#খোলা_জানালার_দক্ষিণে
#পর্ব_১৬
#লেখিকা_Fabiha_bushra_nimu
চৌধুরী বাড়িতে আনন্দের মেলা বসেছে। রিয়াদ চৌধুরীর একমাত্র বোন আজ আমেরিকা থেকে আসবে। বিয়ের দুই বছর পর সুফিয়া চৌধুরী স্বামী-সন্তান নিয়ে প্রবাসে পাড়ি জমান। দীর্ঘ কয়েক বছর তিনি দেশে আসেনি। বহু বছর পরে নিজের প্রাণ প্রিয় বোন বাসায় আসবে শুনে, চৌধুরী বাড়িতে ঈদ লেগে গেছে। সকাল থেকে রান্নার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। সমস্ত বাড়ি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হচ্ছে। পরিবারের প্রতিটি মানুষের মুখশ্রীতে সুখ এসে ধরা দিলে-ও ধরা দেয়নি একটি মানুষের মুখশ্রীতে সে হলো মুনতাসিম। সে নিজের কক্ষে বসে ছিল। ভেতরটা চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে যাচ্ছে। আজকের দিনটা তার বাবা কি করে ভুলে গেল! নিজেকে এতটা অসহায় বোধহয় কোনোদিন লাগেনি। আঁখিযুগল অসম্ভব ভাবে রক্তিম বর্ন ধারণ করেছে। তখনই নিজের কক্ষে কারো উপস্থিতি অনুভব করল মুনতাসিম। সে জানে কে এসেছে তার কক্ষে। সে ছাড়া কারো সাহস হবে না। তার কক্ষে অনুমতি না নিয়ে ভেতরে প্রবেশ করার। রিয়াদ চৌধুরী ছেলের মাথায় হাত রাখতেই মুনতাসিম দ্রুত হাত সরিয়ে দিল। রাগান্বিত হয়ে বলল,
–ছোঁবেন না আপনি আমাকে। আপনার মতো নিকৃষ্ট মানুষ আমি দু’টো দেখিনি। কিভাবে পারলেন আজকের দিনটা ভুলে যেতে! সবাই ঠিকি বলে মা মা’রা গেলে বাপ হয়ে যায় তাওই। একটা মানুষ মা’রা গিয়েছে। সেই সাথে মানুষটার প্রতি গুরুত্ব, ভালোবাসা, মায়া, টান সবকিছুও কি উঠে গিয়েছে। মানুষটাকে আপনি ভুলেই গিয়েছেন। আপনার মতো বাবার আমার দরকার নেই। আপনি থাকুন আপনার পরিবার নিয়ে, আমি আর আসব না আপনার পরিবারের আনন্দ নষ্ট করতে। আমি আসি আমার পেশার জন্য, জনগণকে ভালো রাখার শপথ গ্রহণ করেছি। তাদের ভালো রাখার দায়িত্ব আমার। আমি নিজের দায়িত্ব থেকে সরে আসতে পারছি না বলেই বারবার এখানে আসছি।
–মুনতাসিম আমার বাবা তুমি নিজেকে শান্ত কর। তুমি ভাবছ আমি সব ভুলে গিয়েছি। আমি বদলায়নি বাবা সময় আমাকে চুপ থাকতে শিখিয়ে দিয়েছে। আমি আমার ব্যথার কথা ভেবে যদি সবার আনন্দ নষ্ট করে দেই। তাহলে মানুষ আমাকে স্বার্থপর বলে উপাধি দিবে। আমি স্বার্থপর হতে চাই না বাবা। সেজন্য নিজের ব্যক্তিগত দুঃখ গুলোকে নিজের কাছেই রাখতে চাই। সেগুলো বাহিরে প্রকাশ করে হাসি ঠাট্টার পাত্র হতে চাই না। আমি যাব তোমার মায়ের কবরের কাছে, তুমিও আমার সাথে যাবে।
–আপনার মতো মানুষের আমার মায়ের কবরের কাছে যেতে হবে না। আপনি বরঞ্চ আপনার পরিবারকে সময় দিন। যে সময়টা আমার মায়ের কবরের কাছে গিয়ে অপচয় করবেন। সেই সময়টুকু আপনার পরিবার ছেলে-মেয়েকে দিন। তাদের কাছে আপনি অনেক মহান মানুষ হয়ে উঠবেন। আমি কে আমার কাছে মহান হতে হবে। আমার মতো মা নেই। আমাকে এত প্রাধান্য দিতে হবে কেন? যার মা নেই তার কেউ নেই। আপনি একদম আমার সাথে কথা বলবেন না। কথা গুলো বলেই মুনতাসিম কক্ষ থেকে বের হয়ে গেল। রিয়াদ চৌধুরী অশ্রুসিক্ত নয়নে ছেলের যাওয়ার দিকে দৃষ্টিপাত করে আছেন। নিজেকে আজকাল ভিষণ অপরাধী বলে মনে হয়। ছেলের ভালো চাইতে গিয়ে, ছেলের জীবনটা বিষাদময় করে তুলল। বুকটা হাহাকারে ভরে উঠছে। ভেতরটা তীব্র যন্ত্রনা ছটফট করছে। দ্বিতীয় বিয়ে করা টাই যেন জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল বলে মনে হচ্ছে। সাহেলা প্রতিটি মুহূর্তে মুনতাসিমকে বুঝিয়ে দিয়েছে। সৎ মা কখনো আপন মা হতে পারে না। ভাই-বোনকে করেছে আলাদা। মুনতাসিমকে দিয়েছে বুক ভরা যন্ত্রনা। সেই যন্ত্রনায় মুনতাসিম প্রতিটি মুহূর্তে জ্বলে পুড়ে ছারখার হয়ে যাচ্ছে।
রিয়াদ চৌধুরী মলিন মুখশ্রী করে সোফায় গিয়ে বসলো। আমান চৌধুরী এসে ভাইয়ের পাশে বসে বুকে আগলে নিলেন। ভাইটা তার ভিষণ আবেগী। সে ছোট হয়ে যতটুকু বুদ্ধি অর্জন করেছে। তার বড় ভাই হয়ে সেটুকুও অর্জন করতে পারেননি। সে কোমল কণ্ঠে বলল,
–মুনতাসিম রাগ করে বের হয়ে গেল। আজ তার ফুপি আসবে। সে কি জানে না। ভদ্রতা বজায় রাখার জন্য হলে-ও তার বাসায় থাকা উচিত ছিল।
–আজকের দিনে ছেলেটা আমার মা হারা হয়েছিল। সারাবছর তার মায়ের কবরের কাছে সময় দেই না। আজকের দিনটাই ও আশা করে। তার সাথে তার মায়ের কবরের পাশে বসে সারাদিন সময় দিব। ছেলেটাকে বোঝাতে পারিনা। ভেতরটার খবর শুধু আল্লাহই ভালো জানেন। রিয়াদ চৌধুরীর কথা স্তব্ধ হয়ে গেল আমান চৌধুরী। তার তো মনেই ছিল না। মুহুর্তের মধ্যে মনটা বিষাদে ভরে গেল। প্রতি বছর এই দিনটায় বাবা ছেলের ভিষণ মনমালিন্য তৈরি হয়। সময়ের সাথে আবার সবকিছু ঠিক হয়ে যায়। এসব দেখতে দেখতে অভস্ত্য হয়ে গিয়েছে সবাই। সাহেলাও নিজের স্বামীকে সতীনের কাছে যেতে দিবে না বলে, নানান রকমের অশান্তি তৈরি করেন। পরিবেশটা কেমন বিষাদের ছেয়ে গেল।
মায়ের কবর জিয়ারত করে মুনতাসিম নিজের বৃদ্ধাশ্রমের দিকে অগ্রসর হলো। বাসা থেকে দশ মিনিটের দুরত্বে অবস্থান করছে বৃদ্ধাশ্রমটি। সে মায়ের মৃত্যুবার্ষিকীর দিন এই আশ্রমে এসে সময় কাঁটায়। ছোট ছোট বাচ্চারাও এই আশ্রমে থাকে। তারা প্রতি বছর এই দিনের জন্য অপেক্ষা করে। আজকে মুনতাসিম তাদের সময় দিবে। মুনতাসিম তাদের ভিষণ ভালোবাসার মানুষ। মুনতাসিম আসতেই আশ্রমে হৈচৈ পড়ে গেল। প্রতিটি মানুষের মুখশ্রীতে সে কি মনোমুগ্ধকর কর হাসি। এই হাসিতেই মুনতাসিমের বুকটা প্রশান্তিতে ভরে উঠে। বাচ্চারা মুনতাসিমকে ঘিরে ধরেছে। হৈ-হুল্লোড় করে পুরো আশ্রম মাতিয়ে তুলেছে। কিছু মুহূর্তের জন্য মুনতাসিমের সমস্ত দুঃখ হাওয়ায় মিলিয়ে গেল। বাচ্চাদের সাথে সে মিশে গেল। বাচ্চারা তাদের প্রতিভা তুলে ধরছে। মুনতাসিম সবাইকে চকলেট দিল। আজকের দিনে আশ্রমটা অন্য দিনের তুলনায় একটু বেশিই মেতে থাকে। মুনতাসিম অদ্ভুত ভাবে অনুভব করছে। তার যখন দুঃখ হয়। তখন তার মেহেভীনের কাছে ছুটে চলে যেতে ইচ্ছে করে। প্রেয়সীর সাথে একান্তে কিছু সময় উপভোগ করতে ইচ্ছে করে। এত আনন্দের মাঝে মেয়েটার শূন্যতা কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছে তাকে। সে শুধু অবসর সময়ে মেহেভীনে কাছে যায়। কাজের ব্যস্ততা থাকলে কখনো ফোন দিয়ে খোঁজ নেয়নি। সে কি মেহেভীনকে প্রয়োজনে ব্যবহার করছে। কথা গুলো ভাবতেই অন্তর আত্মা কেঁপে উঠল। সে তো দেখতে চেয়েছিল। তার অনুপস্থিতিতে মেহেভীন অস্থিরতা অনুভব করে কি-না। তাকে দেখার তৃষ্ণায় মেহেভীনের আঁখিযুগল ছটফট করে কি-না। তার শূন্যতা মেহেভীনকে কাবু করে কি-না। এসব পরীক্ষা করতে গিয়ে মেয়ে টাকে বেশি কষ্ট দিয়ে ফেলছে না তো আবার! কথা গুলো ভাবতেই ভেতরটা অস্থিরতায় ছটফট করতে লাগলো। আজকে ভিষণ করে পাখি হতে ইচ্ছে করছে। দু’টো ডানা মেলে মেহেভীনের কাছে চলে যেতে ইচ্ছে করছে। মুনতাসিম আজ বেশি দেরি করল না। গাড়িতে উঠতে যাবে তখনই একজন বৃদ্ধা মহিলা আসলো। মুনতাসিমের দিকে চেয়ে ভাঙা ভাঙা কণ্ঠে বলল,
–আপনি মুনতাসিম বাবা না। আপনার জন্য আমি মেলা দিন ধরে অপেক্ষা করছি। আমাগো এলাকার মেয়ররে কতবার যে কইছি। আমার বাড়িত একটা ভালো টয়লেট নাই। আমার বাড়িত একটা ভালো টয়লেট দিয়া দেন। তিনি আমার কথা শুনে না। বলে দিব বলেও দেয় না। সবাইরে দেয় শুধু আমারে দেয় না। কেন বাবা আমি মানুষ না। আমি কি তারে ভোট দেইনি। আপনার তো মেলা ক্ষমতা বাবা। আপনি একটু হেরে বইলেন তো। যাতে আমার বাড়িত একখানা টয়লেট বসায় দিয়া যায়। আপনি কইলে ঠিক শুনবে। বৃদ্ধা মায়ের কথায় মুনতাসিমের হৃদয় স্পর্শ করে গেল। মানুষ কতটা অসহায় হলে এভাবে বলে। মুনতাসিমের ভিষণ রাগও হলো। সে বৃদ্ধার মাথায় হাত বুলিয়ে বলল,
–আপনার বাসায় কল আছে আম্মা। মুনতাসিমের মুখে আম্মা ডাক শুনে, বৃদ্ধা মহিলাটি অদ্ভুত ভাবে হাসতে শুরু করল। সে কি সুন্দর হাসি। মুনতাসিম মুগ্ধ হলো সে উত্তরের অপেক্ষা করতে লাগলো। বৃদ্ধা মহিলা মুনতাসিমের গালে হাত স্পর্শ করে নিজের হাতে চুমু খেল। কান্না মিশ্রিত কণ্ঠে বলল,
–কল নাই তো বাজান। পাশের বাড়ি থেকে পানি আইনা খাই। কল দিয়ে দিলে আমার মেলা উপকার হবে। কিন্তু মেয়ের সাহেব কি আমারে এতকিছু দিবো?
–আপনি চিন্তা করবেন না আম্মা। আপনি সময় মতো সবকিছু পেয়ে যাবেন। তাইয়ান তুমি কালকের মধ্যে সবকিছু ব্যবস্থা করে দিবে। কথা গুলো বলেই বৃদ্ধার হাতে দুই হাজার দিয়ে বলল,
–এই টাকা দিয়ে আপনি ঔষধ কিনে খাবেন। আর কোনো দরকার হলে আমাকে বলবেন। আমি আমার সাধ্যমতো আপনাকে সাহায্য করার চেষ্টা করব। কথা গুলো বলেই চলে গেল। বৃদ্ধা নিজের শাড়ির আঁচল দিয়ে অশ্রুকণা গুলো মুছে মুনতাসিমের জন্য দোয়া করতে করতে বাড়ির দিকে চলে গেল।
পশ্চিম আকাশ জানান দিচ্ছে সূর্য মামার বিদায়ের সময় হয়ে এসেছে। ক্লান্ত শরীর নিয়ে মাত্র মুনতাসিম গাড়ি থেকে নামল। বাসায় না গিয়ে সোজা মাঠের দিকে চলে গেল। সে জানে প্রতিদিনের মতো আজ-ও মেহেভীন এখানে আসবে। আজকে এসে যখন তাকে দেখবে। তখন মেহেভীন কি করবে? অভিমানে মুখ ঘুরিয়ে চলে যাবে। নাকি অস্থির হয়ে জানতে চাইবে। আপনি এতদিন কোথায় ছিলেন? আজকে মেহেভীন রাগ করলে, সে মেহেভীনের রাগ ভাঙাতে ভিষণ বাজে ভাবে ব্যর্থ হবে। আজকে তার হৃদয়টা ক্ষত-বিক্ষত হয়ে আছে। মুনতাসিমের ভাবনার মাঝে এক মায়াবী মুখশ্রী তার সামনে এসে স্থির হয়ে গেল। দু’জন দু’জনের দিকে নিষ্পলক চাহনিতে দৃষ্টিপাত করে আছে। মেহেভীনকে দেখা মাত্রই তার নিজেকে গভীর ভাবে অসহায় মনে হচ্ছে। একটা অসহায় মানুষ যেমন খাবার পেলে আনন্দিত হয়। মেহেভীনকে পেয়ে মুনতাসিম আবেগে উৎফুল্ল হয়ে গেল। হিতাহিত জ্ঞান শূন্য হয়ে উঠে এসে মেহেভীনকে আলিঙ্গন করল। প্রথম কোনো পুরুষের স্পর্শ পেয়ে বুকটা কেঁপে উঠল মেহেভীনের। অভিমানের পাল্লাকে গ্রাস করে নিল একদল ক্রোধ। সে সর্বোচ্চ শক্তি প্রয়োগ করে মুনতাসিম সরিয়ে দিল। রাগান্বিত হয়ে বলল,
–আপনারা সব পুরুষ এমন কেন? একটু সুযোগ পেলেই ছুঁয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। পুরুষ জাতির রক্তে কি লিখা আছে। নারীকে একা পেলেই ছুঁয়ে দিতে হবে। নারীকে ভালোবাসা কি আপনার মা আপনাকে শেখায় নাই। আপনার মা ও তো একজন নারী। পারবেন এভাবে আপনার মাকে ছুঁয়ে দিতে? মেহেভীনের কথায় মুনতাসিমের মস্তিষ্ক টগবগ করে উঠল। পরক্ষণেই মনে হলো সে আবেগের বসে কতবড় ভুল করে ফেলছে। মেহেভীন কি তাকে ভুল বুঝল। সে তো এমনটা করতে চায়নি। আঁখিযুগল রক্তিম বর্ন হয়ে আসছে। মেহেভীন বিলম্ব করল না। দ্রুত পায়ে বাসার দিকে অগ্রসর হলো। মেহেভীন যে তাকে বুঝতে পারল না। সেটা ভেবেই মুনতাসিমেট আঁখিযুগলের পাতা ভিজে আসছে। এই মেয়েটার কাছে আসলেই সে অসহায় হয়ে পড়ে। হারিয়ে যায় তার ভেতরের আত্মসম্মানবোধ বেহায়া হয়ে যায় সে। মুনতাসিম নিজের দুঃখ কষ্ট গুলোকে দূরে ঠেলে দিয়ে মেহেভীনের পেছনে ছুটল।
–আপনি আমায় ভুল বুঝছেন। আমি আসলে এমনটা করতে চাইনি। আপনি হঠাৎ করে আমার সামনে চলে আসলেন। আমি নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারিনি। আপনি অনুগ্রহ করে চলে যাবেন না। আপনি একটু বসুন আপনার সাথে আমার কথা আছে।
–আমি এই রাত্রীকালে আপনার পাশে বসে আপনার খাবার হতে চাই না। আমি একটা মানুষের সাথে বন্ধুত্ব করেছিলাম। কোনো নরপিশাচের সাথে না। একটা নরপিশাচের খাদ্য হবার থেকে আ’ত্ম’হ’ত্যা করা ঢের ভালো। মেহেভীনের কথা গুলো মুনতাসিমের বুকে ধা’রা’ল অস্ত্রের মতো গিয়ে বিঁধল। মুহুর্তের মধ্যে ভেতরটা রক্তাক্ত হয়ে গেল। এতটুকু ভুলের জন্য মেয়েটা তাকে এতটা জঘন্য ভাবলো। মেহেভীন ঠিকই বলেছে দোষ তার। সে কেন নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারলো না। কেন সে আবেগে উৎফুল্ল হয়ে গেল। এটাই তার প্রাপ্য ছিল। সে সব দোষ নিজের কাঁধে তুলে নিবে। তবুও নিজের প্রেয়সীর এতটুকু দোষ কারো সামনে তুলে ধরবে না। করুন চোখ মেহেভীনের দিকে চেয়ে আছে মুনতাসিম। মেহেভীন মুনতাসিমকে উপেক্ষা করে চলে গেল। মুনতাসিম বুকের মধ্যে অসহনীয় যন্ত্রনা নিয়ে মেহেভীনের যাওয়ার দিকে দৃষ্টিপাত করে আছে। হয়তো কেউ তার আড়ালে তার জন্য অশ্রু বিসর্জন দিচ্ছে। কিন্তু মুনতাসিম জানতেই পারল না।
চলবে…..
(১০০০ হাজার রেসপন্স হলে পরবর্তী পর্ব কালকে পাবেন ইনশাআল্লাহ।)