#প্রেম_প্রার্থনা
#তামান্না_আঁখি
#পর্ব-৩৪
“বিয়ে করবি না বইলা খুব কান্নাকাটি করলি।তেইলে এত সাজগোছ কিসের? কারে দেখানোর জন্য এত সাজছস?”
চারু কোনো কথা বললো না। সে পিছন দিকে মাথা হেলিয়ে দাঁড়িয়ে রইলো। রবিন আরেকটা টান দিলো চুলে। এবারের টান টা একটু জোরেই দিলো।চারু রবিনের দিকে কিছুটা পিছিয়ে গেলো। রবিন আবারো প্রশ্ন করলো-
“বল কার জন্য সাজছস?”
চারু তড়িঘড়ি করে বলল-
“আমি সাজছি না ফারহানা আপু সাজাইছে।”
রবিন চারুর চুল ছেড়ে দিয়ে রেলিং এ হেলান দিয়ে পা ক্রস দাঁড়ালো।পকেটে হাত দিয়ে চারুর দিকে তাকালো। চারু মুখ কুচকে মাথা ঘষছে। চুলের গোড়ায় বেশ ব্যথা পেয়েছে সে। রবিনের দিকে তাকিয়ে অভিমানী সুরে বললো-
“তুমি খালি আমারে মারো।”
রবিন একটা ভ্রু উঁচু করলো। ঠোঁট বাকিয়ে হেসে বললেন-
“তাই নাকি? ছোটবেলার মাইর গুলা মনে আছে তেইলে?”
চারু অভিমান নিয়ে নিশ্চুপ হয়ে দাঁড়িয়ে রইলো। রবিন জিজ্ঞেস করল-
“পাত্র কেমন দেখলি? পছন্দ হয়?”
চারুর রাগ পেলো।সে জেদ করে বলল-
“হ পছন্দ হয়।পাত্র অনেক সুন্দর। তোমার চেয়ে সুন্দর।”
“পাত্র ফর্সা বইলা তারে সুন্দর লাগলো? আর আমি কালো বইলা আমারে অসুন্দর বললি?”
চারু কিছুটা থতমত খেয়ে গেলো। আড়চোখে রবিনের দিকে একপলক তাকিয়ে বলল-
“আমি কখন কইলাম তুমি অসুন্দর?”
“তার মানে আমি দেখতে সুন্দর?”
চারু হাসফাস করলো। কি বলবে ভেবে না পেয়ে বললো-
“তুমি অনেক খারাপ। বড় বাবারে যে তুমি নিয়া আসবা এইটা আমারে আগে বললেই তো পারতা।তেইলে আর আমার চিন্তা হইত না।”
“এই বয়সে তোর এতো কিছু জানা লাগে কেন? বড়দের উপর ভরসা করতে পারস না?”
“আমি এখন ছোট না আমি অনেক বড় হইছি।”
” ওহ বড় হইছস!তেইলে তো তোর লাল নীল বাতি দেখার সময় হইয়া গেছে।”
চারু ভ্রু কুচকে তাকালো। আগ্রহী দৃষ্টিতে বলল-
“লাল নীল বাতি মানে?”
“দেখার সময় হোক দেখবি নে।”
“না এখন দেখাও।”
রবিন একটা দুষ্টু হাসি দিলো। চারুর আরেকটু কাছে এসে কিছুটা দূরত্ব রেখে মুখের কাছে মুখ নামিয়ে ধীর কন্ঠে বললো –
“এমন কইরা কইস না, পরে সত্যি সত্যি দেখাইলে সমস্যা হইয়া যাইব।”
চারু চোখ পিটপিট করে তাকালো। নিচ থেকে গাড়ীর আওয়াজে দুজনেই বাড়ির সাম্নের দিকে তাকালো। গাড়ি থেকে রুবিনা বেগম নামলেন।সাথে নামলো রানি আর শাখাওয়াত তালুকদার। চারু তার ফুপিকে দেখেই কোনো দিক না তাকিয়ে দৌড় লাগালো সিড়ির দিকে।।রবিন ব্যস্ত হয়ে বলল-
“আরে আস্তে যা পইড়া যাবি।”
রবিনের কথা চারুর কানে গেলো। সে দুই হাতে শাড়ি উঁচু করে ধরে লাফিয়ে সিড়ি দিয়ে নামলো। রবিন সেদিকে তাকিয়ে মাথা নাড়িয়ে হেসে পকেটে হাত গুঁজে নিচের দিকে চললো।
রুবিনা বেগম বসার ঘরে বসে কথা বলছেন। তিনি রীতিমতো দুই ভাইকে ঝাড়ছেন। শাহজাহান আলী আর কামরুজ্জামান বসে বসে শুনছেন। শাখাওয়াত তালুকদার একবার স্ত্রীর দিকে তাকাচ্ছেন আরেকবার শ্যালকদের দিকে তাকাচ্ছেন। চারু বসার ঘরে দরজার পাশে দাঁড়িয়ে ছিলো রানি কাঁধ দিয়ে চারুর কাঁধে একটা ধাক্কা দিয়ে বলল-
“ইশশ আরেকটু হইলেই তোর বিয়ে হইয়া যাইতো রে। ভাইয়ার বিয়ের আগে তোর বিয়ের দাওয়াত পাইতাম।”
চারু চোখ গরম করে তাকালো। রানি বিশেষ পাত্তা দিলো না।সে আরেকটু চারুর পাশ ঘেঁষে দাঁড়িয়ে বলল-
“পাত্র নাকি দেখতে সুন্দর।বিয়ে কইরা ফেল। তেইলে আমার ভাইটা তোর নজর থাইকা বাচতো।”
“তোর ভাইরে আমি এই জনমে ছাড়তাছি না।দরকার পড়লে গলায় ছুড়ি ধইরা তোর ভাইরে বিয়ে করবাম।”
“তুই একটা চরিত্রহীন। ”
রানির কথার প্রতিউত্তরে চারু জিভ বের করে ভেংচি কাটলো।
বসার ঘর থেকে রুবিনা বেগমের হম্বিতম্বি শোনা গেলো। তিনি দুই ভাইয়ের দিকে তাকিয়ে বললেন-
” এখনো স্কুল পাশ করলো না মাইয়াটা এখনি এই সিদ্ধান্ত কেমনে নেস তোরা? এরপরের বার এমন কিছু ঘটলে আমি চারুরে আমার সাথে নিয়া যাইবাম। আমি অন্যায় সহ্য করতাম না।”
দুই ভাই ই বড় বোনের কথা চুপ করে শুনলো। কেউ কোনো উত্তর করলো না। রুবিনা বেগম আরো কিছুক্ষন বকাঝকা করে বসার ঘর ছেড়ে বেরিয়ে বাড়ির মহিলাদের সাথে গিয়ে কথা বলতে বসলেন। শাখাওয়াত তালুকদার এতক্ষণ পর মুখ খুললেন-
“তোমরা এমন একটা কান্ড কেম্নে করলা? চারুর আগে তো স্মৃতির বিয়ে দেয়ার কথা।”
শাহজাহান আলী গলা খাকারি দিলেন। নিচের দিকে তাকিয়ে বললেন-
“আসলে ভাইজান স্মৃতিরে নিয়া একটু ঝামেলা চলতাছে। দুই বাপ বেটির মাঝে কথা বার্তা বন্ধ।”
শাখাওয়াত তালুকদার কিছুটা চমকে গিয়ে বললেন-
“এইটা কি কও! মেয়ের সাথে কেউ রাগ কইরা থাকে নাকি? যখন শ্বশুর বাড়ি চইলা যাইব তখন দেখবা কলিজা ছিইড়া চইলা যাইতাছে। তাই যতদিন বাপের ঘরে আছে মেয়েদের যত্ন নেও। ছোট মানুষ ভুল করলে বুঝায়া কও। রাগ কইরা দূরে ঠেইল্লা দিওনা।”
কামরুজ্জামান মনোযোগ দিয়েই কথা গুলো শুনলেন। তিনি আজ যা করতে যাচ্ছিলেন তার জন্য নিজেকে ধিক্কার দিলেন। যখন ই মনে হচ্ছে বিয়ে করে তার ছোট্ট চারুটা চিরদিনের জন্য চলে যাচ্ছে তখনি তার কলিজায় কি যেন চিপা দিয়ে ধরছে।
______
রাতের খাওয়া দাওয়ার পর রানি ছাড়া তালুকদার বাড়ির সবাই ফিরে এলো। আজ রাতে রানি চারুর সাথেই তাদের বাড়িতে থাকবে। রবিন হাত ঘড়ি খুলতে খুলতে ঘরে ঢুকলো। ঘড়িটা খুলে ছুড়ে দিলো টেবিলের দিকে।তখনি তার নজর গেলো কালো মার্কার দিয়ে লেখা কয়েকটা শব্দের দিকে। একটু এগিয়ে দেখলো টেবিলের উপর লেখা-
“চারু+ রবিন=চারুবিন”
রবিনের বুঝতে বাকি থাকলো না যে এটা কে লিখেছে। লেখাটা দেখে রবিন শব্দ করে হেসে ফেললো।কিছুক্ষন তাকিয়ে থাকলো লেখাটার দিকে। ড্রয়ার খুলে কয়েকটা স্টিকার বের করলো। তারপর লেখাটার উপর লাগিয়ে দিলো। এই লেখা এখন কেউ না দেখাই ভালো। পাশের ড্রয়ার টা খুলে এক্টা ফটো এলবাম বের করলো। এলবামটা উলটে পালটে দেখতে লাগলো।চোখ গিয়ে ঠেকলো একটা ছবিতে। এক বছর বয়সি চারু হেসে রবিনের ঘাড়ে বসে আছে।দুহাত মুঠো করে শক্ত করে ধরে আছে রবিনের চুল। রবিনের চোখ মুখ কুচকানো, দেখেই বুঝা যাচ্ছে সে চারুর কান্ডে খুব বিরক্ত। ছবিটা হাতে নিয়ে রবিন কিছুক্ষন দেখলো।ছোটবেলা চারু ওর ঘাড়ে উঠতে চাইতো।যতোই নামানোর চেষ্টা করত ততই আরো চুল খামছে ধরে চেপে বসতো। ঘাড় থেকে নামতেই চাইতো না। আর রবিন তাকে ঘাড়ে তুলতে চাইতো না। রবিন মুখে মৃদু হাসি নিয়ে কোমল চোখে ছবিটার দিকে তাকিয়ে রইলো।বিড়বিড় করে বলল-
“এখন আর তোরে ঘাড় থাইকা নামতে দিব না।তুই সারাজীবন আমার ঘাড়ে চাইপা বইসা থাক।”
___________
মাঝরাতে ফোনের ভাইব্রেশনে রানির ঘুম ভেংগে গেলো। ঘুম ঘুম চোখে ফোনের স্ক্রিনে তাকিয়ে দেখলো “ওড়না চোর” নামের কারো কাছ থেকে কল আসছে।রানি ধড়ফড়িয়ে উঠে বসলো।এটা তো তুহিনের নাম্বার। রানি পাশে চারুর দিকে তাকালো,চারু হা করে ঘুমোচ্ছে। রানি স্বস্তির শ্বাস ফেললো।তারপর আস্তে আস্তে বিছানা থেকে নেমে বারান্দায় এলো। ততক্ষনে কল কেটে গেছে। রানি অপেক্ষা করলো দ্বিতীয় কলের।কয়েক সেকেন্ড পড় আবারো কল আসল।রানি কিছুক্ষন অপেক্ষা করে কল রিসিভ করে কানে ধরলো। ওপাশ থেকে তুহিনের কন্ঠ শোনা গেলো –
“রানি ঘুমায় গেছো?”
রানি আহাম্মক বনে গেলো।কল দিয়ে ঘুম ভাঙ্গিয়ে জানতে চাচ্ছে ঘুমিয়ে গেছে কিনা। সে চাপাস্বরে বলল-
“ঘুমাইলে কি আপনার কল ধরতে পারতাম?”
“না তা পারতা না।”
“তেইলে?”
তুহিন গলা ঝাড়লো। নরম কন্ঠে বলল-
“তোমারে খুব মিস করতাছি। তাই থাকতে না পাইরা তোমার সাথে দেখা করতে আইছি।”
“আমি বাড়িতে নাই ”
“জানি৷ ডানদিকে নিচে তাকাও।”
রানি তার ডানপাশে নিচের দিকে তাকালো।তুহিন বাইকের উপর ফোন কানে নিয়ে বসে আছে রানিকে দেখে হাত নাড়লো।রানির মুখ অল্প হা হয়ে গেলো। সে ব্যস্ত হয়ে বলল-
“হায় আল্লাহ! আপনি এইখানে কি করেন? আমি যে এইখানে জানলেন কেম্নে?”
“তোমার সব খবর ই আমি জানি। এইবার একটা কাজ করো তো ফোনের ফ্ল্যাশ জ্বালায়া তোমার মুখের সামনে ধরো।”
রানি বিস্মিত কন্ঠে প্রশ্ন করলো-
“কেনো?”
“অন্ধকারে তোমারে ঠিকঠাক দেখা যায় না। তোমার মুখ টা না দেখলে শান্তি লাগতো না।”
রানি কিছুটা লজ্জা পেলো। সে মাথা নেড়ে জানালো-
“না আমি পারতাম না। আপনি এইখান থাইকা যান।কেউ দেখলে খারাপ ভাববো।”
“উহুহু তোমার মুখ না দেইখা আমি যাইতাম না ”
“তেইলে সারারাত এইনেই থাকেন।”
রানি কল কেটে দিলো কিন্তু বারান্দা থেকে চলে আসলো না। তুহিন বাইকের উপর শুয়ে পড়ে আবারো কল দিলো রানিকে। রানি কল ধরে ফোন কানে নিলো।তুহিন নরম সুরে বললো-
“মহারানি,তুমি চাইলে আমি সারাজীবন তোমার বারান্দার সামনে এমনে কাটায়া দিবাম।কিন্তু এখন অন্তত একটা বালিশ আর মশার কয়েল তো দিয়া যাও।”
রানি পড়লো মহাবিপদে। তুহিনের ভাবগতি দেখে বুঝাই যাচ্ছে সে এত সহজে এখান থেকে যাবে না।অগত্যা রানি তুহিনের প্রস্তাবে রাজি হলো। রাগী গলায় বলল-
“আমি কিন্তু একবার ই লাইট জ্বালাইবাম।এরপর আপনি এইখান থাইকা বিদায় হইবেন।প্রমিস করেন।”
তুহিন লাফ দিয়ে বাইক থেকে নেমে দাঁড়ালো।বারান্দার আরেকটু কাছাকাছি এসে দাঁড়িয়ে বলল-
“প্রমিস প্রমিস। একশ বার প্রমিস।”
রানি এদিক ওদিক তাকিয়ে দেখলো কেউ আছে কিনা। তারপর লাইট জ্বালিয়ে তার মুখের দিকে ধরলো।তুহিন হাসি হাসি মুখ করে তাকিয়ে দেখলো। রানি সাথে সাথেই লাইট অফ করে দিলো।হঠাৎ ঘাড়ের কাছে কারো নিশ্বাসের শব্দ পেলো। কানের কাছে মুখ এনে কেউ ফিসফিস করে বললো-
“আমারে চরিত্রহীন ডাকস,আর নিজে রাত বিরাতে এইসব করস?”
রানি চমকে গিয়ে পিছনে তাকালো। চারু কোমড়ে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।রানি নিচে তাকালো সেখানে তুহিন ফোন কানে নিয়ে এখনো উপরের দিকে তাকিয়ে আছে। চারু ছো মেরে ফোন টা নিয়ে নিজের কানে ধরলো তারপর বললো-
“তুহিন ভাই মুখ দেখাদেখি হইলে এখন এইখান থাইকা যান।বড়বাবা জানলে আপনার হাড্ডি আস্ত থাকব না।”
তুহিন অবাক হয়ে উপরের বারান্দায় তাকালো।বললো-
“চালের নাড়ু তুমি….”
চারু কোনো কথা বলার সুযোগ না দিয়ে ফোন কেটে দিলো তারপর টেনে রানিকে বারান্দা থেকে ঘরে নিয়ে এলো। ঘরে এসে রানির দিকে শকুনি দৃষ্টিতে তাকালো। রানি কাচুমাচু করে দাঁড়িয়ে রইলো। তারপর হুট করে চারুর হাত ধরে বলল-
“বিশ্বাস কর তুই যা ভাবতাছস তা না।আমি আসলে….”
চারু বিজ্ঞ ব্যক্তিদের মতো হাত তুলে রানিকে থামিয়ে দিয়ে বলল-
“চুপ কর আর বলা লাগত না। এখন থাইকা তোর ভাইয়ের সাথে আমার লাইন টা তুই ক্লিয়ার কইরা দিবি নয়ত সব ফাঁস কইরা দিবাম।”
বলেই চারু গিয়ে শুয়ে পড়লো। রানি মনে মনে একশোটা গালি দিলো তুহিনকে। আজ তুহিন না আসলে এমন টা হতো না।সাথে নিজের গালেও দুইটা চড় দিলো।
_______
দুপুর ১২ টা পার হয়ে গেছে। সূর্য মাথার উপর থেকে কিছুটা দূরে সরে গেছে। এমন সময় তালুকদার বাড়ির সামনে একটা গাড়ি এসে থামলো।গাড়ি থেকে নেমে আসলো সারা আর ফাতেমা বেগম। সারা পুরো বাড়িটার দিকে চোখ বুলালো। আর কয়েকটা দিন পর ই এই বাড়িটা তার শ্বশুর বাড়ি হয়ে যাবে। সারার মনে একটা ভালো লাগা ছেয়ে গেলো।আশেপাশে তাকালো। রবিন নিশ্চয়ই এখন বাড়িতে আছে। ইশশশ আবারো এই ছেলের সামনে পড়তে হবে। এই ছেলের সামনে গেলেই যে তার হৃদয় বেসামাল হয়ে যায়।সারা গাড়ির আয়নায় নিজেকে আরেকবার দেখে নিয়ে মায়ের পিছু পিছু তালুকদার বাড়ির গেটের দিকে এগিয়ে গেলো।
চারু ক্লাসে বসে খাতায় আঁকিবুকি করছে। ক্লাসে স্যার পড়ালেও তার মনোযোগ নেই। তার মনোযোগ অন্য কোথাও। খাতা রেখে সে জানালা দিয়ে বাইরে তাকালো।নজর গেলো কিছুটা দূরে শহীদ মিনারের সিড়ির দিকে। রবিন বসে আছে কয়েকটা ছেলের সাথে। চারু বিমুঢ় চোখে তাকিয়ে রইলো। এতগুলো ছেলের মাঝে রবিনকেই কেন তার চোখে বেশি ধরা পড়ছে? এই ধারালো চেহারার শ্যামবর্নের ছেলেটির মাঝে কি এমন আছে যার কারনে এত আকর্ষণ কাজ করে। চারু একদৃষ্টিতে সেদিকে তাকিয়ে রইলো। শক্ত চোয়াল, গম্ভির মুখ আর শান্ত চোখে তাকিয়ে বসে আছে রবিন ।হঠাৎ মনে হলো রবিনও যেন ওর দিকে তাকালো। চারু কিছুটা অবাক হলো। শহীদ মিনার টা মোটামুটি দূরত্বে দাঁড়িয়ে আছে।ওখান থেকে কি চারুকে দেখা যাচ্ছে? চারুর সব সন্দেহ দূর করে দিয়ে রবিন সরাসরি ওর দিকে তাকিয়ে একটা চোখ মারলো।
চলবে