যদি_দেখার_ইচ্ছে_হয় #আফসানা_মিমি |পর্ব: চৌদ্দ|

0
412

#যদি_দেখার_ইচ্ছে_হয়
#আফসানা_মিমি
|পর্ব: চৌদ্দ|

সময় যেন থমকে আছে। ধোঁকা শব্দটার সাথে পরিচয় না হলে মানবজাতিকে কষ্ট পেতে হতো না। জ্ঞানহীন মিষ্টির সাথে কী ঘটতে চলেছে সেই বিষয়ে সজলেই অজ্ঞাত। পানির ছিটে পড়ায় মিষ্টির জ্ঞান ফিরে আসে। প্রথমেই তার চোখ যায় অন্তিকের দিকে। বারান্দায় অন্তিক বাচ্চাটাকে কাঁধে নিয়ে দোল খাওয়াচ্ছে। বাচ্চাটা অন্তিকের কাঁধে শুয়ে ঘুমাচ্ছে। কী সুন্দর দেখাচ্ছে দুজনকে! মুখে পানির ছিটে অনুভব করায় মিষ্টি সেদিকে তাকায়। হাস্যজ্বল মুখশ্রী নিয়ে সেই মেয়েটি তাকিয়ে আছে। মিষ্টিকে ধরে ওঠায় সে। পিঠের কাছটায় বালিশ চেপে বলে, ” তুমিই বুঝি মিষ্টি?”

” হ্যাঁ, আপনি কে?”

দুর্বল সুরে মিষ্টির উত্তর শুনে মেয়েটি মুচকি হেসে বলে, ” আমার নাম আফিয়া। পিয়াসের একমাত্র ডাক্তার বউ।”

পিয়াস অর্থাৎ লায়লা বেগমের সন্তান। মিষ্টি মনের ভেতরে কু মনোভাব আনায় অনুতপ্ত হয়। সে নিজের মাথায় গাট্টি মে’রে বলে, ” দিনে দিন অকালমন্দ হয়ে যাচ্ছিস নাকি মিষ্টি। যাচাই-বাছাই না করে ভোলা ভালা স্বামীকে সন্দেহ করছিস! অন্তিক জানতে পারলে প্রথমে তোর ঠোঁটের উপর নির্যাতন করবে তারপর অন্য স্থানে।”

ভাবনায় মশগুল মিষ্টির স্তম্ভিত ফিরে আফিয়ার ডাকে।

” শরীর কী বেশি খারাপ লাগছে?”

মিষ্টি মাথা দুলিয়ে হ্যাঁ বুঝায়। সত্যিই তার শরীর খারাপ লাগছে। আফিয়া অন্তিককে ডেকে তার উদ্দেশ্যে বলে, ” ওকে নিয়ে কাল আমার চেম্বারে আসবে। এসেছিলাম দেবরের মিষ্টি বউকে দেখতে কিন্তু মেয়ে তো আমাকে দেখেই চিৎপটাং!”

মিষ্টি ভীষণ লজ্জা পায়। আফিয়ার হাতে হাত রেখে বলে, ” লজ্জা দিও না ভাবী! অমন সুন্দরী ভাবীকে দেখলে কী আর হুঁশ থাকে? আমি না হয়, বেহুশ হয়েই ভাবীকে মোল্লা বাড়িতে আমন্ত্রণ জানালাম!”

অন্তিক মিষ্টির দিকে তাকায়। সত্যিই মেয়েটার মুখ মলিন দেখাচ্ছে। চোখের নিচে কলি পড়েছে। দুর্বলতায় নুইয়ে পড়েছে। অফিসের চাপের কারণে ইদানীং সে মিষ্টিকে তেমন সময় দিতে পারে না। আফিয়ার কথার প্রত্ত্যুত্তর দেয়, ” বেশি সমস্যা মনে হচ্ছে কী, ভাবী?”

” তেমন কিছু নয়, তবে আমি যা সন্দেহ করছি সেটা হলে ভালোই হবে।”

অন্তিক চিন্তায় পড়ে যায়। মিষ্টি মিটিমিটি হাসে। পাকা মেয়েটাও কিছু একটা বুঝতে পারছে।

” আজ চলি মিষ্টি রাণী! কাল চলে যেও।”

পিয়াস ভাই বিয়ে করেছে এবং তাদের একজন কন্যা সন্তানও আছে। বিষয়টি মাথায় আসায় মিষ্টি নড়েচড়ে বসে। বাচ্চাটাকে দেখে মনে হচ্ছে বয়স দুই থেকে তিন বছর হবে। তারমানে পিয়াস ভাইয়া বিয়ে করেছে চার বছর হবেই। এতদিন সে বিয়ের সম্পর্কে গোপন করেছে? এবাড়িতে পিয়াসকে দেখার পর মিষ্টির পিয়াসের সাথে মেলামেশা অন্তিকের পছন্দ হয়নি। তারমানে সেও কী জানতো না? না জানলে আজ ভাবী তার সাথে মোল্লা বাড়িতে পা রাখলো কীভাবে?

রহস্যের উন্মোচন আজ করতেই হবে। মিষ্টি আফিয়ার উদ্দেশ্যে বলে, ” এখানে থাকো না কেন?”
” পিয়াস ভয়ে বাড়িতে জানায়নি।”
” থেকে যাও না, ভাবী! আজ শরীর চলছেই না। পাশে থাকলে মনে করব আমার বড়ো বোন পাশে আছে!”
” পিয়াস মানবে না। তাছাড়া শাশুড়ি মা চলে আসলে মোল্লা বাড়িতে কুরুক্ষেত্র তৈরী করে ফেলবে।”

আফিয়ার কথা শুনে মিষ্টি হাসে। আফিয়ার কানের কাছে ফিসফিসিয়ে বলে, ” ঐ লায়লা কাঠের কয়লার গলার জোর আমার সামনে এলেই থেমে যায়। তোমাকে কিছু বলতে আসলে আমার সামনা-সামনি করতে হবে তাকে। আর আমি যদি চটে যাই, তো লায়লা বেগমের পিত্ত পর্যন্ত তেঁতো বানিয়ে ছাড়ি।”

আফিয়া উচ্চ আওয়াজে হাসতে থাকে। অন্তিকের উদ্দেশ্যে বলে, ” চমৎকার বউ পেয়েছো দেবর সাহেব! তা কোথায় পেলে এমন রত্মকে?”

অন্তিক হেসে জবাব দেয়, ” ভাগ্য আমাকে তার কুঠিতে দাড় করিয়েছিল। তখনও ভাবিনি এই রত্ন আমার জন্য এতো মুল্যবান। যখন থেকে বুঝতে পেরেছি, আগলে রেখেছি মনের পিঞ্জিরায়।”

আফিয়া বাহবা দেয় অন্তিকের কথায়। মিষ্টি উশখুশ করছে আফিয়া ও অন্তিকে মূল ঘটনা জিজ্ঞেস করতে। কিছু বিষয় না জানাই নাকি উত্তম কিন্তু মিষ্টি সমস্ত ঘটনার উদঘাটন না করতে পারলে মূল রহস্যের গোড়ায় পৌঁছাতে পারবে না। তাই সে বনিতা ছাড়াই বলে ওঠে, ” পিয়াস ভাইয়ার বিয়ের কথা পূর্ব থেকেই কী তুমি জানতে, অন্তু?”

অন্তিক মিষ্টির কাছে এগিয়ে আসে। কাঁধ থেকে বাচ্চাকে মিষ্টির কোলে তুলে দিয়ে বলে, ” দুই মাস আগে জেনেছি। ভাইয়া যখন মোল্লা বাড়িতে ছিল তখন। বলতে পারো, চুরি করে কথা শুনে সব জেনে ফেলেছি। পান্না মানে পিয়াস ভাইয়ার মেয়ের সেদিন প্রচন্ড জ্বর ছিল। হাস্যজ্বল রসিক মানুষ যে কাউকে এতো ভালবাসতে পারে সেদিন জেনেছিলাম। সেদিন চাচী ভাইয়াকে বাড়িতে থেকে যেতে বলেছিল। যেহেতু ভাইয়ার বিয়ের ব্যাপারে কেউ জানে না তাই ভাইয়া সেদিন কোনো অজুহাতেও সেদিন বের হতে পারছিল না। চাচী সর্বদা ভাইয়ার আশেপাশপ ঘুরঘুর করছিল।বাচ্চার জন্য যখন ভইয়া ফোনে ভাবীর সাথে কথা বলছিল তখন আমি শুনে ফেলি। ভাইয়া ঘরের সবকিছু তছনছ করে ফেলছিল। তখন আমি এসে হজির হই।ভাইয়ার হাত ধরে বাড়ির বাইরে পা রাখি।চাচী সেদিন আটকাতে এসেছিল। আমার শক্ত চাহনি দেখে কিছু বলতে পারেনি। সেদিনের পর থেকে ভাবি ও পান্নার সাথে প্রায়শই দেখা করে আসি। আজ মূলত তোমাকে দেখানোর জন্য ভাবীকে নিয়ে এসেছি।”

পুরো কথা শুনে মিষ্টি হেসে বলে, ” এই বাড়িতে আমার যেমন অধিকার আছে তেমন ভাবীরও। আজ থেকে ভাবী এখানেই থাকবে।সবাইকে আমি সামলে নিব চিন্তা করো না।”

মিষ্টি পান্নাকে আফিয়ার কাছে দিয়ে উঠতে নিতেই আবারও পড়ে যায়। আফিয়া একহাতে মিষ্টিকে ধরে বলে, ” আরে উঠতে হবে না। তুমি বরং রেস্ট নাও, আমি পিয়াসকে কল করে আসতে বলি। যতটুকু জানি,আমার শাশুড়ি আমাকে একা পেলে কাঁচা মরিচ গুঁড়ো করে আমাকে খাওয়াবে। আমি ভাই একা খেতে চাই না, পিয়াসকে সাথে নিয়ে খেতে চাই।”

আফিয়ার কথায় দুজনেই হাসে। আফিয়া চলে যেতেই অন্তিক মিষ্টির কাছে এসে বসে। কপালে হাত রেখে তাপমাত্রা বুঝতে চেষ্টা করে। জ্বর নেই, ঠান্ডাও নেই কিন্তু মিষ্টির শরীরের দুর্বলতার কারণ কী? অন্তিক মিষ্টিকে শুইয়ে দিয়ে নিজেও পাশে শুয়ে পড়ে। মিষ্টিকে বুকের সাথে চেপে ধরে মাথায় হাত বুলিয়ে বলে, ” ঘুমাও, চন্দ্র!”

” ঘুম আসে না। একটা গান শুনাবে, অন্তু!”

অন্তিক মিষ্টির মাথায় চুমু এঁকে গাইতে শুরু করে,

খোলা চোখখানা করো বন্ধ
বাতাসের ঠাণ্ডা গন্ধ
বয়ে বেড়ায় ঘরেরও বাহিরে
আসো ছোট্ট একটা গান করি
যাতে ঘুম পাড়ানি মাসি এসে পাশে বসে
হাতখানা দিবে কপাল ভরে
ভয় নেই, আছি আমি পাশে
হাতখানা ধরে আছি হেসে
কোলেতে আমার মাথা তোমার…….

অসময়ে ঘুম না আসলেও মিষ্টি সময়টাকে খুব উপভোগ করে। দুপুরে আহারের সময় বাড়ির প্রতিটি সদস্য উপস্থিত হয়। মিষ্টির শরীর পূর্বের চেয়েও ভালো। তবে কতক্ষণ ঠিক থাকবে জানা নেই।নাজিমউদ্দীন নিশ্চুপে খাচ্ছে। পিয়াসের বিয়ের কথা এখানে আসার পূর্বেই মিষ্টি তাকে অবগত করেছে। নাজিমউদ্দীন প্রথমে মেনে নিতে অসম্মতি জানালে মিষ্টির ব্ল্যাকমেইলের কাছে হার মানে। মিষ্টি নাজমার ছবি দেখাবে বলে নাজিমউদ্দীনকে আশ্বাস প্রদান করে। নাজিমউদ্দীন খাওয়া শেষ করে বলতে শুরু করে, ” যা হওয়ার তা হইয়া গেছে। মেয়ে তো ডাক্তার হইয়া গেছে। আমগোর পরিবারে ডাক্তার কেউ নাই। পিয়াসের বউ না হয় ডাক্তার বউ হইয়া আমগোর মোল্লা বাড়িতে থাইকা যাইবো।”

নাজিমউদ্দীনের কথা শেষ হতেই লায়লা বেগমের কণ্ঠস্বর শোনা যায়। সে চিৎকার করে বলে উঠে, ” এই বিয়ে আমি মানি না আব্বা। আপনার সব কথা রাখতে পারলেও এই কথা রাখতে পারুম না। আমার পিয়াসের লাইগা আমার বোনের মেয়েরে ঠিককরে রাখছি। তার সাথে পিয়াসের বিয়ে হবে। চিনি না জানি না, এই মেয়েকে আমি পুত্রবধূর হিসাবে মানতে পারব না।”

” তোমার মতামত জানতে চাই নাই বউমা। এই বাড়িতে আমি যা বলি তাই শেষ কথা। এরপর আর কোনো কথা থাকে না।”

নাজিমউদ্দীনের হুঙ্কারে মোল্লা বাড়ির প্রতিটি দেয়াল কেঁপে উঠে সাথে বাড়ির প্রতিটি সদস্যেরও। নাজিমউদ্দীন চলে যেতেই লায়লা বেগমের আর্তচিৎকার শোনা যায়। সে নিজের বুকে নিজেই আঘাত করে বলতে থাকে, ” আমার কী হবে রে! আমার ভোলাভালা ছেলেটা ডাইনির পাল্লায় পড়ে বিয়ে করে নিছে রে! এতো কষ্ট কইরা পুলারে মানুষ করলাম প্রতিদান কী দিলো। এই মেয়ে কই, বাইর হও। আমার ছেলে আমার কথা শুনবে। তোমাকে আজই ডিভোর্স দিবে।”

” জোরে চিৎকার করলে কী ছেলেকে ফিরে পাবে, লায়লা কাঠের কয়লা চাচী শাশুড়ি! তুমি বরং মেনে নাও। বিনা খরচে ডাক্তার বউ পেলে সাথে কিউট নাতনি। তোমার ভাগ্য কতো ভালো দেখলে চাচী শাশুড়ি! নাতনির ন্যাপকিন পাল্টানোর মতো মহৎ কাজও তোমার করতে হলো না। এরচেয়ে সুখ কই পাবা!”

আগুনে ঘি ঢেলে মিষ্টি মুচকি হাসছিল তখনই লায়লা বেগম রেগেমেগে তেড়ে আসে। মিষ্টির হাত শক্ত করে ধরে বলে, “তুই সব নষ্টের মূল। এ বাড়িতে পা ফেলার পর থেকেই আমার জীবন থেকে সব সুখ চলে যাচ্ছে। আমার মেয়ে যেখানে প্রতিমাসে বাড়ি আসতো সে এখন তিনমাসেও ফিরে না। আমার সোনার টুকরো ছেলে, বিয়ে করে ফেলল। সব তোর জন্য অলক্ষ্যি মেয়ে, সব তোর জন্য।”

” বিয়ে তো আরো চার বছর আগেই করে নিয়েছে পিয়াস ভাই। মিষ্টিকে দোষারোপ কেন করছো, চাচী?”

অন্তিকের কথায় চাচী মিষ্টির হাত ছেড়ে দেয়। তিনি তখনো রাগে ক্ষুব্ধ। প্রত্ত্যুত্তরে বলে, ” তুইও সব জানতি? খুব বউয়ের সেবা করা হচ্ছে তাই না? তোর মতো কাপুরুষেরা এটাই পারে।পারলে তের বউকে তোর জীবনের সত্যিটা জানিয়ে দেখা তুই কেমন পুরুষ। আসছে আমাকে জ্ঞান দিতে।”

” সত্য, মিথ্যা সব মিলিয়ে আমরা মানুষেরা বেঁচে আছি। তোমার দুই কথার ধমকে মিষ্টি আমাকে ভুল বুঝবে না, চাচী। পরেরবার আমার স্ত্রীকে আঘাত করতে আসলে তোমার মেয়ের মতো তোমাকেও বাড়ি ছাড়া করব বলে দিলাম।”

আফিয়া কায়েসের ঘরে জড়োসড়ো হয়ে বসে আছে।সেএকজন ডাক্তার হয়েও শাশুড়ির সামনে ছোট পিঁপড়ে। কায়েস বরাবরের মতো ঘরে বন্দী। পান্নাকে পেয়ে ঘর থেকে আজ বের হয়নি। মিষ্টি আফিয়াকে শ্বশুরের কাছে বসিয়েই খাবারের ঘরে এসেছিল। আফিয়া সবটাই শুনেছে। পিয়াস এখনো ফিরেনি, হয়তো আজ ফিরবেও না। লায়লা বেগমের রাগান্বিত দৃষ্টিতে ভস্ম হতে চায় না সে। ফিরোজ নামক মানুষটা বড়োই অদ্ভুত। মিষ্টি এই মাবুষটার মাঝে অন্যরকম হিংস্রতার আভাস পেয়েছিল সেদিন যেদিন লায়লা বেগমের ঘরে রাতের আঁধারে সে চুপি চুপি এসেছিল। যদিত সেই রাতে মিষ্টি তাকে চিনতে পারেনি কিন্তু মিষ্টিকে দোষারোপ করার জন্য লায়লা বেগমকে প্রহার করার পর সে বুঝতে পেরেছিল যে রাত্রির সেই মানুষটা ফিরোজই। কিন্তু বিবাহিত স্ত্রীর নিকট আসাতে তার এতো লুকোচুরি কেন? প্রশ্নটা মাথায় আসলেও ব্যাখ্যা পায়নি আজও।

———–

সকালে লায়লা বেগমের আর্তচিৎকারে মিষ্টি ও অন্তিকের ঘুম ভাঙে। সিঁড়ি ডিঙিয়ে নিচে আসতেই নাজিমউদ্দীনের ঘর থেকে আওয়াজ ভেসে আসে। মিষ্টি দুর্বল শরীরে সেদিকে এগোয়। নাজিমউদ্দীনের দেহখানা নিথর হয়ে পড়ে আছে জমিনে। চোখ দুটো খোলা, হাতদ্বয় মুষ্টিবদ্ধ করা। মিষ্টি দাদা বলে চিৎকার করে ওঠে। অন্তিক দেয়াল ঘেঁষে বসে মাথায় হাত দেয়। কীভাবে হলো এমন! নাজিমউদ্দীন কী কোনো অসুখে মা’রা গেছে নাকি কেউ মে’রে ফেলেছে? মিষ্টি নাজিমউদ্দীনের পাশে এসে বসে। সে এখনো হতভম্ব। চোখের সামনে নাজিমউদ্দীনের এহেন অবস্থা দেখে তার বিশ্বাস হচ্ছে না। সে নাজিমউদ্দীনের পাশে বসে বলতে থাকে, ” দাদী বলেছিল,তোমাকে নিয়ে বাড়ি ফিরতে। তোমার জন্য একটা পাটি বুনেছে দাদী। তোমাকে সেখানে বসিয়ে খেতে দিবে এমন শখ দাদীর। তুমি পূরণ করবে না! তোমার নাজমা তোমার পথ চেয়ে আছে দাদা, ও দাদা ওঠো না!

চলবে…………

[১৫০০+ শব্দ সংখ্যা। আজ ব’কা দিলে রাগ করব।]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here