#হৃদয়_সায়রে_প্রণয়ের_ছন্দ|২৩|
#শার্লিন_হাসান
পরের দিন সকালে প্রায় দশটার দিকে ঘুম ভাঙে পাটওয়ারী বাড়ীর রাজকন্যাদের। সবাই ফ্রেশ হয়ে একসাথেই নাস্তা করতে বসে। তুষি আসে পিঠার প্লেট নিয়ে। টেবিলের উপর প্লেটটা রাখতে,রাখতে বলে,
“সাফা,রাফা,মেহের,শশী রেডি হয়ে হয়ে মাহী সহ গিয়ে ঢালা গুলো দিয়ে আসবে।”
“কিসের ঢালা কাম্মা?”
ব্রেডে জেল মাখতে,মাখতে বলে সেরিন। প্রতিত্তোরে তুষি বলে,
“বিয়ের ঢালা। ছেলেদের বাড়ী দিয়ে আসবে।”
“বিয়েটা কার?”
তখন সিহান পাটওয়ারী এসে বলেন,
“সেরিন ব্রেকফাস্ট করে রুমে যাও আমি আসছি। কিছু কথা আছে।”
সেরিনের আর কফিতে চুমুক দেওয়া হলো না। খাওয়া ভেতরে যাচ্ছে না তার। এভাবে হুটহাট! কার সাথে না কার সাথে। সেরিনের মনে হচ্ছে তার ঢাকা থেকে আসাটাই ভুল হয়েছে। কোনরকম খেয়ে উঠে রুমে চলে যায় সেরিন। সেরিন রুমে প্রবেশ করার পেছন দিয়ে সিহান পাটওয়ারী আসেন। তার দরজায় নক করেন।
কান্না করার সময় কারোর ডিস্টার্ব সেরিনের পছন্দ না। তবে দরজা তো খোলতেই হবে। মনে হচ্ছে কান্নাটা এই অসময়ে না আসলেই হতো। মনে,মনে শুভ্রকে বকছে তো সাথে নিজেকেও। তার উপর যে ডিস্টার্ব করছে তার উপর ও বিরক্ত আসলো। সেরিনের মনে হচ্ছে তাকে কেউ শান্তি দিবে না। চোখ মুছে দরজা খুলে দেয় সেরিন। তখন সিহান পাটওয়ারী ভেতরে প্রবেশ করেন। সোফায় বসতে,বসতে বলেন,
“আগামী কালকে তোমার বিয়ে। তবে পরিকল্পনা আরো একসপ্তাহ আগে থেকেই। ডেট ও ফিক্সড তোমাকে জানানো বাকী ছিলো আরকী। একটু পর তোমার যদি কোন শপিং বাদ থাকে তাহলে কুমিল্লায় যাবে। রেডি হয়ে নিও। সন্ধ্যায় হলুদ/মেহেদী করা হবে।”
সিহান পাটওয়ারীর কথায় সেরিনের জন্য চোখে বৃষ্টি ঝড়ছে। সে বিয়ে করবে না। আর কাকে করবে? বলা নেই কওয়া নেই। সেরিন নিজেকে যথাসাধ্য শক্ত রেখে বলে,
“হঠাত বিয়ে? আর কার সাথে না কার সাথে হচ্ছে। আমি এভাবে বিয়ে করতে পারবো না বাবা।”
“আমরা সবাই ছেলে দেখে রেখেছি। আর আমার উপর বিশ্বাস রাখো।”
“কিন্তু….!”
“আমি জানি আমার মেয়ের পছন্দ অপছন্দ। সো সেভাবেই সব হবে।”
“বাবা।”
“ভরসা রাখো।”
সিহান পাটওয়ারী বেড়িয়ে যান।
মাহী বাজার থেকে কয়েক ব্যাগ ফুল কিনে আনে। তাছাড়া আগামী কালকে চৌধুরী পরিবারকে সুন্দর ভাবে ওয়েলকাম করার জন্যও কিছু ডেইজি ফ্লাওয়ার,কিছু ভিন্ন কালারের রোজ আনে। সেগুলো ভিন্ন,ভিন্ন ভাবে প্যাক করা। যাতে দু’টো ডেইজি ফুল আর একটা গোলাপ ফুল সবার হাতে,হাতে যায়।
সাফা,রাফা, মেহের তারা হাল্কা খাবার খেয়ে কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। শশী আর মেহের যায় গার্ডেনে। হোয়াইট কালারের দেওয়ালের সামনে ছোট,ছোট ঘাস সেখানে জায়গা স্থির করে মেহেদীর আর হলুদের জন্য ডেকোরেশন করার সিদ্ধান্ত নেয়। তুষি পিঠা ঢালায় নিয়ে সেটা সাজায়। দু’টো ঢালায় পিঠা নেওয়া হতে রাফা সেটা প্যাক করে নেয়।
অতঃপর তারা তিনজন রেডি হয়ে নেয়। শশী আর্থকে মেসেজ দিয়ে জানায় তারা আসবে।
সাফা সেরিনের রুমে যেতে দেখে সে কান্না করে চোখ মুখ ফুলিয়ে ফেলছে। সাফা তাকে বলে,
“বোকা মেয়ে এতো কান্না করছো কেন?”
‘এই আমার বিয়েটা কোন জায়েদ খানের সাথে দিচ্ছে?”
“আরে জিজু জায়েদ খান না তোমার পছন্দের হিরোর মতো।”
“আমি তাকে দেখতে চাই।”
“আমার কাছে তো পিক নেই। তবে ওনাদের পরিবার চৌধুরী পরিবার।”
“ইয়া আল্লাহ কোন চৌধুরী এসে জানি কপালে জুটে।”
সাফা যেতে সেরিন শুভ্রকে মেসেঞ্জারে কল লাগায়। কয়েকবার রিং হতে রিসিভ হয়। সেরিন নিজের কান্না আটকে রাখতে না পেরে কেঁদেই দেয়। শুভ্র সেরিনের কান্নার আওয়াজ শুনে নিস্তব্ধ হয়ে যায়। সেরিনের কান্না শেষ হতে বলে,
“আব্বু আমাকে বিয়ে দিয়ে দিচ্ছে। আপনি কিছু করুন না।”
“আমি একটু ব্যস্ত আছি।”
“তোর বা’লের ব্যস্ততা পকেটে ঢুকা। তুই আসবি কীনা বল? না আসলে আমি নিজে চলে আসছি তোর বাড়ীতে।”
“আল্লাহ কী বলে এই মেয়ে? এই কথায়,কথায় বা’ল কী হ্যাঁ?”
শুভ্র কিছুটা ধমকে বলে। সেরিন চুপসে গিয়ে বলে,
“আর বলবো না।”
“দেখো আমি আসতাম। কিন্তু তুমি যা গা’লি দেও তোমায় বিয়ে করলে আমার বাচ্চারাও এমন গা’লি দিবে। আর শুভ্রর বাচ্চা শুভ্রর মতো ভদ্র হওয়া চাই। সেজন্য বাবুর আম্মু তুমি না ভদ্র-সভ্য কোন মেয়েই হবে।”
” আর গালি দেবো না। আমি ভালো হয়ে যাবো। তাহলে বাবুরাও আর গা’লি দিবে না।”
“তোমাকে বিশ্বাস নেই। পান থেকে চুন খসলে তুমি গা’লি দেও। আমি তোমার টিচার সবাই আমাকে ভয় পায় অথচ তুমি একমাত্র মেয়ে যে কীনা আমায় ভয় তো দূরে থাক তুই তোকারী করো।”
“আর করবো না।”
“সবসময়ই তুমি আর করবো না,বলবো না বলো। পরে ঠিকই যেই সেই।”
“আপনি আমায় বেশী মাথায় তুলে ফেলেছেন।”
“তোলা লাগে নাকী? তুমি যেই মেয়ে নিজেই মাথায় উঠে যাও।”
“এই সত্যি আমি চলে আসবো কিন্তু।”
“এসেও লাভ নেই সোনা। আমি আমার বিয়ের শপিংয়ের জন্য বেড়িয়েছি পরিবারের সাথে। তুমি সুন্দর ভাবে বিয়েটা করে নেও। একবারে লক্ষী মেয়ের মতো। একদম কান্না কাটি করবে না। আর বিয়েতে কী গিফ্ট লাগবে বলো? আমি তোমায় সেই গিফ্টটই দেবো। তবুও আমার জন্য কেঁদো না।”
“কিছু চাই না আমার। আমার আপনাকে চাই।”
“আমি তো আরেকজনের জন্য ফিক্সড। বললাম না আম্মু ওইদিন রিং পড়িয়ে আকদ অর্ধেক সেরে নিয়েছে।”
“বাবু হলে কিন্তু কোলে নিতে দেবো না।”
নাক টেনে কথাটা বলে সেরিন। শুভ্রর হাসি পাচ্ছে। এই মেয়ের মাথা থেকে এখনো বাবুর ভূত নামেনি। শুভ্র হাসি থামিয়ে কঠোর গলায় বলে,
“তোমার বাবু আমি কোলে নিতে যাবো ও না। আচ্ছা বলো তো আমার বউকে কী গিফ্ট দেওয়া যায়?”
“জানি না।”
“তাহলে কাঁদুনি কাঁদতে থাকো। আল্লাহ হাফেজ।”
শুভ্র কল কেটে দিতে সেরিন মেসেজ দেয়। মেসেজ ডেলিভারিড হলোও সীন হয়নি। শুভ্র সেরিনকে রেস্ট্রিকশনে ফেলে রেখেছে। সেরিন আর উপায় দেখছে না। শুভ্রর উপর রাগ হলেও সে নিজেকে শক্ত করে নেয়। বিয়েটা হাসিখুশি ভাবেই করবে সে। দরকার হলে হাসি না আসলেও জোর করে হাসি আনবে। সেইসব হলুদের ভিডিও আপ দিয়ে শুভ্রকেও দেখাবে বিয়েতে সে কতটা খুশি ছিলো। ফোন রেখে ফ্রেশ হয়ে শশীদের কাছে যায় সেরিন। তারা প্রায় রেডি। মাহী এসে ঢালা গুলো গাড়ীতে নিয়ে যায়। সেরিন শশীকে চুপিচুপি বলে,
“প্লিজ আমার বরের একটা পিক তুলে আনিস।”
“আচ্ছা ঠিক আছে।”
তারা তিনজন মাহী সহ বেড়িয়ে পড়ে। শুভ্রদের বাড়ী থেকে সেরিনদের বাড়ীর ব্যবধান মাত্র ত্রিশ টাকার ভাড়া। ওতোটাও কাছে না আবার দূরেও না। মাহী গাড়ী ড্রাইভ করছে। তার পাশে সাফা বসা। পেছনে রাফা আর শশী। তারা ফোন নিয়ে ব্যস্ত।
চৌধুরী বাড়ীর গেট দিয়ে গাড়ী প্রবেশ করে। তখন আর্থ আসে। মাহীর সাথে হ্যান্ডশেক করে। আর্থ তার শালিকা সাফা,রাফার সাথে হায় হ্যালো দেয়। অতঃপর সার্ভেন্ট দিয়ে ঢালা ভেতরে পাঠানো হয়। শশী মেহেদীর ঢালা যেটা ফুল দিয়ে সাজানো। সেটা নেয়। রাফা চকলেটের ঢালা। আর সাফা ফুলভর্তি ঢালাটা নেয়।
ভেতরে যেতে তাঁদেরকে ওয়েলকাম ড্রিংস দেওয়া হয়। সেই সাথে কিছু ফ্লাওয়ার্স। হালকা নাস্তা করে। শুভ্র আর আয়মান চৌধুরী কুমিল্লায় গেছে। তাই দেখা হয়নি তাদের। একটু আধটু দুষ্টুমি করে শশী আর্থর সাথে বাইরে আসে। আর্থর আইফোন দিয়ে তাঁদের বাড়ীর বাগান বিলাসের সাথে কিছু পিকচার তুলে নেয়। ঢালার সাথে তোলা পিক বাগান বিলাসের পিক আপ দিয়ে দেয়। সে জানে সেরিন দেখলেও বাড়ীটা চিনতে পারবে না। কারণ কখনো আসেনি এই বাড়ীতে।
চৌধুরী বাড়ী থেকে তারা সবাই আসার পেছন দিয়ে সেরিনের জন্য ঢালা পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। অধরা এসেছে সকালে তার মেঝো আম্মুদের সাথে। আদ্রিতা আর অধরা গাড়ীতে বসে। ড্রাইভার তাঁদের পাটওয়ারী বাড়ীতে দিয়ে আসবে।
শুভ্ররা গতকাল সেরিনের আর পাটওয়ারী বাড়ীর সদস্যদের জন্য শপিং করলেও আজকে চৌধুরী ফ্যামিলির জন্য। তড়িঘড়ি ঢালা প্যাক করা যদিও হয়ে গেছে। সুলতানা খানম, আর্থ, আদ্রিতা, আয়মান চৌধুরী মিলে করেছে। জান্নাতুল ফেরদৌস এসবের আশেপাশে ও ঘেঁষেননি। আর্থর মতে বেচারির আংটি খোয়া গেছে সেই শোক করছে।
পাটওয়ারী বাড়ীতে আসতে তাদের তিনজনকে ওয়েলকাম ড্রিং দেওয়া হয়। সুন্দর ভাবেই আপ্পায়ন করা হয়। সেরিনের রুমে নিয়ে ঢালা গুলো রাখা হয়। বাকীরা কাজে ব্যস্ত হলেও সেরিন মন খারাপ করে নেই। সে ঢালার ভিডু নিয়ে ডে দিচ্ছে। শুভ্র সীন করার আশায় প্রহর গুনছে সে। সেরিন কতটা হ্যাপি সেটা দেখানো ট্রাই করছে। কিন্তু শুভ্র যেই ব্যস্ত মানব সীন করে কীনা সন্দেহ।
সেরিনের কিছু কেনাকাটা ছিলো। তবে বিয়েটা যেহেতু ঘরোয়া ভাবে হচ্ছে বেশী দরকার নেই। এবারের মতো সাজ কমপ্লিট হয়ে যাবে।
মাহী, তাঁদের লিভিং রুমের এক পাশটায় কিনে আনা; বিভিন্ন কালারের পাতলা পর্দা দিয়ে, সাজানোর কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। বাড়ী জুড়ে ফুলের সুভাসের আনাগোনা। সেরিনের রুমেও কিছু ফ্লাওয়ার্স রাখা হয়। তবে বেশীর ভাগ রজনীগন্ধা আর গোলাপ।
সাফা, রাফা সেরিনের জন্য ফুলের গহনা বানাতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। গাদা ফুলের সাথে সাদা ফুল দিয়ে। ইয়াররিং আর টিকলি বানায়। আর ওদের জন্য খোঁপায় দেওয়ার জন্য মালা। অল্প সময়ের মধ্যেই সেটা কমপ্লিট হয়ে যায়।
প্রায় তিনটার দিকে শাওয়ার নিয়ে বাগানের কাছে আসে শশী আর মেহের। মাহীকে বলে বাজার থেকে আনা হলুদ পাতলা ওরনা গুলো টানিয়ে দেওয়া হয়। দুই পাশে হলুদের লম্বা, লম্বা মালা গুলো জুলিয়ে দেওয়া হয়। একবার সিম্পল ডেকোরেশন। তবে থিমের সাথে মিল রেখে ছোট্ট, ছোট্ট ভাজের ভেতর হলুদ গোলাপ রাখা হয়। তাঁদের হলুদ শেষ হলে এগুলো সব ভেতরে নিয়ে যাওয়া হবে।
পাঁচ জন মিলে হাত লাগায় সেজন্য ঘন্টার মধ্যে তাঁদের ডেকোরেশনের কাজ কমপ্লিট হয়ে যায়। সেরিন অলরেডি সাজতে বসে গেছে।
তাঁদের কারোরই বেশীক্ষণ সময় লাগেনি। একজন আরেক জনকে হেল্প করায় তাড়াতাড়ি সাজা,রেডি হওয়া কমপ্লিট হয়ে গেছে।
তুষি,সাইয়ারা,সাহিনূর পাটওয়ারী তারা ফল,পিঠা হাল্কা কিছু সেখানে রাখে। যেহেতু তারা তারাই ওতো বেশী কিছু রাখার প্রয়োজন মনে করেনি।
পড়ন্ত বিকেলে সবাই মিলে বসে। প্রথমে ফটোশুট করে নেয় সবাই। কিছু ভিডিও! সেরিন দাঁড়িয়ে নাচে। তাঁদের সুন্দর মূহুর্তের ভিডিও ক্যাপচার করে নেয়। সিহান পাটওয়ারী, কিরণ পাটওয়ারী তারাও আছে। অক্ষর সন্ধ্যায় আসবে জানায়। কেউই বেশী মাথায় নেয়নি ব্যপারটা। তারা তাঁদের মতো ব্যস্ত। মাগরিবের আগে তারা অনুষ্ঠান শেষ করে নেয়। রাতে মেহেদী দিতে বসবে ওতো প্যারা নেই।
শুভ্র কুমিল্লা থেকে ফিরে দুপুরের দিকে। সন্ধ্যায় তারা ও ছোটোখাটো কিছু করবে। সেজন্য কেক,ফুল আনে। বিকেলের দিকে বিশাল ড্রয়িং রুমের একটা কোণ আর্থ,আদ্রিতা,অধরা মিলে ডেকোরেশন করে নেয়। শুভ্র বসে,বসে সেরিনের দেওয়া ডে গুলো দেখছে। গতকাল রাতের কেকের ডে থেকে শুরু করে ঢালার,এমনকি হলুদের পিক,ভিডিও আপলোড দেওয়া শেষ। শুভ্র ডে দেখে আইডি স্টক করে। হলুদের পিক গুলো খুটিয়ে,খুটিয়ে দেখে। মেয়েটাকে মাশাল্লাহ ভীষণ সুন্দর লাগছে। শুভ্র দেখেই ‘মাশাল্লাহ’ বলে। বিশেষ করে কমেন্টস গুলো পড়ে। বেশীরভাগ সৌন্দর্যের প্রশংসা করলেও অনেকের মন ভেঙে গেছে। শুভ্র সেসব কমেন্টস গুলো চেক দিয়ে বেড়িয়ে পড়ে। সোজা মেসেন্জারের ঢুকে মেসেজ চেক দেয়। সেরিন বেশী মেসেজ দেয়নি। তবে কমও দেয়নি। বেশীরভাগ তুই তোকারী করে দেওয়া মেসেজ। একটা মেসেজ বেশী হাসি পায় সেটা হলো, “এখন এমন ভাব দেখিয়ে ইগনোর করেন। যখন সত্যি অন্য কারোর হয়ে যাবো তখন নদীতে ঝাপ দিলে, ফ্লোরে শুয়ে গড়াগড়ি খেলে, দেওয়ালে মাথা ঠুকলেও কোন কাজ হবে না। ( ভদ্র মেয়ে দেখে গালিটা অপশনাল রাখলাম)।”
#চলবে
( ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। হ্যাপি রিডিং 🖤)
আগের পার্টের লিংক,
https://www.facebook.com/100077548442342/posts/392493130012299/?app=fbl
গ্রুপ লিংক,
https://facebook.com/groups/582123563029858/
পরবর্তী পার্ট পেতে পেজ ফলো করুন,
https://www.facebook.com/SharlinHasanSheza