তোকেই_ভালোবাসি #লেখিকা:#আমেনা_আক্তার_আখি #পর্বঃ১৫

0
338

#তোকেই_ভালোবাসি
#লেখিকা:#আমেনা_আক্তার_আখি
#পর্বঃ১৫

ইয়াশ মিথিলা আর আকাশের দিকে কিছুক্ষণ রাগী চোখে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থেকে নিচে চলে আসে। সিড়ি দিয়ে নামার আওয়াজ ছাদের উপরে দাড়িয়ে থাকা মিথিলা আর আকাশের কানে যায়।মুহুর্তে মিথিলার হাসি থেমে যায়।ও ঘাড় ঘুরিয়ে পিছনে তাকায়।ইয়াশকে নেমে যেতে দেখে ভ্রু কুঁচকায়।নামছে যখন এভাবে ধুপধাপ করে নামার কি আছে?আকাশ মিথিলার দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করে,,

“ভাইয়া কি রেগে গেল নাকি?”

মিথিলা আকাশের কথাটা কিছুক্ষণ ভেবে দেখে।মুচকি হেসে বলে,,

“রাগতে দাও ভাইয়া।যত রাগবে আমার তত লাভ হবে।”

“কিন্তু,,?”

“আরে কিন্তু বাদ দাও চলো নিচে যাই।আমি একটু গিয়ে দেখি মহারাজ কি করছেন?”

“আচ্ছা চল!”

মিথিলা আকাশ দুজনি নিচে নেমে যায়।আকাশ নেমে নিজের রুমে চলে যায়।মিথিলাও নিজের রুমের দিকে যায়।
যাওয়ার সময় ভাবে একবার ইয়াশের রুমে উকিঝুকি দিবে।কিন্তু সেসব কিছু না করে ভদ্র মেয়ের মতো নিজের রুমে চলে যায়।

এদিকে ইফা আসে মিথিলার রুমে মিথিলার রুমে এসে বলে,,

“ওই আরশোলা,আপু বলছে আজকে নাকি রাফসান ভাই আসবে আর আমাদের সবাইকে ঘুরতে নিয়ে যাবে।যেতে চাইলে রেডি হয়ে থাকিস!”

ইফা কথাটা বলে মুখটা কাচুমাচু করে ফেলে।মিথিলা এক ভ্রু উঁচিয়ে বলে,,

“আরশোলা বলেছিস ভাবিস না তোর কোনো উপকার করব।ফুট এখান থেকে?”

“লাগবে না তোমার উপকার।মিহু আপু করে দিবে।”

“হুহ্ এই মিহু আপু গেলে দেখব কার কাছে আছিস?”

“তখনও আসবো না,তখন ভাই বিয়ে করিয়ে ভাবি নিয়ে আসবো।হাহ!”

ইফার কথাটা শুনে মিথিলা মুচকি হাসে।মুচকি হেসে জিজ্ঞেস করে,, “সত্যি আপুর বিয়ে হয়ে গেলে তোর ভাইয়ের বিয়ে দিয়ে দিবি।”

“তো বিয়ে দিব না তো কি করব।তোমার কাছে আসব।তখন তো ভাবির কাছে যাব শুধু।ভাবির সাথে গল্প করব।”

মিথিলা এবার আরাম করে খাটের উপর বসে।ইফার দিকে তাকিয়ে বলে,,

“বুঝলি ইফা তোর ভাইকে বিয়ে দেওয়ার পরেও তোকে আমার কাছেই আসতে হবে!”

ইফা ভ্রু কুঁচকে জিজ্ঞেস করে,, “কেন?”

“কারণ আমিই তো তোর ভাই,,,,,!

এতটুকু বলে মিথিলা থেমে যায়।ফের বলে,,

“কিছুনা যা এখান থেকে?”

ইফা সন্ধিহান দৃষ্টিতে মিথিলার দিকে তাকিয়ে বেরিয়ে যায়।যাওয়ার সময় মাঝপথে আকাশ কে দেখতে পায়।আকাশকে দেখে ইফা মুখ ভেঙ্গিয়ে পাশ কেটে চলে যায়।আকাশ কিছুক্ষণ বোকার মতো তাকিয়ে থেকে ও নিজ গন্তব্যে হাটা ধরে।

—————————————-

দুপুর আড়াইটা।হক বাড়ির সবাই ড্রাইনিং টেবিলে খাওয়া-দাওয়ায় ব্যস্ত।রাফসান আর রিফাত ঘন্টাখানেক আগে এসেছে।তাদের খাওয়া দাওয়ার আপ্যায়ন করায় কোনো ত্রুটি রাখা হচ্ছে না।তিতলি হক একটু পরপর রাফসানকে এটা-ওটা এগিয়ে দিচ্ছেন।মিথিলা এসব দেখছে আর ভাবছে,
ওর সাথে ইয়াশের বিয়ে হলে ইয়াশও এমন জামাই আদর পাবে।কত সৌভাগ্য ইয়াশের।এসব ভেবে মিথিলা নিজে নিজে ঠেট টিপে হাসতে থাকে।
—–
খাওয়া-দাওয়া শেষ হতে সবাই রুমে শুয়ে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেয়।মিহু মিথিলার রুমে এসে মিথিলাকে রেডি হতে বলে।মিথিলা প্রথমে না করে দেয় ও যাবেনা বলে।অবশ্য যেখানে ইয়াশ যাবেনা সেখানে ও গিয়ে কি করবে।ইয়াশ আজকে সকালে অফিস গিয়েছে কিছু জরুরী কাজে।মিথিলা মিহুকে ইয়াশের কথা জিজ্ঞেস করতে মিহু বলে, ইয়াশ অফিস থেকে ওদের সাথে জয়েন হবে।মিথিলা আর না করেনা সাজতে বসে যায়।

—————————————–

বেশ মানুষের আনাগোনা যায়গাটায়।শীতের বিকেলে স্নিগ্ধ পরিবেশে এসে সবার মনটাও স্নিগ্ধ হয়ে গেল।ডানদিকে সুন্দর রাস্তা।রাস্তাটার দুপাশে সাড়িসাড়ি গাছ দাঁড়িয়ে।মিথিলা গাছগুলো একবার তাকিয়ে দেখল।অচেনা সব।সবাই হাটতে হাটতে কিছুটা দুরে যেতে দুদিকে দুটো রাস্তা গিয়েছে।দুটো রাস্তা দেখে মিথিলা রাফসানকে প্রশ্ন করে,,

“ভাইয়া এখানে তো দুটো রাস্তা আমরা কোনদিকে যাবো?”

রাফসান মিথিলার কথার উত্তরে ডানদিকের রাস্তাটা দেখিয়ে বলে,, “ডানদিকের রাস্তাটায় যাবো শালিকা!”

“এদিকে কি আছে ভাইয়া?কোনোদিন তো আসিনি?”

“গেলেই দেখতে পাবে।”

আবার সবাই হাটতে থাকে।বেশ কিছুদুর হেটে যেতে।সবাই একটা ফুলের বাগান দেখতে পায়।দু’সাইডে ফুলের বাগান তার মধ্যে দিয়ে রাস্তা করা সোজা রাস্তা গিয়ে ঠেকেছে একটা ছাউনির মতো যায়গায়।মিথিলা চোখ ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেখলো বাগানটা।বাগন’টা যারই হোক অতি যন্ত করে গড়ে তুলেছে দেখেই বোঝা যাচ্ছে।মিথিলা মুগ্ধ হয়ে চারপাশ দেখতে দেখতে ছাউনিটার তলায় গিয়ে থামে।গ্রাম্য এলাকার মতো লাগছে যায়গাটা।

“মিথু রে আমি ভেবে ফেলেছি?”

ইফার কন্ঠ শুনে ইফার পানে তাকায় মিথিলা।না রেগে, না বিরক্ত নিয়ে,নম্রভাবে বলে,, “কি ভেবেছিস?”

“ভেবেছি এখানেই থেকে যাবো।বাগানের মালিকের যদি কোনো ছেলে থাকে তাহলে তাকেই বিয়ে করে নিব।”

“বুদ্ধিটা ভালো।করে ফেলতে পারিস।”

“সত্যি বইন এতো সুন্দর যায়গা রেখে কে যেতে চাইবে।আমাদের ভাইয়া যে এত সুন্দর যায়গার হদিস জানে আগে যানতাম না।”

ইফা অন্যদিক চলে যায়।মিথিলা ওখানে দাড়িয়ে আবার চারপাশটা দেখতে থাকে।আকাশ এসে ওর পাশে দাড়ায়।মাথায় টোকা মেরে বলে,,

“কি দেখছিস?”

“যায়গাটা কত সুন্দর তাইনা ভাইয়া!”

“হ্যাঁ অনেক সুন্দর।”

“শোনো,,”

মিথিলা পুরো কথা শেষ করার আগে আবার ইফা এসে হাজির হয় ওর সামনে।ঠোঁট উল্টে বলে,,

“মিথু আপু!”

মিথিলা চোখ বড়বড় করে বলে,,”হঠাৎ আপু,এত সুন্দরভাবে ডাকছিস কাহিনী কি?”

“দেখো ভাইয়া আর আপু একসাথে আছে।ওই পটলু কে বললাম ছবি তুলে দিতে দিল না। আর ওই আপুর দেওর ওই বেডাকে তো আমি জীবনেও কিছু বলবো না।তুমি আমাকে কয়েকটা ছবি তুলে দেওনা।”

“সকালে কি যেন বলেছিলি?আমার কাছে কখনো আসবি না!”

ইফা মাথা চুলকে মেকি হেসে বলে,, “আরেহ ওটা তো ফাজলামো করে বলেছিলাম,তুমিই তো আমার সব তোমাকে ছাড়া কি আমি চলতে পারি বল।দাও না ছবি তুলে।”

“এ্যাঁ পারব না সর।তোর ভাইকে বিয়ে করিয়ে ভাবিকে দিয়ে ছবি তোল যা!”

“আচ্ছা ভাইয়া যখন বিয়ে করে তখন নাহয় ভাবিকে দিয়ে তুলাবো।আজকে তুমি তুলে দাও প্লিজ।কত সুন্দর যায়গা।ওয়াও!”

“তোর ভাইয়ের তো আশার কথা তোর ভাইকে ফোন দিয়ে বল তাড়াতাড়ি আসতে এসে তোকে ছবি তুলে দিতে।”

ইফা এবার রেগে যায়।একটা ছবিই তো তুলে দিতে বলেছে।আসলে শত্রু কখনো বন্ধু হয় না।এই আরশোলা ওর শত্রু ছিল শত্রুই থাকবে।ইফার রাগী মুখ দেখে মিথিলা হাই তুলে বলে,,

“আচ্ছা থাক আমি একটু ওদিকটা ঘুরে আসি।”

মিথিলা পা বাড়িয়ে হেটে কিছুদুর যেতে ইফা পিছন থেকে বলে,, “শাঁকচুন্নি তোর কোনোদিন ভালো হবে না দেখিস।”

মিথিলা যেতে যেতে উত্তর দেয়,, “সেটা আমিও জানি।
তোর ভাইয়ের সাথে থাকলে কোনোদিন আমার ভালো হবে না!”

শেষের কথাটা বিরবির করতে করতে চলে যায়।ইফা কোমড়ে হাত দিয়ে আকাশের দিকে তাকায়।আকাশ অন্যদিকে তাকিয়ে শিস বাজাচ্ছিল।ইফাও মুখ উল্টোদিকে ঘুরিয়ে আকাশকে ডাকে।।

“শুনুন!”

আকাশ মুখ না ঘুরিয়ে বলে,, “বলুন!”

“ভাইয়া!”

আকাশ এবার ইফার দিকে তাকিয়ে বুকে হাত গুজে বলে,, “সকালে ভেঙিয়েছিলি কেন?”

ইফা অবাক হয়ে বলে,,,”কখন!আমি কেন আপনাকে ভেঙাবো?চোখে কম দেখেছিলেন হয়ত?”

“আমি চোখে কম দেখেছি নাকি তুই মিথ্যে বলছিস?কোনটা?”

“আমি মিথ্যে বলিনা!”

“তাই?”

“হ্যাঁ”

আকাশ কোনো কথা না বলে আবার অন্য দিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ করে। ইফা কিছুক্ষণ নিরবতা পালন করে মিনমিন কন্ঠে বলে,,

“ভাইয়া ছবি তুলে দিবেন?”

আকাশ শুনেও না শোনার ভান ধরে চুপ করে থাকে।ইফা পুনরায় একই কথা বলে ওঠে।আকাশ এবারও নিশ্চুপ থাকে।ইফা এবার একটু জোরে রাগী কন্ঠে ডেকে ওঠে।

“ভাইয়া?”

“হ্যাঁ কিছু বলছিলি?”

“হ্যাঁ আপনার বউয়ের গুণগান গাচ্ছিলাম শুনেন নি?আজাইরা,ফালতু লোকজন।দরকার নেই কাউকে।”

ইফা রাগী মুড নিয়ে চলে আসে ওখান থেকে।সামনে আসিফ আর রিফাত কে দেখে এগিয়ে যায়।দুজনে ছবি তুলছিল।ইফা একসাইডে বসে দুজনের রং তামাশা দেখতে থাকে।রিফাত অবশ্য অনেকবার বলেছিল ওকে ছবি উঠিয়ে দিবে তবে ইফা উঠেনি।এই ছেলেকে বরাবরই তার সহ্য হয়না।কেন হয়না জানেনা।গা পড়া টাইপের তাই হয়তো!

——————————————

মিথিলা হাটতে হাটতে বাগানের বা দিকটায় চলে এসেছে।এদিকে আসতে ও আরো অবাক হয়ে যায়।বাগানের ঢোকার সময় শুধু ফুল দেখেছে।কিন্তু এদিকটায় যে এত সুন্দর পুকুর আছে কে জানতো।মিথিলা হাটতে হাটতে গিয়ে পুকুরে শান করা সিঁড়ির উপর বসিয়ে পা ভিজাতে থাকে।
পুকুরের পানির দিকে তাকিয়ে থেকে একমনে কিছু ভাবতে থাকে।অনেকক্ষণ কেটে যেতে পিছনে কারো হাটার শব্দ পায়।শুকনো পাতার উপর দিয়ে কেউ হেটে যাচ্ছে যেন।মিথিলা শব্দটা শুনতে কয়েকটা শুকনো ঢোক গিলে।এখানে কে আসতে পারে।আর ওদের মধ্যে কেউ আসলেও তো কথা বলবে।কিন্তু পিছনে শুধু পায়ের আওয়াজ শোনা যাচ্ছে।মিথিলা সাহস করে পিছনে ঘুরে।পিছনে ঘুরতে অবাক হয়ে যায়।পানি থেকে পা উঠিয়ে সামনের দিকে দৌড় দেয়।ব্যক্তিটির সামনে গিয়ে বলে,,

“কোথায় যাচ্ছো?”

মিথিলাকে সামনে দেখে ইয়াশের সকালের ছাদে আকাশ আর মিথিলার একসাথে হাসাহাসির,কাছে আসার দৃশ্যটা চোখের সামনে ভেসে ওঠে।ইয়াশ চোয়াল শক্ত করে বলে,,

“সামনে থেকে সর!”

“কেন?আর তুমি কখন এলে আর আমাকে ভয় দেখাচ্ছিলে কেন এভাবে?”

ইয়াশ উত্তর না দিয়ে পাশ কেটে চলে যেতে নেয়।মিথিলা আবার পথে আটকে দাড়ায়।

“আরে কোথায় যাচ্ছ?”

ইয়াশ এবার রেগে মিথিলার বাহু চেপে ধরে।নিজের কাছে এনে রাগী কন্ঠে হালকা চেঁচিয়ে বলে,,

“সমস্যা কি তোর?আর জালাচ্ছিস কেন আমাকে এভাবে?”

মিথিলা নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করে বলে,, “আমি তোমাকে কখন জ্বালালাম?কি বলছো এসব?আর ছাড়ো আমাকে লাগছে?”

“বুঝতে পারছিস না তাইনা?সকালে আকাশের সাথে ছাদে কি করছিলি?”

মিথিলার সকালের কথা মনে পড়ে।সকালে ইয়াশের ছাদে থেকে নামার দৃশ্যটা চোখের সামনে ফুটে ওঠে।মিথিলা বলে,,

“ছাদে কি করছিলাম মানে?কথা বলছিলাম ভাইয়ার সাথে?তাতে তোমার এত রাগ লাগছে কেন?”

ইয়াশ মিথিলার বাহুতে চাপ দিয়ে দাতে দাত চেপে বলে,,
“কেন রাগ লাগছে জানিস না?”

“না জানিনা?তোমার কেন রাগ লাগবে?তুমি কেন রাগবে?তুমিতো আমাকে ভালোবাসোনা তাহলে রাগবে কেন?আমি যার সাথে ইচ্ছে তার সাথে কথা বলবো,হাসবো,ঘুরবো তাতে তোমার কি?”

ইয়াশ মিথিলার চোখের দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকে।চক্ষুকোণে অশ্রু টলমল করছে।মিথিলাকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিয়ে তাচ্ছিল্য হেসে বলে,,

“অবাক হচ্ছি মিথিলা?তোর ভালোবাসা দেখে অবাক হচ্ছি?এতদিন তো পাগলের মতো,ছ্যাছড়ার মতো আমার পিছনে ঘুরঘুর করতি।এখন আমার উপর থেকে মন উঠে গেছে তোর তাইনা!এখন আকাশ কে পেয়েছিস।এখন আকাশকে ধরেছিস।কয়দিন পর আকাশ তো চলে যাবে তখন আবার আমার পিছু ধরবি।যখন আবার আমাকে ভালো লাগবে না তখন অন্য কাউকে খুজে নিবি?এটাই তো তোর ভালোবাসা!ছিঃ!ঘৃণা হচ্ছে তোর উপর।”

মিথিলা স্তব্ধ হয়ে ইয়াশের কথাগুলো শুনলো।কোনো প্রতিত্তর করল না।ইয়াশ কথাগুলো বলে এক মুহুর্ত না দাড়িয়ে হনহন করে ওখান থেকে চলে গেল।ইয়াশ যেতে মিথিলা ঠাস করে বসে পড়ল ওখানে।মাটির উপর ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকা পাতাগুলোর দিকে তাকিয়ে চোখের অশ্রু ফেলতে ফেলতে বিরবির করল,, “আজকে তুমিও যে আমাকে অবাক করে দিলে ভাইয়া!আমার ভালোবাসাকে তুমি অপমান করলে।আমি মিথিলা হক আজকে কথা দিচ্ছি।ইয়াশ নামের কোনো ব্যক্তি আর এই মিথিলা হকের মনে থাকবে না।যে তার ভালোবাসা বোঝে না,মিথিলা বারবার কেন তার কাছে ছোট হয়ে ভালোবাসা আদায় করতে যাবে।যাবেনা মিথিলা আর কোনোদিন যাবেনা।”

চলবে, ইন শা আল্লাহ 🍁

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here