কাজল_কালো_ভ্রমর #পর্ব১২ #Raiha_Zubair_Ripte

0
399

#কাজল_কালো_ভ্রমর
#পর্ব১২
#Raiha_Zubair_Ripte

আরশিয়া সবাই কে খাইয়ে দাইয়ে নিজেও খেয়ে নেয়। খাওয়া শেষে প্লেট গুলো ধুয়ে নিজ ঘরে এসে পড়ে। সাহিল খেয়েদেয়েই কোথায় যেনো চলে গেছে।

আরশিয়া হাতে থাকা ফোনটা অপেন করে ফোন গ্যালারিতে ঢুকে। ফোন গ্যালারিতে থাকা আয়ুশ,টিপু খান,আরুশি বেগম, মিহিকা,আরমান,সামিরা,মমতাজ বেগম সবার ফটো বের করে দেখতে থাকে।

টিপু খানের পিক টা বুকের সাথে জড়িয়ে ধরে নিরবে কান্না করতে লাগলো।

_ সরি বাবা, পারলে ক্ষমা করে দিয়ো,আমি সাহিল কে বিয়ে না করলে এক সাথে চার চারটি জীবন নষ্ট হয়ে যেতো। আমার ভাইটা যে চিরকালের মতো মিহিকা কে হারিয়ে ফেলতো,আমি সেই ছোট বেলা থেকেই ভাইয়ের চোখে দেখেছি মিহিকার জন্য এক আকাশ সমান ভালোবাসা।

চোখের পানি টুকু মুছে ফোন কলে গিয়ে আয়ুশের নাম্বারে কল লাগায়।

আয়ুশ সবেই মিহিকা কে নিয়ে বাড়ি ফিরেছে,বসার রুম টপকে সিঁড়ি তে উঠতে যাবে আর তখনই আয়ুশের ফোনে কল আসে। পকেট থেকে ফোন বের করে দেখে আরশিয়ার ফোন,ভ্রু কুঁচকে ফোনের পানে কিছুক্ষণ চেয়ে কিছু একটা ভেবে ফোন রিসিভ করে।

_ কি বলবি তারাতাড়ি বল?

আয়ুশের কন্ঠ শুনে তৃপ্তির শ্বাস নেয় আরশিয়া, অনেকদিন পর ভাইয়ের আওয়াজ শুনতে পেলো।

_ ভাইয়া কেমন আছি?

_ ভালো।

_ বোনটা কেমন আছে সেটা জানতে চাইলি না একবারের জন্য ও। ভুলে গেছিস তাই না!

_ আরশিয়া নামক মেয়ে টা নিশ্চয়ই ভালো আছে আশা করি। সে তো ভালো থাকার জন্যই সে তার নিজের ব্যাবস্থা নিজেই করেছে। তাই জিজ্ঞেস করে লাভ কি?

_ ভাই লাস্ট বারের মতো কি ক্ষমা করা যায় না। বাবা মা আমার ফোন রিসিভ করে না। একবার বল না আমার সাথে তাদের কথা বলতে,আর জীবনেও তাদের কথার অমান্য হবো না।

_ সেটা তুই এসে বলে যা, তুই বললে নিশ্চয়ই বাবা মা রাগ করে থাকতে পারবে না। তুই তো সামনে এসে তাদের বুঝিয়ে শুনিয়ে ক্ষমা চাইতেই পারতিস,কিন্তু তুই তো তা করিস নি।

_ ভাই তুই অন্তত আমায় বোঝ,তুই যেভাবে মিহিকাকে অন্য কারো সাথে দেখতে পারতি না আমিও সাহিলকে অন্য কারো সাথে দেখতে পারতাম না। তুই যেমন মিহিকাকে ভালো ……

_ চুপ এসব কি বলছি…

_ ভাই আজ অন্তত মিথ্যা বলো না,আমি জানি তুমি মিহিকাকে ভালোবাসো, আমি দেখেছি তোমার চোখে ওর প্রতি কেয়ারিং,ভালোবাসা।

আয়ুশ আর কিছু না বলেই ফোন কেটে দেয়। আরশিয়া ভাইকে এভাবে ফোন কেটে দেওয়াতে নৈঃশব্দ্যে হেঁসে বেলকনিতে চলে যায়।

মিহিকা বাসায় এসে থেকেই সামিরার পেছনে লেগে আছে। সামিরা মুখ গোমড়া করে বসে আছে। সামিরাকে দুই হাত দিয়ে জড়িয়ে ধরে,,

_ আপাই এভাবে রেগে থাকলে কি চলবে বলো,আর চাচির ও তো বয়স হচ্ছে তাই চাচি চাচ্ছে তোমার বিয়েটা দিয়ে দিতে,আর আজ দেখতে আসলেই তো বিয়ে হয়ে যাচ্ছে না। পাত্র দেখবে পছন্দ না হলে চাচি কে জানাবে চাচি তোমার অমতে বিয়ে কখনোই দিবে।

আরশিয়ার কথা শুনে তপ্ত শ্বাস ফেলে উঠে আয়নার সামনে গিয়ে চুল গুলো ঠিক করে পরনের সুতি কাপড় টা ভালো মতো টেনে মাথায় নেয়।

এর মধ্যেই বসার রুম থেকে চাচি উঠে এসে সামিরাকে নিয়ে যায় পাত্র পক্ষরা এসে গেছে। মিহিকা ও পিছু পিছু আসে,ড্রয়িং রুমে আসতেই এক ঝটকা খায়,তার সামনে দুটো মহিলার সাথে অভি বসে আছে।

সামিরা এখনো মাথা উঁচু করে খেয়াল করে নি যে তাকে আর কেউ না অভি নামের ছেলেটা দেখতে এসেছে।

অভির মা মমতাজ বেগম কে উদ্দেশ্য করে বলে,,

_ মমতাজ তোমার মেয়ে কিন্তু আমার পছন্দ হয়েছে। কি ভারি মিষ্টি দেখতে, ভাগ্যিস সেদিন তোমার সাথে তোমার মেয়েকে দেখেছিলাম মার্কেটে।

অভির মা রাশেদা বেগমের কথা শুনে সামিরা মাথা উঁচু করে দেখে সেদিন মার্কেটে দেখা সেই মহিলা। মহিলার থেকে চোখ সরিয়ে পাশে তাকাতেই বসা থেকে উঠে দাঁড়ায় সামিরা।

সামিরা কে এভাবে দাঁড়াতে সবাই ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে থাকে। সবার চাহনি দেখে সামিরা আবার বসে পড়ে। সামিরার পাশে দাঁড়ানো মিহিকার পানে একবার অসহায় দৃষ্টিতে তাকায়।

অভির প্রথমে এ বাড়ি তে ঢুকতেই খটকা লেগেছিলো,কারন কালই তারা এ বাড়িতে এসেছিলো,আর এ বাড়ির মেয়ে তো মিহিকা,তার মানে কি মিহিকার সাথে বিয়ের প্রস্তাব এসেছে,এসব কল্পনা জল্পনা করতে করতে বাড়ির ভেতর ঢুকে, কিন্তু সামিরা কে দেখে প্রথমে চমকে গেলেও পরক্ষণে নিজেকে সামলে নেয়।

এর মধ্যে আরমান সাহেব এসে সোফায় বসে,আজ সামিরা কে দেখতে আসবে বলে তিনি তাড়াতাড়ি অফিস থেকে বাসায় চলে এসেছে।

আরমান সাহেব সোফায় বসে অভি কে দেখে বলে,,

_ আরে অভি তুমি!

অভির মা রাশেদা বেগম আরমান সাহেবের উদ্দেশ্যে বলে,,

_ ভাই আপনি কি কোনো ভাবে আমার ছেলে কে চিনেন?

_ আগে চিনতাম না কালকেই চিনেছি অভি কে,কাল এসেছিলো অভি আর আহিল আমাদের বাসায়। আপনার ছেলে কিন্তু খুব বুদ্ধিমান।

আরমান সাহেবের কথা শুনে রাশেদা বেগম হেঁসে উঠে। এভাবো আরো টুকটাক কথাবার্তা চালিয়ে যায় তারা।

এর মধ্যে রাশেদা বেগমের পাশে থাকা ফারজানা বেগম অভির চাচি বলে উঠে,,

_ ভাবি মেয়ে তো আমরা আগে থেকেই পছন্দ করেছি, আমরা এখন বিয়ের দিকে আগাতে চাইছি যদি আপনাদের মত থাকে তো।

মমতাজ বেগম তড়িঘড়ি করে শুধায়,,

_ না না এতে মত না থাকার কি আছে, আমি চাইছি অভি আর সামিরা আগে নিজেদের মধ্যে একটু কথোপকথন করে নিক তার পর না হয় আগাই।

_ হ্যাঁ এটা ভালো কথা বলেছেন।

_ এই মিহিকা।

_ হ্যাঁ চাচি বলো,

_ সামিরা আর অভি কে নিয়ে ছাঁদে যা।

_ আচ্ছা বলে বসা থেকে সামিরা কে উঠিয়ে ছাঁদে নিয়ে চলে যায়,পেছন পেছন অভি ও আসে ছাঁদে।

মিহিকা সামিরা কে ছাঁদে রেখে পেছন ফিরে চলে যেতে নিলে অভিকে দেখতে পারে, অভির দিকে একটা মেকি হাসি দিয়ে,সিঁড়ির কাছে এসে কানি পাতে।

অভি গিয়ে সামিরার পাশে দাঁড়ায়, দু’জনের মুখ থেকে কোনোরকম আওয়াজ বের হচ্ছে না। সামিরা নিজের হাত কচলাচ্ছে। সব নিরবতা ভেঙে অভি বলে উঠে,,

_ তোমার কি আমাকে বিয়ে করতে কোনো আপত্তি আছে? না মানে আমি কি বোঝাতে চাচ্ছি তুমি বুঝতে পারছো?

অভির কথা শুনে সামিরা নিম্নস্বরে শুধায়,,

_ আমার মায়ের কথাই শেষ কথা,তিনি যদি মনে করেন আপনার সাথে বিয়ে দিলে আমি সুখু হবে তো আমার কোনো আপত্তি নেই।

_ তবুও তোমার তো নিজস্ব একটা মতামত আছে,আমায় মেনে নিতে পারবে নাকি স্বামী হিসেবে,পছন্দ হয়েছে তো তোমার আমায়?

_ আমার মতামত আমার আম্মুকে আমি জানিয়ে দিছে, আমি এক্সামের আগে কোনো বিয়ের প্যারা নিতে চাই না,আর পছন্দের কথা বলছে,আপনাকে অপছন্দ করার জন্য কোনো রিজন তো দেখছি না,দেখতে শুনতে তো ভালোই

মিহিকা এদের কথোপকথন শুনে চোখ মুখ কুঁচকে বিরবির করে শুধায়,,

_ দূর এরা কিসের কথাবার্তা বলে একটু রোমান্টিক রোমান্টিক কথা বার্তা বল তা-না আমাকে পছন্দ হয়েছে?তোমার মতামত কি?

কথাগুলো বলে মুখ ভেঙচি দিয়ে সিঁড়ি বেয়ে নিচে চলে যায়।

_________________________

আহিল মিটিংয়ের জন্য একটা ক্যাফে তে এসে বসে আছে, প্রায় আধ ঘন্টা হতে চললো কিন্তু যার সাথে মিটিং তার আসার কোনো নাম গন্ধ নেই। ধৈর্যহারা হয়ে বসা থেকে উঠে ঘুরতে নিবে আর সাথে সাথে কারো সাথে ধাক্কা খায়,ওপর ব্যাক্তি পড়ে যেতে নিলে আহিল দু হাত দিয়ে আঁকড়ে ধরে।

সাদিয়া আজ প্রথম তার বাবার পরিবর্তে একা একা এসেছে ডিল ফাইনাল করতে। এমনিতেই আজ দেরি হয়ে গেছে আসতে তার উপর এমন অঘটন।

আহিল মেয়েটিকে ছেড়ে সোজা হয়ে দাঁড়ায়, মেয়েটিকে পর্যবেক্ষণ করে দেখে,মেয়েটির পরনে নেভি ব্লু কালারের কুর্তি, চুলগুলো পিঠ অব্দি ছাড়া। হাতে রয়েছে কিছু ফাইলপত্র।

মেয়েটি আহিল কে দেখে তড়িঘড়ি করে সরি বলে পাশে থাকে টেবিলে বসে পড়ে। আহিল একবার মেয়েটির পানে চেয়ে ক্যাফে থেকে বেরিয়ে মিস্টার সাদমান হোসাইন কে ফোন করে।

সাদমান হোসাইন আহিলের ফোন পেয়ে ফোনটা রিসিভ করে,,

আহিল তার আসার কথা জিজ্ঞেস করলে সাদমান হোসাইন জানায় উনি আসতে পারবে না উনার পরিবর্তে উনার মেয়েকে পাঠানো হয়েছে ডিল টা তার মেয়ের সাথে হবে।

আহিল সাদমান হোসাইনের কথা শুনে শুধায়,,

_ কিন্তু আমি তো আপনার মেয়েকে চিনি না বুঝবো কিভাবে আপনার মেয়ে কোনটা।

_ আমি ফোন নাম্বার সেন্ড করছি তুমি কথা বলো, এতোক্ষণে তো চলে গেছে মনে হয় ক্যাফে তে।

আহিল ফোন টা কেটে দিতেই সাথে সাথে ফোনে একটা মেসেজ আসে,মেসেজ টা চেক করে দেখে সাদমান হোসাইন একটা নাম্বার পাঠিয়েছে। আহিলের আর বুঝতে বাকি নেই এটা তার মেয়ের ফোন নাম্বার।

আহিল সাদমান হোসাইনের দেওয়া নাম্বারে কল দেয়।

সাদিয়া এসে থেকে বসে আছে, আর বিরক্ত হচ্ছে, কখন আসবে লোকটা আজ ফ্রেন্ডদের সাথে সন্ধ্যায় দেখা করার কথা এখন বাজে পনে তিনটা।

এসব ভাবনার মাঝেই সাদিয়ার ফোনে কল আসে, সাদিয়া ফোনের স্কিনে অচেনা নাম্বার দেখে ভ্রু কুঁচকায়। ফোনটা রিসিভ করে কানে নিতে ওপাশ থেকে ভেসে আসে,,

_ হ্যালো আপনি কি সাদমান হোসাইনের মেয়ে বলছেন।

_ হুম আমি তার মেয়ে, আপনি কে?

_ আমি আহিল বলছি,অনেকক্ষণ ধরে ক্যাফে তে এসে আপনার জন্য ওয়েট করছি কিন্তু আপনার তো আসার নাম গন্ধ ও নেই।

_ আরে আমিও তো ক্যাফে তে এসে বসে আছি, আপনি কই?

_ কিহ আপনিও ক্যাফে তে! আমি তো ক্যাফের বাহিরে এসেছি,ওয়েট আমি ভেতরে আসছি আপনি কোথায়।

_ আপনি ভেতরে এসে দেখুন ফাস্ট দুই টেবিলের পড়েই পাশের টেবিল টাতে বসে আছি।

আহিল সাদিয়ার কথা মতো ক্যাফের ভেতরে গিয়ে তার বলা মতো টেবিলটার সামনে গিয়ে দাঁড়াতেই টাসকি খায়।

সাদিয়া এতোক্ষণ ফোনের ভেতর ডুবে ছিলো সামনে কারো উপস্থিত পেয়ে মাথা উঁচু করে তাকিয়ে দেখে তখনকার সেই ছেলেটা।

সাদিয়া ভ্রু কুঁচকে জিজ্ঞেস করে, কিছু বলবেন?

সাদিয়ার কথা শুনে আহিল মুচকি হাসি দিয়ে বলে আমি আহিল।

সাদিয়া বসা থেকে উঠে দাঁড়ায়।

_ ওহ আ’ম এক্সট্রিমলি সরি তখনকার ঘটনার জন্য।

_ ইট’স ওকে। তা শুরু করা যাক মিটিংটা।

_ ইয়া তাহলে শুরু করা যাক।

_______________________

আয়ুশ মিহিকাকে ড্রপ করেই নিজের বাসায় চলে আসে,আরশিয়ার সাথে কথা বলে আয়ুশ মা বাবার ঘরের দিকে যায়।

আরুশি বেগম আর টিপু খান কিছু একটা নিয়ে দুজনের মধ্যে কথোপকথন করছিলো এর মধ্যে আয়ুশ এসে দরজায় টোকা নাড়ে।

আরুশি আর টিপু খান দরজার দিকে চেয়ে দেখে আয়ুশ। আরুশি খান আয়ুশ কে ঘরে আসতে বলে।

আয়ুশ ঘরের ভেতর ঢুক বিছানার এক প্রান্তে গিয়ে বসে।

টিপু খান একবার আয়ুশের পানে চেয়ে শুধায়,,

_ কিছু বলবে নাকি আয়ুশ তুমি?

টিপু খানের কথা শুনে আয়ুশ একটু নড়েচড়ে বসে। জিহ্বা দিয়ে শুখনো ঠোঁট জোড়া ভিজিয়ে নেয়।

_ আসলে বাবা আমি আরশিয়ার ব্যাপারে কথা বলতে এসেছি।

আয়ুশের মুখে আরশিয়ার কথা শুনে টিপু খানের মুখে আঁধার নেমে আসে,কাটকাট গলায় শুধায়,,

_ তুমি ঐ মেয়ের ব্যাপারে কোনো কথা বলবে না,তোমায় সেদিন বলেছি আরশিয়া নামের কোনো মেয়ে নেই আমার।

_ বাবা এটা তুমি বলতে পারো না,আরশিয়া ভুল করেছে সেটার জন্য ও অনুতপ্ত, আর কেউ ভুল করে মন থেকে অনুতপ্ত ক্ষমা চাইলে তাকে ক্ষমা করে দিতে হয়,এটা তুমিই শিখিয়েছো আমাদের আর তুমিই ভুলে গেছো। আমি আর কোনো কথা শুনবো না,আজ আরশিয়াকে আমি ও বাড়ি থেকে এ বাসায় আনবো আশা করছি ওর সাথে কেউ বাজে ব্যাবহার করবে না,ফারদার যদি কেউ করছো তাহলে আমি আবার বিদেশ চলে যাবো।

কথা গুলো বলেই আয়ুশ রুম ছেড়ে বেরিয়ে যায়।

____________

সামিরা আর অভি ছাঁদ থেকে নেমে আসে বসার ঘরে। অভি সোফায় বসতে বসতে রাশেদা বেগমকে শুধায়,,

_ মা আমি এখনি বিয়ে করতে চাই না।

অভির কথা শুনে উপস্থিত সকলেই আশ্চর্য হয়ে তাকায় অভির দিকে।

সামিরা মাথা উঁচু করে অভির দিকে চেয়ে মৃদু হাসে।

#চলবে

(ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন, অনেক ব্যাস্ততার মধ্যে লিখছি এই পর্ব টা,হয়তো অগোছালো লাগবে,হ্যাপি রিডিং)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here