়ে ‘ চ ‘ সূচক ধ্বনি মুখনিঃসৃত হলো। ইতস্তত করে মন্থর পায়ে ঘরের দরজায় দাঁড়ালো রাহিদ। আস্তে করে হাত বাড়িয়ে দিলো। দরজায় কড়া নাড়তে গিয়ে টের পেল কম্পিত তার হাত। উফ্ কি এক যন্ত্রণা! নিজের ওপর সীমাহীন বিরক্তি নিয়ে হুট করেই ঘরে প্রবেশ করলো সে। লাগবে না নক করা। তবে সে কি জানতো ঘরে প্রবেশ করামাত্র তার জন্য অপেক্ষা করছে অভাবনীয় চমক!
বিহ্বল নয়নে সদ্য বিবাহিতা স্ত্রীর পানে তাকিয়ে রাহিদ! সে কি ঠিকঠাক দেখছে! নাকি জেগে জেগে দিবাস্বপ্ন! আজকের দিনে আর কত চমকাবে সে? চমকে চমকে হৃদযন্ত্র কাজ করা না বন্ধ করে দেয়! কি ভয়ঙ্ক”র ব্যাপার স্যাপার! ঘর জুড়ে মৃদু আলোর উপস্থিতি। টেবিল ল্যাম্পের আলোয় উজ্জ্বল স্টাডি টেবিলটি। সেথায় বইপত্র নিয়ে পড়ালেখায় মনোযোগী তার নববধূ। মিসেস ইনায়া। বোঝাই যাচ্ছে অ্যাডমিশন কোচিংয়ের পড়াগুলো রিভাইস দিচ্ছে। ঘরোয়া পোশাক পরিহিতা অর্ধাঙ্গীকে অবলোকন করে অন্তরে বেজে উঠলো ছ্যাঁ’কা খাওয়া গান। নিয়ম মোতাবেক আজ না তাদের বাসর রাত! টোনাটুনির কাছে আসার রাত! আর কাছে আসা! সে যে এতদিন কুকর্ম করেছে এর খেসারত দিতে দিতে প্রথম বিবাহবার্ষিকী না চলে আসে! দীর্ঘশ্বাস ফেলে হাতে থাকা ব্যাগের দিকে তাকালো রাহিদ। দু’টো ব্যাগ। একটায় নিজের জন্য পোশাক। আরেকটিতে নববধূর জন্য ছোট্ট উপহার। আজকের দিনে স্ত্রীকে উপহার না দিলে হয় নাকি? তবে সে কি এই ছোট্ট উপহারটি নেবে? ভাবনা একপাশে রেখে বিছানার একাংশে ব্যাগ দু’টো রাখলো রাহিদ। একটি ব্যাগ হতে নিজের পোশাক বের করলো। আজ রাতটি এখানে ‘ আনন্দাঙ্গন ‘ এ কাটাবে সে। ইরু ভাইয়ার গুরুগম্ভীর আদেশ। আদেশ পালন না করে উপায় আছে? অপর ব্যাগটি একটু সাবধানে রেখে পোশাক নিয়ে ছেলেটি পা বাড়ালো ওয়াশরুমের পানে। অতি শীঘ্র ফ্রেশ হওয়া আবশ্যক। সারাদিনের ক্লান্তিতে গা হাত-পা বেশ ম্যাজম্যাজ করছে।
একটি অঙ্কের সমাধান নির্ণয় করতে ব্যস্ত ইনায়া। তখন দ্বার উন্মুক্ত করে ওয়াশরুম হতে বেরিয়ে এলো রাহিদ। সদ্য স্নাত ছেলেটির পড়নে টিশার্ট, থ্রি কোয়ার্টার প্যান্ট। ঘরে সে এমন পোশাকে অভ্যস্ত। অভ্যস্ত নয় ওয়াশরুমের মেয়েলি সুবাসে। প্রথমবারের মতো একটি মেয়ের ওয়াশরুম ব্যবহার করলো সে। সর্বত্র মেয়েলি সুবাস, বাথ এক্সেসরিজ। কেমন ভিন্নতর অনুভূতি হচ্ছিল। আজকের পর থেকে এমনই তো হবে। তার ঘর এবং জীবন সর্বত্র থাকবে এই ললনার উপস্থিতি। একান্ত সুবাস। ভাবতেই পুলকিত হলো তনুমন। বেলকনিতে ভেজা তোয়ালে মেলে দিলো রাহিদ। উপায় না পেয়ে নববধূর তোয়ালে ব্যবহার করেছে। মেয়েটা রাগ না করে বসে। ওষ্ঠাধর গোলাকার করে তপ্ত শ্বাস ফেললো। প্রবেশ করলো ঘরে।
বিছানায় শুয়ে রাহিদ। অপলক তাকিয়ে পড়ালেখায় মগ্ন স্ত্রীর পানে। শরীরটা খুব ক্লান্ত। কয়েকবার জানতে চেয়েছিল কোথায় শয্যা গ্রহণ করবে। বিছানায় শোবে কি? ওপাশ হতে কোনোরূপ সাড়া মিললো না। অগত্যা কিইবা করার? অনুমতি বিহীন বিছানায় গা এলিয়ে দিলো সে। কেউ যদি স্বেচ্ছায় বধির হয়ে থাকে সে কি করতে পারে? হুম! নববধূর অপেক্ষা করতে করতে এসময় নিদ্রা নেমে এলো চোখের পাতায়। বুঁজে আসছে আঁখি পল্লব। সে কি ঘুমিয়ে পড়ছে? সজাগ থাকতে হবে তো। আজ না তার বাসর? ইটিশপিটিশ না হোক অন্তত বউয়ের সাথে কথা তো বলতে হবে। লম্বা হাই তুলে নিদ্রায় তলিয়ে গেল ছেলেটা। খতম তার আকাঙ্ক্ষিত বাসর। কিয়ৎক্ষণ বাদে চেয়ারে বসেই পিছু ঘুরে তাকালো ইনায়া। চোখে জমে অশ্রু। অনিমেষ নেত্রে তাকিয়ে বিবাহিত স্বামীর পানে। স্বপ্ন বুঝি এমন করেও সত্যি হয়?
.
অন্ধকারাচ্ছন্ন কক্ষটি। আরামকেদারায় বসে এজাজ সাহেব। কালো মেঘে ছেয়ে মুখাবয়ব। হাতে তাদের ফ্যামিলি ফটো অ্যালবাম। একটা একটা করে পাতা বদল করছেন উনি। চিত্র একই। প্রায় পঞ্চাশের অধিক ফটো ঠাঁই পেয়েছে এ অ্যালবামে। তন্মধ্যে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে উনি উপস্থিত হাতে গোনা সাতটি ফটোয়। বাকিতে অনুপস্থিত উনি। হবেন না? আজীবন কাজ-কাজ, টাকার পেছনে ছোটাছুটি, ফ্যামিলি স্ট্যাটাস বজায় রাখতে গিয়ে পরিবারকে দু দণ্ড সময় দিয়েছেন কি? দেননি তো। নামমাত্র পিতার ভূমিকা পালন করেছেন। সত্যিকার অর্থে সন্তানদের পিতা কিংবা বন্ধু হয়ে ওঠতে পারেননি। তাই তো আজ এ দিন দেখতে হলো। পিতা হিসেবে ওনার অপারগতার জন্য ই পর হয়েছিল একমাত্র ছেলে। আজ মেয়েও সে পথে পা বাড়ালো। জীবনের এতবড় সিদ্ধান্তে বাবাকে সাথে রাখার বিন্দুমাত্র প্রয়োজন বোধ করলো না। এতটাই পর উনি? পর ই তো। নামমাত্র পিতা। ব্যর্থ উনি একজন স্বামী হিসেবে, সন্তানদের পিতা হিসেবে। সীমাহীন ব্যর্থতা কুঁড়ে কুঁড়ে খেতে লাগলো ওনায়।
এমনটা তো চাননি উনি। কোনো বাবাই তার সন্তানের ক্ষতি চায় না। উনিও চাননি। জুনায়েদ ভালো ছেলে। ইনুকে সুখে রাখবে। এমনটাই প্রত্যাশা করেছিলেন। তাই ছেলে যখন মতের বিরোধিতা করলো, জেদের বহিঃপ্রকাশ করলো উনি চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলেন। একরোখা, জেদি ছেলে ওনার। যা বলে তাই ই করে। এখন তো আবার সাংসদ। ক্ষমতার অধিকারী। বেশ শঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন উনি। তাই তো তাড়াতাড়ি করে আকদের তারিখ এগিয়ে আনলেন। ভালোয় ভালোয় সবটা করতে চেয়েছিলেন। তা আর হলো কোথায়? হিতে চরমভাবে বিপরীত হলো। সবটা শেষ হয়ে গেল। শেষ। ব্যর্থ উনি আজ মানসিকভাবে বিধ্ব-স্ত। এত বড় দুনিয়ায় একাকী উনি। মস্ত পাপী। আস্তে ধীরে বুঁজে আসছে আঁখি যুগল। অনুভব করতে পারলেন মাথায় মমতার সহিত হাত বুলিয়ে চলেছ একজন। ঝাপসা চোখে দেখতে পেলেন এক নারী অবয়ব। ওনার সহধর্মিণীর। তৃপ্তির আভা ছড়িয়ে পড়লো অধরে। না। একা নন উনি। একজন তো অন্তত রয়েছে সাথে। ওনার অর্ধাঙ্গী। এই যে ওনাকে আলতো করে ধরে যত্নের সহিত বিছানায় শুয়ে দিচ্ছে। কাঁথা টেনে দিচ্ছে দেহে। সে রয়েছে পাশে। ধীরে ধীরে নিশ্চিন্তে নিদ্রায় তলিয়ে গেলেন উনি। চোখেমুখে উজ্জ্বলতা।
.
ডিভানে বসে ইরহাম। হাতে পার্টির একটি ফাইল। গুরুত্বপূর্ণ কর্মটি সম্পাদনে ব্যস্ত সে। তবে বারবার মনোযোগে বিঘ্নিত হচ্ছে। যন্ত্রণা হচ্ছে মাথায়। কপালের রগ যেন ছিঁড়ে যাচ্ছে। লালচে রঙ ছড়িয়ে চোখের সফেদ অংশে। মুখভঙ্গিতে কেমন যাতনার প্রকাশ। দিনভর এমন তেমন দৌড়ঝাপ, অশান্তিতে শরীর আর সইতে নারাজ। বড় কষ্ট হচ্ছে। কষ্টদায়ক সে মুহূর্তে প্রশান্তির পরশ পাথর হিসেবে আগমন হলো স্ত্রীর।
” আর কত পরিশ্রম করবেন? এবার তো একটু নিজেকে বিশ্রাম দিন। ”
চোখ তুলে তাকালো ইরহাম। রিমলেস চশমার অন্তরালে লুকায়িত চক্ষুজোড়া যন্ত্রণা গোপন করতে ব্যর্থ হলো। ত্বরিত চিন্তিত হয়ে পড়লো হৃদি। এগিয়ে এসে স্বামীর কাঁধে হাত রাখল।
” আপনাকে এমন দেখাচ্ছে কেন? শরীর খারাপ করছে? কাজকর্ম এখন বাদ দিন তো। পরেও করা যাবে এসব। আসুন আমার সঙ্গে। ”
কণ্ঠে কেমন আদুরে শাসনের আভাস। যন্ত্রণার মাঝেও এক চিলতে তৃপ্তি প্রকাশ পেল। ততক্ষণে বেদখল ফাইলটি। কাবার্ডে ফাইলটি যত্ন সহকারে রেখে দিলো হৃদি। ফিরে এলো স্বামীর কাছে। চোখ হতে চশমা খুলে নিলো। কোমল স্বরে বললো,
” আপনি শুয়ে পড়ুন। আসছি। ”
একবিন্দু কাছছাড়া করতে নারাজ মন। তবে কিইবা করার? ডিভান হতে উঠে দাঁড়ালো ইরহাম। পরিহিত টি-শার্ট খুলে যথাস্থানে রাখলো। শ্রান্ত দেহে শয্যা গ্রহণ করলো বিছানার নরম আবরণে। উজ্জ্বল আলো নিভে ডিম লাইটের আলো ছড়িয়ে পড়লো ঘরে। স্বামীর দেহে কাঁথা জড়িয়ে তার পানে কাত হয়ে শুয়ে পড়লো হৃদি। দু’জনের দেহে জড়ানো একই কাঁথা। মেয়েটি বাড়িয়ে দিলো ডান হাত। কোমল হাতে আলতো করে ম্যাসাজ করে দিচ্ছে কপালে। নরম কোমল হাত ছুঁয়ে যেতে লাগলো কপালের ত্বক। যন্ত্রণা উপশমকারী হিসেবে বেশ কার্যকরী ভূমিকা রাখছে। কখনোবা চিকন আঙ্গুল গুলো গলিয়ে দিচ্ছে চুলের ভাঁজে। চুল ভেদ করে মস্তকের আবরণে আঙ্গুল চালনায় মিলছে অপরিসীম আরাম। আরো স্বস্তি লাভের আকাঙ্ক্ষায় সন্নিকটে এলো মানুষটি। আস্তে করে মাথা রাখলো সঙ্গিনীর বক্ষদেশে। আকস্মিক আচরণে শিউরে উঠলো কোমল সত্তা। পুরোপুরি স্ত্রীর অবয়বে লেপ্টে গেল মানুষটি। দু হাতের বাঁধনে অর্ধাঙ্গীর উদর পাশ। প্রতিবারের ন্যায় এবারও স্বামী সাহচর্যে শীতলতা গ্রাস করে নিলো। বুক ফুলিয়ে শ্বাস ছাড়লো হৃদি। আস্তে ধীরে বাঁ হাতটি স্থাপন করলো প্রশস্ত পৃষ্ঠে। ডান হাত গলিয়ে দিলো মসৃণ চুলে। আলতো করে মাথার তেলোয় আঙ্গুল চালনা করে চলেছে। কখনোবা টেনে দিচ্ছে চুল। একান্ত রমণীর উষ্ণতা, তার সান্নিধ্যে সমস্ত ক্লান্তি, যাতনা দূরীভূত হচ্ছে। প্রতিটি মানুষের জীবনে এমন এক শান্তির স্থল আবশ্যক। যার সাহচর্যে মিলবে স্বস্তি। যে হবে সকল প্রকার দুশ্চিন্তা-ক্লেশের উপশম। ইরহামের জীবনে নিঃসন্দেহে সে স্থানটি দখল করে নিয়েছে তার জীবনসঙ্গিনী। মিসেস হৃদি। তার হৃদয়ের রাণী। তৃপ্তিময় হাসলো ইরহাম। বেশ আরাম মিলছে। তবুও স্ত্রী সান্নিধ্য ত্যাগ করতে অনিচ্ছুক মন। ওভাবেই স্ত্রীর বক্ষে মাথা রেখে ঘুমের রাজ্যে তলিয়ে গেল সে। কিয়ৎক্ষণ বাদে স্বামীর চুলে আঙুল বুলাতে বুলাতে ঘুমিয়ে পড়লো তার হৃদরাণী নিজেও।
.
দেশের একপ্রান্তে তখন ঘুমে তলিয়ে সাধারণ জনগণ। আরেক প্রান্তে বঙ্গোপসাগরের সুগভীর বুকে চলছে ষ-ড়যন্ত্র। আঁধার মাঝে বেশ কিছুটা দূরত্ব রেখে অবস্থিত দু’টো কার্গো জাহাজ। প্রথম জাহাজে সাবধানী ভঙ্গিতে রাখা ক্ষুদ্র আকৃতির জিপিএস ট্র্যাকার সংযুক্ত বেশকিছু প্যাকেজ। এ যেনতেন প্যাকেজ নয়। এসবের মধ্যিখানে লুকায়িত দুই কোটি টাকা মূল্যের ড্রা•গস্! বিশেষ কায়দায় জলের বুকে প্যাকেজগুলো ডুবিয়ে দেয়া হয়। প্যাকেজে সংযুক্ত জিপিএস ট্র্যাকার অনুসরণ করে দ্বিতীয় জাহাজে অবস্থানরত লোকগুলো মাছ তোলার ভঙ্গিমায় প্যাকেজগুলো তাদের জলযানে তুলে নেয়। ভিন্নধর্মী এ কায়দায় বিগত দুই বছর ধরে রাতের আঁধারে গভীর জলধারায় হচ্ছে ড্রা-গ পা চা র। আজ অবধি ধরা পড়েনি কেউ। তবে কোস্ট গার্ড সদস্যরা বরাবর সন্দেহ করে এসেছে। কোনো প্রমাণ পায়নি বটে। অবশেষে বছর দুইয়ের চতুরতা আজ সমাপ্ত হলো। অপ্রত্যাশিত ভাবে কোস্ট গার্ড সদস্যদের আ-ক্রমণ। আটক হলো পা-চারকারী চক্রের এই সদস্যরা। প্রাণ হারালো দুই পক্ষের বেশকিছু সদস্য। জলধারায় মিশে গেল তাজা র ক্ত। পঁয়তাল্লিশ মিনিট ব্যাপী চললো র-ক্তক্ষয়ী সং•ঘর্ষ। কোথা থেকে কি করে আ-ক্রমণ হলো বুঝে ওঠার আগেই সব শেষ। দুই কোটি টাকার ড্রা•গ বা”জেয়াপ্ত করলো কোস্ট গার্ড বাংলাদেশ।
•
” অ্যাই! এসব কি বলছিস তোরা? ওখানে। ওখানে দুই কোটি টাকার মাল ছিল। এ কি সর্বনা’শ করলি! তোদের জ্যা ন্ত কবর দেবে ‘ও’। উফ্! ফোন রাখ বলছি।”
চিন্তায়-দুশ্চিন্তায় সংক্রমিত হয়ে গর্জে উঠলো ষাটোর্ধ্ব মানুষটি। ‘ও’ যে ছাড়বে না কাউকে। কি হবে এবার!
চলবে.
[ আশা করি জলধারার বুকে সম্পাদিত এই র’হস্যের পর্দা পাঠকদের বোধগম্য হলো। ]
📌 আসসালামু আলাইকুম পাঠক বন্ধুরা….
লেখিকার লেখা গল্প-উপন্যাস সম্পর্কিত ছোট-বড় অনুভূতি ব্যক্তকরণ, গল্প নিয়ে আলোচনা, ভুলত্রুটি শুধরে দেয়া, রিভিউ প্রদান এবং গল্পের চরিত্র-দৃশ্য নিয়ে মতামত পেশ করতে জয়েন করুন আমাদের গল্প সংক্রান্ত গ্রুপে…
গ্রুপ লিংক 🍁
https://www.facebook.com/groups/499389245208190/?ref=share