#স্বচ্ছ_প্রেমের_পদ্মপুকুর
#লেখা_চাঁদনী_ইসলাম
#পর্ব_২১
আনাস মোল্লাকে পুরোটা বুঝাতে পেরে আসাদ স্বস্তি অনুভব করছে।আজিজুল হকের ও যেন বুক থেকে ভার কমলো।রুমনকে আয়েশার বিয়ের মধ্যে থেকে আজিজুল হকের একদম অপছন্দ ছিলো।আনাস মোল্লার উপরে কিভাবে কথা বলবে বুঝতে পারছিলো না।আসাদ এসে সহজ করে দিলো।আজিজুল হক ড্রয়িংরুম থেকে নিজেদের ঘরে যাওয়ার আগে আসাদের পিঠে হাত রেখে আসাদের দিকে তাকিয়ে স্বস্তির একটা হাসি দিলেন।আসাদ ও অভয় দিলো, ‘কোন কিছু নিয়ে চিন্তা করো না আমি আছি।’ আজিজুল হকের মনে হলেন, ‘একজন বাবা যত বড় অফিসার, জ্ঞানী, বুদ্ধিদীপ্ত হোক না কেন সেই বাবার যদি প্রাপ্তবয়স্ক ছেলে থাকে সেই বাবা ছেলের উপর নির্ভরশীল হয়ে যায়।তার সব জ্ঞান একদিকে রেখে ছেলের বুদ্ধি বাছবিচারের উপর নির্ভর করেন।ভরসা করতেও শুরু করেন।’ আজিজুল হক আজ এইটা খুব কাছ থেকে অনুধাবন করলেন এবং গর্ববোধ ও করলেন।
এখনকার মতো পরিস্থিতি সামাল দিলেও আসাদ পুরোপুরি স্বস্তি পেল না।এখন তো উপস্থিত বুদ্ধি দিয়ে পুরো ব্যাপারটা সামলালো কিন্তু আসাদ জানে বড় মামার সাথে আজিজুল হকের খোলামেলা কথা হয়নি।মেসেজ দিয়ে আজিজুল হককে ওই গুলো না বললে হয়তো এই মুহূর্তে পরিস্থিতি সামলানো কষ্টকর হয়ে যেতো।কেননা নিরু তাদের বাড়ির মেয়ে অধিকারটাও তাদেরই বেশি।সবাই যার যার ঘরে চলে গেছে। আসাদ ড্রয়িংরুমে বসে মাথাটা নিচু করে দুই হাত দিয়ে মাথাটা চেপে ধরে বসে আছে।
আমিনা বেগম আসাদের কাছে এসে খেয়ে নিতে বললেন।আসাদ টিভি ছেড়ে রিমোট টিপতে টিপতে বলল, “খিদে নেই আম্মু,খিদে লাগলে খেয়ে নেবো।তুমি শুয়ে পড়ো।”
“একা খাবার নিয়ে তো খাবি না।”
“এখন আমি একা নিয়ে খেতে পারি আম্মু।একটা নিউজ দেখবো তুমি শুয়ে পড়ো।”
আমিনা বেগম নিজেদের ঘরে গিয়ে শুয়ে পড়লেন।আসাদ ড্রয়িংরুমের লাইট বন্ধ করে দিয়ে টিভির সাউন্ড কমিয়ে চুপচাপ বসে রইল।নিরুর ঘর থেকে নিরু স্পষ্ট শুনতে পেল আসাদের খিদে নেই।আয়েশা নিরুর সাথে এইটা সেইটা নিয়ে গল্প করছে।নিরু শুধু হু হ্যাঁ দিচ্ছে।আয়েশা ঘুমালে নিরু একবার আসাদের সাথে কথা বলবে।একটুও শান্তি পাচ্ছে না। আসাদ সেই দুপুরে নিরুর সাথে খেয়েছে।আর কিছু খায়নি নিরু জানে।বারোটা বেজে এলেও আয়েশা ঘুমাচ্ছে না।নিরুর হাসফাস লাগছে।না পেরে ঘুমানোর ভান ধরে চোখ বন্ধ করে পরে রইল।আয়েশা কথা বলতে বলতে যখন দেখলো নিরু আর হ্যাঁ হু কিছুই বলছে না। তখন আয়েশাও শুয়ে পড়ল।
রাত এক’টার কাছাকাছি নিরু ঘর থেকে বের হয়ে দেখলো আসাদ ড্রয়িংরুমে সোফাতেই মাথায় হাত দিয়ে বসে আছে। নিরু আসাদের সামনে গিয়ে দাঁড়াল। তারপর পাশে বসে বলল, “এখনো এখানে বসে আছেন খাবেন কখন?”
নিরুর দিকে না তাকিয়েই আসাদ বলল, “তুই এখনো জেগে আছিস কেন?”
“সেই তখন থেকে আপনি না খেয়ে জেগে বসে আছেন?”
“ঘরে গিয়ে শুয়ে পড়।”
“আপনি আগে খাবেন চলুন।আমি খাবার দিচ্ছি।”
” খিদে নেই নিরু তুই ঘরে যা।”
আসাদ নিজের ঘরে চলে গেল।আসাদের গলাটা এমন ভারি শোনালো কেন?নিরু আসাদকে পিছন থেকেই দাঁড়াতে বলল। আসাদ না দাঁড়িয়ে নিজের ঘরে চলে গেল।নিরু রান্না ঘর থেকে প্লেটে খাবার নিলো। তারপর আসাদের ঘরের দরজার সামনে গিয়ে নিচুস্বরে কয়েকবার ডাকলো।আসাদের কোন সাড়াশব্দ পেল না।নিরু বাইরে দাঁড়িয়েই ঘরে উঁকি দিলো আসাদ ঘরে নেই।ঘরে জিরো পাওয়ারের বাল্ব জ্বলছে।বারান্দায় হালকা আলো যাচ্ছে নিরু ওই হালকা আলোতেই আসাদের অবয়ব দেখতে পেল।আরও কয়েকবার ডেকেও আসাদ যখন সাড়া দিলো না নিরু আসাদের রুমে ঢুকে বারান্দায় চলে গেল।আসাদের পাশে দাঁড়িয়ে বলল, “খাবার এনেছি খেয়ে নিন প্লিজ!”
আসাদ ধরে আসা গলায় বলল, “আমি খাবো না নিরু তুই এখন যা।”
“আপনাকে খেতে হবে না আমি খাইয়ে দিচ্ছি।চেয়ারে বসেন।”
নিরু ভাত মেখে আসাদের মুখের দিকে এক লোকমা ভাত এগিয়ে দিয়ে আসাদকে হা করতে বলল।আসাদ নিরুর দিকে ফিরে নিরুকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে শব্দ করে কেঁদে ফেলল।নিরু নির্বাক হয়ে গেছে। হাতে থাকা প্লেটটা একটুর জন্য হাত ফসকে পড়ে যায়নি।আসাদের কান্নায় নিরু কেঁপে উঠল।নিজেকে ধাতস্থ করে কোনরকমে বলল, “আপনি এইভাবে কান্না করছেন কেন? আপনি ভেঙে পড়লে আমি কীভাবে কি করবো?”
আসাদ কান্না জড়ানো গলায় নিরুকে আরও শক্ত করে বুকের সাথে জড়িয়ে নিয়ে বলল, ” আমি তোকে ছাড়া থাকতে পারবো না নিরু।আমি শেষ হয়ে যাবো তোকে ছাড়া,আমার দম বন্ধ লাগছে।আমি নিঃশ্বাস নিতে পারছিনা।আমার বুকের মধ্যে অস্বাভাবিক এক যন্ত্রণা বয়ে যাচ্ছে নিরু।তুই কখনো আমাকে ছেড়ে যাবি না তো নিরু?আমার সঙ্গে থেকে সব সমস্যা সমাধান করে আমার হয়ে থাকবি তো নিরু?”
আসাদের কান্নায় নিরুর বুক ভেঙে কান্না এলো।এই মানুষটা নিরুকে এতো ভালবাসে?নিরু আসাদের বুক থেকে মাথা উঁচু করে আসাদের দিকে তাকিয়ে বলল, “এই বুকটা থেকে দ্বিতীয় কোন বুক আমাকে তার কাছে নিতে পারবে না।আপনি কি শেষ হবেন আমি নিজেই তো শেষ হয়ে যাবো।আমার শান্তি যে এই বুকটাতেই।সাধ্যি কার এই বুক থেকে আমাকে কেউ ছিনিয়ে নিবে?”
নিরু নাক টেনে আসাদের বুকে আবার মাথা রাখলো।আসাদ চোখ মুছে নিরুর মুখটা উঁচু করে ধরে কপালে ঠোঁট ছুয়ে গাঢ় করে একটা চুমু খেল।মাথায় অসংখ্য চুমু খেয়ে আবার বুকের মধ্যে জড়িয়ে নিলো।
“এবার হাতটা একটু আলগা করুন না।ভাত মেখেছি খেয়ে নিন।”
আসাদ নিরুর কোমর জড়িয়ে রাখলো।নিরু একের পর এক লোকমা করে ভাত আসাদের মুখে তুলে দিলো।খাইয়ে দিতে দিতে বলল, “এতো শক্ত মানুষটাকে আর কখনো যেন ভেঙে পড়তে না দেখি।তাহলে কিন্তু আমি শক্তি পাবো না।”
আসাদ খাওয়া শেষ করে নিরুর কোমর জড়িয়েই নিরুর নাকে নাক ঘষে দিয়ে বলল, “ভীষণ ভালবাসি!সারাজীবন শক্ত করে ধরে রাখবো, শক্তি হবো,বুকে আগলে রাখবো।”
“আমিও খুব খুব খুব ভালবাসি! এখন যাই কেউ উঠলে বিপদ।”
“কবে যে এই ঘরে আনবো।তারপর নির্দ্বিধায় বুকে জড়িয়ে রাখতে পারবো।”
নিরু লজ্জা পেয়ে নিজেকে ছাড়িয়ে নিয়ে বারান্দা থেকে চলে এলো, আসাদ ও পিছু পিছু এলো।নিরু আসাদকে পানি খেয়ে নিতে বলে আসাদের ঘর থেকে বেড়িয়ে এলো।আসাদ দুষ্টুমি করে নিরুকে পিছন থেকে ডেকে বলল, ‘একটা চুমু দিয়ে যা নিরু!’ নিরু হালকা পিছু ফিরে ধ্যাত বলে দ্রুত পায়ে চলে গেল।
আনাস মোল্লা পরের দিন-ই রাজশাহী চলে যেতে চাচ্ছিলো কিন্তু আজিজুল হক ও আমিনা বেগমের জোড়াজুড়িতে যেতে পারলেন না।আরও দু’টো দিন থেকে যেতে হলো।নিরু জানে আয়েশা খুব জলপাই পছন্দ করে।আসাদকে বলেছিলো বাজার থেকে এনে দিতে কিন্তু আসাদ নাকি বাজারে জলপাই পায়নি।বাহারি কাঁচা সবজি দিতে এলে নিরু বাহারিকে জিজ্ঞেস করে আশপাশে কোথাও জলপাই পাওয়া যাবে কিনা।বাহারি নিরুকে বোকা বলে বলল, ‘তুমি সেদিন আমাদের বাড়িতে গাছ দেখে এলে না?’
নিরুর স্মরণ নেই দেখেছিলো কিনা।বাহারি বলল গাছে আছে আমি পেড়ে দিয়ে যাচ্ছি।নিরু বাহারিকে বলল, ‘তোমাকে একা যেতে হবে না আমিও যাই চলো।আয়েশা আপুকেও নিয়ে যাই তোমাদের এলাকাটুকু দেখানো হবে।’
আয়েশা আর নিরু বাহারির সাথে গিয়ে জলপাই পেড়ে আনলো।নিরু অবশ্য বাহারিকে রেখে এলো না।বিকেল পর্যন্ত এক সাথে থাকবে বলে বাহারিকে সঙ্গে করে নিয়ে এলো।এইদিনটা নিরুর খুবই হাসি খুশিতে কাটলো।জলপাই সিদ্ধ করে সবাই মিলে খেলো।বেশ আনন্দেই দু’টো দিন কেটে গেল।এই দু’টো দিনে আনাস মোল্লা খাদিজাকে বিয়ের ব্যাপার নিয়ে কিছু বললেন না।সিদ্ধান্ত নিলেন একবারে বাড়ি গিয়ে নিষেধ করে দিবেন।তার আগে এই বিষয়ে আর কোন আলোচনা নয়।
আসাদ আগামী কাল ঢাকায় ব্যাক করবে।নিরু অনেকদিন থেকে বলে রেখেছে চন্দ্রনাথ পাহাড়ের শেষ চূড়ায় উঠবে।ওখানে নিয়ে যেতে হবে।আসাদ সময় করেই উঠতে পারেনি।গত কাল রাতেই ভেবে রেখেছিলো আজ চন্দ্রনাথ পাহাড়ে ট্যুর দিবে।তাই তানজিলাকে বলে নিরুর বের হওয়ার ব্যবস্থা করলো।আমিনা বেগম এক কথায় রাজি হয়ে গেলেন।কেননা আমিনা বেগমের পক্ষে সম্ভব নয় নিরুকে নিয়ে অতো উপরে উঠা।আর তানজিলা খুবই বিশ্বস্ত!আশপাশে ঘুরতে গেলে কোন কেনাকাটা থাকলে নিরুকে সঙ্গে নিয়ে যায়।আসাদের পরিকল্পনায় আমিনা বেগম আসাদকেই যুক্ত হতে বললেন।আসাদকে ডেকে বললেন, “আসাদ তুই তো কাল চলে যাবি।তানজিলারা গ্রুপ ট্যুর দিতে চাচ্ছে চন্দ্রনাথ পাহাড়ে, নিরুকেও নিয়ে যাবে।তুই ও ঘুরে আয়।নিজেদের পরিবারের একজন মানুষ সঙ্গে থাকা ভালো।”
আসাদ ‘ঠিক আছে।’ বলে জগ থেকে পানি ঢেলে এক গ্লাস পানি খেলো।
আমিনা বেগম আবারও বললেন, “আর শোন তানজিলাকে আমি বলে দিয়েছি নিরুকে সঙ্গে সঙ্গে রাখতে।তুই যেন বন্ধুদের পেয়ে মজে যাস না খেয়াল রাখিস।”
আসাদ একটু কৌতুক করে বলল, ” মনে হচ্ছে আমার বউ যাচ্ছে তাই মনোযোগ সহকারে পাহারা দিয়ে খেয়াল রাখতে হবে।”
আমিনা বেগম ও রসিয়ে বললেন, “বউ থাকলে আর আমাকে বলে দিতে হতো না। তুমি যে ছেলে কোলে করে উঠতে।”
আসাদ কিছু বলার আগে নিরু এলো।আসাদ ডাইনিং টেবিল থেকে একটা আপেল নিয়ে খেতে শুরু করলো। নিরু এসে মামানিকে বলল, “মামানি তানজিলা আপু গুছিয়ে নিতে বলল এখনই যাবে।”
“গুছিয়ে নে আমি সবজি কাটা শেষ করে ঘরে আসছি।”
আসাদ এক কামড় আপেল নিয়ে চিবাতে চিবাতে আমিনা বেগমের উদ্দেশ্য বলল, “আম্মু বউ ছাড়া পাহাড়ে যাবো না।পাহাড় এমনিতেই শুনশান, নিরিবিলি, একাকিত্ব লাগে।বউ ছাড়া আস্ত এতিম এতিম লাগবে।আমি যাচ্ছি না!”
আমিনা বেগম হাসি চেপে রেখে বললেন, “মাইর কিন্তু নিচে পড়বে না।”
“আচ্ছা থাক যাও লাগবে না।”
আসাদ আর নিরু হাঁটতে হাঁটতে সামনে এগিয়ে গেল।চন্দ্রনাথ পাহাড়ে উঠার পথে আসাদ নিরুকে নিয়ে দাঁড়িয়ে রইল।নিরুর ধারণা ছিলো আসাদ আর নিরুই একা ঘুরবে।সেদিনের মতো পরিকল্পনা করে বাড়ি থেকে তানজিলা আপুকে দিয়ে বের করে এনেছে।কিন্তু নিরুর পুরো ধারণা ভুল শুধু তানজিলা আর রাকিব নয় আসাদের সাথে আরও অনেকে মিলেই যাবে।নিরুর খুব আনন্দ হচ্ছে।এক সাথে সবাই মিলে ঘোরার মজাই আলাদা।রাকিবরা আসতে দেরি করায় আসাদ নিরুকে নিয়ে পাশেই বসল।রাকিব ফোন করে বলল আসতে একটু দেরি হবে।মায়ের ঔষধ কিনতে গেছে।আসাদ ও আস্তে ধীরে আসতে বলল।
নিরু এই কয়দিন আসাদকে একা পায়নি।স্কুল কোচিং নেই বাইরেও বের হতে পারেনি।তাই আসাদের সাথে ঠিকভাবে কথাও হয়নি।নিরু আসাদের দিকে তাকিয়ে বলল, “আপনি সেদিন ওইভাবে ভেঙে পড়েছিলেন কেন? আর কয়দিন থেকে দেখছি আপনি চুপচাপ এতো কী ভাবছেন?”
“বড় মামাদের কথা ভাবছি দাদু ফুফুদের তো সামলানো গেল।বড় কারণ ও ধরিয়ে দিয়েছি।কিন্তু মামাদেরটা কীভাবে সামলাবো নিরু? ”
“আপনাকে ভেঙে পড়তে দেখলে আমি অসহায় হয়ে যাই।আপনি ভেঙে পড়বেন না।দুজনে সব সমস্যার সমাধান করবো।”
আসাদ নিরুর হাতটা ধরে বসে রইল।নিরু কিছুক্ষণের মধ্যে আনন্দে আসাদের ধরে রাখা হাতটা আরও শক্ত করে ধরে বলল, ‘একটা সমাধান পেয়েছি।’ আসাদ নিরুর চোখের দিকে তাকিয়ে দেখে সব সময় টলমল করা চোখ দু’টো আনন্দে হেসে উঠছে।চোখের ভাষা গুলোও আনন্দ জানান দিচ্ছে।আসাদ বলল কী?
নিরু বলল, “খুব সোজা দাদুকে যেমন মামা বলেছিলেন আত্নীয়র সাথে আত্নীয় করবে না,এইটা বড় মামাকে বলেছেন।আর এখন যদি ফুফুদের সাথে এই বিষয়ে এগোন তাহলে বড় মামা রাগ করবেন।এতে সম্পর্ক খারাপ হবে এইটা বলেছিলেন তাই তো?”
“হুম তো?”
“এবার যখন বড় মামা এই বিষয়ে কথা বলতে আসবেন।তখন মামাকে মনে করিয়ে দিবেন আমার ফুফুরা রাগ করবে।তাই এইসব নিয়ে এখন ভাবাভাবির দরকার নেই।আমি পড়াশোনা করছি করি।”
” এতো বুদ্ধি কোথায় পেলি?”
“আপনার থেকে।”
“আমার থেকে যদি পেতি, তাহলে আমি নিজে অসহায়ের মতো দিন পার করতাম না।এইটা আগেই আমার মাথায় আসতো।”
“যেকোন একজনের মাথায় তো এসেছে?”
“নিরুরে আমাদের বাচ্চা গুলো যেন আমার মতো বোকা না হয়।ঠিক যেন তোর মতো বুদ্ধিদীপ্ত হয়।”
নিরু লজ্জায় অন্যদিকে মুখ ঘুরিয়ে নিয়ে বলল, “ধ্যাত!”
চলবে…