খোলা_জানালার_দক্ষিণে #পর্ব_১৮ #লেখিকা_Fabiha_bushra_nimu

0
474

#খোলা_জানালার_দক্ষিণে
#পর্ব_১৮
#লেখিকা_Fabiha_bushra_nimu

মন্ত্রীসভা থেকে বের হতেই কনফারেন্স রুমের অন্য জেলার এক নেতা মুনতাসিমের দিকে এগিয়ে এল। মুখশ্রীতে তার বিশ্রী হাসি মুনতাসিম তাকে ভালোভাবেই চিনে। জাফর ইকবালের সাথে তার বেশ সখ্যতা রয়েছে। মাহতাব উদ্দিন তাকে খোঁচা মা’রা’র জন্য আসছে। সে সেটা ভালোভাবেই উপলব্ধি করতে পারছে। বিরক্ততে মুখশ্রী কুঁচকে এল মুনতাসিমের। সে মাহতাব উদ্দিনকে দেখেও না দেখার ভান করে, সামনের দিকে অগ্রসর হলে, মাহতাব উদ্দিন রসালো কণ্ঠে বলল,

–ভালো আছো মুনতাসিম।

–আমার ভালো থাকা বুঝি আপনার সহ্য হচ্ছে না।

–একদম ত্যাড়া কথা বলবে না। বেশি বাড় বেড়ো না অকালে ঝরে যাবে। আমি তোমাকে ভালোর জন্য একটা পরামর্শ দিচ্ছি। ছোট মানুষ না বুঝেই রাজনীতিতে চলে আসছো। হুজুগে বাঙালি না বুঝেই তোমাকে আপন করে নিল। জাফর সাহেব দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতির সাথে যুক্ত আছেন। তুমি তার ক্ষমতার সাথে পেরে উঠবে না। তাই বলছি আগেই রাজনীতি থেকে সরে যাও। চোয়াল শক্ত হয়ে এল মুনতাসিমের আশেপাশে নানান মানুষের আনাগোনা। শান্ত মস্তিষ্কের ছেলে সে। মুনতাসিম মাহতাব উদ্দিনের কানে কানে ফিসফিস করে বলল,

–অন্যের দালালি কম করে করবেন। পরে দেখা গেল আপনার দালালি আছে। কিন্তু যে কাজ করে দালানকোঠা গড়েছেন। সেটাই নেই। আপনার মতো ফ্রীতে চা’ম’চা আর কোথায় পাওয়া যায়। আমার জন্য একটা জোগাড় করে দিবেন। আমি জাফর ইকবালের থেকে বেশি বকশিস দিব। মুনতাসিমের কথায় জ্বলে উঠল মাহতাব উদ্দিন। রক্ত চক্ষু নিয়ে মুনতাসিমের দিকে দৃষ্টিপাত করল। চোয়াল শক্ত করে বলল,

–তুমি কি আমাকে অপমান করছ মুনতাসিম।

–আপনার আবার অপমানবোধ আছে! আমি তো জানি আপনি মেরুদন্ডহীন প্রাণী।

–নিজের সীমা লঙ্ঘন কর না মুনতাসিম।

–আপনি-ও নিজের অবস্থান ভুলে যাবেন না। আপনি কার সাথে কথা বলছেন৷ একটা কথা সব সময় মস্তকে রাখবেন। আপনার মতো ফ্রী তে পাওয়া দালালের কথার ধার আমি মুনতাসিম ধারিনা। কথা গুলো বলেই মুনতাসিম বিলম্ব করল না দ্রত পায়ে স্থান ত্যাগ করল। মাহতাব উদ্দিন অপমানে চুপসে গেলেন। থমথমে মুখশ্রী করে জাফর ইকবালকে ফোন দিলেন। দু’জনের কথোপকথন শেষ করে রহস্যময় হাসি হাসলেন।

নিজের কক্ষে এসে ফ্রেশ হতে গিয়েছিল মুনতাসিম। কাল থেকে দু’টো চোখের পাতা এক হয়নি। আজকে একটু নিশ্চিন্তে ঘুমাবে। ফ্রেশ হয়ে এসে লাইট অফ করে দিল। পুরো কক্ষ জুড়ে মুহুর্তের মধ্যে আঁধারে ছেয়ে গেল। ক্লান্ত শরীরটা বিছানায় এলিয়ে দিতেই দরজায় টোকা পড়লো। মুনতাসিম বিরক্ত হয়ে দরজা খুলে নিজের বাবাকে দেখতে পেল।

–আমি তোমার বাবা এটা নিশ্চই ভুলে যাবে না। আমি তোমার জন্য নিজের হাতে তোমার পছন্দের খাবার রান্না করে নিয়েছি। একদম গরম গরম সাদা ভাত আর গরুর মাংস। এত স্বাদ হয়েছে তোমাকে না দিয়েই সব খেয়ে ফেলতে ইচ্ছে করছে। তুমি খাবে নাকি আমি নিয়ে চলে যাব। বাবার এই ভালোবাসার কাছেই সে কাবু হয়ে যায়। বাহিরে যতই কঠিন ভাব দেখাক ভেতরটা তার কুসুমের ন্যায় কোমল। সে মুখশ্রী গম্ভীর করে বিছানায় গিয়ে বসলো। মুনতাসিমের বাবা হেসে নিজ হাতে ছেলের সামনে খাবার ধরলো। নিজের পছন্দের খাবার সামনে থাকলে রাগ করে বসে থাকা যায়। মুনতাসিমও রাগ করে থাকতে পারলো না। টুপ করে খাওয়ার গুলো মুখে তুলে নিল। মা ম’রা ছেলে টাকে একটু বেশিই ভালোবাসেন তিনি। ছেলের রাগ, অভিমান, অভিযোগ সবকিছু সম্পর্কে সে অবগত। সে এটাও জানে ছেলে তার বাবার ওপরে বেশিক্ষণ রাগ করে থাকতে পারবে না। জিতে যাবে বাবার ভালোবাসা। হেরে যাবে ছেলের রাগ কথা গুলো ভাবতেই রিয়াদ চৌধুরী হালকা হাসলেন।

জাফর ইকবাল অন্ধকার কক্ষে বসে প্রহর গুনছিলেন। অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে একটি মেয়ে আসলো তার কক্ষে। মেয়েটিকে দেখে বিস্ময়ে তার আঁখিযুগল বেড়িয়ে আসার উপক্রম। তার কল্পনার বাহিরে ছিল। এই রমণী তার কাছে আসতে পারে। সুন্দরী রমণী এসে জাফর ইকবালের সামনে বসে বলল,

–পয়তাল্লিশটা মেয়ে তুলেছেন পাচারের জন্য খবরটা কি মুনতাসিম পর্যন্ত পৌঁছে দিব। নাকি আমার কথা মতো কাজ করবেন?

–মুনতাসিমের সাথে রাজনীতি নিয়ে আমার শত্রুতা। কিন্তু মুনতাসিমের সাথে তোমার শত্রুতা কিসের!

–এত অবাক হবার কিছু নেই। আপনার থেকে সাহায্য চাইতে এসেছি। আমাকে সাহায্য না করলে আপনার খবর কালকে প্রতিটি টিভি চ্যানেলের হেড লাইন হবে। তিনবার জয়যুক্ত মন্ত্রী নারী পাচারকারীর সাথে যুক্ত আছেন। পুলিশ তদন্ত চালাচ্ছে তদন্তের পরে ফের জানা যাবে। তার সব অপকর্মের কথা। চারদিকে জনগন আপনাকে ছি ছি করবে। ঘৃণায় আপনার থেকে মুখ ঘুরিয়ে নিবে। একবারেই রাজনীতিতে মুনতাসিমের জায়গা শক্তপোক্ত হয়ে গিয়েছে। সবার নয়নের মনি মুনতাসিম। এসব ঘটনা বাহিরে লিক হলে, আপনাকে ভালোবাসার যে দু’চার জন ছিল। তারাও হাওয়ার সাথে মিলিয়ে যাবে। জাফর ইকবাল রক্তিম চোখে রমণীর দিকে দৃষ্টিপাত করল। এতটুকু মেয়ের এতবড় সাহস তাকে হু’ম’কি দিচ্ছে! সে রাগান্বিত হয়ে বলল,

–তুমি জানো আমি কে? আমি চাইলে তোমার কি করতে পারি? এই কে কোথায় আছিস। এই মেয়ে টাকে মে’রে গুম করে দে। একটা পাখিও যেন টের না পায়।

–আপনি যা বলছেন ভেবে বলছেন তো জাফর সাহেব? আপনি এখানে আমাকে মারবেন। আর আমার লোক আপনাকে এত সহজে ছেড়ে দিবে। এত কাঁচা কাজ করার মতো মেয়ে আমি না। আপনি আপনার কর্ম ফলের জন্য প্রস্তুত হন। এবার আপনি আমাকে মা’র’তে পারেন। রমণীর কথায় ভয়ে কাবু হয়ে গেল জাফর ইকবাল। ললাটে বিন্দু বিন্দু ঘামের কণা তৈরি হলো। মেয়েটাকে সে যতটা সহজ ভেবেছিল। সে ততটা সহজ নয় আটঘাট বেঁধেই ময়দানে নেমেছে। সে গম্ভীর কণ্ঠে বলল,

–কি চাই তোমার?

–মুনতাসিমের মৃ’ত্যু।

–সেটা আমিও চাই। তোমার কোনো ধারনা আছে। এই কয়েক বছরে আমি কম চেষ্টা করিনি। একজন মন্ত্রীকে খু’ন করা সহজ কথা না। তুমি তো তার কাছের লোক তুমি কেন মা’র’ছো না?

–যদি মা’র’তে পারতাম তাহলে আপনার মতো অপদার্থের কাছে আসতাম না। জাফর ইকবাল রাগান্বিত হয়ে রমণীর গালে প্রহার করতে যাবে। তখনই রমণী তার হাত ধরে ফেলে। আঁখিযুগল রক্তিম বর্ন ধারণ করে। সে গম্ভীর কণ্ঠে বলল,

–সাবধান ভুলেও এই কাজ করবেন না। আপনার হাত কে’টে টু’ক’রো টু’ক’রো করে ফেলব। আপনার মুনতাসিমের সম্পর্কে যা যা তথ্য লাগবে। আমি আপনাকে সব রকম তথ্য দিব। আপনি শুধু মুনতাসিম কে রাস্তা থেকে সরিয়ে দিন৷ কথা গুলো বলেই বের হয়ে গেল রমণী। জাফর ইকবাল ক্রোধিত দৃষ্টিতে রমণীর দিকে চেয়ে আছে। পুরোনো ঝামেলার শেষ নেই। আবার নতুন করে ঝামেলা এসে ললাটে জুটলো।

সারাদিন পরিশ্রম করে ক্লান্ত শরীরটা নিয়ে বাসায় ফিরল মেহেভীন। এসেই খোলা জানালার দক্ষিণে দৃষ্টিপাত করল। হঠাৎ করে যদি মানুষটার দেখা পায়। সে জানে মানুষটার দেখা পাবে না। তবুও তার নিয়ম করে আসতে বিরক্ত লাগে না। মানুষটা তাকে বলেই গিয়েছে। তবুও মানুষটার শূন্যতা তাকে কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছে। কিছুক্ষণ নিরব আকাশের দিকে দৃষ্টিপাত করে রাখলো। ফ্রেশ হয়ে ফোন নিয়ে বসেছিল। এমন সময় দরজায় কলিং বেল বেজে উঠল। রুপা কফি তৈরি করছিল। বিরক্ত হয়ে দরজা খুলে একটা সুদর্শন যুবককে দেখে কিন্তু বিস্মিত হলো। সে শান্ত কণ্ঠে বলল,

–কাকে চাই?

–মেহেভীন বাসায় আছে?

–জি আছে।

–একটু ডেকে দিবেন। বলবেন তার ছোট বেলার বন্ধু এসেছে। রুপা আর কথা বাড়ালো না। মেহেভীনের কক্ষে এসে মেহেভীনকে জানালো তার বন্ধু এসেছে। কথা শুনেই মেহেভীনের ভ্রুযুগল কুঁচকে এল। তার ছোট বেলার কোনো বন্ধু নেই। তবে কে এল? মেহেভীন উঠে ড্রয়িং রুমে আসতেই দুপা পিছিয়ে গেল। পুরো শরীর কাঁপছে। সমস্ত শরীর অবশ হয়ে আসছে। মেহেভীন রুপাকে রাগান্বিত হয়ে বলল,

–রুপা তোকে কতবার নিষেধ করেছি। তুই আমাকে না বলে দরজা খুলবি না। যাকে তাকে বাসার মধ্যে প্রবেশ করতে দিয়েছিস কেন? তোকে আর কিভাবে বোঝালে বুঝবি। সব মানুষ আমাদের ভালোর জন্য আসে না৷ কিছু কিছু মানুষ বিকৃত মন মানসিকতা নিয়ে আসে। যার পরিচয় সে তার আচরনের মাধ্যমে প্রকাশ করে।

–আমার তোর সাথে কথা আছে মেহেভীন। জারিফের মুখশ্রীতে নিজের নাম উচ্চারিত হতেই মেহেভীনের পুরো শরীর ঘৃণায় রি রি করে উঠল। সে রক্তিম চোখে জারিফের দিকে দৃষ্টিপাত করে আছে। বজ্র কণ্ঠে বলল,

–তুই এখনই আমার বাসা থেকে বেরে হয়ে যা। আমার সাথে অসভ্যতা করার চেষ্টা করলে ফলাফল ভালো হবে না। আমাকে তুই আগের বোকা মেহেভীন ভাবিস না। আগুন নিয়ে খেলতে আসিস না। সেই আগুনে জ্বলে পুড়ে ছাই হয়ে যাবি।

–তোর জ্বালিয়ে দেওয়া আগুনে আমি প্রতিটি মুহুর্ত জ্বলে পুড়ে খাক হয়ে যাচ্ছি। আমাকে গ্রহণ করে আমার পিপাসিত হৃদয়কে শীতল করে দে অনুগ্রহ করে। তোকে পাবার তৃষ্ণায় ক্ষ্যা’পা কুকুর হয়ে আছি। ভালোবেসে কাছে টানতেও জানি আবার ভালো না বাসলে জোর করে টেনে ছিঁ’ড়ে খেতেও জানি। ঘৃণায় মেহেভীনের সমস্ত শরীরে আগুন জ্বলে উঠল। সে নিজের ক্রোধ নিয়ন্ত্রণ করতে পারল না। সর্বোচ্চ শক্তি প্রয়োগ করে জারিফের গালে প্রহার করল। আকষ্মিক ঘটনায় জারিফ বিস্ময় নয়নে মেহেভীনের দিকে দৃষ্টিপাত করে আছে। আজকে নতুন মেহেভীনের সাথে পরিচিত হলো সে। নিজের ক্রোধ নিয়ন্ত্রণ করে আদুরে ভাবে মেহেভীনের দুই গাল স্পর্শ করল। জারিফের স্পর্শ মেহেভীনের কাছে বিষাক্ত লাগলো। সে ধৈর্যের সমস্ত সীমা অতিক্রম করে জারিফের মুখশ্রীতে এক দোলা থু’থু ছু’ড়ে মা’র’লো। জারিফ একহাতে নিজের মুখশ্রী মুছে নিল। আরেক হাতে মেহেভীনের দুই গাল শক্ত করে চেপে ধরলো। মেহেভীন নিজেকে ছাড়িয়ে নেওয়ার জন্য ছটফট করতে লাগলো। পুরুষ মানুষের শক্তির সাথে পেরে ওঠা এতই সহজ! চোয়াল শক্ত করে বলল,

–ভালোবেসে বুকে আগলে নিতে চেয়েছিলাম। আমার ভালোবাসা মূল্য দিলি না। তোকে পাবার আশায় নিজেকে কতটা পরিবর্তন করেছি। সেটা তোর আঁখিযুগলে ধরা দিল না। কয়েকবছর আগে একটা ভুল করেছি। সেটা ঠিকই ধরে বসে আছিস। আমাকে এতটা অবহেলা করিস না মেহেভীন। আমার খারাপ রুপ সহ্য করতে পারবি না। বাঁচতে দিব না তোকে। তোকে খু’ন করার অপরাধে যদি আমার ফাঁ’সিও হয়। তবে আমি হাসি মুখে ফাঁ’সি’র দড়িতে ঝুলে যাব। যে ধরণীতে আমি থাকব না। সেই ধরণীর বুকে তুইও থাকতে পারবি না। তোর অস্তিত্ব শেষ করেই আমার অস্তিত্ব বিলীন হবে। এটা সব সময় মনে রাখিস। বি’ষে’র চেয়েও বেশি বিষাক্ত লাগছে জারিফের ছোঁয়া। সে সহ্য করতে পারছে না দম বন্ধ হয়ে আসছে তার। আশেপাশে হাতরে কিছুই খুঁজে পাচ্ছে না। মেহেভীনকে অবাক করে দিয়ে সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে বসলো রুপা। একটা ভারি ফুলদানি দিয়ে জারিফের মাথায় প্রহার করল। জারিফ ব্যথায় কুঁকড়ে গেল। রুপা দৌড়ে এসে মেহেভীনকে জড়িয়ে ধরে কান্না করে দিল। মেহেভীন রুপাকে শান্তনা দিতে বলল,

–কিছু হয়নি ভয় পাস না। ঠিক এভাবেই নিজেকে রক্ষা করবি। ফোনটা নিয়ে আয়। ওর মতো জা’নো’য়া’র’কে কিভাবে শায়েস্তা করতে হয়। সেটা আমার ভালো মতোই জানা আছে। কথা গুলো বলেই জারিফের বুক বরাবর লা’থি মা’র’ল। জারিফ ব্যথা কাতর দৃষ্টিতে মেহেভীনের দিকে দৃষ্টিপাত করল। সে স্বাভাবিক অবস্থায় থাকলে সবকিছু ধংস করে দিতো। তা জারিফের রক্তাক্ত আঁখিযুগল বলে দিচ্ছে। একটু পরে মেহেভীনের গার্ড আসলে মেহেভীন রাগান্বিত হয়ে বলল,

–এই জা’নো’য়া’র টার এমন অবস্থা করবে। যেন প্রতিটি মানুষের রুহু কেঁপে উঠে। কোনো পুরুষ নারী জাতিকে নোংরা ভাবে স্পর্শ করার আগে একবার অন্তত ভাবে। দরকার পড়লে ওর মতো জা’নো’য়া’র’কে কে’টে কু’টি কু’টি করে রাস্তার কুকুরকে খাওয়াবে। একে আমার সামনে থেকে সরিয়ে নিয়ে যাও। না হলে তাজাই পুঁ’তে ফেলব তাকে। ক্রোধে সমস্ত শরীর কাঁপছে মেহেভীনের। অদ্ভুত ভাবে সমস্ত শক্তি এসে তার শরীরে ভর করছে। সে নিজেকে দমিয়ে রাখতে ব্যর্থ হচ্ছে। জারিফকে খু’কে মনের আগুন নেভাতে ইচ্ছে করছে।

চলবে…..

(১০০০ হাজার রেসপন্স হলে পরবর্তী পর্ব কালকে আসবে। আগেও বলেছিল আজ আবারও বলছি৷ তোমরা প্রতিদিন রেসপন্স করলে আমি প্রতিদিন গল্পটা দিয়ে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি। তোমরা একদিন পর পর হাজার রেসপন্স করে দাও। আমিও একদিন পরপর গল্প দেই। হাজার রেসপন্স হলেই গল্প লিখতে বসি। আমাকে তো তোমরা সময় দিবে নাকি। হাজার রেসপন্স হবার সাথে সাথে গল্প দেন গল্প দেন শুরু করে দেন। আমার দিকটা অনুগ্রহ করে একটু ভাববেন। সবাই রেসপন্স করবেন। ধন্যবাদ।)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here