#খোলা_জানালার_দক্ষিণে
#পর্ব_২০
#লেখিকা_Fabiha_bushra_nimu
ভোরের শীতল হওয়া মন,মস্তিষ্ক, শরীর সবকিছু শীতল করে তুলছে। হৃদয়ের অস্থিরতা দিগুণ ভাবে বেড়ে গিয়েছে। আরিয়ান তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে মুনতাসিমের দিকে দৃষ্টিপাত করে আছে। মুনতাসিম শান্ত মস্তিষ্কের মানুষ। সে নিজের রাগ নিয়ন্ত্রণ করে গম্ভীর কণ্ঠে বলল,
–আপনার বোন নিশ্চই ছোট বাচ্চা নয়। যে কেউ তাকে ডাকবে সে অবুঝের মতো চলে আসবে। আমি তাকে প্রয়োজনে ডেকেছি। সে জেনে-বুঝেই এসেছে। কারো অনুমতি ছাড়া তার পিছু করা দণ্ডনীয় অপরাধ। সেটা কি আপনি জানেন? ভয় পাবেন না ঘু’ষ দিয়ে জমি কিনে নেওয়া গেলে-ও মানুষের মন কিনে নেওয়া যায় না। আমি আপনার বোনকে খেয়ে ফেলছি না। আমি তার সাথে কিছু জরুরি কথা বলব। সেজন্য এখানে ডেকেছি। আপনি এখন এখানে থেকে আসতে পারেন। কাইন্ড ইওর ইনফরমেশন আমার মনে যদি পাপ থাকতো। তাহলে এতগুলো গার্ড নিয়ে এই খোলামেলা পুকুর পাড়ে দেখা করতে আসতাম না। আমি চাইলে আপনার বোনকে তুলে নিয়ে নিজের কাছে রাখতে পারতাম। কিন্তু আমি সেসব কিছুই করি নাই। মাথার মধ্যে যদি কিছু থেকে থাকে তাহলে বুঝে নিব। আপনি বুদ্ধিমান আর না বুঝলে নির্বোধ। এখন এখানে আমি আপনাকে পছন্দ করছি না। ভালোই ভালোই যাবেন নাকি তুলে ফেলে দিয়ে আসতে হবে। মুনতাসিমের কথায় অপমানে মুখটা চুপসে গেল আরিয়ানের। মুহুর্তের মধ্যে সমস্ত মুখশ্রীতে আঁধার ঘনিয়ে এল। ক্রোধে সমস্ত শরীরে কম্পন সৃষ্টি হয়েছে। তবুও মুনতাসিমের মুখের ওপরে কথা বলার সাহস হলো না। ঘন গাঢ় নিঃশ্বাস ফেলে দ্রুত পায়ে স্থান ত্যাগ করল। আরিয়ান চলে যেতেই পুরো পরিবেশ নিস্তব্ধতায় ভরে উঠল। মুনতাসিম মেহেভীনের দিকে দৃষ্টিপাত করে আছে। আঁখিযুগলে শত বছরের তৃষ্ণা। সারাজীবন মেহেভীনকে দেখলেও তার দেখার তৃষ্ণা মিটবে না। নিরবতা ভেঙে মেহেভীন বলল,
–কেনো ডেকেছে আমায়?
–আপনি আমার ওপরে রাগ করছেন? আপনার অভিমানের আঁখিযুগল আমাকে সারারাত নিদ্রা যেতে দেয়নি। আপনাকে দেখার কঠিন অসুখে আমি খুব বাজে ভাবে অসুস্থ হয়েছি। আমার অসুখ আপনি দ্রুত সুস্থ করে দিন। আপনার কি এতটুকুও রাগ হয় না। এই যে আমি মাসের পরে মাস আপনার খোঁজ রাখি না। আপনার সাথে কথা বলি না। তবুও আমি ডাকার সাথে সাথে আপনি অস্থির হয়ে, কেন আমার কাছে ছুটে আসলেন? কেন আমার ডাককে উপেক্ষা করতে পারলেন না৷ আমি কি আদৌও বন্ধু হবার যোগ্যতা রাখি। মুনতাসিমের কথায় মেহেভীন দীর্ঘশ্বাস ছাড়ল। তারপরে শান্ত কণ্ঠে বলল,
–ভালোবাসি বলার চেয়ে মানুষের কাজে ভালোবাসা প্রকাশ পাবার ব্যাপার টা একটু বেশিই সুন্দর। আমাকে আপনি একটু বেশিই বোকা ভাবেন। এই যে আপনি রোজ নিয়ম করে আমার খোঁজ খবর রাখেন। আমি কোথায় যাই, কি করি, কে আমার দিকে তাকালো, কে আমার খারাপ চাইলো, কিসে আমার ভালো হবে। আপনি সব দিকেই খেয়াল রাখেন৷ এগুলো কি একটা মানুষকে মুগ্ধ করার জন্য যথেষ্ট নয়। ভালোবাসি বললেই ভালোবাসার মানুষ হওয়া হয় না। ভালোবাসার আগে ভালো রাখার দায়িত্ব নিতে শিখতে হয়৷ সেটা আপনি ভালো করেই জানেন। কে বলেছে ভালোবাসলেই রোজ নিয়ম করে কথা বলতে হবে। নিয়ম করে প্রতিদিন দেখা করতে হবে। ঘুরাফেরা, খাওয়া-দাওয়া, হৈ-হুল্লোড় করলেই মানুষের মধ্যে ভালোবাসা প্রকাশ পায়! ভালোবাসার জন্য একটা সুন্দর পবিত্র মনের প্রয়োজন আছে৷ সেই পবিত্র মনটা আপনার কাছে আছে। ভালোবাসা দূর থেকেই সুন্দর কাছে আসলে তা পানসে হয়ে যায়। সম্পর্কটা তিক্ততায় ভরে উঠে গুরুত্ব বোঝার জন্য দুরত্বের প্রয়োজন আছে। অল্পতে পেয়ে গেলে সেই জিনিসের মূল্য থাকে না। আপনি আমার সাথে কথা না বলেও আমার খোঁজ খবর রেখেছেন। আপনি জানেন আমি ছোট বাচ্চা নয়। আমি একটা ভালো মানের কাজের সাথে যুক্ত আছি। আমাকে রক্ষা করার জন্য সরকার অনেক সুযোগ সুবিধা দিয়েছে। কাজেই আমার ক্ষতি করা এতটা সহজ নয়। এই যে আজ আমায় ডাকলেন। আমি অস্থির হয়ে ছুটে আসলাম। আমাদের নিয়ম করে দেখা হলে, এতটা অস্থিরতা এত গভীর টান হৃদয়ের গহীনে থেকে আসতো। মেহেভীন পুকুরের দিকে তাকিয়ে কথা গুলো বলছিল। মুনতাসিম মেহেভীনের প্রতি আরো গভীর ভাবে মুগ্ধ হলো। সে নিষ্পলক চাহনিতে মেহেভীনের দিকে দৃষ্টিপাত করে আছে। মেয়েটার মুখশ্রীতে অসম্ভব ভাবে মায়া জড়ানো আছে। এই মায়াতেই সে শত-শত বার আঁটকে গিয়েছে। তার শান্ত হৃদয়টা এই মুখশ্রী উথাল পাথাল করে দিয়েছে। মৃত অনুভূতি গুলো করেছে জাগ্রত। দিয়েছে স্বচ্ছ এক পবিত্র ভালোবাসার ছোঁয়া।
–আপনার সাথে আমার অনেক কথা আছে। সেগুলো আমি আপনাকে নির্বাচনের পরে বলব। তার আগে বলুন আপনি আমায় চিনেও কেন না চেনার ভান ধরে ছিলেন।
–আপনি গিরগিটি হলে আমি হয়েছি প্রজাতি। রং বদলের খেলা দু’জন মিলে খেলেছি। মন্ত্রীর এলাকায় মানুষ হয়ে যদি মন্ত্রীকেই না চিনি৷ তাহলে এই এলাকায় থাকা আমার জন্য বৃথা। যদিও আপনাকে সামনে থেকে দেখার সৌভাগ্য আমার কখনো হয়নি। আমি জন্মের পরে আমার মা ভিষণ অসুস্থ হয়ে পড়ে। তখন আমরা পরিবার সহ ঢাকাতে চলে যাই। সেখানে থেকেই আমার পড়াশোনা। আমি পাঁচ বছর বয়স থেকে নানির বাসায় থাকি। মাঝেমধ্যে আব্বু আম্মুর কাছে বেড়াতে আসতাম। আমার একা একা ভালো লাগতো না দেখে, বড় আব্বু প্রাপ্তি আপুকে আমার জন্য ঢাকা পাঠিয়ে দিলেন। দু’বোন মিলে সেখানে পড়াশোনা শেষ করেছি। মাঝেমধ্যে গ্রামে এসে আপনার ছবি দেখতাম। চারদিকে পোস্টটারের ছড়াছড়ি। একদিন আপনার ছবির দিকে তাকিয়ে কি বলেছিলাম জানেন? মুনতাসিম উৎসুক দৃষ্টিতে মেহেভীনের দিকে দৃষ্টিপাত করে আছে। আঁখিযুগলে তার কত-শত আকুলতা। মুনতাসিম নরম কণ্ঠে বলল,
–কি বলেছিলেন?
–আজকে বলব না সময় হোক শুনতে পাবেন। আজকে কিসের জন্য ডেকেছেন সেটা বলুন?
–এই কয়টা দিনে উপলব্ধি করলাম। আপনার সাথে কথা না বলে থাক অসম্ভব ব্যাপার। দম বন্ধ হয়ে আসে আমার। আমি প্রহর গুনতে থাকি কখন আপনার কণ্ঠ স্বর শুনতে পাব। আমার অস্থির হৃদয়কে শীতল করব৷ অনেক তো হলো গুরুত্ব বোঝাবুঝির খেলা। এই কয়টা দিন আমি ভিষণ ব্যস্ত থাকব। হয়তো আপনার চেনা মানুষটাও অচেনা হয়ে উঠবে। আমার জীবনটা ভিষণ অশান্তির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। শান্তি হিসবে আপনার কাছে কিছু চাইব দিবেন?
–কি চাই আপনার?
–রাতে আমাকে একটু করে সময় দিবেন। বেশি পাঁচ দশ মিনিট করে আমার সাথে কথা বলবেন। যেন বুক ভরা শ্বাস নিয়ে রাতে ঘুমোতে পারি। দীর্ঘ রজনী আমি শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থায় নিদ্রা গিয়েছি। এবার আমাকে ক্ষমা করুন মহারাণী দয়া করে ফোন দিলে একটু ফোন ধরবেন। মুনতাসিমের কথায় মেহেভীন মলিন হাসলো। সে আহত কণ্ঠে বলল,
–আমার বিয়ে ঠিক হয়েছে মন্ত্রী সাহেব। একা একা ঘুমোতে শিখুন। দু’দিন শশুর বাড়ি চলে গেলে, আমার স্বামী নিশ্চয়ই আপনাকে ঘুম পাড়ানোর জন্য আমাকে আপনার কাছে পাঠাবে না। মেহেভীনের কথায় মুনতাসিমের শান্ত হৃদয়টা মুহুর্তের মধ্যে রক্তাক্ত হয়ে গেল। অনুভূতিরা বিষাদে ছেয়ে গেল। ভেতরটা কেমন মোচড় দিয়ে উঠল। মেহেভীন অন্য কারো হয়ে যাবে। কথা টা মস্তিষ্কে বাজতেই রুহু কেঁপে উঠছে। বুকের মধ্যে চিনচিন করে ব্যথা করছে। মনের গহীনে সে কি অসহনীয় যন্ত্রণা। মুনতাসিমের আহত মুখশ্রী মেহেভীনের ভেতরটা চূর্ণবিচূর্ণ করে দিচ্ছে। সমস্ত শরীর অবশ হয়ে আসছে। হাওয়ার সাথে মিশে থাকা কোনো অজানা দেওয়াল মেহেভীনের দাঁড়িয়ে থাকার সমস্ত শক্তি শুষে নিচ্ছে। চারদিকে নিস্তব্ধতা ঘিরে ধরলো। মুনতাসিম আহত কণ্ঠে বলল,
–এই যে আমাদের দেখা হয়না কথা হয় না। তবুও আপনি আমার সাথেই থাকেন অসহনীয় যন্ত্রনায়, মন খারাপ করা গানের লাইনে, মাঝ রাতে বুকের ব্যথায় আপনি আমার সাথে থাকেন। আপনি আমার মনের অন্তরালে ছিলেন। আছেন আর সব সময় থাকবেন৷ আমি কিছু বলব না সময় কথা বলবে। আমি কথায় নয় কাজে বিশ্বাসী। সূর্য তার কিরণ চারদিকে ছড়িয়ে দিতে শুরু করেছে। এখানে থাকাটা নিরাপদ নয়। আপনি বাসায় ফিরে যান। মেহেভীনের বিয়ের কথায় মুনতাসিমের কোনো ভাবান্তর হলো না। তা দেখে মেহেভীনের ভেতরটা দুমড়েমুচড়ে যাচ্ছে। মানুষটা কি তবে তার নয়। মানুষটা তো কোনো যন্ত্রণা পাচ্ছে না। তাহলে তার ভেতরটা যন্ত্রণায় কেন ছটফট করছে। কেন সারাক্ষণ মানুষটার কাছে থাকতে ইচ্ছে করছে। মেহেভীন একবার পেছন ফিরে তাকালো। মুনতাসিম অদ্ভুত দৃষ্টিতে মেহেভীনের দিকে চেয়ে আছে। মুনতাসিমের এমন চাহনিতে মেহেভীন আরো ক্ষতবিক্ষত হয়ে গেল। মানুষটার মনে কি চলে বোঝা বড় দায়৷ বুকভরা অজানা যন্ত্রণা নিয়ে মেহেভীন বাসায় দিকে যাচ্ছে।
মুনতাসিম আর মেহেভীনের ছবি আঁখিযুগলের সামনে স্পষ্ট হতেই সমস্ত শরীর জ্বলে উঠল তাহিয়ার। সে দাদুর বাসায় ফুফাতো ভাইয়ের বিয়ের কাজে ব্যস্ত ছিল। সেজন্য বাবা মায়ের সাথে চৌধুরী বাড়িতে আসেনি। অন্য নারীর পাশে মুনতাসিমকে দেখে মনের অজান্তেই আঁখিযুগল দিয়ে টপ টপ করে পানি গড়িয়ে পড়ল। মনটা জ্বলে পুড়ে ছারখার হয়ে যাচ্ছে। যে মানুষটা শুধুই তার সেই মানুষটার পাশে অন্য নারী কি করে! তার জবাব সে চাইবে। খুব তাড়াতাড়ি সে চৌধুরী বাড়িতে যাবে। কেন যে বাবা মায়ের সাথে না গিয়ে এখানে আসলো। ভিষণ কষ্ট হচ্ছে তাহিয়ার দম বন্ধ হয়ে আসছে। সে কিভাবে অন্য কারো সাথে মুনতাসিমকে সহ্য করবে। সে রাগান্বিত হয়ে তার মাকে ফোন করল। দ্রুত গাড়ি পাঠাতে বলল সে আজই চৌধুরী বাড়িতে যাবে।
ঘড়ির কাঁটায় রাত এগারোটা ছুঁই ছুঁই। তখনই দরজায় অনবরত কলিং বেল বেজেই যাচ্ছে। মেহেভীনের বাবা অসুস্থ থাকার কারনে ঘুমের ঔষধ খেয়ে দ্রুত নিদ্র গিয়েছেন। রাইমা বেগম বেশি রাত জাগতে পারেন না৷ সে-ও অনেক আগেই নিদ্রা গিয়েছেন। মেহেভীনের রাত জাগার অভ্যাস আছে। সে কিছুটা অবাক হলো। বিরক্ততে মুখশ্রী কুঁচকে এল। সে হন্তদন্ত হয়ে দরজা খুলে একটা রমণীকে দেখে বিস্মিত হয়ে গেল। নেভি ব্লু জিন্স আর কলাপাতা রঙের ছোট টপসে মেয়েটিকে দারুন আকর্ষণীয় লাগছে। দুধে-আলতা গায়ের রঙ রাতের আঁধারেও চমক দিচ্ছে। মেহেভীন থমথমে মুখশ্রী করে বলল,
–কে আপনি?
–আপনি মেহেভীন তাই না৷
–জি, কিন্তু আপনাকে তো ঠিক চিনলাম না আপু।
–আমি মুনতামিসের বউ। কথাটা কর্ণকুহরে আসতেই ভেতরটা ধক করে উঠল মেহেভীনের। অজানা ভয়ে ভেতরটা কাবু হয়ে আসতে শুরু করল। তবে কি সে আবার মানুষ চিনতে ভুল করল। ভেতরটা হাহাকার করে উঠল। মনের শহরে তাচ্ছিল্যের মিছিল শুরু হয়ে গিয়েছে। মেহেভীন ধরে আসা কণ্ঠে জবাব দিল,
–আপনি আমার সাথে ফাজলামি করছেন? চেনা নেই জানা নেই হুট করে এসে বলছেন। আপনি মুনতাসিমের বউ আমি কিভাবে বিশ্বাস করব?
–কি করলে আপনি বিশ্বাস করবেন? আপনি যা বলবেন আমি তাই করব। আপনি শুধু মুনতাসিমের জীবনে থেকে সরে যান। আমি মুনতাসিমকে ভিষণ ভালোবাসি। এভাবে আমার স্বামীকে আমার থেকে কেঁড়ে নিবেন না আপু। মুনতাসিম আমার থেকে দূরে সরে গেলে আমি দম বন্ধ হয়ে মা’রা যাব। এভাবে আমার স্বামীর ভালোবাসা থেকে আমাকে বঞ্চিত করবেন না। পৃথিবীতে এত পুরুষ থাকতে আমার স্বামীর দিকে কেন নজর দিলেন। আমি দুই মাসের অন্তসত্ত্বা এই অবস্থায় মুনতাসিম আমাকে ডিভোর্স ও দিতে পারবে না। আমার অনাগত সন্তান পৃথিবীতে আসার পরে, মুনতাসিম যদি আমাকে ডিভোর্স দেয়। তখন আমি আমার সন্তানকে নিয়ে কথায় যাব। আমাকে এতটুকু দয়া করুন আপু। এভাবে আমার সংসারটা ভাঙবেন না৷ এই যে মুনতাসিম আপনার কাছে যায়। আবার মাসের পর মাস তার খোঁজ থাকে না৷ সে কোথায় থাকে কার কাছে থাকে। সেটা কখনো ভাবেননি আপু। আজ আপনাকে দেখে সে আমাকে অবহেলা করছে। আমার শরীরে প্রহার পর্যন্ত করেছে। আমি যেন সবকিছু আপনাকে না বলি। কথা গুলো বলেই অশ্রুবিসর্জন দিতে লাগলো তাহিয়া। মেহেভীন কেমন নিস্তব্ধ হয়ে গেল। মস্তিষ্ক শূন্য হয়ে পড়েছে। বুদ্ধি গুলো অকেজো হয়ে পড়েছে। যে মেয়েটার গলায় এতটা জোর সে কিছুতেই মিথ্যা কথা বলতে পারে না। মেহেভীনের বুকটা ভারি হয়ে আসতে শুরু করল। দম বন্ধ হয়ে আসছে তার। তাহিয়া যদি তার সামনে না থাকতো। তাহলে এখনই ছটফট করতে করতে মাটিতে লুটিয়ে পড়তো। তার মস্তিষ্ক একটা কথায় বলছে। এত সুন্দর নিষ্পাপ চেহারা কিভাবে প্রতারণা করতে পারে। অসহনীয় যন্ত্রনায় ভেতরটা জ্বলে পুড়ে দগ্ধ হয়ে যাচ্ছে।
চলবে…..
(ভাবছিলাম আপনারা রিয়েক্ট তুলে দিবেন না৷ আরামে ঘুরে বেড়াচ্ছিলাম। পেজে রিয়েক্ট দেখে ঠা’স করে থম মেরে গেলাম। আমি তো ভুলেই গিয়েছিলাম। আপনারা পাঠক চাইলে সব পারেন। রাইটিং ব্লকে পড়ছি। কি যে লেখছি নিজেও জানিনা৷ ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখাবেন। সবাই রেসপন্স করবেন।)