কথা দিলাম ‘ 🌸❤️ ||পর্ব ~ ৪০|| @কোয়েল ব্যানার্জী আয়েশা

0
241

‘ কথা দিলাম ‘ 🌸❤️
||পর্ব ~ ৪০||
@কোয়েল ব্যানার্জী আয়েশা

দিয়ারা: কি ব্যাপার? তুমি ওভাবে চলে এলে কেন ওখান থেকে?

দেবাংশুকে একা দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে দিয়ারা ওর কাছে এসে, ওর পিছনে দাঁড়িয়ে কথাটা জিজ্ঞেস করে। দেবাংশু হোটেল থেকে বেরিয়ে এসে চুপচাপ পাহাড়ের দিকে তাকিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলো চোখ বন্ধ করে জ্যাকেটের পকেটে হাত গুঁজে।

দেবাংশু: এমনি।

দেবাংশুর এই ছোট্ট উত্তর দিয়ারার পছন্দও হলো না। একটু ভ্রু কুঁচকে দেবাংশুর দিকে এগিয়ে গেলো এবং সামনের দিকে ঝুঁকে দেবাংশুর মুখের দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করলো,

দিয়ারা: তোমাকে দেখে মনে হচ্ছে তুমি রেগে আছো। কি বিষয়ে রেগে আছো তুমি?

দেবাংশু নিজের নজর পাহাড়ের উপর থেকে সরিয়ে দিয়ারার নজরের সাথে মিলালো। দিয়ারা এখনও একভাবে ওর দিকে তাকিয়ে আছে মাথা কাত করে।

দেবাংশু: আমি রাগ করে আছি নাকি নেই সেটা নিয়ে তোর এত মাথা ব্যথা কেন?

দিয়ারা: বাহ রে! যে আমাকে নিয়ে চিন্তা করে আমি তাঁকে নিয়ে চিন্তা করবো না?

দিয়ারা কথাটা ঠোঁটে হালকা হাসির রেশ নিয়ে বললো আর দু তিনবার পর পর চোখের পলক ফেললো। দেবাংশু দিয়ারার এমন চাহুনি সহ্য করতে না পেরে সঙ্গে সঙ্গে নিজের চোখ ঘুরিয়ে নেয়। দিয়ারার ঠোঁটে এবার হাসি ফুঁটে ওঠে।

দিয়ারা: আচ্ছা বলতে হবে না কেন রেগে আছো। তোমার যখন মন চাইবে তখন বলো। আর, থ্যাংক ইউ!

দিয়ারা কথাটা বলে দু পা এগিয়ে গেলে দেবাংশু ওর হাতটা টেনে ধরে নিজের জায়গায় দাঁড়িয়ে থেকেই। দিয়ারা দেবাংশুর দিকে ফিরে দেখে দেবাংশু এখনও অন্যদিকেই তাকিয়ে আছে। দিয়ারা অপেক্ষা করতে লাগলো কখন দেবাংশু কিছু বলবে।

দেবাংশু: সব কিছু বুঝেও না বোঝার ভান করিস তুই তাই না?

দিয়ারা বুঝতে পারছে দেবাংশুর হাত ক্রমশ ওর হাতের কব্জিতে জেঁকে বসছে। দিয়ারা দেবাংশুর হাতের উপর হাত রেখে তৎক্ষণাৎ বললো,

দিয়ারা: আমাকে কখনও কোনো কিছু বলতে হয় না দেবদা। আমার উপর যখনই কোনো খারাপ দৃষ্টি পরে, সেটার সাথে ভিকি দা ডিল করে নেয়। তাই আমি বুঝেও পাত্তা দি না। আর আমি একজন মডেল, এসব তো সহ্য করতেই হয়।

দেবাংশু: তাই বলে তুই এটাকে প্রশ্রয় দিবি? (রেগে)

দেবাংশু দিয়ারার দিকে ঘুরে জোর গলায় প্রশ্নটা করলে দিয়ারা একটু অবাক হয়ে গেলো। এরকম ভাবে কেউ কখনও ওর বিষয় নিয়ে রিয়্যাক্ট করেনি।

দিয়ারা: কাম ডাউন দেবদা। আমাদের প্রত্যেকটা মেয়েদেরকেই এরকম কিছু জিনিসের সম্মুখীন প্রতি নিয়ত হতে হয়। সবার দৃষ্টিভঙ্গি তো এক নয় তাই না? খারাপ নজর কখনও পোশাক বা বয়স দেখে হয় না। খারাপ মানসিকতার সাথে দৃষ্টিভঙ্গি খারাপ থাকলেই পোশাক বা বয়স যাই থাক না কেন নজর খারাপ পড়বেই। এটা আমরা আটকাতে পারবো না।

দেবাংশু: তাই বলে প্রটেস্টও করবো না রাইট? তোর দিকে প্রথম থেকেই উনি খারাপ নজরে তাকিয়ে আছে এটা বুঝতে পেরেও তুই চুপ করে ছিলি। কেন? কারণ তুই ওনার দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টাতে পারবি না। ওয়াও, গ্রেট! জাস্ট আনবিলিভবেল! (প্রচণ্ড পরিমাণ বিরক্ত হয়ে)

দেবাংশু অন্যদিকে ঘুরে গেলে দিয়ারা একটু অবাক হয়েই দেবাংশুর দিকে তাকিয়ে থাকে। ও বুঝে উঠতে পারছে না দেবাংশু এতটা রিয়্যাক্ট কেন করছে? সে যে ইন্ডাস্ট্রি সম্পর্কে কিছু জানে না তা তো নয়। দেবাংশুর এরকম ব্যবহারের সাথে সে আধভিকের সিয়ারার সাথে করা ব্যবহারের মিল পাচ্ছে। আধভিক ঠিক এমনই যত্নশীল সিয়ারার প্রতি। সে দিয়ারার প্রতিও যত্নশীল কিন্তু সেটা দাদার মতো। আধভিক কখনওই দিয়ারা কে এসে বকাবকি করেনি, চুপচাপ নিজের মত করে সেই ব্যক্তিকে সরিয়ে দিয়েছে। কিন্তু দেবাংশু? দেবাংশু একপ্রকার জ্বলছে লোকটার উপর। ও’কে দেখে মনে হচ্ছে সে পারলে এখনই হাতের সামনে পেলে মেরে ফেলবে লোকটাকে।

দিয়ারা: (মনে মনে: দেবদা কি জেলাস ফীল করছে? … ধুর! কি সব ভাবছি আমি। ও কেন আমার বিষয়ে জেলাস ফীল করবে?)

দিয়ারা নিজের চিন্তা ভাবনাকে মাটি চাপা দিতেই দেবাংশু বলে উঠলো,

দেবাংশু: স্ক্রাউন্ডেল! ও’কে তো আমি…

দিয়ারা দেখলো অ্যাসিস্টেন্ট ডিরেক্টরটা হোটেলের বাইরে বেরিয়ে এসেছেন এবং মাঝে মধ্যেই দিয়ারার দিকে তাকাচ্ছেন। দেবাংশু সেটা দেখে এগিয়ে যেতে নিলেই দিয়ারা ওর সামনে দাঁড়িয়ে পরে আর বোঝানোর চেষ্টা করে।

দিয়ারা: দেবদা প্লিজ, এখানে কোনরকম সিন ক্রিয়েট করো না। আমরা সবটা ঠাণ্ডা মাথায় সর্ট করতে পারি। একটু বোঝার চেষ্টা করো? (অনুরোধ করে)

দেবাংশু ব্যক্তিটির দিকে তাকিয়ে দিয়ারার দিকে তাকালো। তারপর একটু কিছুক্ষণ চুপ থেকে দিয়ারার একদম কাছে চলে আসে। দিয়ারা কিছু বোঝার আগেই দিয়ারার দুই কাঁধে নিজের দুই হাত রেখে ওর মুখের সামনে ঝুঁকে বলে,

দেবাংশু: বল কীভাবে ঠাণ্ডা মাথায় সর্ট করবো? কতটা মাথা ঠাণ্ডা রাখতে হবে? এতটা নাকি…?

দেবাংশু দিয়ারার চোখে চোখ রেখে কথাগুলো বলে মাথাটা একদিকে একটু সরিয়ে ওই ব্যক্তিটির দিকে তাকায় যে ওদেরকে দেখছিলো। দেবাংশু একভাবে তাকিয়ে থাকে কিছুক্ষণ ওইদিকে। এদিকে দিয়ারা স্তব্ধ হয়ে গেছে দেবাংশুর হঠাৎ করে এভাবে কাছে আসে। দেবাংশু আবার ওর চোখে চোখ রাখলে দেখে দিয়ারা একভাবে ওর দিকে তাকিয়ে আছে অবাক ভাবে। দেবাংশু এক গালে হেসে একটা চোখ টিপ দেয় দিয়ারাকে আর দিয়ারার চোখ আরো বড়ো হয়ে যায়। দেবাংশু এইবার সোজা হয়ে দাঁড়ায় আর দিয়ারাকে টিজ করে বলে,

দেবাংশু: তুই নাকি মডেল? তাহলে আমাকে এত নীচু হতে হলো কেন? উফ! কোমরটা ব্যথা হয়ে গেলো, ভাগ্যিস বেশিক্ষণ…থাক আর বললাম না।

দিয়ারা বুঝলো না হঠাৎ করে এতো জোরে দেবাংশু এই কথাগুলো বললো কেন। দিয়ারা চট করে একবার পিছনে তাকাতেই দেখলো অ্যাসিস্টেন্ট ডিরেক্টর অর্থাৎ যে ওকে দেখছিলো সে চুপচাপ চলে গেলো মাথা নীচু করে হোটেলের দিকে।

দিয়ারা: তুমি..তুমি কি করলে?

দেবাংশু: কি করলাম? তোকে নাটা বললাম আবার কি?

দিয়ারা: মানে টা কি? আমি নাটা? (রেগে)

দেবাংশু: হ্যাঁ তা নয় তো কি?

সিয়ারা: কি হলো দিয়া? এরকম ভাবে চিল্লাচ্ছিস কেন?

সিয়ারা আর আধভিক পিছন থেকে এসে কথাটা বললে দিয়ারা ঘুরে ওর দিদির কাছে এসে দেবাংশুর নামে অভিযোগ করে বলে,

দিয়ারা: দি, দেবদা আমাকে নাটা বলছে!!

এই কথাটা শুনে আধভিক দেবাংশুর দিকে তাকালে দেবাংশু আধভিককে একটা চোখ টিপ দেয়। আধভিক হেসে দেবাংশুর তালে তাল মিলিয়ে বলে,

আধভিক: হ্যাঁ তো ভুলটা কি বলেছে? তোরা দুই বোনই তো বাচ্চা!

সিয়ারা: আর তোমরা বুড়া!

দিয়ারা: লম্বা তাল গাছ! আর আমাদের লম্বা ছেলেই পছন্দ কারণ তাহলে আমরা একটু শান্তিতে হিল পরতে পারবো।

সিয়ারা: নাহলে তো তোমরা ছেলেরা আমাদের থেকে বেঁটে হয়ে যাও হিল পরলে। সো প্লিজ, আমাদের টিজ করে না কোনো লাভ নেই।

দিয়ারা: চল দি।

দিয়ারা সিয়ারার হাত ধরে ওখান থেকে চলে গেলো। আধভিক আর দেবাংশু কিছু বলার সুযোগই পেলো না। তাই একে অপরের দিকে তাকিয়ে হেসে ফেললো।

আধভিক: কি ব্যাপার বল তো তোর?

দেবাংশু: কি ব্যাপার মানে?

আধভিক: মানে এটাই যে তুই এত কেন রিয়্যাক্ট করলি কিছুক্ষণ আগের বিষয়টা নিয়ে?

দেবাংশু একটু থতমত খেয়ে গেলো আধভিকের প্রশ্নে। ও নিজেই জানে না ও কেন এতোটা রিয়্যাক্ট করলো। দেবাংশুকে চুপ করে থাকতে দেখে আধভিক বললো,

আধভিক: তোকে দেখে মনে হচ্ছিলো, তুই মেনে নিতে পারছিলি না দিয়ার দিকে কেউ বাজে ভাবে তাকাচ্ছে। ঠিক যেমন আমিও মেনে নিতে পারি না সিয়ারার দিকে কেউ বাজে নজরে তাকালে, কারণ আমি জানি …. ও আমার!

দেবাংশু চমকে আধভিকের দিকে তাকালে আধভিক মাথা নেড়ে সম্মতি জানালো। দেবাংশু বিষয়টা সামলানোর জন্য বললো,

দেবাংশু: তুই এসব আমাকে কেন বলছিস? দেখ আমি ওকে আগে থেকেই চিনি তাই জন্যেই রিয়্যাক্ট করেছি। ও সিয়ারার বোন তাই…

আধভিক: সত্যি কি তাই দেব? কই সিয়ুর সাথে তো কখনও এভাবে রিয়্যাক্ট করিসনি? করেছিস? আমি যদিও জানি না তোদের বিষয়টা বাট আমার মনে হয় না আজ যেই ব্যবহারটা দিয়ার সাথে করলি সেটা তুই কখনও সিয়ুর সাথে করেছিস বলে। কারণ আজকে হয়তো তোর অনুভূতিটা অন্যরকম ছিলো।

দেবাংশু: ভিকি তুই বেশি বলছিস। আমি সেইম রিয়্যাক্টই করি। (অন্যদিকে তাকিয়ে)

আধভিক: ওহ, আচ্ছা। আসলে আমি তো করিনি তাই বললাম আর কি! মানে দিয়াকে আমি বোনের চোখে দেখি তাই ওর দিকে কেউ বাজে নজরে দেখলে আমি মেনে নিই না, উচিত শিক্ষা দিয়েদি কিন্তু এরকম রিয়্যাক্ট কখনও করিনা ওর উপর। এছাড়া সব মেয়ের জন্যেই আমি এটা করবো মানবিকতার খাতিরে শুধুমাত্র সিয়ু বাদে। কারণ ওকে কেউ বাজে নজরে দেখলে আমার মনে হয় আমার জীবনের সবচেয়ে অমূল্য সম্পদকে কেউ বাজে নজরে দেখছে যেটা আমি মেনে নিতে পারি না। আমার বুকের ভিতরটা জাস্ট জ্বলে যায়। অ্যাট দ্যাট টাইম আই ফেলট ভেরি ইন্সিকিউর। আর সিয়ু যদি সেটাকে প্রশ্রয় দেয় তাহলে তো হয়েই গেছে, মানে তুই আজকে যেমন রিয়্যাক্ট করলি তেমনই রিয়্যাক্ট করে ফেলি ওর উপর। যাই হোক, তুই তো বললি তোর ক্ষেত্রে এমনটা নয় সো লেট ইট বি। আমি হোটেলে যাচ্ছি তুইও আয়।

আধভিক চলে গেলে দেবাংশু আধভিকের কথা গুলো ভাবতে থাকে। সত্যি তো, আজ যখন ওই ব্যক্তিটা দিয়ারাকে বাজে নজরে দেখছিলো তখন ওর বুকের ভিতরটাতে জানো আগুন জ্বলছিল। এমনকি এখানে আসার পর থেকে যখনই সে এই দৃশ্য দেখেছে এবং পার্টিতে অর্জুন চ্যাটার্জী কে যখন দিয়ারার কাছাকাছি দেখেছে তখনও একই অনুভূতি হয়েছে। দেবাংশু বুঝতে পারছে না কেন হচ্ছে ওর সাথে এমন…আগে তো কোনো মেয়ের জন্য এমন হয়নি তাহলে দিয়ারার জন্য এমন কেন হচ্ছে?

দেবাংশু: (মনে মনে — কেন আমি ওর পাশে অন্য কাওকে সহ্য করতে পারছি না? কেন ওকে কেউ খারাপ নজরে দেখলে আমার এতটা রাগ হচ্ছে? আর…আর কেন ও সাথে থাকলে আমার এতটা ভালো লাগে? উফ! সারাদিন এই মেয়েটা আমার মাথায় ঘুরছে। কেন গড কেন??)

অন্যদিকে,

দিয়ারা: দি, শোন না।

সিয়ারা: হ্যাঁ বল, কিছু বলবি?

দিয়ারা: হ্যাঁ। মানে…আজকে দেবদা…

দিয়ারা সবটা সিয়ারাকে খুলে বললে সিয়ারা নিজের জায়গায় দাঁড়িয়ে পরে। দিয়ারা সিয়ারার রিয়্যাকশন দেখে ঘাবড়ে যায়। ভাবে এই বুঝি দি বকে দেবে খুব করে।

দিয়ারা: দি আমি জানি না আমি ঠিক ভাবছি কি না। আসলে আমি ভিকিদাকে দেখেছি একই বিষয়ে একইরকম ভাবে রিয়্যাক্ট করতে তোর সাথে, তাই বললাম আর কিছুই না।

সিয়ারা: কিন্তু তুই এত ভাবছিস কেন? তোর তো অর্জুন চ্যাটার্জীকে পছন্দ তাই না? (শান্ত ভাবে)

দিয়ারা: দি প্লিজ! কখন বললাম আমি এটা? উনি একজন নামকরা ফ্যাশন ডিজাইনার তাই জন্যেই আমি এক্সসাইটেড ওনার সাথে কাজ করার জন্য আর কিচ্ছু না। তখনই তো বললাম।

সিয়ারা: তাহলে কি তোর দেবকে পছন্দ?

দিয়ারা: হ…

সিয়ারার প্রশ্নটা শুনে দিয়ারা থেমে গেলো। কি উত্তর দেবে সে বুঝে উঠতে পারছে না কারণ সে নিজেও জানে না সে দেবাংশুর জন্য যেই অনুভূতি অনুভব করে তার নাম কি।

সিয়ারা: আমি বুঝতে পারছি তোর অবস্থাটা। আমি আগেও বলেছি, এখনও বলছি। আবেগের বশে কোনো সিদ্ধান্ত নিবি না দিয়া। আগে বোঝার চেষ্টা কর নিজের অনুভূতিটাকে। বেশি কিছু না, তোর সাথে যা যা ঘটছে সেগুলোকে লক্ষ্য কর ভালো ভাবে আর সেটা নিয়ে একটু সময় নিয়ে ভাব। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তোর নিজের কাজকর্ম নিয়ে একটু সময় নিয়ে ভাব, দেখবি উত্তর পেয়ে গেছিস। চল এবার।

সিয়ারা চলে যায় হোটেলের দিকে। ওরা তখন হোটেলে না গিয়ে একটু অন্য দিকটায় এসেছিলো। সিয়ারা যা বলে গেলো সেগুলো নিয়ে ভাবতে ভাবতে দিয়ারাও পা বাড়ালো হোটেলের দিকে সিয়ারার পিছু পিছু।

[#ফিরে_আসবো_আগামী_পর্বে🥀]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here