কথা দিলাম ‘ 🌸❤️ ||পর্ব ~ ৪১|| @কোয়েল ব্যানার্জী

0
262

‘ কথা দিলাম ‘ 🌸❤️
||পর্ব ~ ৪১||
@কোয়েল ব্যানার্জী আয়েশা

সিয়ারা নিজের ঘরে এসে দেখলো আধভিক চুপচাপ বসে আছে সোফায়। দরজাটা বন্ধ করে সিয়ারা আধভিককে জিজ্ঞেস করলো,

সিয়ারা: কি নিয়ে চিন্তা করছো?

আধভিক: হম? তেমন কিছু না।

সিয়ারা বেশি কিছু না বলে আধভিকের পাশে গিয়ে বসলো। আধভিকের বাহুতে মাথা ঠেকিয়ে বললো,

সিয়ারা: আমার একদম মন চাইছে না অভ্রর মুখোমুখি হতে। আমি চাই না ওর খারাপ নজর আমাদের উপর আর পরুক।

আধভিক: (তাচ্ছিল্য হেসে) তুমি ভাবছো এখানে ও আমাদের নজরে রাখেনি?

সিয়ারা: (সোজা হয়ে) মানে? তুমি বলতে চাইছো ও এসেছে এখানে? কিন্তু কোথায়?

আধভিক: ও আসেনি, কিন্তু ওর লোক আছে এখানে আমাদের উপর নজর রাখার জন্য। আমি যদি খুব ভুল না হই তাহলে ওর লোকের মাধ্যমেই ও আমাদের অ্যাকসিডেন্ট করার প্ল্যান করিয়েছিল। আর কলকাতা ফিরতেই ও সবার আগে আমার সাথে দেখা করতে আসবে কারণ ও জেনে গেছে আমার আর তোমার মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি মিটে গেছে।

সিয়ারা: তার মানে ও আবার কোনো ষড়যন্ত্রের প্ল্যান করছে। ও আবার তোমার ক্ষতি করার চেষ্টা করবে আভি? (আতঙ্কে)

সিয়ারাকে ভয় পেতে দেখে আধভিক ওকে বুকে টেনে নেয়। আলতো করে কপালে ঠোঁট ছুঁয়ে বলে,

আধভিক: আমাকে যদি মেরে ফেলার হতো তাহলে অনেক আগেই মেরে ফেলতো। ওর উদ্দ্যেশ্য অন্যকিছু যেটা জানতে হবে আমাকে আর সেটা এইবারই সম্ভব। কারণ এতদিন আমি এসব নিয়ে মাথা খাটাইনি। কিন্তু এখন খাটাবো, দেখি কত দূর যেতে পারে ও।

সিয়ারা: তুমি বলেছিলে তুমি ওদের জিততে দেবে না। কিন্তু এখন তো সেটাই করছো আভি। কেন রিস্ক নিচ্ছো?

আধভিক: আমি ওদেরকে জিততে দেবো না সিয়ু। এখনই যদি আমি গিয়ে অভ্রকে চার্জ করি তাহলে আসল অপরাধীকে খুঁজে বার করতে পারবো না তাই প্রমাণের জন্য আমাকে দেখতে হবে ও কি করছে। নজর রাখতে হবে ওর উপর। আগেরবার আমি ভেবেছিলাম ওর প্ল্যান ওয়াইজ চলে ওকে বুঝাবো ও জিতছে আর সেই সময় ও ভুল করবে। বাট ও সেটা বুঝে গেছিলো আর প্ল্যান চেঞ্জ করেছিলো। এর মানে ওর লোক সবসময় নজর রাখছে আমাদের উপর বা ওর প্ল্যান সেভাবেই ভাবা ছিলো, আমাকে জাস্ট মিথ্যে বলেছিলো যে ওখানে কেউ আসবে যে তোমাকে চায়।

সিয়ারা: ওকে ধরাটা খুব একটা সহজ হবে না আভি। ও অনেক প্ল্যান করেই এগোচ্ছে। কি সুন্দর ভাবে পার্টির বিষয়টা সাজিয়ে ছিলো যেটা আমাদের মাথাতেও আসেনি।

আধভিক: আমরা সব বুঝেই যখন গেছি তখন কোনো কিছু ঘটলে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে অনেক ভাবতে হবে।

সিয়ারা: (হেসে উঠে) কি বললে? ভাবতে হবে?

সিয়ারা কথাটা বলে হাসিতে ফেটে পরলো একপ্রকার। আর আধভিক সেটা দেখে চোখ সরু করে বললো,

আধভিক: ঠিক আছে ঠিক আছে। এভাবে হাসতে হবে না। আগে ভাবিনি, এখন ভাববো। এতে হাসির কি আছে হ্যাঁ? উফ! থামবে? সিয়ু!!

সিয়ারা আধভিককে বিরক্ত হয়ে দেখে নিজের হাসি চেপে ওর মুখের দিকে তাকালো। আবার হাসতে গেলে আধভিক সিয়ারার ঠোঁটে নিজের ঠোঁট চেপে ধরে। সিয়ারা বড়ো বড়ো চোখ করে তাকালেন আধভিক সরে এসে মুচকি হাসে আর বলে,

আধভিক: এর থেকে বেশী কিছু হবে হাসলে। হাসো এবার!

সিয়ারা: (বাহুতে ঘুষি মেরে) অসভ্য একটা, হুহ!

সিয়ারা লজ্জা পেয়েছে এটা বুঝতে পেরেছে আধভিক ওর অন্যদিকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়ায়। তাই হেসে সিয়ারার কোমরে হাত রেখে ওকে নিজের কাছে টেনে আনে আধভিক। কিন্তু তাও সিয়ারা নীচের দিকেই তাকিয়ে আছে। সিয়ারার গালে ঠোঁট ছুঁয়ে দেয় আধভিক আর সিয়ারা আধভিকের বুকের সাথে মিশে যায়।

আধভিক: আমি এই বিষয়টা নিয়ে চিন্তিত নই। আমি চিন্তিত দেব আর দিয়াকে নিয়ে।

সিয়ারা: তুমিও ওদের বিষয়টা টের পেয়েছো?

আধভিক: হম। আজকে কিছুক্ষণ আগে যে ঘটনাটা ঘটলো সেটা তে অনেক কিছুই পরিষ্কার হয়ে গেছে।

সিয়ারা: দেব আর তুমি অনেকদিন ধরেই বন্ধু। তুমি নিশ্চয় জানো ও কেমন? ও কি সহ্য করেছে? আমার মনে হয় আমার দিয়াকে সতর্ক করে দেওয়া উচিত। আমি চাই না আমার বোন কোনরকম কষ্ট পাক। (সোজা হয়ে বসে)

আধভিক: তুমি এমনটা কেন ভাবছো যে অন্যান্য মেয়েদের ক্ষেত্রে দেব যেমন বিহেভ করেছে দিয়ার ক্ষেত্রেও তাই করবে? আমি আমার বন্ধুকে অনেকদিন আগে থেকেই চিনি তাই আমি এটুকু বলতে পারি, দেবের জীবনে দিয়া সব মেয়েদের মত নয়। ও আলাদা দেবের কাছে, ইয়েস শি ইজ ডিফারেন্ট। (আত্মবিশ্বাসী হয়ে)

সিয়ারা: সেটা আমিও লক্ষ্য করেছি। কিন্তু আমি যদি দিয়াকে সতর্ক করি তাহলে ও হয়তো সেভাবেই এগোবে।

আধভিক: কিন্তু সেটা করলে যদি দিয়া পিছিয়ে যায়। দেখো এই দুই বছরে আমি দিয়াকে যতটুকু দেখেছি তাতে বুঝেছি ও এসব বিষয়ে একটু ভয় পায়। মানে, ও ঠকতে ভয় পায়। এমন একজনকে চায় যে ওকে ভীষণ ভালোবাসবে, ওকে বুঝবে। ও তো এটাই বলেছে আমাকে সবসময়। তাই এখন যদি তুমি দেবের ব্যাপারে সতর্ক করো তাহলে ও পিছিয়ে যেতেই পারে।

সিয়ারা: দিয়ার কি এই দুই বছরে কাওকে পছন্দ হয়নি? মানে ও তো বেশ নাম করা মডেল। কেউ প্রপোজাল দেয়নি এটা হতে পারে না।

আধভিক: প্রচুর প্রপোজাল পেয়েছে কারণ ওর বিহেভিয়ারটাই অমন। ও সবার সাথে হেসে, ভালোভাবে কথা বলে যাতে বেশির ভাগ প্রডিউসার, ডিরেক্টর সেটাকে অন্য কিছু ধরে নেয়। একচুয়ালী সেটা নয়, ও মনে করে অ্যাস আ মডেল অ্যান্ড হিউম্যান ওর বিহেভিয়ার সবসময় ভালো হওয়া উচিত সবার প্রতি। আর সত্যি, এতে আমার ফ্যাশন হাউজ অনেক অনেক নতুন কাজ পেয়েছে। বেশিরভাগ প্রোডিউসার, ডিরেক্টর, ফ্যাশন হাউজের মালিকরা ওর এই বিহেভিয়ারকে পছন্দ করেছেন।

সিয়ারা: তাহলে এখন কি করা উচিৎ? দিয়া নিজেও জানে না ও দেবের জন্য কি ফীল করে।

আধভিক: দেখো, আমার মনে হয় দিয়াই হয়তো দেবকে ভালোবাসা কি সেটা রিয়েলাইজ করাতে পারবে। যেমন ভাবে বিষয়টা এগোচ্ছে, তেমন ভাবেই এগোতে দাও তাই এটাকে।

সিয়ারা কিছু না বললেও ও বিষয়টা পুরোপুরি মেনে নিতে পারে না। সেটা আধভিক বুঝতে পারে কিন্তু ওর ও কিছু করার নেই। এখন এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করলে হিতে বিপরীত হতে পারে। সেও চায় না দেব বা দিয়া কেউ কষ্ট পাক কিন্তু ওদের ভালোর জন্য এটুকু রিস্ক নেওয়াটা দরকার। ওরা যদি একে অপরের জন্য সঠিক না হয় তাহলে সেটা সময়ই বুঝিয়ে দেবে। আর সেই সময়টার জন্য অপেক্ষা করতেই হবে ওদের।

আধভিক: সিয়ু! চলো বাইরে থেকে একটু ঘুরে আসি। আমাদের তো কালকে সন্ধ্যের ফ্লাইট, ঘোরা তো হবে না আর।

সিয়ারা: হম? এখন কোথায় যাবে?

আধভিক: আগে তো চলো। রেডি হয়ে নাও আমি অপেক্ষা করছি বাইরে।

আধভিক বেরিয়ে গেলে সিয়ারা রেডি হয়ে নেয় এবং একসাথে ব্রেকফাস্ট করে ঘুরতে বেরিয়ে যায়। অন্যদিকে,

দিয়ারা চুপচাপ দাঁড়িয়ে পাহাড় দেখছে। রোদ ওঠায় বেশ ঝলমলে হয়ে রয়েছে পুরো পরিবেশ। ঠান্ডাটাও একটু কম লাগছে তাই জন্য। হঠাৎই দিয়ারার কিছুক্ষণ আগের ঘটনার মনে পরে যায় আর ও মনে মনে হেসে ওঠে দেবাংশুর ব্যবহারের কথা ভেবে। নিজের দিদির কথা শুনে ও লজ্জা পেতে শুরু করে মনে মনে ভাবে, “আমি কি সত্যি কিছু অনুভব করি দেবদার জন্য?”

এদিকে দেবাংশু নিজের নিকন এর ডিএসএলআর নিয়ে পাহাড়সহ পরিবেশের ছবি তুলছিলো। সেই সময় ওর চোখে পরে দিয়ারা দাঁড়িয়ে আছে এবং সে আপন মনেই হাসছে। দেবাংশু নিজের অজান্তেই দিয়ারার একের পর এক ছবি তুলতে লাগলো। তারপর আস্তে করে ওখান থেকে সরে গেলো।

পরেরদিন,

আধভিক, সিয়ারাসহ সবাই ফ্লাইটে উঠে পরেছে। এই ফ্লাইটে আধভিক আর সিয়ারা পাশাপাশি বসেছে এবং আভাস বাবু দিয়ারা ও দেবাংশু একসাথে বসেছে। দিয়ারা একটু অস্বস্তিবোধ করছে দেবাংশুর পাশে বসায় তাই উশখুশ করছে। তখনই হঠাৎ ওর চোখ যায় নিজের পাশের দিকে যেখানে সেই অ্যাসিস্টেন্ট ডিরেক্টরটা বসে ওর দিকেই তাকিয়ে আছে।

দেবাংশু: কি আছে ওই পাশে যে ওইদিকে তাকিয়ে আছিস? ওয়েট, ওঠ!

দিয়ারা: হ্যাঁ? (অবাক হয়ে)

দেবাংশু: উঠতে বলেছি। (দাঁতে দাঁত চেপে)

দিয়ারা সিট বেল্ট খুলে উঠে দাঁড়ালে দেবাংশু দিয়ারার সিটে বসে পরে। সেই দেখে দিয়ারা হালকা হেসে দেবাংশুর সিটে বসে সিট বেল্ট লাগাতে থাকল দেবাংশু বলে,

দেবাংশু: অস্বস্তি হলেও এখানে আমার পাশেই বসতে হবে। ঠিক আছে? (রেগে)

দেবাংশু কথাটা বলেই মুখটা অন্য পাশে ফিরিয়ে নেয়, যেদিকে অ্যাসিস্টেন্ট ডিরেক্টর বসে আছেন। দিয়ারা ধীরে ধীরে দেবাংশুর জ্যাকেটের হাতাটা একটু টেনে ধরে ওর হাতের উপর হাত রাখে নিজের। যেটা অনুভব করে দেবাংশু ওর দিকে তাকায়।

দিয়ারা: থ্যাঙ্ক ইউ।

একটা ছোট্ট হাসি উপহার দেয় দিয়ারা নিজের কথা শেষ করে। তারপর অন্যদিকে মুখ ফিরিয়ে নেয়। খেয়াল করে না এদিকের মানুষটার বুকে একপ্রকার ঝড় উঠে গেছে। দেবাংশু কিছুক্ষণ একভাবে তাকিয়ে থাকে দিয়ারার দিকে আর দিয়ারার হাসিটা ওর চোখের সামনে ভাসতে থাকে। নিজের মাথাটা একটু ঝাঁকিয়ে নিয়ে অন্যদিকে ফিরে যায় দেবাংশু আর মনে মনে নিজেকে বকে দেয়।

দেবাংশু: (মনে মনে– এই মেয়েটা আমাকে পাগল করে দেবে এবার। কিন্তু চেয়েও তো দূরে থাকতে পারি না ওর থেকে। ওর কথা বলা, ওর হাসি, ওর সবকিছু বারবার চোখের সামনে ভেসে ওঠে এখন। ওহ গড! কি হচ্ছে এসব, কেন হচ্ছে?)

দেবাংশু সিটে মাথা হেলিয়ে চোখ বন্ধ করতেই ওর চোখের সামনে কিছুক্ষণের মধ্যে দিয়ারার “থ্যাঙ্ক ইউ” আর ওর হাসিটা ভেসে ওঠে। দেবাংশু চোখ না খুলেই হালকা হাসে দিয়ারার কথা ভেবে।

কলকাতা,

কলকাতা ফিরে এসে একদিন রেস্ট নিয়ে আধভিক নিজের ফ্যাশন হাউজে নিজের কাজে ফিরে আসে। বেশ কয়েকটা মিটিং পেন্ডিং পরে আছে ওর। মিটিংগুলো শেষ করে ডিলগুলো ফাইনাল করতে হবে। সকাল থেকে নিজের ডেস্কে বসে সে কাজ করার জন্য প্রস্তুতি তো নিচ্ছে কিন্তু কিছুতেই মন বসাতে পারছে না কাজে।

আধভিক: সিয়ুকে একটা ফোন করবো? ও কি উঠে গেছে ঘুম থেকে? এতোটা অস্থির লাগছে কেন আজকে আমার? উফ! যেদিন থেকে এই মেয়েটা আমার জীবনে এসেছে এমন একটা দিন যাইনি যখন আমার ওর কথা মনে পরেনি।

আধভিক নিজের চেয়ারে হেলান দিয়ে চোখ বন্ধ করতেই সিয়ারার সাথে ওর দেখা হওয়া থেকে নিয়ে শুরু করে সব কিছু মনে পরতে থাকে। সে ভালোবাসে এভাবে সিয়ারাকে অনুভব করতে যখন সিয়ারা তাঁর কাছে উপস্থিত থাকে না। দরজায় নক করার আওয়াজে আধভিক চোখ খোলে।

আধভিক: কাম ইন!

__হেই ভিকি!!

আধভিকের কেবিনে একটা মেয়ে ঢুকে আসলে আধভিক মেয়েটিকে দেখে একপ্রকার লাফিয়ে উঠে দাঁড়ায় আর বড়ো সরো ঢোঁক গেলে।

আধভিক: হ..হেই! হেই তানিশা! তু..তুই এখানে কি করে?

তানিশা: কেন? আমি কি আসতে পারিনা ভিকি?

আধভিক রেগে তানিশার পিছনে দাঁড়িয়ে থাকা সোহমের দিকে তাকায় যে মাথা নীচু করে অপরাধীর ন্যায় চুপচাপ হয়ে আছে। আধভিক নিজের জায়গা ছেড়ে সামনে সামনে আসতে আস্তে বলে,

আধভিক: না না আমি একদমই সেটা মিন করতে চাইনি। আমি বলতে চাইছিলাম যে, তুই এখানে? হোয়াট আ লাভলি সারপ্রাইজ! (জোর করে হেসে)

তানিশা আধভিকের মুখ থেকে কথাটা শুনে এগিয়ে গিয়ে আধভিককে জড়িয়ে ধরলো যাতে আধভিক একটু অস্বস্তি বোধ করলো কিন্তু অবাক হলো না। সেও ভদ্রতার খাতিরে তানিশার পিঠে আলতো ভেবে হাত রেখে সামনে তাকাতেই তাঁর চোখ বড়ো বড়ো হয়ে গেলো কারণ সামনে সিয়ারা দাঁড়িয়ে আছে। সিয়ারার দিকে তাকিয়ে সোহমের দিকে তাকাতেই আধভিক দেখলো সোহমও বড়ো বড়ো চোখ করে একবার সিয়ারার দিকে তাকালো এবং তারপরে আধভিকের দিকে তাকিয়ে বললো,

সোহম: হয়ে গেলো! গল্প শেষ! শুরু হওয়ার আগেই মনে হয় আবার শেষ হয়ে যাওয়ার ঘণ্টা বেজে গেলো।

[#ফিরে_আসবো_আগামী_পর্বে🥀]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here