#তুই_শুধু_আমার 💕
#Nusrat_Jahan_Bristy
#Part_13
আজকে নতুন সাজে সেজেছে চৌধুরী ভিলা। চারিদিকে আলোয় আলোয় ভরে গেছে। সাঈদ অবাক হয়ে বলে।
–ভাইয়া আমি তো কিছুই বুঝতে পারছি না হঠাৎ করেই বাড়ি এমন ভাবে সাজানো হলো কেন?
–সেটা তো আমিই বুঝতে পারছি না।
–আজকে কি জিসার বার্থডে নাহ আজকে তো জিসার বার্থডে নাহ তাহলে। ভাইয়া আজকে তো তোমার আর রুহির এনগেজমেন্ট ছিলো তার মানে।
জিসান সাঈদের সাথে পর কোনো কথা না বলেই দৌঁড়ে বাড়ির ভিতরে ডুকে। জিসানের পিছনে সাঈদও দৌঁড়ে বাড়ির ভেতরে যায়।
জিসান বাড়িতে ডুকে দেখে চারিদিকে মানুষ ভর্তি। ঘরটা নানা রকম বাহারি ফুল দিয়ে সাজানো হয়েছে অনেক সুন্দর করে।
সালিহা বেগম জিসানকে দেখে সাথে সাথে জিসানের কাছে আসে।
–জিসান?
–মা এসব কি?
–কিসব?
–কিসব মানে বাড়ি এমন ভাবে সাজানো হয়েছে কেন?
–আচ্ছা সব জানবি আগে তুই এই ড্রেসটা পড়ে আয়।
–মা তুমি কি পাগল হয়ে গেছে আমি কেন এসব পড়বো?
–জিসান এখানে অনেক মানুষ তাই প্লিজ এমন কিছু করিস না যাতে আমাদের ওয়েট লস হয়। তাই তাড়াতাড়ি করে এই ড্রেসটা পড়ে আয়।
–কিন্তু মা।
–কোন কিন্তু না।
সালিহা বেগম জিসানের আর কোনো কথা না শুনে এখান থেকে চলে যায়। সাঈদ জিসানের পাশে এসে বলে।
–ভাইয়া কি হচ্ছে এসব?
–আমি কিছুই বুঝতে পারছি না। আমাকে সব জানতে হবে কি হচ্ছে এখানে?
জিসান নিজের ঘরে চলে যায় গিয়ে দেখে ইশা ঘরে নেই।
–ইশু কোথায় গেল?
জিসান তাড়াতাড়ি করে নিচে নেমে জিসাকে খুজতে থাকে। জিসান জিসাকে কিছুক্ষণ খুজার পরেই জিসাকে পেয়ে যায়।
–জিসা ইশু কোথায়?
–আছে হয়তো কোথাও খুজে দেখো!
–খুজে দেখবো মান! তুই জানিস না ও কোথায় আছে?
–ভাইয়া আমার না একটু কাজ আছে। তোমার সাথে পরে এ নিয়ে কথা বলবো আর তুমি তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে নিচে নামো। না হলে মা খুব রাগারাগি করবে।
জিসা জিসানের কাছ থেকে চলে যায়। জিসান মুদৃ স্বরে চিৎকার করে বলে।
–কি হচ্ছে এসব এই বাড়িতে?
____
জিসান নিজের ঘরে বসে আছেঙ সারা বাড়ি খুজেছে কিন্তু ইশাকে পেলো না কোথাও। জিসান দীর্ঘ নিঃশ্বাস ছেড়ে চিৎকার করে বলে।
–তুই কি সত্যি আমাকে ছেড়ে চলে গেছিস ইশু। কেন চলে গেলি তুই আমাকে ছেড়ে? কি দোষ করেছি আমি যে তুই আমাকে ছেড়ে চলে গেছিস!
সালিহা বেগম জিসানের চিৎকার শুনে জিসানের ঘরে আসে। ঘরে ডুকে রাগী কন্ঠে বলে।
–জিসান কি হচ্ছে টাকি এসব এভাবে চিৎকার করছো কেন? বাড়ি ভর্তি মানুষ ওরা কি ভাববে বলতো!
জিসান স্থির কন্ঠে বলে।
–মা ইশু কোথায়?
–ও কোথায় মানে আছে হয়তো এখানে?
জিসান আবারও চিৎকার করে বলে।
–আছে হয়তো এখানে মানে কি? আমি সারা বাড়ি খুজেছি ও কোথাও নেই।
–জিসান আমি তোমার মা হই তাই চিৎকার করে তুমি আমার সাথে কথা বলতে পারো না।
জিসান কান্না জড়িত কন্ঠে বলে।
—মা প্লিজ এমন করো না আমার সাথে? আমার ইশু কোথায় আছে প্লিজ মা বলো।
–জিসান তুমি তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে নিচে এসো সবাই তোমার জন্য অপেক্ষা করছে আর আমি যেন আবার এসে না দেখি তুমি রেডি হও নি। আর মনে রেখো এটা আমাদের পরিবারের সম্মানের ব্যাপার তাই প্লিজ এমন কিছু করো না যাতে করে আমাদের সম্মানহানি হয় মনে রেখোআমার কথা গুলো।
সালিহা বেগম চলে যায়। জিসান ফ্লোরে হাটু ঘেড়ে বসে বলে।
–ইশু তুই আমাকে এতটাই ঘৃনা করিস যে আমাকে না বলেই চলে গেলি আমাকে ছেড়ে। ছেড়ে তো চলে গেলি কিন্তু এটা করে কেন গেলি তুই? রুহিকে কেন তুই আমার জীবনে আনলি কেন? এই অধিকারটা তোর নেই আমার জীবনের বিষয়ে সিন্ধান্ত নেওয়ার। আমি কিছুতেই রুহিকে মানতে পারবো না কিছুতেই না শুধু আজকেই আমি সব কিছু মেনে নিবো কিন্তু এর পরে আমি এই রুহি নামক কাটা’টা উবড়ে ফেলব। এবার তুই আমার আসল রুপটা দেখবি ইশা তোকে আমি খুজে তো বের করবোই।
এদিকে জিসাকে হঠাৎ করে কেউ একজন হাত ধরে টান মেরে একটা ঘরে নিয়ে যায় আর দেয়ালের সাথে চেপে ধরে রাগী গলায় বলে।
–এত সাজার মানে কি হুম? নিজের রুপ দেখিয়ে ছেলেদের পাগল করা নাকি।
–কি করছো কি সাঈদ ভাইয়া আমার খুব লাগছে হাতে?
–এভাবে সেজেছিস কেন তুই আজকে? আমি তোকে বলেছি না এভাবে কখনো সাজবি না?
–সাঈদ ভাইয়া আমি আ… স…. লে
জিসার খুব ভয় হচ্ছে সাঈদকে দেখে রাগে চোখ গুলো লাল হয়ে গেছে। সাঈদ দাঁতে দাঁত চেপে বলে।
–তুই কি বুঝতে পারছিস না তোর দিকে ছেলেরা কিভাবে তাকিয়ে আছে সেটা আমার একদম সহ্য হচ্ছে না। তোকে শুধু আমি দেখবো শুধু আমি আর কেউ না। তোর উপর শুধু আমার অধিকার আছে শুধু আমার কারন #তুই_শুধু_আমার💕 বুঝলি আমার কথাটা।
জিসা মিনমিনিয়ে বলে।
–হুম…..
–গুড গার্ল।
সাঈদ জিসার উনমুক্ত কোমড় হাত রেখে নিজের কাছে টেনে নেয়। দুজনের মাঝে একটুও ফাঁকা নেই। এক জনের নিঃশ্বাস আর একজনের মুখের উপর পরছে। সাঈদের ছোঁয়াতে জিসার সারা শরীর কেপে উঠছে। শরীরের সারা লোপ দাঁড়িয়ে গেছে। সাঈদ জিসার কপালে পড়ে থাকা চুল গুলো ফু দিয়ে সরিয়ে দেয়। জিসা নিজের চোখ গুলো বন্ধ করে নেয় আবেশে।
____
জিসান দাড়িয়ে আছে সবার মাাঝে মনমরা হয়ে। জিসানের পাশেই সাঈদ দাড়িয়ে আছে। জিসানকে আজকে একে বারে কিউটের ডিব্বা লাগছে এই লুকে। সাদা শার্টের উপরে কালো কোর্ট হাতে রোলেক্স ঘড়ি চুল গুলো বাতাসে উড়ছে। জিসান তেমন ভাবে কিলার লুক দেয় নি যেই লুকটা দিলে সব মেয়েরা জিসানকে দেখে ক্রাস খায়। কিন্তু তাতেও সব মেয়েদের নজর শুধু জিসানের উপর। কিন্তু জিসানের সে দিকে খেয়াল নেই সে তো ইশার ভাবনাতে ডুবে আছে। হঠাৎ করেই সবার নজর যায় সিঁড়ির উপরে দিকে কিন্তু জিসানের নজর স্থির হয়েই আছে। সাঈদের ডাকে জিসানের ধ্যান ফিরে।
–ভাইয়া উপরে তাকিয়ে দেখো।
জিসান উপরে তাকিয়ে যা দেখে তাতে জিসানের মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়েয জিসান ভীষন অবাক চোখে তাকিয়ে থাকে সিঁড়িতে থাকা মানুষটার দিকে।
#চলবে