#এলোকেশী_সে
#মাহমুদা_লিজা
পর্বসংখ্যাঃ২৬
রান্নাঘরে বড়দের সাথে হাতে হাতে কাজ এগিয়ে দিচ্ছে তোড়া। অনুও এটা সেটা এগিয়ে দিচ্ছে। কলিংবেলের শব্দে অনু দৌড়ে এসে দরজা খুলতেই দেখল তুষারের ফোলা নয়নজোড়া। পেছন পেছন তন্ময়ও আছে। তার চোখের নিচটায় নীলচে হয়ে আছে। ফর্সা আদলে নীলচে বর্ণটা বেশ গাঢ় দেখাচ্ছে। অনু একপাশে সরে গিয়ে জায়গা করে দিলো দু’ভাইকে।
সোফায় কাঁধে ঝোলানো ব্যাগটা রেখে উপুড় হয়ে জুতা খুলল তুষার। চোখ মুছে গটগট করে চলে গেল নিজের ঘরে। তন্ময়ের উৎসুক দৃষ্টি কাউকে খুঁজছে। অনু চুপচাপ দেখে গেল সবটা। রান্নাঘরে এসে শাশুড়িকে বলল খানিকক্ষণ আগের ঘটনাটা। অনিমা ইশারা করে বলল এসবে তিনি একদম গা ছাড়া ভাব। তন্ময়ের অসহায় চাহনিতে অনুর বেশ খারাপ লাগছে। তাই ফিসফিস করে তোড়াকে বলল আদ্যোপান্ত। তোড়া নির্বিকার। হাতে থাকা মগটা অনুর হাতে দিয়ে অল্প ভাষায় বলল -“নিজের কথা ভাব। অযথা সময় নষ্ট করিস না।”
তোড়ার কাট কাট জবাবটা পছন্দ হলো না অনুর। মুখ বাড়িয়ে তোড়ার কানের কাছে এনে বলল -“ভাইয়ার সাথেও এভাবে কথা বলিস নাকি? তাহলে কিন্তু সাবধান করে দিচ্ছি। উনি আবার গণিতের শিক্ষক, কখন যে উরাধুরা মাইর লাগাবে টেরও পাবিনা। খাচ্চর বেডি, কোন অনুভূতি নাই। এভাবে চললে ভাইয়া এ জনমে বাচ্চা কাচ্চার মুখ দেখবে না।”
কথাটা বলে মুখে হাত চেপে হাসতে লাগল অনু। তোড়া সেদিকে ধ্যান না দিয়ে একমনে কাজ শেষ করল। অনিমার হাতে থাকা পাতিলটা নিয়ে মিষ্টি স্বরে বলল -“গোসল সেরে এসো জ্যেঠীমা, বাকি কাজ আমরা দেখে নিচ্ছি। একটু জিরিয়ে নাও।”
অনিমা একগাল হাসল। খুশিতে মনটা গদগদ হয়ে গেছে। এই পুচকু মেয়েটা তার কথা ভাবে! ইস সেদিন অহন কানা রাতে বিয়ে না করলে তো মেয়েটা হাতছাড়া হয়ে যেত। এরপর আর ভাবতে পারলেন না তিনি। কপট রাগের ছল করে বললেন -“দু’জনে যাও, নিজেরা ফ্রেশ হও। গরমের কাছে আসার কি দরকার? আমরা দুজনে করব যাও।”
অনুর মুখ ফসকে বেরিয়ে এলো -“ইয়ে মানে ভালো লাগে।”
কলি ভ্রু কুঁচকে তাকালো অনুর পানে। বেফাঁস কথা বলে সে এমনি বেকুব হয়ে আছে, অন্যদিকে অনিমা বলল -“তুমিও কি অয়নের মত হয়েছো মা?”
পাশ থেকে কলি বলল -“ওর বরতো, সমস্যা নাই। সোনায় সোহাগা।”
অনু লজ্জা পেয়ে মাথা চুলকাতে ব্যস্ত আর বাকিরা হাসিতে ফেটে পড়েছে। অনিমা তাগাদা দিয়ে দুজনকে ঘরে পাঠালো।
সিঁড়ির উপর উঠে নিজের ঘরের দিকে যেতেই তোড়া বলল -“শুন।”
অনু চোখের ইশারায় শুধাল কিছু। তোড়া ফের বলল -“তোর তো অনেক অনুভূতি, তা সুখবরটা কবে দিচ্ছিস?”
তোড়ার মারকাটারি প্রশ্নে ভালোই জব্দ হলো অনু। লাজুক হেসে বলল -“ভাসুরের কোন গতি হলো না, সেই দুঃখে শোক পালন করছি।”
তোড়া হাসল অনুর কথায়। মেয়েটা সময় অসময়ের বিচার করে না। সিরিয়াস মুহূর্তেও তার দুষ্টুমি। কথা না বাড়িয়ে ঘরের দিকে এগোলো সে। অনু তার চলে যাওয়া দেখলো।
টেবিলে রাখা মুঠোফোনটায় আচমকা কম্পন এলো। মোবাইলের পর্দায় আলোটা ত্রিশ সেকেন্ডের জন্য জ্বলে তারপর নিভে গেল ফের। ফোনটা হাতে নিতেই ঠোঁটের কোণে হাসিটা চলে এলো। মন দিয়ে ক্ষুদেবার্তাটা পড়ল –
“কুইন,
এ কেমন বিচার! দিন রাত আমার স্নায়ুর নিউরনে আপনার বাস। শীত আগমনী বার্তায় হাঁড় কাপুনির দিনেও আমার চৈত্রের সর্বনাশ ঘটেছে। জবাব চাই আপনার নিকট। কি করিলে এই মানুষটা ফের মন বসাতে পারবে তার দুনিয়ায়!”
অনেক ভেবেও অহনের পাঠানো ক্ষুদেবার্তাটার যথাযোগ্য ফিরতি জবাব পেলো না। দু’হাতের আঙ্গুল দিয়ে কয়েকবার কিছু টাইপ করে আবার কি ভেবে সব ডিলেট দিচ্ছে। অনেক ভেবেচিন্তে টাইপ করল মুঠোফোনটার পর্দায় -“কাজে ফাঁকি দিলে পাছে দন্ড আরোপ করা হবে। দায়িত্ব পালন করার সময় মোবাইল ফোন ব্যবহার সম্পূর্ণ পরিহার করুন।”
সেন্ড অপশনে ট্যাপ করল।
খানিক বাদে ফিরতি জবাব এল -“এ কোন মিষ্টি যন্ত্রণায় ডুবেছি! আজকাল বারবার নিয়ম ভাঙতে ইচ্ছে হয় যে।”
হাসল তোড়া। মানুষটা তার মন বোঝে। মোদ্দাকথা, মানুষটা তাকে বোঝে। তার প্রতিটা মুহূর্ত যেন ঐ মানুষটা বুঝে। তাকে আগলে রাখার, ভালো রাখার জন্য স্ট্রিক্ট হয়েও ক্লাস চলাকালীন মোবাইল ফোন নিয়েও নাড়াচাড়া করে আজকাল।
এই মানুষটা কি অবলীলায় তাকে কুইন বলে সম্বোধন করল। মানুষটা সবসময় এভাবে আগলে নিবে কিনা সে ভাবনায় বিভোর হয়েছিল সবে, তখনই বসার ঘর থেকে কারো আর্তনাদ আর হৈ চৈ এর শব্দ। তোড়া নিচে নামল না, তবে ঘর ছেড়ে সিঁড়ির কোণে এসে দাঁড়িয়ে ঘটনাটা দেখছে।অনুও এসেছিলো, তোড়াকে উপরে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে সে-ও পাশে দাঁড়াল।
কাননের আর্তনাদ শোনা যাচ্ছে, হাত দিয়ে ছেলের হাতের কব্জিটা চেপে ধরেছে। শিরা কা/ট/তে গিয়েছিল ছেলেটা। অল্প পোঁচ লেগেছিল, ভাগ্যিস তখন কানন গিয়েছিল ঘরটায়। নয়ত বড় অঘটন ঘটত।
তিন ইঞ্চি লম্বা কা/টা জায়গাটায় ক্ষতের পরিমাণ কম হলেও উষ্ণ লাল তরল পড়ছে গড়গড় করে। স্কুলের শুভ্র শার্টটা ততক্ষণে রঞ্জিত হয়েছে লোহিত বর্ণে। কাননের হাতও লাল রঙের উষ্ণ লোহিতে মাখামাখি হয়ে আছে। তার চিৎকার করা আর্তনাদে সবাই এলো। নিজাম মজুমদার ছেলেকে কাঁপা কাঁপা স্বরে শুধালেন -“এমন কেন করলে?”
অনিমাও দৌড়ে এসে অবস্থা দেখে কোনমতে কাপড়ের টুকরো পেঁচিয়ে দিয়েছে তুষারের কব্জিতে। তাগাদা দিলো হাসপাতালে নেয়ার জন্য।
নিজাম মজুমদার উদ্বিগ্ন দৃষ্টিতে ছেলের জবাবের আশায় রইলেন। তখনই তুষার উত্তর দিলো -“বিষাক্ত লাগছে সব৷ এই তুমি মানুষটা আমাদের বাঁচার সহজ রাস্তাটা কলংকিত করে দিয়েছো বাবা। আজ স্কুলে তন্ময়ের সাথে মারামারি হয়েছে ফাহাদের। কারণ ফাহাদ বলেছে তুমি ফেরারি, তুমি দু’টো বিয়ে করেছ। তন্ময় মানতে না পেরে মারামারিতে জড়িয়েছে, আমি তাকে ছাড়িয়ে আনলাম। এরপর তো স্কুলে যাওয়ার মুখ নেই। সবাই এক কথা বলবে। অসহ্য লাগছে সবটা। তার চেয়ে মরে যাওয়া ভালো না?”
ছেলের কথায় দম বন্ধ হয়ে এলো নিজাম মজুমদারের। থপ করে বসে পড়লেন সোফায়। কেমন অস্হির লাগছে। শরীর কুল কুল করে ঘামছে। তবে কি ছেলেদের জীবনটাও তাঁর জন্য জটিল হয়ে যাচ্ছে? তোড়ার মত তারাও কি তাদের জীবনের ভিলেন চরিত্রটা তাকে দিয়েছে? আর ভাবতে পারলেন না তিনি।
ধীর কদমে নেমে এলো তোড়া। তার পিছু পিছু অনুও এলো। তোড়া এসে থামল তুষারের মুখোমুখি। নিজের মুঠ করা হাতটা খুলে কষিয়ে এক চড়। কি কর্কশ চাহনি তার! তবে স্বাভাবিক স্বরে বলল -“অথচ আমি এসব প্রতিদিন শুনেছি, কই কখনো তো নিজেকে শেষ করার কথা ভাবিনি। আমিতো শক্তি পেয়েছি, তবে তোমরা কেন পুরুষ হয়েও রুখতে পারছো না! নাকি বাবার মত নিজেরাও ইনোসেন্ট হতে চাও?”
তোড়ার সূক্ষ্ম খোঁচাটা বুকে গিয়ে বিঁধল নিজাম মজুমদারের। ইনোসেন্ট বলতে মেয়েটা কি বুঝিয়েছে তার মর্ম তিনি ঠিকই বুঝেছেন৷ নোয়ানো মাথায় আজ সন্তানদের সাথে দৃষ্টি মেলাতে তিনি ব্যর্থ। তোড়ার ঠোঁটের কোণে তাচ্ছিল্যের হাসি। পা পিছিয়ে সবে ঘুরতে যাচ্ছিল সে তখনই তার পথরোধ করল কানন। করজোড়ে মিনতি করে বলল -“ক্ষমা করে দাওনা, ছেড়ে দাওনা। বিশ্বাস করো বেঁচে থাকা মুশকিল হয়ে যাচ্ছে। এমনটা করোনা, ঐ মানুষটা মরে যাবে, আমার ছেলেরা মরে যাবে। দয়া করো মা, দয়া করো।”
নিজাম মজুমদার আর তন্ময় চেয়ে রইল তোড়ার পানে। কিন্তু জ্বলে উঠল তুষার। বজ্রকন্ঠে বলল -“আমার লজ্জা করছে আমি তোমাদের সন্তান পরিচয় দিতে। আমার জীবনের প্রথম ব্যর্থতা বোধ হয় এটাই।”
বুকের বা’পাশটায় ধ্বক করে উঠল নিজাম মজুমদারের। দম আঁটকে যেন থম মেরে আছে দূরন্ত গতির মাংশল পিন্ডটা। কি অদ্ভুত নিয়তি! যাদের পেয়ে নিজেকে ধন্য মনে করেছেন তার কথায় আজ অন্য ছাপ। অহনের আঁতে ঘা লাগানো কথায় বিরক্ত নিজাম মজুমদার আজ নিজের সন্তানের কথায় সেই ছায়া পাচ্ছেন। তোড়া উপরে নিচে মাথা দুলিয়ে ব্যাপারটা বোঝার ভঙ্গিমা করল। কাননের পাশ কাটিয়ে দ্রুত পায়ে সিঁড়ি বেয়ে উঠে গেল উপরে।
প্রতি ক্ষণে ক্ষণে মনে হয় তার মা-ও তো এভাবে তড়পেছে সারাজীবন। কই কেউ তো ছাড় দেয়নি! মানসিক যন্ত্রণায় জর্জরিত করা হয়েছে তাকে। পেছন ফিরে তাকায়নি তোড়া, তাকালে দেখত নিজাম মজুমদারের হেরে যাওয়া মুখখানা। গ্লানির ছাপ তাতে স্পষ্ট। নিদারুণ, নিষ্ঠুর যন্ত্রণায় নিজেকে শেষ করতে ইচ্ছে করছে নিজাম সাহেবের। তিনি এসব যন্ত্রণার ভার আর সইতে পারছেন না।
************
বেশ কিছুক্ষণ যাবত অহনের উশখুশ দেখছিলেন নাঈম মজুমদার। আজ প্রতিটা কাজে কোথাও না কোথাও গলদ করেছে সে। তাই তো ছেলেকে নিজের কেবিনে ডাকালেন তিনি। ছেলের মানসিক অস্হিরতার কারণ তিনি বুঝতে পেরেছেন। ঐ ছোট্ট পরীটা যে মাথায় জেঁকে বসেছে তা ভালোই আঁচ করছেন। মুচকি হেসে আনমনে বললেন -“মেয়েটা যে এত ভয়ংকর তা দেখে বোঝাই যায় না। কতটা নীরব থাকে অথচ প্রতিশোধের ভারটা কত ভারী!”
ছেলের কথায় ঘোর ছেড়ে বাস্তবে ফিরলেন । ভণিতা ছাড়াই বললেন -“অফিসের কাজে আজ তোমার মনোযোগ নেই। দু’দিন ছুটি নাও। স্হির হও। কলেজে ক্লাস নেয়া শেষ হলে বাসায় ফিরে যেও, অফিসে আসতে হবেনা কিছুদিন।”
অহন স্বাভাবিক স্বরে বলল -“আজ একটু ক্লান্ত আমি বাবা, ছুটির প্রয়োজন নেই। পারব সামলাতে।”
দাঁত কিড়মিড় করে ছেলেকে মনে মনে কয়টা কটু কথা শোনালেন নাঈম সাহেব, অথচ ছেলে শুনল না। মুখ বেঁকিয়ে তিনি মনে মনে বললেন -“উল্লুক কোথাকারের, কোথায় নাচতে নাচতে ছুটি নিবে তা নয়। আমি ছুটি দিয়েছি তাও উনি নিবেন না। আরে উজবুক, কোথায় বাসায় থাকবে এখন, আমরা চেয়েও পারিনি আর ওকে ছুটি ঠেলে ঠেলে দিচ্ছি তা-ও উনি দায়িত্ব পালন করবেন। বদমাশ।”
বাবার চেহারা দেখে অহন শুধালো -“তুমি কি আমায় মনে মনে বাজে কথা শোনাচ্ছো বাবা? একদম উল্টোপাল্টা বলো না, মাঝেসাঝে এক আধটু ভালো ভালো প্রশংসাও করতে পারো। তোমার মুখটা দেখেই বোঝা যাচ্ছে তুমি আমার পিন্ডি চটকাচ্ছ।”
ছেলের কথায় নিজের গালে হাত বুলিয়ে নাঈম মজুমদার ভাবছেন একটা আয়না সামনে থাকলে ভালো হতো। নিজের চেহারার পরিবর্তন আধৌ এই মুহূর্তে হয়েছে কিনা তা দেখা জরুরী, যাতে পরবর্তীতে সাবধান থাকতে পারেন অমন পাজি ছেলেটার কথা থেকে। আমতা আমতা করে বললেন -“নাহ কিছু বলছি না তোমায়। মানে বলছিলাম আজ রেস্ট নাও, কাল এসো।”
অহন মৃদু হেসে বলল -“অয়নকে নিয়ে যাই?”
নাঈম সাহেব ভ্রু কুঁচকে বললেন -“ঐ অপদার্থটাকে কেন সঙ্গে নিচ্ছ? তার নামে বিচার এসেছে, সে নাকি ম্যানেজারকে বলেছে এভাবে চললে নাকি বউ চলে যাবে। ওর উদ্ভট কথাবার্তায় রীতিমতো শংকিত সবাই।”
অহন হাসলো নাঈম মজুমদারের কথা শুনে। তিনি যে তাদের দু’ভাইকে নিয়ে বেশ বিব্রত তা কথা শুনেই বুঝতে পারল। তবুও বাবাকে ভরসা দিয়ে ভাইকে নিয়ে অফিস থেকে বের হলো।
বাসায় এসে থমথমে পরিস্থিতি দেখে অয়ন বলল -“আরে সবার মুখে এমন চায়না তালা কে দিলো? সবাই যেন তেলাপোকার শ্রাদ্ধ পালন করছে।”
অনুর গুমট আদলখানা দেখে অয়ন ফের বলল -“এমনি দেখতে পেত্নীর মত, তার উপর মুখটা কালো করে রেখেছ। এবার তো কালাচানের মত লাগছে।”
অনু খুব জোরে চিমটি কাটল অয়নের হাতে। ফিসফিস করে কিছু বলতে যাবে তার আগেই গম্ভীর স্বরে অয়ন বলল -“টিচারের সাথে অসভ্যতা করার অভিযোগে তোমাকে শাস্তি পেতে হবে। এক পা তুলে দু’কান ধরে দাঁড়িয়ে থাকো।”
অহন পেছন থেকে ভাইয়ের মাথায় গাট্টা মেরে বলল -“সর।”
অনু ফিক করে হেসে দিলেও পরবর্তীতে নিজেকে সামলে বলল -“তুষার হাত কেটে ফেলছে। সুইসাইড এটেম্পট করেছে।”
দু’ভাই চমকালো অনুর কথা শুনে। অনু পুরো ব্যাপারটা খুলে বলতেই দু’জনে ডোন্ট কেয়ার ভাবে বলল -“এটা তাদের পাওনা ছিল।”
কথাটা বলে অহন নিজের ঘরের দিকে পা বাড়াল। পেছন থেকে নিজাম মজুমদারের ডাক শুনে থামলেন -“তোমার স্ত্রীকে জিজ্ঞেস করবে, কি করলে সে থামবে? আমার মৃত্যু কি তার হাত থেকে বাকিদের নিস্তার দিবে নাকি?”
অহন ঘাড় ঘুরিয়ে জবাব দিল -“আপনাদের ব্যক্তিগত ঝামেলায় আমাকে টানবেন না। সেদিনও বলেছি, আজও বলছি এটা আপনাদের সমস্যা।”
দ্রুত পদে প্রস্হান করল অহন। পেছনে রেখে গেল নিজাম মজুমদারের হাহাকার।
চলবে…….