The_Villain_Lover #Last_Part #Writer:#Tisha_Islam_Nabila

0
598

#The_Villain_Lover
#Last_Part
#Writer:#Tisha_Islam_Nabila

সম্রাট আজ অনেক খুশি….আর খুশি হবারই কথা….বাবা হওয়ার অনুভূতি অনুভর করছে….সেটাও প্রথমবার তিশা ও খুশি….বারবার নিজের পেটে হাত রাখছে….হয়তো নিজের সন্তান কে ফিল করতে চাইছে….সম্রাট দরজার পাশে দাড়িয়ে….তিশা’র কান্ড দেখছে আর মুচকি হাসছে….এবার ভেতরে এসে বললো..!!

—-জান তুমি কি করছো??

তিশা উত্তেজনা নিয়ে বললো……

—-সম্রাট আমি আমার বেবী কে….খুব করে ফিল করতে চাইছি….আমি তো ভাবতেই পারছি না এখনো….আর মাএ কয়েকমাস পর….আমারও একটা কিউট ছেলে থাকবে..!!

সম্রাটঃ ছেলে মানে??

ভ্রু কুঁচকে বললো সম্রাট……

তিশাঃ ছেলে মানে ছেলে….আমি চাই তোমার মতো….একটা কিউট গুলুমুলু ছেলে..!!

সম্রাটঃ নো আমার মেয়ে চাই….তোমার মত কিউট হবে……

তিশাঃ না ছেলে হবে ওকে??

সম্রাটঃ না মেয়ে হবে ওকে??

সম্রাট আর তিশা রীতিমত….ঝগড়া করতে শুরু করেছে….নিলয় রুমে এসে ওদের দেখে….ওর চোখ কপালে ওঠার উপক্রম..!!

নিলয়ঃ আরে ভাই, ভাবী কি করছো তোমরা??

তিশাঃ ভাইয়া দেখো না….আমি বলছি ছেলে হবে আমার….আর সম্রাট বলছে মেয়ে…….

তিশা নিলয় কে ভাইয়া বলে..!!

নিলয়ঃ ভাই এটা একদম ঠিক না….আমিও তো চাই আমার….কিউট একটা ভাতিজা হোক……

সম্রাটঃ হোয়াট??

তিশা, নিলয়ঃ ইয়েস ছেলে চাই……

সম্রাট অসহায় হয়ে বললো..!!

—-দেখো জান আমি বললাম….আমার একটা মেয়েই হবে..!!

তিশাঃ হু আমিও বললাম ছেলে হবে…….

এদিকে তিশা প্রেগন্যান্ট শুনে….সবাই খুব খুশি হয়েছে….অভি, আবির, নীল, কল্লোল….৪জন তো লাফালাফি করছে….আরশাল চৌধুরী, কনিকা চৌধুরী….আর কল্লোলে’র বাবা ছেলেদের কান্ড দেখছে….এরমাঝে বাইরে থেকে আহানিতা এলো..!!

আহানিতাঃ একি কি হচ্ছে এসব??তোমরা এভাবে লাফাচ্ছো কেন??

কল্লোলঃ আরে আহানিতা আমরা মামা হবো….তুই খালামনি হতে চলেছিস……

আহানিতাঃ ভাইয়া সত্যি??

নীলঃ হ্যা রে সত্যি..!!

ব্যাস আহানিতা ও যোগ দিলো ওদের সাথে….সবাই হা করে তাকিয়ে আছে….এরপর সবাই রেডি হয়ে মিষ্টি নিয়ে….সম্রাট’দের বাড়িতে গিয়ে হাজির হলো……

তিশাঃ তোমরা??

ওরা ড্রয়িংরুমে বসা ছিলো….কলিংবেল বাজতেই তিশা দরজা খোলে….আর দরজা খুলে দেখে ওদের বাড়ির লোকজন….তিশা সবাই কে জড়িয়ে ধরে..!!

সম্রাটঃ মাম্মা, পাপা তোমরা এসেছো….খুব ভাল করেছো এসো….এত সহজে আর যেতে দিচ্ছিনা……

আবিরঃ আমরা সন্ধ্যার আগে চলে যাবো..!!

নিলয়ঃ নো ওয়ে সেটা হচ্ছে না…..

তিশাঃ একদম থাকতে হবে অনেকদিন..!!

সবাই অনেক মজা করছে….তিশা রুপ কে ফোন দিয়ে আসতে বললো….তাই কিছুক্ষণ পর রুপ চলে এলো….রুপ আর অভি চোখাচোখি করছে….সম্রাট আর তিশা বাকীরা হাসছে……

সম্রাটঃ আমরা কিন্তুু সব দেখতে পাচ্ছি..!!

নীলঃ আমিতো আগেই দেখেছি……

আবিরঃ আমিও দেখেছি এখন তোমরা দেখো…..

সবাই জোরে হেসে দিলো….রুপ আর অভি লজ্জা পেয়ে….মাথা নিচু করে ফেললো..!!

কল্লোলঃ বাপরে অভি ভাইয়া লজ্জাও পায়??

অভিঃ কেন লজ্জা কি তোদের….ব্যক্তিগত সম্পতি নাকি??যে অন্যদের পেতে নেই??

কল্লোল ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেলো…….

এদিকে একজন বলছে..!!

খুব শান্তিতে আছো দেখছি….কিন্তুু আফসোস এই শান্তি….আমি বেশী দিন থাকতে দেবো না….একবার তোমাদের বেবী এই পৃথিবীতে আসুক….তারপর হবে আসল মজা……
.
.
.
.
.
.
রাতে ডিনার করছে সবাই..!!

আহানিতাঃ আবির আস্তে খাও…….

আবির সহ সবাই অবাক হয়ে তাকালো..!!

আবিরঃ এই ডায়নি আমি কি রাক্ষস??যে তোর মত খাবো….আমি তো আস্তেই খাচ্ছি..!!

আহানিতা তেলে বেগুনে জ্বলে উঠে বললো……

—-কি আমি ডায়নি??তুই ডায়নি তোর ১৪গুষ্টি ডায়নি..!!

সবাই হা হয়ে তাকিয়ে আছে….আর সবাই সম্রাট, নিলয়….আর তিশা’র মা বাদে রেগে তাকিয়ে আছে……

তিশাঃ এই কি বললে তুমি আপু??১৪গুষ্টি ডায়নি মানে কি??১৪গুষ্টির ভেতরে যে আমি….আমার মতো মাসুম কিউট ভোলা ভালা….মেয়েটা আছে সেটা তোমার খেয়াল আছে??

আহানিতা দাত কেলিয়ে বললো..!!

—-সরি বোন মিস্টেক হয়ে গিয়েছে…….

সম্রাটঃ তুমি আর ভোলা ভালা??তাহলে তো হয়েই গেলো..!!

তিশা দাত কিড়মিড় করে বললো……

—-কি বলতে চাও তুমি??আমি ভোলা ভালা না??

সম্রাটঃ এই হলো তোমার ভোলা ভালার নমুনা..!!

সবাই হেসে দিলো তিশা রেগে তাকালো……

নিলয়ঃ ভাই এটা কিন্তুু ঠিক না….তুমি শুধু শুধু ভাবী কে জ্বালাচ্ছো..!!

তিশাঃ হ্যা নিলয় ভাইয়া….তুমিই একমাএ আমাকে বুঝলে…..

সম্রাট ভ্রু কুঁচকে তাকালো..!!

তিশাঃ তুমি আর মুখ খুলবে না……

সম্রাট বেচারা ভয় পেয়ে চুপ হয়ে গেলো..!!

রুপঃ ভাবা যায় অভি??আমাদের জিজু মাফিয়া জিজু….তার একমাএ বউ কে ভয় পায়……

আবির হেসে হেসে বললো..!!

—-আসলেই ভাবা যায় অভি??

অভি আর রুপ বিষম খেলো….আর সবাই শব্দ করে হেসে দিলো….নীল হাসতে হাসতে বললো……

—-তো মাম্মা ভাইয়ার বিয়ে কবে হচ্ছে??

অভিঃ ওই নীল কি বলছিস??

আবিরঃ ভাইয়া তুমি কিন্তুু একদম….নীল ভাইয়া কে আটকাবে না….এবার তোমার বিয়ে আমরা দেবো..!!

অভিঃ আর তুমি কবে বিয়ে করবে??এইযে আহানিতা কবে বিয়ে করছো??আর আমার আরো ২ভাই……

আরো ২ভাই বলতেই….নীল আর কল্লোল বিষম খেলো….তিশা আর সম্রাট হা করে আছে..!!

তিশাঃ মানে ওদেরও জিএফ আছে??

অভিঃ আমাদের নীল বাবুর জিএফ হচ্ছে….নীলা রহমান মেঘা….মানে মেঘ আর কল্লোল বাবুর……

কল্লোলঃ হে হে কেউ নেই আমার..!!

নীলঃ কল্লোল মিথ্যে কথা বলতে হয় না….তোর জিএফের নাম রিয়া রাইট??

তিশাঃ আর আমাদের নিলয় ভাইয়া??

নিলয় এতক্ষণ হাসছিলো….এবার চোখ বড় বড় করে তাকালো……

আবিরঃ নিলয় ভাইয়া বলে ফেলো..!!

নিলয়ঃ আমার কেউ নেই……

দাত কেলিয়ে বললো নিলয়..!!

সম্রাটঃ তাহলে আমরা মেয়ে দেখে….তোর ভাল জায়গায় বিয়ে করিয়ে দেবো……

নিলয় চেচিয়ে বলে উঠলো..!!

—-নোওওওওওও তাহলে দিয়া’র কি হবে??

বলে মুখে হাত দিলো….আর সবাই হেসে দিলো……

সম্রাটঃ এবার বলো বিয়ে কবে করছো??

আরশাল চৌধুরীঃ আমি ভাবছি একসাথেই সবার বিয়ে হবে..!!

তিশাঃ ওয়াও পাপা গ্রেট ডিসিশন…….

কনিকা চৌধুরীঃ হুম ভাল বলেছো..!!

এভাবেই মজা করতে করতে….সবাই ডিনার শেষ করলো….এখানে কয়েকদিন থেকে….তিশা’র পরিবারের সবাই ফিরে গেলো….দিন যেতে লাগলো ৪মাস চলে গেলো….এক এক করে সবাই বিয়ে করলো….ওদের জীবনে এখন কোনো দুঃখ নেই….ধুমধাম করেই সবাই বিয়ে করেছে….আফটার অল খাঁন আর চৌধুরী বলে কথা….নিলয়ে’র বউ দিয়া খুব ভাল….সময় পেলেই দিয়া আর তিশা….গল্প করতে বসে যায় নিলয় এখন অফিসে যায়…….

আরো ৩ মাস চলে গেলো….তিশা’র প্রেগন্যান্সির এখন ৮মাস চলে….আগের থেকে খিটখিটে হয়ে গিয়েছে তিশা….সবসময় রেগে থাকে সম্রাটে’র সাথে রেগে কথা বলে….এটা খাবোনা, ওটা খাবোনা….এটা করবো না, ওটা করবো না….রাত নেই দিন নেই….অনেক সময় রাত ৩টা নেই ৪টা নেই….উঠে খেতে চায় সম্রাট হাসি মুখে এনে দেয়….খেতে না খেতে আবার বমি করে দেয়….সম্রাট হাসি মুখে আগে তিশা কে ফ্রেশ করে….এরপর নিজে ফ্রেশ হয়ে নেয়..!!
.
.
.
.
.
.
তিশা মাঝে মাঝে খুব অবাক হয়….একজন মাফিয়া হয়েও সম্রাটে’র ধৈর্য্য দেখে….তিশা নিজেকে এখন লাকি মনে করে….যে জীবনে ও ভাল কিছু করেছে….যার জন্য ও সম্রাট কে নিজের….হাসবেন্ড হিসেবে পেয়েছে…….

দেখতে দেখতে তিশা’র….ডেলিভারীর দিন এগিয়ে আসছে….আর সম্রাটে’র ভয়টাও বাড়ছে….ভয়টা তিশা কে নিয়ে হয়….যেখানে ভয় তিশা’র পাবার কথা….সেখানে ভয় সম্রাট পায়….সম্রাটে’র চোখে ঘুম নেই….তিশা’র মুখের দিকে তাকিয়ে আছে..!!

সম্রাটঃ আল্লাহ প্লিজ তুমি দেখো….আমার জান আর আমার বেবী….দুজনেই যেন সেভ থাকে…….

হঠাৎ তিশা ঘুমের মাঝে….নিজের পেটে হাত দেয়….এপাশ ওপাশ করছে একসময়….জোরে চেচিয়ে ওঠে সম্রাট ভয় পেয়ে যায়..!!

সম্রাটঃ জান কি হলো ব্যথা করছে??

তিশাঃ সম্রাট আমার খুব ব্যথা করছে….আহ সম্রাট আমি মরে যাচ্ছি……

সম্রাট প্রচুর ঘামছে….চোখ ছলছল করছে তাড়াতাড়ি….তিশা কে কোলে নিয়ে রুম থেকে বেরিয়ে….নিলয় কে ডাকে ডাক শুনে….নিলয় আর দিয়া দুজনেই বেরিয়ে আসে….এরপর তিশা কে নিয়ে হসপিটালে চলে আসে….ডক্টর তিশা কে নিয়ে ওটিতে যায়….আজও সম্রাটে’র সাহস হচ্ছেনা ওটি করার….তিশা ব্যথায় চিৎকার করছে….যা ওটি ভেদ করে বাইরে আসছে….সম্রাটে’র মনে হচ্ছে কেউ ওর কলিজায়….ছুড়ি দিয়ে অনবরত আঘাত করছে….সম্রাটে’র চোখ দিয়ে পানি পড়ছে..!!

তিশা’র বাড়ির সবাই চলে এসেছে……

নিলয়ঃ ভাই ভাবীর কিছু হবে না..!!

সম্রাটঃ আমি যদি জানতাম….বেবী হওয়ার সময় জান এত কষ্ট পাবে….বিশ্বাস কর নিলয় তাহলে আমরা বেবী নিতাম না….প্রয়োজনে এডোপ্ট করতাম……

কাঁদতে কাঁদতে বলে সম্রাট….সবাই অবাক হয়ে যায়….তিশা’র প্রতি সম্রাটে’র ভালবাসা দেখে….একটুপরেই বাচ্চার কান্নার আওয়াজ এলো….আর সবকিছু স্তব্ধ হয়ে গেলো….সম্রাটে’র হাত পা কাঁপছে এখন….নার্স সাদা কাপড়ে পেচিয়ে….একটা ফুটফুটে বেবী কে নিয়ে এসে বললো..!!

—-বেবীর বাবা কে??

সম্রাট এগিয়ে এসে বললো……

—-আমার ওয়াইফ কেমন আছে??

এবারও সবাই অবাক হলো….নার্স বুঝলো সম্রাট’ই বেবীর বাবা….তবে অবাক হলো বেবী কে না নিয়ে….আগে ওয়াইফ কেমন আছে জানতে চাইছে..!!

নার্সঃ আপনি বেবী কে নেবেন না??

সম্রাটঃ আগে বলুন আমার ওয়াইফ কেমন আছে??

নার্স হেসে দিয়ে বললো…….

—-স্যার আপনার ওয়াইফ….একদম ঠিক আছে এবার….আপনার ছেলে কে কোলে নিন..!!

সম্রাট একটা সস্তির নিঃশ্বাস ফেলে….কাঁপা হাতে বেবী কে কোলে নিলো….খুশিতে ওর চোখে পানি চলে এলো….বেবীর সারা মুখে চুমু খেলো….সবাই বেবী কে কোলে নিচ্ছে….একটুপর ডক্টর বললো তিশা কে কেবিনে দিয়েছে….সম্রাট বেবী কে নিয়ে তিশা’র কাছে গেলো….তিশা তখন তাকিয়েই ছিলো……

তিশাঃ আমার বেবী ওকে দাও..!!

সম্রাট তিশা’র কাছে বেবী দিলো….তিশা বেবী কে কোলে নিয়ে….অজস্র চুমু খেলো এক নিমিষে….সব কষ্ট ভুলে গেলো বেবী কে….বুকের সাথে হালকা ভাবে মিশিয়ে রেখেছে….এমন সময় কেবিনে একজন….মাস্ক পরিহিত ডক্টর এসে বললো……

—-মিস্টার খাঁন এই মেডিসিন লাগবে..!!

সম্রাট ঠিকমত না দেখেই….লোকটার হাত থেকে পেসক্রিপশন নিয়ে….সম্রাট বাইরে চলে এলো….এদিকে সম্রাট বাইরে আসতেই….লোকটা তিশা কে একটা ইনজেকশন দিয়ে দিলো….তিশা সাথে সাথে ঢলে পড়লো….লোকটা তিশা’র বেবী কে কোলে নিলো….সম্রাট বাইরে এসে পিসক্রিপশন দেখে….অবাক হয়ে গেলো কি মনে করে….দৌড়ে আবার কেবিনে চলে গেলো….কেবিনে গিয়ে দেখলো তিশা ঢলে পড়ে আছে….আর লোকটা কেবল জানালা দিয়ে নামতে গিয়েছে….সম্রাট গিয়ে ধরে ফেলে সবাই কে ডাকে……
.
.
.
.
.
.
ডাক শুনে সবাই ভেতরে চলে আসে….এসে দেখে এই অবস্থা….সম্রাট বেবী কে নিয়ে দিয়া’র কোলে দেয়….আর লোকটাকে ইচ্ছে মতো মারতে থাকে….মারতে মারতে মাস্ক খুলে ফেলে..!!

সম্রাটঃ আসলাম তুই??

আসলামঃ হ্যা আমি ছাড় আমাকে…….

সম্রাটঃ তোকে কি করে ছাড়বো??আমার বেবী চুরি করতে এসেছিস….এত বড় কলিজা তোর??তোর কলিজাটা তো আমি দেখবো..!!

এরপর রিয়াজ কে ফোন দেয়….রিয়াজ এসে আসলাম কে নিয়ে যায়….সম্রাট তিশা কে গিয়ে দেখে বোঝে….তিশা সেন্সলেস হয়ে গিয়েছে….এই সুযোগে সম্রাট চলে যায়……

চেয়ারে শিকল দিয়ে বেধেছে আসলাম কে….সামনে চেয়ারে বসে আছে সম্রাট….মুখে শয়তানি হাসি সম্রাটে’র….আসলাম ভয় পাচ্ছে কিন্তুু প্রকাশ না করে বললো..!!

—-সম্রাট আমাকে ছাড় বলছি….তুই আমার ভাই কে মেরেছিলি….তাই আমি তোর ছেলে কে চুরি করে….তোকে শাস্তি দিতে চেয়েছি…….

সম্রাটঃ তোর সাহস কি করে হলো??তুই আমার সদ্য জন্ম নেয়া….ছেলে কে চুরি করতে এসেছিস??তুই ভুলে গিয়েছিলি আমি একজন ডক্টর….তোকে আমি ভয়ংকর মৃত্যু দেবো….তোর ভাই কে বলেছিলাম….যেন আমার থেকে দুরে থাকে….তোর ভাই উঠে পড়ে লেগেছিলো….দুনিয়ার সামনে আমার চেহারা দেখাতে….আমার অবাধ্য হয়েছে তাই ওকে মেরেছি….এবার তোর পালা আসলাম..!!

সম্রাট আসলাম কে ওর স্টাইলে….মেরে ফেললো এরপর রিয়াজ কে….লাশ গুম করতে বলে হসপিটালে গেলো….২দিন পর তিশা কে বাড়ি নিয়ে এলো….বেবী পেয়ে সবাই খুব খুশী….সম্রাট তো ছেলে ছাড়া পাগল….একদিকে তিশা তো আরেকদিকে ছেলে….ছেলের নাম রাখা হলো আরিয়ান খাঁন……

৭বছর পর..!!

আজ আবিরে’র মেয়ে….সিনথিয়া’র ১বছরের জন্মদিন….সবাই অনেক মজা করছে….অভি’র ১ছেলে নাম বিহান বয়স ৫বছর….নীলে’র ও ১ছেলে নাম রাজ বয়স ৫রানিং….কল্লোলে’র ১টা মেয়ে নাম উপমা….উপমা’র বয়স ৪বছর….নিলয়ে’র ও ১ মেয়ে নাম আদ্রিতা বয়স ৫বছর….আরিয়ান হিরোর স্টাইল করে হাটছে….হঠাৎ ওর মেজাজ গরম হয়ে গেলো….আদ্রিতা কে আরেকটা ছেলের সাথে কথা বলতে দেখে….গিয়ে ইচ্ছেমতো আদ্রিতা কে বকলো….বকা খেয়ে বেচারী ভ্যা ভ্যা করে কেঁদে দিলো….তিশা আর দিয়া চলে এলো……

দিয়াঃ আদ্রিতা কি হয়েছে??

আদ্রিতাঃ ভাইয়া বকেছে..!!

তিশাঃ আরিয়ান কেন বকেছো??

আরিয়ানঃ মাম্মী ও ওই ছেলেটার সাথে কথা বলেছে….

তিশাঃ তো কি হয়েছে??

আরিয়ান রেগে বললো..!!

—-ও শুধু আমার সাথে কথা বলবে…..

বলে হনহন করে চলে গেলো….দিয়া হেসে দিয়ে বললো..!!

—-ভাবী দেখো আরিয়ান বড় হয়ে….সম্রাট ভাইয়ার দ্বিগুন রাগী হবে……

১৫বছর পর..!!

ভার্সিটি থেকে সবাই ঘুরতে এসেছে….আরিয়ান আর আদ্রিতা ও এসেছে….ওরা একই ভার্সিটিতে পড়ে….আদ্রিতা অনার্স ফার্স্ট ইয়ারে পড়ে….আর আরিয়ান ফাইনাল ইয়ারে….আসলেই আরিয়ান সম্রাটে’র চেয়ে দ্বিগুন রাগী….আর স্টাইল, চেহারা ও সম্রাটে’র মতো….এক কথায় হ্যান্ডসাম, ড্যাসিং….আদ্রিতা ও মাশা আল্লাহ দেখতে….আরিয়ান একপাশে ক্যামেরা দিয়ে ছবি তুলছে….এরমাঝে ওর চোখ গেলো….আদ্রিতা হেসে হেসে ওরই ইয়ারের….রাফি’র সাথে কথা বলছে….সাথে সাথে আরিয়ানে’র রাগ উঠে গেলো….রাফি আদ্রিতা’র হাত ধরলো….এবার আর আরিয়ানে’র সহ্য হলো না….সবার সামনে গিয়ে আদ্রিতা কে কিস করলো….সবাই হা করে তাকিয়ে আছে….আদ্রিতা শকড হয়ে গিয়েছে….আরিয়ান আদ্রিতা কে ছেড়ে বললো……

—-আজকের পর কোনো ছেলের সাথে কথা বললে….এর থেকে বেশী কিছু হবে মাইন্ড ইট..!!

আরিয়ানে’র সামনে একজন এসে বললো…….

—-তুমি মাফিয়া সম্রাট খাঁনে’র ছেলে না??

আরিয়ানঃ ইয়েস আই এম আরিয়ান খাঁন….বাট আই এম নট মাফিয়া….আই এম Villain….#The_Villain_Lover..!!

বলে আরিয়ান বাঁকা হাসলো…….

আরিয়ান খাঁন সম্রাট খাঁনে’র ছেলে….সম্রাটে’র কার্বন কপি….রাগটা সম্রাটে’র চেয়ে বেশী..!!

#The_End….♥♥

[আমার গল্পে নাকি ইমোজির বাহার….কমেন্টটা পড়ে ৩সেকেন্ড বেহুশ ছিলাম….🐸অনেকে ভালবাসা দিয়েছেন….তার জন্য অনেক ধন্যবাদ….😍😍😍]

রিত্তিকঃ সামান্তা আমার ভালবাসা….সামান্তা আমার জীবন ড্যাড….সামান্তা আমার #জীবন_মরনের_সাথী….বাঁচতে হলে একসাথে বাঁচবো….মরতে হলে একসাথে মরবো..!!

সামান্তাঃ রিত্তিক আমার জীবন….রিত্তিক আমার পৃথিবী….বাঁচতে হলে একসাথে বাঁচবো….মরতে হলে একসাথে মরবো….কারন রিত্তিক আমার #জীবন_মরনের_সাথী পাপা……

পরিবার থেকে মেনে না নেওয়া….একটি ভালবাসার গল্প….কি হবে এর শেষ পরিনাম??

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here