প্রেমময়নেশা(The story of a psycho lover) #পর্ব-45 #Jannatul_ferdosi_rimi( লেখিকা)

0
445

#প্রেমময়নেশা(The story of a psycho lover)
#পর্ব-45
#Jannatul_ferdosi_rimi( লেখিকা)

কে এই আয়ুশ? আয়ুশ যদি অয়ন হয়ে থাকে তাহলে দুইবছর আগে বিয়ের দিন ঠিক কি হয়েছিলো?
উনার দুইবছর আগে কিসের এক্সিডেন্ট হয়েছিলো?
সবকিছুর উত্তর কিছুটা হলেও অই হসপিটালে গেলে পেতেই পারি —আমি বললাম।
রিমির কথা মনোযোগ সহকারে শুনছিলো আমান। আমান বলে উঠে– কিন্তু আয়ুশের যে অই হসপিটালেই অপারেশন করা হয়েছিলো এইটা কীভাবে সিউর তুমি?? অন্য হসপিটালে ও তো হতে পারে।

আমি বলে উঠলাম–
হুম তাই আমাদের অই হসপিটালে যেতে হবে
তাহলেই অনেক উত্তর পাবো।

আমান বলে উঠলো–
হুম চলো!!

টকোপিকে নিয়ে আমিও চললাম।

।।।

আয়ুশ শিষ বাজাতে বাজাতে বাড়ি ঢুকলো ।
নিদ্র ও মল্লিকা বসে ছিলো

আয়ুশকে দেখে নিদ্র উঠে গেলো।

মল্লিকাঃ আয়ুশ বেটা তুমি এসেছো??

নিদ্রঃ আয়ুশ কোথায় ছিলে তুমি?

মল্লিকাঃ এন্গেজমেন্ট শেষে তুমি কোথায় চলে গিয়েছিলে??
জানো আমরা কত টেনশনে ছিলাম।

ইশা কত টেনশনে ছিলো।

আয়ুশ ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে বলে উঠে–

আমার একটা ইম্পোর্টেন্ট কাজ ছিলো।

তাই যেতে হয়েছে।

মল্লিকাঃ অন্তত কল টা রিসিভ করতে।

নিদ্র ধমকের সুরে বলে উঠে–এন্গেজমেন্ট এর দিন কি এমন ইম্পোর্টেনট কাজ থাকতে পারে??

আয়ুশ বলে উঠে–

আমারও একটা পার্সোনাল লাইফ আছে।সব কিছু তো আর আমি কৈফিয়ত দিতে পারবো নাহ,,
কই ইশান কে তো তোমরা এতো কুয়েশ্চেন করো নাহ!!
সো প্লিয আমাকেও করো নাহ।

ইশাকে বিয়ে করতে বলেছো করবো এনাফ!

আর আমাকে কিছু করতে বলো নাহ!!

এই বলে আয়ুশ উপরের দিকে চলে যায়।

নিদ্রঃ দুইটা ছেলেই একেবারে এক হচ্ছে।

মল্লিকাঃ নিদ্র একটু শান্ত হোও প্লিয!!

নিদ্র আর কিছু বলেনা।

আমরা লন্ডন হসপিটালে চলে এসেছি!!

আমান বলে উঠে–
চলো ভিতরে!!

রিমিঃ হুম চলুন!!

আম্রা ভিতরে যেতে লাগলাম।

আমান স্যার রিসিপশনে গিয়ে বলে উঠলো-+

আচ্ছা ডক্টর স্পিস আছেন??

—ইয়েস??ইউরস সেল্ফ?

আমান একটা কার্ড বের করে উনার হাতে দিয়ে বলে উঠে–

–মাই সেল্ফ ডক্টর আমান শিকদার!!
ডক্টর স্পিস এর সাথে দেখা করতে চাই!!

–ওক স্যার আপনি একটু ওয়েট করুন
আমি স্যার ওর কাছে আস্ক করছি তিনি এখন দেখা করতে পারবে কিনা!!

আমানঃ সিউর!!

আমান স্যার আমার কাছে এসে বলে উঠে–

রিমিপাখি আমাদের একটু ওয়েট করতে হবে।

রিমিঃ ওকে!!

তখনি একজন এসে বলে উঠলো–
স্যার আপনাদের তার কেবিনে যেতে বলেছেন!!

আমানঃ ওকে!!

আমরা ডক্টর স্পিস এর কেবিনের সামনে গেলাম।

আমানঃ মেই আই কামিং ডক্টর!!

স্পিসঃ ইয়েস ডক্টর আমান প্লিয কাম!!

আমরা উনার কেবিনে প্রবেশ করলাম!!

স্পিসঃ আপনি ডক্টর আমানের স্টুডেন্ট?? ( রিমিকে উদ্দেশ্য করে)

রিমিঃ জ্বী ডক্টর!

স্পিসঃ ডক্টর আমান আমরা আপনার অনেক প্রশংসা শুনেছি আপ্নার সাথে দেখা করার অনেক ইচ্ছে ছিলো।।
তা কোনো দরকার ছিলো কী?

আমানঃ আসলে আমাদের কিছু ইনফোরমেশন চাই

স্পিসঃ হুম বলুন!!
দেখি কি সাহায্য করতে পারি।

আমি বলে উঠলাম–

আচ্ছা ২ বছর আগে ফ্রেব্রুয়ারীর ৭ তারিখে এই হসপিটালে কোনো বড় ওটি হয়েছিলো??

স্পিসঃ অনেক দিন আগে হয়েছিলো
কিন্ত আমার ঠিক মনে নেই রেকোর্ড চেক করতে হবে।

আমামঃ হ্যা প্লিয ডক্টর করুন!!

স্পিসঃ ওকে আমি স্টাফ দের পাঠাচ্ছি!!

ডক্টর স্পিস কিছু ফাইল পাঠানোর জন্য স্টাফ দের কল করে।

স্পিসঃ কিন্তু আপ্নারা কি করবেন?? জেনে?

আমি বলে উঠলাম–
ডক্টর স্পিস আমাদের জানা টা অনেক জরুরী।

তখনি একজন নার্স কিছু ফাইল নিয়ে আসে।

স্পিস ফাইল গুলো চেক করতে থাকে!!

…..।।।

এদিকে,,,,
একজন নার্স তাড়াতাড়ি কাউকে কল করে-+

হ্যালো স্যার!!

—+++++

ডক্টর আমান আর রিমি ম্যাম এসেছেন!!
কিসের জন্য ইনফরমেশন এর জন্য

—++++

নার্স— আমার মনে হয় ওরা গোয়ান্দা গিরি করছে।
এখন তো সব জেনে যাবে তখন তো আমার চাকরি থাকবেনা!!

—অইপাশ থেকে কেউ ধমক দেয়।

নার্স— হ্যা স্যার আমি আপনাকে টাইম টু টাইম খবর দিতে থাকবো!!

——–

নার্সঃ স্যার আপনার ভরসায় এতো রিস্কি কাজ করছি।।

—-+++

নার্সঃ দেখবেন আমার চাকরিটা যেনো থাকে।

।।।

স্পিসঃ হুম ২ বছর আগে ফ্রেব্রুয়ারীর ৭ তারিখে কোনো ওটি হয়নি!!

আমরা অবাক!!

আমানঃ কোনো ওটি হয়নি??

স্পিসঃ নাহ!!

আমি বলে উঠলাম–
আয়ুশ খান নামে কেউ এডমিটেড হয়নি??

স্পিসঃ আয়ুশ খান???
ইউ মিন মিঃ নিদ্র এর বড় ছেলে আয়ুশ খান??

আমানঃ হ্যা!!!

স্পিসঃ হুম বাট আয়ুশের ৮ তারিখে একটা ওটি হয়েছিলো??

আমি বলে উঠলাম– ৮ তারিখে???
কিসের ওটি??

স্পিসঃ দেখুন আমরা একজনের কথা আরেকজন কে বলতে পারিনা!!

আমানঃ ডক্টর স্পিস আমাদের জন্য জানাটা খুব দরকার প্লিয আমাদের বলুন!!

স্পিসঃ আম সরি বাট আমাদের হসপিটালে এই রুলস নেই!!

স্পিস ঘড়ির দিকে তাঁকিয়ে বলে উঠে–
এখন আমার একটা ইম্পোর্টেন্ট কাজ আছে সো বাই!!

আমান কিছু বলবে তার আগেই স্পিস চলে যায়।

আমি বলে উঠলাম–
এখন কী হবে!!

আমান স্যার বলে উঠে– এখন চলো!!

।।।।।

সুমু মনোযোগ দিয়ে কিছু বই পড়ে যাচ্ছে
কাল-পরশু একটা ইন্টারভিউ আছে।
যে করেই হোক চাকরিটা পেতেই হবে।

ফারহান তার অফিসে বেশ উচ্চপদে
চাকরি করে
তাদের সংসার বেশ ভালোই চলছে।

কিন্ত সুমু নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে কিছু করতে চায়।

তার শ্বশুড়- শ্বাশুড়িও তাকে সাপোর্ট করে।

তার ছেলেটাও বেশ লক্ষি।

মাকে একটুও জ্বলাতন করেনা।

ফারহান আজ একটু লেট করে আসবে।
কিছু মিটিং হ্যান্ডেল করতে হবে।

সুমু আবারও পড়ায় মনোযোগ দেয়।

।।।।

আমি হতাশ হয়ে বেড়িয়ে এলাম!!

আমিঃ এখন কী হবে? একটা ক্লু পেতে চলেছিলাম সেটাও হাত ছাড়া হয়ে গেলো।।

(কান্নামাখা কন্ঠে)

আমান রিমির কাঁধে হাত রেখে বলে উঠে–

রিমিপাখি শান্ত হোও!!

আল্লাহর উপর ভরসা রাখো।
একটা না এক্ট্ব উপায় আমাদের ঠিক দিয়ে দিবেন!!

আমি বলে উঠলাম–
আল্লাহর উপর ভরসা করেই তো বেঁচে আছি!!

(লেখিকা ঃ জান্নাতুল ফেরদৌসি রিমি)

আমানঃ এখন চলো!!
হোটেলে ফিরে যাও যাক!!

রিমিঃ হুম!!

আমরা গাড়ির দিকে যেতে নিলাম!!

তখনি কেউ পিছন থেকে বলে উঠে–
আমি বলতে পারবো

আমরা পিছনে ঘুড়ে তাঁকিয়ে দেখি একজন বয়স্ক নার্স!!

আমানঃ আপনি বলতে পারবেন মানে?

নার্সঃ আয়ুশ খানের ওটি তে আমি ছিলাম!!

আমি কিছুটা হলেও জানি!!

আমি বলে উঠলাম–তাহলে প্লিয আমাদের সব খুলে বলুন!!

নার্সঃ এখানে অনেক রিস্ক আছে।
খবর চলে যাবে।
আমরা কোথাও বসে কথা বলি!!

আমান বলে উঠে–
অবশ্যই চলুন!!

নার্স টা আমাদের সাথে চলল।

আমরা একটা রেস্টুরেন্টে এ বসলাম!!

আমানঃ এখন বলুন!!

নার্স টা এদিক ওদিক তাঁকাচ্ছে বার বার।

আমানঃ এনি প্রব্লেম আপনি বলতে পারেন আমাদের।

রিমিঃ হুম!!

নার্সঃ আসলে আমি অনেকটা রিস্ক নিয়ে এসেছি।

কখন কি হয়ে যায় আমার ঠিক নেই!!

কিন্তু তার আগে আমি আপনাদের সবকিছু বলতে চাই।

আমানঃ রিস্ক আছে মানে?

আমি বলে উঠলাম–
কেউ কি আপনার ক্ষতি করতে পারে।

নার্সঃ হুম





আয়ুশের তীক্ন নজর হাতের ধারালো ছুড়ির দিকে।

আয়ুশ বেশ যত্ন নিয়ে তাতে ধার বসাচ্ছে।

আয়ুশের পাশে রেগে বসে আছে আদি।

আদিঃ এই পর্যন্ত তুই ৫ টা মার্ডার করেছিস।।

জনিকে এমনভাবে মেরেছিস যে ওর চেহারা দেখে সবাই ভয় পেয়ে যাবে।

এতোটা হিংস্রভাবে কেই মারতে পারে??
জানিস পুরো ভার্সিটির জনির মৃত্যুর খবর শুনে শকড!!

আয়ুশ এমন একটা ভাব নিলো যে
কিছুই হয়নি।

আয়ুশঃ তোহ??
আমিই যে মেরেছি তার প্রুফ তো নেই।

আদিঃ এইসব কি বলছিস আয়ুশ? তুই কি আমাদের সেই আয়ুশ?? এই আয়ুশকে আমি চিনি না!!
তুই তো এমন ছিলি নাহ।

আয়ুশ ঠোটের হাঁসি টা বাঁকা করে বলে উঠে–

ক্রিমিনাল কে ধরতে হলে ক্রিমিনাল হতে হয়।





।#দ্বিতীয়_অধ্যায়
চলবে কি??

46 part
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=122122571714106573&id=61553197202722&mibextid=Nif5oz

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here