#আমি_মায়াবতী
#পর্ব_২৬
#লেখনীতে_তাহমিনা_মিনা
“রিতু।”
“বলো, মিয়াভাই।”
“আমার সাথে যাবি ঢাকার শহরে? আমাদের সাথে থাকবি। রিজাকে ভালো স্কুলে ভর্তি করে দিব। ”
আনন্দে চিকচিক করে উঠে রিতুর চোখ। কৃতজ্ঞতায় ঢলে পড়ে রিতু বলে,”আমারে না নেও মিয়াভাই, আমার মাইয়াডারে নিও। এইহানে থাইকা ওর ভবিষ্যত শেষ হইয়া যাইবো।”
“শুধু ওকে না। তোকেও নিয়ে যাবো আমাদের সাথে। আব্বাকেও নিবো।”
“আব্বা যাইবো না মিয়াভাই। ”
“কেন যাবে না?”
“আমি জানি না মিয়াভাই যে কেন যাবে না। হয়তো তোমার প্রতি দায়িত্ব পালন করেনি, তাই হয়তো যাবে না। তাছাড়া, আরো অনেক কারণ আছে। বাবা চাইলেও যেতে পারবে না।”
“কেন?কেন যেতে পারবে না?”
“অনেক কারণ আছে মিয়াভাই। তুমি বাবারে জিগাইও।”
“হুমম।”
“মিয়াভাই।”
“বল।”
“ভাবিরে জিগাইছিলা?”
“কোন ব্যাপারে?”
“এই যে আমারে নিতে চাও। ভাবির অনুমতি নিছো?”
রিজভী হেসে বলে, “সাগরিকার কথা বলছিস? ওর কোনো অসুবিধা নেই তোদের নিয়ে। কিন্তু আমি ভাবছিলাম অন্য কথা। বিষয়টা তোকে নিয়ে।”
“কি মিয়াভাই?”
“তুই আর কতোদিন এইভাবে থাকবি?জীবন টা তো আর থেমে থাকবে না। একা একা কিভাবে থাকবি তুই?”
রিতু খিলখিল করে হেসে উঠে। ওর হাসি যেন থামতেই চায় না। রিজভীর মনে পড়ে বহু বছর আগে ছোট্ট রিতুকে কোনো কিছু দিলে এইভাবেই খিলখিল করে হাসতো। ওর হাসিতে রিজভীর কষ্টগুলো দূর হয়ে যেতো। সৎ মায়ের দেওয়া কষ্টগুলো ভুলে যেতো। রিতু হাসি থামিয়ে বলে,”মিয়াভাই, বাবা যদি আমার মায়েরে বিয়ে না করতো, তাহলে কিন্তু তোমার এই অবস্থা হতো না। তুমি মায়ের আদর না পেলেও সৎ মায়ের অত্যাচার তো ভোগ করতে না। তাইনা?”
রিজভী মাথা নিচু করে থাকে। রিতু আবার বলে,”পুরুষ মানুষের কাছে বিষয়টা খুব সোজা। কিন্তু মাইয়া মানুষের কাছে এতো সোজা না। আমার মাইয়াডা না থাকলে মিয়াভাই একটা কথা ছিল। ওর জীবনডা শেষ হইয়া যাইবো।”
প্রতিউত্তরে রিজভী কিছুই বলতে পারে না। প্রসঙ্গ ঘুরানোর জন্য বলে,”বাচ্চারা কই গেছে?”
“নদীর পাড়ে গেছে। নৌকায় ঘুরবে।”
“কি বলিস? একা গেছে?”
“নাহ। মেজো ভাইও গেছে।”
” অহ। আমিও যাই তাহলে। বহুদিন সেদিকে যাওয়া হয়নি। ঘুরে আসি।”
“ঘুরতে যাচ্ছো? নাকি বাচ্চাদের পাহারা দিতে যাচ্ছো?” বলেই খিলখিল করে হেসে উঠে।
রিজভীও হেসে ফেলে। তার বোন তার চালাকি ধরে ফেলেছে যে।
★★★
“আমি তোমার সাথে রাগ করেছি কবিতা আপু।” গাল ফুলিয়ে বলে আয়রা।
“আমিও করেছি।” আয়রার হ্যাঁ তে হ্যাঁ বলে কায়রা।
“কেন? আমি কি করেছি?”
“তুমি আরো আগে কেন আসোনি?”
“আরেহ বাবা। আমার তো কলেজ ছিলো। কলেজ বন্ধ না দিলে আমি কিভাবে আসতাম?”
“আমাদের বাসা থেকে তো তোমার কলেজ কাছেই। আমাদের বাসায় এসে কেন তুমি কলেজ করো না?”
কবিতা আনমনে বলে,” সব জায়গা সবার জন্য নয়। বুঝলে?”
“কিন্তু এইটাই তো তোমার বাড়ি আপু।” কায়রা অস্থির হয়ে বলে।
কবিতা কিছু বলার আগেই আয়রার খালাতো বোন এসে হেয়ালি করে বলে,”হ্যাঁ, তা তো অবশ্যই। সবার জন্য সব জায়গা নয়। যেহেতু সবার জন্য সব জায়গা নয়, তাই কারো উচিত না হুট করেই অন্যের বাড়িতে এসে বসা। আমি হলে তো জীবনেও আসতাম না। মানুষ যে কিভাবে আসে, কে জানে।”
কবিতার চোখে পানি চলে আসলো অপমানে। সে কিছু বলতে চাইলেও বলতে পারলো না। সে তো এখানে ইচ্ছে করে আসেনি। তাকে তো আনা হয়েছে। তবে কেন তাকে এতো কথা সহ্য করতে হবে?
সে মাথা নিচু করে থাকে। আয়রার খালামনি এসে বলে,” তুমি যেন কোন ক্লাসে পড়ো কবিতা? অহ মনে পড়েছে। কলেজে পড়ো। তা, তোমার বাবা মা তোমার বিয়ের কথা বলেনা? মানে, যারা তোমাকে পালে?”
কবিতা অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করে,”মানে?”
“না মানে বলছিলাম যে এই যে তোমাকে প্রতি ছুটিতেই এখানে পাঠিয়ে দেয়। তোমার দায়িত্ব কি তারা নিতে পারে না এই কয়েকদিনের জন্য? তোমাকে তো তারা দত্তক নিয়েছে। তাহলে এইখানের কোনোকিছুই তো আর তোমার নেই। তাহলে তোমাকে এখানে পাঠায় যে?”
কবিতার ইচ্ছে হলো এখনই এই বাসা থেকে চলে যেতে। আয়রা আর কায়রা ছোট হলেও আরিয়ান কিছু বড়। তার খালামনি কি বলছে সেটা সে বুঝতে পারছে। সে তৎক্ষনাৎ জবাব দেয়,”তুমি এইসব কি বলছো খালামনি? এইটা তো আপুরও বাড়ি। আপু এখানে আসলে কি হবে?”
“আরিয়ান, বড়দের মাঝখানে কথা বলতে হয়না। জানোনা?কেন কথা বলছো মুখে মুখে?”
“বড়রা ছোটদের কে ভালোবাসলে তো ছোটরা বড়দেরকে সম্মান করবে। তাইনা?” কথাটা বলতে বলতে রুমে ঢুকে কাব্য। সে এসেই সোফার উপর এক পায়ের উপর আরেক পা তুলে বসে। তারপর সরাসরি আরিয়ানের খালামনিকে উদ্দেশ্য করে বলে,”আমার বোনকে না হয় আমরা কিছুদিন খাওয়াতে পড়াতে পারিনা বলে এইখানে পাঠিয়ে দিই। কিন্তু আপনারা তো আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভালো অবস্থানে আছেন। আপনারা তবে কেন এইখানে এসে পড়ে থাকেন? আর আপনার মেয়ে তো শুনেছি এইখানেই থাকছে বিগত কয়েক মাস ধরে। তবে কি আমি ভেবে নিবো, আপনাদের ও অবস্থা খারাপ? তাই এইখানে থাকেন।”
“শোনো কাব্য, আমি কিন্তু তোমার গুরুজন হই। আমার সাথে এইভাবে কথা বলার অধিকার তোমার নেই। ” চিবিয়ে চিবিয়ে বলে আরিয়ানের খালামনি।
“আমার বোনের সাথেও আপনার এইভাবে কথা বলার অধিকার নেই। আপনি এখানে কেন এসেছেন? ”
“আমার বোনকে দেখতে এসেছি। আমার কি আমার বোনের সংসারে আসার কোনো অধিকার নেই?”
“অবশ্যই আছে। অবশ্যই আপনি আপনার বোনকে দেখতে আসতে পারেন। আপনি আপনার বোনকে দেখতে আসতে পারলে আমার বোন কেন তার ভাই-বোনদের দেখতে আসতে পারবে না?”
“ওর ব্যাপার টা আলাদা কাব্য ভাইয়া। ওকে তো তোমার বাবা মা দত্তক নিয়েছে। এখন তো আর এই পরিবারে ওর কোনো অধিকার নেই।” দায়সারা ভাবে কথাটা বলে আরিয়ানের খালাতো বোন নেহা।
কাব্য ওর কথা শুনে মজা পেয়েছে এমন ভাব করে বলে,”ওহ তাই? আমি তো জানতামই না। ওকে, চলো কিছুক্ষণের জন্য মেনে নিচ্ছি যে এই বাড়িতে ওর মেয়ে হিসেবে কোনো অধিকার নেই। কারণ, আমার বাবা মা ওকে দত্তক নিয়েছে। কিন্তু তারপরও কি সব অধিকার শেষ? আমি যদি এই পরিবারে আসতে পারি, তাহলে ও পারবে। কারণ এটা আমার মামাবাড়ি। আর সেই হিসেবে ওর ও তো মামাবাড়ি। তাইনা?”
কাব্যর কথা শুনে নেহা সেখানে থেকে গটগট করে হেটে চলে যায়। এবার কাব্য আরিয়ানের খালার দিকে তাকিয়ে বলে,”ক্লিয়ার? আপনারা এসেছেন বোনের বাড়িতে। আর আমরা এসেছি মামার বাড়িতে। বাংলায় একটা প্রবাদ আছে জানেন তো, মামার বাড়ি রসের হাড়ি। কোথাও কিন্তু লেখা নেই, খালার বাড়ি রসের হাড়ি কিংবা বোনের বাড়ি রসের হাড়ি। “বলেই হো হো করে হাসতে থাকে।
আরিয়ানের খালামনি মুখ কালো করে বসে থাকে। কবিতা মাথা নিচু করে ছিল। তার ইচ্ছে করছে দূরে কোথাও চলে যেতে। তার নিজের বাবার বাড়ি আজ তার মামার বাড়ি। মুখে যতোই বলুক বাবাকে সে ভালোবাসেনা, পছন্দ করে না। কিন্তু তাকে মামা বলে সম্বোধন করতে হবে এইটা তো সে মেনে নিতে পারবে না।
” কি হচ্ছে এখানে?” রাশভারী গলায় কথাটা বলে কবিতার বাবা আনোয়ার।
কবিতাসহ সবার দৃষ্টি তখন তার দিকেই যায়। কাব্য কিছু বলতেই যাচ্ছিলো কিন্তু তার আগেই আরিয়ান তাকে গিয়ে বলে,”বাবা, বাবা, জানো খালামনি কি করেছে? খালামনি আর নেহা আপু কবিতা আপুকে অপমান করেছে। বলেছে এখানে নাকি আপুর কোনো অধিকার নেই। আপু এখানে এসে নাকি ঠিক কাজ করেনি।”
আনোয়ার সাহেব ভ্রু কুঁচকে তাকায় শালিকার দিকে। সরাসরি তার কাছে গিয়ে তাকে জিজ্ঞেস করে, “আরিয়ানের কথাটা কি ঠিক? তুমি আমার মেয়েকে এইসব বলেছো?”
আরিয়ানের খালামনি কিছুটা ভয় পাওয়া গলায় বললো,”আমি আসলে ঐভাবে বলিনি। আসলে দুলাভাই হয়েছে কি আমি আসলে ওকে আসলে….”
কথাটা শেষ করতে পারলো না সে। তার আগেই কবিতার বাবা বললো,”আমি জিজ্ঞেস করেছি আরিয়ান যা বলেছে সেগুলো কি তুমি বলেছো?”
মাথা নিচু করে থাকে সে। কবিতার দিকে তাকিয়ে আনোয়ার সাহেব বলে,”তোমাকে এইসব বলেছে? ”
কবিতাও মাথা নিচু করে থাকে।
আনোয়ার সাহেব চিৎকার করে ডাকে, “আনিকা, কোথায় তুমি? তাড়াতাড়ি এইখানে এসো।”
বাবার চিৎকারে ভয় পেয়ে আয়রা আর কায়রা কবিতার পিছনে গিয়ে লুকায়। তাদের মা আনিকা হন্তদন্ত হয়ে ড্রয়িংরুমে প্রবেশ করে বলে,”চেঁচামেচি করছো কেন? আমি তো রান্নাঘরে রান্না করছিলাম। চুলায় মাছ দিয়ে এসেছি। পুড়ে যাবে তো।”
আনোয়ার সাহেব তার কাছে গিয়ে তার সজোরে এক থাপ্পড় মেরে দেয়। ঘটনার আকস্মিকতায় আনিকা সহ সবাই পুরো থমকে যায়। সবচেয়ে বেশি অবাক হয় আনিকা নিজেই। কেন তাকে থাপ্পড় দেওয়া হলো, কি দোষ তার সে কিছুই জানে না। আয়রা আর কায়রা কান্না করে দিয়েছে। কাব্য সহ সবাই স্থানুর মতো দাঁড়িয়ে আছে।
আনিকা রিনরিনে গলায় বলে,”আমাকে মারলে কেন? আমি কি করেছি?”
“কিছুই করোনি তাইনা? কিছুই করোনি তুমি? আমার মেয়েটা বছরে কতদিন আসে তোমার বাসায় যে সেই কয়টা দিন তাকে সহ্য করতে পারো না? নিজের বোনদেরকেও সেই কয়েকদিন ডেকে এনে আমার মেয়েটাকে কষ্ট দিতেই হবে?”
“কি বলছো তুমি এইসব? আমি কেন এইসব করবো? কি হয়েছে এইখানে? আমি তো কিছুই জানি না।”
“জানোনা? জানোনা তুমি? তাহলে তোমার বোন কোন সাহসে আমার মেয়েকে এইখানে আসার জন্য কথা শোনালো? কেন বললো যে এইখানে তার কোনো অধিকার নেই? তুমি সাহস না দিলে এতো সাহস পায় কই সে?”
আনিকা তার বোনের দিকে অবাক হয়ে তাকায়। তার বোন মাথা নিচু করে আছে। তার মানে কথা সত্য। আনিকা কিছু বলতেই যাবে কিন্তু তার আগেই আনোয়ার সাহেব বলে, “এইখানে এসে তো সোনার থালায় বাড়া ভাত পেয়েছো। তাই কষ্ট কাকে বলে বুঝোনি। কবিতার মা আমার এই বাড়ির জন্য, সংসারের জন্য কি কি করেছে তোমার কোনো ধারণা আছে? এই যে বাড়িটা দেখছো, এই বাড়ির অর্ধেকটা আমার নামে আর অর্ধেকটা কবিতার মায়ের নামে। কারণ আমরা দুজনে মিলে এই বাড়ি বানিয়েছি। কিন্তু অভাগীর কপালটা খারাপ। তাই ওর জায়গায় আজ তুমি এসে এইখানে রাজত্ব করছো। কবিতার মায়ের সবটুকুই তো কবিতার। আর আজ কবিতাকেই কিনা শুনতে হবে যে এই বাড়িতে কবিতার কোনো অধিকারই নেই? এতো সহজ? আর বাকি রইলো তোমার বাপের বাড়ির মানুষ। কি ছিলে তোমরা মনে নেই তোমার? ছোট্ট একটা ঘরে গাদাগাদি করে কতগুলো ভাই-বোন, বাবা, মা থাকতে। নেহাৎ আমার মা তোমাকে এই বাড়িতে এনেছিল কবিতার দেখাশোনার জন্য। না হলে আজও সেখানেই থাকতে। তোমার বাবার বাড়ির লোকের আজ এটা লাগবে কাল ওটা লাগবে, বায়না তো শেষই হচ্ছিলো না। বছরে ১২ মাসের ১০ মাসই তোমার বাপের বাড়ির মানুষ দিয়ে আমার বাড়ি ভরা থাকে। আর আমার মেয়েটা তার নিজের বাড়িতে দুই দিনের জন্য এসেও থাকতে পারবে না? এতো সাহস আসে কই থেকে তোমাদের যে আমার মেয়েকে কথা শোনাও?”
আনিকা অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে নিজের স্বামীর দিকে। এই মানুষটা তার স্বামী। ভাবতেই কেমন যেন লাগছে। রান্নাঘর থেকে পোড়া গন্ধ আসছে। সে ধীরে ধীরে রান্নাঘরে গিয়ে চুলা বন্ধ করে দিয়ে এসে নিজের স্বামীর দিকে তাকিয়ে বলে,”তুমি ঠিকই বলেছো। আমি ঠিকই এই বাড়িতে এসে সোনার থালায় ভাত পেয়েছি। কিন্তু জানো তো, সেই সোনার থালায় ভাত আমি একটা দিনও নিজে বেড়ে খেতে পারিনি। আমি তো তোমাকে বিয়ে করতে চাইনি। একটা কুমারী মেয়ে কি কখনো ইচ্ছে করে এক বাচ্চার বাবা কে বিয়ে করে? আমার পরিবারের অবস্থা খারাপ বলেই আমার বাবা মা বিয়ে দিয়েছে। বলতে পারো আমাকে অনেকটা বিক্রিই করে দিয়েছে। আমি তো সবকিছু মেনেই নিয়েছিলাম। কিন্তু কবিতার দাদি তো আমাকে ভালোভাবে সংসার করতে দেয়নি। সেটা আপনিও জানেন। আমি তো কবিতাকে আমার মেয়ে বলে মেনেই নিয়েছিলাম। কিন্তু কেউ সেটা বুঝেনি। সবাই আমাকে দোষারোপ করেছে পান থেকে চুন খসলেই। তারপর যখন আরিয়ানের জন্ম হয়, কবিতার দাদির আক্রোশ আরো বেড়ে যায়। কি কি হয়েছে আপনি তো জানেনই। বাধ্য হয়েই তো কবিতাকে বড় আপা দত্তক নিলো। তারপর তো আমরা কবিতাকে আনতে চেয়েছিলাম কিন্তু তখন আমার বাবা মা আমাকে উল্টোপাল্টা বুঝালো। আমি কি আসলেই কি সংসারে নিজের মতো থাকতে পেরেছি? তুমিই বলো তো।আমি যদি কবিতাকে ভালোই না বাসতাম, তবে আমি আজও আপনাকে কবিতার বাবা বলে ডাকতাম না। আমি নিজেকে কবিতার মা বলে দাবি করতাম না। আচ্ছা, আমি তো আপনার সংসারের জন্য সব ছেড়েছি। আপনি কি বিনিময়ে আমাকে একটু ভালোবেসেছেন?
চলবে…..