#তুই_শুধু_আমার 💕
#Nusrat_Jahan_Bristy
#Part_28( রহস্যভেদ পর্ব)
বাড়ির সবাই জিসানের ঘরে এসে দেখে ইশা মেঝেতে বসে কান্না করছে।
–ভাবি কি হয়েছে? ভাইয়া এভাবে বাড়ির বাইরে চলে গেলো কেন??
–ইশা কি হয়েছে? তোরা নিজেদের মাঝে সব ভুল বোঝাবুঝি মিটিয়ে নিছিস না কেন? আমার আর এই অশান্তি ভালো লাগছে না পাঁচ টা বছর আমার ছেলেটা অনেক কষ্ট পেয়েছে তোর জন্য এবার প্লিজ তুই এমন কিছু করিস না যাতে করে আমার ছেলেটা আরো কষ্ট পায়।
ইশা ভাঙ্গা গলায় বলে।
–মামনি আমি ওাকে কষ্ট দিতে চাই নি কিন্তু ওই রুহি।
সালিহা বেগম ইশার কথা শুনে রেগে বলেন।
–চুপ কর! রুহি যাই করুক না কেন তোর নিজের ভালোবাসার প্রতি যদি বিশ্বাস থাকতো তাহলে তুই আমার ছেলেটাকে ছেড়ে যেতে পারতি না।
ইশা বসা উঠে দাঁড়ায়। নিজের চোখের পানি মুছে বলে।
–মামনি আমি জানি আমি মস্ত বড় ভুল করে ফেলেছি। কিন্তু আমি এবার সব ঠিক করে দিবো তোমাকে কথা দিলাম।
–আমার ছেলের যদি কিছু হয় ইশা তাহলে কিন্তু আমি তোকে ক্ষমা করবো না এবার।
–না মামনি ওনার কিছু হতে দিবো না আমি।
সালিহা বেগমকে কথাটা বলে জিসার দিকে ফিরে বলে।
–জিসা আমি সবকিছু জানতে চাই ওই দিন রাতে পার্টির পর কি হয়েছিল?
–ভাবি প্লিজ তুমি শান্ত হও না হলে তুমি অসুস্থ হয়ে যাবে।
–নাহ জিসা আমি শান্ত হতে পারবো না। আমাকে সব কিছু জানতে হবে তুমি আমাকে প্লিজ বলো.।
–মা তুমি প্লিজ রিহি আর ইশানের কাছে যাও আমি ভাবির কাছে আছি।
–রিহি রিহি কে?
–আমার আর সাঈদের সন্তান ভাবি।
–তার মানে ওই দিন জিসার ডেলিভারি হয়েছিল আর আমি কি না।
ইশা মনে মনে বলে জিসাকে বলে।
–জিসা প্লিজ বলো আমাকে কি হয়েছিল ওই দিন?
— তুমি যখন পার্টি থেকে চলে গিয়েছিলে ভাইয়া তোমাকে খুজতে থাকে , কিন্তু তোমাকে কোথাও পাই নি পার্টিতে তাই তোমাদের ঘরে যায় ভাইয়া তোমাকে খুজতে। ঘরে গিয়ে ভাইয়া একটা চিঠি দেখতে পায় চিঠিটা পড়ে জানতে পারে তুমি এই বাড়ি ছেড়ে চলে গেছো। ভাইয়া তোমরা নাম ধরে জোরে একটা চিৎকার করে। আমরা সবাই ভাইয়ার এমন চিৎকার শুনে ভাইয়ার কাছে যাই। আমাদের সাথে ওই রুহিও যায়। ঘরে গিয়ে দেখি ভাইয়া হাটু ভাজ করে মেঝেত বসে আছে বাম হাতে চিঠিটা নিয়ে। আমরা কেউ সাহস পাচ্ছিলাম না ভাইয়ার কাছে যাওয়ার কিন্তু ওই বজ্জাত রুহি ভাইয়ার কাছে গিয়ে বলে।
অতিত….
–জান কি হলো? তুমি এভাবে বসে আছো কেন? নিচে চলো সবাই আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে আর ওই থার্ড ক্লাস মেয়েটা চলে গেছে তো কি হয়েছে? আমি আছি তো আমি তোমাকে ওর থেকেও দ্বিগুন ভালোবাসবো। তখন তুমি ওকে ভুলে যাবে একদম।
রুহির কথাটা বলতে দেরি হলো কিন্তয় জিসান রুহিকে থাপ্পড় মারতে দেরি হলো না।
–তোমার সাহস কি করে হলো আমার ইশুকে থার্ড ক্লাস বলার।
–জিসান তুমি আমাকে মারলে।
গালে হাত দিয়ে বলে।
–হে মারলাম! কি ভেবেছিলে তুমি আমি চুপ করে সব কিছু সহ্য করে নেবো কিন্তু আর না অনেক করেছি সহ্য। এবার তোমার পালা কি করে তোমাকে শুধরাতে হয় হয় আমার খুব ভালো করে জানা আছে। কিন্তু তার আগে আমাকে ইশুকে খুজে বের করতে হবে, না জানি ও কোথায় চলে গেছে?
জিসান কথাটা বলে তাড়াতাড়ি করে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। জিসান সারা শহর ইশাকে খুজে বেড়ায় কিন্তু কোথাও পাই নি।
জিসান রাত দুটোর দিকে বাড়িতে ফিরে। জিসানকে দেখেই সালিহা বেগম বলেন।
–জিসান ইশা কোথায় ওকে খুজে পাস নি?
–আমি ইশাকে খুজে পাই নি মা ও আমার জীবন থেকে চলে গেছে মা। আমি কি করে থাকবো ওকে ছেড়ে।
এর মাঝে রুহি জিসানের সামনে এসে রাগী গলায় বলে।
–জিসান তোমার সাহস কি করে হলো আমাকে অপমান করার? সবার সামনে দিয়ে তুমি পার্টি থেকে চলে গেছো বুঝতে পারছো তুমি আমার কতটা ফেইস লস হয়েছে।
–চুপ একদম চুপ! আজকে যা কিছু হয়েছে শুধু মাত্র তোমার জন্য, তোমার জন্য আমার ইশু আমাকে ভুল বুঝে চলে গেছে তোমাকে আমি ছড়বো না।
–জিসান তুমি কিন্তু ভুলে যাচ্ছো আমি কি করতে পারি!
–কি করবে তুমি? সব ফাঁস করে দিবে আরে তুমি কি ফাঁস করবে আগে তো তুমি নিজেকে বাঁচাও তারপর না হয় সব ফাঁস করার কথা বলো আর কি পাশ করবে তুমি ওই ছবিগুলো ওকে ফাঁস করে দাও।
–জিসান এবার কিন্তু তুমি বাড়াবাড়ি করছো।
–বাড়াবাড়ি কি দেখেছো তুমি?
–জিসান তুমি তোমার কথা রাখো নি। তুমি বলেছিলে আমাদের বিয়ের কথা সবার সামনে আজকে বলবে কিন্তু তুমি ওই থার্ড ক্লাস মেয়েটাকে খুজতে চলে গেছো। বুঝতে পারছো তোমার এই ভুলের মশুল তোমাকে কিভাবে গুনতে হবে?
জিসান বিদ্রুপের স্বরে বলে।
–বিয়ে তোমার মতো মেয়েকে এই জিসান চৌধুরী বিয়ে করবে কি করে ভাবলি তুমি আর তুমি যেই ছবিগুলো দিয়ে আমাকে ব্ল্যাকমেল করেছিলে সেই ছবি গুলো এখন আমার কাছে।
–কিহ?
রুহি তাড়াতাড়ি করে নিজের ফোন চেক করে দেখে জিসানের কলার ধরে বলে।
–নাহ এটা কিছুতেই হতে পারে না। তুমি আমার সাথে প্রতারণা করেছো জিসান।
–প্রতারণা হে আমি প্রতারণস করেছি আর সেটা তোমার কাছ থেকেই শিখেছি রুহি।
রুহির হাত কলার থেকে ছাড়িয়ে বলে।
–না না আমি কিছুতেই হারতে পারি না এটা কি করে সম্ভব?
–সব কিছুই সম্ভব রুহি। তুমি কি ভেবেছিলে সব কিছু তোমার হাতে, নাহ কিছুই তোমার হাতে ছিলো না আমি জাস্ট তোমার সাথে অভিনয় করেছিলাম সব কিছু জানার জন্য আর আমি সেটাতে সফলও হয়েছি।
সালিহা বেগম চিৎকার করে বলেন।
–এসব কি হচ্ছে জিসান?
–সব খুলে বলছি মা তোমাকে। এবার সবাইকে এটা জানাতেই হবে আরো বেশি দেরি হওয়ার আগে। ওই দিন সকালে উঠে দেখি আমার ফোনে একটা মেসেজ আসে আর সাথে একটা ছবিও ছিলো যেটা দেখে আমার মাথায় রক্ত উঠে যায়।
“মিস্টার জিসান চৌধুরী তুমি যদি নিজের বউকে অসম্মানের হাত থেকে বাঁচাতে চাও তাহলে এই ঠিকানাতে তাড়াতাড়ি চলে আসো। আর না হলে যেই ছবিটা দিয়েছি এটা ভাইরাল করে দিবো তখন আপনার স্ত্রী হয়তো ফেমাস হয়ে যাবে। আপনার স্ত্রী যখন রাস্তায় বের হবে তখন মানুষ জন অনেক কিছু বলবে। তখন হয়তো কথা গুলো শুনতে আপনার একদম সহ্য হবে না।”
জিসান মেসেজটা দেখে ফ্রেশ হয়ে তাড়াতাড়ি করে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। জিসান যতোটা সম্ভব তাড়াতাড়ি গাড়ি ড্রাইভ করে একটা হোটেলে আসে। জিসান হোটেলে ঢুকে দু তলার একটা ঘরে ঢুকতেই বলে।
–ওয়েল কাম মিস্টার চৌধুরী! আপনারেই অপেক্ষায় ছিলাম এতোক্ষণ।
–কে তুমি এসব করার মানে কি?
জিসান মানুষটার মুখটা দেখতে পায় নি উল্টো দিকে ঘুরে বসে থাকার কারনে। কিন্তু যখনেই মানুষটা জিসানের দিকে ফিরে তাকায় মানুষটাকে দেখে জিসান ভীষণ অবাক হয়।
–রাহুল তুই এখানে?
–হে আমি কি ভেবেছিলি তুইআমাকে জেলে আটকে রাখবি। আসলে আমি োতর মতো এত বোকা না বুঝলি আমি যদি তোর জায়গাতে থাকতাম তাহলে সেখানেই আমি আমার দুশমন কে মেরে ফেলতাম। কিন্তু তুই এসব না করে আমাকে পুলিশের কাছে ধরিয়ে দিয়ে ভীষণ বড় ভুল করে ফেলেছিস। তুই কিন্তু জানতি যে আমি পুলিশের কাছ থেকে ছাড়া পাবোই তাও তুই আমাকে পুলিশে কাছে ধরিয়ে দিলে। যাক গে ওই সব কথা বাদ দিলাম আসল কথায় আসি আমরা।
–আসল কথা কিসের আসল কথা?
–আরে অস্থির হোস না এতো তুই। আগে তো দেখ আমার সাথে কে আছে? রুহি রুহি দেখো তোমার আশিক চলে এসেছে।
রুহি অন্য ঘর থেকে বের হয়ে আসে। জিসান ভীষণ অবাক হয় রাহুল আর রুহিকে এক সাথে দেখে। রাহুল বাকা হেসে বলে।
–ভীষণ অবাক হচ্ছিস তাই না আমাদের দুজনকে একসাথে দেখে। অবাক হওয়ারেই কথা আসলে কি বল তো রুহি চায় তোকে আর আমি চাই ইশাকে। তাই আমরা দুজন মিলে একটা গেইম সাজিয়েছি তোর জন্য গেইমটা পছন্দ হয় নি তোর।
জিসান ভ্রু কুচকে বলে।
–গেইম কিসের গেইম?
–আরে জান এত হাইপার হই না। আসলে তোমার আদরের বউয়ের কিছু ছবি আছে আমাদের কাছে যেটাতে দেখা যাচ্ছে ও রাহুলের সাথে আষ্টেপৃষ্টে আছে। তোমাকেও তো একটা ছবি পাঠিয়েছি তাই না তুমি তো নিশ্চয়ই দেখেছো ছবিটা। এসব ছবি আমাদের কাছে আরও অনেক আছে জান। চাইলে আমরা এই সব ছবি গুলো নেটে ছেড়ে দিতে পারি। কিন্তু আমরা তা করবো না আবার করতেও পারি যদি তুমি আমাদের কথা মতো না চলো। যদি একবার এই ছবিগুলো নেটে ছেড়ে দেই তাহলে কি হবে বলতো সারা দেশ জেনে যাবে যে জিসান চৌধুরীর বউ বাইরে পরকিয়া করে বেড়ায়। তখন তোমারেই তো ফেইস লস হবে আর সেটা তুমি নিশ্চয়ই চাইবে না তাই না সোনা।
রুহির কথা শুনে জিসান দাঁতের চোয়াল শক্ত করে বলে।
–রুহি আমার ইশুর নামে আর একটা বাজে কথা বলবে না তার ফল কিন্তু ভালো হবে না।
–এখন তো আমরা বাজে কথা বলছি তারপর যখন চারিপাশের লোকজন বাজে কথা বলবে তখন কি তাদের মুখ তুমি বন্ধ করতে পারবে?
জিসান শান্ত গলায় বলে।
–কি করতে হবে আমাকে?
রাহুল টেবিলে টোকা দিয়ে বলে।
–এইতো প্লাস পয়েন্টে এসেছিস।
রুহি পায়ের উপরে পা তুলর বলে।
–তোমাকে ইশাকে কষ্ট দিতে হবে আর আমাকে তোমার বাড়িতে নিয়ে যেতে হবে আর আমার আর তোমার বিয়ের কথা বলতে হবে পার্টি রেখে।
–ঠিক আছে তাই হবে। কিন্তু আমার ইশার যেন কোনো ক্ষতি না হয়।
রাহুল ম্লান হেসে বলে।
–হবে না ইশার কোনো ক্ষতি। ওর ক্ষতি হলে আমার কি হবে বল???
এভাবে রুহি চৌধুরী বাড়িতে আসে। রুহি এই বাড়িতে আসার পর এক দিন রাতেয জিসান রুহিকে ড্রিংক করায়। যাতে করে রুহি সব সত্যি কথা বলতে পারে। রুহি মাতাল হয়ে বলে।
–সোনা তুমি আমাকে ছেড়ে আর কখন যাবে না তো আর ওই ইশার কাছে।
জিসান না চাওয়া সত্ত্বেও দাঁতে দাঁত চেপে বলে।
–না রুহি আমি আর ইশার কাছে ফিরে যাবো না।
–সত্যি বলছো তো।
–হে! আমি বুঝে গেছি তুমিই হলে আমার আসল ভালোবাসা আর ইশা হলো শুধু মাত্র আমার মোহ।
রুহি বোকার মতো হাসতে হাসতে বলে।
–জান একটা কিস করো না প্লিজ।
–হে করবো তো তার আগে তোমাকে আমায় সব বলতে হবে।
–কি বলবো?
–কি করে তোমার আর রাহুলের দেখা হয়েছে?
রুহি জিসানের গায়ে টলতে টলতে বলে।
–তোমাকে তো বলতেই পারি তুমি তো আমাকে ভালোবাসো তাই না। কিন্তু এসব কথা শুধু তোমাকে বলবো তুমি কিন্তু কাউকে বলবে না।
–না না কাউকে বলবো না তোমার আর আমার মাঝে এসব কথা থাকবে।
–ওই দিন আমি একটা রেস্টুরেটে যাই আর পাশের টেবিলেই রাহুল বসে কার সাথে ফোনে কথা বলছি। রাহুল ফোনে বলছিল কি জানো?
–কি বলছিল?
ও বলছিলো…….
__________
অতিত….
–এটা কি করে করতে পারলি তুই ইশাকে তুলে আনতে পারলি না আর উল্টো ইশাকে আঘাত করলি। এখন আমি বসকে কি বলবো?
–বস আমি আঘাত করে নি। ওই ছান্দু আঘাত করছে আর ছান্দুকে বস গুলি করে দিয়েছে ম্যাডামের গায়ে হাত দেওয়ার জন্য।
–কি বলছিস কি তুই বস ওকে মেরে দিয়েছে ওকে।
–হে বস। এখন আপনাকে কিছু করতে হবে না হলে বস আপনাকেও গুলি করবে।
–তুই রাখ এখন ফোনটা আমি পরে কথা বলবো তোর সাথে।
রাহুল কিছু বুঝতে পারছে না কি করে নিজেকে সেইফ করবে।রাহুলের সামনে এসে তখন একটা মেয়ে বসে সে আর কেউ না রুহি।
–হাই আমি রুহি আমি কি আপনাকে কোনো হেল্প করতে পারি??
রাহুল ভ্রু কুচকে বলে।
–না কোনো হেল্প করা লাগবে না আপনাকে।
রাহুল চলে যেতে চাইলে রুহির একটা কথা শুনে আবারও চেয়ারে বসে পড়ে বলে।
–কি বললেন আপনি?
–হে আমি ইশাকে চিনি আর আমি চাইলে ইশাকে আপনার কাছে এনেও দিতে পারি। কিন্তু আপনাকে অল্প কিছুটা আমাকে হেল্প করতে হবে।
–এতে আপনার কি স্বার্থ?
–আমার স্বার্থটা হলো জিসানকে আমার চাই।
–ওওও তাহলে আপনেই সেই জন যে জিসানের প্রেমিকা।
–মানে।
-আসলে ইশার সাথে আমার রিলেশন ছিলো কিন্তু সেটা আমি ধরে রাখতে পারি নাই।
–ওয়াও তাহলে তো আরও ভালো হলো।
–কেমন ভালো?
–দেখন নিশ্চয়ই আপনার কাছে ইশার কিছু ছবি আছে।
–হুম তা আছে।
___________
–আর তখনেই আমরা এই প্লান করি দুজন মিলে।
রুহি পুরোপুরি মাতাল হয়ে গেছে। নিজের উপর কন্ট্রোল হারিয়ে ফেলেছে।
–আচ্ছা রুহি ইশার সব গুলো ছবি কি আরও কোথাও তুমি রেখছো লুকিয়ে?
–হুমমমম! কিন্তু তোমাকে কেন বলবো?
জিসান অভিমানি কন্ঠে বলে।
–ঠিক আছে বলতে হবে না তোমাকে। তুমি আমাকে একটুও বিশ্বাস করো না।
–আমার জানটা রাগ করে না। ইশার ছবি গুলো আমার ফোনেই আছে কারন এই সব গুলো ছবি আমিই এডিট করেছি এডিট করে রাহুল আর ইশাকে কাছাকাছি এনেছি বুঝলে। এবার একটা কিস করো প্লিজ প্লিজ।
রুহি আর কিছু বলতে পারলো না মাতাল হয়ে বিছানাতে শুয়ে পড়ে। জিসান রুহির মুখে হালকা থাপ্পড় মেরে বলে।
—রুহি এই রুহি প্লিজ এটা বলো ইশাকে আঘাত করার কারণে কে ওই গুন্ডাকে গু’লি করেছিলো প্লিজ রুহি এটা বলো আমাকে।
______
বর্তমান……
–ভাইয়া এভাবে তোমার ছবি গুলো ওদের হাত থেকে রক্ষা করে।ওই দিন পার্টির রাতেই ভাইয়া রুহিকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়।
ইশা ধপ করে বিছানাতে বসে পড়ে আর বলতে থাকে।
আমি আমি কি করে ভুল বুঝলাম ওনাকে কি করে?
–ভাবি এখন তুমিই পরো ভাইয়াকে ফিরিয়ে আনতে জানি না ভাইয়া কোথায় চলে গেছে?
–আমি জানি ওনি কোথায় যেতে পারে! আমাকে তাড়াতাড়ি করে ওনার কাছে যেতে হবে কিছু হওয়ার আগেই।
#চলবে