#প্রেমময়নেশা (The story of a psycho lover)
#পর্ব- 3
#Jannatul_ferdosi_rimi(লেখিকা)
রিমিঃ অয়ন চৌধুরীর সাথে দেখা করবো
সমুঃ ওয়াট,,,,,কিন্তু কীভাবে?
রিমিঃ সেইটা তো বুঝতে পারছিনা
সমুঃ ওয়াট আ জোক যেখানে বড় বড় লোকেরা অয়ন চৌধুরীর সাথে দেখা করার সুযোগ পাইনা সেখানে তুই কিভাবে দেখা করবি
রিমিঃ আরে দি তুই বুঝতে পারছিসনা অয়ন চৌধুরী আমার আইডল আমি অয়ন চৌধুরীর মতো ডক্টর হতে চাই,,,,
সমুঃ আগে ইন্টার পরিক্ষা টা দে,
রিমিঃ হুম দেখিস একদিন না একদিন ঠিকই অয়ন চৌধুরীর সাথে দেখা হবে আমার!!
হঠাৎ ভালোমা আসায় অতীত থেকে ফিরে আসলাম
ভালোমাঃ কিরে রিমি কি ভাবছিস?
রিমিঃ কিছু না ভালো মা
তুমি বলো কিছু দরকার?
ভালোমাঃ কিছু তো মুখে দিস নি তাই একটু তোর জন্য একটু খাবার নিয়ে আসলাম খেয়ে নে মা!!
ভালোমা কথা শুনে মুখটা ফ্যাকাশে হয়ে গেলো কীভাবে খাবো সাইকোটা যাভাবে হাত মুচড়ে ধরেছে ব্যাথায় হাত নড়াতে পারছিনা
ভালোমাঃ কিরে কি হলো!!
রিমিঃ আসলে,,
ভালোমা কিছু বলবে তখনি তার নজর আমার হাতের দিকে যায়,,
ভালোমাঃ কি হয়েছে তোর হাতে?
রিমিঃ কই কিচ্ছু না তো( এই বলে হাত লুকাতে নিলে ভালোমা খপ করে আমার হাত ধরে ফেলে)
ভালোমাঃ ইসসস কি অবস্হা হাতের বুঝতে পেরেছি কাজ টা কার
আমি কিচ্ছু বললাম নাহ বুঝেছি ভালো মা কস্ট পেয়েছে
ভালোমাঃ সত্যিই ছেলেটা আমার বড্ড অমানুষ! ( কাঁদতে কাঁদতে)
ভালোমার কান্না দেখতে আমার এক্টুও ভালো লাগেনা এই বাড়িতে ভালোমআ-ই আমাকে সব সময় আগলে রাখে বা প্রটেক্ট করে থাকে একদম একজন মায়ের মতো তাই তো আমি ভালো মা বলে ডাকি
রিমিঃ প্লিয ভালো মা তুমি কান্না করোনা!!
ভালো মাঃ আমার সত্যি তোকে কিছু বলার নেই আমি বড় লজ্জিত
রিমিঃ প্লিয ভালো মা এইভাবে বলো না আমি তো জানি তুমি আমাকে কত ভালোবাসো
আচ্ছা একটা কাজ করো না আমাকে তুমিই আজ খাইয়ে দিবে ওকে?
ভালোমাও মুচকি হেঁসে
হুম আয় তোকে খায়িয়ে দিচ্ছি
তখনি খালামনি(ভালোমার ছোট্ট বোন) আসে এবং বলে উঠে–
বাহ এইখানে ভালোই পরের মেয়েকে খায়্যিয়ে যাচ্ছো আর অইদিকে তোমার নিজের ছেলে যে নাহ খেয়ে চলে গেছে সেদিকে তোমার খেয়াল নেই
খালামনির কথা শুনে আমার খারাপ লাগলো সবসময় উনি এমন করে মনে হয় আমাকে দেখতে পারেনা
উনি আর উনার স্বামী ও উনার এক মেয়ে আমার থেকে ২ বছরের বড় এই বাড়িতে থাকে।।
অয়নের বাবা নেই সে নাকি যখন অয়ন ছোট্ট ছিলো তখনি মারা গিয়েছে!!
ভালোমাঃ আহ একটু চুপ কর তো
খালামনিঃ হুম সত্যি কথা বললে খারাপ লাগবেই
এই বলে খালামনি চলে যায়
।
।
।।।।
।
।।,🌸🌸
অয়ন মাত্র ওটি থেকে বের হলো
অনেক ক্রিটিকাল ওটি ছিলো
তাও অয়ন ওটি তে সাকসেসফুল হয়েছে!!
অয়ন নিজের গ্লাবস খুলছিলো তখনি হন্তুদন্তু হয়ে ফারহান(অয়নের বেস্ট ফ্রেন্ড)
ঢুকে
অয়নঃ কিরে তুই হঠাৎ এইখানে?
ফারহানঃ শোন দোস্ত!! ভাবছি একটা প্রেম করবো!!
অয়ন খানিক্টা রেগে বললো!!
এইসব ফালতু কথা বলার জন্য
তুই এখানে এসেছিস?
ফারহানঃ অ্যা? এখন ফালতু কথা হয়ে গেলো?
নিজে তো রিমির প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছিস?
অয়নঃ রিমি মানে?(খানিক্টা রেগে)
ফারহানঃ নাহ সরি রিমি ভাবি🥶🥶
অয়ন মুচকি হেঁসে বলল–
প্রেমে পড়লি তো ফেঁসে গেলি
আমি কখনো ভাবিনি দ্বিতীয় বার কাউকে ভালোবাসতে পারবো!!
ফারহানঃ প্লিয দোস্ত শুধু শুধু তোর অই কালো অতীত মনে করিস না!!।আর শোন যততাড়াতাড়ি সম্ভব ভাবিকে বিয়ে করে নেয়
অয়নঃ কি আর করবো দোস্ত?
তোর ভাবি যা পিচ্ছি এখনো ১৮ বছর হতে ২ মাস বাকি! আর এই মুহুর্তে বাল্যবিবাহ করতে পারছিনা আগে পিচ্ছি টার ১৮ বছর হোক তারপর একেবারে বিয়ে করে আমার রিমিপরীকে আপন করে নিবো ❤️ কখনো আমার থেকে আলাদা করবো নাহ!!
ফারহানঃ তাই যেন হয় আল্লাহ!! অয়নের ভালোবাসার পাগলোমোতে একদিন ঠিক রিমিও অয়নকে ভালোবাসবে। ছেলেটা যে রিমিকে বড্ড ভালোবাসে!!(মনে মনে)
।
।
।
।🌸🌸সুমাইয়া(রিমির বড় বোন সবাই ভালোবেসে সুমু বলে) ব্যাগ নিয়ে বাইরে যাচ্ছে তখনি খেয়াল করলো তার মা অন্যমনষ্ক হয়ে কিছু ভাবছে
সুমাইয়া ঃ কি হলো কিছু হয়েছে?
মাঃ কি আর হবে বল!!মেয়েটার জন্য মনটা বড় ছটফট করে রে
মেয়েটা কেমন আছে কিছুই তো জানিনা রে!!
সুমাইয়া ঃ অয়ন চৌধুরী নিজের ক্ষমতার জড়ে বোনকে আটকে রেখেছে
মাঃ মেয়েটার সাথে দেখাও করতে পারিনা! তোর বাবাও অনেক চিন্তায় থাকেন!!
সুমাইয়া ঃ দেখো মা সব ঠিক হয়ে যাবে
( ওহ আপনাদের রিমির পরিচয় টায় দেওয়া হলো না রিমির পুরো নাম জান্নাতুল ফেরদৌসি রিমি! সবাই বলে রিমি নাকি দেখতে অনেক মিস্টি! তার চোখে নাকি এক অদ্ভুদ মায়া আছে। যার মাধ্যমে যে কেউ তার মায়ায় জড়িয়ে পড়তে পারে। রিমির এইবার সবে ইন্টার পাশ করলো
রিমির বড় বোন সুমাইয়া অনার্স ৩য় বর্ষের বাবা আশরাফ একজন বেসরকারী কম্পানিতে চাকরিতে আছে মা জুহি একজন গৃহিনী বেশ সুখেই তাদের সংসার চলছিলো)
(এখন অনেকেই বলবে রিমি তাহলে ভার্সিটিতে গেলো কেম্নে😒আসলে রিমি যেই কলেজে পড়ে সেইটা কলেজ ও ভার্সিটি তাই সেইটাকে সবাই ভার্সিটি বলে😑)
।
।
।
বড্ড বোরিং ফিল হচ্ছে তাই সানা(অয়নের খালাতো বোন) তার ঘরে গেলাম দেখলাম কি যেনো মনোযোগ সহকারে দেখছে
রিমিঃ সানা আপু কি করছো?
সানাঃ আরে জুনিয়ার ভাবি তুমি!!
রিমিঃ জুনিয়ার ভাবি🙄
সানাঃ কেন তুমি তো আমার ভাবি দেখো আজ নয়তো কাল ভাইয়া তোমাকে বিয়ে করবে তো সম্পর্কে তুমি আমার ভাবি কিন্তু বয়সে ছোট্ট তাই জুনিয়ার ভাবি
(সানা আপুর কথা শুনে মাথা চক্কর দেওয়ার অবস্হা হুহ অই সাইকোটাকে বিয়ে করবো ইম্পসিবল হুহ😒)
সানা আপুঃ আচ্ছা জানো আমার কাছে একটা ইন্টারেস্টিং জিনিস আছে
রিমিঃ কি জিনিস আপু?
সানা আপু নিজের হাত থেকে এত্তোগুলো কিটকেট এর প্যাকেট বের করলো
রিমিঃ ওয়াও কিটকেট
সানাঃ হুম খাবে তুমি?
রিমিঃ আমার তো অনেকে ফেভারিট
সানাঃ ওকে খাও
সানা আপুর থেকে চকলেটগুলো নিলাম!!
এদিকে,,
খালামনি(মিসেস রুশনি)
নিজের রুমে বসে আছে
তখনি তার হাজবেন্ড (মিঃ রুশান)বলে উঠে–
কি হয়েছে আমার মিসেস এর?
রুশনিঃ তুমি তো আর কথাই বলোনা
রুশানঃ কেন আমি আবার কি করলাম
রুশনিঃ কি করলাম!! এক্টা আপদ অয়নের জীবন থেকে সরেছে এখন আবার নতুন আপদ রিমি জুটেছে
রুশান আর কিছু না বলে বই নিয়ে বসে পড়লো
রুশনিঃ এইসব এর মানে কি তুমি কি আমার কথা টা একটুও বুঝতে পারছোনা
রুশানঃ আহা বেশি কথা বলো না তো আমাকে একটু বই টা পড়তে দাও
রুশনি মাথায় আগুন ধরে যায়
সত্যি তোমাকে দিয়ে কিচ্ছু হবেনা
রুশান বইয়ের পৃষঠা খানিকটা পালটে নিলো
।
।
।
।
।
এদিকে,, আমি অনেক চকলেট খাচ্ছি আর টিভি দেখছি টিভিতে কাঞ্চনা দেখাচ্ছে আল্লাহ গো কি ভয়ানক সিন কুকুরের আত্বা একটা গাড়িতে ঢুকে গেলো ভয়ে আমার কলিজা শুকিয়ে যাচ্ছে
ভয় পেতে পেতে কখন যে ঘুমিয়ে গেলাম খেয়াল নেই!!
।
।
।
অয়ন নিজের গাড়ির চাবিটা হাতে নিয়ে ঘুরাতে ঘুরাতে বাসায় আসলো
মিসেস কলিঃ কিরে এসে পড়েছিস!
অয়নঃ হুম
মিসেস কলিঃ ওকে নে একটু খেয়ে নে!!
অয়নঃ কিন্তু রিমিপরী কোথায়?
মিসেস কলিঃ মনে হয় ঘুমিয়ে গেছে
অয়নঃ ঠিক আছে আমি দেখে আসি
মিসেস কলিঃ আচ্ছা
অয়ন রিমির রুমে উকি মেরে দেখলো
রিমি সোফায় ঘুমাচ্ছে
আর টিভি টা চালু
অয়ন ঃ দেখো টিভি টা দেখতে দেখতেই ঘুমিয়ে গেছে
অয়ন খেয়াল করলো রিমির পুরো মুখে চকলেট দিয়ে মাখামাখি একদম বাচ্ছাদের মতো লাগছে তার রিমিপরীকে ।
রিমির এই চেহারা দেখে অয়ন ফিক করে হেঁসে দিলো
চলবে কি?
4part
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=122122479464106573&id=61553197202722&mibextid=Nif5oz