আবার_প্রেম_হোক #নুসরাত_জাহান_মিম ৮৫.

0
825

#আবার_প্রেম_হোক
#নুসরাত_জাহান_মিম

৮৫.
দিন দশেক বাদে,
একহাতে চাঁদের হাত ধরে অপরহাতে লাগেজ নিয়ে চৌধুরী বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করছে প্রণয়।চাঁদের মুখশ্রীর আনাচে কানাচে লেপ্টে আছে হাসির রেখা,বারকয়েক সে আড়চোখে তাকিয়েছে প্রণয়ের দিকেও।প্রণয়ও যে তাকায়নি তেমনও নয়।সেও তাকিয়েছে এবং যতবারই নজর পড়েছে,চাঁদকে তার পানেই চাইতে দেখেছে।অতঃপর ঠোটজোড়ার বামপাশ কিঞ্চিৎ বাকা হয়েছে প্রণয়ের,দেখা গিয়েছে বিড়ালাক্ষীজোড়ার অপ্রকাশিত হাসির রেশ।চৌধুরী বাড়ির দরজার সামনে এসে থামে দুজনেই।অতঃপর লম্বা শ্বাস নিয়ে প্রণয়ই প্রথমে মৃদু উচ্চস্বরে ডেকে উঠে,

“মা?আজও কি ভেতরে আসতে দেবেনা?”

প্রায় মাস সাতেক পর নিজের গম্ভীর ছেলের গম্ভীর কন্ঠস্বর পেয়ে তৎক্ষণাৎ রান্নাঘর থেকে ছুটে আসেন পুষ্পিতা জামান।অতঃপর দরজার কাছে আসতেই চাঁদ এবং প্রণয়কে একসাথে দেখে কান্নারা উপচে পড়ে তাঁর।শাড়ির আচল দ্বারা মুখ চেপে ধরেন তিনি।চোখে এসে ভীড় জমিয়েছে অশ্রুকণারা।এই বুঝি টুপ করেই গড়িয়ে পড়বে শুষ্ক কপোল গড়িয়ে।দু’এক ফোটা বুঝি পড়লো ও?সঙ্গে সঙ্গেই দৌড়ে এলেন ছেলে আর ছেলের বউয়ের দিকে।জাপটে ধরলেন একইসঙ্গে দু’জনকেই।প্রণয় আর চাঁদও সাদরে আলিঙ্গন করলো তাঁকে।ডুকরে উঠলেন পুষ্পিতা জামান।তিনি বললেন,

“আসতে মনে চাইলো তোদের?এই মা’কে মনে আদোতে পড়তো একজনেরও?”

চাঁদ ম্লান হেসে দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বললো,

“মা’কে কি ভোলা যায় মা?”

পুষ্পিতা জামান দু’জনকে ছেড়ে চাঁদের পানে চেয়ে জবাব দিলেন,

“মা’কে ছাড়াইতো ছিলে।ফিরেও তাকালে না”

দৃষ্টি নত করে চাঁদ বলে,

“কিছু মিসআন্ডারস্ট্যান্ডিং ছিলো মা”

“এখন সব ঠিক হয়েছে?”

চাঁদের বদলে শান্ত কন্ঠের জবাব এলো প্রণয়ের কাছ হতে,

“বাবার কথাই বহাল রেখেছি মা।তাঁর বাড়ির লক্ষ্মীসহ ফেরত এসেছি।বাবা কোথায়?”

সিড়ি বেয়ে নামতে নামতে তৌহিদুল চৌধুরী বলেন,

“আ’ম প্রাউড অফ ইউ মাই সান” [তোমার উপর আমি গর্বিত বাবা]

অতঃপর চাঁদ আর প্রণয়ের নিকট এসে চাঁদের মাথায় হাত রেখে তিনি বলেন,

“তোমায় একবার বলেছিলাম না?আমার এক ছেলে আমায় ভয় পায় আর অপর ছেলের একাকিত্ব পছন্দ,নিজেকে সর্বদা গুটিয়ে রাখে?আমার জ্যেষ্ঠ পুত্রকে তোমার হাতে তুলে দিলাম মা,তাকে নিজের মতো করে গুছিয়ে নিও”

চাঁদ মৃদু হেসে বেশ নম্র কন্ঠে বলে,

“তাকে গোছাবার প্রয়োজন অথবা ইচ্ছে কোনোটাই আমার নেই বাবা।সে যেমন আছে তেমনভাবেই কেবলই আমার আছে”

অতঃপর প্রণয়ের পানে চেয়ে বলে,

“এই বিড়ালাক্ষী মানবকেই হৃদয় আমরণ চায়”

চাঁদের কথা শুনতেই তৎক্ষনাৎ তার পানে চাইতে বাধ্য হয় প্রণয়।অতঃপর দুজনের দৃষ্টি মিলিত হতেই চাঁদ নিজ আঁখিদ্বয় অন্যপানে করে লজ্জাকে আড়াল করতে।কিন্তু ধরা বোধহয় সে পড়েই গেলো!প্রণয় কিছু বলতে চেয়েও থেমে গেলো সামনে তাকিয়ে।অতঃপর ঠোট বাকিয়ে কেবলই আড়ালে হাসলো।যা কারো নজরেই বোধগম্য হলোনা।তৌহিদুল চৌধুরী মৃদু কন্ঠে বললেন,

“ভেতরে এসো মা।আমার ছেলের সাথে সাথে ছোট্ট এই সংসার টাকেও নিজ মতোই সাজিয়ে গুছিয়ে নিও”

শ্বশুরের পানে চেয়ে মৃদু হেসে চাঁদ বললো,

“যথাসাধ্য চেষ্টা করবো বাবা”

অতঃপর একে অপরের হাত ধরেই বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করলো চাঁদ আর প্রণয়।তারা ভেতরে আসতেই পুষ্পিতা জামান আর তৌহিদুল চৌধুরী অন্যদিকে চলে যান।বাবা-মা চলে যেতেই সিড়ি বেয়ে উপরে উঠতে উঠতেই চাঁদের সন্নিকটে এসে কানের কাছে ফিসফিসিয়ে প্রণয় বলে,

“সে কি জানেনা?হৃদয়ে প্রলয় তুলতে তার এক লজ্জারাঙা চাহনীই যথেষ্ট?এত কেনো লজ্জাময়ী সে?”

সঙ্গে সঙ্গে চাঁদের শ্বাস আটকে আসে,মৃদু শিরশিরিয়ে উঠে দেহের প্রতিটা অঙ্গপ্রত্যঙ্গ।লোমকূপ দাঁড়ায় নিমিষেই।
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
সন্ধ্যা সাতটা,
হাসপাতাল থেকে ফিরে শান্ত ভঙ্গিমায় হলরুমে নজর বুলিয়ে রান্নাঘরের দিকে দৃষ্টিপাত করতেই হঠাৎ উজান সেখানে উপস্থিত হয়ে খানিক কেশে প্রণয়কে বলে,

“ইহিম!ভাবি কিন্তু রুমেই ভাইয়া!”

উজানের কথায় মৃদু ভড়কে বাকা চোখে তার পানে চেয়ে কোনোকিছু না বলেই হাতের ব্যাগ কাধের কাছে নিয়ে খানিক দৌড়ানোর ভঙ্গিমায়ই সিড়ি বেয়ে উপড়ে উঠতে লাগে প্রণয়।আর প্রণয়ের পানে চেয়ে মৃদু হেসে নিজেও রান্নাঘরে উঁকি দিয়ে নিজ রুমের দিকে অগ্রসর হয় উজান।অতঃপর রুমে এসে ইয়ানাকে বিছানা গোছাতে দেখে তার দিকে এগিয়ে আসে।ইয়ানার অতি সন্নিকটে গিয়ে পেছন থেকে আলতো করে তার কোমড় জড়িয়ে ধরে বলে,

“কী করে আমার বউটা?”

কপাল কুচকে ইয়ানা বলে,

“দেখতে পাচ্ছোনা নাচছি?তুমিও নাচবে?আসো নাচি”

ইয়ানার কথায় হুহা করে হেসে দিয়ে উজান বলে,

“স্বভাব আর গেলোনা না?একটু রোমান্টিক হলে কী হয়?এই মেয়ে বাবা হবো কী করে তাহলে আমি?”

উজানের কথা শুনে উজানকে নিজের থেকে ছাড়িয়ে বাহুতে হালকা চা!পড় মেরে ইয়ানা বলে,

“লজ্জাশরম সব গিলে ফেলেছো না?প্রণয় ভাইয়ারা এখনও পর্যন্ত বাচ্চা নেয়নি,বিয়ের প্রায় দুই বছর হয়ে যাচ্ছে।আর তুমি-আমি নিজেইতো বাচ্চা এ বয়সে আবার কীসের বাচ্চা নেওয়া নেওয়ি?”

বলতে বলতেই বিছানার উপর বসে ইয়ানা।ইয়ানাকে বসতে দেখে উজানও পাশে বসে স্ত্রীর গালে আলতো করে চুমু খেয়ে বলে,

“সঠিক বয়সে বিয়ে হলে তোমার-আমার এতদিনে দু’টো বাচ্চা থাকতো বুঝলে?”

বলেই এক বাহু দ্বারা আকড়ে ধরে ইয়ানাকে।আর ইয়ানাও উজানের বুকের কাছে লেপ্টে থেকে বলে,

“চাঁদ ভাবি আর প্রণয় ভাইয়াকে একসাথে দেখলে আমার এত ভালো লাগে জানো!”

ইয়ানার চুলে হাত বুলাতে বুলাতে উজান বলে,

“হিম,আমার নজরে দেখা বেস্ট কাপল!কেউই কাউকে মুখ ফুটিয়ে বলেনা যে ভালোবাসে অথচ খুব সুন্দরভাবে ভালোবাসা উপস্থাপন করতে পারদর্শী”

“তাদেরতো অনেক বছরের প্রেম তাইনা?”

“হ্যা ভাইয়া যখন থার্ড ইয়ারে পড়ে তখন থেকে পরিচয় কিন্তু প্রেম করেনি।মানে পছন্দ করতো আরকি”

“কত বছর হবে?আমাদের থেকেও বেশি?”

“হ্যা আমাদের চেয়েতো বেশি হবেই।প্রায় নয় বছরের মতো তো হবেই হয়তো”

“তাহলেতো অনেক বেশি”

“মজার ব্যাপার কী জানো?”

“কী?”

“ভাইয়া আর ভাবি প্রায় পাঁচবছরের মতো দূরে ছিলো।কোনো দেখা নেই,সাক্ষাৎ নেই কিছুই নেই”

“তাই নাকি?তবুও একে অপরকে ভালোবাসতো?”

“অসম্ভবরকমের!আমিতো তাদের থেকে বেশ ইন্সপায়ার্ড হই”

“কীরকম?”

“তুমিতো জানোনা তবে আমার ভাই আর ভাবির পেছনে কম মেয়ে অথবা ছেলে ঘোরেনি।কিন্তু তারা দুজনেই দু’জনের প্রতি ছিলো ডেডিকেটেড”

বেশ উৎসুক হয়ে ইয়ানা আবদার করে,

“তাদের প্রেম কাহিনী শোনাও না!”

“আমি নিজেইতো পুরোটা জানিনা”
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
রুমে এসে আশেপাশে চাঁদকে দেখতে না পেয়ে ওয়াশরুমের দিকে তাকায় প্রণয়।সেখানেও তাকে খুঁজে না পেয়ে হাতের ব্যাগ,পরিধান করা এপ্রোণ সবকিছু খুলে রাখতে রাখতে উচ্চকন্ঠে শান্ত ভঙ্গিমায় শুধায়,

“চন্দ্র?চন্দ্রময়ী?”

সঙ্গে সঙ্গেই চাঁদের কন্ঠস্বর ভেসে আসে কানে,

“এইতো এখানেই।আপনিও আসুন না!একসাথে চন্দ্রবিলাস করি?”

চাঁদের কন্ঠানুযায়ী তার পানে তাকাতেই প্রণয় দেখতে পায় বারান্দার দরজার কাছ হতে উঁকি মেরে তার দিকেই চেয়ে আছে চাঁদ।অতঃপর হাতঘড়ি খুলে ড্রেসিং টেবিলের কাছ হতে সরে এসে বারান্দার উদ্দেশ্যে পা বাড়ায় প্রণয়।প্রণয়কে আসতে দেখে চাঁদ আবারও বারান্দার ভেতর দিকটায় চলে যায়।চাঁদকে যেতে দেখে দ্রুতই পা চালায় প্রণয়।অতঃপর চাঁদের পাশে দাঁড়িয়ে কিছুক্ষণ মৌন রয় সে।মৌনতা অবলম্বন করে চাঁদ নিজেও।নিরিবিলি পরিবেশে বাতাসের শো শো শব্দের সঙ্গে শহুরে এলাকার গাড়ি গোড়া সহ রিক্সার চাবি বাজানোর টুংটাং শব্দ ভেসে আসে কানে।সেইসাথে হুট করেই কানে ভেসে আসে প্রণয়ের শীতল কন্ঠস্বর,

“আকাশের চন্দ্রকে নিয়েতো সকলেই নানান উপমা বিবৃত করে চন্দ্রময়ী।তবে আমার চন্দ্র অতুলনীয়,তাকে তুলনা দেবার সাধ্যি সেই গগণে অবধারিত রোজকার বিশাল গোলাকার সেই রূপোলি চন্দ্রেরও নেই চন্দ্রময়ী”

প্রণয়ের কথায় তৎক্ষনাৎ লজ্জায় গালদু’টো জ্বলে উঠে চাঁদের।সেইসাথে খানিক ফুলেও উঠে বোধহয়!এত কেনো লজ্জা দেয় এই লোকটা?লজ্জা দিতে এত কেনো পারদর্শী সে?একটু কম করে দিলে কি খুব ক্ষ*তি?এসব ভাবতে ভাবতেই আঁখি জোড়া বন্ধ হয় চাঁদের।সে কেবলই এই মৃদু বহমিত পবনকে উপলব্ধি করছে।প্রাণ ভরে শ্বাস নিচ্ছে,আর খানিক বাদে বাদেই ঠোট বাকিয়ে মনে মনেই লজ্জা পাচ্ছে।হুট করেই বাতাস আসা কমে যাওয়ায় কপাল সামান্য কুঞ্চিত হয় চাঁদের।অতঃপর চোখ খুলতেই নজরে আসে সে প্রণয়ের বাহু বন্ধনে আবদ্ধ।যদিও প্রণয় তাকে মোটেও ছোয়নি।তবুও তার আপাতত তাই মনে হলো,কেনোনা প্রণয়ের দুই হাত চাঁদের বাহু স্পর্শ করে বারান্দার গ্রিলে নিবদ্ধ আর চাঁদের পিঠ ঠেকে আছে প্রণয়ের বুক বরাবর।প্রণয়ের আকস্মিক কাছে আসায় কিঞ্চিৎ কেপে উঠে চাঁদ।কাপুনি তার বাড়ে প্রণয় যখন তার থুতনি চাঁদের কাধে রেখে কানের কাছে ঘাড়ের দিকে ফু দিয়ে মৃদু কন্ঠে বলে,

“দ্যা মুন ইজ বিউটিফুল”

অতঃপর খানিক থেমে কানের কাছে মুখ নিয়ে আবারও বলে,

“ইজন্ট ইট?”

বাক্যখানা বলেই চাঁদের গালের সাথে গাল মেলায় প্রণয়।আর নিশ্বাস মাত্রাতিরিক্ত বাড়ে চাঁদের।শ্বাস রুদ্ধকর অবস্থা!ঘনঘন শ্বাস নিয়ে কেপে কেপে চাঁদ বলে,

“আপ….আপ……আপনি আপনি!”

চাঁদের কথায় ফের প্রণয় ফিসফিসিয়ে বলে,

“ইজন্ট ইট?”

তৎক্ষনাৎ চাঁদ চোখ বন্ধ করেই প্রণয়ের দিকে মুখ করে দাঁড়িয়ে চোখ খুলে প্রণয়ের বুকের কাছে নজর রেখে মৃদু কাপা কন্ঠে বলে,

“আ….আপ…..আপনি সেদিনও,সেদিনও এটা……”

চাঁদের কথায় এবারে চাঁদকে মাঝপথে আটকে দিয়ে তার থুতনিতে তর্জনী রেখে মাথা উচিয়ে চোখে চোখ রেখে পলকহীন একধ্যানে চেয়ে দুই ভ্রু উচিয়ে ফের প্রণয় বলে,

“ইজন্ট ইট?”

প্রণয়ের কথায় চাঁদ চোখের ইশারায় প্রণয়কে কিছু একটা জিজ্ঞেস করতেই প্রণয়ও তাকে ইশারায় সম্মতি জানায়।আর চাঁদ তৎক্ষনাৎ তার আঁখি জোড়া নত করে দৃষ্টি প্রণয়ের বুক বরাবর রেখেই লম্বা শ্বাস নিয়ে বলে,

“ইয়েস!ইয়েস”

অতঃপর প্রণয়ের চোখে ফের চোখ আধখোলাবস্থায় রেখে বলে,

“ইয়েস প্রণয়!”

সঙ্গে সঙ্গেই বেশ লজ্জা পাওয়ার ভঙ্গিমায় প্রণয়ের দিকে পিঠ করে দাঁড়ায় চাঁদ।অতঃপর ঘনঘন শ্বাস নিয়ে গ্রিল ধরে দাড়াতেই প্রণয় তার হাত জোড়া চাঁদের হাতের সাথে মিলিয়ে নিজেও গ্রিল ধরে চাঁদের হাতে হাত রাখে এবং ফিসফিসিয়ে বলে,

“সে কি জানেনা?সে যখন লজ্জায় লালরাঙা হয়……”

প্রণয়ের কথা সম্পূর্ণের পূর্বেই চাঁদ বলে,

“জানি”

প্রণয় ফের ফিসফিসায়,

“হিশ!”

অতঃপর চাঁদের ঘাড়ের কাছে মুখ নিয়ে ধীরকন্ঠে শুধায়,

“সে হয় তখন উষ্ণতায় আবৃত উষ্ণময়ী নারী!”

প্রণয়ের প্রতিটা কথায় তার কম্পমিত ঠোটজোড়া চাঁদের ঘাড়ের কাছে লাগায় ঈষৎ কাপে চাঁদ।অতঃপর শ্বাস তার গলার কাছে এসে আটকে যায়।নাকমুখ দিয়ে ঘনঘন শ্বাস নিয়ে ঢোক গিলতেই প্রণয় তার কাছ হতে সরে পাশে দাঁড়িয়ে বেশ শান্ত কন্ঠে বলে,

“অরণের অপারেশন নিয়ে কিছু কি ভাবলেন?”

প্রণয়ের কথায় খানিক ভড়কে কপাল কুচকায় চাঁদের।কিন্তু পরক্ষণেই কপাল শিথিল করে নিজেকে স্বাভাবিক রেখে মৃদু কেশে চাঁদ বলে,

“ইম….হ্যা,আমার আর ফায়ানের কথা হয়েছে।আমি যদিও এখনই সবটা করতে চেয়েছিলাম কিন্তু ফায়ান বললো আমার গ্র‍্যাজুয়েশন কমপ্লিট হতে হতে হয়তো মোটামুটি পরিপক্ক হবো।তখন রিস্ক কিছুটা হলেও কম হবে।আপাতত ফায়ান কোনো রিস্ক নিতে চাচ্ছেনা।আমিও তাই ই ভাবলাম”

কিছুক্ষণ চুপ থেকে বারান্দার বিপরীত পাশে একধ্যানে চেয়ে প্রণয় বলে,

“হিম!সেটাই ভালো হয়।আরও কিছু সময় পাওয়া যাবে”

কপাল কুচকে চাঁদ জিজ্ঞেস করে,

“কীসের?”

চাঁদের পানে ডানপাশে চেয়ে তার নাকের ডগায় তর্জনী দ্বারা স্পর্শ করে প্রণয় বলে,

“আপনার সাথে প্রেমে মজবার!”

চাঁদ কোনোকিছু না বুঝে জিজ্ঞেস করলো,

“মানে?”

To be continued…….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here