#তোমার_খোঁজে_এই_শহরে
#পর্বঃ১৯ ]
#নবনী_নীলা
” আপনি শার্ট খুলছেন কেনো?”,হটাৎ টয়ার চিৎকার কানে আসতেই ইয়াদ বিছানার দিকে তাকালো।
টয়ার চোখ মুখের অবস্থা ভয়াবহ। ইয়াদ ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে বললো,” তুমি ঘুমাও নি?”
” ভাগ্যিস ঘুমাই নি!শার্ট খুলছেন কেনো? ছি!আপনি এতটা..।”বলেই একবার থামলো তারপর অন্য দিকে তাকিয়ে বললো,” আপনাকে আমি এমনটা ভাবিনি…” বাকিটা শেষ করার আগেই জোরে ইয়াদ ধমক দিয়ে বলল,” shut up।”
টয়া ভয়ে কেপে উঠতেই ইয়াদ নিজের মাথা ঠাণ্ডা করে বললো,”একদম আজেবাজে কথা বলবে না। সবসময় মাথায় উল্টা পাল্টা চিন্তা নিয়ে ঘুরে বেড়ায়।”
টয়া ইয়াদের ধমকে চুপ করে মাথা নিচু করে বির বির করতে লাগলো।
আমাকে বলছে যে আমি উল্টা পাল্টা চিন্তা করি নিজে যে উল্টা পাল্টা কাজ করে বেড়ায় তার বেলায়। এখন তো নিজে সাধু।
ইয়াদ শার্ট গায়ে দিয়ে ঘুমাতে পারে না তার অসস্তি লাগে। কিন্তু আজ টয়া তার পাশে আছে বলে সে শার্ট গায়ে রেখেই ঘুমানোর চেষ্টা করেছিলো কিন্তু তাতে লাভ হলো না। সাড়া গায়ে লাল লাল হয়ে গেছে।
টয়া ঘুমিয়ে গেছে ভেবেই শার্টটা খুলতে গিয়েছিলো সে। টয়া জেগে থাকলে যে আজে বাজে চিন্তা করবে সেটা সে জানতো। কিন্তু টয়া যে ঘুমের ভান করে শুয়ে ছিলো সেটা তার জানা ছিলো না।
ইয়াদ বুঝতে পারলো ধমক দেওয়া ঠিক হয়নি। তাই আবার শান্ত গলায় বললো,” শার্ট গায়ে ঘুমাতে পারি না তাই খুলছিলাম।”,বলে শার্টের বাকি বোতাম গুলো খুলতে শুরু করলো।
টয়া নিজে নিজে বির বির করে বললো,” হুঃ সব নাটক বুঝি না ভেবেছে। আমি কি এতটাই বাচ্চা নাকি?”
ইয়াদ শার্ট খোলার পর ইয়াদের পিঠের দিকে তাকিয়ে টয়া হতবাক। তার ধারণা একদম ভুল প্রমাণিত হওয়ায় টয়ার অনুতপ্ত। ইয়াদের সাদা পিঠের লালচে হয়ে গেছে। টয়ার গা শিউরে উঠলো। লোকটা কষ্ট পাচ্ছিলো আর সে কিসব উল্টা পাল্টা ভেবেছে।
ইয়াদের এমন অবস্থা দেখে টয়ার খারাপ লাগছে। ইয়াদ শার্টটা টেবিলের ওপর রেখে ঘরের টর্চ লাইট দুটো বন্ধ করে দিয়ে বিছনায় এসে শুয়ে পড়লো। টয়ার কেমন জানি লাগছে ইয়াদের গায়ে এখন শার্ট নেই। টয়ার হাত পা সব ঠাণ্ডা হয়ে এসেছে। টয়া হটাৎ করে লাফ দিয়ে উঠে বসলো।ইয়াদ টয়াকে এভাবে বসে পড়তে দেখে বললো,” ভূতে ধরেছে নাকি? এভাবে বসে আছো কেনো।”
ভুত পেত্নীর নাম শুনলেই টয়া ভয়ে কাপাকাপি শুরু করে। ছোটবেলা থেকেই তার এই সমস্যা। নামটাই সে শুনে সহ্য করতে পারে না।টয়া লাফ দিয়ে ইয়াদের কাছে ঘেঁষে বসে বললো,” আপনি এসবের নাম নিচ্ছেন কেনো?”
ইয়াদ উঠে টয়ার কাছ ঘেঁষে বসে বললো,” আমি আছি। ভয়ের কিছু নেই। রিলাক্স।”
” আপনি আছেন মানে আপনি কি ওঝা নাকি?”, টয়ার কথায় ইয়াদ ভ্রু কুঁচকে বললো,” ইডিয়টের মতোন কথা বলো না। চুপ চাপ শুয়ে পড়ো।”
টয়া ইয়াদ থেকে যথেষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে আটিসাটি হয়ে শুয়ে পড়লো শরীর ক্লান্ত থাকায় সাথে সাথেই ঘুমে আচ্ছন্ন হয়ে যায় টয়া।
সকালে টয়ার ঘুম ভাঙ্গলো দেরিতে উঠে সে ইয়াদকে পাশে না দেখে একটু স্বস্তি পেলো। সকাল সকাল ওনার চেহারা না দেখাই ভালো। টয়া উঠে শাড়ি বদলে জামা পরে নিয়ে শাড়িটা ভাজ করে টেবিলে রাখলো এমন সময় ইয়াদ ঘরে ঢুকে বিরক্তি নিয়ে বললো,” বাহ্ ভালোই, আমার ঘুম নষ্ট করে নিজে ভালোই ঘুম ঘুমিয়ে নিয়েছো।”
টয়ার মনটা কি ভালো ছিলো সকাল সকাল। লোকটা আজেবাজে কথা বলে মেজাজটাই নষ্ট না করতে হলো। টয়া আড় চোখে তাকিয়ে বলল,” আমি আপনার ঘুম নষ্ট করেছি? তা কীভাবে শুনি?”
ইয়াদ হাতে থাকা নাস্তার প্লেট দুটো টেবিলে রেখে বলল,” কিভাবে আর? ঘুমের মাঝে হাত পা ছোড়া ছুরি করে, কীভাবে পারো এগুলো করতে? শেষমেশ তোমায় বাধ্য হয়ে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলাম তারপর গিয়ে একটু ঘুমাতে পারলাম।”
ইয়াদের কথায় টয়ার মাথায় আকাশ ভেঙে পড়লো টয়ার রেগে বলল,” আপনি আমাকে জরিয়ে ধরেছিলেন! এইজন্য বলেছিলাম আপনার সাথে থাকবো না। ঘুমের মধ্যে আপনাকে ঠেলে বিছানা থেকে ফেলে দেওয়া উচিৎ ছিলো তাহলে আপনি বুঝতেন।”
” সেটা করতে হলে যে আমার সাথে থাকতে হবে। তুমি কি থাকতে ইচ্ছুক?”, ঠোঁট চেপে হাসি থামিয়ে বললো ইয়াদ।
টয়া চেঁচিয়ে উঠে বললো,” কক্ষনো না।” তারপর শাড়ি হাতে বড় বড় পা ফেলে ঘর থেকে বেরিয়ে এলো।
________________
ইয়াদ টয়াকে ফ্ল্যাটের সামনে নামিয়ে দিয়ে ক্লিনিকে গেলো। টয়া সাড়া রাস্তা মুখ ফুলিয়ে এসেছিলো। বাসায় এসে রিতুকে দেখে টয়ার আরো মেজাজ বিগড়ে গেলো। টয়া দম দম করে হেঁটে সোফায় বসে পড়লো। রিতু টয়াকে দেখে পালাই পালাই করছে।
” তোর পেটে কথা থাকে না? তাই না? শেষমেশ বলেই দিলি। তোর জন্যে আমাকে কি কি সহ্য করতে হয়েছে তুই জানিস? বেয়াদব। ইচ্ছে করছে তোকে….।”, রেগে গজ গজ করে বললো টয়া।
রিতু কটাক্ষ করে বললো,” হ তোমার লাইগ্গা আমি মইরা যাই। কি সংগতিক লোক তোর কোনো ধারণা আছে? আমার প্রেজেন্টেশন ছিল ওইদিন বাসা থেকে বের হয়ে দেখি লোকটা সামনে দাড়িয়ে আছে। তারপর যেই চলে যাবো ধরম করে অমর হাত থেকে ফোনটা নিয়ে…..।”
” হ্যা বুঝছি। তারপর তোকে ভয় দেখাইছে তুই ভয় পাইয়া সব গর গর কইরা বলে ফেলসস।”, মলিন চোখে তাকিয়ে বলল টয়া।
” হ ! যে ভয় পাইসিলাম।”, বলে রিতু পানি খেলো।
টয়া সোফায় গা হেলিয়ে দিলো। এমন সময়ে টয়ার ফোন বেজে উঠলো ফোনটা সে ইয়াদের গাড়ীতে চার্জ দিয়েছিলো। মা কল করেছে, এখন আবার বকা খেতে হবে। টয়া নিরাশ মুখে কল রিসিভ করল এবং আশানুরূপ একগাদা বকাও খেলো। তবে শেষের কথা শুনে টয়া খুশিতে আত্মহারা।
দাদাভাই আর ভাইয়া এ সাপ্তাহে দেশে ফিরছে। যাক দিন শেষে একটা ভালো খবর তো শুনা গেলো।
টয়া খুব খুশি হয়ে গেলো। তারপর নাচতে নাচতে কিচেনে এলো। টয়াকে এতো খুশি দেখে রিতু একটা ভ্রু তুলে বললো,” কাহিনী কি? একটু আগে মুখ কালা ছিলো এখন আবার এতো খুশি?”
টয়া কিচেন অ্যাপ্রণ পড়তে পড়তে বললো,” দাদাভাইরা আসবে এ সপ্তাহে। কি যে আনন্দ হচ্ছে আমার। চল আজকে ফাটিয়ে কিছু রান্না করি।”
” কি করবি? চল! বিরিয়ানি করি।”, বলতেই যেনো রিতুর মুখে জল চলে এলো।
” আচ্ছা।”, বলে দুজনেই নাচতে লাগলো।
রিতু পিয়াজ কুচি কুচি করে কাটতে কাটতে টয়াকে জিজ্ঞেস করলো,” তোর জামাই তোকে অনেক ভালোবাসে তাই না? কীভাবে ছুটে গেলো তোর জন্যে।”
” জামাই? কে জামাই? লোকটাকে যদি আর আমার জামাই দেখেছিস মেরেই ফেলব তোকে।”, টয়া শাসিয়ে বললো।
” আরে আমাকে বলেছে বলতে আমি কি করবো?”, হতবাক হয়ে প্রশ্ন করলো রিতু।
” তুই ডাকবি না শেষ কথা। আসছে জামাই বলতে ঢং। যত্তসব। আমার জামাই হওয়া এতো সহজ না।”, মুখ বাকিয়ে বললো টয়া।
” তোদের মধ্যের কাহিনীটাকি কিছুই বুঝি না। আমাকে একটু বলবি?”, মুখ কালো করে বললো রিতু।
” আমি নিজেও জানি না। আচ্ছা তুই আমাকে বল সাত বছর আগে যে আমাকে বলেছিলো ছেলে ফাঁসানোই আমার কাজ আজ এতো বছর পর হটাৎ তার আমার প্রতি এতো ভালোলাগা কীভাবে সম্ভব?”, আনমনে প্রশ্ন করে বসলো টয়া।
” মানে?”, অবাক হয়ে প্রশ্ন করে রিতু।
” না কিছু না।”, একটা ঢোক গিলে বললো টয়া।
” না তুই আমাকে বল।”, রিতু ভীষণভাবে জোর করতে লাগলো টয়াকে। টয়া উপায় না পেয়ে সবটা বললো।
সবটা শুনে রিতু বললো,”আচ্ছা তুই তাকে জিজ্ঞেস করলেই তো পারিস হটাৎ তোর প্রতি তার এমন আচরনের কারণ কি? আর সেদিনের ভিত্তিহিন কথা গুলোর পর আজ এতো ভালবাসার কি কোনো মানে হয়?”
টয়া একটা ছোট নিশ্বাস ফেলে বললো,” আমি জানি না। সে বলেছে তার বাবা মার কথা রাখতে আমাকে সে বিয়ে করেছে।”
” এই ছেলের মনে কি চলছে? আচ্ছা তুই কি ইয়াদকে এখন….?”, রিতু শেষ না করতেই টয়া বলে উঠলো ” জানি না। আমি এসব নিয়ে ভাবতে চাই না। অনেক কষ্টে সবটা ভুলতে পেরেছি আবার আমার পক্ষে সম্ভব না।” বলেই টয়া উঠে গিয়ে বাকি কাজগুলো করতে ব্যাস্ত হয়ে গেল। টয়ার কষ্ট দেখে রিতুর ইচ্ছে করছে এক্ষুনি ইয়াদকে গিয়ে প্রশ্ন করে।
__________________
টয়া রাতের দিকে বারান্দায় বসে ছিল। এখানে বসে থাকতে তার ভালো লাগছে। হটাৎ টয়ার নজর নিচের দিকে গেলো, ইয়াদের গাড়ির মতো লাগছে এতো উপর থেকে তেমন বোঝাও যাচ্ছে না। টয়া চেয়ারের পাশে থাকা চশমাটা পরে ভালো করে দেখার চেষ্টা করছে। মনে হচ্ছে ইয়াদের সাথে একটা মেয়ে গেট দিয়ে ঢুকলো।
এতো রাতে কে আসবে? তাও একটা মেয়ে! এই মেয়ে আবার ইয়াদের সেই পছন্দের মেয়ে নাতো? মেয়েটাকে দেখতে হচ্ছে তো। টয়া তাড়াতাড়ি করে দরজার ফাঁক দিয়ে উকি মেরে দাড়িয়ে আছে তাকে দেখতে হবে মেয়েটা ইয়াদের ফ্লাটে যায় কিনা? অনেকক্ষন দাড়িয়ে আছে কই কেউ আসছে না এইদিকে। নাকি আবার লিফটে একবার উপরে একবার নিচে করছে। একবার হাতেনাতে ধরি তারপর বুঝাবো টয়া কি জিনিস। শাড়ি পরা একটা মেয়েকে দেখা যাচ্ছে। ঐতো হিটলারটাকেও দেখা যাচ্ছে। কথা বলছে দুজনে। এতো রাতে মেয়েটার সাথে ফ্ল্যাটে ঢুকছে ইয়াদ। টয়ার মাথায় যেনো রক্ত উঠে গেলো।
টয়ার ইচ্ছে করছে এক্ষুনি দরজা খুলে গিয়ে হাতে নাতে ধরে ফেলে। রিতুর টয়াকে দেখে বিস্ময়ের শেষ রইলো না। মেয়েটার কি হয়েছে তখন থেকে দরজার ফাঁক দিয়ে উকি দিচ্ছে।
রিতু হাত দিয়ে টয়াকে ডেকে বললো,” কি করছিস তুই?”
টয়া বিরক্তি চোখে তাকিয়ে বলল,”আস্তে কথা বল। আমাকে দেখতে দে।” টয়া কি করছে দেখতে রিতু নিজেও উকি ঝুঁকি মেরে দেখার চেষ্টা করলো কিন্ত সে কিছুই বুঝলো না।
টয়া রিতুকে বললো,”আজ হাতে নাতে ধরবো বুঝেছিস।”
“কি ধরবি?”, রিতু প্রশ্ন করে বসলো।
“মেয়েটা ওনার রূমে ঢুকেছে।”, রাগে গজগজ করে বললো টয়া। অনেক্ষন বাহিরে অপেক্ষা করলো টয়া কিন্তু মেয়েটাকে বের হতে দেখলো না। টয়া গিয়ে কি নক করে দেখবে তারা কি করছে? টয়া কিছুই বুঝতে পারছেন না। টয়া চিন্তিত গলায় রিতুকে বললো,” যাবো?”
রিতু সাহস জোগিয়ে বললো,” অবশ্যই যাবি তোর জামাই এতো রাতে অন্য মেয়ের সাথে আছে। কাহিনী কি দেখতে হইবো না। ”
টয়া মাথা নেড়ে বললো,” ঠিক বলেছিস। আমি এক্ষুনি যাচ্ছি।”
বলেই টয়া বেরিয়ে পড়লো তারপর টয়া কোনো রকম সাহস জুগিয়ে কলিং বেল বাজলো। রিতু দরজার একটু ফাঁক দিয়ে উকি দিচ্ছে। টয়া আবার দ্বিতীয় বার কলিং বেল চাপতেই ইয়াদ দরজা খুললো। ইয়াদ দরজা খুলে টয়াকে দেখে অবাক। হটাৎ টয়া এইখানে?টয়া তো কখনো তার ফ্ল্যাটে আসে না।
ইয়াদ অবাক হয়ে প্রশ্ন করলো,” তুমি?”
” হ্যা কেনো আমাকে দেখে অবাক হচ্ছেন? আমি কি আসতে পারি না?”, টয়া ঝাঁঝালো গলায় বলল। তারপর ইয়াদকে ঠেলে ভিতরে ঢুকে গেল। টয়ার এমন আচরণে ইয়াদ ভ্রু কুঁচকে তাকালো।
টয়া ভিতরে ঢুকতেই সেই মেয়েটাকে দেখলো সোফায় বসে আছে টয়ার ইচ্ছে করছে ঘাড় ধরে মেয়েটাকে বের করে দেয়। রাগটা সামলে নিয়ে ইয়াদের দিকে তাকালো। ইয়াদ এমন ভাব করছে যেনো সে কোনো দোষ করেনি। মেয়েটা সোফা থেকে উঠে হাসি মুখে টয়ার দিকে এগিয়ে গিয়ে বলে,” হেলো! আমি প্রভা।”
টয়া অনিচ্ছাকৃত হাসি মাখা মুখ নিয়ে বললো,” টয়া।”
ইয়াদ বুকের কাছে হাত গুজে ভাবছে হটাৎ টয়া কি জন্য এখানে আসতে পারে। মেয়েটা ইয়াদকে উদ্দেশ্য করে বলে,” ইয়াদ তাহলে আমি যাই। আমার সমস্যা বুঝতেই পারছো নিশ্চয়। প্লীজ একটু সময় করে বাসায় এসে সবার সাথে কথা বলো নিও।”
ইয়াদ মাথা নেড়ে বললো,” হুম, আমি চেষ্টা করব। তোমাকে কি এগিয়ে দিয়ে আসতে হবে?” টয়া মনে মনে ব্যাঙ্গ করে বললো তোমাকে এগিয়ে দিয়ে আসবো। ঢং!
প্রভা না সূচক মাথা নেড়ে বললো প্রয়োজন নেই নিচে ড্রাইভার গাড়ি নিয়ে অপেক্ষা করছে। মেয়েটা রুম থেকে বেরিয়ে যেতেই টয়া দেওয়ালের সাথে পিঠ দিয়ে দাঁড়িয়ে রুমের সবটা দেখছে। ইয়াদ দরজা বন্ধ করে টয়ার সামনে দাঁড়িয়ে একটা ভ্রু তুলে বললো,” তুমি হটাৎ আমার ফ্ল্যাটে?”
” কি করছিলেন আপনি ঐ মেয়ের সাথে?”, গম্ভীর গলায় প্রশ্ন করলো টয়া।
[ চলবে ]