আবার_প্রেম_হোক (১৮+ এলার্ট) #নুসরাত_জাহান_মিম ৭৫.(বর্ধিতাংশ)

0
703

#আবার_প্রেম_হোক (১৮+ এলার্ট)
#নুসরাত_জাহান_মিম

৭৫.(বর্ধিতাংশ)
হঠাৎ করেই অরণের শরীরের শক্তি বেড়ে গেলো।ছুটে আসলো সে অধিরাজ শেখের পানে।র*ক্তিম তার দৃষ্টি।চাঁদের উপর থেকে তাকে সরাতে গিয়েও হাত তার ঘিনঘিন করে উঠলো।লোকটার নোংরাবস্থা দেখে সে একদলা থুতু নিক্ষেপ করলো ঠিক তার মুখ বরাবর।অতঃপর শরীরের সর্বশক্তি দিয়ে তার গলা চে!পে ধরলো।ডান পাশে এক লোহা পরন্তবস্থায় দেখে তা তুলে এলোপাথাড়ি তাকে মা!রতে লাগলো।এমনি সময় অরণের বাহুতে কেউ আ*ঘাত করলো।সে ছিটকে সরলো সেখান থেকে।অতঃপর অধিরাজ শেখ তার গায়ের শার্টটা পরিধান করে ব্যগ্র হেসে বললেন,

“যা করার তাতো করেই দিয়েছি এখন পালা তোদের মৃ!ত্যুবরণের।তা অহু মামনি?আগে কাকে দিয়ে শুরু করবে?”

বলেই অরণকে তিনি যেভাবে পারলেন সেভাবেই আ*হত করতে লাগলেন।অতঃপর হাতে এক ছু!রি নিয়ে অরণের শরীরের জায়গায় জায়গায় টা!ন মারতে লাগলেন।অরণ অস্ফুট আ!র্তনাদ করতেই অহনা এসে তার বাবাকে থামিয়ে বললো,

“এই ছেলেকে পরেও দেখা যাবে।আগে এই সদ্য হওয়া ধ!র্ষিতাকে মে!রে নেই।তবেই শান্তি পাবো”

বলেই এগিয়ে যায় চাঁদপানে।অতঃপর তার দিকে তাকিয়ে হোহো করে হেসে দেয় সে।হাসতে হাসতেই শুয়ে নির্লিপ্তভাবে আকাশপানে পলকহীন চেয়ে থাকা চাঁদকে বলে,

“কিরে?দাম্ভিকতা শেষ?চূর্ণ হলোতো?এবার কে তোর দিকে তাকাবে বল তো?আমার নিজেরই তো ঘিনঘিন করছে তোকে দেখলে।তোর প্রেমিকেরা কীভাবে তোকে মেনে নেবে বলতো?আর তোর সেই মহাপ্রেমিক?কী যেনো নাম?ওহ,রুহায়ের প্রণয়?সেই বা তোকে মানবে কেমোনে?নিজের বন্ধুর সাথেইতো মানতে পারেনি।যখন শুনবে তুই এক ধ!র্ষিতা তখন?থুতু দেবে তোর উপর,থুতু!”

বলেই চাঁদের শরীরের দিকে থুতু নিক্ষেপ করলো অহনা।অহনার কথাসমূহ শুনে এক পলকের জন্য চাঁদের পানে তাকিয়েছিলো অরণ,সঙ্গে সঙ্গে তার দু’চোখের পাতা এক হয়ে গিয়েছি।এক সেকেন্ডের জন্য থমকে গিয়েছে সে।বিধ্বস্ত চাঁদকে দেখা তার পক্ষে কোনোকালেই সম্ভব না।চাঁদ কেনো?কোনো নারীকেই এইরূপে দেখা কারো পক্ষেই সম্ভব না।সে চোখ বন্ধ করেই বললো,

“দয়া করে মেয়েটাকে কেউ কাপড় পরান!এখনতো একটু রহম করুন!”

অরণের কন্ঠ শুনে চাঁদের কিছুটা হুশ ফিরলো।সে নিজের পানে তাকাতেই আঁতকে উঠলো।অতঃপর হাতজোড় করে অহনাকে বললো,

“আপু!আপুগো!আমায় দ্রুত মে*রে ফেলুন না!”

ফের অহনা মেয়েটা হেসে বলে,

“তোকেতো আমি মা!রতেই চাই,তবে এত সহজ মৃ*ত্যুতো তোকে আমি দেবোনা”

বলেই চাঁদের দিকে ছুরি নিয়ে এগিয়ে আসতে লাগলে ধাক্কা খেয়ে পড়ে যায় সে।অরণ তাকে ধা!ক্কা দিয়েছে।অতঃপর চাঁদের হাত ধরে তাকে উঠিয়ে দৌড়াতে লাগে সে।অহনা নিজেকে সামলে উঠতে উঠতে চাঁদকে নিয়ে অনেকখানি দূরে চলে গেছে অরণ।অহনা পিছু নিতে গেলে কেউ তাকে জাপটে ধরে বলে,

“আর ধরতে পারবিনা ওদের!”

বলেই অহনার সম্পূর্ণ মুখে কেউ স্প্রে করে দিতেই চোখ তার জ্ব!লে যায়,খুলতে পারেনা আর।পাঁচ মিনিটের মতো কান্নাকাটি করে ধপ করেই বসে পড়ে মাটিতে।সকলেই যার যার চোখ ধরে বসে পড়লেই চাঁদকে যেখানে শোয়ানো হয়েছিলো সেখান হতে চাঁদের পায়জামা আর ওড়না,হিজাব নিয়ে উঠে দাড়ায় অ্যালেন।জামাটার দিকে তাকিয়ে বুকটা ধুক করে উঠে তার।জামাটা আর আগের ন্যায় নেই।ছিড়ে দু’ভাগ হয়ে গিয়েছে।চাঁদের কথা স্মরণ হতেই শ্বাস আ!টকে আসে তার।সে দৌড়ে চাঁদকে ডাকতে ডাকতে কাপড়গুলো তাদের দিকে দিতে যায়।অরণও থেমে যায়,থামে চাঁদও।অরণের হাত ছাড়িয়ে চিৎকার করে সে বলে,

“আল্লাহর দোহাই লাগে অরণ!মে*রে ফেলুন আমায়!মে*রে ফেলুন।আমি বাঁচতে চাইনা।তা..তা..তাকাবেন না প্লিজ!দেখবেন না আমায়”

অরণ অন্যপানে চেয়ে চোখ বুজেই রেখেছিলো।সেভাবে থেকেই সে বললো,

“আমি দেখছিনা।দেখছিনা চাঁদ।তোমার দিকে তাকাইনি আমি”

এতক্ষণ চুপ থাকলেও এখন ঝড়ঝড় করে কেদে দেয় চাঁদ।বুক ফেটে যাচ্ছে তার।কি যে এক যন্ত্রণা!কাদতে কাদতেই ফের চুপ হয়ে গেলো সে।লুকালো অরণের পিছু।অরণ তা টের পেয়ে সামনে তাকাতেই অ্যালেনকে দেখে বললো,

“আপনি না থাকলে আমাদের বাঁচা দুষ্কর হয়ে যেতো ভাই!”

“আপনিও তো আমায় বাঁচিয়েছেন ভাই।সেসব রাখেন।আপনাদের পালাতে হবে।এই নিন চাঁদের কাপড়।জামা…জামাটা আর ঠিক নেই”

“দিন।একটু এভাবেই থাকবেন।ওখান থেকে যেনো দেখা না যায়”

অরণের কথা শুনে অ্যালেন তাদের দিকে পিঠ করে দাঁড়ায়।আর অরণ চোখ বুজেই চাঁদের দিকে পিঠ দিয়েই হাত পিছু নিয়ে কাপড়গুলো এগিয়ে দিয়ে বলে,

“এগুলো পরে নাও প্লিজ!মানা করবেনা দোহাই তোমার!”

অসহায় দৃষ্টি অরণের পিঠের দিকে নিক্ষেপ করে দীর্ঘশ্বাস ফেলে সেগুলো নিয়ে তা পরিধান করে ওড়না পেচাতে নেয় চাঁদ।তখনই অরণের গায়ের ছেড়াফাড়া র*ক্তাক্ত এপ্রোণটা চাঁদের দিকে এগিয়ে চোখ বুজে রেখে সেভাবে থেকেই অরণ বলে,

“এটা গায়ে দাও”

চাঁদ অবাক দৃষ্টিতে অরণকে দেখতে লাগলেই অরণ তাড়াহুড়ো করে বলে,

“হাতে সময় নেই জলদি করো”

চাঁদ ঠোট কা!মড়ে ধরেই তা নিয়ে গায়ে জড়িয়ে বোতাম লাগিয়ে ওড়না পেচিয়ে কিছু না বলেই চুপ করে রইলো।অরণ ফের বললো,

“পরেছো?”

চাঁদ কেবলই ‘হিম’ শব্দ উচ্চারণ করলো।অবশেষে অরণ চোখ খুলে পিছু ঘুরে তাকালো চাঁদপানে।তাকাতেই কলিজা তার কেউ কা!মড়ে দিলো।চেহারাটায় জায়গায় জায়গায় র*ক্তজমাট বাঁধা,কোথাও কোথাও কে!টেও গিয়েছে।কান্নার কারণে চোখদু’টো ফুলে উঠেছে।নাকটাও লালচে।একদমই তাকানো যাচ্ছেনা।তবুও সে বহু কষ্টে বললো,

“তুমি ম*রে গেলে তোমার পরিবারের কী হবে?তোমার মা-বাবা আর ভাইয়া?তাদের না খুব প্রিয় তুমি?তুমি চলে গিয়ে তাদের গায়ে কি অ!পরাধীর তোকমা লাগাবে?তোমায় বাঁচতে হবে চাঁদ।নিজের জন্য নয়,তাদের জন্য।বাঁচতে না চাইলেও বাঁচতে হবে।তুমি বাঁচবে,বাঁচবে চাঁদ।আমার প্রাণ দি!য়ে হলেও তোমায় আমি বাঁচাবো।সম্ভ্রম তো বাঁচাতে পারিনি,মাফ করো আমায়!তবে জা….জান তোমার আমি বাঁচাবোই!আর তুমি……”

আর কিছু বলার পূর্বেই অ্যালেনের চিৎকার ভেসে এলো।সে একবারই আ!র্তনাদ করে মাটিতে লুটিয়ে পড়লো।অরণ,চাঁদ একইসাথে তাকালো সে পানে।কাধের দিক দিয়ে র*ক্ত গড়াচ্ছে তার।দুজনই তার দিকে এগোতে নিলে সে দুজনের পানে চেয়ে বললো,

“চলে যাও তোমরা প্লিজ!আমার বাবা আমায় কখনোই মা!রবেন না।তোমরা যাও!যাও প্লিজ”

অরণ আর কিছু শুনতে চাইলোনা।চাঁদ অ্যালেনের দিকে করুন চাহনী নিক্ষেপ করে এগোতে চাইলে হাতে টান পড়ে তার।অরণ ছুট লাগিয়েছে তাকে নিয়ে।এক মুহুর্ত সময় অপচয় করেনি আর।এবার তাকে চাঁদকে যেকোনো মূল্যে বাঁচাতে হবেই,নাহয় স্বয়ং বিধাতাও যে তাকে ক্ষমা করবেন না!
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
প্রণয়ের বেশ অস্থির অস্থির লাগছে।প্রিয় দুজনের সাথে ওরূপ আচরণ করে ভেতরে তার দহন য!ন্ত্রণা হচ্ছে।সে ভাবছে,হয়তো এটা তার ভুল ধারণা।তার বন্ধু এমনটা মোটেও করতে পারেনা!অরণকে সে চেনে।কস্মিনকালেও সে তা করতে পারেনা যা সে ভিডিওতে দেখেছে।চাঁদকেও সে বিশ্বাস করে।করতে চায়।তার চোখতো ভুল পড়তে পারেনা।তার চন্দ্রময়ীতো এক নিষ্পাপ বাচ্চামেয়ে।তাহলে?তাহলে এতগুলো ছেলের সাথে যে দেখলো?সেগুলো?সেগুলোও কি মিথ্যা?কেউ কি এডিট করেছে?তবে এতটা নিখুঁত কেনো?স্পষ্ট সে চাঁদকে দেখেছে।এসব ভাবতে ভাবতেই ঝড়ের গতিতে কেউ দৌড়ে এসে তার হাতে একটা ফোন এগিয়ে দিয়েই আবারও সামনে দৌড়ে পালিয়ে যায়।প্রণয় দেখারও সময় পেলোনা।কেবল কালো রঙের পোশাকে কাউকে দৌড়াতে দেখলো।ফোনটার দিকে চাইতেই প্রণয় বিস্ফোরিত নয়নে সে পানে তাকিয়ে থাকলো।অতঃপর ফোন হাতে নিয়েই দৌড়াতে লাগলো সে সামনের দিকে।যখনই সে ঝড়ের বেগে দূরে দাঁড়িয়ে থাকা বন্ধুবান্ধবদের অতিক্রম করলো,তখনই পিছু হতে শুনতে পেলো রিহার কন্ঠস্বর,

“দৌড়াচ্ছিস কেনো?কই যাস?”

প্রণয় সেভাবে দৌড়ানোবস্থায়ই উচ্চস্বরে বললো,

“অরণ…..অরণকে আমার বাঁচাতে হবে”
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
অরণ আর চাঁদ প্রাণপনে দৌড়াচ্ছে একইসাথে।এমনি সময় ‘আহ’ শব্দ করে অরণের দাঁড়িয়ে যেতেই তার পানে তাকিয়ে চাঁদ বলে,

“কী হয়েছে?”

অরণ দাঁতে দাঁত চেপে বলে,

“কিছুনা চলো”

অতঃপর পিঠের নিচের দিকটায় গে!থে যাওয়া ছুরিটা বাম হাত পিছে নিয়েই চোখ খিচে টেনে বাইরে এনে দূরে ছুড়ে মারলো।চাঁদ সেদিকে তাকিয়ে অরণের পিঠের দিকে চাইলো।অফ হোয়াইট শার্টটার পিছনের দিকে ছোপছোপ র*ক্তের দাগ দেখে পিছু ঘুরে চাইলো।এখনো তাদের ধাওয়া করা হচ্ছে।সে আর কোনো উপায় না পেয়ে আরও জোরে দৌড়াতে লাগলো।অতঃপর আশেপাশে চোখ বুলাতে বুলাতে রাস্তার ধারে একটা মাঝারী আকারের ইট খুঁজে পেলো।তা দেখতেই অরণের হাত ছেড়ে সে চট করে অরণকে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে তার কপাল বরাবর আ!ঘা!ত করে বসলো।সঙ্গে সঙ্গেই সে জায়গা হতে র*ক্ত ঝড়তে লাগলো।অরণ কপাল কুচকে মাটিতে বসে পড়লো।চাঁদকে কিছু বলার পূর্বেই চাঁদ তার পাশে বসে ক্ষীণস্বরে অরণের কানের কাছে বললো,

“আপনি অজ্ঞান অথবা শ্বাস আটকাবার প্রিটেন্ড করবেন।তাহলে ওরা চলে যাবে,আসবেনা আর।ভাববে আপনি ম*রে গেছেন”

অরণও তাকে বললো,

“তুমি থেকোনা চাঁদ।একাই পালাও,তোমায় পেলে ওরা ছাড়বেনা।মে*রে দেবে।তুমি যাও।নিজের জীবন বাঁচাও।তোমায় তোমার মা-বাবার কসম লাগে!আল্লাহর দোহাই লাগে!চলে যাও।আমার জন্য দাঁড়িয়ে থেকোনা।যাও,যাও বলছি”

নিজের এত করুণ অবস্থায়ও অন্যের কথা ভাবা মহানুভব অরণের পানে কিছুক্ষণ টলমলে চোখে চেয়ে থাকলো চাঁদ।অতঃপর ঠোট কা!মড়ে চোখজোড়া বুজে আরেকবার আলতোভাবে আ‌!ঘা!ত করলো একই জায়গায়।এবার আর অরণ বসে থাকতে পারলোনা।লুটিয়ে পড়লো মাটিতে।আর চাঁদ চোখের পানি ফেলতে ফেলতেই ইটটা মাটিতে ছুড়ে দৌড় লাগালো ডান পাশ দিয়ে।যাওয়ার সময় চাঁদের সফেদ রঙের র*ক্তে লালচে হওয়া ওড়নাটা পায়ের সাথে বেঝে মাটিতে গড়াগড়ি খেলো।সেদিকে তোয়াক্কা না করে ওড়নাবিহীনই প্রাণপনে ছুটলো সে।আরও একবার নিজেকে বাঁচানোর তাগিদে।এবার কি সৃষ্টিকর্তা তার সহায় হবেন?তাকে বাঁচাতে গিয়ে যেভাবে দু’জন ব্যক্তি আ*হত হলো,সে কি পারবে নিজের জীবন রক্ষা করতে?নাকি তার কপালে এবার মৃ*ত্যু সুনিশ্চিত?ভাবতে ভাবতেই সে আরও জোরে ক্ষীপ্র গতিতে ছুটলো মেইন রোডের দিকে।অতঃপর কিছুক্ষণ যেতেই ধাক্কা খেলো এক বলিষ্ঠ দেহের অধিকারী কারো সাথে।সঙ্গে সঙ্গেই ফের বুক ধুক করে উঠলো তার।শ্বাস আ!টকে তাকালো উপরের দিকে।অতঃপর চোখের সামনে চিরচেনা,ভরসার সেই একমাত্র মানুষকে দেখে চোখ আর বাঁধ মানলোনা।জাপটে ধরলো সামনে থাকা মানুষটিকে।জড়িয়ে ধরেই হাউমাউ করে কাদতে লাগলো সে।কেদে কেদে অভিযোগ জানাচ্ছে,

“ভাইরে!ভাই!ওরা তোর বোন….তোর বোনকে নিঃস্ব করে দিলোরে!বেঁচে থাকার অবলম্বন টা মে*রে দিলো।আমি…..আমি….নিজের ইজ্জ…..ইজ্জ….”

বলতে বলতেই কান্নার বেগ বাড়লো চাঁদের।বোনের পিঠে হাত রেখে চৈত্র বললো,

“কাদেনা,কাদেনা বোন।ওদের আমি…..”

কথা সম্পূর্ণ হবার পূর্বেই ভাইকে ছেড়ে তার মুখপানে তাকিয়ে তার হাত ধরে দৌড়াতে লাগলে চৈত্র তাকে থামাতেই চাঁদ বলে,

“না ভাই!না!ওরা…..ওরা অনেক ভয়ানক!ভয়ানক ভাই!কাউকে ছাড়েনা।আমি চাইনা তোর কিছু হোক ভাই।চল ভাই চল।এ শহরে আমি আর থাকবোনা,থাকবোনা।দূরে নিয়ে চল আমায়”

অতঃপর বোনের দিকে ভালোভাবে নজর দিলো চৈত্র।বোনের বিধ্বস্ত অবস্থা দেখে অন্তরাত্মা কে!পে উঠলো তার!বুকটা ধুক করে উঠলো।নজর যখন বোনের পায়ের কাছে র*ক্তের দিকে গেলো আর দেখলো পায়জামা গড়িয়ে কেবলই র*ক্ত ঝড়ছে বুকে তীব্র জ্বলুনি উঠলো তার।বোনের সহ্য করা অমানবিক য!ন্ত্রণার কথা চিন্তা করতেই দম ব!ন্ধ হয়ে আসতে চাইলো যেনো।দাঁত দ্বারা ঠোট কা!মড়ে দু’ফোটা অশ্রু বিসর্জন দিতেই চাঁদের হাতের টান পড়লো হাতে।অতঃপর দুই ভাইবোন ছুট লাগালো একইসঙ্গে দূরে,বহুদূরে।মাইলের পর মাইল দূরে।

“থামো ভাবি!থামো প্লিজ!আর শুনতে পারছিনা,পারছিনা আমি”

উশ্মির হাপানি রোগীর ন্যায় শ্বাস ফেলতে ফেলতে বলা বাক্যে ঠোটজোড়া বন্ধ হয় চাঁদের।বিভ!ৎসকর সন্ধ্যা,কালোরাত্রির কালো অধ্যায় হতে বেরিয়ে আসে সে।বছর ছয়েক আগের বিভৎসকর প্রতিটা মুহুর্ত যেনো তার চোখের সামনেই ভেসে উঠলো।নিজেকে সে ফের সেই দিনে উপস্থিত পেলো।এই যেনো ফের একই ঘটনা ঘটে গেলো তার সঙ্গে।সে সম্পূর্ণ বিকাল হতে সন্ধ্যা এবং সন্ধ্যা হতে রাত,সর্বোপরি পুরোটা সময়ই উপলব্ধি করলো।পুরো ঘটনা ফের অনুভূতিতে মিশে গেলো তার।ইতোমধ্যেই লোমকূপ দাঁড়িয়ে গেছে।ঘেমে গেছে সম্পূর্ণ।দাঁত দ্বারা ঠোট কা!মড়ে চোখজোড়া বন্ধ করলো।অতঃপর লালচে কপোল বেয়ে বারিধারা আরম্ভ হলো তৎক্ষণাৎ।কিছুক্ষণ,অনেক্ক্ষণ,বহুক্ষণ!তা আর থামলো না।চলতে থাকলো বিরামহীন।

To be continued…..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here