‘ কথা দিলাম ‘ 🌸❤️
||পর্ব ~ ৩০||
@কোয়েল ব্যানার্জী আয়েশা
এমন সময়……আধভিকের একটা কথা কানে আসলো। যেটা ওর থেকে দূরে দাঁড়ানো একটা গুন্ডা অপরজন কে বলছিল।
__একদিকে ভালোই হলো। মেঘ না চাইতেই জল! বস বলেছিলো মেয়েটাকে ধরে আনতে ছেলেটাকে মেরে। এখানে মেয়েটাকে তো নিজের হাতেই তুলে দিলো ছেলেটা। আমাদের আর কিছু করতেই হলো না। ভালোই হয়েছে বস এখানে আসেনি, এসে করতোই বা কি?
__দাদা সর…
কথাটা শেষ করার আগেই যে গুন্ডাটা কথা বলছিলো তাঁর মাথায় আঘাত লাগলো। মাথার পিছনে হাত রেখে পিছন ফিরে তাকাতেই সে দেখলো, আধভিক হকি স্টিক হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। যেটা তাঁরাই নিয়ে এসেছিলো। গুন্ডাটা মাটিতে লুটিয়ে পড়লে অন্যজন আধভিককে মারতে যায় আর আধভিক সাথে সাথে হাতে থাকা হকি স্টিকটা দিয়ে সপাটে গুন্ডাটার মুখে মারে।
এরপর আধভিকের চোখ যায় সামনের দিকে। সিয়ারাকে নিয়ে লোকটা বেশ দূরে চলে গেছে। আধভিক চোখ মুখ শক্ত করে ওদের দিকে জোর পায়ে হাঁটা শুরু করে। সিয়ারা এখন আর পিছন দিকে তাকিয়ে নেই। ও ধরেই নিয়েছে ওর পরিণতি খুব ভয়ানক হতে চলেছে। আধভিক যে ওকে এতটা অবিশ্বাস করবে, নীচু মানসিকতার মনে করবে এটা ও ভাবেনি। এসব ভাবতেই ভাবতেই হঠাৎ ওর হাতে একটা শোঁ করে হাওয়া অনুভব হলো। পাশে তাকিয়ে দেখলো ওর হাত ধরে থাকা গুন্ডাটা চিৎকার করে মাটিতে লুটিয়ে পরলো। গুন্ডাটার পাশে একটা হকি স্টিক পরে আছে। সিয়ারা পিছন দিকে তাকাতেই দেখলো ওর সামনে আধভিক এসে দাঁড়িয়েছে।
আধভিক পরে থাকা গুন্ডাটার দিকে তাকিয়ে আছে আর সিয়ারা আধভিকের দিকে। ওর মনে হচ্ছে আধভিক ওর কিছুক্ষণ আগের কথাগুলো শুনেই ওকে বাঁচাতে এসেছে। এই বিষয়ে সিয়ারা আধভিককে প্রশ্ন করতে গেলেই আধভিক সিয়ারার হাত ধরে নিজের দিকে টেনে নিয়ে ওর সামনে ঢাল হয়ে দাঁড়ায়। সিয়ারা একটু উঁকি দিয়ে দেখে অনেকগুলো গুন্ডা ওদের দিকেই তেড়ে আসছে।
আধভিক: এক পা নড়বে না এখান থেকে। আসছি আমি।
সিয়ারা: (বাঁধা দিয়ে) ওরা অনেকজন আধভিক। তোমার ক্ষতি করে দিতে পারে ওরা।
আধভিক: আমার ক্ষতি করার চেষ্টা করবে কি? করার চেষ্টা করেছে। এর ফল তো ভুগতেই হবে। (দাঁতে দাঁত চেপে)
সিয়ারা আধভিকের কথার মানে বুঝলো না। গুন্ডাগুলো সামনে এসে ওদের সাথীদের মাটিতে লুটিয়ে পরে থাকতে দেখে আধভিককে হুমকির সুরে বললো,
__তুই একা আমাদের সাথে লড়তে পারবি বলে ভাবছিস? এক নিমিষে তোকে শেষ করে দেবো আমরা। অবশ্য এটাই আমাদের বসের আদেশ।
আধভিক কোনো কথা না বলে শুধু ওদের দিকে হাত এগালো। সঙ্গে সঙ্গে সবাই ভয় পেয়ে একটু পিছিয়ে গেলে আধভিক বাঁকা হেসে নিজের জ্যাকেটের স্লিভস গুটিয়ে ফেলে। তারপর ভ্রু কুঁচকে না বোধক মাথা নেড়ে জ্যাকেটটা খুলে সিয়ারার হাতে দিয়ে, হাত বাড়িয়ে আঙুলের ইশারায় ওদের আহ্বান জানায়। এরফলে গুন্ডাগুলোও তাঁর দিকে তেড়ে আসে, আধভিক এগিয়ে গিয়ে হকি স্টিকটা তুলে নিয়ে এক এক করে মারতে শুরু করে।
সিয়ারা একটু পিছিয়ে নিজের ফোন বার করে আভাস বাবুকে ফোন করে সবটা জানালে উনি জানান যে ওনাদের আস্তে দেওয়া হচ্ছে না। “সীমানা” অর্থাৎ যেখান থেকে নেপাল বর্ডার দেখা যায় ওখানে একটা গুন্ডার গাড়ি ওদের আটকে রেখেছে। সিয়ারা আর কিছু বলবে তার আগেই সিয়ারার চোখ যায় আধভিকের দিকে আর ও দেখে তিন চার জন মিলে আধভিককে ঘেরাও করে একসাথে আক্রমণ করেছে। সিয়ারা কিছু বলবে তার আগেই লাইন কেটে গেলো। টাওয়ার খুব অল্প থাকলেও কথা হচ্ছিলো, কিন্তু ওর মনে হলো কেউ ফোনটা কেটে দিলো। সেসব বিষয়ে মাথা না ঘামিয়ে সিয়ারা চিৎকার করে উঠলো আধভিকের নাম ধরে,
সিয়ারা: আধভিক!!
আধভিক উপুড় হয়ে মাটিতে পরে যাওয়ায় সেই তিন চার জন মিলে ক্রমাগত আধভিকের পিঠে আঘাতের পর আঘাত করতে থাকে। সিয়ারা ঘাবড়ে গিয়ে কিছু না ভেবে আধভিকের দিকে দু পা এগিয়ে গেলেই আধভিক ইশারায় আসতে বারণ করে। কিছুক্ষণের মধ্যেই সে সোজা হয়ে পাশে গড়িয়ে গিয়ে নিজের দু হাত সামনে ক্রস করে নিয়ে ওদের হকি স্টিকগুলো আটকে দেয় আর বিপরীত দিকে ঠেলে দেয়। গুন্ডাগুলো পিছিয়ে যেতেই আধভিক উঠে দাঁড়ায় আর আবারও মারতে শুরু করে। সবাইকে মেরে আধভিক দাঁড়িয়ে থাকলে দেখে যেই ছেলেটা সিয়ারার হাত ধরেছিলো সে উঠে দাঁড়িয়েছে।
সিয়ারা: (আধভিকের বাহু জড়িয়ে) আধভিক, চলো এখান থেকে। অনেক হয়েছে। ওদিকে ওদের যে হেড তাঁরও জ্ঞান ফিরে আসছে। চলো…
আধভিক সিয়ারার হাতটা ছাড়িয়ে দিয়ে ওই গুন্ডাটারদিকে রীতিমতো তেড়ে গেলো। ও পালাতে চাইছিল কিন্তু আধভিক ওকে পিছন থেকে ধরে মারতে শুরু করলো। মারতে মারতে মাটিতে ফেলে ওকে বললো,
আধভিক: আমার জীবনের গায়ে হাত দেওয়ার সাহস করেছিস তুই। (হাতটা ভেঙে দিয়ে)
গগণবিদারী চিৎকার শুনে সিয়ারা নিজের কান চেপে ফেলে দু হাত দিয়ে। কিন্তু আধভিক? তাঁর এসব বিষয়ে কোনো হুঁশ নেই। সে আবারও বললো,
আধভিক: তোর বসকে জানিয়ে দিবি সাহস থাকলে আমার সামনা সামনি আসতে। আমার জীবনের দিকে যদি দ্বিতীয়বার হাত বাড়ায় তাহলে তোদের যা অবস্থা করেছি তার থেকেও বহু গুণে খারাপ অবস্থা করবো তোদের বসের।
কথাটা বলে আধভিক উঠে দাঁড়িয়ে পিছিয়ে যায়। কিন্তু আধভিক খেয়াল করেনি যে, পিছিয়ে গিয়ে ও একেবারে রাস্তার ধারে যে মাটির অংশ আছে সেখানে চলে গেছে। পিছনেই ঢালু জমি এবং লম্বা লম্বা গাছ। আধভিকের চোখ যায় গুন্ডাগুলোর যে হেড তাঁর দিকে। সে ধীরে ধীরে উঠে দাঁড়িয়েছে। তাঁর উদ্দ্যেশ্যে আধভিক চিৎকার করে বলে,
আধভিক: আর এটাও বলে দিস যে, যতটা বোকা তোদের বস আধভিক রায় চৌধুরীকে ভাবে ততটা বোকা আধভিক রায় চৌধুরী নয়। এতো সহজে ওর পাতা ফাঁদে পা দেওয়ার ছেলে আমি নই।
সিয়ারা: আধভিক!!
হুট করে সিয়ারার ডাক শুনে আধভিক সিয়ারার দিকে তাকাতে না তাকাতেই সিয়ারা ওকে একপ্রকার ধাক্কা মারে পিছন দিকে। আধভিক সামনে এগিয়ে এসে হুমড়ি খেয়ে পরতে পরতেও পরে না। তৎক্ষণাৎ পিছন ফিরে দেখে সিয়ারা পা পিছলে নীচে পরে গেলো।
আধভিক: সিয়ারা!!
আধভিক সিয়ারার হাত ধরতে এগিয়ে আসলেও হাত ধরতে পারে না। ভালো ভাবে তাকিয়ে দেখে বৃষ্টির কারণে ধস নেমেছে মাটির অংশ জুড়ে কারণ নীচটা পুরোই মাটির। এবং বেশ গভীর। আধভিকের হাত পা কাঁপতে শুরু করে। কানে সিয়া রার কিছুক্ষণ আগে বলা কয়েকটা কথা বাজতে থাকে,
“অনেক পস্তাতে হবে তোমাকে এরজন্য আধভিক, অনেক! এরপরে তুমি আর চেয়েও আমাকে পাবে না। চেয়েও না! আজ থেকে আমি তোমার জন্য মৃত।”
আধভিক দু হাঁটু গেড়ে রাস্তায় বসে পরে। গুন্ডাদের যে হেড ছিলো সে ওখান থেকে কোনো মতে পালিয়েছে। আধভিক নিজের সর্বস্ব শক্তি দিয়ে আর্তনাদ করে ওঠে “সিয়ারা” বলে।
অন্যদিকে,
যেই মুহুর্তে সিয়ারা এবং আধভিকের গাড়ি আটক করা হয় ঠিক সেই মুহুর্তে এদিকে আভাস বাবুদের গাড়ি আটক করা হয় “সীমানা” তে। সিয়ারার ফোন আসার পরেই হঠাৎ করে আভাস বাবুর ফোন কেড়ে নিলে উনি রাগে গর্জে ওঠেন
আভাস বাবু: দেখুন, আপনি আমাদের ছেড়ে দিন। আমাদের শুটিংয়ে যেতে হবে। কেন আপনারা আমাদের আটকে রেখেছেন?
__কি বললি? আমাদের সাথে গরম নিয়ে কথা? এক তো ফোন করেছিস বারণ করার পরেও, এখন আবার গরম দেখিয়ে কথা বলছিস? তোকে তো…
আভাস বাবুকে বুকে হাত দিয়ে একটা ধাক্কা মারে একটা গুন্ডা। আভাস বাবু টাল সামলাতে না পেরে পিছন দিকে পিছিয়ে গিয়ে পরে যেতে নেন কিন্তু পরেন না। ওনাকে একজন ধরে নেয়। এই একজন টা কে তা জানতে গিয়ে আভাস বাবু পিছনে তাকাতেই দেখেন, দেবাংশু ওনাকে পিছন থেকে ধরেছে।
দেবাংশু: অনেক্ষণ ধরে তোদের বাড়াবাড়ি দেখছি। ভেবেছিলাম কিচ্ছু বলবো না কিন্তু এইবার দেখছি না বললে হবে না।
__কি করবি তুই? হ্যাঁ? কি করবি?
গুন্ডাটা দেবাংশুর কলারে হাত দিলে দেবাংশু গুন্ডাটার হাতের দিকে তাকিয়ে এমন ঘুষি মারে যে সে উপুড় হয়ে রাস্তায় গিয়ে পরে। দেবাংশুর দিকে পিছনে ফিরে তাকালে দেখে দেবাংশু জ্যাকেটের হাতা ফোল্ড করছে। গুন্ডাটা ওঠার আগে ওর একজন সাথী কে চোখ দিয়ে ইশারা করে উঠে দাঁড়ায়। দেবাংশু ওর দিকে তেড়ে গেলে সাথে সাথে পিছন দিয়ে দিয়ারার চিৎকার শুনতে পায়।
দিয়ারা: দেব দা!!
দেবাংশু পিছন না ফিরেই বুঝতে পারে দিয়ারাকে ধরার জন্যেই সে ইশারা করেছিলো। দেবাংশু ধীরে ধীরে পিছন ফিরে দেখে দিয়ারার মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে রেখেছে একজন। দেবাংশু থেমে যায়, আর তখনই ও যেই গুন্ডাটাকে মেরেছিল সে এসে ওকে ঘুষি মারে। দেবাংশু চুপচাপ সেটা মেনে নেয়। আরেকবার ঘুষি মারলে দেবাংশু পুরোপুরি দিয়ারার মুখোমুখি হয়। দিয়ারার কান্না দেখে দেবাংশু তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে ছেলেটার দিকে তাকায় জানো ভস্ম করে ফেলবে এখুনি। ছেলেটা সেটা দেখে বাঁকা হেসে দেবাংশুর দিকে বন্দুক তাক করে দিয়ারার গলা এক হাতে পেঁচিয়ে। ইশারা করে দেবাংশুকে পিছিয়ে যেতে কিন্তু দেবাংশু বাঁকা হাসলে সে ভ্রু কুঁচকে ফেলে এবং নিমিষে দেবাংশু নিজের হাত দিয়ে ছেলেটির হাতে মারে। ফলে বন্দুকটা ছিটকে পরে যায় আর দেবাংশু দিয়ারাকে টেনে নিজের কাছে নিয়ে সবাই যেদিকে দাঁড়িয়ে সেদিকে চলে যায়।
__তোকে আমি শেষ…
কথা শেষ করার আগেই একটা ফোন আসে। সাথে সাথে গুন্ডাটা বলে,
__এই সবাই গাড়িতে ওঠ!!
তাড়াহুড়ো করে ওরা গাড়িতে উঠে ওখান থেকে বেড়িয়ে যায়। কেউ কিছুই বুঝতে পারে না ওরা কেন এভাবে চলে যায়।
দেবাংশু: ঠিক আছিস তুই?
দিয়ারা: হ্যাঁ!
আভাস বাবু: চলো, চলো। সিয়ারা আমাকে ফোন করে জানালো যে ওদের উপরও নাকি আক্রমণ হয়েছে। তাড়াতাড়ি চলো।
আভাস বাবুর কথা শুনে সবাই অবাক হলেও দেরী করলো না। তাড়াতাড়ি গাড়িতে উঠে বসলো এবং বেরিয়ে পরলো। বেশি জোরে গাড়ি চালাচ্ছে না ড্রাইভার কারণ বৃষ্টি পরছে। কিছুটা দুর এগিয়ে আসতে না আসতেই হঠাৎ সবাই সিয়ারার নাম ধরে আধভিকের চিৎকার শুনতে পায়। আভাস বাবু বলেন,
আভাস বাবু: ওই যে সামনে একটা গাড়ি দাঁড়িয়ে আছে ওটার পিছনেই গাড়ি দাঁড় করাও।
সবাই দেখতে পায় একটা গাড়ি দাঁড়িয়ে আছে। ওই গাড়ির পিছনে গিয়ে দাঁড়াতেই সবাই তাড়াতাড়ি নেমে পরে গাড়ি থেকে। আভাস বাবু একটু এগোতেই যা দেখেন তাতে চিৎকার করে বলে ওঠেন,
আভাস বাবু: ভিকি?? না!!
আভাস বাবু এগোতে নিলেই দেবাংশু ওনাকে ধরে নেয় কারণ পাশ দিয়ে প্রচুর গাড়ি যাচ্ছে এবং আসছে। এক তো ওয়ান ওয়ে রাস্তা তার মধ্যে এতক্ষণ সব গাড়ি বন্ধ ছিলো। এর উপর বৃষ্টির মধ্যে তাঁরা একদিকে গাড়ি দাঁড় করিয়ে রেখেছে। সব মিলিয়ে খুব সাবধানে এগোতে হবে নাহলে যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে।
আভাস বাবু: দেবাংশু আমাকে ছাড়ো, ভিকি! ভিকি ওই ঢালু রাস্তায় নেমে গেলো। ওর যদি কিছু হয়ে যায়?? ছাড়ো আমায়।
দেবাংশু: আংকেল এখন এমন করলে যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটে যাবে। আপনি দাঁড়ান আমি দেখছি। দিয়া তুই সাবধানে নিয়ে আয় আংকেল কে।
আভাস বাবু কে দিয়ারার কাছে রেখে দেবাংশু এগিয়ে যায় কিন্তু আধভিককে দেখতে পায় না। বৃষ্টি থামার নাম করছে না, আর এই বৃষ্টিতে জঙ্গলের মধ্যে কিছু স্পষ্ট দেখাও যাচ্ছে না। এইখান থেকে গড়িয়ে যদি পরে যায় তাহলে অনেকটা ঢালু জমি বেয়ে আরেকটা রাস্তায় উঠবে। পাহাড়ের খাঁজ কেটে রাস্তা হওয়ায় একটাই রাস্তা। যেই রাস্তায় ওরা দাঁড়িয়ে আছে সেই রাস্তাটাই নিচে নেমে গেছে। এখন যদি গড়িয়ে গিয়ে কেউ ওই রাস্তায় গিয়ে ওঠে তাহলে যেভাবে গাড়ি চলাচল করছে তাতে নিশ্চিত দুর্ঘটনা ঘটে যাবে। আর বৃষ্টির মধ্যে ড্রাইভার হয়তো দেখতেই পাবে না সেভাবে।
দেবাংশু: আধভিক যেভাবে চিৎকার করলো সিয়ার নাম ধরে তাতে আমি নিশ্চিত বড়ো কিছু ঘটেছে। তার উপর আভাস আংকেলও তো দেখেছে আধভিক নিজে নীচে নেমে গেছে। তার মানে সিয়া এইখান দিয়ে পরে গেছে..??
দেবাংশুর মন আঁতকে উঠলো রীতিমতো। কিছুক্ষণ আগে সে যেই হিসেবটা করলো তাতে সিয়ারা যদি সত্যি পরে যায় তাহলে তো তাহলে তো…সব শেষ!
[#ফিরে_আসবো_আগামী_পর্বে🥀]
বিঃদ্রঃ গল্পের ট্র্যাক অনুযায়ী অর্থাৎ এতদূর গল্প যেভাবে এগিয়েছে তাতে গল্পটার স্যাড এন্ডিং হওয়া উচিত পাঠকগণ।