#স্মৃতির_শেষ_অধ্যায়ে_তুমি
#পর্ব_৩৭(দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ)
#লেখিকা_Fabiha_bushra_nimu
অনুভূতিরা আনন্দে মেতে উঠেছে। বিষাদকে গ্রাস করে নিয়েছে এক টুকরো সুখ। মনের শহরের আনাচে-কানাচেতে আনন্দের আনদোলন শুরু হয়েছে। নিজের প্রিয় মানুষকে নিজের করে পাবার মতো সুখ দ্বিতীয়টি নেই। হ্যাঁ আরাভের কাছে কাজী সাহেব সেই প্রস্তাবই রেখেছে। আরাভ অনুভূতি শূন্য হয়ে গিয়েছে। কথা বলার শক্তি হারিয়েছে। বুকের মধ্যে তোলপাড় শুধু হয়ে গিয়েছে। পুরো শরীর নিস্তেজ হয়ে গিয়েছে। এত সাধ্য সাধনা করার পরে যখন তার প্রেয়সীকে নিজের করে নেওয়ার সময় এসেছে। তখনই কেন অনুভূতিরা শূন্য হয়ে পড়েছে। আরাভকে নিরব থাকতে দেখে কাজী আবার বলে উঠল। অভ্র আরাভের কাছে হাত রেখে সাহস যোগাল। আবিদ রহমান আরাভকে চোখ দিয়ে ইশারা করে আরাভকে ভরসা জোগাল যোগাল। আরাভ বিলম্ব করল না দ্রুত কবুল বলে ফেলল। স্মৃতিকে কবুল বলতে বলা হলে স্মৃতি শব্দ করে কেঁদে উঠল। এই কবুল শব্দটার সাথে প্রতিটি মেয়ের আবেগ জড়িয়ে থাকে। বাবার বাসার রাজকন্যা সারাজীবনের রাজ্য ত্যাগ করে অন্য রাজ্যে চলে যেতে হয়। কবুল বলার আগ পর্যন্ত একটা মেয়ে বাবার রাজকন্যা হয়ে থাকে। কবুল বলার পরে বাবার সেই রাজকন্যা হয় বাবার বাসার মেহমান। কি অদ্ভুত তাই না! স্মৃতিকে বুঝিয়ে কবুল বলানো হয়। স্মৃতির কান্নার বেগ কমে এসেছে। সে শান্ত পাখির ন্যায় আরাভের পাশে বসে আছে। চারদিকে মিষ্টি বিবরন করা হচ্ছে। অদ্ভুত ভাবে আরাভ মুখ হাত দিয়ে ঢেকে কান্না করে দিল। সব কান্না দুঃখের হয় না। কিছু কিছু কান্না হয় অতি সুখের। যে কান্নার মাঝে লুকিয়ে থাকে আবেগ, ভালোবাসা, পূর্ণতা। সব দুঃখের শেষে যদি শখের মানুষটাকে পাওয়া যায়। তাহলে পৃথিবীর সব দুঃখ পালতে আনন্দিত হওয়া যায়। সবাই অবাক হয়ে আরাভকে দেখছে। একটা ছেলে একটা মেয়েকে কতটা ভালোবাসলে, তাকে পাওয়ার আনন্দে কান্না করে ফেলে! স্মৃতির বাবা স্মৃতির হাত আরাভের হাতে দিয়ে বলল,
–আমার নিজের জীবন টা তোমার হাতে তুলে দিচ্ছি বাবা। যদি কখনো ভুল করে তাহলে বুঝিয়ে বলবে। দেখবে আমার মেয়েটা ঠিক বুঝবে। আর যদি কখনো আমার মেয়েকে বোঝা মনে হয়। তাহলে আমার মেয়েকে আমার কাছে দিয়ে যাবে। বাবার কাছে মেয়েরা কখনো বোঝা হয় না। আমার মেয়ের আমার কাছে আগে যেমন রাজকন্যা ছিল আছে আর সারাজীবন থাকবে। আরাভ কিছু বলল না৷ শুধু আবিদ রহমানের হাতে হাত রেখে ভরসা দিল। সে মুখে বড় বড় কথা বলতে চায় না৷ সে কাজে প্রমাণ দিয়ে দেখিয়ে দিতে চায়।
পাশাপাশি বাড়ি হওয়ায় গাড়ির ব্যবস্থা করা হয়নি। চারদিকে শোরগোল পরে গেল। নতুন বউ কি তাহলে হেঁটে যাবে। সবাইকে অবাক করে দিয়ে আরাভ স্মৃতিকে কোলে তুলে নিল। আরাভের এমন কান্ডে স্মৃতি বেশ লজ্জা পেল। দু’হাতে আরাভের গাল জড়িয়ে ধরল। স্মৃতির শরীর কাঁপছে। হৃদয়ের মধ্যে তোলপাড় শুরু হয় গিয়েছে। মানুষটা তাকে কত-শত কষ্ট দিল। সে-ও মানুষটাকে কষ্ট দিল। মানুষটার মুখ দেখবে না বলে নিজের মনকে কত বোঝাল। কিন্তু মানুষটা সামনে আসলে সব এলোমেলো হয়ে যায়। যাকে মন থেকে ভালোবাসা যায়। তাকে কখনো ঘৃণা করা যায় না। যাকে ঘৃণা করা যায় সে কখনো ভালোবাসা ছিল না। আরাভ স্মৃতিকে নিজেদের রুমে রেখে বের হয়ে চলে গেল। চারিদিকে ফুলের সুবাসে বাসরঘরটা ফুলের মো মো করছে। গোলাপ আর রজনীগন্ধা ফুলে দিয়ে আরাভ আর স্মৃতির বাসরঘর সাজানো হয়েছে।
ঘড়ির কাঁটায় রাত একটা ছুঁই ছুঁই। আরাভ স্মৃতিকে ঘরে রেখে বাহিরে গিয়েছে। এখনো বাসায় ফেরেনি। বাহিরে সবাই বলাবলি করছে। কথা গুলো স্মৃতির কর্ণকুহরে আসতেই ভিষণ খারাপ লাগলো। স্মৃতি অনুভব করল তার শরীর রীতিমতো ঘামতে শুরু করছে। সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে অস্থির হয়ে উঠছে। স্মৃতি বুঝতে পারল এই অস্থিরতা কিসের বিছানা থেকে উঠে দৌড়ে দরজার কাছে আসলো। বাহিরে যেতে গিয়েও থেমে গেল দু’টি চরন। এখন শুধু নিজের কথা ভাবলে চলবে না। এখন তার সাথে আরাভের পুরো পরিবারের সন্মান জড়িয়ে আছে। স্মৃতি যন্ত্রনায় ছটফট করতে করতে ফ্লোরে বসে পড়ল। ভিষণ কষ্ট হচ্ছে আঁখি জোড়া বেয়ে অশ্রুকণা গুলো গড়িয়ে পড়ছে। হঠাৎ করে পেছনে কারো উপস্থিতি অনুভব করল স্মৃতি। পেছনে ঘোরার আগেই নিজের কাঙ্খিত জিনিস পেয়ে যেন নিজের জান ফিরে পেল। দ্রুত তা শরীরের মধ্যে প্রবেশ করাল। আস্তে আস্তে শরীরের অস্থিরতা কমে আসছে। ঘন ঘন শ্বাস নিচ্ছ স্মৃতি। পেছনে না তাকিয়েই পেছনের মানুষটার বুকে মাথা ঠেকিয়ে শরীরের সমস্ত ভর ছেড়ে দিল। পুরো শরীর একদম নিস্তেজ হয়ে পড়েছে। আরাভ পরম যত্নে নিজের প্রেয়সীকে আগলে নিল। স্মৃতিকে কোলে তুলে নিয়ে বিছানায় শুয়ে দিল। নিজেও ফ্রেশ হয়ে এসে স্মৃতির পাশে শুয়ে পড়লো।
পরের দিন প্রভাতের আলো ফুটতেই স্মৃতির আগে ঘুম ভেঙে যায়। নিজের পাশে কারো উপস্থিতি টের পেয়ে তাকিয়ে দেখলো আরাভ ঘুমাচ্ছে। ঘুমন্ত আরাভকে দেখতে ভিষণ স্নিগ্ধ আর সুন্দর দেখাচ্ছে। মানুষটার এই মুখে কিসের এত মুগ্ধতা যার অতল গভীরে স্মৃতি বারবার হারিয়ে যায়। কাল রাতের কথা স্মরন হতেই স্মৃতি অসহায় দৃষ্টিতে আরাভের মুখশ্রীর দিকে তাকিয়ে আছে। মানুষটা তার থেকে ভালো কাউকে ডিজার্ভ করে। শুধু শুধু তাকে বিয়ে করে নিজের জীবন টা নষ্ট করল। সে-ও কি করত তার কাছে কোনো উপায় ছিল না। পৃথিবীতে সবকিছুর ভাগ দেওয়া গেলে-ও ভালোবাসার মানুষের ভাগ কখনো দেওয়া যায় না। স্মৃতি আর কোনো কিছু ভাবতে পারল না৷ বুক ভারি করা দীর্ঘশ্বাস নিয়ে উঠে ফ্রেশ হতে চলে গেল। বিয়ের পোশাক বদলে একটা কালো রঙের সালোয়ার কামিজ পরে ওয়াশরুম থেকে বের হলো স্মৃতি। বাহিরে এসেই দেখল আরাভ দাঁড়িয়ে আছে। আরাভের চোখে চোখ পড়তেই স্মৃতি চোখ নামিয়ে বিছানায় গিয়ে বসল। কেউ কারো সাথে কোনো কথা বলল না। আরাভ ফ্রেশ হয়ে এসে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে হাতমুখ মুছছে। এমন সময় দরজায় কেউ কড়া নাড়লো। আরাভ গিয়ে দরজা খুলে দেখলো আকাশী এসেছে। হাতে তার লাল রঙের একটা শাড়ি। আকাশী শাড়িটা স্মৃতির হাতে দিয়ে বলল,
–ভাবি আম্মু তোমাকে এই শাড়ি পরে বাহিরে যেতে বলছে। আম্মুর বোনেরা আসছে তোমাকে দেখার জন্য। তারা কালে রাতে গ্রাম থেকে আসছে। অতিরিক্ত রাত হবার কারনে কেউ আর তোমাদের বিরক্ত করেনি। কথা গুলো বলেই আকাশী চলে গেল। আকাশী চলে যেতেই আরাভ আবার দরজা লাগিয়ে দিল। স্মৃতি আঁড়চোখে আরাভের কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণ করছে। স্মৃতি শাড়ি নিয়ে ওয়াশরুমের দিকে যাচ্ছিল। তখনই আরাভ স্মৃতির হাত টেনে নিজের কাছে নেয়। স্মৃতির কথার অপেক্ষা না করে বলল,
–কাল রাতে তুমি ঘুমিয়ে গিয়েছিলে। তাই তোমাকে কিছু দিতে পারি নাই। তোমার জন্য কিছু এনে রেখেছি। কথা গুলো বলেই ড্রেসিং টেবিলের ড্রয়ার থেকে কিছু জিনিস বের করল। সেখানে দু’টো চিকন সোনার চুড়ি, একটা নাকফুল, গলার চেইন, শব্দহীন পায়ের এক জোড়া নূপুর আর কানের দুল ছিল। আরাভ যত্ন সহকারে হাতে চুড়ি পড়িয়ে দিল। তারপরে গলায় চেইন আর কানে দুল পড়িয়ে দিয়ে, খুব সাবধানতার সাথে নাকে না ফুল পড়িয়ে দিল। তবু্ও স্মৃতি নাক রক্তিম বর্ন ধারন করেছে। দু’চোখ বেয়ে অশ্রুকণা গড়িয়ে পড়ছে। আরাভ স্মৃতির দিকে তাকিয়ে থেকে বলল,
–এবার একদম বউ বউ লাগছে। তুমি কি বেশি ব্যাথা পেয়েছ? স্মৃতি আরাভের কথা মুখশ্রী গম্ভীর করে ফেলল। সে গম্ভীর কণ্ঠে জবাব দিল, “না। ”
স্মৃতিদের বিয়ের সাতদিন হয় গিয়েছে। আরাভ আর আবিদ রহমান মিলে স্মৃতির রিহাবে যাবার সকল ব্যবস্থা করে ফেলছে। কাল সকালে স্মৃতিকে রিহাবে রাখতে যাবে। স্মৃতি রোকেয়া বেগমের সাথে কাজ করছিলেন। রোকেয়া বেগম এখনো স্মৃতিকে মেনে নিতে পারেনি। সুযোগ পেলেই স্মৃতিকে কথা শোনায়। আরাভের ভয়ে বেশি কথা শোনাতে পারে না। আরাভ সব সময় স্মৃতির সাথে থাকে। কাজ করতে করতে স্মৃতি অস্থির হয়ে উঠছে। তখনই রোকেয়া বেগম বলে উঠল,
–এই নে’শা’খো’র মেয়েকে আমার ছেলে বিয়ে করেছে। দুই বাপ বেটি মিলে আমার ছেলের মাথাটা চিবিয়ে চিবিয়ে খেয়েছে। তা না হলে আমার এত সুন্দর ছেলে হয়ে, এমন নে’শা’খো’র মেয়েকে বিয়ে করে! আমার ছেলেকে কত করে বোঝলাম। আমার বোনের মেয়েকে বিয়ে কর। আমার কথা শুনলোই না। এই মেয়ের মাঝে কি আছে। যা দেখে আমার ছেলে পাগল হলো। না আছে রুপ না আছে গুন। আগে যতটুকু রুপ ছিল। নে’শা করে সবকিছু নষ্ট করে ফেলছে। স্মৃতির সবকিছু অসহ্য লাগছে। নিজেকে পাগল মনে হচ্ছে নে’শা’দ্র’ব্য শরীরের মধ্যে নেওয়ার জন্য উতলা হয়ে উঠেছে। রান্না ঘরের সবকিছু চূর্ণবিচূর্ণ করে দিচ্ছে স্মৃতি। তা দেখে রোকেয়া বেগম স্মৃতি গালে ক’ষে থা’প্প’ড় দিতে গেলে পেছনে থেকে কেউ একজন এসে রোকেয়া বেগমের হাত খানা আঁকড়ে ধরলো। আরাভকে দেখে রোকেয়া বেগমের অন্তর আত্মা কেঁপে উঠলো। ভয়ার্ত দৃষ্টিতে আরাভের দিকে তাকিয়ে আছে। আরাভ মায়ের হাত ছেড়ে দিয়ে স্মৃতির কাছে গেল। স্মৃতিকে শান্ত করা প্রয়োজন। সে স্মৃতির কাঙ্খিত জিনিস স্মৃতিকে দিল। একহাতে স্মৃতিকে বুকের মধ্যে আগলে নিয়ে আছে। স্মৃতি শান্ত হতে শুরু করেছে। পুরো শরীর নেতিয়ে আসছে। আরাভ বজ্রকণ্ঠে বলে উঠল,
–তোমার সাহস কি করে আম্মু স্মৃতির গায়ে হাত তুলতে যাওয়ার। আজ তুমি যদি আমার আম্মু না হতে তাহলে তোমার হাত এতক্ষণে চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে যেত। তুমি জানো না আম্মু স্মৃতি শারীরিক ভাবে সুস্থ নয়। সে শারীরিক ভাবে অসুস্থ। তার পাগলামির কারনটাও নিশ্চয়ই তোমার অজানা নয়। তাহলে কোন বিবেকে তুমি স্মৃতিকে মারতে গেলে। তোমাকে কতবার বলেছি। স্মৃতি কোনো দোষ করলে, কোনো ভুল করলে আমাকে বলবে। আমি স্মৃতির বিচার করে দিব। আমি স্মৃতির স্বামী তাই স্মৃতির ভালো মন্দ বিচার করা অধিকার একমাত্র আমার তোমরা স্মৃতি কেউ না। স্মৃতির কোনো ভুল চোখে পড়লে আমাকে জানাতে বলেছিলাম। আমি স্মৃতির সঠিক বিচার করে দিতাম৷ এমন ভুল পরবর্তীতে করলে আমার থেকে ভয়ংকর কেউ হবে না আম্মু। কথা গুলো বলেই স্মৃতিকে নিয়ে নিজের রুমে চলে আরাভ।
আরাভ স্মৃতির প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র গুলো ব্যাগে গুছিয়ে দিচ্ছে। স্মৃতির অভিমানী আঁখিজোড়া আরাভের দিকে তাকিয়ে আছে। সে কি সবার কাছে এতটাই বোঝা হয়ে গিয়েছে। সবাই তাকে দূরে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। আরাভ স্মৃতির অভিমান বুঝতে পারছে। মেয়েটা এই সাতদিনে তার সাথে প্রয়োজন ছাড়া একটা কথা ও বলেনি। মেয়েটাকে মেনে নেওয়ার জন্য আরাভ সময় দিচ্ছে। সে চায় না স্মৃতির ওপর কোনো রকম চাপ পড়ুক। আজকে স্মৃতির জন্য ভিষণ মায়া হচ্ছে। বুকের মধ্যে আগলে নিয়ে ভিষণ করে বলতে ইচ্ছে করছে। তুমি চলে যেও না স্মৃতি তুমি আমার কাছে থেকে যাও। তোমাকে ছাড়া আমি থাকব কিভাবে? এসব কিছু ভেবে আরাভ একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়ল। সে নিরুপায় একটা সুস্থ জীবন যাপনের জন্য হলে-ও স্মৃতিকে দূরে যেতে দিতেই হবে। সে না হয় আর কয়টা দিন অপেক্ষা করবে। আরাভ স্মৃতির পাশে গিয়ে বসল। স্মৃতির মাথায় আদুরে ভাবে হাত বুলিয়ে দিয়ে বলল,
–একদম ভয় পাবে না। সব সময় মনে সাহস রাখবে। নিজের মনকে নিজে ভেঙে দিবে না। সব সময় মনের মধ্যে রাগের মধ্য দিয়ে শক্তি সঞ্চয় করবে। ভাববে আরাভ আমাকে ভিষণ কষ্ট দিয়েছে। আরাভকে কষ্ট দেওয়ার জন্য হলে-ও আমাকে সুস্থ হতে হবে। প্রচুর শক্তি সঞ্চয় করতে হবে। এই যে তোমার হাত ধরেছি। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ছাড়ব না। কেউ তোমার পাশে না থাকলে-ও আমি তোমার পাশে সব সময় থাকব। তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ফিরে এসো স্মৃতি। আমি তোমার জন্য অপেক্ষা করব। এই মুহুর্তে স্মৃতির আরাভকে গভীর ভাবে আলিঙ্গন করে ভিষণ করে বলতে ইচ্ছে করছে। আমি আপনাকে ছেড়ে কোথাও যাব না৷ প্লিজ আমাকে আপনার কাছে রেখে দিন। নিজের করে পেয়েও আপনাকে রেখে আমি এতগুলো দিন কিভাবে থাকব। কথা গুলো ভেবেই স্মৃতির বুকটা হাহাকারে ভরে উঠল। সে কোনো কথা না বলে বেলকনিতে চলে গেল।
চলবে…..